নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একশ’টা বই পড়ার চেয়ে একটা বই বুঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মলাটবদ্ধ অক্ষর-সমষ্টিমাত্রই বই নয়।বই হচ্ছে সেই বৈধ প্রতারক, যামানুষের বর্তমান মুহূর্তকে অস্বীকার করে।

রাশেদ রাহাত

ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন এটা কাহিনী; সত্য হলো, মানুষই ঈশ্বরের স্রষ্টা।

রাশেদ রাহাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

"চোখ টিব"-মারার গল্প। (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

তখন আমি "লক্ষীপুর এন আহম্মদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়" এর তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
ছেলে আর মেয়েদের জন্য আলাদা বিভাগ এর ব্যবস্থা ছিলো। আমরা ছেলেরা ছিলাম "ক-বিভাগ"। আর মেয়েদের "খ-বিভাগ" একদম আমাদের ক-এর সামনের ডানদিকে ছিলো।
আমাদের ক-এর রুমের সামনের বামপাশে যারা বসতো। তারা খ-বিভাগের সামনের ডানপাশের বসা মেয়েদের জানালা দিয়ে অনায়াসে দেখতে পারতো।

আর আমার সেই চোখ টিপানির গল্প ঐখানেই সূত্রপাত।
সেদিন আমার জ্বর ছিলো। আর যথারীতি জ্বর এর একটা স্বাভাবিক লক্ষন হচ্ছে মাথা ভার হযে যাওয়া, এবং চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসা। এটা জ্বরের প্রাথমিক লক্ষন বটে। সেইদিন আমি জ্বর নিয়েই ক্লাস করছিলাম। আর হ্যাঁ, বসেছিলাম সেই সামনের টেবিলেই। যেখান থেকে খ-বিভাগের সামনের টেবিলে বসা মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছিলো। মেয়েটির নাম পুলন(ছদ্ম নাম)
তো ক্লাস চলার সময়ে মাঝে মাঝে আমাদের দৃষ্টিপাত হচ্ছি। তার মুখে কেন জানি একটা হাঁসি বিরাজমান ছিল।
হঠ্যৎ তার দিকে তাকানো অবস্থায় আমার একটি চোখ "টুইস" করে বন্ধ হয়ে গেলো। মেয়েটি তখন আমারি দিকে তাকিয়ে ছিলো। বাস্.... কাম সারছে।
তার অগ্নি মূর্তি রুপ দেখলাম।
এখান পর্যন্ত শেষ হলেই ভালো ছিলো। কিন্তু, দুপুরে ছুটি হওয়ার পরে বাসাতে গিয়ে দেখি মেয়েটি আমার মায়ের সামনে দাড়িঁয়ে অন্য আরেকটি মেয়েকে নিয়ে, আমারি নামে নালিশ করতে।

তারপর কি হতে পারে আমরা সবাই জানি, তবে আমার সাথে ঠিক তেমনটা ঘটেনি। মাকে বুঝাতে পেরেছিলাম যে "জ্বরের কারনে চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়াই ও মনে করেছিলো আমি তাকে চোখ টিব দিছি"।

তৃতীয় শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষায় মেয়েটি আন্ডা পেয়ে অন্য কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলো। তারপর বছরের ঈদের দিনে ছাড়া তার আর দেখা মিলেনি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আহা ;)

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালোই তো!

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

রাশেদ রাহাত বলেছেন: আহা কি আনন্দ আকাশে বা..............

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

রাশেদ রাহাত বলেছেন: এখন আর চোখ টিপতে হয়না। অনেক পদ্ধতির আবিষ্কার হইছে কিনা!!!

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

রাজসোহান বলেছেন: হাহাহা!

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তৃতীয় শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষায় মেয়েটি আন্ডা পেয়ে অন্য কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলো। তারপর বছরের ঈদের দিনে ছাড়া তার আর দেখা মিলেনি।

এখনও ঈদে তার সাথে দেখা হয়?

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

রাশেদ রাহাত বলেছেন: হিহিহিহি

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

রাশেদ রাহাত বলেছেন: কিছু কিছু ঈদে দেখা হয়। মেয়েটির দাদার বাড়ি হচ্ছে আমাদের এলাকায়। ছোট বেলায় ও পড়তে এসেছিলো এখানে। আর ওর বাবা সেনা সদস্যা, সে কারণেই ঘুরতে হয় ওকে। ঈদের সময় ঘুরতে আসে দাদার বাড়ি। আর আমার সাথে দেখা হয়ে যেত। তবে। এখন আর দেখি না। এখন ও এক সন্তানে জননী।
লাস্ট দেখেছিলাম ৪বছর আগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.