নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একশ’টা বই পড়ার চেয়ে একটা বই বুঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মলাটবদ্ধ অক্ষর-সমষ্টিমাত্রই বই নয়।বই হচ্ছে সেই বৈধ প্রতারক, যামানুষের বর্তমান মুহূর্তকে অস্বীকার করে।

রাশেদ রাহাত

ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন এটা কাহিনী; সত্য হলো, মানুষই ঈশ্বরের স্রষ্টা।

রাশেদ রাহাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের অবহেলিত বাবা-মা ও আমাদের মৃত চেতনা।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৬

ভদ্রলোক কুয়েতে মাসিক প্রায় ১ লাখ + টাকার মতো আয় করেন। বছরখানিক আগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ভালো স্থান দেখে জমি কিনেন। ৩০ লক্ষ টাকার মধ্যে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেলেন।

আসুন একটু পিছনের ফিরে যাই এবং একটা অনুমানিক ধারনা নেই। জমি কিনার আগে নিজ দুই সন্তান ও বউ এর জন্য দিতেন ২০ হাজার। আর, বাত রোগের ব্যাথায় ভুগতে থাকা বাবা ও প্রায় কুজো হয়ে যাওয়া অসুস্থ মা এর জন্য দিতেন দুই (২) হাজার। তবে মাসিক কিস্তিতে মিসিং হওয়ায় মোট অনুপাতে মাসিক দুই হাজার ও পড়ে না। যে টাকা ঠিকমতো মা-বাবা চিকিৎসার খরচ পর্যন্ত হয় না। খাওয়া দাওয়ার হিসাব না-ইইই হলো। আর বৃদ্ধ বাবা যে বাহিরে গিয়ে জীবনের শেষ সন্ধ্য লগ্নে পেট ফুরে কিছু খাবে তা আর হয়ে উঠেনা। বাকি থাকে "একটি দীর্ঘশ্বাস"। এখন মাসিক ব্যাংকের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে বাবা-মা কে প্রায় পুরোই বঞ্চিত হতে হয়।

এই বয়বৃদ্ধ বাবা-মার আরেকটি সন্তান আছে। উনি দেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে প্রায় ২০ হাজার টাকার সেলারিতে চাকুরি করেন। উনিও দেখা যায় নিজ বড় ভাই এর মাসিক কিস্তির উপর নির্ভর করে বাবা-মা কে দু-এক হাজার বা নিজ সন্তানের অসুস্থতার অজুহাতে মাঝে মাঝে না দিয়ে থাকেন।

যদি আমরা চার (৪) হাজার টাকা ও ধরে নেই। তাহলে হিসাব টা করা যায় । এই বাজারে মাত্র চার হাজার টাকা দিয়ে কি কি হওয়া সম্ভব ...?
খাওয়া ...?
চিকিৎসা ...?
দৈনন্দিন ব্যাবহার্য জিনিসপত্র ...?
মেহমান আপ্যায়ন ...?
অন্যান্য..........???

বিঃদ্রঃ এই সব নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন হয় না কখনই। এইগুলো আমাদের সমাজের খুবই স্বচ্ছ চিত্র। বাবা-মা বৃদ্ধ হলেই সন্তানের কাছে প্রত্যেক্ষ না হলেও পরোক্ষ ভাবো বোঝা হয়ে যায়।
দশ বছর ঢাকা শহরে ব্যাচলর থেকে বুয়া বা নিজের রান্না করা খাবার খেলেও বিয়ের পরে বুয়ার খাবারে জটিলতার শেষ থাকেনা। তখন, বাবা-মা ও সন্তানের মিনতির আর সমস্যা ও বিশেষ প্রয়োজনিয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে বউ কে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। আপাতত দৃষ্টিতে ইহাকে আমি দোষারোপ করিনা। এতে বেশ কিছু সুফল থাকে (বিবাহিত-রা ভালোই বুঝবেন)। সমস্যাটা হচ্ছে তার পরেই, নিজ বাবা-মা কে এতিম করে দিয়ে হাজারো সমস্যা দেখিয়ে বাবা-মা কে তাদের হক থেকে বঞ্চিত করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

করুণাধারা বলেছেন: এটা ঠিক নয়। সকলেরই মনে রাখা উচিৎ যে বার্ধক্য এবং অসহায়তা প্রত্যেকের জীবনেই আসবে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

রাশেদ রাহাত বলেছেন: এই মনে রাখার প্রয়োজনিয়তা কয়জনে বুঝে ভাই...?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.