নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একশ’টা বই পড়ার চেয়ে একটা বই বুঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মলাটবদ্ধ অক্ষর-সমষ্টিমাত্রই বই নয়।বই হচ্ছে সেই বৈধ প্রতারক, যামানুষের বর্তমান মুহূর্তকে অস্বীকার করে।

রাশেদ রাহাত

ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন এটা কাহিনী; সত্য হলো, মানুষই ঈশ্বরের স্রষ্টা।

রাশেদ রাহাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

"দুনিয়ায় থাকো" "কিন্তু দুনিয়ার হয়ে যেওনা"!!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৬


এক রাতে আমি এক যুবকের সন্যাস জীবনের উদ্বোধন করছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম অজানাকে খুজতে। সে বলল, 'কিন্তু কেন? আর কিভাবে? কিভাবে আমি অজানাকে খুজবো? যাকে আমি জানি না, তাকে আমি কিভাবে খুজবো?' আমরা শুধু পরিচিতকেই খুজি।

কিন্তু যদি তুমি শুধু পরিচিতকেই খোঁজো, তুমি ঈশ্বরকে জানতে পারবে না; কারণ তুমি ঈশ্বরকে চেনো না। যদি তুমি শুধু চেনা জানাকেই খুঁজে বেড়াও তুমি শুধু একটা চক্রেই আবর্তিত হতে থাকবে। তুমি ক্রমশ যান্ত্রিক হতে থাকবে।
অজানাকে সন্ধান করো, কারণ অজানাকে সন্ধানের মাধ্যমে তুমি তোমার চেনা চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, পুনরাবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।

সে ঠিকই বলেছে। সে বলেছে, 'কিভাবে অজানার সন্ধান করবো?'
চেনা জানাকে ফেলে দাও, তার সাথে ঝুলে থেকো না, আর অজানার জন্য প্রতীক্ষায় থাকো। অজানা তোমার দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু তুমি চেনা জানার দ্বারা এতটাই পূর্ণ হয়ে আছ যে, অজানার সেখানে প্রবেশের কোনা স্থানই অবশিষ্ট নেই।

অজানা অতিথি হতে ইচ্ছুক, কিন্তু ঘরের মালিক চেনা জানার প্রতি আগ্রহী। ঘরের মালিক চেনা জানাদের দ্বারা এতোটাই আবিষ্ট যে, অজানার দিকে নজর দেবার এতটুকু অবসর নেই তার। হ্যা, আমি তার প্রশ্ন বুঝতে পেরেছিঃ কিভাবে অজানার সন্ধান করবো? কারণ তুমিতো সন্ধান করছো কোনো চেনা জানার। মন অজানাকে সন্ধান করতে পারে না, তাই মন হচ্ছে অজানার পথে বাধা। মন বারে বারে জানা কিছুর সন্ধান করে। মন পুনরাবৃত্তি পছন্দ করে।

ধ্যানের মূলকথা এটাইঃ একটা পথ, মনকে ছূড়ে ফেলার একটা শিল্প- অন্ততঃ কয়েক মূহুর্তের জন্য- যাতে তুমি অজানার দিকে নজর দিতে পারো, তুমি কোথায় যাচ্ছ তাকে না জানা। কিন্তু সেই মূহুর্তগুলো সবচেয়ে সুন্দর- যখন তুমি জানো না যে, তুমি কোথায় যাচ্ছ। যখন তুমি জানো না যে, তুমি কে, যখন তুমি তোমার দিক সম্পর্কে কিছুই জানো না, তোমার লক্ষ্য কি তা জানো না; যখন জ্ঞান জাতীয় কিছু থাকে না।

"তুমি দিনে ঘুমাও, রাতে ঘুমাও; জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কেবল তুমি তোমার ঘুমের ধরণ বদলে যাও, কিন্তু আসলে তুমি কখনও জাগ্রত হও না। কেবল চোখ মেলে রেখে নিজেকে এভাবে ঠকানো ঠিক হবে না যে তুমি জেগে আছো। যদি না ভিতরের নয়ন অনাবৃত হয়, যদি না তোমার অভ্যন্তর আলোয় পূর্ণ হয়, যদি না তুমি নিজেকে দেখতে পারো, তুমি কে, তবে ভেবো না যে তুমি জাগ্রত।

কথাগুলো এত প্রেম ও শান্তির সঙ্গে পড়েছেন, তাই আমার কাছে যথেষ্ট। কেন না এই ধরনের কথাবার্তা প্রেম ও শান্তির সঙ্গে পড়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। এবং শেষে সকলের ভেতরে পরমআত্নাকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করছি, আমার ভক্তি ও শ্রদ্ধা গ্রহণ করুন!!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একদম spiritual চিন্তা দিয়ে আবর্ত করা। আমরা ঠিকি নিজেকে খুঁজি না ।
তাইতো সাধু বলে...................



১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৫১

রাশেদ রাহাত বলেছেন: অসাধারন আমি তিন শিল্পির কন্ঠে এই গান শুনি।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: নিজেকে জানা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

রাশেদ রাহাত বলেছেন: নিসন্দেহে ইহা অতি কঠিন। নফ্স কে নিয়ন্ত্রন করা অতি কঠিন।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

সিফটিপিন বলেছেন: ঐটা আরেকটা জগত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.