নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একশ’টা বই পড়ার চেয়ে একটা বই বুঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মলাটবদ্ধ অক্ষর-সমষ্টিমাত্রই বই নয়।বই হচ্ছে সেই বৈধ প্রতারক, যামানুষের বর্তমান মুহূর্তকে অস্বীকার করে।

রাশেদ রাহাত

ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন এটা কাহিনী; সত্য হলো, মানুষই ঈশ্বরের স্রষ্টা।

রাশেদ রাহাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

গতিময়তার মহাবিশ্ব

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৯


প্রাচীন কালে মানুষ মনে করতো দূর আকাশের ঐ মিটিমিটি তারাগুলাে আসলে স্থির , নিশ্চল প্রদীপ-দেবতারা যাদের রেখেছেন রাতের আকাশ পাহারা দিতে বা নাবিকের দিক নির্দেশনার জন্য । কিন্তু বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মানুষের এই বিশ্বচিত্রটি আজ সম্পূর্ণ ভিন্ন ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানে উন্নতির সাথে সাথে আজ আমরা জানতে পেরেছি ওরা মােটেও স্থির নেই। বিপুল গতিবেগে সবাই এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে । কিন্তু অকল্পনীয় দূরত্বের কারণেই ওরা আমাদের কাছে আপাতভাবে স্থির মনে হয় । বৈজ্ঞানিক বিশ্ববীক্ষার চিত্রটি হচ্ছে বিশ্বচরাচরের প্রত্যেকটি বস্তুই চলমান। "পরম স্থিতি বা যেখানে কোনাে কিছু চলেনা" জাতীয় কোনাে ধারণা বৈজ্ঞানিক বিশ্বচিত্রে অনুপস্থিত । আমাদের দৃষ্টির সীমারেখা আমরা যতই বাড়াই ততই দেখি গতির জয় জয়কার । সৌরজগতে এইগুলাে চলমান সূর্যকে ঘিরে , সূর্য গ্রহদের নিয়ে চলমান ছায়াপথের কেন্দ্রকে ঘিরে , সম্পূর্ণ ছায়াপথ চলমান বিরাট একটি গ্যালাক্সি স্তবকের দিকে এবং পুরাে মহাবিশ্বই সম্প্রসারমান। অর্থাৎ স্থান কাল বিস্তৃতি সর্বদাই প্রসারিত হচ্ছে । ফলে কোনাে কিছুরই স্থির থাকার জো-টি নেই ।

অন্যদিকে দৃষ্টি যদি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণু - পরমাণুতে দেই দেখবাে কেন্দ্রীনকে ঘিরে ইলেকট্রন প্রচণ্ড বেগে ঘুরছে । কী অদ্ভুত এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড । “ গতিতে জীবন , স্থিতিতে মরণ ” - এই যেন বিশ্বচরাচরের সৃষ্টি ছাড়া পণ ! আমাদের পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একটি উপবৃত্তাকার ( ডিমের মতাে ) কক্ষপথে | ঘুরছে এবং এই পরিভ্রমণের বেগ হচ্ছে ১৮.৫ মাইল প্রতি সেকেন্ডে ( ৩০ কি.মি ) । আর সূর্য সেকেন্ডে ১৯.৫ কিলােমিটার বেগে একটি বিন্দুর দিকে ছুটে চলছে । এই বিন্দুটি অভিজিৎ ( Vega ) তারার খুব কাছে। এই যাত্রাপথে সূর্যের সঙ্গী তার বিরাট সৌরপরিবার ও ৯টি গ্রহ , তাদের উপগ্রহ , গ্রহাণু , ধূমকেতু। শুধু এখানেই শেষ নয়। সূর্য ও তার আশপাশের নক্ষত্ররাজি ; একটি কেন্দ্রীয় অক্ষের চারদিকে ঘুরছে । এই অক্ষটি ধনুরাশির তারাস্তবকের দিকে অবস্থিত । একবার পুরাে ঘুরে আসতে সময় লাগে বিশ কোটি (দুশাে মিলিয়ন) বছর !

আড়াই শতক আগে হ্যালী দেখিয়েছিলেন যে আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র । লুব্ধক ( Sirius ) নিশ্চল নয় । এর একটা বেগ আছে ; যদিও তা বড়ই সূক্ষ্ম। আসলে খালি চোখে তারাদের গতিবেগ বের করা বা বােধগম্য হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বড় কথা হলাে , মানবজাতির এই সুদীর্ঘ ইতিহাসে কোনাে তারাস্তবকই উল্লেখযােগ্য পরিমাণে গাঠনিক পরিবর্তন আনেনি । আর আগেই বলেছি এর কারণ হচ্ছে তারাদের অকল্পনীয় দূরত্ব । একটি তারা আছে , নাম বার্নার্ডের তারা । এটি সূর্যের দ্বিতীয় নিকটতম । এই তারাটি একবছরে আকাশে যতটুকু পথ চলে তা চোখে মাত্র ১০ (দশ সেকেন্ড) কোণ তৈরি করে । অর্থাৎ চাদের আপাত ব্যাস অতিক্রম করতেই বার্নার্ডের তারা দু'শাে বছর সময় নেবে । আর এটাই আকাশের তারাদের মধ্যে আপাতভাবে সবচেয়ে বেশি বেগমান নক্ষত্র ।

সূত্রঃ
"মহাকাশের কথা"
-ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: পুরো পৃথিবীর মানুষের মধ্যে যে রহস্য তার থেকে বেশি রহস্য অনন্ত নক্ষত্র বীথিতে।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এতো রহস্য !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.