নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেঁতুল বাবা এবং একজন রহস্যময়ী

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

তেঁতুল বাবা চোখ বন্ধ করে বসে আছেন।তাকে দেখলে মনে হবে শান্ত মনে ধ্যান করছেন।কিন্তু তেঁতুল বাবার মনজগতে তোলপাড় চলছে।তার সামনে একজন রমণী বসে আছে।বিদেশী সেন্টের ঝাঁজাল ঘ্রাণ তেঁতুল বাবার রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে,শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত করছে।তেঁতুল বাবা বেশ বিরক্ত বোধ করছেন।রমণী দেখলে এমনিতেই নিজেকে সংযত রাখতে পারেন না!তার উপর এই বয়সে এত মানসিক এবং দৈহিক চাপ নেওয়া যায় না।তেঁতুল বাবা চোখ মেলে তাকালেন।তার সামনে দেশের একজন বিখ্যাত সমাজকর্মী বসে আছেন যাকে প্রায়ই বিভিন্ন সভা সমিতি এবং টক শোতে দেখা যায়।এই বিখ্যাত রমণী বিভিন্ন টক শোতে তেঁতুল বাবার তেঁতুল ত্বত্তের বিরোধিতা করেছেন।যদিও তেঁতুলবাবা জানেন সমাজ সেবা এবং নারী মুক্তি আন্দোলনের আড়ালে ব্যবসা করাই এই রমণীর প্রধান কাজ।ব্যবসায়িক বোঝাপড়ার জন্যই দুজনের এই সাক্ষাৎ।একজন ধর্ম ব্যবসায়ি, অন্যজন প্রগতি নিয়ে ব্যবসা করেন।পথ ভিন্ন হলেও দুজনের উদ্দেশ্য এক।

ভালোই খেল দেখাচ্ছিলেন।তীরে এসে তরী ডুবালেন কেন?রমণীর তির্যক প্রশ্ন তেঁতুল বাবার বুকে তীরের মত বিদ্ধ হল।আমি আর খেললাম কোথায়?আপনারাইত আমারে মাঠে নামালেন।যখন ভাবলাম গোল দিব তখন লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিলেন।বাবা বিষণ্ণ মনে উত্তর দিলেন।রমণী হাসি মুখে বললেন, আপনাকে বলা হয়েছিল মাঠে দৌড়াদৌড়ি করতে।কিন্তু আপনি গোল দেওয়ার চেষ্টা করবেন এটা আমরা ভাবতে পারিনি।আপনাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল একটি গন আন্দোলনের গতি রুদ্ধ করা।সেটা আপনি ভালোই করেছেন।এ দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও অন্ধকারে আছে।অন্ধকারে থাকা সেই মানুষগুলোকে আপনি সফল ভাবে বিভ্রান্ত করতে পেরেছেন।কিন্তু আপনি বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়ালেন কেন?রমণীর এই প্রশ্নের জবাব তেঁতুল বাবা দিলেন না।

নষ্ট পোলাপাইন গুলো নাকি এখন নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে।রাজাকারের ফাঁসির দাবি ছেঁড়ে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে।এইখানেও আগুন কি আপনারা ধরাইছেন?তেঁতুল বাবা রমণীর কাছে জানতে চাইলেন।আমরা আগুন ধরাতে বাধ্য হয়েছি।সেদিনের পোলাপাইন ভাতেরে কয় অন্ন!চেতনা বুঝে,মানবতা বুঝে কিন্তু রাজনীতি বুঝে না।চেতনা হচ্ছে ক্ষমতা আর মুনাফা লাভের হাতিয়ার।এই সোজা হিসাবটা পোলাপাইনগুলো বুঝতে পারে নাই।রমণী উত্তর দিলেন।তেঁতুল বাবা বললেন আপনাদের পোষা কুত্তা গুলা আন্দোলনের সময় নির্দেশমত ঘেউ ঘেউ করেছে। সময় মত আবার কামড়ও বসাইয়া দিছে।আমরাত ধর্মের নামে অশিক্ষিত অন্ধকারে থাকা মানুষরে বিভ্রান্ত করি।কিন্তু আপনারাত প্রগতির নামে স্বশিক্ষিত মানুষজনকে মূলা দেখাচ্ছেন।তেঁতুল বাবার কথা শুনে রমণী মুচকি হাসলেন।

একই সময় কয়েকজন তরুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের শপথ নিচ্ছিল।

একই সময় কয়েকজন তরুন জিহাদের নামে মানুষ কোরবানির আয়োজন করছিল।

একই সময় হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে।

একই সময় হাজার হাজার শিশু মারা যাচ্ছে।

একই সময় ধনী আরো ধনী হচ্ছে।

একই সময় গরীব আরো গরীব হচ্ছে।

একই সময়ে স্বপ্ন দেখে যাই এ দেশে একদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: sorry kichu bolte parlam na, ami bakrudro.........

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৮

জেন রসি বলেছেন: আমরা সবাই মাঝে মাঝে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই!!!

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একই সময়ে এত কিছু ঘটে যাচ্ছে, আপন আপন চক্রে! গন্তব্য কি সবারই এক?
ভাল লিখেছেন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে একই সময় অনেক কিছু ঘটে চলে। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.