নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাস এবং অমিথ্যার উপাখ্যান

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৯

১২০০ বছর পরে



নিয়নের মহাজাগতিক অবস্থান ওমেগা পয়েন্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না।ওমেগা বাদীদের তাত্ত্বিক গুরু বেলান অসহায় বোধ করছেন।নিয়নের মহাজাগতিক অবস্থানের অনেকগুলো সম্ভাব্যতা আছে।কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কোনটি সঠিক।বেলানকে নিশ্চিত হতে হবে এবং নিয়নকে খুঁজে বের করতে হবে।তা না করা গেলে হাজার বছরের ওমেগা সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখা যাবে না।মানুষ যখন দেখবে ওমেগা পয়েন্ট দিয়ে সবকিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব হচ্ছে না তখন তারা সংশয়ী হবে।সংশয়ী মন সব সময় প্রশ্ন করে এবং প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেলে তা নতুন সত্যের দিকে ধাবিত হয়।

হাজার বছরের ইতিহাসে নিয়নের পূর্বে অনেকেই ওমেগা পয়েন্টের সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন করেছিল।কিন্তু ওমেগা সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত শক্তি তাদের ছিল না।তাদের সবাইকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মেরে ফেলা হয়।তাই নিয়নের মনে যখন প্রথম সংশয় দেখা দেয় তখন সে কাউকে সেটা বুঝতে দেয়নি।নিয়ন বুঝতে পারে ওমেগা পয়েন্ট দিয়ে অনেক কিছুই প্রমান করা সম্ভব।কিন্তু ওমেগা পয়েন্ট দিয়ে সবকিছুকে ব্যাখ্যা করা যায় না।ওমেগাবাদীদের মতে ওমেগা পয়েন্ট হচ্ছে জ্ঞানের শেষ সীমা।তাই কেউ জ্ঞানকে প্রশ্নবিদ্ধ কিংবা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে তাকে কৌশলে মেরে ফেলা হয়।ওমেগাবাদীরা এমন কিছু সাধারন মানুষের নজরে আনে না যা ওমেগা পয়েন্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।

নিয়ন তাই এমন কিছু একটা করে দেখাতে চেয়েছে যা একই সাথে সাধারন মানুষের নজরে আসে এবং ওমেগা পয়েন্টের অসারতা প্রমান করে।তাই সে দিনের পর দিন গবেষণা করে গড়ে তোলে এমন এক জগত যার অস্তিত্ব খুঁজে বের করা সম্ভব নয়।সে সাধারন মানুষের মাঝেই আছে এবং প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছে।কিন্তু কেউ তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত নয়। ওমেগা সাম্রাজ্য তাদের সর্ব শক্তি প্রয়োগ করেও নিয়নের অবস্থান খুঁজে বের করতে পারছে না।ফলে সাধারন মানুষের মনে সংশয়ের জন্ম হচ্ছে।তারা নিয়নকে এমন একজন হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে যে কিনা জ্ঞানকে অতিক্রম করেছে।তার মানে ওমেগা পয়েন্ট জ্ঞানের শেষসীমা নয়।

বেলান বুঝতে পারছে যে, নিয়ন এমন কিছু একটা দিয়ে তার মহাজাগতিক অবস্থান সৃষ্টি করেছে যা এই জগত থেকে দৃশ্যমান না।কিন্তু নিয়ন এই জগতের ভেতরেই আছে।কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব?সেটা শুধু এক ভাবেই সম্ভব।নিয়ন যদি গুপ্ত পদার্থের আবরণের ভিতরে থাকে তবে তাকে খুঁজে বের করা যাবে না।গুপ্ত পদার্থময় জগতকে শুন্য জগত মনে হবে।যদিও সে জগত শুন্য নয়।নিয়ন কোন একভাবে এমন একটি শুন্য জগত সৃষ্টি করে ফেলেছে যা আসলে শুন্য নয়।বেলান জানে গুপ্ত পদার্থের উপর ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক বল কাজ করে না।গুপ্ত পদার্থ আলো শোষণ কিংবা নিঃসরণ কিছুই করে না। গুপ্ত পদার্থ থেকে আলো প্রতিফলিত হয় না।তাই এর অবস্থান খুঁজে বের করা প্রায় অসম্বভ।তাছাড়া ওমেগা সাম্রাজ্য জ্ঞানের অন্যান্য শাখাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে ধ্বংস করে ফেলেছে।ওমেগা সাম্রাজ্যের হাতে গুপ্ত পদার্থ খুঁজে বের করার মত প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত নেই।এদিকে দিনকে দিন মানুষ অস্থির হয়ে উঠছে।

নিয়ন এমন কিছু আবিস্কার করতে পেরেছে যা তার পূর্বে কেউ কল্পনাও করেনি।নিয়ন গুপ্ত পদার্থের অবস্থান খুঁজে বের করতে পেরেছিল।বস্তুর উপর গুপ্ত পদার্থের মহাকর্ষ বলের প্রভাব নিয়ে নিয়ন গোপনে গবেষণা করে আসছিল।তার গবেষণা বৃথা যায়নি।কিন্তু সে বুঝতে পেরেছিল তার এই আবিস্কার ওমেগা পয়েন্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।তার এই আবিস্কারকেই সে ওমেগা সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়।

১২০০ বছর পূর্বে



মনসুর আল হালাজ নামক এক সুফিবাদি নিজের মধ্যেই ঈশ্বরের সন্ধান করতেন।অন্যান্য সুফিবাদি যারা সাধারন মানুষের কাছে তাদের জ্ঞান প্রকাশ করতেন না, মনসুর আল হালাজ তাদের মত ছিলেননা।তাই তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন,

“মনের চোখ দিয়ে আমি ঈশ্বরকে দেখেছিলাম।
আমি জানতে চেয়েছিলামঃ কে তুমি!
সে উত্তর দিয়েছিলঃ তুমি!

তার এই সহজ সরল কথায় ভয় পেয়ে যায় একটি প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাসের ইমারত দিয়ে গড়ে উঠা সাম্রাজ্যের শাসকগোষ্ঠী।সাধারন মানুষ মনসুর আল হালাজের সুফি মতবাদে প্রভাবিত হয়ে অন্য সত্যের দিকে ধাবিত হতে পারে ভেবে শাসকগোষ্ঠী আতংকিত হয়েছিল।তাই প্রথমে তারা তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করল।তারপর প্রকাশ্যে হাত পা কেটে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।যখন তার পা কাটা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন “এই পা দিয়ে আমি এই জগতে হাঁটতাম,এখন আমি স্বর্গ থেকে কয়েক পদক্ষেপ দূরে মাত্র”।

বহমান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় প্রচলিত বিশ্বাস।সত্য খুঁজে ফেরা মানুষ মিথ্যা থেকে ক্রমশ অমিথ্যার দিকে যেতে থাকে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৫০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বহমান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় প্রচলিত বিশ্বাস।সত্য খুঁজে ফেরা মানুষ মিথ্যা থেকে ক্রমশ অমিথ্যার দিকে যেতে থাকে।
খুব ভালো বলেছেন কথাগুলো। ১২০০ বছর পূর্বের সাথে ১২০০ বছরের তুলনামূলক চিত্রটাও ভালো লাগলো জেন রসি।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২১

জেন রসি বলেছেন: সময় পাল্টায় কিন্তু শাসকগোষ্ঠীর মনোভাব সবসময় একই থাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের জ্ঞান, সভ্যতা যতই অগ্রসর হোক না কেন, শীর্ষবিন্দুতে থাকা তথাকথিত জ্ঞানীরা, যারা তাদের নিজস্ব এবং ত্রুটিময় মহাজ্ঞানকে আগলে রেখে প্রশ্ন করা বা নতুন কোন ভাবনাকে দাবিয়ে রাখতে চায়, তাদের চেহারা যুগে যুগে একই রকম।

ভালো লাগলো জেন। ভাবনার বিষয় আছে আপনার লেখাটিতে।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

জেন রসি বলেছেন: বলেছেন: বিজ্ঞান,দর্শন এবং সভ্যতা সবকিছুই বিকাশমান। জ্ঞানপাপীরা ক্ষমতার আবর্তে সেই বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: ভাল লাগলো! :)

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ।

শুভ কামনা রইলো।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দারুণ পোস্ট। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে বহুমাত্রিক পোস্ট। ভালো লাগা রইল।

সত্য খুঁজে ফেরা মানুষ মিথ্যা থেকে ক্রমশ অমিথ্যার দিকে যেতে থাকে। এই কয়েকটা শব্দ হাজার বাক্যকেও ছাপিয়ে গেছে।


"সবার উপর ক্ষমতা সত্য তাহার উপর নাই"। খুব খেয়াল কইরা ;)

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০২

জেন রসি বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, আপনার মন্তব্য পড়ে আনন্দিত হলাম।

ক্ষমতাকে যারা সত্য ভাবে, তাদেরও কিন্তু পতন হয়।

খুব খেয়াল কইরা ;)

হা হা হা ..............

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

রোদেলা বলেছেন: “মনের চোখ দিয়ে আমি ঈশ্বরকে দেখেছিলাম।
আমি জানতে চেয়েছিলামঃ কে তুমি!
সে উত্তর দিয়েছিলঃ তুমি

কঠিন পোষ্ট গুলো আমি এড়িয়ে চলি,এই বয়সে পড়া-শোনা ভালো লাগে না।কিন্তু আজ খুব অন্যরকম লাগলো।ধন্যবাদ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

জেন রসি বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।

অন্ধবিশ্বাস এবং ক্ষমতার লোভ একে অপরের হাত ধরে হাঁটে।

ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: সত্য সহজ, কঠিন সম্ভবত এই সহজ বিষয়টি উপলব্ধি করা!

অনেক ভালো লাগার কথাই বলি ভাই।

সহজিয়া মতের প্রতি শ্রদ্ধা।

অনিঃশেষ শুভকামনা।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

জেন রসি বলেছেন: সত্য সহজ, কঠিন সম্ভবত এই সহজ বিষয়টি উপলব্ধি করা!

চমৎকার বলেছেন।

শুভ কামনা রইলো।

ভালো থাকবেন সবসময়।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন।++

ভাই, আপনি কিসের ছাত্র?

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ আছে।তাই ছাই ফাই লেখার এই অপপ্রয়াস!

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ও, ভাবতেছিলাম পদার্থ টাইপ কিছু নাকি...

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০৬

জেন রসি বলেছেন: পদার্থ আমার প্রিয় বিষয়।বিশেষ করে মহাজগতিক বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ আছে।

যদিও এই ব্যাপারে আমি অপদার্থ..........

হা হা হা.......

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
এই ব্যাপারে আমিও কোন প্রকার সন্দেহ প্রকাশ করতেছিনা। :| :|

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০১

জেন রসি বলেছেন: সন্দেহ প্রকাশ করেন নাই দেইখা আনন্দিত হলাম ;)

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

জাফরুল মবীন বলেছেন: বহমান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় প্রচলিত বিশ্বাস।সত্য খুঁজে ফেরা মানুষ মিথ্যা থেকে ক্রমশ অমিথ্যার দিকে যেতে থাকে। -অর্থবহ কথা।

ভালো লাগল লেখাটি।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকবেন।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লাগা পরশন গুলো আগেই অনেকে কোট করেছে তাই বলবো সিমপ্লি আউটস্ট্যান্ডিং।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

জেন রসি বলেছেন: রাজপুত্রের আগমনে আনন্দিত হলাম।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকবেন।

১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানুষ এবং দেশের মত নেতাদের মনোভাবটাও পাল্টে যেত। তাহলে আর ভুতের মত পিছনে না হেটে এগিয়ে যেতাম অনেকটা।।
ছোট্ট শ্রীলংকা এতগুলি বছর গৃহযুদ্ধের পরও হার না মেনে তা করে দেখিয়েছে।।
আর বিশ্বাসই আমাদের ধ্বংশের কারন।।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

জেন রসি বলেছেন: বলেছেন: অযৌক্তিক বিশ্বাস বিকাশের পথকে রুদ্ধ করে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকবেন।

১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

শায়মা বলেছেন: এত কঠিন সব চিন্তা ভাবনা!গেছি!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

জেন রসি বলেছেন: কঠিন চিন্তা ভাবনা করে অমিথ্যার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা!!!

১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: যে টুকু সময় নিয়ে পড়েছি ভেবেছি তার চেয়ে দশগুণ।। +++

সত্য খুঁজে ফেরা মানুষ মিথ্যা থেকে ক্রমশ অমিথ্যার দিকে যেতে থাকে

---
তবে সবশেষে সেই কথাটাই ফিরে ফিরে আসে---
" সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে" (চলে গেছে অল রেডি)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

জেন রসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকবেন।

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন:
জেন রসি ,



“মনের চোখ দিয়ে আমি ঈশ্বরকে দেখেছিলাম।
আমি জানতে চেয়েছিলামঃ কে তুমি!
সে উত্তর দিয়েছিলঃ তুমি!

সুফী দর্শনে জীব ব্রক্ষ্মারই অংশ । ব্রক্ষ্মার মধ্যে লীন হওয়াই তার প্রধান আরাধ্য ।
উপনিষদে এই একই বক্তব্যকে এভাবে বলা হয়েছে – সব কিছুই একের মধ্যে নিমজ্জিত এবং সেই হলেন ঈশ্বর ।
৮০০ খৃষ্টাব্দের দিককালের সুফি সাধক মনসুর আল হালাজ ( হুল্লাজ ) এর সময়কালের শাসকগোষ্ঠীর এটা ভেবে ভীত হবারই কথা যেমনটি আপনি বলেছেন সুন্দর এই উপাখ্যানে - “.....অন্য সত্যের দিকে ধাবিত হতে পারে….” ।

দারুন মুন্সীয়ানায় দুই সহস্রাধিক কালের যোগসূত্র ঘটিয়েছেন ।

বর্ষ শেষের শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৭

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।

মৌলবাদ বিকাশের পথকে রুদ্ধ করে।

ভালো থাকবেন।

শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.