নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ দ্বৈতস্বত্বা

১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:২০


মিহির চুপচাপ বসে আছে।তার খুব ভয় হচ্ছে।আজ রাস্তায় এভাবে একজন মানুষকে মরে যেতে দেখবে এটা সে কল্পনাও করতে পারেনি।মিহির মানুষের মৃত্যু সহ্য করতে পারে না।কিন্তু তবু মিহিরকে আজ এক ভয়ংকর মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে।একজন মানুষের থ্যাঁতলানো মগজ, আর শুধু রক্ত আর রক্ত!মিহিরের ভাবনার ক্যানভাসে বারবার এই একই ছবি ফিরে ফিরে আসছে।মিহির ঘুমাতে পারছে না।খেতে বসলেই মনে হচ্ছে তার সামনে মানুষের মগজ এবং রক্ত রাখা হয়েছে।মিহিরের গা গুলিয়ে বমি আসে।ছোটকাল থেকেই সামান্য হাত পা কেটে রক্ত বের হলে মিহির ভয়ে অস্থির হয়ে যেত।

মিহির যখন ছোট ছিল, তখন মিহিরকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য তার সমবয়সী একটি ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।ছেলেটি খুব ডানপিটে ছিল।বকর নামের ছেলেটিকে দেখে মিহিরের প্রায়ই মনে হত সে যদি মিহির না হয়ে বকর হত তাহলে খুব ভালো হত।বকরের মধ্যে ভয় বলে কিছু ছিল না।যা কিছু দেখে মিহির আতংকে অস্থির হয়ে যেত, বকর তা হেসেই উড়িয়ে দিত।

বকরের সঙ খুব বেশীদিন পাওয়া হয়নি মিহিরের।এক ঘোর অমাবস্যার রাতে কোন এক রহস্যময় কারনে বাসার ছাদ থেকে পড়ে মারা যায় বকর।তারপর কিছুদিন পুলিস তদন্ত করে।কিন্তু হঠাৎ করে একদিন সব তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়।সবাই এমন আচরন করতে থাকে যেন বকরের মৃত্যু খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।বাসার ছাদ থেকে পড়ে মরে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।


আজ এমন দিনে মন খারাপ করে বসে থাকার কোন মানে হয় না।আজ উৎসবের দিন।যদিও উৎসবের দিনে সবাইকে উৎসব করতে হবে এমন কোন কথা নেই।কিছু কিছু উৎসব থাকে যা হারানো এবং পাওয়ার অনন্দময় বেদনায় মানুষকে ডুবিয়ে দেয়।নিশির জন্য তেমনি এক উৎসবের দিন আজ।আজ নিশির বিয়ে।

বিয়েটা করেই ফেলবে নাকি বিয়ের আগে পালিয়ে যাবে এই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিশি এখনও নিতে পারেনি।অনেক দিন ধরে মিহিরের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না।ছেলেটা মরে গেছে না বেঁচে আছে তাও নিশি জানে না।নিশির খুব ইচ্ছে করছে মিহিরকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যেতে।কিন্তু মিহির একাই বোধহয় তাকে ফেলে অনেক দূরে চলে গেছে যার খোঁজ নিশি কখনও পাবে না।নিশির মনে হয় জীবনটা খুব অদ্ভুত।

নিশির সাথে একটি ছেলের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।সেটাকে ভালোবাসাও বলা যেতে পারে।নিশি তার ভালোবাসার অনুভূতিগুলোকে অন্য সবার মত প্রকাশ করতে পারে না।তবে ছেলেটির মধ্যে কিছু বিচিত্র ব্যাপার ছিল যা নিশির কাছে রহস্যময় মনে হত।যেমন তার নাম ছিল বকর।এই যুগে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের কোন ছেলের নাম বকর হতে পারে, এটা নিশি কখনই ভাবতে পারেনি।বকর কোন কিছুকেই পরোয়া করত না।নিশির মনে হত ভয় নামক কোন অনুভূতি বকরের মাঝে কাজ করেনা।

নিজের প্রতিও বকরের খুব একটা মায়া ছিল না।একবার রাস্তায় কিছু ছেলে নিশিকে টিজ করেছিল।বকর সেই বখাটে ছেলেগুলোর সাথে মারামারি করে মাথা ফাটিয়ে ফেলল।ওরা আরেকটু হলে বকরকে মেরেই ফেলত। কিন্তু সে কখনই এসব পরোয়া করত না। বকরের এই বেপোয়ারা মনোভাব দেখেই নিশি তার প্রেমে পরেছিল।বকরের মাঝে সে এক বন্য জীবনের সন্ধান পেয়েছিল, যা তাকে শিহরিত করত।তারপর আরো পরে মিহিরের সাথে নিশির পরিচয় হয়।সেটাকে নিশির জীবনে ঘটে যাওয়া একটা দুর্ঘটনাও বলা যেতে পারে।


বকরের মেজাজ খারাপ।একজনকে খুন করতে ইচ্ছে করছে।এই ইচ্ছাটা বকরের প্রায়ই হয়।কোন এক রহস্যময় ময় কারনে মানুষকে যন্ত্রণা দিয়ে বকর এক ধরনের অমানুষিক আনন্দ পায়।তবে সব ধরনের মানুষকে নয়।যেমন সেদিন এক সদ্য যুবকে পরিণত হওয়া একজনকে বকর খুব পিটিয়েছিল।ছেলেটি বাবার বয়সী এক রিক্সা চালককে অবলীলায় থাপ্পর মেরে বসে।যেন কোন মানুষ নয়, গরু ছাগলকে মারছে।বকরও ছেলেটিকে গরু ছাগল মনে করেই পিটিয়েছিল।আশেপাশের লোকজন না থামালে হয়তোবা মেরেই ফেলত।
বকরের মনে হয় মৃত্যুর খুব কাছাকাছি যখন একজন মানুষ যেতে পারে তখন সে জীবনকে খুব ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারে।কারন মানুষ মরে যাবে বলেই হয়তো জীবন এত রহস্যময় এবং সুন্দর।কোন মানুষই তৃপ্তির ঢেকুড় তুলে মরে না।কিছু না কিছু অতৃপ্তি সবার মধ্যেই থেকে যায়।বকর ভাবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় অতৃপ্তি কি, যার জন্য মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তার তীব্র ভাবে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হবে।

জীবনের অতৃপ্তির কথা ভাবতেই তার নিশির কথা মনে হয়।নিশির শান্ত গভীর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে বকরের খুব ভালো লাগত।আজো বকরের যখন খুব অস্থির লাগে তখন সে নিশির সেই চোখ জোড়া খুঁজে ফিরে।কিন্তু বকর জানে যা একবার হারিয়ে যায় তা আর ফিরে আসে না।ফিরে হয়তোবা আসে, কিন্তু ফিরে আসে তার অশরীরী রুপ নিয়ে মানুষের স্মৃতিতে।তীব্র ভাবে চেষ্টা করেও মানুষ যাকে আঁকড়ে ধরতে পারে না।


বেঁচে থাকার মূল্য মিহিরকে প্রতিনিয়ত দিতে হচ্ছে।যা কিছু করতে তার ভালো লাগে না তাই তাকে করতে হয়।যেমন আজকে একটি অপছন্দের কাজ তাকে করতে হবে।মনরগ বিশেষজ্ঞ আনোয়ার হোসেনের সাথে তাকে দেখা করতে হবে।অনেকদিন ধরেই আনোয়ার হোসেন মিহিরের চিকিৎসা করছে।আনয়ার হোসেন মিহিরের মনের অন্ধকার জগতকে আলোয় নিয়ে আসতে চাচ্ছেন।কিন্তু মিহিরের অন্ধকার জগতে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলে খুব ভয় হয় তার।কেমন যেন অস্থির লাগে।তখন শুধু বকরের কথা মনে হয়।

বকরকে ভুলে থাকার যতই চেষ্টা করে মিহির ততই বকর যেন আরো শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরে মিহিরকে।তখন শুধু এক রাতের স্মৃতি তার মাথায় এসে ভর করে।একটি ঘটে যাওয়া দৃশ্য বারবার তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।সেদিন ছিল ঘোর অমাবস্যা।বাসার ছাদে মিহির এবং বকর ঘুরে বেড়াচ্ছিল।মিহির ভয়ে ছাদের রেলিং এর কাছে যাচ্ছিল না।তাই দেখে বকর তাচ্ছিল্লের হাসি হাসছিল।ডানপিটে বকর ছাদের প্রাচীর ধরে হাঁটছিল।হতাত কোন এক অদৃশ্য হাতের ধাক্কায় বকর ছাদ থেকে পড়ে যায়।আনোয়ার হোসেনের ধারনা সেই অদৃশ্য হাতটি মিহিরের ছিল।


আজ বকরের জন্মদিন।এমন এক দিনেই বছর দুয়েক আগে মিহিরের সাথে দেখা হয়েছিল নিশির।বকরের জন্মদিনে বকরকে নিজের ভালোবাসার অনুভূতির কথা জানাবে বলে ঠিক করেছিল নিশি।কিন্তু হঠাৎ করেই কয়েকদিন ধরে বকরের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।বকর নিশিকে তার বাসার ঠিকানা দেয়নি।বকরের বন্ধুও তেমন একটা ছিল না, যাদের কাছে তার খোঁজ পাওয়া যায়।কিন্তু প্রকৃতি যেন কোন এক বিশেষ কারনে চাচ্ছিল নিশির সাথে মিহিরের দেখা হোক।তাই বকরের জন্মদিনের দিন বকরকে নিজের বাসার সামনের গলিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রথমে এক আনন্দের শিহরন হয় নিশির।কিন্তু তারপরই মিহিরের মুখোমুখি হয় নিশি।

নিশিকে দেখে কেমন যেন ভয় পায় বকর।নিশিও বকরের এই বিব্রত ক্লান্ত চেহারা দেখে অবাক হয়।বকর নিশিকে চিনতে পারে না।বলে সে বকর নয়, সে মিহির।তারপর অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নিশির কাছে আসে।তারপর বলে যায় মিহির কিংবা বকরের গল্প।মিহির এবং বকর একই মানুষের দুইটি ভিন্ন স্বত্বা।বকর এবং মিহির কেউ কারো সাথে পরিচিত নয়।


বকর ছাদের প্রাচীরের উপর হাঁটছে।অমাবস্যার রাত।চারপাশ খুব একটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না।বকর অপেক্ষায় আছে।কোন একটি অদৃশ্য হাতের স্পর্শের অন্তহীন অপেক্ষা।






মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দুই ধরনের সত্তা হইতে পারে, কিন্তু চেহারায় কোন মিল নিশি ক্যান ধরতে পারেনাই? এই জায়গাটা দুর্বল মনে হইলো।

এমনিতে গল্পের প্লট ভালো। ভালো হইছে। অন্যের বর্ননায় না আইসা নিজেদের বর্ননায় আসলে ভালো হইতো মনে হয়।

১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

জেন রসি বলেছেন: নিশির পরিচয় ছিল বকরের সাথে। মিহির স্বত্বাকে সে পরে আবিষ্কার করে।

এইটাও একটা এক্সপেরিমেন্টাল গল্প লেখার চেষ্টা।

২| ১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অদুরে থাইকা কে বইলা যায়?

১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

জেন রসি বলেছেন: অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন মিহির কিংবা বকরকে চিনে। সে নিশিকে দ্বৈতস্বত্বার ব্যাপারটা জানায়।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্পের প্লট ভালই ছিল, কিন্তু আমার মত দুর্বল পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। লেখাটাকে একটু অগোছালো মনে হয়েছে, বকর আর মিহির যে পৃথক সত্ত্বা নয় এটা কিছুটা আড়ালের চেষ্টা পুরো গল্পটাকে একটু দুর্বোধ্য করেছে বলে আমার ধারণা। গল্পের শেষে এসে দ্বৈতসত্ত্বা'র পরিচয় দেয়ার ইচ্ছা কি কাজ করেছে?

ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান বিশ্লেষণের জন্য। আপনি দুর্বল পাঠক না।অনেক সবল পাঠক। আমি লেখা নিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। গল্পের শেষে এসে দ্বৈতসত্ত্বা'র পরিচয় দেয়ার ইচ্ছা কাজ করেছে। এটি একটি বড় গল্পের ছোট রূপ। ছোট করে পোষ্ট করেছি। তাই একটু অগোছালো হতে পারে।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইল।

৪| ১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

রিকি বলেছেন: মিহিরের মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার ছিল তাইতো...? ভীতু সত্ত্বাকে থিতু করার জন্য সে নিজেরই আরেকটা violent সত্ত্বা তৈরী করে. ভয় পেয়েছি গল্প পড়ে ঘিলু ঘিলু ফটাং....তবে ভাইয়ের লেখার প্রতি ভালো লাগা রইল ;)

১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জেন রসি বলেছেন: মিহিরের মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার ছিল। যারা নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না কিংবা গুটিয়ে থাকে তাদের মধ্যে অনেক সময় দ্বৈতসত্ত্বা কাজ করা শুরু করে। আপনার বিষয় কি সাইকোলজি ছিল নাকি? মিহিরের চরিত্রের চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য আনন্দিত হলাম।ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সুমন কর বলেছেন: অামার মতে, গল্পে আরো একটু সময় দেবার দরকার ছিল। প্লট ভালোই ছিল।

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:০২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা মূল্যবান মতামতের জন্য। গল্পটি অনেক বড় ছিল। ছোট করে ফেলেছি। ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জেন রসি বলেছেন: মিহিরের মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার ছিল। যারা নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না কিংবা গুটিয়ে থাকে তাদের মধ্যে অনেক সময় দ্বৈতসত্ত্বা কাজ করা শুরু করে। আপনার বিষয় কি সাইকোলজি ছিল নাকি? মিহিরের চরিত্রের চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য আনন্দিত হলাম।ভালো থাকুন সবসময়।

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:০৬

জেন রসি বলেছেন: এইটা রিকি আপুর মন্তব্যের উত্তর। দুইবার চলে এসেছে। এখন মুছে ফেলা যাচ্ছে না। মেধাবী তারা মনে হয় ভালোই খেলা দেখাইছে। ;)

৭| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩১

রিকি বলেছেন: না ভাই সাইকোলজি আমার প্রতিবেশী দেশ ছিল....ওরা আরোহ এবং অবরোহ তত্ত্ব নিয়ে বেশি মাথা ঘামায়...ডিসঅর্ডারের এই ব্যাপারগুলো Clinical Psychology র অংশ যতটুকু আমি শুনেছি আমার ডাক্তার বন্ধুদের কাছে! আর সিডনি শেলডনের একটা অত্যন্ত পছন্দের বই আছে আমার 'টেল মি ইয়োর ড্রিমস'....ব্যাখ্যাগুলো সেইখানেই প্রথম দেখেছি...আমার কেন জানি মনে হচ্ছে বইটা আপনার পড়া রয়েছে probably...আর যদি পড়া না থাকে, পড়ে দেখতে পারেন...পুরোই ঘিলু ফটাং ফটাং বই--human character মিস্ট্রির এক চরম ট্রিট !

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

জেন রসি বলেছেন: ঘিলু ফটাং ফটাং উপমাটা ভালো হয়েছে। আরোহ এবং অবরোহ তত্ত্ব নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর দরকার আছে। সিডনি শেলডনের অনেকগুলো বই পড়েছি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে Windmills of the Gods।

৮| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: তামিল একটা মুভি দেখছিলাম এই ব্যাপার নিয়া। নাম জানিনা। আমি তামিল মুভিও ভালো পাই। আমার লিস্টে অপছন্দের কোন মুভি নাই। সবই ভাল্লাগে।

বিখ্যাত মনিষী এরিসপ্লেটো দ্বৈতসত্ত্বার জ্বাজল্যমান উদাহরন। ;)

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা........

দ্বৈতসত্ত্বা আমাদের সবার মধ্যেই আছে।

এক মহান দার্শনিক প্রশ্ন রেখেছিলেন তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা?

আমাদের ঘরে আসলে অনেকেই বসত করে।

৯| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

রিকি বলেছেন: আপনার এই গল্প দেখেই ধরে ফেলেছি...সিডনি শেলডন লুকিয়ে রয়েছে! ;)

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৬

জেন রসি বলেছেন: সিডনি শেলডন মনের ডার্ক সাইড নিয়ে কাজ করে।

উনার নিজেরও কিছু সমস্যা ছিল।

The Other Side of Me পইড়া দেইখেন।

তবে এই গল্প শেলডন দ্বারা অনুপ্রাণিত নয়।

এইটা একটা বড় গল্পের অংশ।

বড়টা একটু ধোঁয়াশাময়। তাই ছোট করে দিলাম।

১০| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০১

রিকি বলেছেন: @শতদ্রু ভাই: Why this Kolabari D... '3' এর কথা বলছেন মনে হয়...BIPOLAR DISORDER....দুইটা সত্ত্বার মারামারি...দুইটা মাথার WWF খেলা...! ;)

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১০

জেন রসি বলেছেন: সাবধান!
এরিসপ্লেটো দ্বৈতসত্ত্বা নিয়ে হাজির হইতে পারে! ;)

তখন কিন্তু দুইটা মাথার WWF খেলা শুরু হইব।

BIPOLAR DISORDER ও হইতে পারে! ;)

১১| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: না, এইটা না মনে হয় রিকি ভাইয়া। এইট দেখিনাই।

ইহার কথা বলছি,

https://en.wikipedia.org/wiki/Anniyan

প্লট পড়লেই বুঝবেন।

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩২

জেন রসি বলেছেন: এই বিষয় নিয়া সবচেয়ে ভালো মুভি হইছে A Beautiful Mind।

যদিও সেটা Hallucination নিয়ে।

১২| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৬

রিকি বলেছেন: The Other side of me পড়া হয়নি....তার নাকি suicidal tendency অত্যন্ত বেশি ছিল...গল্পটার সাথে মিল বলিনি, বলেছি আপনার সেই সিডনি শেলডনের ডার্ক থিমের কথা... :) লোকটাকে আমার ভাল লাগে সেই I Dream of Jinnie দেখার পর থেকে.

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

জেন রসি বলেছেন: সে অনেকবার চেষ্টা করেছিল!

ডার্ক থিম নিয়ে আগ্রহ থাকলে Hannibal TV series দেখতে পারেন।

আমার কাছে ভালো লেগেছে।

১৩| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৬

রিকি বলেছেন: @শতদ্রু ভাই: Oops আপনার টা তাহলে দেখি নাই... :( @জেন রসি ভাই: এরিসপ্লেটো ভাইয়ের BIPOLAR কোনভাবেই নাই.....কিন্তু তার দর্শনে Borderline Personality Disorder হয়ে যায়...! ;) বাছা সময় গেলে বুঝবে...আমায় তুমি খুঁজবে... :D :D

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪১

জেন রসি বলেছেন: Borderline Personality Disorder !!!

হা হা হা........

মজা পাইলাম।



১৪| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: রসি ভাই, জলিল ভাই এইসব নিয়া কোন মুভি বানায়নাই? আমি হালকা কঠিন হইলেই অনেককিছু বুঝতে ব্যর্থ হই। ঘাসফুল লতা পাতা ছাইড়া ক্যাকটাস অর্কিডের নাম শুনলেই হারাইয়া যাই।

সিম্পল মানুষ, সাধারন জ্ঞানবুদ্ধি।:(

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

জেন রসি বলেছেন: জলিল ভাই বানাইয়্যা ফেলবে। অসম্ভবকে সম্ভব করাই উনার কাজ!

জ্ঞানবুদ্ধি সাধারন হওয়াই ভালো। অসাধারন হইলে আবার দ্বৈত স্বত্বা দেখা দিতে পারে!

আমিও সিম্পল মানুষ, সাধারন জ্ঞানবুদ্ধি।

১৫| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: রিকি ভাইয়ার মেজাজ কইলাম সীমানা পিলারের দুই পাশে দুই পা দিয়াই থাকে, কোনদিকে যাবে কোন ভরসা নাই। কারো কোন দোষও নাই। ;)

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২২

জেন রসি বলেছেন: আপনারা দুইজন সীমানা চুক্তি করতে পারেন।

Borderline Personality Disorder নিয়া অলোচনায় বসতে পারেন।

তবে সবচেয়ে ভালো হয় বর্ডারলেস হয়ে গেলে।

মাথাও নাই, চিন্তাও নাই।;)

১৬| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: মাথাই ফালাইয়া দিবেন রসি ভাই? দেহ থাকবে কিন্তু চেহারা থাকবেনা!! ভুতও তো হইতে দিবেন না, অদ্ভুত বানাইয়া দিবেন?

আগে রিকি ভাইয়ের কল্লা ফালানো হোক, উনি সীমান্ত নিয়া সংকটে আছেন। ;)

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৮

জেন রসি বলেছেন: কল্লা ফালানো নিয়া দুইজন আলোচনায় বসেন। ভারত আর বাংলাদেশের মত চুক্তি হইলে হবে না। সমানে সমান চুক্তি হইতে হবে। ;)

১৭| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগা। অনেক।

আশাবাদ, বাংলা সাহিত্যের বাঁক বদলে দেবেন আপনারা।

অনিঃশেষ শুভকামনা।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩২

জেন রসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা।

সাহিত্যের বাঁক বদলানোর অনেক জ্ঞানী গুণীর কাজ।

আমি নিজের আনন্দের জন্য যা মনে আসে তাই লিখে ফেলি।

অনিঃশেষ শুভকামনা।

ভালো থাকবেন সবসময়।

১৮| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

রিকি বলেছেন: @জেন রসি ভাই: হ্যানিবাল 2 টা সিজন কব্বে দেখে ফেলেছি ভাই...এখন 3 নম্বর সিজন ডাউনলোড চলছে...আমার আবার হ্যানি ভাইয়ের আর্টিস্টিক কারসাজি একটা একটা পর্ব দেখে পোষায় না! ;) @শতদ্রু ভাই: ভাই মাফ করেন, কল্লা ফেলেন না...কল্লা গেলে হল্লা করমু কিভাবে! :(

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

জেন রসি বলেছেন: 3 নম্বর সিজনের জন্য আমিও আগ্রহ নিয়া অপেক্ষা করতেছি।

হ্যানি ভাই কেমনে ধরা খাবে এইটা নিয়া আগ্রহ আছে।

কল্লা ছাড়া হল্লা কইরা দেখতে পারেন। এক্সপেরিমেন্ট! ;)

১৯| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মৃত্যুর খুব কাছাকাছি যখন একজন মানুষ যেতে পারে তখন সে জীবনকে খুব ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারেবড্ড কঠিন একটা সত্যি কথা বলেছেন।। তবে গল্পটি ঠিক আমার বোধগম্যের বাহিরে।।
আসলে মিহির আর বকর কি একই চরিত্র,প্রয়োজনের তাগিদে পাল্টেছে??

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

জেন রসি বলেছেন: গল্পটি একই চরিত্রের দুটি ভিন্ন স্বত্বা নিয়ে। মিহির আর বকর একই চরিত্র। মিহিরের মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার থেকে বকরের সৃষ্টি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ার জন্য।

ভালো থাকুন সবসময়।

২০| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:২৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: রসি ভাই ইদানিং এক্সপেরিমেন্টের দিকে ঝুইকা পরছেন দেখি। কাহিনী ভালো, নেক্সট ইয়ার প্রথম আলো সাহিত্য পুরস্কার অগ্রীম আপনের। ;)

হ্যাপী ভাইয়ের কমেন্টের সুত্রে মনে হইলো এইটা কঠিন সত্য কথা না। নির্ভেজাল সত্য। ক্লিনিকালি ডেড ঘোষনা কইরা দিছিলো আমারে, আর এখন আমি ব্লগাই। ব্যাপারটা আসলে উপভোগেরও না, উপলব্দহির মনে হয়। অনেক ধারনা চেঞ্জ হইয়া যায় লাইফ সম্পর্কিত।

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৫০

জেন রসি বলেছেন: এক্সপেরিমেন্ট আমি সবসময় করি। প্রথম আলোর কুনজরে পইরা নিজের আনন্দ বিসর্জন দেওয়ার ইচ্ছা নাই।;)

কি হয়েছিল আপনার?

নবজন্ম যেহেতু পেয়েছেন, বাকি জীবন উপভোগ করুন।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।

এবার নিজের মত করে বেঁচে থাকুন।

অনেক অনেক ভালো থাকুন সবসময়।

২১| ১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: মস্তিস্কে শক খাইছিলাম। মাসতিনেক পর জ্ঞান ফিরছিলো। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার ছিলো চোখে প্রায় কিছুই দেখতামনা। অন্যান্য সমস্যা তো ছিলোই।

১৩ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

জেন রসি বলেছেন: এখন ভালো আছেন এটাই জরুরী খবর।

বেঁচে থাকার প্রতিটি পদক্ষেপ অনুভব করুন।

২২| ১৩ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

নীলনীলপরী বলেছেন: দ্বৈতস্বত্বা চমৎকার।

১৩ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ নীলনীলপরী আপু।

ভালো থাকুন সবসময়।

২৩| ১৩ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা জিনিস লক্ষ করলাম, আপনার লেখায় সর্বনামের ব্যবহার নেই বললেই চলে| গল্পে দেখা যাচ্ছে একঘেয়েমিভাবে মিহির মিহির মিহির বকর বকর বকর নিশি নিশি নিশি| এটা লেখার মান কমায়| তৃপ্তি পায় না পাঠক| আমিও পাইনি| এত অল্প জায়গায় এত সুন্দর একটা প্লট কুলিয়ে উঠতে পারেনি

১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

জেন রসি বলেছেন: অসংগতিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পর্যালোচনা আমার লেখার মান বৃদ্ধিতে অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এটি একটি বড় গল্পের ছোট অংশ। তাই হয়তোবা অল্প জায়গায় কুলিয়ে উঠতে পারেনি।

ভালো থাকুন সবসময়।

২৪| ১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: দ্বৈতসত্ত্বা নিয়ে এত বেশি লেখা হয়েছে যে এর গৎ থেকে বের হওয়া কঠিন। তবে আপনার গল্পটা উৎরে গেছে।

১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।এই বিষয় নিয়ে আসলেই অনেক লেখা হয়েছে। এভাবেই হয়তোবা একটা গৎ বাঁধা নিয়ম দাঁড়িয়ে গেছে। আমার গল্পটা উৎরে গেছে শুনে খুবই আনন্দিত হলাম।

ভালো থাকুন সবসময়।

২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সংক্ষিপ্ত পরিসরে আমি এরকম একটা গল্প লেখার কথা ভাবতেই পারি না।
আমাদের সবার মাঝেই আমি বিশ্বাস করি একধিক সত্ত্বা বাস করে এবং এক সত্ত্বাকে আরেক সত্ত্বার কাছ থেকে সযতনে গোপন রাখতেই পছন্দ করি।
ভালো লেগেছে আপনার লেখা পড়তে

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.