নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ধাঁধা

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১




সময়ের গান

যেকোনো মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে। আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে। কিন্তু মুগ্ধকে আজ ঘরে বসে থাকলে চলবেনা। অথবা বলা যেতে পারে মৃত্যু কিংবা জীবনের মধ্যে কিছু একটা বেছে নিতে হলে তাকে আজ এক সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।

মুগ্ধকে এককথায় কি বলা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যেমন আজকাল মানুষকে শুধু মানুষ বললে অনেক কিছুই অপ্রকাশিত থেকে যায়।ধরা যাক যদি বলা হয় এই মানুষটি ডাক্তার কিংবা গবেষক কিংবা অন্যকিছু তবে কিছুটা হলেও তাকে ডিফাইন করা যায়। লোকটি ধনী কিংবা গরীব এমন বিশেষণ দিয়েও একজন মানুষ সম্পর্কে জেনে ফেলা যায়। তেমন ভাবে আমরা যদি মুগ্ধকে ডিফাইন করতে চাই তবে বলতে হবে সে একজন গবেষক। যদি আরেকটু গভীর ভাবে তাকে বুঝতে চাই তবে অবশ্যই জানতে হবে সে আসলে কি নিয়ে গবেষণা করে! সে অনুভূতি নিয়ে গবেষণা করে। সে মানুষের অনুভূতিগুলোকে বিশ্লেষণ করে একটা চিরাচরিত ধাঁধার উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে। কি সে ধাঁধা? তা আমরা গল্পের শেষে জেনে যাব! তবে ধাঁধার উত্তর পাওয়া যাবে কিনা, তা এখনো বলা যাচ্ছে না!

মুগ্ধকে আজ একজনের সাথে দেখা করতে হবে। যার সাথে দেখা করার জন্য মুগ্ধ অনেক বছর ধরে অপেক্ষা করছে। কিন্তু কিছুতেই তার অনুমতি পাচ্ছিল না। অবশেষে মুগ্ধের ডাক এসেছে। আজ তার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। তবে তার সাথে দেখা করার আগে মুগ্ধকে কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে। মুগ্ধ চোখ বুজে শান্ত ভাবে তার চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

আরাধনা

কয়েকজন মানুষ জানু পেতে বসে আছে। তারা জানে তাদের এভাবেই বসে থাকতে হবে। তাদেরকে তেমনটাই করতে বলা হয়েছে। এসব মানুষ জন্মের পর থেকেই দুটো জিনিস বুঝতে শিখেছে। এক হচ্ছে শক্তির প্রকাশ এবং অপরটি হচ্ছে শক্তির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ। তাই যারা দুর্বল তাদের উপর আঘাত হানতে হবে। যারা শক্তির উৎস তাদের আরাধনা করতে হবে। যা কিছু জানার বাইরে, ধরাছোঁয়ার বাইরে তাই শক্তি। সেই শক্তিকে কিছু একটা উৎসর্গ করার আয়োজন চলছে।

একটি মানব শিশুকে আজ বলি দেওয়া হবে। কারন কেউ একজন তাতে তুষ্ট হবে। সেই কেউটা কে তা কেউ জানেনা। কিন্তু সবাই অনুমান করতে পারে। অনুভব করতে পারে। যখন তীব্র ঝড়ে সব ধ্বংস হয়ে যায় তখন তারা তাকে অনুভব করে। যখন কোন রোগে হাজার হাজার মানুষ মারা যায় তখনও তারা সেই কেউ একজনের কাছেই আকুল আবেদন জানায়। সেই অসীম শক্তির প্রতি নিজেদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস উৎসর্গ করতে চায়। আর মানব শিশুর চাইতে প্রিয় মানবের কাছে আর কি হতে পারে।

কিন্তু শিশুর মা কিছুতেই তার সন্তানকে বলি দিতে দিবেনা। তার মধ্যে পরম শক্তির উৎস নিয়ে কোন ভয় কাজ করছেনা। তার মধ্যে নিজের সন্তানের প্রতি তীব্র ভালোবাসা কাজ করছে। যেকোনো উপায়ে সে তার শিশুকে বাঁচাতে চায়। এতে যদি সেই পরম সত্ত্বা রেগে গিয়ে দুনিয়া ধ্বংস করে দেয় তাতেও তার কিছু যায় আসেনা। কিন্তু গতবার যখন আরেকজনের সন্তানকে বলি দেওয়া হয়েছিল তখন তার কাছে এমন কিছু মনে হয়নি।


একজন দার্শনিকের ভাবনা

ভালোবাসা এবং নিষ্ঠুরতা একে অপরের হাত ধরে চলে। মাঝেমাঝে ভালোবাসা থেকে নিষ্ঠুরতাকে আলাদা করা যায়না। যেমন একজন মা ভালোবেসে তার সন্তানকে সব কিছু অগ্রাহ্য করে বাঁচাতে চাচ্ছে। আবার কিছু মানুষ নিষ্ঠুর ভাবে তাকে হত্যা করতে চাচ্ছে। কিন্তু কেন চাচ্ছে? কারন তারা ভয় পাচ্ছে। তারা এক অজানা শক্তিকে ভয় পাচ্ছে। ভয়ের কারন তাদের উপর অভিশাপ আসতে পারে। তারা সেই ধ্বংসের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাচ্ছে। কারন তারা নিজেদের জীবনকে খুব ভালোবাসে! তাদের নিষ্ঠুরতার উৎস তাদের ভালোবাসা।

জাদু এবং লীলা

সব মানুষ একরকম না। মানুষদের মধ্যে কেউ শক্তিশালী কেউ কম শক্তিশালী। স্বজাতি হলেও সবাই পরম সত্ত্বার প্রতিনিধিত্ব করেনা। যারা করে তাদেরকেই মেনে চলতে হবে। তাই আজ অনেক মানুষ সেই শক্তির প্রকাশ দেখতে এসেছে। একজন মানুষকে আজ জাদু দিয়ে সাপে পরিনত করা হবে। কিন্তু সাধারন মানুষ অন্য আরেকটি ব্যাপার নিয়েও বেশ চিন্তিত। নতুন এক লোক এসেছে তাদের মাঝে। সে এসব জাদু দেখানো ক্ষমতাধরদের ভয় পায়না। সে সম্পূর্ণ নতুন কথা বলছে। সে বলছে সব ক্ষমতা নিয়ে আসলে একজনই বসে আছেন। সব জাদু দেখানোর ক্ষমতা শুধু তারই। যেসব মানুষ জাদু দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছে তারা আসলে সেই পরম সত্ত্বার বিরোধিতাই করছে। এবং এ জন্য তাদের কঠিন পরিনাম ভোগ করতে হবে।

একজন ক্ষুধার্ত মানুষ সেখানে শুয়ে ছিল। সে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিল। জাদু দেখিয়ে কে কাকে নিয়ন্ত্রন করছে কিংবা পরম সত্ত্বা কে-এসব নিয়ে সে চিন্তিত ছিল না। তবে তার সামনে হঠাৎ করে কিছু খাওয়া চলে আসবে এই চিন্তাটা করতে বেশ ভালো লাগছে। এই জাদুর স্বপ্নটা সে বাঁচার আকাঙ্ক্ষা থেকেই দেখছে। কারন সবকিছু অগ্রাহ্য করে সে আসলে বাঁচতে চাচ্ছে। প্রবলভাবেই চাচ্ছে।

একজনের মনে জেগে ওঠা কিছু প্রশ্ন থেকে

এ কেমন জাদুর খেলা যা এক ক্ষুধার্থ মানুষকে খাবার দিতে পারেনা? মানুষ কি তবে শুধু অন্য মানুষকে ভয় দেখাতে কিংবা বশ্যতা স্বীকার করানোর জন্যই জাদু দেখায়! আর যে পরম স্বত্বার এক এবং অদ্বিতীয় জাদুর কথা বলা হচ্ছে তা কি শুধুই ভয় দেখানোর খেলা? ভয় এবং ক্ষমতা একে অপরের পরিপূরক। কিছু মানুষের ভয় হচ্ছে কিছু মানুষের ক্ষমতার উৎস!


তোমাদের জন্য ভালোবাসা

মানুষকে ভালোবাসাই নাকি মুক্তির একমাত্র উপায়। এমন এক অদ্ভুত ব্যাপার নিয়ে এক অদ্ভুত মানুষ অনেকদিন থেকেই নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সে বলেছে এমন এক পরম স্বত্বার কথা যে নাকি মানুষকে ভালোবাসতে বলেছে। কিন্তু তাকে এই ষড়যন্ত্রের জন্য আজ হত্যা করা হবে। তাই প্রচুর মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে তার হত্যা দৃশ্য দেখতে এসেছে। তাদের কারো মধ্যেই ভালোবাসা দেখা যাচ্ছেনা। বরং তাদের অতীত বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার এক তীব্র নিষ্ঠুরতাই তাদের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে।

সেখানে এক হাতকাটা লোক বসে আছে। অনেক আগে মিথ্যা চুরির অভিযোগে তার দুইহাত কেটে দেওয়া হয়। সে খুব নির্লিপ্তভাবেই এসব দৃশ্য দেখছে। তার জীবনে সব রকম নিষ্ঠুরতাই সে দেখে ফেলেছে। তাই ভালোবাসা, ঘৃণা নিষ্ঠুরতা এসবের কোন মানেই আজ তার কাছে নেই। তবে সে বেঁচে আছে। সে শুধু এতটুকুই জানে, এবং জানতে চায়!

একজন বাস্তববাদীর ভাবনা থেকে

ভালোবাসার জন্ম কোথা থেকে? একজন মানুষকে কারন ছাড়া ভালোবাসতে শেখানো হয়নি। কিছু কারনে মানুষ মানুষকে ভালোবাসে, আবার কিছু কারনে ঘৃণাও করে। কারন থাকলে অনুভুতিও থাকবে। কারন ভালোবাসার অস্তিত্ব থাকলে অবশ্যই ঘৃণার অস্তিত্বও থাকবে।

এক এবং অদ্বিতীয়

আজ একজনকে হত্যা করা হবে। তার দোষ তিনি নিজেকে ঈশ্বর বলেছেন। তিনি বলেছেন ঈশ্বর নাকি তার মধ্যে বাস করেন। কিন্তু তিনি অবশ্যই তা বলতে পারেন না। কারন পরম স্বত্বা প্রতিনিধি দিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছেন যে তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। একমাত্র তার আরাধনাই করতে হবে। তাই যে মানুষ নিজের মধ্যে পরম স্বত্বাকে অনুসন্ধান করবে তাকে অবশ্যই নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একজন মানুষ সেখানে দাঁড়িয়ে একমনে কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করছে। সে কি বলছে তার অর্থ সে নিজেও জানেনা। কিন্তু সে জানে এসব উচ্চারন করলে কেউ তাকে কখনো হত্যা করবেনা!


একজন অনুসন্ধানকারীর ভাবনা থেকে

সত্য এবং মতবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হলেও এক না। মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য একটা সত্য লাগে। অর্থাৎ এমনকিছু যাকে মানুষ সত্য বলে ভাবতে বাধ্য হবে। কিন্তু মানুষ তখনই বাধ্য হয় যখন সে বিশ্বাস করে কিংবা ভয় পায়। তাই যারা বিশ্বাস করেনা, তাদেরকে ভয় দেখাতে হয়। যারা ভয় পায়না তাদের হত্যা করা হয়!

চক্র

হঠাৎ করে মুগ্ধের ভাবনায় ছেদ পড়ে। অনেক সময় চলে গেছে। তাকে এখন যেতে হবে। যার কাছে সব ধাঁধার উত্তর সেই রহস্যময় স্বত্বা তাকে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন। হয়তো মুগ্ধের অনুসন্ধান দেখে তিনিও আনন্দিত হয়েছেন। তাই আজ কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি মুগ্ধকে দিবেন।

কিন্তু মুগ্ধ বুঝতে পারে কারা যেন আসছে। যারা ধাঁধার উত্তর জানতে চায়না তারা অনেকদিন ধরেই মুগ্ধকে হত্যা করার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাই মুগ্ধ আড়ালে থেকেই তার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আজ সেই রহস্যময় সত্ত্বার কাছে যাওয়ার জন্য তাকে পথে নামতেই হয়েছে। কিন্তু ওরাও এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিল। মুগ্ধ তার সামনেই ওদের দেখতে পায়।সে বুঝে ফেলে তার সময় শেষ। তাকে এখন হত্যা করা হবে। তারা কেউ ধাঁধার উত্তর জানেনা। মুগ্ধকেও জানতে দিবেনা।


অদূরে কোথাও প্রবল বৃষ্টিতে দুটি শিশু একে অপরকে আঁকড়ে ধরে বসে আছে। তাদের খুব ঠাণ্ডা লাগছে। তারা কাঁপছে। তাদের উষ্ণতা দরকার। আশ্রয় দরকার। কিন্তু তারা সেসব কিছু নিয়েই ভাবছেনা। তারা শুধু বৃষ্টি শেষ হবে বলে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।


মন্তব্য ৯৯ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৯৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: + দিয়া পড়তে বসলাম। আপনার লেখা ইউনিক স্টাইলের। এটা বেশ ভাল লাগে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

জেন রসি বলেছেন: আপনার ভালো লাগা মানেই আমার জন্য আনন্দের ব্যাপার। :)

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

জসিম বলেছেন: সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য যদি সময়ের অপেক্ষা হয়ে থাকে তাহলে সেটা পেয়ে যাবারই কথা. সেটা আপাতত ঠিক এমন মনে হলেও. অপেক্ষা তো সব কিছুতেই থাকে, আর থাকবেও. এখন যা গন্তব্য, একটু পর গন্তব্যটা যে অন্য দিকে যেতে চাইবে না বা যাবে না সেটা বশা খুবই মুশকিল. এটা হয়তো নতুন ধাঁধা!

ধন্যবাদ.

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

জেন রসি বলেছেন: ধাঁধা ছিল! ধাঁধা থাকবে। এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে মানুষ ধাঁধার মধ্যে বসবাস করতে যেমন পছন্দ করে তেমনি ধাঁধার উত্তরও সে জানতে চায়। আর এই দ্বন্দ্বটা প্রথম থেকেই চলে আসছে। তবে আপনি সম্ভবত যে অপেক্ষার কথা বলতে চেয়েছেন তা একটা অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া হতে পারে।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইলো।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

জসিম বলেছেন: বানান বড়ই আজিব সমস্যা - 'বলা'

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শেষে তো একেবারে যেন বাস্তব আক্ষেপটাই নিয়ে আসলেন। ওরা থামাতে চায়, ধাঁধাঁর উত্তর জানলে মুগ্ধ আরেকধাপ বেশি এগিয়ে চিন্তা করতে পারত। কিন্তু সেই সূযোগটি এইসব অন্ধত্ববাদীর জন্য ঠিকঠাক কাজে লাগলো যাচ্ছে না।
তবে অগ্রগতি ঢের হয়েছে এবং হবেও। কোন সন্দেহ নেই।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

জেন রসি বলেছেন: এই দুটো অংশ সব কালেই ছিল। এক পক্ষ উত্তর জানতে চায়। আরেক পক্ষ উত্তর জনতে চায়না। যারা জানতে চায়না তারা সবসময় বিশ্বাসভঙ্গের ভয়ে থাকে। এই ভয় থেকেই তারা যারা অনুসন্ধান করে তাদের থামাতে চায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসলে থামানো যায়না।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কিন্তু সেই সূযোগটি এইসব অন্ধত্ববাদীর জন্য ঠিকঠাক কাজে লাগলো যাচ্ছে না।
<
কিন্তু সেই সূযোগটি এইসব অন্ধত্ববাদীর জন্য ঠিকঠাক কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

জেন রসি বলেছেন: বুঝেছিলাম। :)

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:

"কিন্তু গতবার যখন আরেকজনের সন্তানকে বলি দেওয়া হয়েছিল তখন তার কাছে এমন কিছু মনে হয়নি। "

-কোন মা আরেক মায়ের সন্তানকে বলি দেয়ার পক্ষে ছিলো না; আপনার ভাবনায় ভুল আছে। সব মা বলি প্রথা ঠেকানোর চেস্টা করেছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

জেন রসি বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই এটা গল্প। ইতিহাস না। তাই গল্পে চরিত্রগুলো অনেকভাবেই চিন্তা করতে পারে।

তবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করেও আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। যেমন মানুষের গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন থেকেই নিজ গোষ্ঠীর প্রতি ভালোবাসার ব্যাপারটা এসেছে। একজন মা তার নিজ সন্তানকে যেমন ভালোবাসে অন্য কারো সন্তানকে তেমনটা ভালোবাসে না। কারন জেনেটিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিবর্তন থেকেই ব্যাপারগুলো এসেছে। তবে আপনার যদি এ ব্যাপারে আগ্রহ থাকে আমি আরো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে পারি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইলো।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধর অনুসন্ধানে কোন পাশ কাটানো নেইতো! বা কোন সহজ তথ্য যাকে অবহেলে পাশে ফেলে রেখেছে- ;)

ভিন্ন ষ্টাইলের ভাবনার খোরাক যোগানো গল্পে +++

পরাজয়ের মূখে গল্পের সমাপ্তিটা কেমন লাগল! বরং সত্যকে জানার পর বিদায় দিলে আরও পূর্নতা পেত বলেই আর ভাবনায় এলো :)

+++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

জেন রসি বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই, আপনি কি বলতে চেয়েছেন আমি বুঝতে পেরেছি। কারো অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া কোন ভাবেই এ গল্পের মূল উদ্দেশ্য না। তবে এটাও সত্য যখন সত্য জানার ইছা থেকে কেউ অনুসন্ধান করতে চায় তখন অনেক প্রথা ভাঙার প্রয়োজন হয়। সেইসব ইতিহাস আপনি হয়ত আমার চেয়েও ভালো জানেন।

পরাজয় ছিলনা। বরং একটা চলমান সংঘাতের চিত্র বলতে পারেন। আর পরম সত্য বলে কিছু নেই। তাই সত্য একটি আপেক্ষিক ধারনা মাত্র। ;)

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইলো।

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিদ্রোহী ভাইয়ের শেষের কথার সাথে দ্বিমত। আর চাঁদগাজী ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে হাঃহাঃপঃগেঃ =p~

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

জেন রসি বলেছেন: দুজনকেই আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করে উত্তর দিয়েছি। আর চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে আমি যেকোন বিষয় নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং যৌক্তিক আলোচনা করতে প্রস্তুত। যদি তিনি চান! ;)

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

তার আর পর নেই… বলেছেন: কি যে বোঝাতে চাইলেন???
প্রথম অংশ মানুষের জানার ইচ্ছে
পরের অংশে অন্ধ বিশ্বাস,
স্থান কাল পাত্র ভেদে ভালবাসার ধরণ, জাদু লীলা অংশে ঈশ্বরের বিশ্বাস, তারপরের অংশে ঈশ্বরের বিশ্বাসের সাথে আরো কিছু প্রশ্ন, তোমাদের জন্য ভালবাসা অংশে মানুষের ভেতরে ঈশ্বরের বাস,
চক্র অংশে একটা যুদ্ধ -অন্ধত্ব আর আলোর।
কিন্তু হইলো টা কি??
এতো কঠিন ক্যান?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

জেন রসি বলেছেন: আপনি নিজেইত চমৎকার ব্যাখ্যা করে দিলেন। :)

সব মিলে যা ব্যাখ্যা করেছেন তাই হইলো :P

আনন্দিত হলাম।

শুভকামনা রইলো। :)

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

কাবিল বলেছেন: একবার পরেছি, আরও কয়েকবার পড়তে হবে
অনুসরণে রাখলাম (এই প্রথম অনুসরণ)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল ভাই।

আপনার উপস্থিতিতে আনন্দিত হই।

শুভকামনা রইলো। :)

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিদ্রোহী ভাইয়ের শেষের কথার সাথে দ্বিমত।
একমতটা বললে আরও ঋদ্ধ হতুম :) @ গেম চেঞ্জার ভাই :)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

জেন রসি বলেছেন:

থিসিস!

অ্যান্টি থিসিস!

সিনথেসিস! ;)

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: উকে ভ্রাতা,
উপরের কথাগুলোর সাথে সহমত। ;) ;)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জেন রসি বলেছেন:
থিসিস!

অ্যান্টি থিসিস!

সিনথেসিস! ;)

১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

নেক্সাস বলেছেন: আপনার লিখার ষ্টাইল টোটালি ডিফেরেন্ট। বেশ পরিনত। ভাবনার পরিধিও বেশ লম্বা। আমার মনে প্রফেশনাল লিখক হয়ে উঠা আপনার পক্ষে সম্ভব। অল দ্যা বেষ্ট।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

জেন রসি বলেছেন: লেখালেখি নিয়ে মূলত এক্সপেরিমেন্ট করার জন্যই ব্লগে এসেছি। আপনাদের মূল্যবান ফিডব্যাক পেয়ে অনুপ্রানিত হচ্ছি।

ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো। :)

১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শায়মা বলেছেন: :(

কিন্তু ধাঁধার রহস্য জেনে যাবার পরে আর ধাঁধা থাকেনা ।:(


হয়ে যায় ...... :( :( :(


কি হয়ে যায় বলোতো ভাইয়ু?

সেটাও এক ধাঁধা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু।

একটা ধাঁধার উত্তর পেয়ে গেলেই নতুন ধাঁধার জন্ম হয়। এভাবেই কিন্তু মানব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ উত্তর জানতে চায়না। তারা উত্তর জানতে না দেওয়ার জন্য হত্যাও করে।

১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: ভালোবাসা এবং নিষ্ঠুরতা একে অপরের হাত ধরে চলে। মাঝেমাঝে ভালোবাসা থেকে নিষ্ঠুরতাকে আলাদা করা যায়না। যেমন একজন মা ভালোবেসে তার সন্তানকে সব কিছু অগ্রাহ্য করে বাঁচাতে চাচ্ছে। আবার কিছু মানুষ নিষ্ঠুর ভাবে তাকে হত্যা করতে চাচ্ছে। কিন্তু কেন চাচ্ছে? কারন তারা ভয় পাচ্ছে। তারা এক অজানা শক্তিকে ভয় পাচ্ছে। ভয়ের কারন তাদের উপর অভিশাপ আসতে পারে। তারা সেই ধ্বংসের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাচ্ছে। কারন তারা নিজেদের জীবনকে খুব ভালোবাসে! তাদের নিষ্ঠুরতার উৎস তাদের ভালোবাসা।


প্রমানিত সত্য কিন্তু ধাঁধার উত্তর জানিনা।:(

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

জেন রসি বলেছেন: আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে অনেক কিছুই অনুসন্ধান করে যাই। কখনো উত্তর পাই, কখনো পাইনা।


আপনাকে গম্ভীর দেখে ভয় লাগছে। :P মন খারাপ নাকি?

আপনি কি জানেন, আপনি আনন্দিত থাকলে ব্লগে একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকে! :)

১৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে সবাই যা বলছে -আমাকেও তা বলতে হচ্ছে।আপনার লেখার ধরন পুরাই ভিন্ন।মানগত দিক থেকে উচ্চ বলতে দ্বিধা করবে না।তবে
দূর্বল মস্তিষ্ক লেখা গ্রহণ করবে না। পড়ায় গভীর মনযোগ দেয়ার পাঠক কম ।


০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই।

আপনার মন্তব্য পড়ে অনুপ্রানিত হলাম।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো।

১৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভিন্ন আঙ্গিকের লেখা । কুসংস্কার, বর্বরতা এসব মানুষের স্বভাব বিরুদ্ধ কাজ । ভয় পাওয়ার কাজটা হয়ে গেছে উল্টো, ভয় পাওয়ার কথা ছিল খারাপ কাজ করার ক্ষেত্রে কিন্তু নিজের মধ্যে ভয় জাগ্রত করে ভাল কাজ করার চেষ্টা করা হয়, আর এই 'ভালোকাজ' শব্দ এর মধ্যে কিছু জ্ঞানপাপী ঢুকে পড়ে এবং স্বার্থান্বেসী কিছু ভাবনার গোলমাল পাকিয়ে তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় । এবং তারা বিশ্বাস করা শুরু করে যাকে আমরা বর্বর কুসংস্কার বলি । আদপে এ সবের অস্তিত্ব কোথাও নেই ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

জেন রসি বলেছেন: আসলে সকল মতবাদই আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের জন্যই এসেছে। শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই নিজেদের সুবিধামত বিভিন্ন মতবাদকে কাজে লাগিয়েছে। আসলে জ্ঞানের সাথে ক্ষমতার একটা অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক সবসময় ছিল। তাই জ্ঞানপাপীরাও সেই সুযোগ খুব ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছে।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো। :)

১৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১

শায়মা বলেছেন: ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭ ০
লেখক বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু।

একটা ধাঁধার উত্তর পেয়ে গেলেই নতুন ধাঁধার জন্ম হয়। এভাবেই কিন্তু মানব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ উত্তর জানতে চায়না। তারা উত্তর জানতে না দেওয়ার জন্য হত্যাও করে।

ঠিক তাই যেমন মসলিন ঐতিহ্য বা তাজমহলের রহস্য কারিগরদের হত্যা.....:(

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪

জেন রসি বলেছেন: মানব জাতির ইতিহাস যুদ্ধের ইতিহাস। নিষ্ঠুরতার ইতিহাস। কোন ভাবেই তা এড়ানো যাবে না।

১৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২

শায়মা বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে ১৬ নং এর উত্তরের জন্য জেন ভাইয়াই যথেষ্ঠ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

জেন রসি বলেছেন: আপনার এক জবাবেই সে নিজ দেহ ছেড়ে অন্যে দেহে পরজীবীর মত আবির্ভূত হয়েছে।

আবার জবাব দিলেত আর দেহই খুঁজে পাবেনা! :P

তাই আমিই দিলাম। :)

২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে অনেক কিছুই অনুসন্ধান করে যাই। কখনো উত্তর পাই, কখনো পাইনা।


আপনাকে গম্ভীর দেখে ভয় লাগছে। :P মন খারাপ নাকি?

আপনি কি জানেন, আপনি আনন্দিত থাকলে ব্লগে একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকে! :)

মন খারাপ না ভাইয়ু!!!!!! :P

সারাদিন পর বাসায় ফিরেছি একটু আগে।

তাই একটু অফ আছি। তবে!!!!!!!! B:-)

লেখা দেখেই মন খারাপ মন ভালো বুঝলে কেমনে???

এও দেখি আরেক ধাঁধা!!!!!!!! B:-)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১

জেন রসি বলেছেন: নম্রশিরে সুখের দিনে
তোমারি মুখ লইব চিনে,
দুখের রাতে নিখিল ধরা
যেদিন করে বঞ্চনা
তোমারে যেন না করি সংশয়।


:P

২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৬

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো। :)

২২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চমৎকার একটা প্লট!
কিন্তু শুধু প্লটটাই চমৎকার, গল্পটা নয়!
মুগ্ধ হওয়ার জন্যই গল্পটাতে আসা, কিন্তু নিরাশ হতে হল। শুরুটা অসাধারণ কিন্তু তারপর আর সেই ধারা ঠিক থাকেনি।
সত্যি বলছি, প্লটটা থেকে আরও ভাল, অনেক ভাল গল্প হতে পারত।
যাই হোক, সুন্দরের অপেক্ষায়, আপনার কাছে

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

জেন রসি বলেছেন: স্পষ্ট ভাবে আপনার মতামত জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই গল্পের সবকিছুই এক্সপেরিমেন্টাল। তাই এভাবে লেখাই ঠিক মনে করেছি। গল্পে সাসপেন্স কিংবা গভীরতা না এনে সহজ সরল ভাবে কিছু কথা বলতে চেয়েছি। একটা নির্লিপ্ত ভাবও আনতে চেয়েছি। তবে আপনি মুগ্ধ হননি বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। সুন্দরের অপেক্ষায় আছেন শুনে আনন্দিত হলাম। :)

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো। :)

২৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

সায়ান তানভি বলেছেন: কঠিন আর দূর্বোধ্য আমার জন্য। পরীক্ষা নিরীক্ষাকে যমের মতো ভয় পাই।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০

জেন রসি বলেছেন: আপনি আমার গল্প পড়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম। আপনার গল্প গুলো অনেক ভালো হয়।

আমি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পছন্দ করি।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো।

২৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯

যুগল শব্দ বলেছেন:
ভালোবাসা এবং নিষ্ঠুরতা একে অপরের হাত ধরে চলে। মাঝেমাঝে ভালোবাসা থেকে নিষ্ঠুরতাকে আলাদা করা যায়না।

না ভাই, ভালোবাসা থেকে নিষ্ঠুরতা আলাদাভাবে চলুক!!

গল্পে ++ এত রহস্য, আমার মাথায় কাজ করে না !!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

জেন রসি বলেছেন: মাঝেমাঝে মানুষ নিজ গোষ্ঠীর প্রতি প্রবল ভালোবাসার কারনে অন্য গোষ্ঠীর প্রতি তীব্র নিষ্ঠুর আচরন করে ফেলে। আপনি যদি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে বিশ্লেষণ করেন তবে সেখানেও এই কথার প্রমান পাবেন। আর মানব সভ্যতার ইতিহাসও অনেকটা এরকমই।

তবে দিন শেষে আমরা আসলেই ভালোবাসতে চাই, ভালোবাসা পেতেও চাই!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইলো। :)

২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্পের ভেতরের দার্শনিক খেলা উপভোগ করলাম ।দর্শন বিভ্রান্তিকর আর বিভ্রান্তিকর বলেই আকর্ষণীয় ।
উপযোগী আঙ্গিক।কৌশলী উপস্থাপন।যা প্রয়োজন ছিল।দ্বান্দিক ইতিহাস বয়ান - অতীত , চলমান বর্তমান
এবং অনাগত ও প্রায় অমোঘ ভবিষ্যৎরুপ ইঙ্গিত।সামন্তরালে সমাজবিজ্ঞান পাঠ।সঠিক আঙ্গিকের অভাবে অনেক জোরালো বক্তব্য মাঠে মারা যায়। এক্ষেত্রে আপনার জিত হয়েছে।
গল্প বুনোটে অল্পে অধিক বলা গেছে।
এর আগে আপনার আগের কবিতার কিছু জিজ্ঞাসারেণুর আচ গল্পশরীরে দেখতে পেলাম।


সময়কে প্রচ্ছন্নে রেখে , সরাসরি কোন কিছুকে প্রতীকীরুপে হাজির না করেও যে কার্যকরভাবে প্রতীকী চলাচল
করা যায় এবং উপযুক্ত সুবিধা নেয়া যায় - এ গল্প হতে তাই শিখলাম।
ভয় এবং ক্ষমতা একে অপরের পরিপূরক। হুবহু পরিপূরক নয়।ক্ষমতা আরো বেশি কিছু।
আপনি যেভাবে শেষ করেছেন - তাতে , গল্পের ভেতরে বাধা উত্তরণের ইঙ্গিত বা চিত্র
পেলে ভাল হত বলে মনে হচ্ছে ।কারণ বাধা আসে কোন ধাপ পার হওয়ার পরে।
গল্পের শেষ টাও শেষ হইয়া হইল না শেষ । এক পর্যায়ে বাধার উত্তরণ ঘটবে এবং পরবর্তী বাধার সম্মুখীন
হতে হবে। এটা একটা অনগোয়িং প্রসেস এবং দান্দিকতা সাপেক্ষে গল্পের শেষটা পুরোপুরি না হলেও
অনেকাংশে মানা যায়।যদি এভাবে চিন্তা করি আসল সত্য আমরা কখনোই জানতে পারব না।
সেক্ষেত্রেও বলব ফিনিশিং টা বহুরৈখিক সীমানায় রাখলে ভাল হত।
হয়ত এমনো হতে পারে গল্পে আছে আমি মিস রিড করেছি।
৩ টি প্রশ্ন ১) মুগ্ধ নামকরণের কি কোন মাজেজা আছে?
২) আরাধনা থেকে আপনার গল্প শুরু। আদম হাওয়া হতে শুরু করলে - সেক্ষেত্রে গল্পের বাক কেমন হতে পারত ?
৩) জাদু এবং লীলায় একজন ক্ষুধার্ত মানুষ , এক এবং অদ্বিতীয় তে মন্ত্র পড়া একজন ব্যাক্তি ,
এবং চক্রে কোথাও প্রবল বৃষ্টিতে দুটি শিশু - এই যে কেন্দ্রর বাইরে থেকে দেখা,
এসবের পেছনে আপনার কি ভাবনা কাজ করেছে ?
এছাড়া অ চাঁদগাজির কমেন্টে র উত্তরে আপনার বলা আপনার যদি এ ব্যাপারে আগ্রহ থাকে আমি আরো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে পারি।
এ ব্যাপারে কিছু বলার জন্য অনুরোধ রইল । জানতে পারলে ভাল লাগবে।

অনুমান করছি বলতে গেলে আপনার উত্তর অ দীর্ঘ হবে । সেক্ষেত্রে বলব আমার কমেন্ট স্কিপ করে
বাকিদের উত্তর দিতে পারেন । আপনার সুবিধামত সময়ে ধীরে সুস্থে উত্তর দিলে হবে।
আপনার গল্পে কমেন্ট করতে পেরে ভাল লাগছে ।
++++++++++++++++

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

জেন রসি বলেছেন: প্রথমেই বলে নিচ্ছি আপনার এই মন্তব্যটি পড়ে মনে হচ্ছে আমার গল্প লেখা সার্থক। :) তাছাড়া আপনি নিজেও একজন অসাধারন গল্পকার। তাই আপনার কাছ থেকে এমন বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য পেয়ে আমিও অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। :)

গল্পের ভেতরের দার্শনিক খেলা উপভোগ করলাম ।দর্শন বিভ্রান্তিকর আর বিভ্রান্তিকর বলেই আকর্ষণীয় ।
উপযোগী আঙ্গিক।কৌশলী উপস্থাপন।যা প্রয়োজন ছিল।দ্বান্দিক ইতিহাস বয়ান - অতীত , চলমান বর্তমান
এবং অনাগত ও প্রায় অমোঘ ভবিষ্যৎরুপ ইঙ্গিত।সামন্তরালে সমাজবিজ্ঞান পাঠ।সঠিক আঙ্গিকের অভাবে অনেক জোরালো বক্তব্য মাঠে মারা যায়। এক্ষেত্রে আপনার জিত হয়েছে।
গল্প বুনোটে অল্পে অধিক বলা গেছে।
এর আগে আপনার আগের কবিতার কিছু জিজ্ঞাসারেণুর আচ গল্পশরীরে দেখতে পেলাম।


দর্শন আসলে কিছু জিজ্ঞাসার উত্তর। কিন্তু দর্শনের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সেটাকে কালের সীমাবদ্ধতা বলা যেতে পারে। অর্থাৎ কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই মানুষের মনে সন্দেহের জন্ম হতে পারে। যেমন সব কালেই কিছু প্রতিষ্ঠিত প্রথা থাকে। অধিকাংশ মানুষ সেই প্রথা ভাঙতে ভয় পায়। কারন মানুষ তার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারে কিছু ভাঙতে হলে একটা প্রবল আঘাত পেতে হবে। সেই ভয় থেকেই তারা নতুন ভাবে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু সব যুগেই এমন কিছু মানুষ ছিল যারা তাদের সময়ের সেই প্রথাগুলোকে পরম সত্য বলে ভাবতে পারেনি। তারা একের পর এক প্রশ্নে সেসবকে ক্ষত বিক্ষত করেছেন। কিন্তু শুধু প্রশ্ন করে ক্ষত বিক্ষত করলেই পরিবর্তন আনা যাবে না। সেটার জন্য দরকার এমন কিছু উত্তর যা মানুষকে প্রথা ভাঙতে প্রভাবিত করবে। যা শুধু মানুষের মনে সংশয়ের জন্ম দিবেনা বরং তাকে একটা উত্তরের নিশ্চয়তাও দিবে। আর যুগে যুগে এ কাজটি করে এসেছে বিভিন্ন দার্শনিক, ধর্ম প্রচারক এবং বিজ্ঞানীরা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে দর্শন কেন বিভ্রান্তিকর? কারন সব মতবাদের কালের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই সমাজকে বারবার বিবর্তিত হতে হয়েছে। এক যুগে যেটা সমস্যার সমাধান ছিল পরের যুগে সেটাই আবার সমস্যা রূপে আবির্ভূত হল। তাই বারবার নতুন দার্শনিক, ধর্মপ্রচারক এবং বিজ্ঞানীর আবির্ভাব হলো। কিন্তু কোন মানুষ যদি একটা কালের আলোকে তৎকালীন সমস্যাগুলোর সমাধানকে বর্তমান সময়ে ফিরিয়ে আনতে চায় তাহলেই একটা দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়ে ওঠে। সেটাকে বিশ্বাসের সাথে যুক্তির দ্বন্দ্ব বলা যেতে পারে।

আমার আগের কবিতার থিমের সাথে এই গল্পের থিমের অনেকটাই মিল আছে।

আপনার অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরগুলোও ধাপেধাপে দিচ্ছি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

জেন রসি বলেছেন: ভয় এবং ক্ষমতা একে অপরের পরিপূরক। হুবহু পরিপূরক নয়।ক্ষমতা আরো বেশি কিছু।
আপনি যেভাবে শেষ করেছেন - তাতে , গল্পের ভেতরে বাধা উত্তরণের ইঙ্গিত বা চিত্র
পেলে ভাল হত বলে মনে হচ্ছে ।কারণ বাধা আসে কোন ধাপ পার হওয়ার পরে।
গল্পের শেষ টাও শেষ হইয়া হইল না শেষ । এক পর্যায়ে বাধার উত্তরণ ঘটবে এবং পরবর্তী বাধার সম্মুখীন
হতে হবে। এটা একটা অনগোয়িং প্রসেস এবং দান্দিকতা সাপেক্ষে গল্পের শেষটা পুরোপুরি না হলেও
অনেকাংশে মানা যায়।যদি এভাবে চিন্তা করি আসল সত্য আমরা কখনোই জানতে পারব না।
সেক্ষেত্রেও বলব ফিনিশিং টা বহুরৈখিক সীমানায় রাখলে ভাল হত।


ভয়ের সাথে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে। মানব সভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলেই তা সহজে বোঝা যায়। যেমন যখন কোন গোষ্ঠীকে বশে আনার চেষ্টা করা হত তখন তাদের কিছু অংশের উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হত। যে অংশটা সারভাইভ করত তারা দাসত্ব মেনে নিত। কারন তাদের মনে তীব্র ভয় ঢুকিয়ে দেয়া হত। এমনকি সব ধর্ম প্রচারকই ভালোবাসার বানী প্রচার করেছিলেন। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কোন ধর্মই ভালোবাসার পথ ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং ধর্মযুদ্ধের প্রয়োজন হয়েছে। যে অংশ হেরে গেছে তারাই দাসত্ব বরন করে নিয়েছে। একটা নিষ্ঠুরতাকে ভয় পেয়েই তারা সেটা করতে বাধ্য হয়েছে।

আমি গল্পে পরিবর্তনের একটা বিবর্তিত রূপ দেখাতে চেয়েছি। তবে আর একটা ব্যাপার এই গল্পে প্রবল ভাবে ছিল। সেটা হচ্ছে বৈপরীত্য, অর্থাৎ পোলারিটি। যেমন সব যুগেই দুটো শ্রেণীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। একটা অংশ প্রথাকে সংশয় করে ভাঙতে চাইত। আরেকটা অংশ সেটাকে বিশ্বাস করে রক্ষা করতে চাইত। এবং যে অংশটা রক্ষা করতে চাইত তারা সবসময় হত্যাকেই তাদের প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করে এসেছে। এই দ্বন্দ্ব থাকবে এটাই গল্পে বলতে চেয়েছি। এবং গল্প পড়লে এটাও বোঝা যাবে যে সমাজ নতুনভাবে বারবার বিবর্তিত হয়েছে।

এটা একটা এক্সপেরিমেন্টাল গল্প। এই ব্যাপারগুলোকেই একটা ক্ষুদ্র পরিসরে আবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। লেখা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে আমি পছন্দ করি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

জেন রসি বলেছেন: ৩ টি প্রশ্ন ১) মুগ্ধ নামকরণের কি কোন মাজেজা আছে?
২) আরাধনা থেকে আপনার গল্প শুরু। আদম হাওয়া হতে শুরু করলে - সেক্ষেত্রে গল্পের বাক কেমন হতে পারত ?
৩) জাদু এবং লীলায় একজন ক্ষুধার্ত মানুষ , এক এবং অদ্বিতীয় তে মন্ত্র পড়া একজন ব্যাক্তি ,
এবং চক্রে কোথাও প্রবল বৃষ্টিতে দুটি শিশু - এই যে কেন্দ্রর বাইরে থেকে দেখা,
এসবের পেছনে আপনার কি ভাবনা কাজ করেছে ?
এছাড়া অ চাঁদগাজির কমেন্টে র উত্তরে আপনার বলা আপনার যদি এ ব্যাপারে আগ্রহ থাকে আমি আরো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে পারি।
এ ব্যাপারে কিছু বলার জন্য অনুরোধ রইল । জানতে পারলে ভাল লাগবে।



১) উত্তরঃ ধাঁধার প্রতি মুগ্ধতা। প্রবল আকর্ষণ।

২) উত্তরঃ আরাধনা থেকে আমার গল্পের শুরু। কিন্তু আদম হাওয়ার ধারনা আরো অনেক পরে এসেছে। এই যে প্রকৃতি পূজা থেকে আদম হাওয়ার ধারনা- এটাও একটা ভাবনার বিবর্তন। তাই আমার মনে হয় সেক্ষেত্রে গল্পের বাক পরিবর্তিত হয়ে যেত।

৩)আমি সমান্তরাল ভাবে আরেক শ্রেণীর মানুষের কথা বলতে চেয়েছি। যারা পরিবর্তনের কোন সুফল পায়না। অর্থাৎ যতই যৌক্তিক এবং আধ্যাত্মিক অগ্রগতি হোক এসব মানুষের জীবনে তার কোন প্রভাব পড়ে না। তারা বেঁচে থাকার জন্যই বেঁচে থাকে।

চাঁদগাজী ভাই বলেছেন একটা শাশ্বত বোধের কথা। কিন্তু এর সাথে বাস্তবের সংঘর্ষ অনিবার্য। যেমন আপনি যদি কালচারাল এবং জেনেটিক ডিটারমিনিসমের কথা জেনে থাকেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে, মানুষের আবেগিয় বোধগুলো আসলে কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। কালচারাল এবং জেনেটিক ভাবে হয়। একটি সহজ উদাহরন দেই। যেমন একজন মা-ধরা যাক তিনি উচ্চবিত্ত। তিনি তার সন্তানকে খুব ভালোবাসেন। কিন্তু তিনি যখন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখবেন যে, একটি শিশু ফুটপাত গড়াগড়ি খাচ্ছে, ফিরেও তাকাবেন না। কারন তখন তার মধ্যে ভালোবাসা কাজ করবেনা। কারন সে তার কালচার থেকে এভাবেই বিবর্তিত হয়েছে।

২৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৪

অনিকেত পাল বলেছেন: Paradox

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

জেন রসি বলেছেন: আসলেই প্যারাডক্স!

ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইলো। :)

২৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

সুমন কর বলেছেন: আমার কাছে, গল্পের চেয়ে প্রবন্ধ বেশী মনে হয়েছে। গল্প হিসেবে ভালো লাগেনি। কিন্তু আপনার চিন্তার বহিঃপ্রকাশ খুব ভালো লেগেছে। লেখার অন্তঃস্থিত অর্থ বেশ।

যারা শক্তির উৎস তাদের আরাধনা করতে হবে। যা কিছু জানার বাইরে, ধরাছোঁয়ার বাইরে তাই শক্তি। সেই শক্তিকে কিছু একটা উৎসর্গ করার আয়োজন চলছে। পরম স্বত্তাকে কেউ কি ধরাছোঁয়ার মধ্যে পেয়েছে !!

শুভ সকাল।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

জেন রসি বলেছেন: এটা একটা এক্সপেরিমেন্টাল গল্প ছিল। এভাবেই লিখতে চেয়েছিলাম।

পায়নি বলেই ভয় থেকে অনেক কিছু আরোপও করেছে। সেই আরোপিত ধারণাগুলোই আবার সময়ের প্রয়োজনে বারবার বিবর্তিত হয়েছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো। :)

২৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: "জাদু এবং লীলা" পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে - ক্ষুধার কাছে পৃথিবী গদ্যময়, ক্ষুধাই তখন তীব্র সত্য অন্য কিছু নয়।

কিছু মানুষের ভয় হচ্ছে কিছু মানুষের ক্ষমতার উৎস! এটা কিন্তু একটা দারুণ কথা বলেছেন।

বেঁচে থাকাটাই মানুষের পরম আকাঙ্ক্ষা এটাই যেন বলতে চেয়েছেন "তোমাদের জন্য ভালোবাসা" অংশে।

পুরো গল্পটা পড়ে মনে হয়েছে আপনি কোনো কোনো ঐতিহাসিক চরিত্রকে এই গল্পে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন।

দুটি শিশুর মাজেজা যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।
আরও কিছু প্রশ্ন ছিল তবে সেসব প্রশ্নের জবাব মাহমুদের মন্তব্যের জবাব থেকে আশা করি পেয়ে যাব।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

জেন রসি বলেছেন: "জাদু এবং লীলা" পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে - ক্ষুধার কাছে পৃথিবী গদ্যময়, ক্ষুধাই তখন তীব্র সত্য অন্য কিছু নয়।

দুটি শিশুর মাজেজা যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।
আরও কিছু প্রশ্ন ছিল তবে সেসব প্রশ্নের জবাব মাহমুদের মন্তব্যের জবাব থেকে আশা করি পেয়ে যাব।


আমি সমান্তরাল ভাবে আরেক শ্রেণীর মানুষের কথা বলতে চেয়েছি। যারা পরিবর্তনের কোন সুফল পায়না। অর্থাৎ যতই যৌক্তিক এবং আধ্যাত্মিক অগ্রগতি হোক এসব মানুষের জীবনে তার কোন প্রভাব পড়ে না। তারা বেঁচে থাকার জন্যই বেঁচে থাকে।মাহমুদ ভাইকে জবাব দিয়েছি। সেখান থেকেই তুলে দিলাম।


ইতিহাসের বিবর্তন এই গল্পে ছিল। তাই ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোর প্রভাব পড়েছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো। :)

২৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প গল্প মনে না হলেও ভাল লাগার রেসটা ছিল সবসময়
অন্য ধরনের গল্প বলা যায়

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো। :)

৩০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

আলোরিকা বলেছেন: আপনার লেখনী এবং বিষয়বস্তু দুটোই বেশ উপভোগ করি । এই আঙ্গিকের আগের লেখাগুলোয় ঘটনার / বিষয়ের ধারাবাহিকতা সহজবোধ্য ছিল । এই লেখাটায় পরীক্ষা - নিরীক্ষা একটু বেশী হয়েছে বলে মনে হচ্ছে । যদিও সবাই হয়তো সব ধরণের লেখা পড়েন না , তারপরও লেখকের সব ধরণের পাঠকের কথা মাথায় রেখেই লেখা উচিৎ বলে আমি মনে করি ।

অনেক অনেক শুভ কামনা । আরও সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ার প্রত্যাশা :)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

জেন রসি বলেছেন: একটা ছোট পরিসরে অনেক কথা বলতে চেয়েছি। আমার কাছে মনে হয় নিজের মত করে লেখাই ভালো। কারন পাঠকের মনস্তত্ত্ব মানুষ ভেদে আলাদা হতে পারে।আমার লেখা আপনি উপভোগ করেন জেনে অনেক আনন্দিত হলাম।

সব সময় ভালো থাকুন আপু।

শুভকামনা রইলো। :)

৩১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১

মিতু রহমান বলেছেন: খণ্ড খণ্ড ভাবে কিছু অংশ ভালো লেগেছে। বাস্তববাদীর ভাবনাটা ভালো। গল্পের আঙ্গিক আমার কাছে ধরা পড়লো না তবে চিন্তার বহিঃপ্রকাশ পাওয়া যায়। মাহমুদ এবং আপনার কমেন্ট আলোচনা ভালো হয়েছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভেচ্ছা। :)

৩২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি যদি বলি ভাল লাগেনি সবাই বলবে আমি গাধা কিছুই বুঝিনি।তা হলে আমাকে ভাল না লাগলেও বলতে হবে ভাল লেগেছে । আপনার লিখার মান অনেক ভাল এই সেই নানান ,আবি -যাবি ।তা কি শুধু লেখককে খুশি করার জন্য!
আসলে এই ভাল লাগার পিছনে যে সত্যটি তা হল ভাল লাগেনি। কেন ভাল লাগেনি তা বের করতে গেলে ধরে নিতে হবে আমি বুঝতে পারিনি,হয়তো ভাল লাগার মতোই কিছু ছিল আমার পড়াতে মনযোগ ছিলনা, আমার অক্ষমতার কারণ ও হবে।
- আমি বুঝতে কেন পারবনা ?
- আমার বুঝার ক্ষমতা কেন থাকবেনা?


০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। আসলেই একজন ভালো পাঠক একজন ভালো লেখকের জন্ম দিতে পারে। তাই পাঠকের সত্য মনোভাবটাই জানানো উচিৎ। তাতে বরং লেখকই বিকশিত হয়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইলো। :)

৩৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

বাংলার নেতা বলেছেন: অসাম.....

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৩৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমতকার গল।কোট করার মত অনেকগুলো লাইন ছিল।সব মিলিয়ে ভাল লেগেছে :)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০০

জেন রসি বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।

শুভকামনা রইলো। :)

৩৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: উপরে মাহমুদুর রহমান সুজনের মন্তব্য ভাল লাগল। আসলে অকপট মন্তব্যই করা উচিত। ভাল না লাগলেও ভাল বলার ভণ্ডামি থেকে সচেতন ব্লগারদের বের হয়ে আসা উচিত।

আমাদের সকলের উচিত গঠনমূলক সমালোচনা করা। গঠনমূলক সমালোচনা হলে লেখকেরই উপকার।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। গঠনমূলক সমালোচনা লেখক এবং পাঠক দুজনকেই বিকশিত করে। মাহমুদুর রহমান সুজন ভাইয়ের মন্তব্য আমার কাছেও ভালো লেগেছে।

৩৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা হা ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!


হাও মাও খাও!!!!!!!!!!!!

একটা ভুতের গন্ধ পাও!!!!!!!!!!!!!!!!!! :P

ভুতের নাম ধাঁধা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :P

ভুতটা একটা গাধা!!!!!!!!!!!!!!হাহহাহাাহাহাহহাাহহাহাহাহাহাহাহা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৬

জেন রসি বলেছেন: ভুত মানে অতীত। ভুত মানে স্মৃতি। সেখান থেকেই জন্ম সৃষ্টি হতে পারে ধাঁধা! কিংবা ধাঁধায় ঘুরপাক খাওয়া গাঁধা! :P

৩৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

শায়মা বলেছেন: ৩৩. ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮ ১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি যদি বলি ভাল লাগেনি সবাই বলবে আমি গাধা কিছুই বুঝিনি।তা হলে আমাকে ভাল না লাগলেও বলতে হবে ভাল লেগেছে । আপনার লিখার মান অনেক ভাল এই সেই নানান ,আবি -যাবি ।তা কি শুধু লেখককে খুশি করার জন্য!
আসলে এই ভাল লাগার পিছনে যে সত্যটি তা হল ভাল লাগেনি। কেন ভাল লাগেনি তা বের করতে গেলে ধরে নিতে হবে আমি বুঝতে পারিনি,হয়তো ভাল লাগার মতোই কিছু ছিল আমার পড়াতে মনযোগ ছিলনা, আমার অক্ষমতার কারণ ও হবে।
- আমি বুঝতে কেন পারবনা ?
- আমার বুঝার ক্ষমতা কেন থাকবেনা?


হায় হায় ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!!!

আমি কিন্তু আমার উপরের কমেন্ট দেবার আগে তোমার এই কমেন্ট পড়িনি!!!!!!!!!!!!

আল্লাহর কসম ভাইয়া!!!!!!!!!!!!:( :( :(

এইখানে আবার গাধা গাধা লিখেচো দেখে ভাবলাম আমার কমেন্ট পড়ে আবার আমাকেই ভুল বুঝো কিনা!!!!!!!!!!:(


সত্যিই আমি অন্য একটা কারণে ভাইয়ুকে এই কমেন্ট দিয়ছি কিন্তু!!!!!!:(

আজকাল খুব ভয় লাগছে ফান করতেও!!!!!!!!:(

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

জেন রসি বলেছেন: আপনি অবশ্যই ফান করবেন।

নিজে ক্লিয়ার থাকলেই জগত ঠিক। :)

আপনি যখন কিছু করবেন কিংবা বলবেন তখন এক পক্ষ তা সমর্থন করবে আরেকপক্ষ করবে না। এটাই স্বাভাবিক।

সুতরাং যা আপনার কাছে ঠিক মনে হয় তাই করুন। :)

৩৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: টুকরো টুকরো দৃশ্যপটে বিশাল এক ক্যানভাসে সময়কে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সময়ের গর্ভে প্রোথিত বাৎসল্য, ঘৃণা, ভালোবাসা, মানবিকতা, জিগীষা, আর আমরা যা আড়াল করতে চাই-ক্ষুধা, অথচ সময় এবং সভ্যতা তার ভিত্তিমূলেই রচিত। আমাদের ঈশ্বর বিষয়ক অনুসন্ধিৎসা, বায়বীয় মোহে আবিষ্ট হয়ে কল্যাণপয়াসী ঈশ্বরের আরাধোনা, এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাকে অপরাধ মনে করা অসংখ্য গোবেচারা মুখ সভ্যতা নামক গোলকধাঁধায় আষ্টেপৃষ্ঠে, লেপটে পিছরে আছে। তবুও মানুষেরই জয় হয়, কারণ
১। ক্ষুধার চেয়ে বড় কোন ইনস্টিংকট নাই
২। মাতৃত্বের চেয়ে বড় কোনো অনুভূতি নাই
৩। বারেবারে মরে যাবে জেনেও প্রশ্ন করা থেমে নেই।

বুঝলাম না, জটিল গল্পকে আমি সরলীকরণ করে ফেললাম, নাকি সরল গল্পকে জটিল করে ফেললাম! হাহা!

তবে এইসব গল্পে বহুমাত্রিক পাঠে পাঠকের কাছে ভিন্ন ভিন্নভাবে রূপক এবং মেটাফরগুলো অর্থ বহন করে।

+

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

জেন রসি বলেছেন: আমি গল্পে যা বলতে চেয়েছিলাম আপনিত এক কমেন্টেই তা বলে দিলেন! হা হা হা! আসলেই ছোট ক্যানভাসে সভ্যতার একটা বিবর্তনের কথাই বলতে চেয়েছিলাম। তবে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাপারেই ফোকাস করেছিলাম। ভালোবাসা, নিষ্ঠুরতা, ক্ষমতার লোভ-এসবের সাথে প্রথা রক্ষা এবং প্রথা ভাঙার আয়োজন!

বলা যেতে পারে আপনি আপনার উন্নত মস্তিষ্কে গল্পকে ফিল্টারিং করে অর্থবহ করেছেন। :)

ধন্যবাদ হামা ভাই।

শুভকামনা রইলো।

৩৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,



জীবন নিয়ে দর্শনের জালে আটকে গিয়ে মানুষ আসলেই ধাঁধায় পড়ে যায় । এ ধাঁধাঁর উত্তর তার মেলেনা কখনও ।
মানুষকে তাই সমাজে যেতে হয় , সন্ন্যাসীসুলভ নির্বুদ্ধিতায় - মস্ত বড় নির্বুদ্ধিতায় জড়িয়ে গিয়ে দাঁড়াতে হয় বাজারের মধ্যিখানে । সুউচ্চ সোপানে দাঁড়িয়ে তাকে বলে যেতে হয় কথা সবাইকে । কিন্তু আসলে কাউকেই নয় । বাজারের মধ্যে কোনও লোকই বিশ্বাস করেনা উচ্চতর এই মানুষের কথা । তাই নিজেকেই নিজে শোনাতে হয় । আবার সন্ধ্যেকালে দড়ির বাজীকর এবং তার মৃতদেহ হয় মানুষেরই সঙ্গী । মানুষ নিজেও হয়ে ওঠে একটি মৃতদেহ । তখন কোথায় যায় মানুষের সব সম্ভ্রম ও লজ্জা -এবং সব সৎ জিনিষের উপর মানুষের বিশ্বাস !!
আহা, কোথায় গেলো এই নির্বোধ সরলতা- সেই নিরিহ ভালো লোকের সরলতা আর মহৎ মিথ্যার বিশ্বাস ? মানুষ যে ভাবে বাঁচতে চায় সেভাবেই সে বাঁচবে নতুবা একেবারেই বাঁচবেনা । এই-ই মানুষের কামনা - সবচেয়ে পুণ্যাত্মা মানুষের কামনাও এই । কিন্তু হায় , মানুষ কি করে তা চাইবে ! কি করে সে ভালোবাসবে নিজেকে !
এই ধাঁধার ভেতরেই আছে মানুষের একখানি আহত ও ভাঙা হৃদয় । স্থিতিহীন কামনা ; ক্লান্ত ডানা : ভাঙা শিরদাঁড়া ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

জেন রসি বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই,

জীবন নিয়ে কেন মানুষকে দর্শনের ধাঁধায় ঘুরপাক খেতে হয়? জীবন কিন্তু জীবনের নিয়মেই বেশ চলে যায়! তারপরও দিনশেষে কারো কারো মনে হয় কিছু একটা ঠিক নেই। কিছু একটা পরিবর্তন করে ফেললেই বুঝি সব ঠিক হয়ে যাবে। তারপর সেটা তাকে জানান দিতেই হয়। কিন্তু ক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়ার মতই একটা ধাক্কা খেতে হয় তাকে। কিন্তু তাই বলে কি সব থেমে যায়? একটা চেতনার রক্তবীজ কিন্তু রোপিত হয়ে যায়। একসময় সেটা বট বৃক্ষ হয়। আবার এমন একদিন আসে যখন সময়ের প্রয়োজনে সে বট বৃক্ষও কেটে ফেলতে হয়। এইত মানব জীবন!

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো।

৪০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

জুন বলেছেন: আপনার গল্পগুলো সব সময় ব্যতিক্রমী এবং সুখপাঠ্য । চিন্তার খোরাক জোগায় । এটাও তার ব্যতিক্রম নয় জেন রসি ।
অনেক ভালোলাগা ।
+

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু। আপনার মন্তব্য পেলে আনন্দিত এবং উৎসাহিত হই।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো।

৪১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

আরজু পনি বলেছেন:
যারা দুর্বল তাদের উপর আঘাত হানতে হবে। যারা শক্তির উৎস তাদের আরাধনা করতে হবে।...কোট করার মতো কথা ।
লেখায় ভালো লাগা রইল, রসি ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

জেন রসি বলেছেন: প্রিয় কবি khalil gibran এর কবিতার কিছু লাইন,

You are good when you are fully awake in your speech,
Yet you are not evil when you sleep while your tongue staggers without purpose.
And even stumbling speech may strengthen a weak tongue

আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দিত হলাম।

ধন্যবাদ আপু।

ভালো থাকুন সবসময়।

শুভকামনা রইলো। :)

৪২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
এমন গল্প পড়তে হলে পড়ে বুঝতে হলে অথবা গল্প কিছুটা আঁচ করার জন্যে পাঠককেও বিশেষ যোগ্যতা অর্জন করে পাঠ আরম্ভ করতে হয়।খণ্ড খণ্ড দৃশ্যে আদিম পর্যায় থেকে এখনকার একটা দৃশ্য ইতিহাস তুলে ধরা।এসব বিষয়ে পূর্ব ধারণা ব্যতীত গল্পের মৌলে প্রবেশ করা অসাধ্য ব্যাপার।থিমগুলো বেশ।তবে শেষ পর্যন্ত আমার কাছে একটিমাত্র স্বার্থক গল্প বলে অভিহিত করতে পারছি না। মন্তব্য প্রতিমন্তব্যও পড়েছি।পরিশেষে আরো বুঝার চেষ্টা চালাচ্ছি...

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

জেন রসি বলেছেন: আমার মনে হয় আমি যা নিয়ে লিখতে চেয়েছি সেসব ব্যাপার সবাই সচেতন কিংবা অবচেতন ভাবে জানে। আপনি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করার চেষ্টা করেছেন দেখে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইলো।

৪৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬

নীলপরি বলেছেন: অভিনব বিষয় ।ভালো লাগলো ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

শুভকামনা রইলো।

৪৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: মানুষকে ভালোবাসাই নাকি মুক্তির একমাত্র উপায়। এমন এক অদ্ভুত ব্যাপার নিয়ে এক অদ্ভুত মানুষ অনেকদিন থেকেই নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সে বলেছে এমন এক পরম স্বত্বার কথা যে নাকি মানুষকে ভালোবাসতে বলেছে। কিন্তু তাকে এই ষড়যন্ত্রের জন্য আজ হত্যা করা হবে। তাই প্রচুর মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে তার হত্যা দৃশ্য দেখতে এসেছে। তাদের কারো মধ্যেই ভালোবাসা দেখা যাচ্ছেনা। বরং তাদের অতীত বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার এক তীব্র নিষ্ঠুরতাই তাদের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি ভাই।

শুভকামনা রইলো।

৪৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

বিজন রয় বলেছেন: এই গল্পটি একটি শক্তিশেল। +++++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইলো।

৪৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানতে না চাইলেও বোধ হয় এটাই দেখতে হয় ভালোবাসার অপর পাশেই ঘাপটি মেরে আছে ক্ষমতায়ন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১

জেন রসি বলেছেন: মানুষ এক সময় যে ক্ষমতাকে ভাঙবে বলে লড়াই করে, সফল হলে সেই ক্ষমতার বিবর্তিত রুপকেই আঁকড়ে ধরে। আর পোলারিটি খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। যার মনে ভালোবাসা অবস্থান করে, তার মনে ঘৃণাও অবস্থান করবে।

ধন্যবাদ আপু।

শুভকামনা রইলো।

৪৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অন্যরকম স্বাদের একটি লেখা পড়লাম ।ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা ।ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

শুভকামনা রইলো।

৪৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আমারও মনে হয়েছে এটি গল্প নয়; প্রবন্ধ বললেই ভালো হয়। কারণ একটু খাপছাড়া খাপছাড়া মনে হয়েছে জায়গায় জায়গায়। পড়ার স্বাদটা ভাই নিতে পারিনি। প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড !

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৯

জেন রসি বলেছেন: এটা একটা এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। এভাবেই লিখতে চেয়েছিলাম। তাই গল্পের ফ্লো কিছু যায়গায় প্রবন্ধের মত হয়ে গেছে। পড়ার স্বাদ নিতে পারেননি বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মাইন্ড করার প্রশ্নই আসেনা। বরং আপনার স্পষ্ট অভিমতে আনন্দিত হয়েছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.