নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তচিন্তা, ব্লগার এবং আমাদের বিভ্রান্তি

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭




মুক্তচিন্তা এবং ব্লগার এ দুটো ব্যাপার নিয়ে আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া, এমনকি অফলাইনেও অলোচনার ঝড় উঠছে। শাসকগোষ্ঠী ৫৭ ধারা আরোপ করে তাদের জন্য যেকোনো রকমের বিরক্তিকর চেতনার বিকাশ রোধে সক্রিয়। জঙ্গি সংঘটনগুলোও এখন মুক্তমনা ব্লগারদের তাদের মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত করে ফেলেছে। অর্থাৎ তারাও মনে করছে, এইসব ব্লগাররাই তাদের জিহাদের পথে মূল বাঁধা। তবে এদেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই এসব খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার না। তারা দেখছে, মুখে বলছে এসব ঠিক হচ্ছেনা। কেউ বলছে সরকার গনতান্ত্রিক আচরন করছেনা। আবার জঙ্গিরা ব্লগার হত্যা করলে বলা হচ্ছে এসব ইসলাম সমর্থন করেনা। অনেকেই হত্যার বিচার চান, তবে একই সাথে তারা আবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের তীব্র নিন্দাও জানিয়ে থাকেন। সামুর অধিকাংশ ব্লগাররাও এমন মনোভাব ধারন করে থাকেন।

সব মিলে যদি বলি, আমার মনে হয় এসব নিয়ে সবাই আসলেই একটা বিভ্রান্তিতে আছে। যার প্রমান এত কিছু ঘটার পরও আমাদের মধ্যে সম্মিলিত প্রতিবাদের কোন প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। বরং প্রতিবাদের ভাষা যেন আরো স্থিমিত হয়ে আসছে। এমন সমস্যা তখনই হয় যখন মানুষ নিজেই তার চেতনা এবং প্র্যাকটিসের জায়গায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। আমরা আসলেই কি মূল্যবোধ ধারন করছি, কি চাচ্ছি, আর সেসবকে কেন্দ্র করে কি চর্চা করছি তা যদি যৌক্তিকভাবে পর্যালোচনা করা হয় তবে দেখা যাবে আমাদের চাওয়া, বিশ্বাস এবং চর্চার মধ্যে অনেক বড় একটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। মানুষ যখন বিভ্রান্ত হয়ে যায় তখন বাক স্বাধীনতাকে গলা চেপে হত্যা করার চেষ্টা করা হবে এটাই স্বাভাবিক। মৌলবাদী চেতনার উত্থান হবে এই বিভ্রান্তির বাই প্রোডাক্ট হিসেবে। তাই সময় এসেছে এসব ব্যাপার নিয়ে নিজেদের মতামত স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার। সেসব নিয়ে খুব তর্ক বিতর্ক হতে পারে। তবে অবশ্যই সেটা হতে হবে যৌক্তিক মতাদরশিক বিতর্ক। কারো যদি কোন বিভ্রান্তি থাকে তবে তা চর্চার মাধ্যমেই কাটিয়ে ফেলা যায়। বরং ক্রাইসিসের সময় চুপ করে থাকাটাই আরো ভয়াবহ বিপর্যয়ের জন্ম দেয়। এসব ব্যাপারে আমি আমার কিছু ধারনা এই পোস্টে তুলে ধরব। একই সাথে সামু ব্লগের পলিসি সম্পর্কে যা কিছু আমার কাছে বিভ্রান্তকর মনে হয়েছে তাও বলার চেষ্টা করব।

আমরা কেন ব্লগিং করি?

আমরা কেন ব্লগিং করি এ নিয়ে সবারই কিছু ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। সবার ব্লগিং করার উদ্দেশ্যও একনা। ব্লগে চর্চার দিক থেকেও একজনের সাথে অপরের পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন, কেউ ব্লগে সাহিত্য চর্চা করে থাকেন, কেউবা দিনলিপি লিখেন নিজের মনে। অনেকেই তাদের আগ্রহের বিষয় নিয়ে ফিচার লিখতে পছন্দ করেন। নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পছন্দ করেন। তবে এসব চর্চা ব্লগে খুব একটা বিতর্কের জন্ম দেয়না। এসব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা মৌলবাদী সংঘটনগুলোর কোন সমস্যা হয়না। কারন তারা মনে করে থাকে মানুষের এসব মনস্তাত্ত্বিক চর্চা তাদের টিকে থাকা কিংবা বিকাশের জন্য হুমকি না। এসব ব্লগারদের আমরা মডারেট ব্লগার বলে অভিহিত করতে পারি। কিন্তু অপর দিকে কেউ কেউ ব্লগিং করে থাকেন সম্পূর্ণই অন্য উদ্দেশ্য থেকে। তারা ব্লগিংকে শুধুই ব্লগে সীমাবদ্ধ করে রাখার জন্য লিখেন না। তাদের লেখার উদ্দেশ্য থাকে কোন একটা মতবাদকে প্রতিষ্ঠা কিংবা বাতিল করে দেওয়ার প্রয়াস থেকে। সেটা হতে পারে রাজনৈতিক কিংবা কোন ধর্মীয় মতবাদকে কেন্দ্র করে। যেসব ব্লগার খুব সিরিয়াস ভাবে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় মতবাদকে প্রতিষ্ঠা কিংবা বাতিলের জন্য ব্লগকে প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যাবহার করে থাকেন তাদের সাথেই মাঝেমাঝে স্টেট মেকানিসম, রাজনৈতিক দল এবং মৌলবাদী সংঘটনগুলোর সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে। এবং সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যা হতে পারত মুক্ত চেতনার বিকাশে আমাদের দেশে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া, তা হয়ে গেছে ব্লগারদের মুক্তচিন্তা দমিয়ে রাখার এক নিষ্ঠুর আয়োজন।


পলিটিক্যাল কনসাসনেস বনাম দলকানা স্বভাব


একজন ব্লগারের পোস্টে এই ব্যাপারটা নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, যারা বলে যে, আমরা রাজনীতি ঘৃণা করি, তারাও রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে যেতে পারেনা। যে সমাজের সব অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আইন প্রনয়ন জাতীয় ব্যাপারগুলো রাজনীতিবিদরা নিয়ন্ত্রন করে, সে দেশে আসলে কেউ চাইলেও এই বলয়ের বাইরে অবস্থান করতে পারবেনা। এ দেশের অনেক মানুষেরই ধারনা রাজনৈতিক সচেতনতা মানেই কোন একটি নির্দিষ্ট দলের চাটুকারিতা করা। তাই নতুন প্রজন্মের অনেকেই যেসবকে ঘৃণার চোখে দেখে। কিন্তু তাদের জীবনও সেই যাদের তারা দেখতে পারেনা, তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে। এ জন্যই দরকার দলবাজির বাইরে এসে রাজনৈতিক ভাবে সচেতেন হওয়া। নাগরিক অধিকার আদায়ের জন্য তা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথও নেই।

এ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ব্লগাররা সক্রিয় ছিল এবং আছে। কিন্তু এখানেও একটা ব্যাপার প্রায়ই দেখা যায়। সেটা হচ্ছে দলবাজি। যেটা অনেকটাই জ্ঞানপাপীদের মত কাজ হয়ে যায়। অর্থাৎ আমি অমুক দল সাপোর্ট করি বলে তারা যাই করবে তাই ভালো। সেই দলের বিরোধিতা যারা করবে তারাই খারাপ, এমন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেড় হয়ে সবকিছুই যৌক্তিক ভাবে পর্যালোচনা করার চেষ্টা করতে হবে।

আমি দলবাজি বলতে দলকানাদের কথা বলেছি। যেমন কেউ যদি দলকানা হয়ে বলে বঙ্গবন্ধু প্রথম রাষ্ট্র প্রতি ছিলেন না অথবা জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। আবার অপরদিকে কেউ যদি বলে জিয়ায়ুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না। এমন মনোভাব নিয়ে যদি কেউ বছরের পর বছরও তর্ক করে, তাহলেও কোন লাভ নাই। আলোচনা করতে হবে পলিসি নিয়ে। আমি এই দল করি বলে এই দলের কোন পলিসির সমালোচনা করা যাবেনা, এমন ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে কোন কাজের কাজই হবেনা। পলিটিক্যাল কনসাসনেস মানেই দলবাজি না। পলিটিকাল কনসাসনেস মানে যুক্তি দিয়ে পলিসিগুলোকে যাচাই বাছাই করা।

এখানে দুটো ব্যাপার খুব ক্লিয়ারলি বুঝতে হবে। রাজনীতি থেকে একজন মানুষ যতই দূরে থাকুক অথবা বলুক যে তার কোন আগ্রহ নেই – সে নিজেও রাজনৈতিক ভাবে নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ভুক্তভোগী হবে। যে প্রজন্মের অনেকেই বলেছিল যে রাজনীতি নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই, তারাই আবার শাহবাগে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল। শাহবাগে গনজাগরন ছিল রাজনৈতিক কনসাসনেসের একটি অসাধারন উদাহরন।

এখন আসি বিভ্রান্তির ব্যাপারটা নিয়ে। কিভাবে বিভ্রান্তির জন্ম হতে পারে। অযৌক্তিক প্রোপাগান্দা রাজনৈতিক বিভ্রান্তির জন্ম দেয়। যেমন কেউ যদি বলে গোলাম আজম, নিজামি ৭১ এ গণহত্যার সাথে জড়িত ছিলনা তবে সেটা মিথ্যা প্রোপাগান্দা হবে। কেউ যদি বলে বঙ্গবন্ধু প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেননা, তবে সেটা ইতিহাস বিকৃতি হবে। আবার উপরে যেমন বলেছি কেউ যদি বলে ৭১ এ জিয়াউর রহমান রাজাকার ছিলেন, সেটাও হাস্যকর যুক্তি হবে। অর্থাৎ সোজা ভাষায় যা বলতে চাচ্ছি কোন ঐতিহাসিক তথ্যকে পরিবর্তন করে উপস্থাপন করলেই বিভ্রান্তি আসে। এসব চর্চাকে কোনভাবেই মুক্তচিন্তা বলা যাবে না। মুক্তচিন্তা হচ্ছে তথ্যকে ঠিক রেখে বরং প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে আলোচনা করা। মুক্তচিন্তা মানে যা ইচ্ছা তা বলা নয়। মুক্তচিন্তা হচ্ছে যেকোন বিষয় নিয়ে মুক্তমনে যৌক্তিক ভাবে চিন্তা করা। এক্ষেত্রে তথ্যের আলোকে নিজের ভাবনাগুলোকে প্রকাশ করা যেতে পারে। সেসব ভাবনাকে অনেক কিছুর আলোকে যাচাই বাছাইও করা যেতে পারে। তা না করে শুধু তথ্য নিয়ে ঘুরলে রাজনৈতিক কনসাসনেস তৈরি হবেনা। কিন্তু সামুতে এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি যা দেখেছি তা হচ্ছে একধরনের এড়িয়ে চলার মনোভাব। এখানে গতানুগতিক ধারার বাইরে কিছু ভাবা হলে তাকে খুব একটা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়না। বরং তথ্যের আলোকে গতানুগতিক ভাবনা চিন্তাকেই উৎসাহিত করা হয়। এমন মনোভাব ভয় থেকেও হতে পারে। কারন কোন শাসকগোষ্ঠীই চায়না তাদের বলয়ের বাইরে গিয়ে কেউ তাদের পলিসির বিরোধিতা করুক। যেমন উদাহরন হিসাবে বলতে পারি, তেল, গ্যাস বিদ্যুৎ জাতীয়করণের আন্দোলনে ব্লগারদের উপরও রাষ্ট্রযন্ত্রের চাবুক নেমে এসেছিল। কারন তাদের কনসাসনেস শাসক গোষ্ঠীর পলিসিতে আঘাত করেছিল। তবে এসব ক্ষেত্রে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে চুপ করে বসে থাকে। সেক্ষেত্রে আমি বলব কোনটা রাজনৈতিক সচেতনতা আর কোনটা রাজনৈতিক মিথ্যাচার তা যাচাই করার মত ক্ষমতা আমাদের সবারই আছে। তাই চাইলেই দুটো ব্যাপার আলাদা করে সক্রিয় ভূমিকা পালন কয়া যায়।


মুক্তচিন্তা বনাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত


অনেকেই এমন ধারনা করে থাকেন, ব্লগার মানেই নাস্তিক। ব্লগার মানেই ইসলাম নিয়ে আক্রমণাত্মক লেখা! আমরা জানি শাহবাগের আন্দোলনের সময় জামাতকে রক্ষা করার জন্য এই প্রোপাগান্দা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এবং সাধারন মানুষ খুব ভালো ভাবেই বিভ্রান্ত হয়েছিল। এইজন্য সরকারকে ব্লগার গ্রেপ্তার করে দেখাতে হয়েছিল যে, তারা কোন ভাবেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সহ্য করবেনা। সামুর অনেক ব্লগাররাও সব ভুলে নাস্তিক ব্লগারদের নিয়েই খুব সক্রিয় হয়ে গেলেন। এমনকি অভিজিত রয় কিংবা অন্যান্য মুক্তমনা ব্লগার হত্যার পরও আমরা দেখতে পাই, একের পর এক পোস্ট আসতে থাকে। কিন্তু সেসব পোস্টের বিষয় বস্তু কি? মুক্তচিন্তার নামে ধর্মকে আঘাত করা ঠিকনা। এসব আসলে মুক্তচিন্তা না! এসব হচ্ছে আমেরিকা যাওয়ার কিছু কৌশল মাত্র! যদিও সবাই দোষীদের বিচার চান। কিন্তু তারা মনে করে থাকেন এক হাতে তালি বাজেনা। এসব মুক্তমনারাও নিশ্চয়ই এমন কিছু করছে যা জঙ্গিদের বাধ্য করছে তাদের হত্যা করতে।

আভিজিত রায়কে হত্যা করার পর সামুতে একজন ব্লগারের পোস্ট স্টিকি করা হয়। সেই পোস্টের বিষয় ছিল যে, ইসলাম এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সমর্থন করেনা। এখানে অনেকেই বলবেন যে এমন পোস্টের তখন দরকার ছিল। কিন্তু আমার কাছে সেটাকেই একটা বিভ্রান্তিকর আচরন বলে মনে হয়েছে। ব্যাপারটা এমন ছিল যে শুধু একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় মতবাদের আলোকেই ঠিক করতে হবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিকনা। অথচ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম অঙ্গীকার ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। এমন সময়ে মূল বিষয়ে ফোকাস না করে কেন একটি নির্দিষ্ট ধর্মের দ্বান্দ্বিক ব্যাপারগুলো নিয়েই আলোচনা করতে হবে? কারন অবশ্যই আছে। সে কারনটা অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত। আরো স্পষ্টভাবে বললে সেটাকে ধর্মীয় অনুভূতি বলা যায়।

ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে নিজ ধর্মের প্রতি একধরনের ভালোলাগার আবহ তৈরি হয়। এ দেশের অনেক মানুষই ধর্মীয় রীতি নীতির খুব একটা চর্চা না করলেও তারা ধর্মভীরু। অর্থাৎ তারা তাদের বিশ্বাসের উপর কোন রকমের আঘাত পছন্দ করেনা। এ ব্যাপারটি এ দেশের শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত উভয় শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। ব্লগার হত্যার পর মডারেট মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া দেখেও ব্যাপারটি খুব সহজেই বুঝে ফেলা যায়। তারা কোন ভাবেই এটা ভাবতে পারেন না যে, উক্ত ব্লগার দোষী নয়। অবশ্যই তারা কেউ এমন হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেন না। কিন্তু তারা মন থেকে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদও করতে পারেননা। বরং মুক্তচিন্তা বিকাশের নামে ধর্ম নিয়ে লেখালেখিকে তাদের কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়।


বিজ্ঞানের বিকাশের সময় থেকেই বিজ্ঞানের সাথে ধর্মীয় মতবাদের সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে। আমরা জানি একসময় “ পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে” এ কথাতেই চার্চের ভিত কেঁপে উঠেছিল। তারা তখন সাধারন মানুষকে এ বলে বিভ্রান্ত করেছিল যে, এসব হচ্ছে ধর্মের উপর আঘাত। বিজ্ঞানীরা পালিয়ে গোপন জায়গায় তাদের গবেষণা চালাত। সাধারন মানুষও তাদের শয়তানের পূজারী মনে করত। কিন্তু একসময় চার্চকে পরাজয় মানতে হয়েছিল। কারন যারা সত্যের অনুসন্ধানি, তাদেরকে বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে আঘাত করতেই হয়। আমরা যদি পর্যালোচনা করে দেখি যে, কিভাবে সভ্যতা বারবার পরিবর্তিত হয়েছে তবে দেখব কিছু মানুষ অনেকের বিশ্বাসে আঘাত হেনে তা ভেঙে ফেলতে পেরেছিল বলেই তা হয়েছে।

তাই এখানে কিছু ব্যাপারে সবার বিভ্রান্তি কাটানো দরকার বলে মনে করি। ধর্ম একটি সামাজিক কাঠামোর অন্যতম উপরিকাঠামো। তাই ধর্ম নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ এমনকি ধর্মীয় মতবাদকে বাতিল করার প্রয়াসও খুব যৌক্তিক। এভাবেই সভ্যতা বারবার বিবর্তিত হয়েছে। বরং আমি মনে করি বিশ্বাসীদেরও এসব বিতর্কে অংশগ্রহণ করে নিজেদের বিশ্বাস কিংবা ধর্মীয় যুক্তিকে যাচাই বাছাই করে নেওয়া উচিৎ। এভাবেই বরং বিকাশ সম্ভব। যেমন ধর্ম নিয়ে যদি লেখা যায় তবে সেই ধর্মীয় মতবাদের বিরুদ্ধে কেন লেখা যাবে না? একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রচারে কেউ যদি লিখে থাকেন, যদি সেটা অন্যায় না হয়, তবে একটি ধর্মীয় মতবাদকে বাতিল করার যৌক্তিক আলোচনা কেন অন্যায় হবে? এসব ব্যাপার নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে বলে মনে করি।

জঙ্গিরা এখন মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যা করছে। তারা কারন হিসাবে বলছে যে, তারা আসলে ইসলামের শত্রু। কয়েকদিন পর তারা বলবে সব ব্লগাররাই ইসলামের শত্রু। কোন মুসলিম ব্লগার কবিতা লিখতে পারবেনা। গল্প লিখতে পারবেনা। তাদের যদি এখুনি সমূলে ধ্বংস না করা যায় তবে শেষ পর্যন্ত এমনটাই হবে। তাই যত দ্রুত আমরা আমাদের বিভ্রান্তি কাঁটাতে পারব, তত দ্রুতই আমরা প্রগতির পথে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারব।

পরিশেষে

এটা একটা মনোস্তাত্ত্বিক লেখা। গবেষণামুলক কিছু না। তাই আমার যুক্তির পক্ষে রেফারেন্স টেনে লেখা বড় করিনাই। শুধু নিজের ধারনাগুলো শেয়ার করেছি। সামু সম্পর্কে বলার সময় কিছু পুরানো উদাহরন টেনেছি। কারন সেসব বেশী প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। তবে আরো অনেক বিস্তারিত ভাবে অনেক কিছুই বলা যেত। সেসব নিয়ে অন্য কোনদিন লিখব।






মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে নিজ ধর্মের প্রতি একধরনের ভালোলাগার আবহ তৈরি হয়। এ দেশের অনেক মানুষই ধর্মীয় রীতি নীতির খুব একটা চর্চা না করলেও তারা ধর্মভীরু। অর্থাৎ তারা তাদের বিশ্বাসের উপর কোন রকমের আঘাত পছন্দ করেনা। এ ব্যাপারটি এ দেশের শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত উভয় শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। ব্লগার হত্যার পর মডারেট মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া দেখেও ব্যাপারটি খুব সহজেই বুঝে ফেলা যায়। তারা কোন ভাবেই এটা ভাবতে পারেন না যে, উক্ত ব্লগার দোষী নয়। অবশ্যই তারা কেউ এমন হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেন না। কিন্তু তারা মন থেকে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদও করতে পারেননা। বরং মুক্তচিন্তা বিকাশের নামে ধর্ম নিয়ে লেখালেখিকে তাদের কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়।

আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। ধর্মীয় সমালোচনা কিংবা ধর্মীয় ব্যক্তি/দেব-দেবীর সমালোচনা ঐ ধর্মের লোকদের কাছে অগ্রহণীয় একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যা ছিল ব্রিটিশ শাসনামলে ও পরে ধর্ম-রাজনৈতিক বিভক্তিতে তাতে চিড় ধরে। পরে এমন অবস্থা হয় যে দাঙাও হয়েছিল।
যাইহোক, এখন মুক্তমনা হত্যার ব্যাপারে যেটা বলব, এই খুনগুলো কিন্তু কমন জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কত গোপন খবর বের করার নজির স্থাপন করতে পারলেও এইসকল কোন খুনের ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কিছুই করতে পারল না। (??)
সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষিত অশিক্ষিত উভয় শ্রেণির অধিকাংশই ব্লগার হত্যায় অসন্তুষ্ট নন এবং প্রকারান্তরে এটা-ই সমর্থন করছেন। এটা জাতিগত মানসিক দৃষ্টিভংগির অধঃপতন বৈ কিছু নয়।

বিজ্ঞানের বিকাশের সময় থেকেই বিজ্ঞানের সাথে ধর্মীয় মতবাদের সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে। আমরা জানি একসময় “ পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে” এ কথাতেই চার্চের ভিত কেঁপে উঠেছিল। তারা তখন সাধারন মানুষকে এ বলে বিভ্রান্ত করেছিল যে, এসব হচ্ছে ধর্মের উপর আঘাত। বিজ্ঞানীরা পালিয়ে গোপন জায়গায় তাদের গবেষণা চালাত। সাধারন মানুষও তাদের শয়তানের পূজারী মনে করত। কিন্তু একসময় চার্চকে পরাজয় মানতে হয়েছিল। কারন যারা সত্যের অনুসন্ধানি, তাদেরকে বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে আঘাত করতেই হয়। আমরা যদি পর্যালোচনা করে দেখি যে, কিভাবে সভ্যতা বারবার পরিবর্তিত হয়েছে তবে দেখব কিছু মানুষ অনেকের বিশ্বাসে আঘাত হেনে তা ভেঙে ফেলতে পেরেছিল বলেই তা হয়েছে।

সত্যি বলতে কী, একটা সময় বিজ্ঞান কিন্তু ধর্মীয় পুরোহিত/মন্দিরেই চর্চা করা হতো অথচ সময়ের পরিক্রমায় আজ বিজ্ঞান ও ধর্ম উভয়ই পরস্পরের শত্রু হিসেবে আমাদের কাছে উপস্থাপিত হচ্ছে।
বিজ্ঞান বাস্তব জ্ঞান নিয়ে কাজ করে, কিন্তু ধর্ম কাজ করে অবাস্তব জ্ঞান নিয়ে। দুজনের পথ কিন্তু আলাদা।
আধুনিক জীবনযাত্রায় ধর্মের অসারতা দিন দিন বাড়ছে। জানি না, এটা মানবজাতিকে কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে তবে নৈতিকতা বাড়ানো ও পরমতসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করতে কাজ করা উচিত আমাদের। কারণ কারো মত প্রকাশে বাঁধা দেওয়া উচিত নয়, এবং তা নিয়ে হাংগামা করাও অনুচিত।
মুক্তমনা ব্লগারদের মধ্যে যারা যারা ধর্ম সমুহ নিয়ে লিখছেন, তাদের ব্যাপারে নোংড়ামির অভিযোগ পাওয়া যায় যেটা প্রকৃত মুক্তচিন্তকদের জন্য আশংকার বিষয়! আসলে হয়েছে কী, ইউরোপ আমেরিকা'র লোভে পড়ে অনেকে নিজের দর্শন-মুল্যবোধের বিসর্জন দিচ্ছে যেটা একজন আত্মসম্মানহীন মানুষদের পক্ষেই করা সম্ভব।
আমি চাই, মুক্তমনা'রা নিজেদের যৌক্তিক সমালোচনা দিয়ে জনসাধারণের কাছে নিজেদের প্রকাশ করুক আরো বেশি।
(অনেক গুরুত্বপুর্ণ টপিকে লেখার জন্য ধন্যবাদ রইল জিনি ভাই!)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

জেন রসি বলেছেন: আমি যা বলতে চেয়েছি, তা হচ্ছে যদি কোন ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করা অন্যায় না হয় তবে ধর্মীয় মতবাদকে যৌক্তিকভাবে সমালোচনা করা কেন অন্যায় হবে? যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কথা বলা হয়ে থাকে তবে সেটা কিন্তু এক ধর্মের প্রচারের মধ্যেই অপর ধর্মের অনুভুতিতে আঘাতের ব্যাপার চলে আসে। যেমন ইসলাম ধর্মে আছে যারা মূর্তি পূজা করে তারা শয়তানের পূজারী। আবার হিন্দু ধর্মে আছে যারা ইসলামের রীতিনীতি পালন করবে তারা নরকে যাবে। তাই সেসব প্রচারও আঘাত। কিন্তু সেসবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগেনা। কিন্তু যুক্তি দিয়ে বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বিশ্লেষণ করতে গেলেই অনুভূতিতে আঘাত লেগে যায়। এটা আসলে দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্ধ বিশ্বাসের কারনেই হয়ে থাকে বলে মনে করি।

ধন্যবাদ গেম ভাই, অনেক মূল্যবান এবং সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৩

বনমহুয়া বলেছেন: অসাধারণ ভাবনা চিন্তা ও লেখা। তবে কে কেনো ব্লগ করে জানিনা আমার বিশেষ উদ্দেশ্য কি জানি এবং এই নিয়ে কে কি করবে বা করতে পারে এসব চিন্তা মাথায় নাই। আপনার এই লেখা দেখে কমেন্ট করতেই ভয় লাগতেছে। ভয়ে ভয়ে বলি আমার বিশেষ উদ্দেশ্যে লেখা কবিতা পড়ার দাওয়াৎ দিয়ে গেলাম রসিভাই। সময় হইলে আমার বাড়ি আইসেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪২

জেন রসি বলেছেন: আপনার বিশেষ উদ্দেশ্যে লেখা কবিতা পড়ে এসেছি। নিজের উদ্দেশ্যে এবং কর্ম সম্পর্কে সচেতন থাকলে কে কি বলল বা করল তাতে খুব বেশী কিছু যায় আসেনা। আপনাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। :)

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৪

মোশারফ তানভীর বলেছেন: বর্তমানে মুক্তচিন্তা বাধার সম্মুখীন হয়েছে কেবল ধর্মীয় বিষয় নিয়ে খোচাখুচি করার কারণে!

ধর্মীয় বিষয়ে খোচাখুচি ছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে তথাকথিত মুক্তচিন্তাবিদরা সেটা মানতে চায় না! আর সেখানেই হয়েছে গন্ড্লটা!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯

জেন রসি বলেছেন: ধর্মীয় মতবাদ নিয়ে সব যুগের চিন্তাবিদরাই চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। এটা অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার না। বরং একের পর এক ব্লগার হত্যার মাধ্যমে অনেকটা মধ্যযুগের চেতনাই এ দেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৭

রামন বলেছেন: সেটাই। এদের উদ্দ্যেশ্য পরিস্কার, ঠিক '৭১ সালের মত. বেছে বেছে বুদ্ধিজীবী ও মাস্টার মাইন্ডদের হত্যা করা। তবে আমি হতাশ এই জন্য যে এদের নির্মূল করা সহজ হবে না যেখানে সরকার নিজেরাই এ নিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কথা বলে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছে। কয়েকদিন পর তারা বলবে গল্প কিংবা কবিতা লেখাও হারাম। এখনই সরকারের মধ্যে থেকেই বলছে পহেলা বৈশাখ নিষিদ্ধ করতে হবে। আমার মনে হয় সরকার তাদের প্রশ্রয় দিয়ে অনেক বড় ভুল করছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৩

পূবাল হাওয়া বলেছেন: পুরো লেখাটাই খুব মন দিয়ে পড়লাম। লেখটি মনোস্তাত্ত্বিক লেখা হলেও গবেষণার দিক থেকেও সত্য। শুধু রাজনৈতিক কেন, পারিবারিক রাজনীতি আমার মনে হয় দেশ রাজনৈতিকের চেয়েও ভয়াবহ। যা আমি নিজেই এখন এই অবেলাতে বুঝতে পারছি। অন্যর ক্ষতি সাধনে মানুষের মন এতটা বিকৃত স্বভাবের কি করে হয়, ভাবতে অবাক লাগে।

আপনার পোস্টটি সচেতন মুলক। নতুন মানুষ হিসেবে তবু একটি আবদার রাখবো, শুধু দেশ রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক, সামাজিক রাজনৈতিক গুলোও তুলে ধরবেন কবি। মানুষ যেন সাফারার না হয়। এক জনের কবিতা লেখা চুরি করে যেন অন্য আরেকজন কবি বনে না জান, সে দিকটাতেও অন্তত লেখক সমাজের দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। যদিও বার বার চেষ্টা করে আমি আমার আসল পরিচয়ে এখানে ইন করতে পারিনি, কারন কেউ একজন সে নাম ব্যাবহার করে যাচ্ছে। ভালো থাকুন কবি জন রসি।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

জেন রসি বলেছেন: পারিবারিক কিংবা সামাজিক রাজনীতি বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট ভাবে বুঝি নাই। মানুষের মধ্যে সবরকম প্রবৃত্তি আছে। কিন্তু সে কোনটার চর্চা করবে তার সাথে কালচারাল পারিপার্শ্বিকতার একটা সম্পর্ক আছে। তাই বেটার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতে না পারলে মানুষের প্রতিক্রিয়াও ভালো হবেনা।

আপনার আসল পরিচয় কেন বলতে পারছেন না? আর আপনার কবিতা কি কেউ চুরি করে প্রকাশ করছে? যদি করে থাকে তবে প্রতিবাদ করুন। তাকে ধরিয়ে দেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৭

পূবাল হাওয়া বলেছেন: সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কত গোপন খবর বের করার নজির স্থাপন করতে পারলেও এইসকল কোন খুনের ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কিছুই করতে পারল না। (??)

লেখক গেম ভাইয়ের এই লেখাটির সাথে সম্পূর্ণ ভাবে একমত। সেই সাথে আজ বড় দুঃখের সহিত বলতে হয়, সব কিছু সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার উপর হাল না ছেড়ে নিজেদের সচেতন হওয়া শ্রেষ্ঠ। নিশ্চয়ই এই দেশের লেখক সমাজ একেবারে ঘিলুহীন নয়। বরং কখনো কখনো এরাই তুলে ধরতে পারেন তাদের চেয়েও অধিক বেশি সৎ এবং সত্য তথ্য।

দুই কবিকে আবার ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

জেন রসি বলেছেন: গেম ভাইয়ের এ কথাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ । কারন আসলেই এ ব্যাপারে প্রসাশনকে অনেকটাই উদাসীন মনে হচ্ছে। তাদের কিছু স্টেটমেন্ট শুনে মনে হয়েছে এসব ব্লগার হত্যা ক্তাদের কাছে কোন ভয়াবহ সমস্যা না। উল্টা তারা ব্লগারদেরই না লেখার জন্য উৎসাহিত করছেন। তাই তাদের কর্মকাণ্ডে আমাদের আস্থা কমে গেছে এবং সন্দেহও হচ্ছে।

যারা সচেতন ভাবে লিখছেন এবং তথ্য তুলে ধরছেন তাদের জীবনও আজ হুমকির মুখে। কারন যারা মুক্তচিন্তার চর্চা করছে তাদের রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে পারছেনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাষ্ট্র কি আসলেই তা দিতে অক্ষম নাকি তারা তা চাচ্ছেই না?

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




চোখ যা দেখেনা , মন তা জানেনা । আবার মন যা জানেনা , চোখ তা দেখেনা ।

আপনার তুলে ধরা এই বিভ্রান্তির উত্তরে এই লাইনটিই মনে হয় যথেষ্ট ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

জেন রসি বলেছেন: বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।
বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো।
অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায়
অনায়াসে সম্মতি দিও না।
কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়,
তারা আর কিছুই করে না,
তারা আত্মবিনাশের পথ
পরিস্কার করে।

আমার প্রিয় কবিতার কয়েকটি লাইন। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কি চমৎকার ভাবেই না বলে গেছেন।

ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় জেন রসি,
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর মুক্তচিন্তা, ধ্যান ধারণা ও নিজস্ব কিছু মতবাদ দিয়ে পোস্টটি লিখবার জন্য। আপনার লেখাটি পড়ে প্রথমেই মনে পড়ে গেলো একটি শব্দ, সমাজবিপ্লব। সমাজবিপ্লব কথাটিরও আগে আরও দুটি কথা আসে এক প্রগতি ও আরেক প্রগতিশীল মানুষ। প্রগতিশীল মানুষ সমাজের ঘুণে ধরা জরাকে দূর করতে যুগে যুগে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন৷যার ফলে সেই আদিম সমাজ ব্যাবস্থার নানা ত্রুটি সারিয়ে আজ আমরা এখানে দাঁড়াতে পেরেছি। প্রগতিশীল মানুষের কাজই নিজে সৃষ্টিশীল কাজ করা এবং অন্যদের উৎসাহিত করে৷ চেতনায় বিপ্লব ঘটানো।
এবার আসি সমাজবিপ্লব ব্যাপারটিতে। পুরনো সমাজব্যবস্থা থেকে প্রগতিশীল শক্তিগুলোর মাধ্যমে সাধিত বিকাশের একটি গুণগত, নতুন ও উচ্চতর পর্যায়ের দিকে সমাজের অগ্রগতি, একটি নতুন ও প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থায় উত্তরণই সমাজবিপ্লব। আসলে প্রগতিশীলতা কখনও থেমে থাকেনা এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া৷ বর্তমানকে ভবিষ্যতের যৌক্তিকতায় ধারন করা এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে এবং সমাজকে নির্দেশনা দেয়াই হচ্ছে প্রগতিশীলতা৷অতীত আকড়ে পড়ে থাকা বা বদ্ধমূল ধারনায় আটকে থাকতে সে নারাজ।

তাহলে হালের বহুল প্রচলিত এই মুক্তচিন্তা কি? মুক্তচিন্তা মূলত এক প্রকার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি। মুক্তচিন্তা মনে করে, এ পার্থীব জগতের সামনে আসা সকল প্রশ্নকে বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা ও যুক্তির আলোকে বিচার করা উচিত। সে মনে করে প্রথা, অন্ধবিশ্বাস এবং পূর্ব নির্ধারিত সত্য দ্বারা প্রভাবিত হওয়া মতামত গঠনের ক্ষেত্রে বাঞ্চনীয় নয়৷
মুক্তমনারা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, বাস্তব সত্য এবং যুক্তির আলোকে মত গড়ে তোলে এবং পক্ষপাত দুষ্টতা, লোকজ্ঞান, জনপ্রিয় সংস্কৃতি, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, প্রথা, গুজব এবং অন্য সব গোঁড়া, বৌদ্ধিক প্রতিবন্ধকতার উৎসাহদাতার ভূমিকা পালনকারী শাস্ত্র থেকে নিজেদের বিরত রাখে।

তাই বলে মুক্তচিন্তা মানে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় চিন্তা না করেই খেয়াল-খুশি মতো যে কোনো কিছু করা বা বলা নয়৷ জাগতিক কোনো কিছুই নিয়মের বাইরে নয়৷ সমাজ বিকাশের নিয়ম মেনে চিন্তা ও কাজ করতে পারার নামই প্রগতিশীলতা৷ সমাজ বিকাশের নিয়মকে অস্বীকার করে কখনো মুক্তচিন্তক বা স্বাধীন মানুষ হওয়া যায় না৷ বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকেই মানুষের স্বাধীনতা অর্জিত হতে পারে৷ এ স্বাধীনতা যে অর্জন করতে পারে, সেই অন্ধবিশ্বাস, চিরায়ত প্রথা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শেখে। এই প্রশ্নই নতুন জ্ঞান-নতুন চিন্তার জন্ম দেয়৷ একটি সত্যিকারের মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র মুক্তচিন্তা ও চিন্তার স্বাধীনতার পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারে৷
সমাজ পরিবর্তনে এই সমাজ বিপ্লব তথা মুক্তচিন্তার প্রয়োজন আছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

জেন রসি বলেছেন: এবার আসি সমাজবিপ্লব ব্যাপারটিতে। পুরনো সমাজব্যবস্থা থেকে প্রগতিশীল শক্তিগুলোর মাধ্যমে সাধিত বিকাশের একটি গুণগত, নতুন ও উচ্চতর পর্যায়ের দিকে সমাজের অগ্রগতি, একটি নতুন ও প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থায় উত্তরণই সমাজবিপ্লব। আসলে প্রগতিশীলতা কখনও থেমে থাকেনা এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া৷ বর্তমানকে ভবিষ্যতের যৌক্তিকতায় ধারন করা এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে এবং সমাজকে নির্দেশনা দেয়াই হচ্ছে প্রগতিশীলতা৷অতীত আকড়ে পড়ে থাকা বা বদ্ধমূল ধারনায় আটকে থাকতে সে নারাজ।

সমাজের মধ্যে অনেক কিছুই দ্বান্দ্বিক অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। যেমন কোন মতবাদকে কেন্দ্র করে কোন সমাজ কাঠামো গড়ে উঠলে সেই মতবাদের বিপরীত মতবাদও বিদ্যমান থাকে। কিন্তু তখন যাচাই বাছাই করে দেখতে হয় আমরা যা চর্চা করছি তা আসলেই একমাত্র যৌক্তিক পথ নাকি তার চেয়েও উন্নত কোন রাস্তা আছে আমাদের হাঁটার জন্য। উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষা থেকেই সমাজ বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, বিবর্তিত হয়েছে। পরিবর্তন কখনো থেমে থাকে না কারন পরম সত্য বলে কোন ব্যাপার নেই। বরং পরম সত্য ভেবে অতীতের বদ্ধমূল ধারনা নিইয়ে বসে থাকাটাই সামাজিক বিকাশ কিংবা মানুষের আত্মবিকাশের পথে বাঁধার সৃষ্টি করে।

তাহলে হালের বহুল প্রচলিত এই মুক্তচিন্তা কি? মুক্তচিন্তা মূলত এক প্রকার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি। মুক্তচিন্তা মনে করে, এ পার্থীব জগতের সামনে আসা সকল প্রশ্নকে বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা ও যুক্তির আলোকে বিচার করা উচিত। সে মনে করে প্রথা, অন্ধবিশ্বাস এবং পূর্ব নির্ধারিত সত্য দ্বারা প্রভাবিত হওয়া মতামত গঠনের ক্ষেত্রে বাঞ্চনীয় নয়৷
মুক্তমনারা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, বাস্তব সত্য এবং যুক্তির আলোকে মত গড়ে তোলে এবং পক্ষপাত দুষ্টতা, লোকজ্ঞান, জনপ্রিয় সংস্কৃতি, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, প্রথা, গুজব এবং অন্য সব গোঁড়া, বৌদ্ধিক প্রতিবন্ধকতার উৎসাহদাতার ভূমিকা পালনকারী শাস্ত্র থেকে নিজেদের বিরত রাখে।


মানুষ যদি তার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার আলোকে প্রচলিত বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারত, তবে এখনো তারা বনে বসে বনদেবতার পূজাই করত।কিন্তু মানুষ অন্ধ বিশ্বাস থেকে বের হয়ে এসে সেই বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পেরেছে বলেই বারবার সমাজ পরিবর্তিত হয়েছে। এমনকি ধর্মপ্রচারকরাও পূর্বের সকল বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেই নতুন বিশ্বাসের প্রচার করেছিলেন। তাই আমি মনে করি যেকোনো বিশ্বাসকে, চর্চাকে যৌক্তিক ভাবে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার আলোকে যাচাই বাছাই করাটাই আসলে মুক্তচিন্তা। লোকজ্ঞান, জনপ্রিয় সংস্কৃতি, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, প্রথা, গুজব এসব কিছুই সামাজিক প্রতিক্রিয়া। এসবও সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়। এখন যৌক্তিক উপায়ে যাচাই বাছাই করে এসব কিভাবে চর্চা করব সেটা ঠিক করাটাই আসলে মুক্তচিন্তা।

তাই বলে মুক্তচিন্তা মানে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় চিন্তা না করেই খেয়াল-খুশি মতো যে কোনো কিছু করা বা বলা নয়৷ জাগতিক কোনো কিছুই নিয়মের বাইরে নয়৷ সমাজ বিকাশের নিয়ম মেনে চিন্তা ও কাজ করতে পারার নামই প্রগতিশীলতা৷ সমাজ বিকাশের নিয়মকে অস্বীকার করে কখনো মুক্তচিন্তক বা স্বাধীন মানুষ হওয়া যায় না৷ বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকেই মানুষের স্বাধীনতা অর্জিত হতে পারে৷ এ স্বাধীনতা যে অর্জন করতে পারে, সেই অন্ধবিশ্বাস, চিরায়ত প্রথা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শেখে। এই প্রশ্নই নতুন জ্ঞান-নতুন চিন্তার জন্ম দেয়৷ একটি সত্যিকারের মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র মুক্তচিন্তা ও চিন্তার স্বাধীনতার পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারে৷
সমাজ পরিবর্তনে এই সমাজ বিপ্লব তথা মুক্তচিন্তার প্রয়োজন আছে।


মুক্তচিন্তা মানে অবশ্যই যা ইচ্ছা তা বলে ফেলার ব্যাপার না। বরং অন্ধ বিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়ে চিন্তা করাটাই মুক্তচিন্তা। অযৌক্তিক কিছু কখনই মুক্তচিন্তা হতে পারেনা। মুক্তচিন্তা এবং ফ্যান্টাসির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। আমি যা বলছি, কেন বলছি! যা চর্চা করছি কেন করছি- এসব যুক্তির আলোকে যাচাই বাছাই করাটাই মুক্তচিন্তা। যেমন উদাহরন হিসাবে বলি একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। সেটার সাথে ধর্মীয় এবং সামাজিক রীতি এবং বিশ্বাস জড়িত ছিল। কিন্তু রাজা রামমোহন রায় সেসব থেকে মুক্ত ভাবে চিন্তা করে দেখেছিলেন যে এ প্রথা অযৌক্তিক এবং নিষ্ঠুর। তিনি প্রচলিত বিশ্বাস কিংবা রীতির মূলে আঘাত করতে পেরেছিলেন বলেই সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে পেরেছিলেন।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।


৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪১

অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা বলেছেন: কোনো ধর্ম, গোষ্ঠী, ব্যাক্তি বিশেষের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো বা তাঁদের আঘাত করা অন্যায় এবং এটা কখনও কাম্য নয়৷কোনো লেখা বা ব্লগ যখন ঘৃণা ছড়ায়, বিদ্বেষ উগরে দেয় তখন তা প্রগতিশীলতা নয়৷ যা আপনি আপনার লেখাতেও বলেছেন।

ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা, ধর্মবিদ্বেষ কিংবা ধর্মান্ধতা; এ সবগুলোই প্রগতিবিরোধী ও অমানবিক৷ নিজের চিন্তা এবং মত প্রকাশের যেমন স্বাধীনতা আছে, তেমনি এই স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশ যেন অন্যের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত না করে, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে৷ গ্যালিলিও কিংবা বিদ্যাসাগর, বেগম রোকেয়া বা আরও মনীষীরাও মুক্তচিন্তার চর্চা করেছেন তা সমাজকে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, গোঁড়ামি থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করেছে৷ এ কথাগুলি মনে রেখেই আমাদের স্বাধীন মুক্তচিন্তা নিয়ে সমাজ বিকাশের পথে দ্বন্দহীন ভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

জেন রসি বলেছেন: এখানে আমার কিছু বলার আছে। যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং ঘৃণা ছড়ানো- এ দুটো ব্যাপারকে এক করে দেখার একটা প্রবনতা আমাদের মধ্যে আছে। আমরা যখন যুক্তি দিয়ে কোন মতবাদকে বাতিল করার চেষ্টা করি তখন সেই মতবাদের খারাপ দিকগুলো এবং কেন তা বাতিল সেসব ব্যাপারও খুব স্পষ্ট ভাবে উঠে আসবে। এখন সেটাকে যদি মূল্যবোধে আঘাত বলা হয় তবে সেটা বিভ্রান্তি। সেটাকে বলা যেতে পারে বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে আঘাত যা সব যুগেই যুগের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা করে এসেছে।

কিন্তু তা বলে গালিগালাজ করে অযৌক্তিক ভাবে আক্রমন করা কোন ভাবেই ঠিকনা। সেটাও প্রতিক্রিয়াশীলদের মত কাজ হবে। মুক্তচিন্তার নামে অনেকে এমন চর্চা করছে তাও ঠিক। কিন্তু তাই বলে এটার কারনে জঙ্গিদের হাতে ব্লগার হত্যার ব্যাপার থেকে ফোকাস সরানো হবে বিপদজনক পদক্ষেপ। আমাদের বুঝতে হবে এই জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিলে এরা সব ক্ষেত্রেই আঘাত করে বসবে।

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

যুগল শব্দ বলেছেন:
কি যে করি !! :-*

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

জেন রসি বলেছেন: প্রতিবাদ করুন! ;)

ধন্যবাদ। :)

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৩

সুমন কর বলেছেন: পরে আসবো !!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

জেন রসি বলেছেন: অবশ্যই আসবেন।

আপনাদের মূল্যবান ধারনা থেকেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে।

ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৪

মশার কয়েল বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়লাম ৷ভাল লাগলো ৷মুক্তচিন্তার অধিকার সবারই আছে ৷এক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো মানে চিন্তকের অধিকার হরণ করা ৷তবে ধর্মীয় সমালোচনার ক্ষেত্রে তথাকথিত কিছু মুক্তমনা যে লেখনি দিয়েছে তাতে তাদের আমার কাছে কোনভাবেই মুক্তমনা মনে হয়নি ৷বরং তাদের আমি কলুষিত মনের অধিকারী বলে সম্বোধন করতেই বেশী পছন্দ করি ৷ধর্মীয় কোন কর্মকান্ড ভালো না লাগলে সেটার সমালোচনা হওয়াটা স্বাভাবীক ৷আপনার ভালো লাগেনি আপনি সমালোচনা করতেই পারেন ৷এটা আপনার অধিকার ৷কিন্তু ঐসকল কলুষিত মনের মানুষগুলো যেভাবে ধর্ম নিয়ে নোংরা কথা লিখেছে সেটা কখনই বাকস্বাধীনতা নয় ৷সমাজে সকলেরই স্বাধীনভাবে বাস করতে দেওয়া হয় ৷কিন্তু চোরকে চুরি করতে দেওয়া হয় না ৷এক্ষেত্রে চোর কিন্তু দাবী করতে পারে যে সকলের মতোই সে সমাজে বাস করে তবে কেন তাকে চুরির অধিকার দেওয়া হয় না?আসলে চুরি হচ্ছে অপরাধ তাই চুরির অধিকার দেওয়া হয় না ৷ঠিক তেমনি ধর্ম নিয়ে নোংরা মন্তব্য করাও একটা অপরাধ ৷মুক্তচিন্তকদের চিন্তা হতে হবে মুক্ত,নোংরা নয় ৷চরমপন্থীতাই বর্তমানের ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী ৷মুক্তমনা দাবিকারী চরমপন্থীরা খুন হচ্ছে ধর্মীয় চরমপন্থীদের হাতে ৷এইসকল চরমপন্থীদের কারণে কেউ মুক্তচিন্তাকে খারাপভাবে দেখছে,কেউ ধর্মকে খারাপভাবে দেখছে ৷চরমপন্থীতা বন্ধে সরকারে ভূমিকা নিয়ে আমার সন্দেহের শেষ নেই ৷আসলে সরকার চাচ্ছে কি?এই দুই চরমপন্থী দলের একদলকে জিয়ে রাখা নাকি দুইটাকে নিজের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা? সরকারের এইরকম ভূমিকার কারণেই কিছুদিন পরপর এরকম ঘটনার কথা আমাদের শুনতে হচ্ছে ৷পরিশেষে লেখককে একটা প্রশ্ন করতে চাই,আপনি কমেন্টের একযায়গায় আপনি "মধ্যযুগীয় চেতনা" কথাটি ব্যবহার করেছেন ৷অনেকজায়গাতেই কথাটি চোখে পরে ৷আমি আসলে বুঝতে পারিনা কথাটি দ্বারা কোন সময়টাকে বোঝানো হয় ৷দয়াকরে জানাবেন ৷

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২১

জেন রসি বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়লাম ৷ভাল লাগলো ৷মুক্তচিন্তার অধিকার সবারই আছে ৷এক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো মানে চিন্তকের অধিকার হরণ করা ৷তবে ধর্মীয় সমালোচনার ক্ষেত্রে তথাকথিত কিছু মুক্তমনা যে লেখনি দিয়েছে তাতে তাদের আমার কাছে কোনভাবেই মুক্তমনা মনে হয়নি ৷বরং তাদের আমি কলুষিত মনের অধিকারী বলে সম্বোধন করতেই বেশী পছন্দ করি ৷ধর্মীয় কোন কর্মকান্ড ভালো না লাগলে সেটার সমালোচনা হওয়াটা স্বাভাবীক ৷আপনার ভালো লাগেনি আপনি সমালোচনা করতেই পারেন ৷এটা আপনার অধিকার ৷কিন্তু ঐসকল কলুষিত মনের মানুষগুলো যেভাবে ধর্ম নিয়ে নোংরা কথা লিখেছে সেটা কখনই বাকস্বাধীনতা নয় ৷সমাজে সকলেরই স্বাধীনভাবে বাস করতে দেওয়া হয় ৷কিন্তু চোরকে চুরি করতে দেওয়া হয় না ৷এক্ষেত্রে চোর কিন্তু দাবী করতে পারে যে সকলের মতোই সে সমাজে বাস করে তবে কেন তাকে চুরির অধিকার দেওয়া হয় না?আসলে চুরি হচ্ছে অপরাধ তাই চুরির অধিকার দেওয়া হয় না ৷ঠিক তেমনি ধর্ম নিয়ে নোংরা মন্তব্য করাও একটা অপরাধ ৷মুক্তচিন্তকদের চিন্তা হতে হবে মুক্ত,নোংরা নয়

আমি খুব স্পষ্ট করেই বলেছি বাকস্বাধীনতা কিংবা মুক্তচিন্তা মানে যা ইচ্ছা তা বলে ফেলা না। ব্লগার অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা করা মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আমি বলেছি, “মুক্তচিন্তা মানে অবশ্যই যা ইচ্ছা তা বলে ফেলার ব্যাপার না। বরং অন্ধ বিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়ে চিন্তা করাটাই মুক্তচিন্তা। অযৌক্তিক কিছু কখনই মুক্তচিন্তা হতে পারেনা। মুক্তচিন্তা এবং ফ্যান্টাসির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। আমি যা বলছি, কেন বলছি! যা চর্চা করছি কেন করছি- এসব যুক্তির আলোকে যাচাই বাছাই করাটাই মুক্তচিন্তা। যেমন উদাহরন হিসাবে বলি একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। সেটার সাথে ধর্মীয় এবং সামাজিক রীতি এবং বিশ্বাস জড়িত ছিল। কিন্তু রাজা রামমোহন রায় সেসব থেকে মুক্ত ভাবে চিন্তা করে দেখেছিলেন যে এ প্রথা অযৌক্তিক এবং নিষ্ঠুর। তিনি প্রচলিত বিশ্বাস কিংবা রীতির মূলে আঘাত করতে পেরেছিলেন বলেই সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে পেরেছিলেন।“

যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং ঘৃণা ছড়ানো- এ দুটো ব্যাপারকে এক করে দেখার একটা প্রবনতা আমাদের মধ্যে আছে। আমরা যখন যুক্তি দিয়ে কোন মতবাদকে বাতিল করার চেষ্টা করি তখন সেই মতবাদের খারাপ দিকগুলো এবং কেন তা বাতিল সেসব ব্যাপারও খুব স্পষ্ট ভাবে উঠে আসবে। এখন সেটাকে যদি মূল্যবোধে আঘাত বলা হয় তবে সেটা বিভ্রান্তি। সেটাকে বলা যেতে পারে বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে আঘাত যা সব যুগেই যুগের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা করে এসেছে।

কিন্তু তা বলে গালিগালাজ করে অযৌক্তিক ভাবে আক্রমন করা কোন ভাবেই ঠিকনা। সেটাও প্রতিক্রিয়াশীলদের মত কাজ হবে। মুক্তচিন্তার নামে অনেকে এমন চর্চা করছে তাও ঠিক। কিন্তু তাই বলে এটার কারনে জঙ্গিদের হাতে ব্লগার হত্যার ব্যাপার থেকে ফোকাস সরানো হবে বিপদজনক পদক্ষেপ। আমাদের বুঝতে হবে এই জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিলে এরা সব ক্ষেত্রেই আঘাত করে বসবে।

চরমপন্থীতাই বর্তমানের ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী ৷মুক্তমনা দাবিকারী চরমপন্থীরা খুন হচ্ছে ধর্মীয় চরমপন্থীদের হাতে ৷এইসকল চরমপন্থীদের কারণে কেউ মুক্তচিন্তাকে খারাপভাবে দেখছে,কেউ ধর্মকে খারাপভাবে দেখছে ৷চরমপন্থীতা বন্ধে সরকারে ভূমিকা নিয়ে আমার সন্দেহের শেষ নেই ৷আসলে সরকার চাচ্ছে কি?এই দুই চরমপন্থী দলের একদলকে জিয়ে রাখা নাকি দুইটাকে নিজের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা? সরকারের এইরকম ভূমিকার কারণেই কিছুদিন পরপর এরকম ঘটনার কথা আমাদের শুনতে হচ্ছে ৷পরিশেষে লেখককে একটা প্রশ্ন করতে চাই,আপনি কমেন্টের একযায়গায় আপনি "মধ্যযুগীয় চেতনা" কথাটি ব্যবহার করেছেন ৷অনেকজায়গাতেই কথাটি চোখে পরে ৷আমি আসলে বুঝতে পারিনা কথাটি দ্বারা কোন সময়টাকে বোঝানো হয় ৷দয়াকরে জানাবেন ৷

এখানে আপনি চরমপন্থী বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা নিয়েও কিছুটা বিভ্রান্তি থেকে যায়। আমি যদি আপনার ধর্ম পালনে বাঁধা দেই তবে সেটা চরম্পন্থা হবে। কিন্তু আমি যদি মনে করি আপনার বিশ্বাস যৌক্তিক না এবং কেন না সেটার ব্যাখ্যা দেই তবে সেটা চরমপন্থা না। বরং সেটা হবে অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে অবিচল থাকা। যদি এমন হত যে, কোন মুক্তমনা কারো মসজিদ কিংবা মন্দির ভেঙে দিয়েছে তবে সেটা চরমপন্থা হত। কিন্তু কেউ তেমন করেনি। বরং যুক্তি দিয়ে তারা বিশ্বাসকে আঘাত করছে। তার বলদে যদি প্রতিপক্ষও কলম কিংবা লেখা দিয়ে তার জবাব দিত তবে সেটা হত মতবাদ নিয়ে বিতর্ক। কিন্তু তা না করে ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। তাই আমি বলব অন্ধ বিশ্বাসে আক্রান্ত চরমপন্থীদের হাতে ব্লগাররা নিহত হচ্ছে। মুক্তচিন্তাকে ত্রাসের মাধ্যমে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে সরকারের ভূমিকাও অবশ্যই সন্দেহজনক। কারন আসলেই এ ব্যাপারে প্রসাশনকে অনেকটাই উদাসীন মনে হচ্ছে। তাদের কিছু স্টেটমেন্ট শুনে মনে হয়েছে এসব ব্লগার হত্যা ক্তাদের কাছে কোন ভয়াবহ সমস্যা না। উল্টা তারা ব্লগারদেরই না লেখার জন্য উৎসাহিত করছেন। তাই তাদের কর্মকাণ্ডে আমাদের আস্থা কমে গেছে এবং সন্দেহও হচ্ছে।

মধ্যযুগ বলতে আমি চার্চের আধিপত্যের সময়টাকে বুঝিয়ে থাকি।। ঠিক নবজাগরণের পূর্ব সময় পর্যন্ত। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে তখন শুধু ইউরোপ না, আরব এবং ভারতবর্ষেও ধর্মীয় বিশ্বাসের নামে চলেছে হত্যা, ভয় দেখানো এবং নির্যাতনের নিষ্ঠুর আয়োজন।

সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: স্বভাবতই বাঙ্গালী জাতি ধর্মভীরু।। কিন্তু সব হত্যাকান্ডকেই জায়েয করা হচ্ছে, জঙ্গী বা তথাকথিত আইএসের নামে।। যার প্রতিক্রিয়া স্বভাবতঃই মুসলিমদের উপরে পড়ছে।। প্রসঙ্গতঃ একটি কথা বলি, '৭২য়ের পরবর্তি সময়ে ডাকাতি হলেও, তাদের যাওয়ার সময় শ্লোগানে সর্বহারার নাম আসতো।। লোকজনও তাই বিশ্বাস করতো।। ভারতেও এর উদাহরন আছে।। আছে পাকিস্তানেও।।
আপনি প্রকাশ করুন আপনার ভাবনাকে ট্যাগ খাবেন।। তবে কিন্তু সামুতে এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি যা দেখেছি তা হচ্ছে একধরনের এড়িয়ে চলার মনোভাব। এখানে গতানুগতিক ধারার বাইরে কিছু ভাবা হলে তাকে খুব একটা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়না। আর সামুর অবস্থাতো আপনার লেখাতেই পেলাম।। আরো যুক্তসংগত হলো এখন মুক্তমনা হত্যার ব্যাপারে যেটা বলব, এই খুনগুলো কিন্তু কমন জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কত গোপন খবর বের করার নজির স্থাপন করতে পারলেও এইসকল কোন খুনের ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কিছুই করতে পারল না। (??) অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলছি, সামুর দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে নূতন নিকগুলির লেখা!!
আমরা মুক্তমনার নাম নিয়ে একটা "বিশেষ পরিকল্পনাই" বাস্তবায়ীত করছি।। মেক্সিকোর অবস্থা কি?? প্রতিদিন কত লাশ, কত টুকরায় পাওয়া যায়??!! তারপরও কিন্তু আমরাই খারাপ।।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

জেন রসি বলেছেন: স্বভাবতই বাঙ্গালী জাতি ধর্মভীরু।। কিন্তু সব হত্যাকান্ডকেই জায়েয করা হচ্ছে, জঙ্গী বা তথাকথিত আইএসের নামে।। যার প্রতিক্রিয়া স্বভাবতঃই মুসলিমদের উপরে পড়ছে।। প্রসঙ্গতঃ একটি কথা বলি, '৭২য়ের পরবর্তি সময়ে ডাকাতি হলেও, তাদের যাওয়ার সময় শ্লোগানে সর্বহারার নাম আসতো।। লোকজনও তাই বিশ্বাস করতো।। ভারতেও এর উদাহরন আছে।। আছে পাকিস্তানেও।।

একটি জাতি যখন ভয়ানক বিভ্রান্তির মাঝে আবদ্ধ হয়ে যায় তখন এমনই ঘটে। সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করেই তাদের স্বার্থে লাদেনের জন্ম দিয়েছিল। তাই অন্ধ বিশ্বাস সবসময়ই ভয়ংকর একটা ব্যাপার। কারন অন্ধ বিশ্বাসকে নিয়ন্ত্রন করে অনেক ভয়াবহ কাজ করে ফেলা যায়। এখন আমাদের বুঝতে হবে আমাদের প্রধান শত্রু কারা। এই অন্ধ বিশ্বাস ধারণকারী হত্যাকারী জঙ্গিরা নাকি যেসব ব্লগার অন্ধত্ব দূর করার চেষ্টা করছে তারা?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:২০

প্রবাসী একজন বলেছেন: চমতকার বিশ্লেষন- তবে একটা কথা আমি না বলে পারছি না। আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সুশাসন, সু-শিক্ষা, বেকারত্ব... নৈতিক অবক্ষয় আর এ ব্যাপার গুলো সুষ্ঠভাবে সামাজিক ভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

আর এ সব সমস্যার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেনীর মানুষ যার ফলশ্রুতিতে আজ এমন সব ঘটনা ঘটছে যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি।


২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

জেন রসি বলেছেন: ভঙ্গুর আর্থসামাজিক কাঠামো যেকোন সমস্যার মূল কারন। অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকলে অপরাধ থাকবেই। মানুষকে খুব সহজে বিভ্রান্ত করে তাদের প্রতিক্রিয়াশীল বানিয়ে ফেলা যায়। তাই অবশ্যই আমাদের যৌক্তিক ভাবে সবকিছু বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। নাহলে আমাদের নিশ্চুপ অবস্থান আরো খারাপ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: জঙ্গিরা এখন মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যা করছে। তারা কারন হিসাবে বলছে যে, তারা আসলে ইসলামের শত্রু। কয়েকদিন পর তারা বলবে সব ব্লগাররাই ইসলামের শত্রু। কোন মুসলিম ব্লগার কবিতা লিখতে পারবেনা। গল্প লিখতে পারবেনা। তাদের যদি এখুনি সমূলে ধ্বংস না করা যায় তবে শেষ পর্যন্ত এমনটাই হবে। তাই যত দ্রুত আমরা আমাদের বিভ্রান্তি কাঁটাতে পারব, তত দ্রুতই আমরা প্রগতির পথে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারব।

হত্যাকারীরা সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে।তাদেরও একটা লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকে,এই ভাইরাস প্রতিরোধের ব্যবস্হা না করলে এক পর্যায়ে একজন সরল ধার্মিকও এদের হাত হতে বাঁচার সুযোগ পাবে না!অবশ্য এখনো তাই হচ্ছে

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

জেন রসি বলেছেন: ইতিহাস থেকেও আমরা এমন শিক্ষাই পাই। তারা খুব পরিকল্পিত ভাবে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। এখনই যদি তাদের থামানো না যায়, তবে এসব জঙ্গিরা ইসলামের শত্রু বলে যাকে ইচ্ছা তাকেই হত্যা করা শুরু করবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়ে চমৎকার করে ভেবেছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা ভাই।

এসব বিষয়ে আপনার ভাবনা কি? আপনার কোন এক মন্তব্যে দেখেছিলাম, বলেছিলেন যে, ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা আরো একশ বছর পূর্বেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এই স্টেটমেন্টটি একদিন সময় করে ব্যাখ্যা করলে আনন্দিত হব।

খবর পেয়েছি নতুন জীবন শুরু করেছেন! :P

অভিনন্দন এবং আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। :)

১৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: আমি কারও সাথেও নাই পাছেও নাই। কে কি বললো তাতেও আমার কিছু যাই আসেনা। সবারই নিজস্ব সক্রীয়তা থাকে, সেটাকে নিজের সাথে না মিললে তুচ্ছ জ্ঞান করাটা ভুল।

তবে আমি মনে করি যেটা অন্যায় সেটার বিরুদ্ধে সবার এক হওয়া উচিত।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

জেন রসি বলেছেন: বৈচিত্র্যই সুন্দর। তাই আমাদেরকে বুঝতে হবে আজ কারা সেই বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। আমাদের বিভ্রান্ত মনই তাদের শক্তির প্রধান উৎস।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
++++

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

আহমাদ সালেহ বলেছেন: আমরা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেই ব্লগিং করি।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

জেন রসি বলেছেন: শুভব্লগিং।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২

চিত্রনাট্য বলেছেন: প্রথমেই বলছি জঙ্গি হিসেবে যাদের ধরা হচ্ছে তারা সবাই অন্ধ, তারা মুক্তমনা নয়। তারা সুন্দর করে ভাবতে পারে না। তাদেরকে বোঝানো হয়েছে, এগুলো ধর্মের অঙ্গ।

সাড়ম্বরে বৈশাখ বরণ এটা আমাদের সংস্কৃতি হোক আর লোকাচারেই হোক আমরা তাতে আনন্দ পাই, আমরা তা পালন
করে কিছু সময়ের জন্য হলেও ভালো থাকি। এখন আমি হচ্ছি মুক্তমনা … কেন তোমরা এই অর্থহীন লোকাচার পালন করবা? নতুনই জীবন, তাই এইই পুরানো কিছুতে আঁকড়ে থেকে লাভ কি?

আপনি আপনার মাকে ভালোবাসেন, সমস্ত ধর্মগ্রন্থতে সন্তানের কর্তব্য নিয়ে অনেক কিছু লেখা আছে। আমি তো আসলে মুক্তমনা … আমি আপনার এই অর্থহীন ভ্রান্তি দূর্ করার জন্য বললাম, এখানে ভালোবাসার কি আছে? প্রজনন একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, প্রকৃতির সব জীব কোন না কোন ভাবে প্রজননে অংশ নেয়। কেন শুধু শুধু আমি ভালোবাসার নাটক করবো?

একজন হিন্দু নারী সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করে, ধরুন, ওই ফালতু ভগবানের কাছে, আপনার জন্য প্রার্থনা করছে। আমি তখন ওই নারীকে বললাম, কেন এইসব ফালতু কাজ করছ?

একজন মুসলিম নারী নিজ ইচ্ছেতেই নিজেকে ঢেকে বাইরে যেতে নিরাপদ বোধ করছে অথবা ভালো লাগা থেকেই করছে, আমি তার জামা টেনে বললাম, তুমি তো এমনিই সুন্দর, খোল এইসব, কেন পরছ?

আপনি একজনকে ভালোবাসেন, স্বভাবতই আপনি ধরে নিবেন সে আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে ( বিশ্বস্ত শব্দের ব্যবহার আশা করি বুঝতে পারছেন) সে অনেক সুন্দর, সুন্দর শব্দটি যে যেভাবে ইচ্ছে ধরে নিতে পারে। আমি আপনাকে বললাম, আমি সুন্দর পছন্দ করি, কেন আপনি একাই ভালবাসবেন? ঝেড়ে ফেলুন এসব সংস্কার।

ধরে নিই, ধর্ম অথবা অন্য কোন বিশ্বাস মিথ্যে, তারপরও থাকুক না এসব। যারা আনন্দ নিয়ে এসব করছে তারা তাতেই থাকুক। এই ধর্ম বিশ্বাসের জোরেই এখনো অনেক পরিবার টিকে আছে। একঘেয়েমির পরও আমরা ভালো থাকি। বাধা নিষেধের দেয়াল থাকায় আমরা অল্প আনন্দেই আনন্দিত হই। যদি তার না হতো আমাদেরকে আনন্দের জন্য ওই LSD
অথবা অন্য কিছুর প্রয়োজন হতো।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৭

জেন রসি বলেছেন: আপনি কি বলতে চেয়েছেন আমি বুঝতে পেরেছি। খুব প্রয়োজনীয় কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে। আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা হচ্ছে বৈচিত্র্যই সুন্দর। অর্থাৎ মানুষ ধর্মীয় কিংবা কালচারাল রীতি নীতির চর্চা করলে সেটা স্বাভাবিক। আমিও মনে করি কাউকে তার ধর্ম পালনে বাঁধা দেওয়া অন্যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মুক্তমনা ব্লগাররা কি কাউকে বাধ্য করছে ধর্ম ত্যাগে? তারা যা করছে তা হচ্ছে তাদের যুক্তি তুলে ধরছে ধর্মীয় বিশ্বাসকে খারিজ করে দেওয়ার জন্য। সেটাকি অস্বাভাবিক কিছু? সব যুগের চিন্তানায়করাই এমন করেছে। এভাবেই সমাজ পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু মুক্তমনারা কি কাউকে বলছে যে কাল থেকে তুমি ধর্মত্যাগ না করলে তোমাকে হত্যা করা হবে? এমন কোন উদাহরন কি আছে যে, তারা কোন মেয়েকে হিজাব খুলে রাস্তায় পাঠিয়েছে?

অপরদিকে কি হচ্ছে? আপনি জানেন কারা কথায় কথায় ফতোয়া দিয়ে এটা সেটা নিষিদ্ধ করে ফেলার চেষ্টা করছে। মুক্তমনারা ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে। কিন্তু মসজিদে আজ কারা বোম ফাটাচ্ছে? মুক্তমনা লেখকরা কিন্তু তা করছে না। করছে এক দল অন্ধ বিশ্বাসীর দল। মুক্তমনারা বলে মূর্তির সামনে মাথা নত করা হাস্যকর। কিন্তু তারা কি মন্দিরে গিয়ে কোনদিন সেসব ভেঙেছে? কারা ভাঙে? সেই অন্ধ বিশ্বাসীর দল। তাহলে এবার ভেবে দেখুন সুন্দর বৈচিত্র্যকে কারা আসলে ধ্বংস করছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের নামেই বরং মানুষের উপর বিধান আরোপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই এখন সময় এসেছে যদি, কিন্তু এসব সংশয় বাদ দিয়ে আসল শত্রুকে স্পষ্টভাবে চিনে নেওয়ার।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়ে চমৎকার করে ভেবেছেন। তবে আমি মনে করি যেটা অন্যায় সেটার বিরুদ্ধে সবার এক হওয়া উচিত। কে কি বললো তাতে আমার কিছু যাই আসেনা। আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সুশাসন, সু-শিক্ষা, বেকারত্ব আর দলকানা = নৈতিক অবক্ষয় । স্বভাবতই বাঙ্গালী জাতি ধর্মভীরু।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৯

জেন রসি বলেছেন: ভঙ্গুর আর্থসামাজিক কাঠামো যেকোন সমস্যার মূল কারন। অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকলে অপরাধ থাকবেই। মানুষকে খুব সহজে বিভ্রান্ত করে তাদের প্রতিক্রিয়াশীল বানিয়ে ফেলা যায়। তাই অবশ্যই আমাদের যৌক্তিক ভাবে সবকিছু বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। নাহলে আমাদের নিশ্চুপ অবস্থান আরো খারাপ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আভিজিত রায়কে হত্যা করার পর সামুতে একজন ব্লগারের পোস্ট স্টিকি করা হয়। সেই পোস্টের বিষয় ছিল যে, ইসলাম এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সমর্থন করেনা। এখানে অনেকেই বলবেন যে এমন পোস্টের তখন দরকার ছিল। কিন্তু আমার কাছে সেটাকেই একটা বিভ্রান্তিকর আচরন বলে মনে হয়েছে। ব্যাপারটা এমন ছিল যে শুধু একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় মতবাদের আলোকেই ঠিক করতে হবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিকনা।

কোর লাইন এটুকুই মনে হলো। সমস্যার বীজ এখানেই নিহিত। এখানেই সব তত্ব আর তথ্য নিহত।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

জেন রসি বলেছেন: এখানে যেটা স্পষ্ট করে বুঝতে হবে যে, কোন ধর্মীয় মতবাদ থেকে কিছু ব্যাপার সাজেশন হিসাবে নেওয়া যেতে পারে, যদি তা সমস্যার সাথে রিলেটেড হয়। কিন্তু আমাদের দেশ কিন্তু শরিয়া ভিত্তিক আইন দিয়ে চলেনা। তাই ব্লগার হত্যা কি ঠিক না বেঠিক সেটা নিয়ে ইসলাম কি বলে এমন বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু সেটাকেই মূল ফোকাসে নিয়ে আসাটা সম্পূর্ণই অন্য ব্যাপার। তখন সেটা হয়ে যায় ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার মত ব্যাপার।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হামা ভাই।

২৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

কল্লোল পথিক বলেছেন:

অসাধারণ চিন্তা ভাবনা নিয়ে লেখা।
ভাল লেগেছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই। :)

২৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো বলেছেন । অনেককিছু বলার ছিলো, কিন্তু কী বলবো বুঝতে পারছিনা!
ধার্মিকরা যা খুশি করে যাক, দলকানারা যা খুশি বলে যাক- আমাদের কী করার বা বলার থাকতে পারে?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

জেন রসি বলেছেন: সাধু ভাই যা কিছু বলার তা স্পষ্ট ভাবে বলার সময় এসেছে এখন। কারন আমরা নিশ্চুপ থাকলেও প্রতিক্রিয়াশীলরা কিন্তু থেমে নেই। তারা কিন্তু আমাদের বিভ্রান্তির সুযোগ নিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সব বিভ্রান্তি দূর করে আমাদেরকেও এখন সরব হতে হবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: প্রতিবাদ করা ছাড়া আমাদের কিচ্ছু করার নেই আর প্রতিবাদ করতে হবে জোরালো ভাবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

জেন রসি বলেছেন: সব বিভ্রান্তি, দ্বিধা সরিয়ে ফেলে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। নাহলে একদিন আমরাও ওদের হাতে এভাবেই শেষ হয়ে যেতে পারি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

নেক্সাস বলেছেন: মূল সমস্যা মূল গেমসের ভিতরে না গিয়ে সবাই মিলে কোন তথ্য প্রমান ছাড়া সব দোষ কেষ্টাকে দেওয়া, এবং সবাইকে মুক্তমনা ব্লগার বলে অভিহিত করা। এই গড্ডালিকা প্রবাহ থেকে আগে বের হতে হবে, তারপর রাষ্ট্র কে বাধ্য করতে হবে কে আসল খুনি সেটা জানাতে। আমাদের আডালত, বিচার বিভাগ, পুলিশ সব আছে। কিন্তু একটি হত্যার কি সঠিক হত্যকারি কারা আপনি আমি জেনেছি। না জানলে কিভাবে হুট করে বলি জংগীরা খুন করেছে।

তারপর আরো অনেক কথা.................. বলার ইচ্ছা নাই।

মতবাদের বিপক্ষে কেন লিখা যাবেনা?
মতবাদের বিপক্ষে লিখতে হবে কেন?

বরং সবার উচিৎ যৌক্তিকভাবে তার মতবাদের পক্ষে লিখা। এটে প্রসংগক্রমে সে কৌশলে তুলে আনতে পারে অন্য মতবাদের অসারতা। যেটা আক্রমনাত্বক হবেনা কোনভাবেই।
একিভাবে আপনার আব্বা আমার আব্বা নয় বলে আমি আপনার আব্বা কে গালি দিয়ে প্রমান করবো যে তিনি আমার আব্বা নন। এটা সঠিক পথ নয়।
বরং সঠিক পথ হচ্ছে আপনার আব্বা আমার আব্বা নন সেটা যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করা।
আর মুক_ত চিন্তা হচ্ছে যুক্তির সাহায্যে নিজের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষন করা। যেটা এি পোষ্টে আপনি করেছেন। আমার বিশ্বাস হয়না এইভাবে লিখলে কেউ আপনার প্রতি হিংসাত্মক হবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

জেন রসি বলেছেন: মূল সমস্যা মূল গেমসের ভিতরে না গিয়ে সবাই মিলে কোন তথ্য প্রমান ছাড়া সব দোষ কেষ্টাকে দেওয়া, এবং সবাইকে মুক্তমনা ব্লগার বলে অভিহিত করা। এই গড্ডালিকা প্রবাহ থেকে আগে বের হতে হবে, তারপর রাষ্ট্র কে বাধ্য করতে হবে কে আসল খুনি সেটা জানাতে। আমাদের আডালত, বিচার বিভাগ, পুলিশ সব আছে। কিন্তু একটি হত্যার কি সঠিক হত্যকারি কারা আপনি আমি জেনেছি। না জানলে কিভাবে হুট করে বলি জংগীরা খুন করেছে।

তারপর আরো অনেক কথা.................. বলার ইচ্ছা নাই।


এখানে মনে হচ্ছে আপনি জানেন মুল গেমসটা কি! তবে সেটা কি, তা স্পষ্ট করে বলুন। আমরা যা বলছি তা তথ্য প্রমান থেকেই বলছি। শাহবাগে গণজাগরণের সময় আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক তুলে ব্লগারদের বিরুদ্ধে কারা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিল? তারা কারা ছিল সেসব আমরা সবাই জানি। তথ্য প্রমান সহই জানি। মাহমদুর রহমান আর ফারহাদ মাজহার গং তখন কাদের উস্কানি দিয়ে তাদের দ্বারা কি করতে চেয়েছিল সেসবও তথ্য প্রমান সহই জানি। রাজিব হায়দারকে যারা হত্যা করেছিল তারা কোন দলের কোন আদর্শে বিশ্বাস করে তার তথ্য প্রমানও আছে। আভিজিত রয়কে কারা অনলাইনে দিনের পর দিন হত্যার হুমকি দিয়েছে তাও স্পষ্ট ভাবেই জানি। একই কায়দায় হত্যার পর দায় স্বীকার করা, হত্যার কায়দা, টার্গেট করার ধরন থেকেই বুঝা যাচ্ছে এটা ইসলামি জঙ্গি সংঘটনের কাজ। তথ্য প্রমান সবার কাছেই আছে। তাই তথ্য প্রমান ছাড়া সব দোষ কেষ্টাকে দেওয়ার আপনার করা এই অভিযোগ সম্পূর্ণই অযৌক্তিক।

তারপর বলেছেন সবাইকে মুক্তমনা ব্লগার বলে অবিহিত করা হচ্ছে। তার সাথে দোষীদের দোষের সম্পর্ক কি? আভিজিত রয়, অনন্ত বিজয় দাশ অনেক মেধাবী লেখক ছিলেন। তারা যুক্তি দিয়ে রেফারেঞ্ছ দিয়ে লিখতেন। অন্যরা সেটা না করে অনেক জায়গাতেই ধর্মকে কুরুচিপূর্ণ ভাবে আক্রমন করেছে। কিন্তু সেটাই যদি জঙ্গিদের একমাত্র সমস্যা হয় তবে কেন অভিজিত রয় আর অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করা হলো? কেন প্রকাশককে হত্যা করা হলো। গালি দিয়েছে বলে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, যারা গালি দেয় তারা মুক্তমনা না- এই ধরনের সরলীকরণ ব্যাখ্যা হচ্ছে মুল সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতা। আপনার কথাতেও তেমন প্রনবনতা আছে।

এখন বলতে পারেন প্রসাশন কেন উদাসীন! সেটা নিয়েও গভীর ভাবে ভেবে দেখার সময় এসেছে। তারা কেন জঙ্গিদের ধরতে পারছেনা। নাকি চাচ্ছেই না? তারা কি জঙ্গিদের কোন ভাবে ইউজ করছে কিনা এসবও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারন একের পর এক হত্যাকাণ্ডের পর প্রসাশনের নির্লিপ্ততা, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্তে থাকা লোকদের উদাসীন স্টেটমেন্ট আসলেই তাদের ভূমিকাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছে। কিন্তু তাই বলে এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে জঙ্গিরা জড়িত না এসব বললে নিজামির বলা একটা কথা মনে পরে যায়। তিনি বলেছিলেন বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি।


মতবাদের বিপক্ষে কেন লিখা যাবেনা?
মতবাদের বিপক্ষে লিখতে হবে কেন?

বরং সবার উচিৎ যৌক্তিকভাবে তার মতবাদের পক্ষে লিখা। এটে প্রসংগক্রমে সে কৌশলে তুলে আনতে পারে অন্য মতবাদের অসারতা। যেটা আক্রমনাত্বক হবেনা কোনভাবেই।
একিভাবে আপনার আব্বা আমার আব্বা নয় বলে আমি আপনার আব্বা কে গালি দিয়ে প্রমান করবো যে তিনি আমার আব্বা নন। এটা সঠিক পথ নয়।
বরং সঠিক পথ হচ্ছে আপনার আব্বা আমার আব্বা নন সেটা যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করা।
আর মুক_ত চিন্তা হচ্ছে যুক্তির সাহায্যে নিজের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষন করা। যেটা এি পোষ্টে আপনি করেছেন। আমার বিশ্বাস হয়না এইভাবে লিখলে কেউ আপনার প্রতি হিংসাত্মক হবে।



ধরেন আপনার কাছে যৌক্তিক প্রমান আছে যে, কোন মানুষকে ভূত ধরতে পারেনা। এখন যে ওঝা গ্রামে ভুত তাড়ায় সে ভুল। আপনি জানেন যে, খিঁচুনি রোগের সাথে ভূতে ধরার কোন সম্পর্ক নেই। বরং গ্রামের মানুষের বিশ্বাসের সাথে সেটার সম্পর্ক আছে। এখন আপনার কাছে সেই বিশ্বাসটা অযৌক্তিক। তাই আপনি তার বিরুদ্ধে আপনার মতামত দিতেই পারেন। এবং তা করতে গেলে আপনাকে মানুষের বিশ্বাসেই আঘাত করতে হবে।

যুক্তির সাহায্যে নিজের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষন করে অনেকেই নির্মম ভাবে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছে। অভিজিত রয় এবং অনন্ত বিজয় দাশ তার জ্বলন্ত উদাহরন। এখন মুল প্রশ্ন হচ্ছে কারা মানুষকে হত্যা করে, ভয় দেখিয়ে নির্দিষ্ট মতবাদে বিশ্বাস করতে বাধ্য করতে চাচ্ছে। একদিকে চিন্তা দিয়ে চিন্তাকে আক্রমন করা হচ্ছে। অপর দিকে চাপাতি দিয়ে চিন্তাকেই বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। এখন আমাদেরকেই ভেবে দেখতে হবে যে, আমাদের মূল শত্রু কারা?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।


২৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

নেক্সাস বলেছেন: ধর্মের মাধ্যমে একটা জাতিকে বিভক্ত করে ধ্বংস করে দেওয়ার যে চক্রান্ত পাকিস্তানীরা সফল করতে পারেনি, সে চক্রান্ত আজ সফল করতে চলেছে পশ্চিমা পরাশক্তি ও মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক জায়ান পাওয়ার। বাংলাদেশ কে নিঃশেষ করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র ও পশ্চিমা মোড়ল। এই কাজে তাদের প্রধান অবলম্বন ধর্ম। তারা কাজ করছে দু'মুখো সাপের মত। চোর কে বলছে চুরি কর, গেরস্থ কে বলছে সাবধান। এদেশের কাঠমোল্লা এবং তাদের অনুসারী বদ্ধ চিন্তার মানুষ ও এসাইলাম প্রত্যাশী, প্রগতিশীলতার রোামন্টিসজমে ভুগা কিছু মানুষ যৌথ ভাবে সফল করে চলেছে নব্য উপনিবেশবাদীদে গোপন এজেন্ডা। এদেশে ধর্মীয় ব্যাপারে সুষ্পষ্ট শিক্ষা প্রয়োজন এবং সেটা করতে হবে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। ধর্ম মানুষের দূর্বল জায়গা। কাজেই দূর্বল জায়গা নিয়ে খেলা নয়, পরিচর্চা প্রয়োজন যাতে সেটা সঠিক পথে থাকে। যদি বাংলাদেশ কে বাঁচাতে হয় দলমত নির্বিশেষে সকল কে এই মুহুর্তে এগিয়ে আসতে হবে। অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। ধর্ম কে ধর্মের জায়গায় সন্মান দিয়ে, মানুষ কে কার্যকর ভাবে কনভিন্স করে সবাই কে সাথে নিয়ে ধর্ম কে রাষ্ট্র থেকে আলাদা করতে হবে। সংখ্যা গুরু সংখা লঘু ধর্মের ভিত্তিতে এমন টার্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা মানবেনা তাদের কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। মিডিয়া কে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। মুক্তচিন্তার প্রসার এদেশে খুব প্রয়োজন। তবে মুক=ত চিন্তার নামে ধর্ম বিদ্ধেষ নয়। প্রতিথযশা কবি সাহিত্যিকদের দলবাজীতে ইস্তফা দিয়ে নির্মোহ ভাবে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের গ্রহনযোগ্য যৌক্তিক লেখালেখির মাধ্যমে সমাজের মানুষকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় হারিয়ে ফেলবো আমাদের স্বদেশ। মনে রাখবেন ওরা এটমও আবিস্কার করেছে আবার নোবেল ও প্রচলন করেছে। এবার আপনার বিবেচনা ওদের কথায় চলবেন না নিজেরাই নিজেদের দেশ গড়বেন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

জেন রসি বলেছেন: ধর্মের মাধ্যমে একটা জাতিকে বিভক্ত করে ধ্বংস করে দেওয়ার যে চক্রান্ত পাকিস্তানীরা সফল করতে পারেনি, সে চক্রান্ত আজ সফল করতে চলেছে পশ্চিমা পরাশক্তি ও মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক জায়ান পাওয়ার। বাংলাদেশ কে নিঃশেষ করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র ও পশ্চিমা মোড়ল। এই কাজে তাদের প্রধান অবলম্বন ধর্ম। তারা কাজ করছে দু'মুখো সাপের মত। চোর কে বলছে চুরি কর, গেরস্থ কে বলছে সাবধান। এদেশের কাঠমোল্লা এবং তাদের অনুসারী বদ্ধ চিন্তার মানুষ ও এসাইলাম প্রত্যাশী, প্রগতিশীলতার রোামন্টিসজমে ভুগা কিছু মানুষ যৌথ ভাবে সফল করে চলেছে নব্য উপনিবেশবাদীদে গোপন এজেন্ডা

ধর্মকে সব যুগেই শাসকগোষ্ঠী তাদের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ইউটিলাইজ করেছে। সিআই এর আর্থিক সহযোগিতা এবং ট্রেনিং এর মাধ্যমে তালেবানরা কিভাবে একসময় শক্তিশালী হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি। আমাদের দেশেও সুপরিকল্পিত ভাবে সেই ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এখন ভেবে দেখেন তারা কেন সফল হচ্ছে। তারা কিন্তু অযৌক্তিক ধর্মবিশ্বাসকেই কাজে লাগাচ্ছে। তারা বাংলাদেশ, পাকিস্থান, আফগানিস্থান এবং মধ্যপ্রাচ্যে যে ধরনের ষড়যন্ত্র করতে সক্ষম হচ্ছে তা কিন্তু অন্য কোথাও পারবেনা। কারন সেসব জায়গায় অন্ধবিশ্বাসি মানুষ কম। আমরা প্রায়ই বলে থাকি আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু। তাই তাদের বিশ্বাসে আঘাত করা ঠিক না। কিন্তু এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যদি মনে করি তাদের অনেক বিশ্বাস ভ্রান্ত তবে মানব সভ্যতার ভালোর জন্য সেটাই কি আমাদের করা প্রয়োজন নয়? যখন বলা হয়েছিল পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে তখন অনেক সাধারন মানুষ যারা খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী তাদের মনেও আঘাত লেগেছিল। কিন্তু তা বলেত অনুসন্ধান বন্ধ করে রাখা যাবেনা। তেমন হলেত সভ্যতার বিবর্তনই বন্ধ হয়ে যেত। তাই অন্ধ ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে সরে এসে যৌক্তিক ভাবে চিন্তা করতে শিখলে সাম্রাজ্যবাদী মহলও ধর্মের নামে যা ইচ্ছা তা করে ফেলতে পারবেনা। তাই মুক্তচিন্তার চর্চা করতে হবে বলে মনে করি।

এদেশে ধর্মীয় ব্যাপারে সুষ্পষ্ট শিক্ষা প্রয়োজন এবং সেটা করতে হবে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। ধর্ম মানুষের দূর্বল জায়গা। কাজেই দূর্বল জায়গা নিয়ে খেলা নয়, পরিচর্চা প্রয়োজন যাতে সেটা সঠিক পথে থাকে। যদি বাংলাদেশ কে বাঁচাতে হয় দলমত নির্বিশেষে সকল কে এই মুহুর্তে এগিয়ে আসতে হবে। অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। ধর্ম কে ধর্মের জায়গায় সন্মান দিয়ে, মানুষ কে কার্যকর ভাবে কনভিন্স করে সবাই কে সাথে নিয়ে ধর্ম কে রাষ্ট্র থেকে আলাদা করতে হবে। সংখ্যা গুরু সংখা লঘু ধর্মের ভিত্তিতে এমন টার্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা মানবেনা তাদের কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। মিডিয়া কে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। মুক্তচিন্তার প্রসার এদেশে খুব প্রয়োজন। তবে মুক=ত চিন্তার নামে ধর্ম বিদ্ধেষ নয়। প্রতিথযশা কবি সাহিত্যিকদের দলবাজীতে ইস্তফা দিয়ে নির্মোহ ভাবে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের গ্রহনযোগ্য যৌক্তিক লেখালেখির মাধ্যমে সমাজের মানুষকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় হারিয়ে ফেলবো আমাদের স্বদেশ। মনে রাখবেন ওরা এটমও আবিস্কার করেছে আবার নোবেল ও প্রচলন করেছে। এবার আপনার বিবেচনা ওদের কথায় চলবেন না নিজেরাই নিজেদের দেশ গড়বেন।


দুর্বল জায়গা নিয়ে যেন কেউ খেলা করতে না পারে তাই সে দুর্বলতা কাটানোর চেষ্টাই করতে হবে। অন্য ধর্মের প্রতি কারা আঘাত হানছে এদেশে? কারা মন্দির ভাঙছে? কারা মসজিদে বোমা ফাটাচ্ছে? কারা ফতোয়া দিয়ে বলছে যে, ধর্মবিরোধী উৎসব বন্ধ করে দিতে হবে? কারা তাদের মতের বিরুদ্ধে বললেই হত্যা করছে? এসব তারা কোন বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে করছে? এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই জানি।তথ্য প্রমাণ সহই জানি। তাই ইচ্ছে করলেই ভ্রান্তি কাঁটিয়ে আমরা আসল সমস্যাটা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারি। তা না করে মূল সমস্যা থেকে সরে গিয়ে সবকিছুকে সরলীকরণ ভাবে একই কাতারে ফেললে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করবে।

২৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিশ্লেষনী,, বিস্তারিত এবং চমৎকার জ্ঞানগর্ভ লেখা।

মুক্তি চিন্তা আর বিজ্ঞান মনস্কতা নিয়ে খুব রাজণীতি হচ্ছে বর্তমানে। যারা চর্চা করছে তারা আর যারা করছেনা তারা দু'পক্ষতো বটেই, সুবিধাবাদী তৃতীয় পক্ষও যে এই বিরোধের ফসল ঘরে তুলছেনা -বুকে হাত দিয়ে কে বলতে পারবে?

মুক্তমনের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যের প্রতি উষ্মা, অবজ্ঞা, হীনভাবা, এর নেগেটিভ চর্চা। মুই কি হনুরে ভেবে বাকী সকলকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার মধ্যে কোন জ্ঞান নেই- অজ্ঞানেও তা বুঝতে পারে! এটা কি আত্ম্ভরিতার প্রকাশ? নয় কি?

লেখায় আপনি এক স্থানে বলেছেন
"যেমন ধর্ম নিয়ে যদি লেখা যায় তবে সেই ধর্মীয় মতবাদের বিরুদ্ধে কেন লেখা যাবে না? একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রচারে কেউ যদি লিখে থাকেন, যদি সেটা অন্যায় না হয়, তবে একটি ধর্মীয় মতবাদকে বাতিল করার যৌক্তিক আলোচনা কেন অন্যায় হবে? এসব ব্যাপার নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে বলে মনে করি। "


<< অবশ্যই একমত। ধর্ম নিয়ে লেখা গেলে মতবাদের বিরুদ্ধেও লেখা যাবে। আচ্ছা বিতর্কিত লেখাগুলোর কোন একটি দেখানতো তত্ত্ব তথ্যে ধর্মের মূল বিষয়াদি নিয়ে জ্ঞান গর্ভ আলোচনা হয়েছে! বরং সবগুলোতে ধর্মকে গালাগালি, কুৎসিত, মূর্খ, বলা হয়েছে, আর তারচে বেশি ক্ষতিকর- ধর্মপ্রবক্তার ব্যক্তি চরিত্র নিয়ে যাচ্ছেতাই ভ্যক্তিআক্রমনাত্বক মন্দচর্চা করা হয়েছে।
এইসবই কি কোন মতবাদকে বাতিল করার যৌক্তিক আলোচনার নমুনা???

নিজের দেশের বিষয়েই ভাবুন- আমি বাকশালের নীতিগত সমালোচনা করতে গিয়ে যদি ব্যক্তি মুজিবকে (বঙ্গবন্ধু) বাজে ভাষায় আক্রমন করি আপনি কি বলবেন? অথবা বাকশালের পক্ষে যে সব মতা আছৈ তাকে থোরাই কেয়ার করে নিজের একগুয়েমি দিয়েই গালি, বাজে কথা, অবজ্ঞা, উপহাস দিয়ে তার বিরোধীতা করি আপনি কি বলবেন???

ধর্মীয় মতবাদকে বাতিল করার যৌক্তিক আলোচনা আজো দেখিনি- ধর্ম, তার পথ পদ্ধতি, তার সংস্কৃতি এবং প্রবর্তককে ব্যক্তি আক্রমন করা ছাড়া! থাকলে লিংক দিয়েন- জানতে আগ্রহী!

প্রকৃত মৃক্তমনা হতে যে বিশাল জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ধি, বিনয়, ধৈর্য্য, মনোমুগ্ধকর ব্যক্তিত্ব, অনুসরনীয় জীবনাচার, স্বাভাবিক শুদ্ধ-সুন্দর জীবন বোধ- তা আছে ক'জনের। যার আচে তাকে মানুষ কোন বিশেষন ছাড়াই অন্তর থেকে ভালবাসে।
আর যার ভেতরে হিপোক্রসি আছে- যেমন মূখে, কথা, লেখায় প্রকাশ করছি- সুন্দর, সু্স্থতা, মানবিকতার কথা- আর যাপিত ঝীবনের সব অনাচার, ভোগ, লিপ্সা, হীনমন্যতা,-- তারাই সমস্যার মূখে পড়ে।

আমার বাবা একজন মৌলানা হওয়া সত্ত্বেও সারাজীবন দেখেছি- ব্রাহ্মন পন্ডিত স্যারের সাথে প্রাতিদন বিকালের আড্ডায়!
সেখানে কখনো বিরোধ দেখিনি। কিন্তু যখন আরোপিত কোন তত্ত্ব জোর করে সমাজকে পুশ করার অপচেষ্টা হয়-তখনই প্রচলিত, নানা স্বার্থের দ্বন্ধ সামনে এসে দাড়ায়- যাকে আড়াল করতেও অনেক সময় রাজনীতিবিদদের মতো নানা ক্যামোপ।রেজ পর্দা নেয়া হয়- যেমন এখন যে কোন ঘটনায় জঙ্গী, জিহাদীর অপপ্রয়োজ, যে কোন ঘটনায় ২০ দলিয় জোটের ক্লু খুঁজে পাওয়া, যে কোন ভিন্নমত হলেই ট্যাগিং করা! এগুলো যেমন সুস্থ চর্চা নয়- তেমনি মুক্তমনার নামে ধর্ম , ধার্মিক আর প্রবক্তাদের বাজে ভাষায় আক্রমনও কোন সুস্থ মতবাদ প্রচারের মাধ্যম হতে পারে না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

জেন রসি বলেছেন: মুক্তি চিন্তা আর বিজ্ঞান মনস্কতা নিয়ে খুব রাজণীতি হচ্ছে বর্তমানে। যারা চর্চা করছে তারা আর যারা করছেনা তারা দু'পক্ষতো বটেই, সুবিধাবাদী তৃতীয় পক্ষও যে এই বিরোধের ফসল ঘরে তুলছেনা -বুকে হাত দিয়ে কে বলতে পারবে?

সবকিছুর সাথেই রাজনীতি মিশে থাকে। কারন বিজ্ঞান মনস্কতা কিংবা ধর্মীয় বিশ্বাস- এসব শাসকগোষ্ঠীর পলিসি মেকিং এ অনেক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। আর আমাদের দেশে ধর্ম নিয়েত প্রকাশ্যে ভোটের রাজনীতি হয়। তবে ব্লগার নিয়ে আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক শুরু হয় মূলত শাহবাগের আন্দোলনের সময় থেকে। শাহবাগের আন্দোলনের সময় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আর ফারহাদ মাযহার গং খুব কার্যকরী একটা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিল। তারা এই নাস্তিক আস্তিক ইস্যু নিয়ে এসেছিল সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে। এবং মানুষ কিন্তু ঠিকই বিভ্রান্ত হয়েছিল। কেন হয়েছিল? কারন তারা ধর্মীয় বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে যৌক্তিক ভাবে ভাবতে পারেনি। সরকার নাস্তিকতার অভিযোগে চার ব্লগারকে গ্রেপ্তারও করেছিল। আসলে তারা প্রমান করতে চেয়েছিল তারাও খুব ধর্মভীরু সরকার। এখনো চাচ্ছে।এ থেকেই বোঝা যায় যাকে আমরা সহজ সরল ধর্ম বিশ্বাস বলে থাকি তা ততটা সহজ সরল না।


মুক্তমনের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যের প্রতি উষ্মা, অবজ্ঞা, হীনভাবা, এর নেগেটিভ চর্চা। মুই কি হনুরে ভেবে বাকী সকলকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার মধ্যে কোন জ্ঞান নেই- অজ্ঞানেও তা বুঝতে পারে! এটা কি আত্ম্ভরিতার প্রকাশ? নয় কি?

মুক্তচিন্তা মানে অবশ্যই যা ইচ্ছা তা বলে ফেলার ব্যাপার না। বরং অন্ধ বিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়ে চিন্তা করাটাই মুক্তচিন্তা। অযৌক্তিক কিছু কখনই মুক্তচিন্তা হতে পারেনা। মুক্তচিন্তা এবং ফ্যান্টাসির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। আমি যা বলছি, কেন বলছি! যা চর্চা করছি কেন করছি- এসব যুক্তির আলোকে যাচাই বাছাই করাটাই মুক্তচিন্তা। যেমন উদাহরন হিসাবে বলি একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। সেটার সাথে ধর্মীয় এবং সামাজিক রীতি এবং বিশ্বাস জড়িত ছিল। কিন্তু রাজা রামমোহন রায় সেসব থেকে মুক্ত ভাবে চিন্তা করে দেখেছিলেন যে এ প্রথা অযৌক্তিক এবং নিষ্ঠুর। তিনি প্রচলিত বিশ্বাস কিংবা রীতির মূলে আঘাত করতে পেরেছিলেন বলেই সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে পেরেছিলেন।


অবশ্যই একমত। ধর্ম নিয়ে লেখা গেলে মতবাদের বিরুদ্ধেও লেখা যাবে। আচ্ছা বিতর্কিত লেখাগুলোর কোন একটি দেখানতো তত্ত্ব তথ্যে ধর্মের মূল বিষয়াদি নিয়ে জ্ঞান গর্ভ আলোচনা হয়েছে! বরং সবগুলোতে ধর্মকে গালাগালি, কুৎসিত, মূর্খ, বলা হয়েছে, আর তারচে বেশি ক্ষতিকর- ধর্মপ্রবক্তার ব্যক্তি চরিত্র নিয়ে যাচ্ছেতাই ভ্যক্তিআক্রমনাত্বক মন্দচর্চা করা হয়েছে।
এইসবই কি কোন মতবাদকে বাতিল করার যৌক্তিক আলোচনার নমুনা???


যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং ঘৃণা ছড়ানো- এ দুটো ব্যাপারকে এক করে দেখার একটা প্রবনতা আমাদের মধ্যে আছে। আমরা যখন যুক্তি দিয়ে কোন মতবাদকে বাতিল করার চেষ্টা করি তখন সেই মতবাদের খারাপ দিকগুলো এবং কেন তা বাতিল সেসব ব্যাপারও খুব স্পষ্ট ভাবে উঠে আসবে। এখন সেটাকে যদি মূল্যবোধে আঘাত বলা হয় তবে সেটা বিভ্রান্তি। সেটাকে বলা যেতে পারে বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে আঘাত যা সব যুগেই যুগের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা করে এসেছে।

কিন্তু তা বলে গালিগালাজ করে অযৌক্তিক ভাবে আক্রমন করা কোন ভাবেই ঠিকনা। সেটাও প্রতিক্রিয়াশীলদের মত কাজ হবে। মুক্তচিন্তার নামে অনেকে এমন চর্চা করছে তাও ঠিক। কিন্তু তাই বলে এটার কারনে জঙ্গিদের হাতে ব্লগার হত্যার ব্যাপার থেকে ফোকাস সরানো হবে বিপদজনক পদক্ষেপ। আমাদের বুঝতে হবে এই জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিলে এরা সব ক্ষেত্রেই আঘাত করে বসবে।


নিজের দেশের বিষয়েই ভাবুন- আমি বাকশালের নীতিগত সমালোচনা করতে গিয়ে যদি ব্যক্তি মুজিবকে (বঙ্গবন্ধু) বাজে ভাষায় আক্রমন করি আপনি কি বলবেন? অথবা বাকশালের পক্ষে যে সব মতা আছৈ তাকে থোরাই কেয়ার করে নিজের একগুয়েমি দিয়েই গালি, বাজে কথা, অবজ্ঞা, উপহাস দিয়ে তার বিরোধীতা করি আপনি কি বলবেন???

ধরুন আপনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কোন একটা সমালোচনা করলেন। কিন্তু যেহেতু আওয়ামীলীগের সমর্থকদের বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু সব ভুল ত্রুটির বাইরের কেউ, তাই তারা আপনাকে হত্যা করার চেষ্টা করল। এটা কি ঠিক দৃষ্টিভঙ্গি? এখন ধরেন আপনি বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসাবে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু আপনি তাঁর পলিসির সমালোচনা করতে গিয়ে দেখলেন সেটার অন্যতম কারন হচ্ছে স্বজনপ্রীতি। এখন সেটা বলা মানেই কি ব্যাক্তি আক্রমণ? এভাবেই একজনের পলিসিকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তার জীবনে তিনি কি চর্চা করতেন সেটাও চলে আসে।

প্রকৃত মৃক্তমনা হতে যে বিশাল জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ধি, বিনয়, ধৈর্য্য, মনোমুগ্ধকর ব্যক্তিত্ব, অনুসরনীয় জীবনাচার, স্বাভাবিক শুদ্ধ-সুন্দর জীবন বোধ- তা আছে ক'জনের। যার আচে তাকে মানুষ কোন বিশেষন ছাড়াই অন্তর থেকে ভালবাসে।
আর যার ভেতরে হিপোক্রসি আছে- যেমন মূখে, কথা, লেখায় প্রকাশ করছি- সুন্দর, সু্স্থতা, মানবিকতার কথা- আর যাপিত ঝীবনের সব অনাচার, ভোগ, লিপ্সা, হীনমন্যতা,-- তারাই সমস্যার মূখে পড়ে।



যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কথা বলা হয়ে থাকে তবে সেটা কিন্তু এক ধর্মের প্রচারের মধ্যেই অপর ধর্মের অনুভুতিতে আঘাতের ব্যাপার চলে আসে। যেমন ইসলাম ধর্মে আছে যারা মূর্তি পূজা করে তারা শয়তানের পূজারী। আবার হিন্দু ধর্মে আছে যারা ইসলামের রীতিনীতি পালন করবে তারা নরকে যাবে। তাই সেসব প্রচারও আঘাত। কিন্তু সেসবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগেনা। কিন্তু যুক্তি দিয়ে বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বিশ্লেষণ করতে গেলেই অনুভূতিতে আঘাত লেগে যায়। এটা আসলে দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্ধ বিশ্বাসের কারনেই হয়ে থাকে বলে মনে করি।

আমার বাবা একজন মৌলানা হওয়া সত্ত্বেও সারাজীবন দেখেছি- ব্রাহ্মন পন্ডিত স্যারের সাথে প্রাতিদন বিকালের আড্ডায়!
সেখানে কখনো বিরোধ দেখিনি। কিন্তু যখন আরোপিত কোন তত্ত্ব জোর করে সমাজকে পুশ করার অপচেষ্টা হয়-তখনই প্রচলিত, নানা স্বার্থের দ্বন্ধ সামনে এসে দাড়ায়- যাকে আড়াল করতেও অনেক সময় রাজনীতিবিদদের মতো নানা ক্যামোপ।রেজ পর্দা নেয়া হয়- যেমন এখন যে কোন ঘটনায় জঙ্গী, জিহাদীর অপপ্রয়োজ, যে কোন ঘটনায় ২০ দলিয় জোটের ক্লু খুঁজে পাওয়া, যে কোন ভিন্নমত হলেই ট্যাগিং করা! এগুলো যেমন সুস্থ চর্চা নয়- তেমনি মুক্তমনার নামে ধর্ম , ধার্মিক আর প্রবক্তাদের বাজে ভাষায় আক্রমনও কোন সুস্থ মতবাদ প্রচারের মাধ্যম হতে পারে না।


অন্য ধর্মের প্রতি কারা আঘাত হানছে এদেশে? কারা মন্দির ভাঙছে? কারা মসজিদে বোমা ফাটাচ্ছে? কারা ফতোয়া দিয়ে বলছে যে, ধর্মবিরোধী উৎসব বন্ধ করে দিতে হবে? কারা তাদের মতের বিরুদ্ধে বললেই হত্যা করছে? এসব তারা কোন বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে করছে? এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই জানি।তথ্য প্রমাণ সহই জানি। তাই ইচ্ছে করলেই ভ্রান্তি কাঁটিয়ে আমরা আসল সমস্যাটা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারি। তা না করে মূল সমস্যা থেকে সরে গিয়ে সবকিছুকে সরলীকরণ ভাবে একই কাতারে ফেললে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করবে।

এখানে আরো একটি ব্যাপার ভেবে দেখতে হবে। তা হচ্ছে, মতবাদ নিয়ে আলোচনা, তর্ক বিতর্ক চলবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন আমি যদি বলি আপনার বিশ্বাস ঠিক না এবং সেটার পক্ষে আমার যুক্তি দেই তবে সেটা অবশ্যই অন্যায় কিছুনা। কিন্তু আমি যদি আপনাকে আপনার ধর্ম পালনে বাঁধা দেই যা কারো জন্য ক্ষতিকর না তবে সেটা অন্যায় হবে। এদেশে কোন মুক্তমনা কি তেমন কিছু করছে? তারা কি কাউকে নামাজ পড়তে বাঁধা দিয়েছে কখনো? মন্দির ভেঙেছে? তবে কেন তাদের জঙ্গিদের মত চরমপন্থি বলে ফোকাস সরিয়ে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? আমার মনে হয় এই পয়েন্টে এসেই আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। আমারা স্পষ্ট ভাবে আমাদের বিভ্রান্তি কাঁটাতে না পারলে সমস্যা আরো ভয়াবহ রুপে আবির্ভূত হবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই।

২৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার নাতিদীর্ঘ লেখাটি খুবই ভাল লাগল। হয়ত কয়েকটি মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত নই, তবে প্রায় সব বিষয়ের সাথেই একমত। অনেক চিন্তা-ভাবনার খোরাক আছে লেখাটিতে। লেখাটি প্রিয়তে রাখলাম। ভাল থাকুন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

জেন রসি বলেছেন: কোন মন্তব্যের সাথে কেন একমত না সেটা বললে ভালো হত। তাহলে আমিও আমার ধারনাগুলোকে আপনার ধারনার আলোকে যাচাই বাছাই করে দেখতে পারতাম। পড়ার জন্য এবং পোস্ট প্রিয়তে রাখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, একদিন মানুষ আস্তিকদের নিয়ে হাসাহাসি করবে!
লেখাটা ভালো লেগেছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

জেন রসি বলেছেন: যুক্তি ছাড়া অন্যের উপর বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা আসলেই হাস্যকর।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল ভাই।

৩১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: দুঃখিত লেখক। অনেক দিন পর ব্লগে এসে আপনার লেখাটি চোখে পড়ে নাই। অনেক কথা বলে ফেলেছেন। আমার লেখাটির প্রয়োজন ছিলনা। ভালোলাগা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জেন রসি বলেছেন: আপনার লেখাটির অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। আমিও অনেক দিন পর ব্লগে এসেছি। মাঝের সময়টা বিজি ছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

নেক্সাস বলেছেন: দেশে কোন মুক্তমনা কি তেমন কিছু করছে? তারা কি কাউকে নামাজ পড়তে বাঁধা দিয়েছে কখনো? মন্দির ভেঙেছে? তবে কেন তাদের জঙ্গিদের মত চরমপন্থি বলে ফোকাস সরিয়ে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? আমার মনে হয় এই পয়েন্টে এসেই আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। আমারা স্পষ্ট ভাবে আমাদের বিভ্রান্তি কাঁটাতে না পারলে সমস্যা আরো ভয়াবহ রুপে আবির্ভূত হবে।

আপনি জংগী বলছেন, মানলাম আপনি যা বলছেন তা সত্য। কিন্তু রাষ্ট্রের কাঠোমোর মধ্যে থেকে আপনাকে মানতে হবে রাষ্ট্রনেতাদের কথা। আপনার সরকার নিয়ত বলছে দেশে কোন জংগী নাই, আপনি বলছেন আছে। আপনি কেন তাহলে আদালতে গিয়ে হত্যাকারীদের পয়েন্ট আউট করে দিচ্ছেন না।
জংগীবাদ নিয়ে আমরা সবাই ভীত। কিন্তু সেটা জুজুর ভয়ে রয়ে গেল। আজ অব্দি আমার রাষ্ট্র আমার সামনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিতে পারেনি। যেখানে আপনার হোম মিনিস্টার বলছে সমকামিতা আমাদের সমাজের সাথে বেমানান। সেখানে খালি জংগীদের দোষ দিচ্ছি কেন?
অবশ্য মুক্তমনের নামে বিশ্বাসীদের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে। কালকেও একজন হিজাব পড়া ছাত্রীকে হিজাব পড়ার অপরাধে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন......? তার ধর্ম পালন করার অধিকার কি নাই?
এদেশে গত ৩০ বছর দেখেছি টিভি মিডিয়ার নাটকে দাঁড়ি টুপি কে টেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি কি এগুলো কে আঘাত বা উস্কানী বলে মনে করেন না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

জেন রসি বলেছেন: আপনি জংগী বলছেন, মানলাম আপনি যা বলছেন তা সত্য। কিন্তু রাষ্ট্রের কাঠোমোর মধ্যে থেকে আপনাকে মানতে হবে রাষ্ট্রনেতাদের কথা। আপনার সরকার নিয়ত বলছে দেশে কোন জংগী নাই, আপনি বলছেন আছে। আপনি কেন তাহলে আদালতে গিয়ে হত্যাকারীদের পয়েন্ট আউট করে দিচ্ছেন না।
জংগীবাদ নিয়ে আমরা সবাই ভীত। কিন্তু সেটা জুজুর ভয়ে রয়ে গেল। আজ অব্দি আমার রাষ্ট্র আমার সামনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিতে পারেনি। যেখানে আপনার হোম মিনিস্টার বলছে সমকামিতা আমাদের সমাজের সাথে বেমানান। সেখানে খালি জংগীদের দোষ দিচ্ছি কেন?


আমি সত্য বলেছি তা যদি মানেন তাহলে কিন্তু বিতর্কের প্রয়োজন হয়না। কারন আমি খুব স্পষ্ট ভাবেই বলেছি যে, জঙ্গি সংঘটনগুলো এসবের সাথে জড়িত। আমার মূল পোস্টে এবং মন্তব্যে আরো বলেছি সব দলই এসব জঙ্গিদের নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে। বর্তমান সরকারও মুল সমস্যাকে এড়িয়ে গিয়ে প্রকাশনা বন্ধ, ব্লগারদের হয়রানীতে যতটা কাজ করছে- জঙ্গি ধরার ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই উদাসীন। তাদের উদ্দেশ্যও যে বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে সেটাও কিন্তু আমি স্পষ্ট ভাবে বলেছি। কিন্তু এখানে এসেই আমি মূল সমস্যায় আলোকপাত করতে চেয়েছি। সেটা হচ্ছে আমাদের ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি। আমরা মুক্তচিন্তার প্রকাশ আর হত্যা করে বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা এক করে ফেলছি। এসব বিভ্রান্তির কারনেই কিন্তু রাজনীতির নামে অনেক কিছুই করে ফেলা যায়। কলম দিয়ে লড়াই আর চাপাতি দিয়ে হত্যা করে বিশ্বাস আরোপ করা কখনোই এক হতে পারেনা। ধরেন আপনি মুসলিম ধর্ম পালন করেন। আপনি নামাজ পড়েন। আপনি ইস্লামের কথা বলেন। এখন ইসলাম কি বলে? ইসলাম এমন অনেক কিছুই বলে যা অন্য ধর্মের বিশ্বাসকে আঘাত করে। সব ধর্মেই তেমন ব্যাপার আছে। এখন কেউ যদি বলে সে জন্য আপনি আপনার ধর্মের কথা বলতে পারবেন না- বললেই আপনাকে হত্যা করা হবে! এম্ন কিছু বলা বা করাটা কি ঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হবে? মুক্তমনারা যুক্তি দিয়ে লিখছে। অনেকে অনেক কিছু না বুঝে আবার কুরুচিপূর্ণ গালিও দিচ্ছে। কিন্তু সেটার সাথে জঙ্গিদের হত্যাকাণ্ডের কিংবা ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার চর্চাকে কোন ভাবেই মিলানো যাবেনা। মুক্তমনারা কিন্তু কাউকে নামাজ পড়ার জন্য হত্যার হুমকি দেয়না। হত্যা করারতো প্রশ্নই আসেনা। তাই আমাদের বুঝতে হবে মত প্রকাশ কিভাবে করতে হবে সেটা অন্য বিতর্ক। সেটা আলোচনা হতে পারে। ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কুরুচিপূর্ণ আচরন আমিও পছন্দ করিনা। কিন্তু তাই বলে সেটার সাথে আমি বিশ্বাসের নামে মানুষ হত্যার ব্যাপারটিকে এক করে ফেলার পক্ষপাতী না। কারন অন্ধ বিশ্বাসীর মত ভয়ঙ্কর কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা। এরা আজ মুক্তমনাদের মারছে। কাল আপনাকে বলবে আপনি সঠিক মুসলমান না। তখন কি করবেন? অন্ধ বিশ্বাস কতটা ভয়াবহ তা আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন।

অবশ্য মুক্তমনের নামে বিশ্বাসীদের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে। কালকেও একজন হিজাব পড়া ছাত্রীকে হিজাব পড়ার অপরাধে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন......? তার ধর্ম পালন করার অধিকার কি নাই?
এদেশে গত ৩০ বছর দেখেছি টিভি মিডিয়ার নাটকে দাঁড়ি টুপি কে টেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি কি এগুলো কে আঘাত বা উস্কানী বলে মনে করেন না।



হিজাব পড়া কখনোই কোন অপরাধ হতে পারেনা। যে ধর্মীয় চর্চা কারো জন্য ক্ষতিকর না তাতে বাঁধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই। কিন্তু কোন ধর্মীয় মতামত যদি অযৌক্তিক মনে হয় সেটাও প্রকাশ করা যাবে। তবে ক্ষতিকর চর্চাকে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। যেমন কেউ যদি বলে সে ধর্ম পালনের জন্যই মুক্তমনাদের হত্যা করছে তবে সেই চর্চার বিরুদ্ধে আমি লড়াই করার কথাই বলব। সেখানে ধর্মের অজুহাত দিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।


একাত্তরে রাজাকাররা দাঁড়ি আর টুপি পড়ে ইসলামের কথা বলে এ দেশে কি করেছিল তা আমরা সবাই জানি। তাই মিডিয়ায় রাজাকারের চরিত্রকে সেভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের দেশের গ্রামের অনেক মান্য গণ্য লোকই মাথায় টুপি পড়ে আর দাঁড়ি রেখে এমন কোন আকাম নাই যা করেনা। জামাতের প্রায় সব নেতাই দাঁড়ি আর টুপি পড়ে থাকে। তাই ব্যাপারটাকে অন্য ভাবেও ভাবা যায়। যেমন দাঁড়ি রেখে, টুপি পড়ে ধর্মের নামে সহজ সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করা! এ দেশের মানুষকে কত সহজে বিভ্রান্ত করা যায় তা সাইদি রাজাকার চাঁদে গিয়েই প্রমান করে দিয়েছেন। ;)



৩৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

নেক্সাস বলেছেন: রাষ্ট্র কে আিনের শাষন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্মফভাবে বাধ্য না করে নিঝেদের মত করে দোষারপের থিউরিতে পড়ে থাকলে কোনদিন অন্ধকার দুর হবেনা। মাহমুদুর রাহমানেরা অবশ্য দায়ী, কিন্তু শফি হুজুর যখন রাষ্ট্রে বসে ফতো্যা দেয় তখন সে রাষ্ট্রে একজন তথাকথিত প্রগতিশীল সরকার কিন্তু আছে। তারপরেও শফি হুজুরেরা হেলিকপ্টারে করে চলাফেরা করে, কিসের শক্তিতে।
রাজনৈিতির এসব খেলা আমরা বুঝি প্রিয় জেন রসি।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৮

জেন রসি বলেছেন: রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হলে আগে আমাদের বিভ্রান্তি কাটিয়ে সক্রিয় হতে হবে। বাংলা ভাইরা যখন সর্বহারাদের হত্যা করছিল তখন প্রসাশন তাদের অস্তিত্বই স্বীকার করতে চায়নি। বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি এমন কথাও বলা হয়েছিল। যারা বলেছিল জঙ্গি উত্থান হচ্ছে তাদের কথাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছিল। কারন সর্বহারা মারায় প্রসাশন জঙ্গিদের উপর খুব খুশী ছিল। তারা দেখেও না দেখার ভান করে বসে ছিল। কিন্তু এরাই যখন একদিন সিনেমা হলে, আদালতে বোমা হামলা করে সাধারন মানুষ হত্যা করা শুরু করল। তখন প্রসাশনের নিয়ন্ত্রনের বাইরেই চলে গিয়েছিল সব। অথচ এদের প্রথম থেকেই সমূলে উৎপাটন করলে তেমনটা হতনা।

এই সরকারও ঠিক একই ভুল করছে। তখন সর্বহারা মারা হয়েছিল। এখন মুক্তমনাদের হত্যা করা হচ্ছে। সরকার বলছে এসব জঙ্গি উত্থানের মত কোন পরিস্থিতি না। আসলে তারাও দেখেও না দেখার সেই কৌশল অবলম্বন করছে। যার ফলাফল খুব ভয়াবহ হবে বলেই মনে করি। তাই আমি খুব স্পষ্টভাবে বলেছি, জঙ্গি উত্থান ঘটেছে আবার। এবং প্রশাসনের উদাসীনতা এবং আমাদের বিভ্রান্তি তাদের আরো শক্তিশালী করছে। খুব অবাক হব না যদি এরাও কয়েকদিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বোমা মেরে গণহত্যা শুরু করে দেয়। তাই সরকারকে বাধ্য করতে হলে আমাদেরকেই আগে সব বিভ্রান্তি কাঁটিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সব মাধ্যমে সক্রিয় হতে হবে।

আওয়ামীলীগ অনেক আগেই অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসেছে। তারাও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, এই ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।

৩৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১০

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি এত কিছু বুঝি না আমি একটু সত্য প্রকাশ করতে চাই। কিন্তু আমাকে তা প্রকাশ করতে দেয়া হয় না পোষ্ট মুছে ফেলে প্রথম পাতা থেকে ব্যান করা হয় আমাকে। তাই ভাবছি এখন থেকে শুধু মিথ্যা মিথ্যা গপ্পো রচনা করব। আর এসলামি কোবতে লিখব তাহলেই দুষ্টু মডারেটরা খুশি হবে। :)
---------------------------

এই কথা গুলো বড়ই সত্য বলেছেন।

অনেকেই এমন ধারনা করে থাকেন, ব্লগার মানেই নাস্তিক। ব্লগার মানেই ইসলাম নিয়ে আক্রমণাত্মক লেখা! আমরা জানি শাহবাগের আন্দোলনের সময় জামাতকে রক্ষা করার জন্য এই প্রোপাগান্দা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এবং সাধারন মানুষ খুব ভালো ভাবেই বিভ্রান্ত হয়েছিল। এইজন্য সরকারকে ব্লগার গ্রেপ্তার করে দেখাতে হয়েছিল যে, তারা কোন ভাবেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সহ্য করবেনা। সামুর অনেক ব্লগাররাও সব ভুলে নাস্তিক ব্লগারদের নিয়েই খুব সক্রিয় হয়ে গেলেন। এমনকি অভিজিত রয় কিংবা অন্যান্য মুক্তমনা ব্লগার হত্যার পরও আমরা দেখতে পাই, একের পর এক পোস্ট আসতে থাকে। কিন্তু সেসব পোস্টের বিষয় বস্তু কি? মুক্তচিন্তার নামে ধর্মকে আঘাত করা ঠিকনা। এসব আসলে মুক্তচিন্তা না! এসব হচ্ছে আমেরিকা যাওয়ার কিছু কৌশল মাত্র! যদিও সবাই দোষীদের বিচার চান। কিন্তু তারা মনে করে থাকেন এক হাতে তালি বাজেনা। এসব মুক্তমনারাও নিশ্চয়ই এমন কিছু করছে যা জঙ্গিদের বাধ্য করছে তাদের হত্যা করতে।

ব্লগে লেখালেখি করলে এবং সত্য প্রকাশ করলে তাকে খুন করা যায়েজ এবং ইহা অতি সাধারণ অপরাধ। খুনিকে একটু বকে দিলেই হয়ে যায়। যদিও তলে তলে তাকে বাহবা দিতেই পছন্দ করে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা এটাই । :(

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫২

জেন রসি বলেছেন: আমি এত কিছু বুঝি না আমি একটু সত্য প্রকাশ করতে চাই। কিন্তু আমাকে তা প্রকাশ করতে দেয়া হয় না পোষ্ট মুছে ফেলে প্রথম পাতা থেকে ব্যান করা হয় আমাকে। তাই ভাবছি এখন থেকে শুধু মিথ্যা মিথ্যা গপ্পো রচনা করব। আর এসলামি কোবতে লিখব তাহলেই দুষ্টু মডারেটরা খুশি হবে। :)

আপনার কোন পোস্ট কেন সরিয়ে আপনাকে প্রথম পাতা থেকে ব্যান করা হয়েছে তা আমি জানিনা। তাই সে ব্যাপারে না জেনে কিছু বলাটা ঠিক হবেনা। তবে আপনার লেখায় যদি যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকে এবং তা সত্য তথ্য সমৃদ্ধ লেখা হয় এবং তা সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকে, তবে বলব সেটা প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ হয়েছে। সামু ধর্মীয় পোস্টগুলোকে যতটা প্রোমোট করে থাকে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লেখা হলে সেটাকে ঠিক ততটাই বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চায়! ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মহা সমন্বয় ভাই।

৩৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

শায়মা বলেছেন: জিনিভাইয়া কেমন পোস্ট কি হবে?

আর কবে হবে? :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

জেন রসি বলেছেন: যেমন পোস্ট, তেমন হবে! :P

লিখলেই হয়ে যাবে! :)

৩৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

শায়মা বলেছেন: এরপরের পোস্ট কি হবে লিখতে গিয়ে কেমন পোস্ট কি হবে লিখেছি।:(

মাথায় সব গড়বড় হয়ে যাচ্ছে আজকাল ভাইয়ু!:(

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা

বুঝেছি।

দেশের পরিস্থিতি খারাপ। তাই মাথায় গড়বড় হতেই পারে!

আপনার খবর কি বলুন?

নতুন পোস্ট দেন। :)

৩৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

হুকুম আলী বলেছেন: যে যে ধর্ম পালন করে সেই ধর্মের প্রতি তার দুর্বলতা থাকে, সেই ধর্ম নিয়ে কেউ উল্টাপাল্টা লিখলে সেটা সে কোনভাবেই গ্রহণ করতে পারে না। এখানেই মুক্তমনাদের সাথে মনে হয় দ্বন্দ লাগে। কাজেই কারো অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে লেখাটা মনে হয় ঠিক না। পৃথিবীতে লেখার অনেক বিষয় আছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০০

জেন রসি বলেছেন: যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং ঘৃণা ছড়ানো- এ দুটো ব্যাপারকে এক করে দেখার একটা প্রবনতা আমাদের মধ্যে আছে। আমরা যখন যুক্তি দিয়ে কোন মতবাদকে বাতিল করার চেষ্টা করি তখন সেই মতবাদের খারাপ দিকগুলো এবং কেন তা বাতিল সেসব ব্যাপারও খুব স্পষ্ট ভাবে উঠে আসবে। এখন সেটাকে যদি মূল্যবোধে আঘাত বলা হয় তবে সেটা বিভ্রান্তি। সেটাকে বলা যেতে পারে বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে আঘাত যা সব যুগেই যুগের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা করে এসেছে।

যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কথা বলা হয়ে থাকে তবে সেটা কিন্তু এক ধর্মের প্রচারের মধ্যেই অপর ধর্মের অনুভুতিতে আঘাতের ব্যাপার চলে আসে। যেমন ইসলাম ধর্মে আছে যারা মূর্তি পূজা করে তারা শয়তানের পূজারী। আবার হিন্দু ধর্মে আছে যারা ইসলামের রীতিনীতি পালন করবে তারা নরকে যাবে। তাই সেসব প্রচারও আঘাত। কিন্তু সেসবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগেনা। কিন্তু যুক্তি দিয়ে বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বিশ্লেষণ করতে গেলেই অনুভূতিতে আঘাত লেগে যায়। এটা আসলে দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্ধ বিশ্বাসের কারনেই হয়ে থাকে বলে মনে করি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৭

শায়মা বলেছেন: আমার মাথায় তো গড়বড় পোস্ট লিখবো কেমনে?:(

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৩

জেন রসি বলেছেন: মাথায় গড়বড়ের কারন ও প্রতিকার- এই নিয়ে একটা পোস্ট লখে ফেলেন! :)

৩৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৯

শায়মা বলেছেন: কি বলো!!!!!!!!! B:-)

এইটা লিখলেই হয়েছে আর কি!!!!!!!! আমাকে পাবনায় যেতে হবেনা বা কেউ সেখানে পাঠাবেও না ।পাবনাই নিজেই উঠে আসবে আমার বাড়ি। :P

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

জেন রসি বলেছেন: তাহলে ভালোই হবে! আমি পাবনা চলে যাব! তারপর পাবনার সাথে আপনার বাড়িতে! :P

৪০| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছি আজকাল । সময় করে কারো লেখাই পড়তে পারছি না । পরে ঠিক পড়ে নেবো লেখাটি । :)

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:০০

জেন রসি বলেছেন: আমিও আজকাল ব্লগে খুব একটা সময় দিতে পারছিনা। তবে চেষ্টা করছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়। :)

৪১| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো পোষ্ট ।

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.