নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ সেক্টর "৭১"

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৮




জুয়া



যারা জুয়া খেলে তারা জানে, নিয়তি বলে একটা ব্যাপার আছে। ম্যাডাম সেকুরা এখন জুয়া খেলার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাকে এখন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। বিশেষ করে সেক্টর ৭১ এর নাগরিকদের ভবিষ্যৎ তার একটি সিদ্ধান্তেই পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। তবে চিন্তা করার জন্য তাকে কিছু সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি তার উপদেষ্টাদের মতামত আগেই নিয়েছেন। এখন শুধু তিনি অফিসিয়ালি হ্যাঁ বললেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।


অ্যাডাম স্মিথ অনেক দিন ধরেই এই চুক্তির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষন পরেই ম্যাডাম সেকুরা চুক্তিতে সাক্ষর করবেন বলেই আশা করছেন। এই প্রজেক্টটাকে তার ব্যবসায়িক জীবনের একটা স্বপ্ন কিংবা আল্টিমেট গোল বলা যেতে পারে। সেক্টর ৪৭ এ তিনি অনেক চেষ্টা করেও এই প্রজেক্টের কাজ শুরু করতে পারেন নাই। একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। নিজের জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাথে সেটা একটা প্রতারনার মত ব্যাপার হয়ে যেত। যদিও স্মিথের কাছে মুনাফাই হচ্ছে প্রথম ঈশ্বর। তার শত্রুরাও সেটা খুব প্রচার করে বেড়ায়।কিন্তু তারা জানে না মুনাফাটা তার কাছে আসল ব্যাপার না। এই মুনাফা লাভের জন্য যে ব্যবসায়িক এবং রাজনৈতিক খেলাটা তাকে খেলতে হয়, এই খেলাটা তিনি খুব উপভোগ করেন। সেকুরার সাথে তিনি এই খেলাটাই খেলে এসেছেন বেশ কিছুদিন ধরে। যদিও সেকুরাকে টোপ গেলাতে তার কষ্ট হয়েছে। সাপোর্টিং হ্যান্ডের দরকার হয়েছে। সেক্টর ৪৭ এর ঝানু রাজনীতিবিদদের দিয়ে তিনি একটা ট্র্যাপ ক্রিয়েট করেছেন। সেকুরার চারপাশে থাকা দুর্নীতিবাজ নেতা এবং আমলাদের খুঁজে বের করেছেন। স্মিথ জানে, সঠিক সময়ে সঠিক মানুষকে ঘুষ দিতে পারা একটা আর্ট। এবং এই ব্যাপারে তিনি একজন দক্ষ আর্টিস্ট। যদিও তিনি জানেননা যে, তার জন্য খুব বিস্ময়কর কিছু অপেক্ষা করছে।


কার্ল আরেকটি পরাজয় বরন করে নেওয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত। তিনি তার জীবনের সব মেধা, স্কিল সেক্টর ৭১ এর নাগরিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ইউটিলাইজ করেছেন। কিছু মতবাদের আলোকেই তিনি তা করতে চেয়েছেন। কিন্তু ফলাফল প্রায় শুন্য। সবাই জানে তার যুক্তি ঠিক। তিনি ভালোর পক্ষে কথা বলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব কম মানুষই তার পাশে এসে দাঁড়ায়। যেমন তার চোখের সামনে সেকুরা পরিবেশ বিরোধী এক চুক্তিতে সাক্ষর করে ফেলছে। কার্ল গবেষণা করে, প্রমান করে সবার সামনে এ প্রকল্পের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন। সবাই কনভিনসড। কিন্তু সবাই নিরব। এ সেক্টরের নাগরিকরা এত বড় এক সিদ্ধান্তের দায়িত্ব সেকুরার উপর ছেড়ে দিয়েছে। এটা বিস্ময়কর। যদিও কার্ল জানেন, বিভিন্ন ভাবে নাগরিকদের একটা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জালে আটকে ফেলা হয়েছে। এ জাল ছিন্ন করে জনতাকে সংঘটিত করার জন্য ঠিক যেমন নেতা দরকার, তেমন নেতা এদেশে নেই। কার্ল নিজেও একজন ব্যর্থ নেতা।


একটা বদ্ধরুমে কয়েকজন যুবক মিটিং করছে। এটাকে একটা ষরযন্ত্রও বলা যেতে পারে। তারা সেকুরা প্রশাসনের উপর পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা জানে সেকুরা কিছুক্ষনের মধ্যেই এক পরিবেশ বিরোধী প্রকল্পের অনুমোদন দিয়ে দেবে। যা সেক্টর ৭১ কে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেবে। তারা নিজেদের প্রানের বিনিময়ে হলেও এ প্রকল্প বন্ধ করতে চায়। তবে সেকুরা প্রসাশনের বিরুদ্দে তারা তেমন কিছুই করতে পারবেনা। জনগন তাদের চিনেও না। কেউ তাদের কোন কথায় কান দেবেনা। রাস্তায় নামলেই তারা গ্রেপ্তার হয়ে যাবে। তাই এমন কিছু করতে হবে যেন জনতা জেগে ওঠে। তারা খুব দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। একে অপরের হাতে হাত রেখে শপথ পাঠ করে। কিছুক্ষনের মধ্যেই মিডিয়াকে খবর পাঠাতে হবে।

প্রস এ্যান্ড কন



রুহার চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে লিও। তারা খুব কমন একটা খেলা খেলছে। এক জন আরেকজনের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকবে। যে প্রথম চোখের পলক ফেলবে সেই হেরে যাবে। রুহা জানে, লিও এ খেলায় হেরে যাবে। লিও সবসময় হেরে যায়। লিও শুধু সে খেলাতেই জিতে যে খেলায় সে জিততে চায়। লিও হচ্ছে সেক্টর ৭১ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় মেন্টালিস্ট। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তদন্তে সে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে। সে এমন ভাবে যে কোন সমস্যার সমাধান বের করে ফেলতে পারে যা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনা। রাজনীতি, ক্ষমতা এসব নিয়ে সে খুব একটা মাথা ঘামায়না। তার কাজ হচ্ছে সমস্যা সলভের পথ খুঁজে বের করা। ক্ষমতাবান কেউ যখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে একটা দ্বিধার মধ্যে পরে যায় তখন তারা লিওর সাহায্য চায়।

আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ম্যাডাম সেকুরা আজ তোমায় ডাকবে। লিওর চোখের দিকে তাকিয়েই বলল রুহা। চোখের পলক ফেলে হার মানল লিও। তুমিও দেখি আমার সাথে থাকতে থাকতে অনুমান করতে শিখে গেছ। আসলে প্রতিটি মানুষই সবসময় কিছুনা কিছু অনুমান করে। কিন্তু সঠিক ভাবে অনুমান করা খুব কঠিন ব্যাপার। হেসে জবাব দেয় লিও। তবে তুমি পেরেছ। কারন সেকুরা ম্যাডাম তার সাথে দেখা করতে বলেছেন। আমি কিছুক্ষন পরেই তার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। তোমার কাছে কি কোন সমাধান আছে? জানতে চায় রুহা। সমাধান আমার কাছে না থাকলেও সেকুরা ম্যাডামের কাছে আছে। আমি শুধু তাকে সেটা খুঁজে বের করতে সাহায্য করব। রুহার ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়েই উঠে দাঁড়ায় লিও।


লিও চলে যাওয়ার পর রুহা খুব দ্রুত কিছু কাজ সেরে ফেলে। সে একটা গোপন কোডের মাধ্যমে এক জায়গায় কিছু খবর পাঠিয়ে দেয়। রুহা জানে স্মিথের লোকজন সব জায়গাতেই আছে। সে নিজেও স্মিথের কোম্পানির গোপন এজেন্ট।প্রোফেশনাল ব্যাপারে রুহা খুব দক্ষ। তার উপর নির্দেশ ছিল লিওকে এমন ভাবে হত্যা করতে হবে যেন সে সেকুরার সাথে কথা বলার মাঝপথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। তার আগেও না, আবার পরেও না। এতে করে ম্যাডাম সেকুরা মানসিক ভাবে পুরোই ভেঙে যাবে। সে বুঝবে সেক্টর ৪৭ এর কথা না শুনে তার আর উপায় নেই।


ম্যাডাম সেকুরা গভীর বিস্ময়ে হলোগ্রাফিক ভিডিওতে কয়েকজন যুবককে দেখছেন। সেক্টরের সবগুলো জনপ্রিয় মিডিয়া সেটা সরাসরি সম্প্রচার করছে। কয়েকজন যুবক গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মাহুতির হুমকি দিয়েছে। তাদের একটাই দাবি। সেক্টর ৭১ এর জন্য ক্ষতিকর এবং পরিবেশের জন্য হুমকি এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবেনা। তারা সেকুরার মুখ থেকেই সেটা শুনতে চায়। দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে তারা পুরো জাতির সামনে আগুনে পুড়ে আত্মাহুতি দেবে। সেখানে ধীরে ধীরে মানুষের ভীর বাড়ছে। কেউ কেউ বিচ্ছিন্ন ভাবে স্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেকুরা খুব স্পষ্ট ভাবেই বুঝতে পারছেন খুব দ্রুতই তার প্রসাশনের বিরুদ্ধে মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে যাবে। তাদের আবেগটা তিনি অনুভব করতে পারছেন। কিন্তু তারা অনেক তথ্যই জানেনা। এই চুক্তিতে সই না করলে সেক্টর ৭১ কে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানেন সেক্টর ৭১ অনেক শক্তিশালী সেক্টরের উপরই নির্ভরশীল। তার মধ্যে সেক্টর ৪৭ হচ্ছে অন্যতম। তারা এই সেক্টরের কিছু দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছেমত সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। সেকুরার প্রশাসনে এমন কিছু মানুষ আছে যারা অর্থ এবং ক্ষমতার লোভে নিজের বউ বাচ্চাকেও বিক্রি করে দিতে পারে। কিন্তু তিনি এদের দ্বারাই অবরুদ্ধ হয়ে গেছেন। খুব নিঃসঙ্গ লাগছে তার। একজনের কথা খুব বেশী মনে পরছে। তার বাবাকে আজ মিস করছেন তিনি। যার নেতৃত্বে সেক্টর ৭১ একদিন একদল পিশাচের সাথে লড়ে স্বাধীন সেক্টর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।


কার্ল এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে অনেক মানুষ ভীর করেছে। কিছু যুবক আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির হুমকি দেওয়ার পর থেকেই সেটা মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো সেক্টরবাসী জেনে যায়। তার পর থেকেই এখানে মানুষজন এসে অবস্থান নিতে থাকে। বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা স্লোগান দিচ্ছে। কার্ল যুক্তি দিয়ে যা করতে পারেনি, কয়েকজন যুবক আবেগ দিয়ে তা করে ফেলেছে। তাদের আবেগ মানুষকে স্পর্শ করেছে। তারা প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে সংখ্যাটা বাড়ছে। কার্ল জানে আবেগ দিয়ে কোন মুভমেন্ট বেশীক্ষণ সারভাইভ করতে পারেনা। সঠিক নেতৃত্ব না থাকলে সে মুভমেন্ট খুব দ্রুত ধূর্ত কিছু মানুষের হাতে চলে যায়। যা বরং এই মুহূর্তে আরো বিপদজনক হতে পারে।


স্মিথ কিছুটা উত্তেজনা অনুভব করছেন। কয়েকজন আবেগপ্রবন যুবক শেষে এসে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি করে ফেলেছে। মানুষ এতদিন অনেকটাই চুপ ছিল। এখন সরব হচ্ছে। সেকুরা প্রশাসন যদি এটা নিয়ন্ত্রন করতে না পারে তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আরো সময় লেগে যাবে। স্মিথ এমনিতেই এই প্রকল্পের পেছনে অনেকটা সময় ব্যায় করে ফেলেছে। সেক্টর ৪৭ এর প্রশাসন তাকে সময় এবং সমর্থন দুটোই দিয়েছে। তবে তারাও আর অপেক্ষা করবে বলে মনে হয়না। এই মুভমেন্টকে অন্য দিকে প্রবাহিত করতে হবে। যেন তা গনমানুষের সমর্থন হারিয়ে ফেলে। সেক্টর ৭১ এ তাদের কিছু পেইড ব্রোকার আছে। এদের কাজে লাগাতে হবে। তবে সেটা পরে। আপাতত তিনি একটা সংবাদের অপেক্ষায় আছেন। সেটা হচ্ছে মেন্টালিস্ট লিওর মৃত্যুর খবর। তিনি জানেন রুহা তার কাজের ব্যাপারে খুব বেশী ডেডিকেটেড এবং দক্ষ।

কাউন্টার পলিসি



লিও সব সময় মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ফিট থাকে। নিয়মিত মেডিটেশন এবং ব্যায়াম করতে তার একদিনও ভুল হয়না। এখন সে ম্যাডাম সেকুরার মুখোমুখি বসে আছে। কিন্তু সে খুব ডিজি ফিল করছে। কেমন যেন ঘুম ঘুম লাগছে। অথচ তার এখন খুব বেশী সজাগ থাকা প্রয়োজন। লিও তার হার না মানা মানসিক শক্তি দিয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করে। সে বুঝে গেছে তাকে পয়জনিং করা হয়েছে। তার হাতে খুব বেশী সময় নেই আর। রুহার প্রতি রাগ, ক্ষোভ, বিস্ময় এসব এখন মন থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। তাকে এখন সেকুরার সাথে খুব গুরুত্বপূর্ণ এক আলোচনায় অংশ নিতে হবে।

তুমি অনুমান করতে পারছ কেন আমার তোমাকে দরকার। আমি একটা ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। আমরা এখন এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি যে সিদ্ধান্তই নেই না কেন আমাদের সেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেভাবেই ওরা প্ল্যান করে রেখেছে। তবে আমি চাচ্ছি এমন সিদ্ধান্ত নিতে যেখানে ক্ষতিটা কম হবে। জনগন আমাকে ঘৃণা করলেও সেক্টরের ক্ষতিটা যেন কমানো যায়। এ ব্যাপারে তোমার মতামত বল! সেকুরা খুব বিষণ্ণ কণ্ঠেই কথাগুলো বলে লিওর দিকে তাকায়। তবে লিওকে কেমন যেন খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে তার বসে থাকতেই কষ্ট হচ্ছে।

একজন মহান নেতা বলেছিলেন, “ As we have already learned how to sacrifice our own lives, now no one can stop us!” লিওর কথা শুনে সেকুরা কেমন যেন খুব চমকে ওঠে। কথাগুলো তার মধ্যে এক অন্যরকম আলোড়ন তোলে। লিও কথা বলা থামায় না। সে আরো বলে, এই sacrifice কখন কেমন হবে সেটা সময় নির্ধারণ করে দেয়। এখন আমাদের শত্রু কোন সেনাবাহিনী না যারা আমাদের আক্রমণ করে হত্যার চেষ্টা করছে। এখন আমাদের শত্রু তারা যারা আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে নির্ভরশীল করে পঙ্গু করে ফেলছে। জুজুর ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের অর্থনীতির চাকা, উন্নয়নের প্রকল্পগুলো নিজেরা নিয়ন্ত্রন করতে শিখি তবে হয়ত সাময়িক ভাবে আমাদের কিছু আরাম বিনষ্ট হবে। তবে আমরা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে থাকব। লিওর কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সে আরো অনেক কিছু বলতে চায়। কিন্তু তার কাছে মনে হয় সব অন্ধকার হয়ে আসছে। লিও হঠাৎ করে পরে যায়। সেকুরা দৌড়ে লিওর কাছে যায়! সে আতঙ্কে কাঁপছে।



কয়েকজন মানুষকে জনতার ভীরে খুব সরব হতে দেখা যায়। সব ধ্বংস করে ফেলতে হবে এমন বলে তারা জনতাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। কার্ল খুব দ্রুতই বুঝে যায় এরা আসলে আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। তাদের এখানে পাঠানো হয়েছে। কারা পাঠিয়েছে তা বুঝতে অভিজ্ঞ কার্লের খুব বেশী সময় লাগেনা। তবে কার্ল জানে এবার সে এদের প্রতিহত করতে পারবে। সে ক্ষমতা তার আছে।


যে সংবাদটি শোনার জন্য স্মিথ অপেক্ষা করছে অবশেষে তা সে জানতে পারে। লিও ইজ ডেড। এখন সেকুরাকে খুব চমৎকার ভাবে ব্ল্যাকমেল করা যাবে। সে তৃপ্তির হাসি হাসে। রুহা আসলেই একটা রত্ন। এমন কাউকে পাওয়াটা আসলেই খুব সৌভাগ্যের ব্যাপার!



হঠাৎ করে মিডিয়ায় ঘোষণা আসে ম্যাডাম সেকুরা সেক্টর ৭১ এর নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। সবার দৃষ্টি সেদিকে চলে যায়। সবাই বুঝতে পারে এখন তিনি তার সিদ্ধান্ত জানাবেন। যে সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তিনি আসলেন। তাকে খুব আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে। তিনি খুব দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করলেন সেক্টরের পরিবেশের জন্য ক্ষতি হয় এমন কোন চুক্তিতে তিনি সাক্ষর করবেন না। এমন কোন প্রকল্পের কোন অনুমোদন তিনি দেবেন না। সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন “ As we have already learned how to sacrifice our own lives, now no one can stop us!” সমগ্র সেক্টরবাসি অবাক বিস্ময়ে দেখেন ম্যাডাম সেকুরা হাউমাউ করে কাঁদছেন। সেক্টর ৭১ এ তখন এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে। যে যেখানে আছে সেখানে দাঁড়িয়ে ম্যাডাম সেকুরাকে স্যালুট জানায়। তাদের অনেকের চোখেই তখন অশ্রু এবং স্বপ্ন একসাথে খেলা করতে থাকে।


পরিশেষে


ষড়যন্ত্রের অভিযোগে স্মিথকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেক্টর ৪৭ এর রাজনীতিবিদদের এ সিদ্ধান্তে স্মিথ বিস্মিত হয়নি। তবে আরেকজনকে দেখে সে খুবই বিস্মিত হয়। যার জন্য আজ তার এই পরিনতি। যে তার সব গোপন তথ্য আর ষড়যন্ত্রের খবর মিডিয়ার কাছে ফাঁস করে দিয়েছে। এই প্রথম স্মিথ মানুষ চিনতে ভুল করেছে।

লিও চোখ মেলে দেখে তার দিকে এক জোড়া মায়াবি চোখ নিয়ে এক মানবি তাকিয়ে আছে। যার চোখ ছলছল করছে। সেক্টর ৭১ এর গোয়েন্দা বাহিনীর চৌকস অফিসার রুহাকে আজ একেবারেই অন্যরকম লাগছে। লিও হেসে বলে, বিষের বদলে ঘুমের ঔষধ দিয়েছিলে। তবে ডোজ কিছুটা কম দিলেই পারতে। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। কেউ চোখের পলক ফেলছেনা। রুহা ঠিক করেছে আজ সে ইচ্ছে করেই হেরে যাবে।

মন্তব্য ৯০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৯০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: উহুঁ!!!!!!!!!!! আমি এই গল্পের সৃষ্টিকর্তা হলে লিও'র পরিণতি যা ছিল তা-ই রেখে দিতাম!! :| :|

সাসপেন্সের সাথে রুহার এই সাংঘাতিক খেলা বেশ জমিয়ে তুলেছে গল্পটি!!!!!!!!!

চমৎকার গল্প!! কিন্তু আমি তো আমাদের ওপর আপতিত বিপদের সমাধানের রাস্তা দেখতে পাচ্ছি!!!!!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৪

জেন রসি বলেছেন: রুহার খেলাকে মহিমান্বিত করার জন্যই লিওকে বাঁচাইতে হইছে।

মানুষ না মাইরা গল্প লেখার চেষ্টাও বলতে পারেন! :)

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মানুষ না মাইরা গল্প লেখার চেষ্টাও বলতে পারেন!


হাঃ হাঃ হাঃ গল্পে আপনি মানুষ মারতে চান না! আজব তো!! অথচ আমাদের সরকার প্রতিবাদীদের বুকে সরাসরি গুলি করতে দ্বিধাবোধ করে না!! :| :| সে যাইহোক, আমাদের রাষ্ট্রকে একটি জীবদেহ কল্পনা করলে সেটার ভেতরে আজ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, জলাতংক এইসব বহু মারাত্মক রোগে বাসা বেঁধেছে!! :| :|

একটা ক্যান্সার অধুনা নতুন করে বাসা বাঁধছে। সেটা খুবই সুদুরপ্রসারী ক্ষতি বয়ে আনবে সন্দেহ নেই! :(

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫২

জেন রসি বলেছেন: মারতে চাইনা তা ঠিক না! তবে না মাইরা দেখলাম আরকি! ;) আমাদের রাষ্ট্রে ভালো পলিটিক্যাল গেমার নাই। যারা আছে তারা নিজেদের মধ্যে সাপ লুডু খেলছে। বাইরের প্লেয়ারদের সাথে দাবা খেলায় পেরে উঠছে না। আর দালাল বলে একটা টার্ম আছে। তবে নিজের দেশের দালালেরও অভাব আছে এ দেশে। ;)

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তবে আপনার রুহা'র মতো কেউ যদি থাকতো আর আমি পাইতাম তাইলে ভালা অইতো!!!!!!! :> ;) :``>>

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

জেন রসি বলেছেন: তাইলে লিওর মত মেন্টালিস্ট হইতে হবে। তবে চারপাশে নজর রাখেন। পেয়ে যেতেও পারেন! ;)

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হা হা হা

সুন্দর হয়েছে।

ভালো থাকুন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাইলে লিওর মত মেন্টালিস্ট হইতে হবে। তবে চারপাশে নজর রাখেন। পেয়ে যেতেও পারেন!


হাঃ হাঃ হাঃ সেই পরিমাণ মেন্টালিস্ট হইতে ৩ বছর ধইরা ট্রাই মারতেসি!!!! ;) ;) দেখি কি করা যায়!! তবে আপনার ডেইলি রুটিন ফলো করলে পসিবল মনে হচ্ছে!! B-)

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৭

জেন রসি বলেছেন: ট্রাই যেহেতু মারতেছেন তবে আপনাকে কেউ আটকাইতে পারবেনা! আমার ডেইলি রুটিন ফলো করলে আমি আরো আগেই সেকুরাকে বশীভূত করে ফেলতে পারতাম! আসলে সব দোষ ডেইলি রুটিনের! ;) B-)

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৬

শায়মা বলেছেন: লিও চোখ মেলে দেখে তার দিকে এক জোড়া মায়াবি চোখ নিয়ে এক মানবি তাকিয়ে আছে। যার চোখ ছলছল করছে। সেক্টর ৭১ এর গোয়েন্দা বাহিনীর চৌকস অফিসার রুহাকে আজ একেবারেই অন্যরকম লাগছে। লিও হেসে বলে, বিষের বদলে ঘুমের ঔষধ দিয়েছিলে। তবে ডোজ কিছুটা কম দিলেই পারতে। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। কেউ চোখের পলক ফেলছেনা। রুহা ঠিক করেছে আজ সে ইচ্ছে করেই হেরে যাবে।

যাক তার মানে ক্ষমতা মমতা যাই হোক রুহাকে অন্যকিছুর কাছে হারতেই হলো। জিনুভাইয়ু মুগ্ধ হলাম অবশেষে!!!!!!! :) :) :)

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২২

জেন রসি বলেছেন: কাজের ফাঁকে হালকা পাতলা দুষ্টামি আরকি! ;)

মুগ্ধ হইছেন জেনে আমিও বিমুগ্ধ হইলাম! :)

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৭

অশ্রুকারিগর বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো। কিন্তু বাস্তবের কি হবে !

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২৭

জেন রসি বলেছেন: বাস্তবে কোন লিও নাই, রুহা নাই! সেকুরার চারপাশে কিছু দালাল আছে। আর আমাদের মত অনলাইনে হাতি ঘোড়া মারা অনেক প্রতিবাদি আছে!

ধন্যবাদ কারিগর ভাই।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৭

শায়মা বলেছেন: গেমু তার চাইতে তুমি গল্প থেকে রুহাকেই বের করে আনো। :)


তবে সাবধান মেন্টালিস্ট হতে গিয়ে আবার মেন্টাল পাগলা হয়ে যেও না ! :)

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩১

জেন রসি বলেছেন: রুহাকে বের করে আনতে গিয়ে গল্পের ভেতরে আটকা পরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ;)

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শায়মা বলেছেন: গেমু তার চাইতে তুমি গল্প থেকে রুহাকেই বের করে আনো।


উঁহুঁ!!!!!!!!!!!!! নো...............

বরং রুহাকে খুঁজে নেব। ;) ;) B-))

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৩

জেন রসি বলেছেন: পাজল না দেখে সলভ করাই উত্তম! ;) ;)

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২৫

শায়মা বলেছেন: গেমুভাইয়া রুহাকে তো গল্প ছাড়া এই দুনিয়ায় পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না!!!!!!

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৭

জেন রসি বলেছেন: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া.............

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: @শায়মা,
হাঃ হাঃ হাঃ একশো একবার পাওয়া যাবে!!!!!! :``>> :``>> মনে চোখ দিয়ে + সজাগ চোখ দিয়ে + ০০৭ চোখ দিয়ে খুঁজলে অবশ্যই পাওয়া যাবে। ;) ;) ;)

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৫

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা হা................

তাও ভালো তৃতীয় নয়ন বলেন নাই!!! ;)

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৯

শায়মা বলেছেন: বেশি কথা বইলোনা গেমু বাবু। সব বলে দেবো কিন্তু তোমার রুহা সুহা নুহা সবার গল্পই!!!!!! :D

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০০

জেন রসি বলেছেন: রুহা.........সুহা.......আবার নুহা..........শেষের দুইজন আবার কোন দেশের এজেন্ট????

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: উখে চুপ থাকলামমম :>

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৩

জেন রসি বলেছেন: পাল্টা হুমকি দেন! ;) :P

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০২

শায়মা বলেছেন: ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০০ ০
লেখক বলেছেন: রুহা.........সুহা.......আবার নুহা..........শেষের দুইজন আবার কোন দেশের এজেন্ট????
১৩. ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৩ ০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: উখে চুপ থাকলামমম :<


হা হা হা দেখছো ভুই পাইসে । থাক সুহা আর নুহাদের নিয়ে গেমু ভাইজান গল্প লিখুক ২০১৬ এর গেমু।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২১

জেন রসি বলেছেন: আপনি এত কিছু জানলেন কেমনে? ;)

সিআইএ না মোসাদ? ;) :P

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাল্টা হুমকি দেন!

:-B আরেহ, যদি পাল্টা হুমকি দেই তাহলে খেলা বদলানো যাবে না!!!!!! খেলা বদলাতে হলে কুল হেডেড থিওরী আওড়াতে হবে না? ;) ;)

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩৫

জেন রসি বলেছেন: তা ঠিক। আগে সাদা পতাকা দেখাইতে হবে। তারপর কবুতর উড়াইয়া বন্ধুত্বপূর্ণ শ্যুটিং প্র্যাকটিিস করা যাইতে পারে! ;)

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক বলেছেন: তা ঠিক। আগে সাদা পতাকা দেখাইতে হবে। তারপর কবুতর উড়াইয়া বন্ধুত্বপূর্ণ শ্যুটিং প্র্যাকটিিস করা যাইতে পারে!


এইতো লাইন ধরে ফেলেছেন দেখি!!! আমি ইদানিং রনান এর থিওরী প্রাকটিস করছি!!!!!!!! B-)) :P

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

জেন রসি বলেছেন: কত লাইন ধরলাম আর ছাড়লাম। সাদা লাইন, লাল লাইন, কালার ব্লাইন্ড লাইন..... ;)

১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: গল্পের চলে যা বলতে চেয়েছেন তা খুব সহজেই বুঝে গেছি। কিন্তু আমার মনে হয়, আমাদের শেষ পরিনতি এই গল্পের বিপরীত হবে। শেষ পযর্ন্ত তারা সেটা করেই ছাড়বে। সামনে ঘোর অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, আমাদের সেকুরার শেষ ভাষণটি এই গল্পের বিপরীত হবে। যদি তা নাহয়। তাহলে খুবই অবাক হবো। আর অবশ্যই অসাধারণ লিখেছেন কিন্তু।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

জেন রসি বলেছেন: শেষ পরিনতি কি হবে তা আসলে আমরা কি করব তার উপরই নির্ভর করছে। একটা সমাজের পাওয়ার হাউজকে ইনফ্লুয়েন্স করার জন্য শক্তিশালী কিছু প্রেসার গ্রুপ লাগে। তাই আমরা জনগনরা যদি সেভাবে প্রেসার ক্রিয়েট করতে না পারি তবে সেটা আমাদেরও ব্যর্থতা।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার সর্বশেষ প্রতিমন্তব্যটিই শেষ কথা। ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাই জেন রসি।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইলো।

১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

অদৃশ্য বলেছেন:



ভালো লেগেছে লিখাটি...

শুভকামনা...

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য ভাই।

শুভকামনা রইলো।

২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মেটাফরিক এবং অপটিমিস্টিক। লেখা দিয়ে যদি কিছু বদলানোর অভিপ্রায় থাকে, তবে তাতে আশাবাদ থাকতে হবে অবশ্যই। দারুণ একটা কাজ হয়েছে জেন রসি।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

জেন রসি বলেছেন: আশাবাদী হতে চেষ্টা করি। এই চেষ্টাটা উপভোগ করি। ধন্যবাদ হামা ভাই। শুভেচ্ছা।

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

পবন সরকার বলেছেন: দারুণ একটা লেখা। খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

জেন রসি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ।

২২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার পোস্টে আপনার মন্তব্যের একটি বড় সর জবাব লিখে এখানে এসে এই সুন্দর গল্পটির দেখা পেলাম ।
এখন মন্ত্‌ব্য লিখার মত ভাল করে পাঠ করতে পারিনি । আবার আসব , এখন ভাল লাগাটুকু লাইকের ঘরে
রেখে গেলাম । আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তরটা দেখে নিলে প্রিত হব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার প্রতিমন্তব্য পড়েছি। কিছু ব্যাপার সম্পর্কে জানতেও পেরেছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: দারুন লিখেছেন।
খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কবি হাফেজ ভাই।

শুভকামনা।

২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা এবং কাহিনী ভালো লেগেছে। +।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৩

জেন রসি বলেছেন: সবসময় সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা।

২৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৯

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কাহিনী। অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

শুভকামনা।

২৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

কল্লোল পথিক বলেছেন:






বাহ!দারুন গল্প।
১০০তে ১০০
চমৎকার লিখেছেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই।

শুভকামনা।

২৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,



চমৎকার ।
লিওর মতো আমারও যদি সমস্যাটার সমাধান বের করে ফেলতে পারতুম !
যদি ম্যাডাম সেকুরাকে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখতে পেতুম !
অপেক্ষায় ......................

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৭

জেন রসি বলেছেন: সমাধান আমরা জানি। পাওয়ার হাউজগুলোর উপর প্রেসার ক্রিয়েট করতে হবে। নিজেদের কাজ নিজেরা করতে হবে। হয়ত শিখতে সময় লাগে। বাট একবার শিখে গেলে আর কারো উপর নির্ভর করতে হয়না।

ধন্যবাদ জী এস ভাই।

২৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: অনন্য সাধারণ গল্প! খুব খুব ভালো লাগলো। তবে,পরবর্তিতে পড়ার জন্য প্রিয়তে রেখেছি। ভালো থাকুন নিরিন্তর। ধন্যবাদ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়। শুভেচ্ছা।

২৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১০

মহা সমন্বয় বলেছেন: মনে হচ্ছে দারুণ কিছু হবে, পড়তে হবে। :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

জেন রসি বলেছেন: পড়ে ফেলুন। আছেন কেমন?

৩০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পরিপক্ক লিখকের চমৎকার গল্প ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস ভাই।

শুভকামনা।

৩১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
ধরণধারণ সবসময়ই ভালো লাগে।

দারুণ। +

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজপুত্র ভাই।

শুভকামনা।

৩২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১১

জুন বলেছেন: গল্পটি পড়ে মনে হলো এটি কোন সাধারন গল্প নয় জেন রসি । এর ভেতরে আরেকটি গল্পের ছায়া দেখতে পাচ্ছি ।
এ ধরনের রহস্য গল্প লেখায় আপনি দারুন সিদ্ধহস্ত ।
অনেক ভালোলাগলো ।
+

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

জেন রসি বলেছেন: বাস্তব আর ফিকশন মিশিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা আরকি।

ধন্যবাদ জুন আপু।

শুভকামনা।

৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

নীলপরি বলেছেন: আবারো একটা তীক্ষ্ণ গল্পের জন্য ধন্যবাদ । ভালো লাগলো গল্প বলার স্টাইল । ++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

শুভকামনা।

৩৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

ইমন শিহাব বলেছেন: ভাইয়া তুমি খুব কৃপণ।এই রকম অসাধারণ একটা গল্প তুমি এতো ছোট করে লিখেছ।আর একটু বড় করতে পারলে না

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

জেন রসি বলেছেন: হা হা...... আমার কাছে গল্পের সাইজ ম্যাটার না। অল্পতে বলা গেলে কৃপনতাই উত্তম। :)

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথমবার গল্পটি ভাল করে পাঠের তেমন অবকাশ হাতে ছিলনা বলে আবার এলাম । নিবিস্টমনে পাঠে আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পটিতে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে, এর আকৃতিতে-প্রকৃতিতে। গল্পের অ্যাখানভাগ অত বেশি থাকলে সার্থক ছোটগল্প হয় না, এটা ঠিক তাই অখ্যান ভাগ বলতে গেলে বাদ দেয়া হলেও গল্পটিকে সামনে এগিয়ে নেয়ার লক্ষে এতে যথেস্ট মুনসিয়ানা রয়েছে বলেই দেখা যায় ।

গল্পটির ভাষা এ শৈলীতা একটি বিশেষ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততারই স্পষ্ট ঈঙ্গীত দেয় তবে অভিঘাতটা যেন শেষ হয়েও হল না শেষ।

এ গল্পে অনুভুত হল লিখক একটা নিপুণ কাহিনী বলতে চান, ম্যাসেজ দেয়ার টেন্ডেন্সি তাঁর আছে। ন্যারেটিভ বেশ সরস । তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আধুনিক বাংলা গল্প সাহিত্যের বেশ উঁচু মানদণ্ডের বিপরীতে কাজ করা বেশ কঠিন হওয়া সত্যেও গল্পকার একটি দু:সাহসিক প্রয়াস নিয়েছেন । এর বিষয়বস্তু, ভাষা, প্রকরণের শৈলী হয়েছে কিছুটা ভিন্ন মাত্রিক । আদি-মধ্য-অন্তের ন্যারেটিভকে ভেঙে অ্যান্টি-ন্যারেটিভ গল্প লেখা বেশ কঠিন । বিশ্বসাহিত্যের নানা নতুন ভাবধারাকে এ গল্পে ফুটিয়ে তোলার প্রচেস্টা লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে আমার কাছে ।

যদিও গল্পে সারপ্রাইজ থাকার কথা তবে ‘সারপ্রাইজ ইলিমেন্ট’ই একটি গল্পের প্রধান শক্তি নয়। অপ্রত্যাশিত চমক দিয়ে এ গল্পটি শেষ হয়নি বরং গল্প শেষে পাঠকের জন্য একটা বিশেষ থিমের উসকানি রয়ে গেল বলে দেখা যায় । তবে এ গল্পটিতে একটা ব্যাপার আমি বেশ উপভোগ করেছি । তা হল এক গল্পে একাধিক বিষয় জুড়ে দেয়া । রাশান মাত্রিওস্কা পুতুলগুলোর মত এক গল্পের কোঠরে একাধিক বিষয় গুঁজে দেয়ার টেকনিকটি আমার কাছে বেশ কৌতূহলোদ্দীপক এবং এ গল্পে এটা সার্থক ভাবে প্রয়োগ করে একে ভিন্ন মাত্রিকতা দেয়া হয়েছে বলে অনুভুত হয়েছে । সুন্দর এ গল্পটির জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪০

জেন রসি বলেছেন: এধরনের মন্তব্য যেকোন লেখককে উৎসাহিত করবে। আপনার এই চমৎকার বিশ্লেষণে আমি মুগ্ধ এবং কৃতজ্ঞ।

ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

নীলপরি বলেছেন: নতুন লেখা দেখছি না যে !

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১০

জেন রসি বলেছেন: কিছুটা বিজি আছি আপু। তাই নতুন পোস্ট দোওয়া হচ্ছে না।

৩৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

আমিই মিসির আলী বলেছেন: প্লাস প্লাস প্রিয়তে
বুঝতেই পারছেন কেমন হইছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ মিসির আলি সাহেব।

শুভকামনা......

৩৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৬

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
নতুন লেখা দিন।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৮

জেন রসি বলেছেন: ভালো আছি। আশা করি আপনিও ভালো আছেন। :)

৩৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০০

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: ধন্যবাদ ! সুন্দর লেখা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

শুভকামনা।

৪০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

শায়মা বলেছেন: জিনিভাইয়ু!!!

তুমি তো ডুমুরের ফুল হয়ে গেলে!!!!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০০

জেন রসি বলেছেন: ডুমুরের ফুল সম্পর্কে জ্ঞান কম। ডুমুরের ফুলের বৈশিষ্ট্য কি?

ইদের দাওয়াত দেন। দেখবেন লাফাতে লাফাতে চলে আসব। :P

৪১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪

শায়মা বলেছেন: ডুমুরের ফুল চেনোনা!

হায় হায়

এ আমি কাহাকে জিনিয়াস ভাবিয়াছিলাম!!!!!!!

যাইহোক গিয়ান গ্রহন করো---
"ডুমুরের ফুল"। হ্যা, ডুমুর গাছে সত্যিই ফুল হয়! আমরা সাধারনত সেভাবে খেয়াল করিনা বলেই খুব একটা চোখে পড়েনা। যঙ্গডুমুরের ফুল হয় বসন্তকালে আর কাকডুমুরের ফুল হয় গ্রীষ্ম থেকে শরৎকালে।

ডুমুরের ফুল নিয়ে প্রচলিত আছে যে ২০০০-৩০০০ বছরে একবার ডুমুরের ফুল হয়। তথ্যটি ঠিক নয়। এর একটি ছবি কিছু সাইটে দেয়া আছে যেটা আসলে ডুমুরের ফুলের ছবি না ।

http://www.somewhereinblog.net/blog/mzi/29699153


০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

জেন রসি বলেছেন: আরে খাইছে........

এ দেখি অমাবস্যার চাঁদের মত। ;)

৪২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আশায় আছি নতুন কিছু দেখব বলে ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপাতত পড়ছি। কোন এক সময় আবার লেখা শুরু করে দেব। :)


৪৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

জেন রসি বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

৪৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

ইফতি সৌরভ বলেছেন: সমগ্র সেক্টরবাসি অবাক বিস্ময়ে দেখেন ম্যাডাম সেকুরা হাউমাউ করে কাঁদছেন। - ম্যাডাম সেকুরার এমন দৃশ্য মাঝে মাঝেই দেখা যায় তবে তারপরেই তিনি প্রজেক্ট 47 এর পক্ষেই রায় দেন এবং প্রজেক্ট 71 কে চরম হুমকি দিয়ে থাকেন। আর কতিপয় যুবকের সাহস খুব ভালো লেগেছে যদিও এমন হলে পুলিশের X ফায়ার, জঙ্গি মতবাদ আর তাতেও কাজ না হলে পেটুয়া ছাত্রলী* পরিস্থিতি সামলাতে যথেষ্ট, সাথে আছে কিছু কেনা বুদ্ধিজীবী যারা তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়ে দৃষ্টান্ত শাস্তি চাইত ম্যাডাম সেকুরার কাছে।

তবে যেহেতু গল্পের সবকিছুই কাল্পনিক অতএব আমার ভবিষ্যত্ বাণী গুলোও অবাস্তব। কেউ মিল খুঁজে পেলে তা কাকতালীয়

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

জেন রসি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইলো।

৪৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: দারুন লিখেছেন!:)


ভালোলাগা ++

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.