নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ অগাস্ট ১৯৭৫: কালোরাত্রির সেনা অভ্যুত্থান এবং সেনাবাহিনীর কতিপয় অফিসারদের বিতর্কিত ভূমিকা।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭





অতীতে যা কিছু ঘটে তাই ইতিহাস। অতীতে ফিরে গিয়ে ইতিহাসের ঘটনাগুলোকে পরিবর্তন করে ফেলা যায়না! যদি করা যেত তবে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেত। আপাতত সেটা ফিকশনের জগতে আবদ্ধ থাকুক। আমরা বরং এখন ১৯৭৫ সালে ফিরে যাই। সে সময়ে ফিরে যাওয়ার জন্য আমাদের এক জোড়া চোখ লাগবে যা দিয়ে আমরা ঘটনাগুলোকে ঘটতে দেখব। বিশ্লেষণ করতে পারব। এই পোস্টে আমি লেঃ কর্ণেল (অবঃ) এম. এ. হামিদ রচিত তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা বইয়ের আলোকে সেই সময়গুলোতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করব।

সে সময় সেনাবাহিনীর কিছু অফিসার কি করেছিলেন তাই এই পোস্টে আলোচনা করব। কেন করেছিলেন তার অনেক রকম ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। যা এক পোস্টে বলা যাবেনা। তাই সংক্ষেপে প্রাসঙ্গিক কিছু আলোচনা করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য।

১.

যে নেতার ডাকে এদেশের সব শ্রেণীর মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল, যে নেতার হাতে স্বাধীন রাষ্ট্রের দায়িত্ব তুলে দিতে মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিলনা, সে নেতাকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করার পর কেন জনগন নিশ্চুপ ছিল! বিভ্রান্ত ছিল! কেন তারা সহজ ভাবে সে অভ্যুত্থান মেনে নিল! চার বছরে এমন কি হয়েছিল যে জনগন তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল? ১৫ অগাস্টের অভ্যুত্থানকে বিশ্লেষণ করতে হলে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড় করতে হবে।

লেখক স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের চিত্রপট খুব অল্প কথায় চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন-বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাঙালি। সবাই এবার বিজয়ের অংশীদার। ভারতীয় বাহিনী বলে বিজয় আমাদের।মুক্তিবাহিনী বলে আমাদের। মুজিববাহিনী বলে আমাদের। সেনাবাহিনী বলে আমাদের। দেশের আনাচে কানাচে ছিটিয়ে পড়া নাম-না-জানা গেরিলারা বলে আমাদের। সেতু পাড়ার গেদু মিয়া কদম আলীরা ভাবে আমাদের। কারন তারা নাকি বাড়িতে বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছিল আশ্রয়।

সবাই বলে আমি বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। এবার আমার প্রাপ্য আমাকে দাও। আমি কেন অবহেলিত। অন্যরা কেন আমার অগ্রভাগে?
শুরু হয়ে গেল চাওয়া পাওয়ার ইঁদুর দৌড়। চাই, চাই, চাই। গাড়ি চাই, বাড়ি চাই, টাকা চাই, চাকুরি চাই।চাকুরিওালাদের প্রমোশন চাই। নবগঠিত সেনাবাহিনীতেও একই আওয়াজ-প্রমোশন চাই।অনেক ত্যাগ হয়েছে, এবার চাই প্রমোশন। আর অপেক্ষা নয়।


অর্থাৎ সবাই তার স্বার্থ নিয়েই চিন্তিত হয়ে পড়ে। কেউ আর আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত না। কিন্তু একটা যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশে বঙ্গবন্ধু সবাইকে কিভাবে সন্তুষ্ট করবে? টাকা নেই, পর্যাপ্ত রিসোর্স নেই, কাঠামো নেই।দক্ষ প্রশাসন নেই। তার উপর চলছিল দেশী বিদেশী নানা রকম ষড়যন্ত্র। এমন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু কিছু ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন। তিনি একদল চাটুকার এবং মাফিয়া দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকেন। দলের ত্যাগী এবং বিচক্ষন নেতাদের সাথে তার দুরুত্ত তৈরি হতে থাকে। রক্ষি বাহিনী এবং ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের কারনে সেনাবাহিনীর অফিসাররা ক্ষেপে যায়।সেনাবাহিনীর মধ্যে অফিসারদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব প্রবল হতে থাকে। তবে বঙ্গবন্ধুর জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় জাসদ। তার অনেকটা মনোযোগ ছিল জাসদকে দমন করার দিকে। ফলে অন্যান্য শত্রুদের ব্যাপারে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন। অথবা তাকে ঘিরে থাকা ক্ষমতালোভী নেতারাই তাকে সুকৌশলে অন্ধকারে রেখেছিলেন।

2.

লেখক হামিদ তখন ঢাকার ষ্টেশন কমান্ডার ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কোর্সমেট এবং ভালো বন্ধু ছিলেন। সেনাবাহিনীর ভেতরের ব্যাপারগুলো খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার লেখা থেকেই সে সময়ের সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যায়।তার মতে – সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে ঐ সময় জেনারেল শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ শেখ সাহেবের অনুগতদের মধ্যে ছিলেন। বিগ্রেডিয়ার খালেদ মোশাররফকে শেখ সাহেবের অধিক নিকটবর্তী মনে করা হতো।তিনি ঘন ঘন শেখ সাহেবের কাছে যেতে পারতেন।কিন্তু জিয়াকে লাইনে অপেক্ষা করতে হতো। এতে ধারনা করা হয় , শফিউল্লাহর পর খালেদকেই সেনাপ্রধান বানানো হবে। এ ধারনা মোটেই অমুলক ছিল না। জিয়া ব্যাপারটা ঠিকই অনুধাবন করেছিলেন।

যে কোন কারনেই হোক, শেখ সাহেব ও আওয়ামী লীগ ব্যাক্তিবর্গরা জিয়াকে উচ্চাকাংখি বলে মনে করতেন। জেনারেল ওসমানীও জিয়াকে ভালো চোখে দেখতেন না। এমনকি ঐ সময় জিয়াকে পূর্ব জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত করে পাঠিয়ে আর্মি থেকে সরিয়ে দেওার ব্যবস্থা প্রায় পাকাপাকি হয়ে যায়। এসব জেনে জিয়া কর্নেল( পরবর্তী বিগ্রেডিয়ার) খুরশীদের মাধ্যমে শেখ সাহেবকে বুঝাবার চেষ্টা করেন। কর্নেল খুরশীদ আগরতলা কেইসে শেখ সাহেবের সহযোগী ছিলেন। তাই তিনি তার খুব কাছের লোক ছিলেন। কিন্তু তিনি জিয়ার প্রতি শেখ সাহেবের মনোভাব কিছুটা পরিবর্তন করাতে সক্ষম হলেও তা পর্যাপ্ত ছিলনা। তোফায়েল আহমেদের সাথেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন জিয়া, শেখ সাহেবের সহানুভূতি অর্জনের জন্য।


এটা খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায় যে, সেনাবাহিনীতে ক্ষমতার বলয় নিয়ে জেনারেল শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ এবং জিয়াউর রহমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এই দ্বন্দ্বের খবর জুনিয়র অফিসাররা খুব ভালো ভাবেই জানত। আর এসব দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ১৫ অগাস্টের অভ্যুত্থান, ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থান, এবং ৭ নভেম্বরের সেপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।


কে ছিল মেজর ফারুক এবং মেজর রশিদ


মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান ছিলেন ১ম বেঙ্গল ল্যান্সার রেজিমেন্টের সেকন্ড ইন কমান্ড। তার ভায়রা ভাই মেজর খন্দকার আবদুর রশিদ ছিলেন সহযোগী টু-ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার। তারা দুজন মিলেই ১৫ অগাস্টের অভ্যুত্থানের প্ল্যান করেন। ফারুক অভ্যুত্থানের কারন হিসাবে জানায় সে ভারতের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে চেয়েছিল। পাকিস্থানের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের কবলে দেশ পরুক এটা সে চায়নি। আসলেই কি এটাই একমাত্র কারন ছিল?

ফারুক মুক্তিযোদ্ধা ছিল কিনা এটা নিয়েই একসময় বিতর্ক দেখা দেয়। লেখকের ভাষায়,-

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ফারুক আবুধাবী থেকে পাকবাহিনী পরিত্যাগ করে পালিয়ে ২১ নভেম্বর লন্ডন হয়ে নয়া দিল্লীতে উপস্থিত হয়। বিতর্ক অবসানের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট এক কমিটি গঠন করা হয়। বিগ্রেডিয়ার মইনুল হোসেন ও আমি ছিলাম সদস্য।আমরা ফারুকের এয়ার টিকিট ইত্যাদি চেক করে প্রায় ৮ ঘণ্টার ঘাটতি পাই। আমাদের রিপোর্ট পর্যালোচনা নিয়ে বৈঠক বসে। জেনারেল শফিউল্লাহ, জিয়া, খালেদ, মঞ্জুর, মইনুল হোসেন ও আমি উপস্থিত ছিলাম। মিটিং-এ বিগ্রেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ফারুকের পক্ষ সমর্থন করে অত্যন্ত জোরালো বক্তব্য রাখলে কয়েক ঘণ্টার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গ্রহন করা হয়। তবে তাকে দুই বছর সিনিয়রিটি দেওয়া হয়নি।

বুঝাই যাচ্ছে ফারুক কেমন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন! আসলে তার মধ্যে দেশপ্রেমের কোন ব্যাপারই ছিলনা।পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা এবং অন্যান্য রেফারেন্স থেকে এটা খুব সহজেই বলা যায় যে সে ছিল ক্ষমতালোভী উচ্চাকাঙ্ক্ষী অফিসার।এবং পাকি প্রেম তার মধ্যে প্রবল ভাবেই ছিল। শেখ মুজিব ক্ষমতায় থাকলে সে খুব বেশী দুর যেতে পারবেনা। এটা সে বুঝেছিল। তবে সেনাবাহিনীতে ফারুকের শক্তির উৎস ছিল খালেদ মোশাররফ। সম্পর্কে ফারুক খালেদের ভাগিনা হয়। তা ছাড়া সে জিয়ার কাছ থেকেও গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিল।সব মিলে অভ্যুত্থানের জন্য সেনাবাহিনীর আবহাওয়া তার অনুকূলেই ছিল।

অভ্যুত্থানের অপর খলনায়ক রশিদ ছিলেন ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ।তাকে বলা যায় মেজর ফারুকের বিপরীত চরিত্র। অভ্যুত্থানের পরে ঠাণ্ডা মাথায় বিভিন্ন যায়গায় যোগাযোগের কাজটা সেই করে।

অন্যান্য অফিসাররা এই দুই ইউনিটের বাইরের ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ডালিম, নূর, শাহরিয়ার, পাশা, হুদা এবং রাশেদ। তাদের সবার মধ্যে একটা কমন ব্যাপার ছিল। তারা সবাই বিভিন্ন কারনে বহিষ্কৃত, অপসারিত ছিল এবং তাদের ক্ষোভটা ছিল ব্যক্তিগত। অর্থাৎ এই অভ্যুত্থানের পেছনে দেশপ্রেমের কোন ব্যাপারই ছিলনা। তারা তাদের পারসোনাল স্বার্থের জন্য একটা রিস্ক নিয়েছিল। এবং তাদের মাথার উপর ছায়ার মত ছিলেন সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসাররা।

সে কালো রাতে যা হয়েছিল

রাত দশটায় ক্যান্টনমেন্টের উত্তর প্রান্ত থেকে বেঙ্গল ল্যান্সারের টি-৫৪ ট্যাংকগুলো ইউনিট থেকে বেরিয়ে এসে এয়ারপোর্টের কাছে টু-ফিল্ড রেজিমেন্টের সাথে মিলিত হয়।

প্রধান টার্গেট ৩২ নম্বর শেখ সাহেবের বাড়ি। আক্রমনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফারুকের বিশ্বস্ত অফিসার মেজর মহিউদ্দিনকে। বাসাকে দুটো বৃত্তে ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইনার সারকেল গ্রুপ সরাসরি বাসা আক্রমন করবে। আউটার সারকেল গ্রুপ রক্ষীবাহিনী এবং বাইরের যে কোন আক্রমন প্রতিহত করবে। আউটার সারকেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর নুর এবং মেজর হুদাকে। শেখ সেরনিয়াবাতের বাসা আক্রমনের দায়িত্ব নেয় ডালিম। এবং শেখ মনির বাসা আক্রমনের দায়িত্ব নেয় রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। রেডিও ষ্টেশন, ও নিউমার্কেট এড়িয়ার দায়িত্ব নেন মেজর শাহরিয়ার।

ফারুক ২৮ টি ট্যাংক এবং ৩৫০ জন সৈন্য নিয়ে রক্ষীবাহিনীর সাথে লড়ার প্ল্যান করে। যদিও তার কাছে কামানের গোলা ছিলনা! রক্ষীবাহিনী পাল্টা আক্রমন করলে ফারুক খুব বেশীক্ষণ টিকে থাকতে পারতনা। কিন্তু হায়! ইতিহাস সেদিন অন্য রকম ভাবে লেখা হয়েছিল!

মেজর রশিদের দায়িত্ব ছিল অপারেশনের পর সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। লবিং করা। এবং রাজনৈতিক ভাবে সমঝোতা করা। আসলে ক্ষমতালোভী ষড়যন্ত্রকারীরা সব আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল!

সেদিন বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে কি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি। যদিও বঙ্গবন্ধু কিভাবে নিহত হয়েছিলেন তা নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে। মেজর হুদা, মহিউদ্দিন, এবং নুরের বর্ণনায় ভিন্নতা আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এ পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আমি সেসময়ের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা কিছু ব্যক্তির বিতর্কিত ভূমিকার দিকে আলোকপাত করতে চাই।

তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ

তিনি সোয়া পাঁচটার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবন আক্রমনের খবর পান। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সাথে তার শেষ কথা হয় ৫-৫০ মিনিটে। ভোর ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি আক্রান্ত হয়ে নিহত হলেন। এর মধ্যে শফিউল্লাহ রাষ্ট্রপতির সাহায্যে একটা সৈন্যও মুভ করতে পারেননি।
আক্রমনের খবর পেয়ে শফিউল্লাহ ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঢাকার বিগ্রেড কমান্ডার শাফায়েত জামিলকে ফোন করেন। ফোন করে তিনি শাফায়াত জামিলকে সৈন্য মুভ করতে বলেন। শাফায়েত সৈন্য মুভ করেনি দেখে তিনি ছয়টায় আবার ফোন দেন! তখন শাফায়েতের রিসিভার উঠানো ছিল। তারপর তিনি খালেদ মোশাররফকে ফোন দিয়ে ডেকে এনে শাফায়েত জামিলের কাছে পাঠান! তিনি পুরোটা সময় বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে কাটান। অথচ শাফায়েত জামিলের হেড কোয়ার্টার তার থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরে ছিল।

এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে শফিউল্লাহ একজন অদক্ষ সেনাপতি ছিলেন। সেনাবাহিনীর উপর তার কোন নিয়ন্ত্রনই ছিলনা। মেজর ডালিম এসে জিয়াউর রহামান এবং খালেদ মোশাররফের সামনে থেকেই তাকে উঠিয়ে বঙ্গভবন নিয়ে যায়! পরবর্তীতে তাকে না জানিয়েই জিয়াউর রহমান চিফ অব স্টাফ হয়ে যান! ক্রাইসিসের সময় শফিউল্লাহ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। যার চরম মূল্য এ রাষ্ট্রকে দিতে হয়েছে।

শাফায়েত জামিল

সে সময়ে সবচেয়ে রহস্যময় আচরন করেছিল বিগ্রেড কমান্ডার কর্নেল শাফায়েত জামিল। তার অধীনে চার হাজার সৈন্য ছিল। তার যুক্তি হচ্ছে সে সেনাপ্রধান থেকে কোন ক্লিয়ার কমান্ড পান নাই।কিন্তু তার যুক্তিতে গোঁজামিল আছে।
একজন স্বাধীন বিগ্রেড কমান্ডার হিসাবে তিনি চাইলেই সৈন্য মুভ করাতে পারতেন। তাছাড়া মেজর রশিদ শাফায়েতের অধীনস্থ একটা ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। সে যখন শাফায়েতকে এসে বলল, sir we have killed sheikh, তখন শাফায়েত জামিল কোন প্রতিক্রিয়া দেখালেন না। তার এড়িয়ায় খুনিরা বীর দর্পে ঘুরে বেরাল। তিনি কোন পদক্ষেপই নিলেন না।
ভোর সাড়ে ৪ টায় তার বিগ্রেড এরিয়ার ভেতর দিয়ে ফারুক ট্যাংক নিয়ে অগ্রসর হয়। অথচ শাফায়েত জামিল কিছুই টের পায়নি এমনটা হতেই পারেনা।

পরবর্তীতে রশিদকে যখন এক সাক্ষাতকারে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, শাফায়েতের শক্তিশালী ৪৬ বিগ্রেড নিয়ে তারা কেন চিন্তিত ছিলনা তখন রশিদ মুচকি হেসে বলেছিল-সেতো আমাদেরই লোক। তার তরফ থেকে আমরা কোন আক্রমন আশংকা করিনি। শাফায়েত এবং তার অধিনস্ত অফিসার সবাইতো ব্যাপারটা জানত।

১৫ অগাস্ট সকালেও শাফায়েত জামিল সেনা প্রধানের সাথে দেখা করতে চাচ্ছিলেন না। সেনাপ্রধান তার ইউনিটে আসলেও তিনি দূরে দাড়িয়ে ছিলেন।

তৎকালীন DGFI বিগ্রেডিয়ার রউফের বিতর্কিত ভূমিকা

শেখ মুজিব রউফকে DGFI পোস্ট থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও বলদি করেছিলেন। রউফ এতে রেগে ছিলেন। নবনিযুক্ত DGFI ছিলেন কর্নেল জামিল। তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে রউফ গড়িমশি করছিলেন। ১৫ অগাস্ট দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা ছিল। কর্নেল জামিল বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু রউফ কি করেছিল?

আক্রমনের খবর সবার প্রথম জানতে পারে বিগ্রেডিয়ার রউফ। রাত তিনটার মধ্যেই তিনি সৈন্য মুভ করার খবর পান। তিনি সে ব্যাপারে কাউকে সতর্ক করেন্ নাই। তিনি যা করেছেন তা হচ্ছে পরিবার নিয়ে বাসার পেছনে একটি গাছের নিচে লুকিয়ে ছিলেন!

জিয়াউর রহমান

এক ১৫ অগাস্টের অভ্যুত্থান থেকে জিয়ার কার্যক্রমকে বিশ্লেষণ করা যাবেনা। সেটা বিশ্লেষণ করতে হলে নভেম্বরের অভ্যুত্থান গুলোর কথাও মাথায় রাখতে হবে। সে বিষয়ে আমি পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করব। এই অভ্যুত্থানের ফলে আসলে লং টার্মে জিয়ারই লাভ হয়েছে। জিয়াউর রহমান একজন সুযোগ সন্ধানী এবং ধূর্ত অফিসার ছিলেন। তবে তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে অগাস্ট অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত ছিলেন না। যদিও খুনিদের সাথে এ ব্যাপারে তার আগেই কথা হয়েছে। জিয়া বলেছিল একজন সিনিয়র অফিসার হিসাবে তিনি এমনটা করতে পারবেন না। তবে জুনিয়র অফিসারদের তিনি উৎসাহ দিয়েছিলেন। এসব অভ্যুত্থানে পরোক্ষ মদদ দিয়ে তিনি সলে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিলেন। নভেম্বরে সে সঠিক সময়কে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার মসনদে তিনি বসতে পেরেছিলেন।

সেনা অভ্যুত্থানের পর যখন শাফায়েত জিয়াকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করে তখন জিয়ার স্পষ্ট জবাব ছিল, President is dead, so what? Vice-President is there. You should uphold the constituation, Get your troops ready. মুজিব হত্যার সংবাদ শুনে জিয়া এভাবেই তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল!

ডালিম যখন শফিউল্লাহকে হাইজ্যাক করে নিয়ে যাচ্ছিল, জিয়া তখন সহাস্যে বলেছিলেন, come on Dalim, in my car. ডালিমের উত্তর ছিল, No sir, I don’t get in general’s car.


খালেদ মোশাররফ

খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর কাছের মানুষ ছিলেন। শফিউল্লাহর পর তিনি সেনা প্রধান হবেন এটা সবাই জানত। কিন্তু শফিউল্লাহকে আরো তিন বছর সেনা প্রধান রাখার কথা ভেবেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অর্থাৎ খালেদকে আরো তিন বছর অপেক্ষা করতে হত। তবে এই অভ্যুত্থান সম্পর্কে তিনি আগে থেকেই কতটুকু জানতেন তা স্পষ্ট করে বলা যাবেনা। তবে তার পর তিনি ক্ষমতা দখলের খেলায় খুব ভালো ভাবেই সক্রিয় ছিলেন। সেসব গল্প পরবর্তী পোস্টে করার ইচ্ছে রইলো।

এই পোস্টে আমি যাদের কথা বললাম তারাই ছিল অগাস্ট এবং নভেম্বরের অভ্যুত্থানের মূল নায়ক কিংবা খল নায়ক। তবে পরে আরো কিছু চরিত্র এসে এ খেলায় যোগ দিয়েছিল! তাদের মধ্যে তাহের ছিল অন্যতম!

সব তথ্য লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম. এ. হামিদের তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা বই থেকে নেওয়া। তিনি খুব কাছ থেকে সে সময়ের চরিত্রগুলোকে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।

এই পোস্টে উল্লেখিত কোন তথ্য যদি কারো কাছে মিথ্যা বা ইতিহাস বিকৃতি বলে মনে হয় তবে সঠিক রেফারেন্স দিয়ে আমাকে আলোকিত করবেন এই আশা করছি।

বি.দ্রঃ একাত্তরের ভূমিকার জন্য শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, জিয়াউর রহমান এবং শাফায়েত জামিলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রেখেই এই পোস্ট লিখেছি। একাত্তরে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে কোন সন্দেহ আমার নেই।


তথ্যসুত্রঃ তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা( লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম. এ. হামিদ পিএসপি








মন্তব্য ৮১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৮১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

বইটি আমি পড়েছি। আবার আপনার পোষ্টে সেটি রিভিউ আকারে পেলাম। বিভিন্ন চরিত্র বর্ণনায় বইটিতে অনেক কিছুই ফুটে উঠেছে। বাংগালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মূল কুশীলবদের অনেকে এখনো ফেরারি। তাদের দ্রুত দেশে এনে আইনের সম্মুখীন করার জোর দাবী জানাই।


ভাল পোষ্ট করেছেন। এই নির্মম ইতিহাস আমাদের জন্য একটি কলংক বটে!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩

জেন রসি বলেছেন: এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আসলে অনেকেই পরোক্ষ ভাবে যুক্ত ছিল। অথবা তারা এমনটাই চাচ্ছিল। তাদের প্রতিক্রিয়া কিংবা পরবর্তীতে কাজকারবার দেখে সেটা খুব স্পষ্ট ভাবেই বুঝা যায়!

ধন্যবাদ ডানা ভাই।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এই পোস্টে আমি লেঃ কর্ণেল (অবঃ) এম. এ. হামিদ রচিত তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা বইয়ের আলোকে সেই সময়গুলোতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করব। "

-এই কর্ণেল থেকে রামায়নের হনুমান বেশী বুঝতেন, সন্দেহ নেই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩০

জেন রসি বলেছেন: আপনি রামায়নের রামের চাইতেও বেশী বুঝেন এটা বুঝা যাচ্ছে!

আপনি নিজেই বুঝাইয়া বলেন ঘটনা আসল ঘটনা কি? ;)

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"লেখক স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের চিত্রপট খুব অল্প কথায় চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন-বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাঙালি। সবাই এবার বিজয়ের অংশীদার। ভারতীয় বাহিনী বলে বিজয় আমাদের।মুক্তিবাহিনী বলে আমাদের। মুজিববাহিনী বলে আমাদের। সেনাবাহিনী বলে আমাদের। দেশের আনাচে কানাচে ছিটিয়ে পড়া নাম-না-জানা গেরিলারা বলে আমাদের। সেতু পাড়ার গেদু মিয়া কদম আলীরা ভাবে আমাদের। কারন তারা নাকি বাড়িতে বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছিল আশ্রয়।

সবাই বলে আমি বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। এবার আমার প্রাপ্য আমাকে দাও। আমি কেন অবহেলিত। অন্যরা কেন আমার অগ্রভাগে?
শুরু হয়ে গেল চাওয়া পাওয়ার ইঁদুর দৌড়। চাই, চাই, চাই। গাড়ি চাই, বাড়ি চাই, টাকা চাই, চাকুরি চাই।চাকুরিওালাদের প্রমোশন চাই। নবগঠিত সেনাবাহিনীতেও একই আওয়াজ-প্রমোশন চাই।অনেক ত্যাগ হয়েছে, এবার চাই প্রমোশন। আর অপেক্ষা নয়। "

-এসব ভাবনা ইডিওটিক। ভেবে দেখুন, ২২/২৩ হাজার (ইপিআর ও বেংগল রেজিমেন্ট) সৈনিক ক্যান্টনমেন্টে, ৮০ হাজাার কৃষকেরা ছেলরা যুদ্ধের পর বাড়ীতে; চাওয়া পাওয়ার জন্য কে দিয়েছে ইঁদুর দৌঁড়? একটু মাথা খাটান, লিখার আগে বুঝার চেস্টা করেন। বানরদের লেখা পড়ে, মাথা না ঘামালে লেজ গজাবে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

জেন রসি বলেছেন: কে দিয়েছে ইঁদুর দৌড় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন।

অনেকেই দিয়েছিল। আপনি যাদের কথা বললেন তারা ছিল বিভ্রান্ত। কারন আসলেই নানা কিছুর অভাব ছিল। আর যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থায় সেটাই স্বাভাবিক ছিল। এই অভাবের সুযোগ নিয়েছিল কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ!

ভাই সাহেব, আমার লেজ আগে থেকেই গজিয়ে আছে! তবে লেজ দিয়ে আগুন লাগানোর কোন ইচ্ছা আপাতত আমার নেই! :)

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ সাহেবের মৃত্যুর ৪১ বছর পরও, অনেকে বিষয়টাকে ঠিক মতো এনালাইসিস করে, সঠিক কনক্লুশনে পৌঁছতে পারেনি; দু:খ পাওয়ার মতো বিষয়।

কথা বলা যেতো, দরকারী বিষয় ছিলো; কিন্তু বেরিয়ে যাচ্ছি, ট্রেন ধরতে হবে; পরে এসে দেখবো।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

জেন রসি বলেছেন: আমরা সে সময়টা দেখিনাই। আমাদের জানার সোর্স হচ্ছে রেফারেন্স। আপনারা যারা ছিলেন তারা যত নির্মোহ ভাবে ব্যাপার গুলো বিশ্লেষণ করবেন আমরা তত বেশী ভালো ভাবে জানতে পারব।

আপনি যা জানেন তা বলুন। :)

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলায় ১৫'ই আগস্ট প্রথম আঘাত! এরপর দীর্ঘসময় অন্ধকারে কুশীলবদের খেলা। বেশ আগ্রহ নিয়ে সেগুলো ঘাটতাম আগে, এখন সময় করে সেগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করা বেশ কঠিন!

পোস্ট-টা অসম্পুর্ণ মনে হলো। পরবর্তী পর্ব আসুক, তাহলে আলোচনা করা যাবে।

অনবদ্য বর্ণনা! (+)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

জেন রসি বলেছেন: পরবর্তী পর্ব নভেম্বরের ঘটনাগুলো নিয়ে লিখব। একই চরিত্র। শুধু প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

ইতিহাস কখনো সম্পূর্ণ ভাবে তুলে ধরা যায়না! অসম্পূর্ণ একটা ভাব থেকেই যায়!

ধন্যবাদ গেম ভাই। :)

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অসীম বীরত্বের জন্য শ্রদ্ধা করি কিন্তু স্বাধীনতার পরে তাঁদের কর্মকাণ্ড কোন ভাবেই সম্মানের যোগ্য নয়। ১৫ ই আগস্ট এর হত্যাকাণ্ড এখন অবশ্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকেই বিচার করা হয়। কিন্তু আমি এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে প্রায় সকলকেই দোষী করি।

এই বইটি পড়া আছে আমার। তবে লেখকের সাথে জিয়াউর রহমানের ঘনিস্ট সম্পর্ক থাকায় অনেক কিছুই এড়িয়ে গেছেন। আর বইটাতে খালেদ মোশারফ আর কর্নেল তাহের এর অংশটা মনে হয় ইচ্ছাকৃত ভাবে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে।

খালেদ মোশারফ এর কারণে ফারুক সেনা বাহিনীতে অনেক বেশি সুযোগ পেয়েছে। আর রশিদ এর ব্যাপারটা নিয়ে বড় একটি কিন্তু থেকে যায়। মেজর রশীদ এর নিযুক্ত হওয়ার কথা ছিল যশোরে অবস্থিত কম্বাইন্ড আর্মস স্কুলে আর্টিলারি ইন্সট্রাক্টর হিসেবে। হয়েও ছিল তাই, কিন্তু কিছুদিন পর কোন কারণ ছাড়াই তার নিযুক্তি প্রত্যাহার করা হয়। এর কারণ হয়ত আজও রহস্যাবৃত। রশিদকে আকস্মিক বদলি করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে কেন আনা হয়েছিল, কারাই ছিল এর পিছনে?

১৫ ই আগস্ট হামলার সময় খুনিরা ট্যাংক নিয়ে খালেদের ইউনিটের ভিতর দিয়েই যায়, তারপরও খালেদ মোশারফ কিছুই জানেন না। শাফায়াত জামিল সতন্ত্র ইউনিট নিয়ে কোন একশানে যেতে পারেন না। খুনিরা সংখ্যায় ছিল মাত্র সামান্য সংখ্যক। হত্যাকান্ডের খবর জানার পর সেনাসদর কেন অরক্ষিত রাখা হয়েছিল? তাদের গ্রেফতার করার কোন উদ্যোগই নেয়া হয় নি তখন।

আর তৎকালীন উপ রাষ্ট্রপতি প্রয়াত সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ক্যাপ্টেন মনসুর আলী জীবিত ছিলেন। কেন তাঁরা সেদিন তাঁদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন নি কিংবা করেন নি তা আজও রহস্যাবৃত! সেনা প্রধানকে বিদ্রোহ দমনের প্রচেষ্টার সরকারী আদেশ প্রদানের কোন প্রচেষ্টাই গ্রহন করেন নি তাঁরা।

এম এ জি ওসমানী খুনিদের সরকারের উপদেষ্টা হয়ে যান। কর্নেল তাহের খুনিদের বিপক্ষে বিদ্রোহ করেন না কিন্তু খালেদ যখন খুনিদের কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে নেয় তখন তাহের বিদ্রোহ করেন।

১৫ আগস্ট এর পরে আমার মতে কোন আদর্শিক লড়াই ছিল না। শুধুমাত্র কুকুর কুকুরে হাড্ডি নিয়ে কামড়া কামড়ি ছিল। যে কুকুর শক্তিশালী ছিল, তার মুখেই হাড্ডি ছিল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮

জেন রসি বলেছেন: কর্ণেল হামিদ জিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকার ফলেই কিছু ভেতরের কথা আমাদের জানাতে পেরেছেন। জিয়া বেশ ভালো ভাবেই সবগুলো অভ্যুত্থানের সাথে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন।

রশিদকে ফারূক লবিং করে ঢাকা নিয়ে এসেছিল। তার গার্ডিয়ান ছিল খালেদ মোশাররফ।

শাফায়েত জামিল সব জানত এ ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। তার নাকের ডগার সামনে ট্যাংক নিয়ে বেরিয়ে যাবে আর সে খবর পাবেনা এটা বিশ্বাসযোগ্য না। সে জানত বলেই শফিউল্লাহর ফোনে সারা দেয়নি।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র লিডাররা এবং রক্ষী বাহিনী কেউ কেউ ইনভলবড ছিল বলেই মনে হয়। খন্দকার মোশতাকতো অনেক আগে থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

আর পরবর্তীতে জিয়া এবং তাহের একে অপরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। ধারনা করা হয় ৩ নভেম্বরের প্ল্যান শাফায়াত আর জিয়ার প্ল্যান ছিল। খালেদ ছিল স্ক্যাপগোট। পরবর্তি পোস্ট সেসব ঘটনা নিয়েই লিখব।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বাংলায় যুগ যুগ ধরে বেইমানী হয়ে এসেছে। যারা বঙ্গবন্ধুর কাছের ছিল তারাই বেইমানী করেছে বেশী। আগে ও পরে

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বাংলায় যুগ যুগ ধরে বেইমানী হয়ে এসেছে। যারা বঙ্গবন্ধুর কাছের ছিল তারাই বেইমানী করেছে বেশী। আগে ও পরে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৪

জেন রসি বলেছেন: মোশতাকের কাছে মীরজাফর কিছুই না। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার ছিল মাস পিপলের চুপ থাকা। এটা ছিল আওয়ামী নেতাদের ব্যর্থতা।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
মুজিব জানের পরোয়া করত না। সে চেয়েছিল দেশের মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে, বস্ত্র তুলে দিতে। কিন্তু এত বেশী চোর ছিল সবখানে যে সব শুধু লুট হয়েছে আরো দোষ পড়েছে বংবন্ধুর ঘাড়ে। তাকে স্টেনগান দিয়ে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শকে কেউ হত্যা করতে পারবে না।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩০

জেন রসি বলেছেন: দোষ আসলে বঙ্গবন্ধুরও ছিল। তাকে ভালোবাসি বলেই তার দোষগুলোর জন্য রাগ হয়। তিনি প্রশাসক হিসাবে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি কিছু জায়গায়। ভুল মানুষকে বিশ্বাস করাটাই তার অদক্ষতা ছিল। এটা মানতেই হবে। তিনি তাজউদ্দিনকে সরিয়ে মোশতাককে কাছে টেনেছিলেন!

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


সুবিধাভোগীরা বিপদের সময় একে একে সবাই মুজিবকে ফেলে চলে গেছে।


সবাই তালবাহানা করেছে। শেখ রাসেল কে হত্যা করে বলা হয়েছে (Mercy Murder).

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০১

জেন রসি বলেছেন: পরবর্তী ঘটনা বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে মুজিবের অনেক কাছের লোকই হত্যাকান্ডের জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু তারা নিজেরা বিড়ালের গলায় ঘন্টা পড়াতে চায়নি। বরং সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
১৯৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী প্রান্তরে মীর জাফর যেমন দাঁড়িয়েছিল নবাব হবার লোভে, তেমনি সেদিন সবাই লোভী হয়ে উঠেছিল। প্রেসিডেন্ট হবার লোভ, শেখ সাহেব হবার লোভ।


বেইমানরা পচেই মরেছে সব।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৪

জেন রসি বলেছেন: সে ক্ষমতার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিয়াউর রহমান জিতেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেও টিকে থাকতে পারেনি। সেসব নিয়ে পরের পোস্টে লিখব।

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বংবন্ধুকে কেন হত্যা করা হল? কি তার অপরাধ? এই প্রশ্নের জবাব কেউ আজো দিতে পারল না।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৪

জেন রসি বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারন দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিরোধী শক্তি চাচ্ছিল না বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাকুক। তবে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা ঠিক কিভাবে ইনভলবড ছিল তা এখনো স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। আর্মি অফিসারদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বও অন্যতম কারন।

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। কথাটি বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শেখ মুজিব সে কথা মনে প্রানে বিশ্বাস করেছিলেন। এটাই কি তার মৃত্যুর, তার পরিবারের মৃত্যুর কারন?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২১

জেন রসি বলেছেন: ভুল মানুষকে বিশ্বাস করা পাপনা। তবে একজন শাসকের জন্য সেটা অদক্ষতা। এখানেই ফিদেল কাস্ত্রো এবং বঙ্গবন্ধুর পার্থক্য।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার এই লেখায় খন্দকার মোস্তাক নেই যে ছিল আসল নাটের গুরু। এই চরিত্রটি মীর জাফরের বেইমানীকে হার মানিয়েছে। শুধুমাত্র তার বেইমানির জন্য, তার চক্রান্তের জন্য মুজিবকে হত্যা করা সহজ হয়েছে। অথচ সে ছিল মুজিবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তার কারনেই মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীনতা বিরোধী বৈদেশিক চক্রান্ত মাথা চাড়া দিয়েছিল। এই লোকটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিষধর সাপের চেয়েও নিকৃষ্ট ছিল।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৮

জেন রসি বলেছেন: মোস্তাক একাত্তরেও গোপনে সমঝোতা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাজউদ্দিনের বিচক্ষনতার জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। জেল হত্যাও তার প্ল্যান।

এই পোস্টে শুধু সেনাবাহিনীর অফিসারদের নিয়ে লিখেছি। তাই মোস্তাকের কথা বলিনি।

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এত সব কাপুরুষদের ভীরে কর্নেল জামিল একটি সাহসী নাম আশা করি তার বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত জানাবেন । এই ইতিহাস জানা কত যে জরুরী তা আমরা আরো উপলব্ধি করব।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৪

জেন রসি বলেছেন: জামিল নবনিযুক্ত ডিজিএফআই ছিলেন। কিন্তু রউফ তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গড়িমশি করছিল। ১৫ অগাস্ট দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা। এই রউফ রাত তিনটায় খবর পেয়েও চুপ ছিল।

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

@ভ্রমরের ডানা,
"
মুজিব জানের পরোয়া করত না। সে চেয়েছিল দেশের মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে, বস্ত্র তুলে দিতে। কিন্তু এত বেশী চোর ছিল সবখানে যে সব শুধু লুট হয়েছে আরো দোষ পড়েছে বংবন্ধুর ঘাড়ে। তাকে স্টেনগান দিয়ে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শকে কেউ হত্যা করতে পারবে না। "

-শেখ সাহেবের আদর্শ বেঁচেছে, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচেছেন; আমি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে জানি ও বুঝি; আপনি শেখ সাহেবের আদর্শকে কিভাবে বুঝেন, সেটা বলুন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৩

জেন রসি বলেছেন: আদর্শ ব্যাপারটা আসলে আপেক্ষিক।তবে এটা সত্য যে বর্তমানে আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুকে একটা ব্র্যান্ড হিসাবে ইউটিলাইজ করে

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:

@ভ্রমরের ডানা,

"ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
মুজিব জানের পরোয়া করত না। সে চেয়েছিল দেশের মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে, বস্ত্র তুলে দিতে। কিন্তু এত বেশী চোর ছিল সবখানে যে সব শুধু লুট হয়েছে আরো দোষ পড়েছে বংবন্ধুর ঘাড়ে। তাকে স্টেনগান দিয়ে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শকে কেউ হত্যা করতে পারবে না।

-শেখ সাহেব চোরদের ঠেকাতে পারেননি? চোরদের কারণে দেশের অবস্হা খারাপ হয়েছিল? চুরি করে কেহ উন্নয়ন ঠেকেতে পারে?
শেখের মতো মানুষ চুরি থামাতে পারেননি, এটা আপনি বিশ্বাস করেন? আপনারা রাজনীতির মানুষ নন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৭

জেন রসি বলেছেন: তিনি দলীয় চোরদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। বিশেষ করে আওয়ামী মাফিয়ারা খুব সহজে ক্ষমা পেয়ে যেত। কেউ তার কাছে গিয়ে মাফ চাইলেই তিনি গলে যেতেন।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মুজিবের ভুল গুলো ফুল হয়ে ফুটত যদি সবাই এক হয়ে মুজিবের কথা শুনত। যুদ্ধ পরবর্তীকালে সবাই পদ, ক্ষমতা আর অর্থ বিত্তের মোহে বুদ হয়েছিল। অথচ তখন তাদের,আরো বেশি মুজিবের পাশে থাকা লাগত।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৪

জেন রসি বলেছেন: কেউ আর আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত ছিলনা। সবাই শুধু চাচ্ছিল। এমনকি ষড়যন্ত্রকারীরা খুব সুকৌশলে ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের জন্ম দিয়েছিল। শুনেছি চালের বস্তা নাকি নদীতে ফেলে দেওয়া হত।

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:
"লেখক স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের চিত্রপট খুব অল্প কথায় চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন-বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাঙালি। সবাই এবার বিজয়ের অংশীদার। ভারতীয় বাহিনী বলে বিজয় আমাদের।মুক্তিবাহিনী বলে আমাদের। মুজিববাহিনী বলে আমাদের। সেনাবাহিনী বলে আমাদের। দেশের আনাচে কানাচে ছিটিয়ে পড়া নাম-না-জানা গেরিলারা বলে আমাদের। সেতু পাড়ার গেদু মিয়া কদম আলীরা ভাবে আমাদের। কারন তারা নাকি বাড়িতে বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছিল আশ্রয়। "

-আর্মির কর্ণেল, লেফট, রাইট, লেফট, কিছু একটা লিখেছেন; সেটা নিয়ে আপনি আবার পোস্ট দিয়েছেন।

সবাই যদি সবকিছু চায়, সবাইকে সবকিছু দিলে সবাই খুশী থাকতেন, সমস্যা কোথায় ছিল? কেউ তো শেখ সাহেবের বাড়ী, বা উনার বাবার জমি চাহেনি!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০২

জেন রসি বলেছেন: হাহাহা

আপনি মাঝে মাঝে চিন্তা ভাবনা ছাড়াই কিছু কথা বলে ফেলেন। এখানে বুঝানো হয়েছে দেশের রিসোর্স কম ছিল। কিন্তু মুজিবের আশে পাশের মানুষরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাচ্ছিল না। যারা সুযোগ পেয়েছে তারাই লুটপাট করেছে।

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:

"ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মুজিবের ভুল গুলো ফুল হয়ে ফুটত যদি সবাই এক হয়ে মুজিবের কথা শুনত। যুদ্ধ পরবর্তীকালে সবাই পদ, ক্ষমতা আর অর্থ বিত্তের মোহে বুদ হয়েছিল। অথচ তখন তাদের,আরো বেশি মুজিবের পাশে থাকা লাগত। "

-শেখ সাহেবের পাশে বাংলার ৬ কোটী (দেড় কোটী) ছিল, সাথে ছিল ভারতের ৫৫ কোটী; উনি আগুণ জ্বালাতে জানতেন, সেই তাপ থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের টেকনোলোজী জানতেন না।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৪

জেন রসি বলেছেন: আধ্যাত্মিক মন্তব্য!

২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
গাজী ভাই খুব সহজ উত্তর আছে। ১০ জানুয়ারি যখন মুজিব লন্ডন হয়ে দিল্লি থেকে ঢাকার পথে প্লেনে করে আসছিলেন তখন তার সাথে ছিলেন আব্দুস সামাদ আজাদ, কূটনীতিবিদ ফারুক চৌধুরী, আতাউস সামাদ সহ আরো অনেকেই।


তিনি যখন তাদের সাথে সেই প্লেনে গল্প করছিলেন বারবার তার প্রিয় কবিদের কবিতা আবৃতি করছিলেন। একটার পর একটা। একসময় তিনি বলেছিলেন - " আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে, এখন আমি গায়ে একটা চাদর ফেলে বাংলার মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়াব, দুখী মানুষের কথা শুনব।"


তিনি অশ্রু সজল চোখে সেই প্লেনের পোর্টহোল দিয়ে তার অপেক্ষায় অগনিত মানুষ দেখে বলেছিলেন -" দেশের মানুষ আমাকে এত ভালবাসে। তাদের খাওয়াব কি!" মুজিব দেশের মানুষকে ভালবাসতেন। যুদ্ধকালে যে মেয়েরা সম্ভ্রম হারালো তাদের জন্য তিনি বলেছিলেন তাদের বাবার নামে আমার নাম দাও আর ঠিকানা লেখ ধানমন্ডি ৩২।

মুজিব সে সময় অনেক বীরাঙ্গনার বিবাহের আয়োজন করেছিলেন। নারীদের জন্য নারী বোর্ড গঠন করেছিলেন।

মুজিবের আদর্শ একটাই। তিনি দেশের খেটে খাওয়া মানুষকে ভালবাসতেন, আর এখনো অনেক মানুষ সেই আদর্শ নিয়ে আছে। এই একটি গুনই যথেষ্ট ছিল বাংলার মুক্তিকামী মানুষের শোষণ বঞ্চনার, গোলামীর মুক্তির জন্য।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৮

জেন রসি বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে শুধু স্বপ্ন দেখলেই হয়না। স্বপ্ন পূরনের জন্য ইফেক্টিভ প্ল্যান লাগে। প্ল্যান বাস্তবায়ন করার জন্য দক্ষ জনবল লাগে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। স্বদিচ্ছা ছিল। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ছিলনা।

২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: গাজী ভাই বলেছেনঃ

শেখ সাহেবের পাশে বাংলার ৬ কোটী (দেড় কোটী) ছিল, সাথে ছিল ভারতের ৫৫ কোটী; উনি আগুণ জ্বালাতে জানতেন, সেই তাপ থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের টেকনোলোজী জানতেন না।


বংগবন্ধু যা চেয়েছিলেন তাতে পদে পদে বাধা তৈরি করা হয়েছে। মার্কিন চক্রান্তেই দুর্ভিক্ষ হয়েছে। যুদ্ধ করে দুমড়ে যাওয়া ৭০০ কোটির বাজেট, ১৩৭ ডলারের মাথাপিছু আয় যথেষ্ট ছিল না। ভারতের সে অবস্থা ছিল না যে আমাদের সাহায্য দেবে। বরং অ্যামেরিকা চেয়েছিল বাংলার ঝুলিতে যেন রুটি না আসে। হেনরি কিসিঞ্জার তাচ্ছিল্য করে বলেছিল - Bottomless case. এই গরীব মানুষের বুকেপেটে লাথি মারা মার্কিন কূটনীতি সেদিন অনেক বাংলাদেশির মৃত্যু আর ইতিহাসের কালো অধ্যায়কে নিয়ে এসেছিল। বুনেছিল ষঢ়যন্ত্র আর অবিশ্বাসী বিষবৃক্ষ। যা এখন বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৭

জেন রসি বলেছেন: ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ প্রাকৃতিক কারনে হয়নি। সেটা মানুষের উপর আরোপ করা হয়েছিল। আমেরিকা বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবে এটাও ঠিক যে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আরো কঠোর হওয়ার প্রয়োজন ছিল।

২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ বিজয় হেনরীর জন্য ছিল ব্যক্তিগত ভাবে চরম পরাজয়। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে তার অনেক মন্তব্য ও নথিতে তার বিবরণ রয়েছে।তার সাক্ষী তার স্টাফ অ্যাসিস্ট্যান্ট রজার মরিস। হেনরীর নেমেসিস তালিকায় আয়েন্দে থিউ আর মুজিব ছিল। ১৯৭৪ এ হেনরী ঢাকা আগমনের একমাসের মধ্যে "ক্যু প্লানিং সেল" হয়। কথাটি আমার নয়। মার্কিন অফিসার লরেন্স লিফসুল্টজের।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৩

জেন রসি বলেছেন: তারা ঠিক কিভাবে খুনীদের সাথে কিংবা বিশ্বাসঘাতক নেতাদের সাথে কম্যুনিকেট করেছে সেসব নিয়ে কি কোন অথেন্টিক গবেষনা আছে? আপনার জানা থাকলে আমাকে রেফারেন্স দিয়েন।

২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কেউ চায়নি বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। কিসিঞ্জার যে ফাদ পেতেছিল সে ছিল ভয়ানক ফাদ। ৭১ এ চালের টন ছিল ৭০ ডলার। ৭৩-৭৪ এ সে চালের টন ৩৭০। বাংলায় বন্যা হল। ফসল সাফ। খাবার সংকট। চাল চাই। কিনতে হবে। বিশ্ব বাজারে তখন মন্দা চলছে। অ্যামেরিকা বাংলাদেশে খাদ্য রপ্তানি কৌশলে কমিয়ে দিল। দেশে মুদ্রাস্ফীতি হল। মানুষ অনাহারী থাকল। কিসিঞ্জারের প্ল্যান সফল। মুজিব বাংলার মানুষকে বাঁচাতে এগিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু সংগী পান নি। পাশের মানুষ বেইমানি করেছে। কিন্তু সিলেটী লোকেরা এগিয়েছিল। তবুও উদ্ধার হয়নি।


সমাজতান্ত্রিক দেশের সাথে মুজিবের ভাল সম্পর্ক কিসিঞ্জার মেনে নিতে পারে নি। অ্যামেরিকার প্রভাব মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্যাপক প্রশ্ন বিদ্ধ। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, ব্যর্থ মুজিব যেন তাদের মিশন হয়ে গিয়েছিল।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৯

জেন রসি বলেছেন: বাট এসব সমস্যা মোকাবিলা করার মত দক্ষ প্রশাসন ছিলনা। আওয়ামী নেতারা বঙ্গবন্ধুকে একা ফেলে লুটপাটে ব্যস্থ ছিল।

২৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৩

মার্কো পোলো বলেছেন:
১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য ছিল এক কালো অধ্যায়। জাতিরজনকের হত্যাকারীদের দেশে ফেরত নিয়ে এসে দ্রুত বিচারের দাবী জানাই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪১

জেন রসি বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
রেফারেন্স বলতে আমি ক্রসরেফারেন্স দিতে পারব। এই আরকি। দলিল নেই। বইয়ে পড়েছি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৮

জেন রসি বলেছেন: আমিও কিছু পড়েছি।

এসব বিষয় নিয়ে পড়া আপনার বইগুলোর একটা লিস্ট দিয়েন।

আমি ভাবছিলাম আপনি নব্য কবিদের মত পলিটিক্স অপছন্দ করেন। :P বাট আপনার ব্রেক্সিট বিষয়ক লেখা পড়ে ভুল ভাঙ্গছে।

২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

পোয়েট অব পলিটিক্স কে নিয়ে আগ্রহ আছে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের স্বার্থ নিয়ে আগ্রহ আছে। থাকবে। কবি ও কবিতার ভক্ত ছিলেন মুজিব। সে মুজিবকে ভাল না বেসে কবিতা কি লেখা যায়। মুজিব নিজেই একজন রাজনীতির কবি। তার সাথে বাংলার মাটির সম্পর্ক। সেটা অস্বীকার করে, সেটা না জেনে কাব্য, ইতিহাস, বাংলার সাহিত্য হয় না। হুমায়ুন আহমেদ, শামসুর রহমান সহ বিখ্যাত কবিরা তাকে নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছেন। আমরা তো কেবল অল্প স্বল্প জানছি।


আমার বুকলিস্ট পেয়ে যাবেন। আপনার থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিছু বই যা আপনার ভাল লাগে প্লিজ জানিয়েছ। কৃতজ্ঞ থাকব।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

জেন রসি বলেছেন: আমি এসব বিষয়ে বইয়ের চেয়ে প্রবন্ধ বা মতামত বেশী পড়েছি। তবে আমার এ পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে লেখা। যেটা পোস্টে উল্লেখ করেছি। এ জন্যই পলিটিক্সের ব্যপারটা সেভাবে আসেনি। সেনাবাহিনীর অফিসাররা তখন কি করেছিল সে ব্যপারে হামিদের বইটিকেই বেশী যৌক্তিক মনে হয়েছে। তবে হামিদের ফোকাস ছিল সেনাবাহিনীর কর্মকান্ডে। তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক নন। আমার পোস্টের ফোকাসও ছিল সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিতর্কিত ভূমিকায়।

তবে পলিটিক্যালি বুঝতে হলে ম্যাস্কারেনহাস এবং লরেন্সের বইগুলো সহায়ক। তবে যারা এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে সক্রিয় আছে তারা বায়াসড। তারা নিজেদের মত করে ইনফো হাইড করে ফেলে।

২৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ একটি ঐতিহাসিক বিষয়ে অনুসন্ধানী ও গবেষনামুলক লিখার জন্য । লিখাটিতে অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য আছে যা সত্যিই প্রনিধান যোগ্য । লিখাটি বেশ সময় নিয়ে মনযোগ দিয়ে পড়লাম । বিস্তারিত কিছু বলতে হলে পরের পর্বগুলি পড়তে হবে ।
যে সময়ের ঘটনা সে সময় বলতে গেলে মেচিউরড ছিলাম । সেময়কার প্রায় অনেক দৈনিক সংবাদপত্র নিয়মিত পড়তাম । অনেক ঘটনা ও কাহিনী সংবাদ মাধ্যম থেকেও জানতাম , কিছু বিশ্বাস করতাম কিছু করতাম না । ঘটনা ক্রমে সৌভাগ্য হয়েছিল দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ প্রনেতাদের একান্ত কাছে থেকে গ্রন্থ দুটি প্রনয়ন কালীন সময়ে কিছু ঘটনা জানার ও আলোচনা করার, ও ফরমাসমত গ্রন্থ দৃটুর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য সংগ্রহ করার । গ্রন্থ দুটির একটি হল ১৯৮১ সনে ড: নজরূল ইসলাম রচিত জাসদের রাজনীতি : একটি নিকট বিশ্লেষন, আর অন্যটি হল ১৯৮৪ সনে বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম রচিত , লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে (Tell of Milions)।

তাই কথা হলো সেসময়কার জানা ও দেখা অনেক কাহিনীই পরবর্তীতে বিভিন্ন সেনা কর্মকতাদের লিখার সাথে অনেক গড়মিল দেখা যায় , যেহেতু ঘটনাগুলি অত্যন্ত নিকট হতে দেখার বা জানার সুযোগ ছিলনা তাই যে যা লিখছে সে গুলো বিশ্বাস অবিশ্বাসের বাইরে দোলা দেয়া ছাড়া আর কি্ই বা করতে পারে । তবে একটি কথা বুঝতে পারি ঘটনার শিকর ছিল আরো গভীরে । ছিল দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র , রাজনৈতিক শক্তিটিই বেশী ক্ষমতাশালী । ঘুটি নাড়া হয়েছে বসে অন্যখানে , দেশের ভিতরে সন্মুখ সারিতে থাকা সামরিক ও ১ম সারির রাজনৈতিক নেতারা ছিল দাবার গুটি , তারা এ খেলায় অংশ না নিলেও কাওকে না কাওকে দিয়া এ নিষ্টুর কর্ম ঠিকই ঘটানো হতো । যারা পিছন থেকে করেছিল এ কাজ তারা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে , বিভিন্ন জনের বিভিন্ন লিখা করে প্রকাশ তারা থাকতে চায় ধরা ছোয়ার বাইরে চিরটাকাল । তাই কেন্টনমেন্টের ঘটনার চেয়েও ভয়াবহ সেই বাইরের বিষয়গুলি নিয়ে আপনার লিখায় যদি আরো কিছু তথ্য আসে তবে তা ভাল হবে বলেই মনে হয় । বাকী পর্বটা লিখার সময় নিন্মের লিংকে গিয়ে লিখাটি একটু দেখে নিতে পারেন যদি ইতিমধ্যে পড়া না হয়ে থাকে ।
Click This Link
শুভেচ্ছা রইল ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

জেন রসি বলেছেন: আমার এ পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে লেখা। যেটা পোস্টে উল্লেখ করেছি। এ জন্যই পলিটিক্সের ব্যপারটা সেভাবে আসেনি। সেনাবাহিনীর অফিসাররা তখন কি করেছিল সে ব্যপারে হামিদের বইটিকেই বেশী যৌক্তিক মনে হয়েছে। তবে হামিদের ফোকাস ছিল সেনাবাহিনীর কর্মকান্ডে। তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক নন। আমার পোস্টের ফোকাসও ছিল সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিতর্কিত ভূমিকায়।

তবে পলিটিক্যালি বুঝতে হলে ম্যাস্কারেনহাস এবং লরেন্সের বইগুলো সহায়ক। তবে যারা এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে সক্রিয় আছে তারা বায়াসড। তারা নিজেদের মত করে ইনফো হাইড করে ফেলে।

দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে এসব ক্যুয়ে সেনাবাহিনীর অফিসার এবং রাজনীতিবিদরা জড়িত ছিল। তবে এ দুপক্ষের উদ্দেশ্য এক ছিলনা। অর্থাৎ সেনাবাহিনীর কর্মকান্ড এবং জাসদের কর্মকান্ডের মধ্যে সব দিক দিয়েই অনেক পার্থক্য ছিল। তবে সে সময় যে যেভাবে পেরেছে একে অপরকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।

সিরাজুল আলম খান আসলে কাদের স্বার্থ সার্ভ করেছিলেন তা আজো অস্পষ্ট। তবে জাসদের নেতারা সে সময় তোতা পাখির মতই তাকে অনুসরন করতেন। সবচেয়ে রহস্যময় ব্যাপার হচ্ছে, সবকিছুর পেছনে থেকেও তিনি অধরাই থেকে গেছেন।

জাসদের গনকন্ঠ পত্রিকা কি মিথ্যা সংবাদ দিয়ে প্রচারনা চালাত? ব্যাপারটা সম্পর্কে বিস্তারিত বলবেন আশা করি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মূল্যবান মন্তব্য দ্বারা আমি আলোকিত হব। শুভেচ্ছা।

২৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আওয়ামী বিএনপি বলয়ের বাইরে যিনি ইতিহাস বর্ণনা করবেন, তাঁর ইতিহাসকে যথেষ্ট সত্য বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। এই বইয়ের কিছু অংশ ছাপা হয়েছে মহিউদ্দিন আহমদের "বিএনপি:সময় অসময়" বইতে। চমৎকার একটা বই। জিয়াকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি কেটে যাবে। অবশ্য মানসিকতা ঠিক রাখতে হবে আওয়ামী না বিএনপি'র হয়ে ইতিহাস পড়তে যাচ্ছি।
মুজিবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কিংবা অভ্যূত্থান হবে জিয়া জানতো সেটা লুকানোর কিছু নেই। ফারুক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। জিয়াও বলেছিলেন, আমি সিনিয়র অফিসার হিসেবে তোমাদের সাথে যোগ দিতে পারি না, তবে তোমরা জুনিয়র রা go ahead। এন্টনি রশিদকে জিজ্ঞেস করেছিল, মুশতাককে কী মুজিবকে হত্যার কথা বলেছিলেন? রশিদ জবাব দিয়েছিল, না সরাসরি ওভাবে বলিনি। যেখানে মুশতাককেই তারা বললো না(হত্যা করার কথা) সেখানে জিয়াকে বলার কোন কারণ খুঁজে পাইনা। তাই আমার মনে হয় না মুজিবকে হত্যার কথা জিয়া জানলে তাদের ok বলতেন। বাকীটা আল্লাহ জানে আর জিয়া জানে...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০১

জেন রসি বলেছেন: মোস্তাক ছিলেন মুজিবের খুব কাছের লোক। আওয়ামীলীগের ক্ষমতাবান নেতা। তাকে বিশ্বাস করাটাই বরং রশিদের জন্য বিপদজনক ছিল। তবে মোস্তাককে সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলেছিল। এবং মোস্তাক বুঝে একধরনের নীরব সম্মতি দেয়। ফলে রশিদরা বুঝে যে মোস্তাক তাদের শত্রু হবেনা।

অপর দিকে জিয়ার সাথে আওয়ামী নেতাদের সম্পর্ক ভালো ছিলনা। জিয়ার প্রমোশনের কোন সম্ভাবনাই ছিলনা। তাকে পূর্ব জার্মানি রাষ্ট্রদূত করে পাঠানোর কথা ছিল। এসব নিয়ে জিয়ার অনেক ক্ষোভও ছিল। তাই তাকে ক্যুয়ের প্রস্তাব দেওয়াটাই বেশী যৌক্তিক এবং বিশ্বাসযোগ্য। পরবর্তীতে জিয়ার কর্মকান্ড থেকে তা আরো স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায়।

৩০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশাল মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয়, অবদান, ত্যাগ ও উদ্দীপনাকে অনুধাবন করতে পারেননি শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব; উনাদের ২ জনের দক্ষতা ছিলো ভালো ছাত্রলীগ নেতার মতো; উনারা এক প্রচন্ড শক্তিকে ধুলাবালিতে পরিণত করেছেন; ফলে, জাতির শুরু ছিল দুর্বল থেকেও দুর্বল; সেই ধুলাবালি ও ঘোলাজলের মাঝে আছে জাতি আজও।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

জেন রসি বলেছেন: উদাহরন এবং রেফারেন্স দিয়ে ব্যাখা করুন। আপনি কি সিরাজুল আলম খান এবং শেখ মনির দ্বন্দ্বের কথা বলছেন?

৩১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম. এ. হামিদ, পিএসপি এর "তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা" বইটা পড়া । "রক্তের ঋণ" পড়ার পরেই এই বইটা পড়েছিলাম ।

৭৫-৮১ আসলেই বড় গোলমেলে ইতিহাসে ভরপুর ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

জেন রসি বলেছেন: বড়ই গোলমেলে ইতিহাস। তার একটা কারন মনে হয় সেনাবাহিনীর অফিসার এবং রাজনৈতিক নেতাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য। একে অপরকে ইউটিলাইজ করতে চেয়েছিল। তবে সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের নিয়ে কর্নেল হামিদের বইটি আমার কাছে সবচেয়ে যৌক্তিক মনে হয়েছে। এখানে অফিসারদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ব্যাপারগুলো খুব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সে ব্যাপারটাই আমি এই পোস্টে ফোকাস করেছি।


৩২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কয়েক বছর আগে ইউটিউবএ লেঃ কর্নেল ফারুক এবং কর্নেল রশিদ এর ইন্টারভিউ দেখছিলাম। ইন্টারভিউ টা অনেক আগে নেওয়া। ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন এন্টোনি ম্যাস্কারেনহাস। ইনি এক পাকিস্তানী সাংবাদিক --বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ওপর তার বিখ্যাত দুটি বই The Rape of Bangla Desh এবং Bangladesh: A Legacy of Blood ।

উক্ত ইন্টারভিউতে ফারুক বলছেন যে তিনি ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় জেঃ জিয়ার সাথে দেখা করে মুজিব হত্যার পরিকল্পনা আলোচনা করেন। জেঃ জিয়া বলেন যে একজন উচ্চপদস্থ অফিসার হিসাবে তিনি নিজে এই কাজের সাথে যুক্ত হতে পারবেন না কিন্তু এব্যাপারে এগোলে তাঁর পূর্ণ সম্মতি আছে। কর্নেল রশিদ জানান এই হত্যা কাণ্ডে খোন্দকার মোস্তাক এবং জিয়া পুরো প্ল্যান জানতেন এবং তাঁদের পূর্ণ সম্মতি ছিল। অনেকে বলেন আমেরিকা , সিআইএ -- কিসিঞ্জার -- হ্যান -ত্যান এরা সব করিয়েছে --এই সব আমার মনে হয় ফালতু কথা , যদি তারা প্ল্যান করিয়েও থাকে , তার এক্সেকিউশন খোন্দকার মোস্তাক , জিয়া --ঘরের শত্রু বিভীষণ ---এরাই করিয়েছিলো , ফারুক ,রশিদ এরা ছিলো ফুট সোলজার ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

জেন রসি বলেছেন: কোল্ড ওয়ারের সময় বিভিন্ন রাষ্ট্রে কে শাসক হবে সেটা নিয়ে আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিউনের মধ্যে এক ধরনের অদৃশ্য লড়াই হত। যার অনেক কিছুই আমরা এখন জানতে পারছি। বঙ্গবন্ধু সোভিয়েত পন্হী ছিলেন। আমেরিকা, চীন, পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুর পতন হোক এটা চাচ্ছিল। এটা হচ্ছে একটা ব্যাপার।

দ্বিতীয় ব্যপার হচ্ছে ফারুক, রশীদরা অনেকট রিলাক্সড মুডেই প্রেসিডেন্টকে হত্যা করেছে। তারা আগে থেকেই জানত কোন ঝামেলা হবেনা। দেশের ভেতর তারা যেমন প্রতিআক্রমনের ভয় করনি, তেমনি দেশের বাইরেও তাদের গার্ডিয়ান ছিল বলেই মনে হয়। তবে সেসব ব্যপারে তারা মুখ খুলেনি। সেটাই স্বাভাবিক। মুখ খুললে সেসময় তারাও নাই হয়ে যেত।

সিআইএ কিভাবে কাজ করে সে ব্যপারে নিশ্চয় আপনার ধারনা আছে।

৩৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: চোখ রাখলাম

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: "বঙ্গবন্ধু সোভিয়েত পন্হী ছিলেন। আমেরিকা, চীন, পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুর পতন হোক এটা চাচ্ছিল। "

আপনি বলতে কি চাইছেন আমি বুঝতে পারছি। .. কিন্তু দেশের অভ্যন্তরের শক্তিশালীরা ষড়যন্ত্র না করলে বিদেশী শক্তির পক্ষে কোন দেশের রাষ্ট্রনেতা কে হত্যা করা অনেক মুশকিল। নিক্সন এবং কিসিঞ্জার দুজনেই তীব্র ইন্দিরা বিদ্বেষী ছিলেন , কোল্ড ওয়ার চলাকালীন ভারত সম্পূর্ণ ভাবে সোভিয়েত রাশিয়ার ক্যাম্পে ছিল।বংগবন্ধুর থেকে ইন্দিরা কয়েকগুন বেশী সোভিয়েতপন্থী ছিলেন। নিক্সনের ওয়ার্নিং উপেক্ষা করে ইন্দিরা ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ যখন পূর্ব পাকিস্তানে সেনা নামান তখন নিক্সন হতাশায় বলে ওঠেন :"She suckered us. Suckered us.....this woman suckered us." ...... সূত্র : Nixon, Indira and India - Politics and Beyond -- by Kalyani Shankar . একাধিক বার নিক্সন ইন্দিরা সম্পর্কে বলেছেন ..that bitch......

আমার কথা হচ্ছে , নিক্সন ,কিসিঞ্জার অথবা তাদের CIA ইন্দিরার বিরুদ্ধে কিছু করার কি চেষ্টা করেনি যদিও ইন্দিরা তাদের ওয়ার্নিং উপেক্ষা করে , তাদের পেয়ারা দোস্ত পাকিস্তানকে ভাঙ্গতে চেয়েছে ? -----নিশ্চয়ই করেছে কিন্তু সফল হয়নি , কারণ সেই সময়ে অভ্যন্তরীন বিশ্বাস ঘাতকতা কেউ করেনি।ইন্দিরা নিহত হন ১৯৮৪ সালে আপন দেহরক্ষীর গুলিতে কিন্তু সেটা অন্য গল্প। সংক্ষেপে আমি যেটা বলতে চাইলাম সেটা হলো খোন্দকার মোস্তাক এর মতো বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট এবং জিয়ার মতো উচ্চ পদস্থ আর্মি অফিসের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া , এই হত্যা কখনোই সম্ভব হতো না ,CIA যতই না কেন প্ল্যান করে থাকুক ( যদি করে থাকে)।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

জেন রসি বলেছেন: সিআইএ কিন্তু কোথাও নিজেরা গিয়ে ক্যু ঘটায় না। এমনকি পড়েছি তারা নাকি দুটো টিম রেডি রাখে। একটা সরকারের পক্ষে। একটা বিপক্ষে। ক্যু সফল কিংবা ব্যর্থতার উপর নির্ভর করে তাদের নেক্সট পদক্ষেপ।

যে দেশে ক্যু বা মুভমন্ট হয়, সে দেশের কিছু এজেন্টদের তারা নানা ভাবে সাহায্য করে। ৭৫ এ এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। এ ক্যুয়ের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদ দাতারা বিদেশী শক্তির কাছ থেকে গ্রীন সিগনাল পেয়েছিল।

আমেরিকা ইন্দিরা গান্ধীকেও সরানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি সে ব্যপারে সতর্ক ছিলেন বলেই মনে হয়। তার নিজের দেশের গোয়েন্দা বিভাগও অ্যাকটিভ ছিল।

বঙ্গবন্ধু এখানেই ব্যর্থ। তার নাকের ঢগার সামনেই ষড়যন্ত্র হয়েছে। অথচ তিনি ছিলেন সম্পূর্ন অন্ধকারে।

৩৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: তখনকার সময় নিয়ে একেক জন একেক ইতিহাস লিখে গেছেন ।
সবচেয়ে বেশি প্রশ্নবিদ্ব -সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে । তখন কি বিমান বাহিনী ছিল না ???? তাদের ভূমিকা কি ছিল ???
কর্নেল শাফায়েত জামিল একটা বই লিখেছেন -পড়া হয়নি ।তিনি কি লিখেছেন সেটাও পড়া দরকার ।
পোষ্ট ফলো আপে রাখলাম ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

জেন রসি বলেছেন: এ হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল সেনাবাহিনীর কতিপয় জুনিয়র অফিসার। আর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রন ছিল শফিউল্লাহ, শাফায়াত, খালেদ এবং জিয়ার হাতে। এদের সবার ভূমকা বিতর্কিত। অনেক রেফারেন্সের সাথেই এই বইয়ে উল্লেখিত তথ্যের মিল আছে। তাই তথ্যসূত্র হিসাবে একটা বইয়ের কথাই বলেছি।


৩৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

শায়মা বলেছেন: +++ দিয়ে যাই।

ঝামেলায় মরো মরো !!!!!!!!!!!!!! :(

পরে এসে পড়ে যাবো ভাইয়ু।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

জেন রসি বলেছেন: মরো মরো কেন?

কোন ক্যু ঘটেছে নাকি? :P


৩৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম. এ. হামিদ, পিএসপি এর "তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা" বইটা পড়েছি , পোস্টটি পড়লাম , কমেন্ট গুলিও । পোস্টটি পর্জবেক্ষনে রাখলাম।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫১

জেন রসি বলেছেন: এখানে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তার সাথে কি আপনি দ্বিমত পোষন করেন? মানে সেদিন কে কি করেছিল তা নিয়ে কি এমন কোন অথেন্টিক তথ্য আছে যা এই তথ্য গুলোকে বাতিল করে দেয়?

ধন্যবাদ লিটন ভাই।


৩৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: এ হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল সেনাবাহিনীর কতিপয় জুনিয়র অফিসার। আর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রন ছিল শফিউল্লাহ, শাফায়াত, খালেদ এবং জিয়ার হাতে। এদের সবার ভূমকা বিতর্কিত ! সবাই আগে থেকেই জানতো ! তাহলে সিরিয়াল ব্রেক করে জিয়ার নাম টা কেন সবার আগে দেয়া হয় !?? হত্যার পরে আওয়ামীলীগের সবাই যোগ দেন মণত্রীসভায় ! জিয়া কি সবার মাথা কিনে নিয়েছিলেন !!??

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

জেন রসি বলেছেন: জিয়া একাই সব ষড়যন্ত্র করে ঘটিয়ে ফেলেছে সেটা রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা! সেসময়ের ঘটনা গুলো বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, জিয়া সুযোগসন্ধানী ছিল। একে অপরের ঘারে বন্দুক রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার এক জঘন্য খেলায় লিপ্ত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ছিলেন সে খেলার একজন খেলোয়াড়।

৩৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে যে সরানো হবে; এটা মোটামুটি সবাই জানতো । তাঁকে ঠিক হত্যা করা হবে কি না; সেটা অনেকেই জানতো না । যদ্দুর জানি সিদ্ধান্তটা হঠাৎই নেওয়া হয়েছে । এমনিতে নাকি পরিকল্পনা ছিলো উনাকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে বাকশাল বাতিল করতে বাধ্য করা হবে । উনাকে হত্যা করতে কারও কারও ব্যক্তিগত ক্ষোভও কাজ করেছে ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

জেন রসি বলেছেন: ফারুক এবং রশিদ হত্যার ব্যপারে নিশ্চিত ছিল। তবে তাদের ভাষ্যমতে তারা শর্ট ট্রায়ালের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে তারা সাক্ষাতকারে বলেছে যে মুজিবকে মরতে হতই। কারন মুজিবকে বাঁচিয়ে রেখে ক্ষমতার পালা বদল সম্ভব না। আর সিনিয়র অফিসাররা জানত এমন কিছু হতে পারে।

৪০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৫

নীলপরি বলেছেন: আপনার পোষ্ট মানেই বিশেষ । এটাও সেরকম । উপস্থাপনা অনবদ্য লাগলো ।

শুভকামনা । :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪০

জেন রসি বলেছেন: হা হা....অনেক ধন্যবাদ আপু। উৎসাহিত হলাম। :)

ভালো থাকুন সবসময়। :)

৪১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কালীদাস বলেছেন: উপস, এই পোস্ট মিস করলাম কিভাবে!!

আমি বাংলাদেশের ইতিহাসের ঐ পার্টটা পড়েছি ম্যাসকারেনহাসের বাংলাদেশ: লিগ্যাসি অফ ব্লাড থেকে। শাফায়েত জামিলের ভূমিকা আমার কাছে কখনই ক্লিয়ার হয়নি। তারপর ধরেন, খালেদ মোশারফ; অত্যন্ত সাহসী একজন সৈনিক, অথচ নভেম্বরের আগে তার কোন মুভমেন্ট চোখে পড়েনি। জিয়া জানত পুরা জিনিষটাই, সেটা তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াতেও বোঝা গেছে। ম্যাসকারেনহাস এই প্রশ্ন তাকে করায় ম্যাসকারেনহাসের বাংলাদেশে ঢোকা চিরতরে বন্ধ করা হয়।

শফিউল্লাহ আগাগোড়া একজন ওয়ার্থলেস লোক ছিল। এরকম মেরুদন্ডহীন একজন বাংলাদেশ কেন, ঘানার কোন মেজর হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না।

বঙ্গবন্ধুকে অনেকে সাবধান করেছিল এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে। বাংলাদেশের মানুষের উপর অসীম বিশ্বাসের জন্য তিনি সেগুলোকে পাত্তা দেননি, যার মূল্য দিতে হয়েছিল জীবন থেকে।

অপ্রাসাঙ্গিক একটা জিনিষ বলি। সবাই বলে, সিআইএ জড়িত ছিল এই কিলিংএ, কিন্তু কোন প্রমাণ কোথাও কেউ দেয়নি। এমনকি, ফারুক নিজেও উল্লেখ করেছিল যে ঢাকা শহরে আমেরিকান এম্বেসির অনেক গাড়ি ছোটাছুটি করতে দেখেছে ঐদিন ভোরে, কিন্তু সলিড প্রমাণ কোথাও ডকুমেন্টেড হয়নি। আপনার কি মনে হয়?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৪

জেন রসি বলেছেন: লিগ্যাসি অব ব্লাড পড়েছি। তবে লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম. এ. হামিদ পিএসপি সেসময় খুব কাছ থেকে সেনা অফিসারদেরকে দেখেছেন।এবং তিনি যেসব তথ্য দিয়েছেন তার সাথে অন্য বইগুলোর তথ্যেরও মিল আছে। তাছাড়া তিনি যেভাবে যা অবসারভ করেছিলেন সেভাবেই বলার চেষ্টা করেছেন। সেসময় ক্যু গুলোতে সেনাবাহিনীর কিছু অফিসার এবং জাসদের নেতাদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। তবে হামিদের বইয়ে শুধু সেনাবাহিনীর অফিসারদের ব্যাপারেই ফোকাস করা হয়েছে।

শাফায়েতের ভূমিকা অবশ্যই বিতর্কিত। তিনি সেসময় খুবই কনফিউজিং আচরন করেছিলেন। খালেদ সাহসী ছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড উচ্চভিলাসি ছিলেন। সম্ভবত সেনাপ্রধানের পোস্ট ছাড়া অন্য কোন পোস্টই তাকে তৃপ্তি দিচ্ছিল না। আর জিয়াউর রহমান ছিলেন ধূর্ত এবং সুযোগসন্ধানী। তিনি আগে থেকে সবই জানতেন এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।

সিআইএ সরাসরি ক্যুতে জড়িত থাকেনা। তাদের একই সাথে অনেক রকম প্ল্যান থাকে। তাই প্রমান করা খুব কঠিন। আমার মনে হয় কোন না কোন ভাবে সিআইএ জড়িত ছিল। কারন তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সখ্যতা ছিল এমন রাষ্ট্রনায়কদের বিপদজনক মনে করত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.