নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন বই এবং প্রকাশনী নিষিদ্ধ করা হচ্ছে? কাদের ভয়ে? কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা........

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১




বাংলা একাডেমী দুই বছরের জন্য শ্রাবণ প্রকাশনীকে বইমেলায় নিষিদ্ধ করেছে। এটা হচ্ছে খবর। কেন নিষিদ্ধ করেছে এবং সেটা কতটা যৌক্তিক সেসব নিয়ে এখন অনেক রকম আলোচনা চলছে। অন্য সব ইস্যুর মতই আলোচকরা এবং প্রতিবাদীরা বিভিন্ন মতবাদের আলোকে তর্ক বিতর্ক শুরু করে দিয়েছে। ব্যাক্তি আক্রমন, প্রতিআক্রমনও চলছে। তাই ভাবলাম এ বিষয়ে আমার কিছু ভাবনাও শেয়ার করি। কারন গত কয়েক বছর ধরেই(বিশেষ করে শাহবাগ মুভমেন্টের পর থেকে) বই মেলায় এমন প্রতিক্রিয়াশীল কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। গত বইমেলায় বদ্বীপ প্রকাশনী বন্ধ করে দেওয়া হয়। একজন লেখককে গ্রেপ্তার করা হয়।একটা বই নিষিদ্ধ করা হয়। এসব কিছুর কারন হিসাবে দেখানো হয় ইসলাম ধর্মের অবমাননা, মিথ্যাচার এবং অশ্লীলতা।

অতীতের কিছু ঘটনা

প্রথম আলো এদেশের খুব জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক। প্রথম আলোর আলপিনে প্রকাশিত এক কার্টুন নিয়ে একবার খুব তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। কার্টুনিস্টকে গ্রেপ্তার করা হলো। সম্পাদক মতিউর রহমান খতিবের কাছে ক্ষমা চাইলেন।
এই ঘটনা থেকে কিছু সোজা সাপ্টা ব্যাপার বুঝার আছে। আমাদের দেশে প্রেসার গ্রুপ হিসাবে ইসলামি সংঘটনগুলো খুব সক্রিয়। ভোটের রাজনীতিতে তাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাদের সাথে সখ্যতা বজায় রাখতে চায়। তবে এসব ইসলামি সংঘটন গুলোর নেতারাও নিজেদের সীমাবদ্ধতা বুঝে। তারা সরকার বা রাষ্ট্রের সব ব্যাপারে নাক গলায় না। কারন তারাও খুব ভালো করেই জানে যে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া তারা টিকতে পারবে না। এভাবে প্রশাসনের সাথে তাদের একটা গোপন সমাঝোতার ব্যাপার আছে।

এসব সংঘটন গুলোর এদেশের সাধারন মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা আছে। তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথা বলে মানুষকে উসকে দিতে পারে। প্রথম আলোর খেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। যারা প্রথম আলোর ভক্ত ছিল, তারাই রাস্তায় নেমে পত্রিকা পোড়াতে শুরু করল। মতিউর রহমান তখন দুটো কাজ করতে পারতেন। তিনি সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারতেন। কার্টুনিস্টের পাশে দাঁড়াতে পারতেন। তবে তিনি যদি তা করতেন তবে প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রথম আলো হুমকির মুখে পড়ত। ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যেত। এমনকি পত্রিকা নিষিদ্ধও হতে পারত। দ্বিতীয় অপশন ছিল ইসলামি সংঘটন গুলোর নেতাদের সাথে নেগোসিয়েট করা। মতিউর রহমান এই দ্বিতীয় অপশনটাই বেছে নিলেন।

এখন এখানে একটা ব্যাপার বুঝতে হবে। কেন তিনি নেগোসিয়েট করতে বাধ্য হলেন। তিনি ইসলামপ্রেমী না। তিনি মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেননা। বরং সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীদের সাথেই তার সখ্যতা। কিন্তু প্রেসার গ্রুপ হিসাবে ইসলামি সংঘটনগুলোর ক্ষমতা সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন। অপর দিকে সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীদের নিজস্ব বলয়ে জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব থাকলেও মাস পিপলের কাছে তাদের কোন গ্রহনযোগ্যতা বা প্রভাব নেই।

ঠিক একই কারনে তসলিমা নাসরিনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল সরকার। তখন অনেক বুদ্ধিজীবীই প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু তারা প্রেসার গ্রুপ হিসাবে শক্তিশালি ছিলনা। সরকারের ভয় ছিল মাস পিপলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে।মাস পিপলকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা যতটা ইসলামি নেতাদের আছে ততটা সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীদের নেই। ফলে প্রসাশন তাদের কথায় কানও দেয়নি।

ব্লগ এবং ফেসবুক

ব্লগে খুব সহজে অনেকেই নিজেদের মতামত শেয়ার করতে পারত। এখানে প্রতিস্ঠান রক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য করা কিংবা লিখে উপার্জনের মত কোন ব্যাপার ছিলনা। মাস পিপলের কোন প্রেসার ছিলনা। ইসলামী সংঘটনগুলোও এসবের খবর রাখতনা। অনলাইনে আস্তিক, নাস্তিক নিজেরাই গ্রুপ করে নিজেদের মত তর্ক বিতর্ক করত। অনেকটা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত ব্যাপার। তবে এসব করে অনেকেই জনপ্রিয় হয়ে যায়। তারা ফেসবুকেও সক্রিয় হয়।

শাহবাগের মুভমেন্ট


শাহবাগের মুভমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত বলাটা এখানে অপ্রাসংগিক। তবে যে পয়েন্টগুলো এ পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। কারন এখন এমন অনেক কিছু ঘটছে যার সাথে এ মুভমেন্টকে কেন্দ্র করে কিছু ষড়যন্ত্রের গভীর সম্পর্ক আছে।

শাহবাগের মুভমেন্ট সরকারের উপর প্রচণ্ড প্রেসার ক্রিয়েট করতে পেরেছিল।মূলত সেক্যুলার ব্লগার, অনলাইন এবং অফলাইন অ্যাকটিভিস্ট, এবং বামঘেঁষা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়েই এই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রসাশনের টনক নড়েছিল অন্য কারনে। মাস পিপল এ আন্দোলন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করে। সবার মধ্যে একটা কমন ব্যাপার ছিল। সেটা হচ্ছে সবাই রাজাকারের বিচার চায়। যেহেতু অনেক মানুষের চাপ ছিল, সরকার তাই দাবী মেনে নিতে থাকে। আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি দেখায়। অপরদিকে রাজনৈতিক ভাবে বিপদে পরে যায় বিএনপি জামাত। তারা এ আন্দোলনকে স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করে। আর বিএনপি জামাত ডানপন্থী দল।

আওয়ামীলীগ ডানপন্থী দলনা। এ দলের মধ্যে সবরকম গ্রুপই সক্রিয় আছে। তারা প্রয়োজন মত বিভিন্ন গ্রুপকে মাঠে নামায়। আর বাইরে থেকে যে শক্তি প্রেসার ক্রিয়েট করতে পারে তাদের সাথেই তারা নেগোসিয়েট করে। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। শাহবাগের মুভমেন্টের প্রথম দিকে যখন মাস পিপল আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তখন সরকার আন্দোলনকারীদের সাথে নেগোসিয়েট করার চেষ্টা করে।
অপরদিকে বিএনপি জামাতের পেইড বুদ্ধিজীবীরা খুব সুকৌশলে ইসলামি সংঘটনগুলোকে দিয়ে মুভমেন্টকে দুর্বল করতে চায়। শুরু হয় নাস্তিক আস্তিক বিতর্ক। অপপ্রচার চালানো হয় যে শাহবাগে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হচ্ছে। ইসলামি সংঘটনগুলো হেফাজতের ব্যানারে রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা নাস্তিকদের ফাঁসীর দাবীতে সমাবেশ করে। যেহেতু মাস পিপলকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা তাদের আছে, তাই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে যায়। এবং ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে শাহবাগের কেউ কেউ নিজেদের খুব ইসলামপ্রেমী প্রমানের চেষ্টা করতে থাকে। অপরদিকে কেউ কেউ কোন যৌক্তিক কারন ছাড়াই ইসলামকে গালি গালাজ করতে থাকে। ফলে প্রেসার গ্রুপ হিসাবে খুব অল্পদিনের মধ্যেই শাহবাগের আন্দোলনকারীরা দুর্বল হয়ে পড়ে।আরো কারন আছে। এই পোস্টে আমি শুধু ধর্ম নিয়েই আলোচনা করেছি।

দুর্বল শক্তিকে নিয়ে সরকার মাথা ঘামায় না। ফলে তারা হেফাজতের দিকে নজর দেয়। গন মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগলে সরকারের বিপদ। তারা চারজন ব্লগারকে ইসলাম ধর্ম অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তার করে। ব্লগগুলোর উপর শুরু হয় সরকারী নজরদারি এবং হস্তক্ষেপ। নাস্তিক ব্লগাররাও আরো উগ্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকে। ইসলামি সংঘটনগুলোর প্রচার এবং অপপ্রচারের প্রভাবে মানুষ ব্লগ এবং ব্লগারদের সম্পর্কে বিরুপ ধারনা পোষণ করতে থাকে। সরকার নাস্তিকদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখাতে থাকে।

এমন সময় যখন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী লেখক, ব্লগার এবং অ্যাকটিভিস্টদের এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা তখন তারা একে অপরের প্রতি আরো প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। নাস্তিক এবং আস্তিক ইস্যুতে চলতে থাকে অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক তর্ক বিতর্ক এবং গালিগালাজ। অন্য দিকে উত্থান ঘটে জঙ্গি গোষ্ঠীর। তারা একের পর এক নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা করতে থাকে। সরকার নির্বিকার। মোডারেট মুসলিমরা নির্বিকার। ফলে জঙ্গিরা আরো উৎসাহ পেয়ে যায়। নাস্তিকরাও তর্ক কিংবা আলোচনার বদলে বিশ্বাসীদের উপর অযৌক্তিক ব্যাক্তি আক্রমন চালাতে থাকে। অথচ দুপক্ষের একে অপরের শত্রু হওয়ার কোন প্রয়োজন ছিলনা। দুপক্ষের জন্যই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠিগুলো হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিদের মতই তারা সুযোগ পেলে সব জায়গাতেই হস্তক্ষেপ শুরু করবে। নাস্তিকদের গ্রেপ্তার করা হলে তারা পহেলা বৈশাখের উৎসব বন্ধের আবদার করবে। সুযোগ পেলে তারা সক্রিয় হবেই। এবং এটা খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝতে হবে যে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রেসার ক্রিয়েট করা না যায় তবে সরকার এসব ইসলামি সংঘটন গুলোর আবদারে কান দেবে এটাই স্বাভাবিক।


এবার বাংলা একাডেমীর প্রসঙ্গে আসি। তারাও এসব কারনে বই এবং প্রকাশনী নিষিদ্ধ করছে।তারা নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে সচেতন এবং সতর্ক। দু একজন লেখক কিংবা দু একটা প্রকাশনীর জন্য তাদের উপর আক্রমন হোক এটা তারা চায়না। আজ যদি সেক্যুলাররা প্রেসারগ্রুপ হিসাবে শক্তিশালী হতো তবে বাংলা একাডেমীর কর্তারাও ইসলামি সংঘটনগুলো নিয়ে মাথা ঘামাত না।

এখানে আরেকটা ব্যাপারও ভেবে দেখতে হবে। বই নিষিদ্ধ করে আসলে কোন লাভ হয়না। এ দেশের যেসব মানুষ কখনও বই পড়েনি তারাও খুব আগ্রহ নিয়ে তসলিমার লজ্জা পড়েছে। তবে মিথ্যাচার করা হলে, ভুল তথ্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করা হলে এবং মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানো হলে আইনের সহায় নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যেসব বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে ইসলাম নিয়ে ঠিক কি ধরনের মিথ্যাচার করা হয়েছে তা একাডেমী ক্লিয়ার করে কিছু বলেনি। আলি দস্তির বইটাও আমি পড়েছি। যার বাংলা অনুবাদও নিষিদ্ধ করা হয়। স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে বাংলা একাডেমী কিছুটা ভয় থেকেই এসব করছে। তারা ধর্মীয় সংঘটনগুলোর সাথে সংঘাত এড়াতে চাচ্ছে।
আসলে মানুষকে গালি দিয়ে কোন লাভ নাই। যতদিন পর্যন্ত সেক্যুলাররা গন মানুষকে প্রভাবিত করতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত প্রসাশন তাদের গুরুত্ব দেবেনা। অনেকটা বামদলগুলোর মতই।

কেউ যদি মনে করে যে, সে সঠিক এবং যৌক্তিক এবং এ কারনেই সে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে যাবে, তবে সে ইউটোপিয়ায় বাস করে। অধিকার কেউ কাউকে এমনিতে দিয়ে দেয়না। সেটা আদায় করে নিতে হয়। কখন কিভাবে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয় সেটা জানতে হয়।

ইসলামি দলগুলোর নেতারা নিজেদের স্বার্থ এবং ক্ষমতার জন্য ইসলামকে ডিভাইস হিসাবে ব্যবহার করে। তারা খুব ভালো করেই জানে ইসলামের বলয় ছাড়া তাদের কোন ক্ষমতা বা প্রভাব নেই। তাই তারা নিজেদের শক্তি দেখাতে ফতোয়া দেয়। না হলে তাদের আর্থ-সামাজিক গুরুত্ত কমে যাবে। এভাবেই তারা কিছু মানুষকে প্রভাবিত করে মুরিদ বানিয়ে নিজেদের আরাম আয়েশের জীবন বিনির্মাণ করে। আর রাজনৈতিক দলগুলো বুঝে ক্ষমতা এবং ভোটের রাজনীতি। জনগণ ঠিক যতটা প্রেসার ক্রিয়েট করতে পারবে, তারা ঠিক ততটাই উন্নয়ন করবে।

এখন যারা লেখালেখি করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের স্বার্থ কি? তাদের ভাবনা চিন্তা দ্বারা জনগণকে প্রভাবিত করা। অথবা নিজের আনন্দে বা প্রয়োজনে লিখে চলা। অনুসন্ধান করা। এখন সময়ের প্রয়োজনে আরো একটা কাজ করতে হবে। ধর্মের নামে কেউ যেন অযাজিত ভাবে এ চর্চায় হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে জন্য সেলফ ডিফেন্সের বলয় গড়ে তোলা। সরকার এবং প্রশাসন এমনিতে এসে কিছু করে দেবেনা।তাদের বাধ্য করতে হবে।

শ্রাবণ প্রকাশনী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু কেন বারবার এমন করা হচ্ছে সে ব্যাপারটা বুঝে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এমন হতেই থাকবে।




মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মাথা ব্যাথায় ব্যাথা সারানোর চেষ্টা করা উত্তম!:)

মাথা কেটে ফেলে ব্যাথা বন্ধ করা ভয়ংকর!!:)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

জেন রসি বলেছেন: যে কারনে মাথা ব্যথা, সে কারনটার মাথা কেটে দেওয়া যেতে পারে।

ধন্যবাদ আপনাকে। :)


২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

দীপ্ত 71 বলেছেন: শ্রাবণ প্রকাশনী সহ পাঁচটি প্রকাশনী নিষিদ্ধ? এর কারণ কি

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

জেন রসি বলেছেন: যেসব প্রকাশনীর কারনে ধর্মীয় নেতাদের সাথে একাডেমীর কর্তাদের সংঘাত হতে পারে, সেসব প্রকাশনীকেই ব্ল্যাক লিস্টেড করা হচ্ছে। এটা একটা সমাঝোতা। আমার এমনটাই মনে হয়।


৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

আমিই মিসির আলী বলেছেন: যেহারে নিজের খেয়ে অন্যের দোষ ট্রুটি নিয়ে কটাক্ষ করা মানুষ বাড়ছে, ভবিষ্যতে নিষিদ্ধের তালিকায় আরো নতুন নতুন জিনিস আসবে।

অনেক বছর আগের ভবিষ্যত বানী তিলে তিলে বাস্তবায়ন হতে দেখছি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

জেন রসি বলেছেন:
কাজের চেয়ে কথা বেশী হলে এমনটাই হবে। কথা হওয়া উচিৎ কাজের আলোকে কিংবা ইস্যুভিত্তিক।

যাইহোক, আপনি কি ভবিষৎবানী করেছিলেন?

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

দীপ্ত 71 বলেছেন: যদি ভুল থাকে সেটা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হোক। মোল্লাদের ভয়ে অনেকে বউকে তালাক দেয়, আর বাংলা একাডেমী নিষিদ্ধ করে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জেন রসি বলেছেন: মোল্লাদের বিরুদ্ধে পাল্টা শক্তি গড়ে তুলতে না পারলে এ সমস্যার সমাধান হবেনা।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাবে সত্য কথা গুলো বলে দিয়েছেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই যুক্তিপুর্ণ কথায় রচিত নিবন্ধটি পাঠে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া এ বিষয়টার কার্য কারণ ও পরিনতির বিষয়ে অনেক গুলি
চিন্তা চেতনার জন্ম দেয় । লিখাটির শেষে উপসংহারে বর্ণিত কথামালা যথা এখন সময়ের প্রয়োজনে আরো একটা কাজ করতে হবে। ধর্মের নামে কেউ যেন অযাজিত ভাবে এ চর্চায় হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে জন্য সেলফ ডিফেন্সের বলয় গড়ে তোলা। সরকার এবং প্রশাসন এমনিতে এসে কিছু করে দেবেনা।তাদের বাধ্য করতে হবে। এটা বিশেষভাবে প্রনিধানযোগ্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় এম এ আলী ভাই। শুভকামনা রইলো।

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিচক্ষণ সরকার খামাখা ঝামেলা পাকাতে চায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দরকারও আছে। এই ঘটনার মাধ্যমে সরকার সাম্প্রদায়িক হয়ে গিয়েছে ধারণা করারও দরকার নেই, তবে মাস পিপল জানবে সরকার ধর্ম বিষয়ে এখনো সচেতন আছে...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭

জেন রসি বলেছেন: সরকার ঝামেলা পাকাতে চায়না সেটা সরকারের স্বার্থ। লেখক কিংবা বুদ্ধিজীবীদের স্বার্থ না। আর এই পোস্টেই বলেছি আওয়ামীলীগ সরকারের ভেতর সব রকম গ্রুপই সক্রিয় আছে। তারা দেখে কাদের সমর্থন দিলে তারা নিরাপদ থাকবে। সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীরা যদি সারভাইভ করতে চায় তবে সরকারের উপর প্রেসার ক্রিয়েট করেই তাদের টিকে থাকতে হবে। তারা যত দুর্বল হবে সরকার তত বেশী ইসলামি সংঘটন গুলোর দিকে ঝুকে যাবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪২

কালীদাস বলেছেন: শ্রাবণ প্রকাশনী নিষিদ্ধ করার কারণটা আসলে কি? ওদের বই কি কোন পার্টিকুলার টাইপের?

প্রথম আলোর যেই লেইম কার্টুনটার জন্য রামছাগল কার্টুনিস্ট এরেস্ট হয়েছিল, সেইম কার্টুন শিবিরের এক পত্রিকায় তার বহু আগেই ছাপিয়েছিল। জামাতের জারজগুষ্টী তখন নীরব ছিল। আর শাহবাগের মুভমেন্ট নিয়ে পুরা ফাজলামিটাই করেছে মাহমুদুর রহমান, হারামীটা ব্লগার মানেই নাস্তিক স্লোগান চালু করেছে, অথচ তখন বা এখনও বিএনপির অনেক সলিড ব্লগার ছিল ব্লগে (ছাগু না বা ছাগবান্ধবও না)।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩১

জেন রসি বলেছেন: শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক বদ্বীপ প্রকাশনী বন্ধ করে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। একটা টক শোতে বাংলা একাডেমীর সমালোচনা করেছিলেন।

আলপিনের কার্টুনটা শিবিরের কিশোরকণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছিল। তখন কোন সমস্যা হয়নি।কারন ইসলামি গ্রুপগুলো চুপ ছিল। আলপিনে ছাপানোর পর তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। কারন ইসলামি গ্রুপগুলো সরব ছিল। এ থেকেই বুঝা যায় প্রশাসনকে চাপ দেওয়ার ক্ষমতা তাদের আছে।

শাহবাগের মুভমেন্ট নিয়ে বিএনপি জামাতের পেইড বুদ্ধিজীবীরা ইসলামি সংঘটন গুলোকে উসকে দেয়। যার নেতৃত্ব দেয় মাহমুদুর রহমান। তখন সরকার খুব বিপাকে পড়ে যায়। তারাও নাস্তিকদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে শুরু করে।
তবে যেসব ব্লগার চলে গেছেন তারা অনেকেই ব্যক্তিগত কারনে ব্লগ ছেড়েছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।


৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সরকার একটা প্রকাশ নী নিষিদ্ধ করে বুঝাতে চেয়েছে আমরা মেজরিটির পক্ষে আছি। মাইনোরিটির পক্ষে গিয়ে সরকার রিস্ক নিতে চায়নি। এটা সরকারের এক ধরনের পলিসি।

তবে, আমাদের খেয়াল রাখতে আমরা যারা নতুন কিছু জাহির করতে যাচ্ছি তা এই সময়ে উপযোগী কিনা? সময়ের প্রতি খেয়াল রাখা আমাদের দায়িত্ব, এই সম্পকে আনি একটি পোস্ট দিয়ে ছিলাম, লিংক; Click This Link

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০২

জেন রসি বলেছেন: এখানে নতুন কিছু জাহির করার কিছু নেই। আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় ইসলামি দলগুলোর খুব একটা প্রভাব ছিলনা। বরং প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরাই পলিটিক্যাল নেতাদের প্রভাবিত করত। আমাদের অবনতি হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

মিকাইল ইমরোজ বলেছেন:




এখানকার একাডেমীগুলে সব ক্লান্ত গর্দভ; মুলো খাওয়া ছাড়া ওগুলোর পক্ষে আর কিছু অসম্ভব।
- হুমায়ুন আজাদ

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৭

জেন রসি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নিষিদ্ধ করা মানেই মানুষের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা, যার সুযোগ সবাই নেয়।। লেখায় ভাল লাগা।।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৪

জেন রসি বলেছেন: আপনাকে ব্লগে খুব কম দেখা যায়। আশা করি ভালো আছেন।

ধন্যবান এবং শুভরাত্রি।

১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১২

সোহানী বলেছেন: অসাধারনভাবে বিশ্লেষন করেছেন সাম্প্রতিক ঘটনাবলি। শতভাগ সহমত। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে... অপশক্তির ক্ষমতাতো বেড়েই চলছে আর সাধারন মানুষ এখন কেমন যেন বোধশক্তিহীন জড় পদার্থ হয়ে যাচ্ছে। কিছু নিষিদ্ধ হলেই বা কি না হলেই বা কি তাদের কোন কিছুতে যায় আসে না। শুভবুদ্ধির জয় হোক..........

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

জেন রসি বলেছেন: এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের কিছু ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাদের মধ্যে দ্বিমত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমন কিছু সমস্যা আছে যা সবার জন্যই ক্ষতিকর। মোল্লাদের চাপ তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোরান-হাদিস সুধু তেলাওয়াত করলে সমস্যা হয় না।
কিন্তু অনুবাদ / রিভিউ করলেই বিপদ, পদে পদে প্রশ্নের উদয় হয়, বিতর্ক হয়।
হেফাজতি ও কট্টর ধর্মীয় নেতাদের সাথে একাডেমীর কর্তাদের সাম্ভাব্য সংঘাতের ভয়ে কিছু প্রকাশনীকে ব্ল্যাক লিস্ট তৈরি হয়েছিল গত বছরই।
কিন্তু ছাগল কর্মকর্তাদের এখনো বোধ হয়নি যে সময় বদলাইছে। গত এক বছরে মোল্লাদের ক্ষমতা অনেক কমে গেছে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

জেন রসি বলেছেন: সরকার সবসময় এসব মোল্লাদের ব্যাপারে সতর্ক। রাজনৈতিক কারনেই তাদের ক্ষেপাতে চায়না। বরং জমি দিয়ে, আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের খুশী রাখার চেষ্টা করে। এবং তাদের কিছু আবদার মেনে নেয়। বিনিময়ে তারা সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। এখন বাংলা একাডেমীর নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোতেও প্রসাশনের একটা প্রভাব থাকে। এখন সমস্যা হচ্ছে মোল্লাদের আবদারে যত বেশী সারা দেওয়া হবে তত বেশী তারা হস্তক্ষেপ করতে থাকবে। এভাবে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা হুমকির মুখে পড়ে যাবে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাক স্বাধীনতা শুধু ধর্মের ক্ষেত্রেই চাওয়া হয় কেন ? সেলিব্রেটি পতিতাদের কাপড় খোলাটাও একসময় খুব আলোড়ন তৈরী করে , ভালো মার্কেট পায় , ছবি হিট হয়। তারপর কাপড় খোলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কিন্তু আগের মতো আর মার্কেট পায় না। ডালভাত হয়ে যায়। তখন শুরু হয় নতুন কোনো নোংরামি। ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে খুব দ্রুতই সেলিব্রেটি হওয়া যায়, স্বপ্নের দেশের ভিসা পাওয়া যায় , সুতরাং ধর্মের বিরুদ্ধে নোংরামি এখন ট্রেন্ডস।সরকার বাধা দিলেই আব্বুদের কাছে ধর্ণা দেওয়া যায় দেশে বাক স্বাধীনতা নাই। এই ধরণের নোংরা প্রকাশনা যদি ক্ষমতাবানদের কারো নাম প্রকাশ করা হতো , তাহলে আমি নিশ্চিত বাজারে ডিমের আকাল পইড়া যাইতো। সেক্ষেত্রে বাক স্বাধীনতাও লঙ্ঘন হইতো না। সরকার সঠিক কাজটাই করেছে। সরকারকে ধন্যবাদ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

জেন রসি বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ আমার কাছে বায়াসড মনে হয়েছে। কেন মনে হয়েছে তা বলছি।

এদেশের ওয়াজ মাহফিল গুলোতে অনেক অশ্লীল কথা বলা হয়। অন্য ধর্মের প্রতি হেট স্পিচ দেওয়া হয়। এমনকি শুক্রবার মসজিদেও অনেক আক্রমণাত্মক কথা বলা হয়। তখন কি অন্য ধর্ম অবমামনার দায়ে ইমাম কিংবা মাওলানাদের গ্রেপ্তার করা হয়? নাকি সেসব বন্ধ করে দেওয়া হয়? এদেশের কোন নাস্তিক নামায পড়ার অপরাধে কার গলা কেটেছে বলতে পারবেন? কাকে তার ধর্ম পালনে বাঁধা দেওয়া হয়েছে? ধর্ম পালনের অধিকার যেমন সবার আছে, ধর্মের সমালোচনা করার অধিকারও তেমনি আছে। এখন সে সমালোচনার পদ্ধতি বা ভাষা অনেক সময় উন্নত হয়না। কিছু মাওলানা যেমন ওয়াজ মাহফিলে রাফ ভাষা ইউজ করে তেমনি কিছু নাস্তিকও ধর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে উগ্র এবং অযৌক্তিক হয়ে যায়। এবার আসেন আসল পয়েন্টে। সরকার কেন তাহলে মাওলানাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেনা। কিন্তু নাস্তিকদের জিরো টলারেন্স দেখায়? কারনটা রাজনৈতিক। এই ব্যাপারটাই আমার পোস্টে কিছুটা ব্যাখ্যা করেছি।

১৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১০

বিজন রয় বলেছেন: কেন বই এবং প্রকাশনী নিষিদ্ধ করা হচ্ছে? কাদের ভয়ে?

উত্তর খুব সোজা।

বাংলাদেশ তো এখন ধর্মীয় দেশ, তাই না?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

জেন রসি বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সরকার মোল্লাদের ভয় পায়। সে অর্থে ধর্মীয় দেশ বলা যেতেই পারে। তবে সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীরাও কিছু ব্যপারে ব্যর্থ হয়েছে।

ধন্যবাদ বিজনদা।



১৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: নাস্তিক সব আমলেই ছিল। নাস্তিক কে তো কেউ কিছু বলছে না। আমাদের দেশে নাস্তিক বলতে যাদের আমরা বুঝছি তারাতো নাস্তিক না। তারা ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী। অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে তারা কখনো বলে না। তুমি নাস্তিক , ভালো কথা। তোমার বিশ্বাস নিয়ে তুমি থাকো। কিন্তু অন্য ধর্ম নিয়ে তোমার চুলকানি কেন ? সব দেশেই কিছু বিষয় থাকে যেগুলো নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলা যায় না। তাদের কে বলুনতো ইউরোপ আমেরিকা গিয়ে হিটলারের প্রশংসা করতে ? সেই মুরোদ হবে না। মানুষের স্পর্শকাতর অনুভূতি নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলার অধিকার দেওয়া উচিত নয়। সরকার সে কাজটিই করেছে। তাই প্রশংসার যোগ্য। যদি অন্য ধর্ম নিয়ে কোনো ধর্মবেত্তা নোংরা কথা বলে এর জন্য আইন আছে। আইনের আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এই যুক্তিতে এইসব বামাতি বুদ্ধুজীবীদের বক বক স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এইটাতো ঠিকনা। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন আর তথাকথিত বাক স্বাধীনতা তো এক নয়।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

জেন রসি বলেছেন: আপনার কথা আমি বুঝেছি। আমিও পোস্টে বলেছি যে কিছু নাস্তিক অযৌক্তিক ভাবে এবং অশ্লীল ভাবে ধর্মকে আক্রমন করেছে। কিন্তু অপরদিকে অনেকেই আছে যারা যুক্তি দিয়েই ধর্মের সমালোচনা করে। যাইহোক, আমি এ পোস্টে যা বলতে চেয়েছি তা হচ্ছে সরকার মোল্লাদের প্রেসারের কারনেই এমনটা করছে। কারনটা রাজনৈতিক। যদি কেউ মিথ্যাচার করে বা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালায় তবে দেশের আইন আছে। সে আইনে আগে প্রমান করতে হবে যে অমুক ধর্ম সম্পর্কে এই সুনির্দিষ্ট মিথ্যাটা বলেছে। কিন্তু যখন মোল্লাদের জাজমেন্ট শুনে তাদের খুশী রাখার চেষ্টার জন্য কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন সেটা ভিন্ন ব্যাপার হয়ে যায়।আর এরা ওয়াজে, মসজিদে কি ভয়ংকর রকম বিদ্বেষ ছড়ায় সেটা আগেই বলেছি। তখন কিন্তু প্রশাসন চুপ থাকে। কেন চুপ থাকে? কারন ক্ষমতা দখল এবং ভোটের রাজনীতিতে এসব মোল্লাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা আছে। এখন আপনি যদি সরকারের সমর্থক হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং ভোটের রাজনীতির ব্যাপারটাই মুখ্য ভাবেন তবে আপনার মনে হতেই পারে সরকার ঠিক করেছে।
কিন্তু আমি মোল্লাতন্ত্রের যেকোন রকম প্রভাবকে ক্ষতিকর মনে করি।সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে যদি মোল্লাদের( যাদের পাকি প্রেম এবং আরব প্রেম খুব স্পষ্ট) খুশী করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় তবে সেটাকে ক্ষতিকর মনে করি।

১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সংখ্যালঘুদের প্রতি নির্যাতনে সরকার যেমন কিছুই করে না/ করতে চায় না, ঠিক তেমনই একটি পদক্ষেপ এটি। আর বাংলা একাডেমি সম্পর্কে কিছু বলার কি আছে? কেন যে তারা 'একাডেমি' শব্দটা এখনও ধরে রেখেছে সেটিই বিস্ময়ের বিষয়।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

জেন রসি বলেছেন: সংখ্যালঘুদের যদি সরকারের উপর প্রেসার ক্রিয়েট করার ক্ষমতা থাকত তবে ঠিকই তারা নজর দিত। সরকার দেখে কোন দিকে শক্তি বেশী। কোন শক্তির সাথে আঁতাত করলে তাদের কোন সমস্যা হবেনা। সম্ভবত এটাই রাজনীতি।

সমাধান একটাই। মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শক্তি গড়ে তোলা।

ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

১৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

মুক্তিযুদ্ধের সময়েও ইসলামের ছত্রছায়াতে থাকা কিছু ভন্ড মোল্লা দেশের মানুষের নৈতিক সংগ্রামের বিপক্ষে ছিলো।

আমাদের ধর্মের মানুষ এখনো ভন্ড মোল্লাদের পিছু ছাড়তে পারেনি।
গুটিকয়েক উগ্র পন্থী নাস্তিক( লোক দেখানো নাস্তিক, যাহারা গালিগালাজ এর বাহিরে কোন জ্ঞান ধারণ করে না) ও উগ্র পন্থী মোল্লা (যাহারা জ্বিহাদ এর বাহিরে কোরআনের কোন আয়াত জানেনা বা জানলেও তা উপেক্ষা করে) দেশের বারোটা বাজিয়ে রেখেছে।
এর বেশি কিছু বললাম না.... কথা বলতেও এখন মাপদিয়ে বলতে হয়! কারণ পুরো দেশেরই ডায়বেটিকস সমস্যা !!! :)

সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক !
শুভকামনা।



২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৬

জেন রসি বলেছেন: গুটিকয়েক উগ্র পন্থী নাস্তিক( লোক দেখানো নাস্তিক, যাহারা গালিগালাজ এর বাহিরে কোন জ্ঞান ধারণ করে না) ও উগ্র পন্থী মোল্লা (যাহারা জ্বিহাদ এর বাহিরে কোরআনের কোন আয়াত জানেনা বা জানলেও তা উপেক্ষা করে) দেশের বারোটা বাজিয়ে রেখেছে।

সহমত। চমৎকার বলেছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে উগ্র পন্থী মোল্লারা প্রসাশনের উপর চাপ প্রয়োগ করতে সফল হচ্ছে। এটাই বিপদজনক।

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। :)

১৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ইংরেজী নব বর্ষে রইল শুভেচ্ছা।
নতুন বছরে জীবন সুন্দর ও সাফল্যময়
হোক এ কামনাই করি ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

জেন রসি বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। :)

২০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা মোটামুটি ব্যালান্সড পোস্ট। যা বলেছেন, যুক্তি দিয়েই বলেছেন এবং তা মোটামুটি সর্বগ্রাহ্য বলেই প্রতীয়মান।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

জেন রসি বলেছেন: আমি ধর্মীয় মতবাদের আলোকে কোন কিছুকে জাজ করার বিরোধী। কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন বিষয়ে মোল্লাদের হস্তক্ষেপকে বিকাশের পথে বাঁধা মনে করি।

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

২১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: আপানার যুক্তিগুলো ভালো লেগেছে।

আমরা সবসময় এক্সট্রিম চিন্তা করি। যার ফলস্বরূপ খারাপটাই অামাদের দেখতে হয়।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ,
শুভেচ্ছা রইল

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। নতুন বছরে আরো অনেক কিছু নিয়ে গবেষনা করে আমাদের সমৃদ্ধ করুন। :)












২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৫৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: সামুতে লগইন করলাম আর রসি ভাইয়ের পোষ্টে কমেন্ট করলাম না, এতে আমার গুনাহ হবে তাই বাধ্য হয়ে হাজিরা দিয়ে গেলাম।
ভাল আছেন নিশ্চই? :) সামুর সবাইকে খুব মিস করছি। :(

যাবার আগে একটা কথা বলে যাই, ধর্ম বা ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে বেশি কিছু লিখে লাভ নেই উল্টো নিজের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের দেশে ধর্মের শেকর অনেক গভীরে প্রোথিত রয়েছে এই দেশে অন্তত আরও পাঁচ শত বছর ধর্ম রাজত্ব করবে সূতরাং আপদত ধর্মান্ধদের সাথে সন্ধি করা ছাড়া উপায় নেই। ধর্ম নামক ভূত খুব সাহসাই এই জাতির ঘার থেকে নামছে না ফর শিউর।
চিরন্তন শুভ কামনা রইল। !:#P

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭

জেন রসি বলেছেন: নির্বাসন নাকি বড় কিছুর প্রস্তুতি? অনেক দিন ধরে নিশ্চুপ আছেন। আপনার কমেন্ট দেখে ভালো লাগছে। আশা করি ভালো আছেন এবং নিরাপদে আছেন। :)

ধর্ম বা ধর্মান্ধদের নিয়ে যৌক্তিক সমালোচনার অবশ্যই দরকার আছে। তবে সেটা যেন অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীও না হয় সেটা দেখতে হবে। ধর্মের সাথে রাজনীতি সবসময় মিশে ছিল। এখনও আছে। তাই সেটাও ভালো ভাবে বুঝার দরকার আছে।

আর কৌশল কি হবে সেটা এখানে না বলি! হাহাহাআহাহাহা ;)

২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

নীলপরি বলেছেন: নাস্তিকরাও তর্ক কিংবা আলোচনার বদলে বিশ্বাসীদের উপর অযৌক্তিক ব্যাক্তি আক্রমন চালাতে থাকে। অথচ দুপক্ষের একে অপরের শত্রু হওয়ার কোন প্রয়োজন ছিলনা ।.......

সহমত আপনার সাথে । খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি আপু। :)

২৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোটামুটি ভালো পর্যবেক্ষণ; আওয়ামী লীগ সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক না, ওরা বিশাল ডান; ঐ দলে মতিয়া, মেনন, লেনিন, নাহিদ থাকলে কিছু আসে যায় না; মতিয়া-মেননরা ছাত্র ইুনিয়নে ছিল, কারণ ছাত্রলীগে জায়গা কম ছিলো; ছাত্র ইউনিয়নে নেতৃত্ব না পেলে উনারা ইসলামী ছাত্র সংঘেও নেতা হওয়ার চেস্টা করতেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

জেন রসি বলেছেন: আমার মনে হয় হিউম্যান সাইকোলজি আপনি যেমনটা ভাবেন তারচেয়ে কিছুটা কমপ্লেক্স। হয়ত এটাই আপনার পর্যবেক্ষণকে দুর্বল করে ফেলে।

২৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

"লেখক বলেছেন: আমার মনে হয় হিউম্যান সাইকোলজি আপনি যেমনটা ভাবেন তারচেয়ে কিছুটা কমপ্লেক্স। হয়ত এটাই আপনার পর্যবেক্ষণকে দুর্বল করে ফেলে। "

-আমি হিউম্যান সাইকোলোজীর কথা বলছি না, আমি মনে করি আপনি বাংগাী সাইকোলোজীর মানুষ; আমি বাংগালী সাইকোলোজীর কথা বলছি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

জেন রসি বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা...সে যাইহোক, আমি কিংবা আপনি, আমরা দুজনই মানুষ! এ ব্যাপারে আশা করি কোন দ্বিমত নেই! :P

২৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার হাইস্কুলবেলার কথা বলি, এলাকার মানুষ বুড়ো, জোয়ান, বিজ্ঞ অভিজ্ঞ সবার সাথে- নাস্তিকতা সংক্রান্ত যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটা হলো, জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে মানুষ একসময় নাস্তিক হয়ে যায়! এটাকে স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবেই মনে করতো তারা।

অদ্ভুত ব্যাপার হলো, আমাদের এলাকায়ও যারা নাস্তিক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন, তাদেরকে সবাই-ই শ্রদ্ধা করতো, ভালবাসতো। আজও তাদের একই মনোভাব তাদের ব্যাপারে!

আসলে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই সহনশীল ও ধর্মীয়ভাবে উগ্র না। তাদের নিয়ে একটা খেলা হচ্ছে। উগ্রতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে খেলার এক প্রান্ত থেকে, আরেক প্রান্ত থেকে সেটা নিয়ে ঝালাই মালাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে, আর উভয় দিক থেকেই উৎপাদন শুষে নেওয়া হচ্ছে!! :| :|

আরেকটা ব্যাপার হলো ফেসবুক, এখানে অনেকেই এমন বেশি আক্রমনাত্বক থাকে যে, বাস্তবে তারা ছুঁচোর চেয়েও নিকৃষ্ট! আর তাই প্রাবল্যটা অনেক বেশি অনুভূত হয়!!

বাংলা একাডেমির ব্যাপারটা নিয়ে আপাতত কিছু বলছি না। ;)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০১

জেন রসি বলেছেন: আপনার মন্তব্যের দুটো মূল পয়েন্ট হচ্ছে,

১। এদেশের মানুষ ধর্মীয় ভাবে উগ্র না।
২। তাদের নিয়ে কেউ খেলছে।

আসলে ধর্ম বলুন আর আধুনিক সামাজিক প্রথার কথাই বলুন, সবটাই মানুষের সৃষ্টি। মানুষের কাল্পনিক যুক্তি থেকেই এসব সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেখার বিষয় হচ্ছে কোনটা প্রয়োজনীয় এবং কোনটা অপ্রয়োজনীয়। আর যে খেলার কথা বলছেন তার উৎস বা সুপ্রিম প্লেয়াররা কেউ আমাদের দেশের না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.