নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতের দাবীর মুখে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ভাস্কর্য সরানো নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা......

২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭



বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গনে রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক লেডি জাস্টিসের আদলে একটি ভাস্কর্য স্পাপন করা হয়েছিল। ভাস্কর্যটির শিল্পী মৃণাল হক। কাল রাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়। সরিয়ে ফেলার কারন হেফাজত এবং কিছু ইসলামী সংঘটনের প্রবল আপত্তি। তারা সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করছিল। এবং ভাস্কর্য না সরালে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এমন হুমকি দিয়ে আসছিল।সরকার অবশেষে তাদের দাবী মেনে নিয়েছে।

ইসলামী সংঘটনগুলোর দাবী কতটা যৌক্তিক বা ছহি

এই বিতর্কে যাওয়ার আগে কিছু ব্যাপার খুব ক্লিয়ারলি বুঝতে হবে। সংঘটনগুলোর নেতারা একটা নির্দিষ্ট ধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে ভাস্কর্য সরানোর দাবী তুলেছেন। তাদের কাছে এটা কালচারাল সংঘাত নয়। বা ভাস্কর্যটি শিল্পের বিচারে কেমন হলো এটাও মুখ্য ব্যাপার নয়। অর্থাৎ তাদের কাছে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসটাই মুখ্য এবং সে বিশ্বাসটা তারা রাষ্ট্রের উপর আরোপ করতে চেয়েছে। অনেকে আবার ইসলাম দিয়েই তাদের কাউন্টার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।কিন্তু এভাবে একটা নির্দিষ্ট ধর্মের টেক্সট দিয়ে, বিশ্বাস দিয়ে এই ইস্যুতে বিতর্ক করার কিছু ত্রুটি আছে। প্রথম ত্রুটি হচ্ছে ইসলামে এমন কিছু রেফারেন্স আছে যা তাদের দাবীর পক্ষে যায়। আবার এমন কিছু রেফারেন্স আছে যা যায়না। সুতরাং একটা নির্দিষ্ট ধর্মের ন্যারেটিভের আলোকে ভাবলে এই সমস্যাটা শুধুমাত্র বিশ্বাসের সংঘাত ছাড়া আর কিছুই হবেনা।

কিন্তু যদি ব্যাপারটাকে এভাবে দেখা হয় যে রাষ্ট্র এবং ধর্ম একে অপরের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারেকিনা বা দুটো পৃথক থাকা যৌক্তিক কিনা তবে পক্ষে বিপক্ষে বিতর্কের একটা ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।এবং হেফাজতের দাবী কতটা ক্ষতিকর সেটা নিয়ে আলাপ করা যেতে পারে।

ধর্মীয় বিশ্বাস খুবই ব্যাক্তিগত একটা ব্যাপার। একই ধর্মে বিশ্বাসী হলেও মানুষে মানুষে বিশ্বাসের তারতম্য ঘটে। ভিন্ন ধর্মের কথা বাদ দিলাম। এখন কার বিশ্বাস ঠিক এই প্রশ্নের মোকাবিলা করা অসম্ভব। কারন প্রমানের বদলে এখানে বিশ্বাসটাই মুখ্য এবং সেখান থেকেই জন্ম নেয় প্রবল অন্ধবিশ্বাসের। আর এই অন্ধবিশ্বাসগুলোকে কেন্দ্র করেই আমরা যুগের পর যুগ দেখে এসেছি ধর্মযুদ্ধের নামে একের পর এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ।আর এসব কিছুর সমাধানও বিভিন্ন যুগের চিন্তানায়কেরা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। যার একটা আউটকাম আমরা বলতে পারি আধুনিক সেক্যুলার রাষ্ট্রের কনসেপ্ট। যেখানে ধর্ম এবং রাষ্ট্র পৃথক অবস্থানে থাকবে। তা না হলে সংঘাত অনিবার্য। একটা উদাহরন দেই। ভারতের কিছু রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং গরু খাওয়ার অপরাধে মুসলিমদের হত্যাও করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা অনেকেই করেছে। কিন্তু এদেশের যেসব মুসলিম বিশ্বাসী মানুষ মনে করে যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মবিশ্বাসীদের বিশ্বাসের আলোকে রাষ্ট্র চলবে তারা কি এই নির্যাতন মেনে নেবেন? তাদের লজিক কিন্তু তাই বলে। ভারত যদি হিন্দুধর্মের আইন অনুযায়ী চলে আর সে আইনের কারনে যদি মুসলিমরা নির্যাতিত হয় তবে মুসলিমরা কি সেটা মেনে নেবে? নেবেনা। এটাই হচ্ছে ধর্মীয় সংঘাতের সমস্যা যা রাষ্ট্রের উপর আরোপ করা হলে আসলে যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন সমাধান নেই। কারন এক ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের বিশ্বাসের মিল নেই। আবার এক ধর্মের ভেতর আছে নানা রকমের বিশ্বাস এবং চর্চা। এখন কার বিশ্বাস ঠিক? রাষ্ট্র কার বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেবে? এই সমস্যার একটাই সমাধান। সেটা হচ্ছে ধর্ম এবং রাষ্ট্র একই নীতিতে চলতে পারবেনা। রাষ্ট্র কোন নির্দিষ্ট ধর্মের নিয়ম কানুন নিজের উপর আরোপ করে বায়াসড হতে পারবেনা। এই পয়েন্ট অব ভিউ থেকে যদি ভাবা হয় তবে হেফাজতের ভাস্কর্য সরানোর দাবী অযৌক্তিক এবং ক্ষতিকর।

ধর্ম নিয়ে পলিটিক্যাল গেম

এটা নিয়ে অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু এ পোস্টে শুধু কিছু প্রাসঙ্গিক ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করব।

এ দেশের প্রধান দুটো দল আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি গত কয়েক দশক ধরে দেশের ক্ষমতায় আছে। তারাই কখনো সরকারে আবার কখনো বিরোধীদলে আছে এবং ছিল। এবং দু দলের পলিসি মেকাররাই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেছে। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করেছে। এ বিষয়ে আমার দিক থেকে সরাসরি আলোচনা করাই ভালো। যেহেতু আমি কোন রাজনৈতিক দল করিনা বা আমার কোন রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নাই তাই এ ব্যাপারে ডিপ্লোম্যাটিক হওয়ারও কোন যৌক্তিক কারন নেই। প্রথমত রাজনীতি আবেগ দিয়ে চলেনা। রাজনীতিতে চাল পাল্টা চালটাই মুখ্য।এই চাল গুলো কখনো কারো ইচ্ছার সাথে মিলে যায়, আবার কারো ইচ্ছার সাথে মিলেনা। আওয়ামীলীগের আদর্শের অনুসারী আমিনা। তারপরও আওয়ামীলীগকে আমি ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছিলাম। তার কিছু কারনের মধ্যে অন্যতম একটা কারন ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। এই বিচার যেহেতু আমাদের প্রজন্মের অনেকেই চেয়েছিল তাই এটা একটা কালেক্তিভ ডিমান্ডে পরিনত হয়েছিল। এখন প্রশ্ন করা যেতে পারে আওয়ামীলীগের সাথে জামাতের বিভিন্ন সময় আঁতাতের খবর কি আমরা জানতাম না? অবশ্যই জানতাম। আমরা অনেকেই জানতাম। জানতাম বলেই আমরা এই এনালাইসিস করেছিলাম যে জামাতের সাথে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক কেমন আর বিএনপির কেমন। সেটা খুব কঠিন কোন কাজ ছিলনা। কিছুটা রাজনৈতিক বুদ্ধি থাকলেই যে কেউ বুঝে যাবে আওয়ামীলীগ একটা নিরাপদ দুরুত্ত রেখেই জামাতকে দাবার গুটির মত ব্যাবহার করতে চেয়েছে। জামাতের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা কখনো তুলে দেয়নি। তাদের পলিসি ছিল দরকার হলে তারা জামাতকে ধ্বংস করতেও প্রস্তুত। অপরদিকে বিএনপি শুধু জামাতের সাথে জোটই করেনি, তাদের শীর্ষ নেতা যারা শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী তাদের মন্ত্রী বানিয়েছে। এমনকি কলেজ ইউনিগুলো পর্যন্ত শিবিরের দখলে চলে গিয়েছিল। আমরা বুঝেছিলাম বিএনপি ক্ষমতা থাকা মানেই জামাত আরো শক্তিশালী হওয়া। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেরত প্রশ্নই আসেনা। আমাদের হাতে অপশন ছিল দুটো। আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি। কিন্তু বিএনপির তখন জামাতের সাথে দহরম মহরম। তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করলেও বিচার আদায় করা যাবেনা। অপরদিকে আওয়ামীলীগ। যাদের জন্য জামাত প্রয়োজনীয় না। এদের উপর চাপ প্রয়োগ করার সুযোগ আছে। তাছাড়া তারা বলেছে ক্ষমতায় আসলে বিচার করবে। এবং এখন দেখা যাচ্ছে আমরা ঠিকই ছিলাম। বিচার শুরু হওয়ার পরও যখন সরকার জামাতকে নিয়ে নির্বাচনের আগে দাবা খেলার পরিকল্পনা করছিল ঠিক তখনই শাহবাগের জন্ম। এবং চাপ প্রয়োগে আমরা সফল হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশী শক্ত লবিংকেও উপেক্ষা করে বিচার চালিয়ে যেতে যে ভূমিকা রেখেছেন তা প্রশংসনীয়। বিচার চাওয়ায় বেগম খালেদা জিয়া আমাদেরকে তখন নষ্ট তরুন বলেছিলেন। এবং ফলাফলই প্রমান করে জামাত এবং যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে আওয়ামীলীগের উপর বিশ্বাস রেখে আমরা ভুল করিনি। আবার এমন অনেক ইস্যু আছে যেখানে আওয়ামীলীগের উপর বিশ্বাস রাখা ভুল হয়েছে।যা কাল মাঝরাতে প্রমানিত হয়েছে।

হেফাজতকে ট্রাম কার্ড হিসাবে প্রথম ব্যাবহার করেছে বিএনপি। এখন আওয়ামীলীগ ওভার ট্রাম করেছে। খুবই বিপদজনক খেলা। আওয়ামীলীগ এখন প্রবল ভাবেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে নিমগ্ন হয়ে আছে। আর এখানে আওয়ামীলীগের উপর চাপ প্রয়োগ করতে সেকুলার এবং প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামীলীগ ডান বাম দুদিকে যেতেই প্রস্তুত।যারা টান দিতে পারবে আওয়ামীলীগ সেদিকেই যাবে।

পরিশেষে

ধর্মকে সব যুগেই শাসকগোষ্ঠী তাদের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ইউটিলাইজ করেছে। সিআইএ এর আর্থিক সহযোগিতা এবং ট্রেনিং এর মাধ্যমে তালেবানরা কিভাবে একসময় শক্তিশালী হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি। আমাদের দেশেও সুপরিকল্পিত ভাবে সেই ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এখন ভেবে দেখতে হবে তারা কেন সফল হচ্ছে। তারা কিন্তু অযৌক্তিক ধর্মবিশ্বাসকেই কাজে লাগাচ্ছে। তারা বাংলাদেশ, পাকিস্থান, আফগানিস্থান এবং মধ্যপ্রাচ্যে যে ধরনের ষড়যন্ত্র করতে সক্ষম হচ্ছে তা কিন্তু অন্য কোথাও পারবেনা। কারন সেসব জায়গায় অন্ধবিশ্বাসি মানুষ কম। আমরা প্রায়ই বলে থাকি আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু। তাই তাদের বিশ্বাসে আঘাত করা ঠিক না। কিন্তু এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যদি মনে করি তাদের অনেক বিশ্বাস ভ্রান্ত তবে মানব সভ্যতার ভালোর জন্য সেটাই কি আমাদের করা প্রয়োজন নয়? যখন বলা হয়েছিল পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে তখন অনেক সাধারন মানুষ যারা খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী তাদের মনেও আঘাত লেগেছিল। কিন্তু তা বলেত অনুসন্ধান বন্ধ করে রাখা যাবেনা। তেমন হলেত সভ্যতার বিবর্তনই বন্ধ হয়ে যেত। তাই অন্ধ ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে সরে এসে যৌক্তিক ভাবে চিন্তা করতে শিখলে সাম্রাজ্যবাদী মহলও ধর্মের নামে যা ইচ্ছা তা করে ফেলতে পারবেনা। তাই মুক্তচিন্তার চর্চা করতে হবে বলে মনে করি।

সমাজের মধ্যে অনেক কিছুই দ্বান্দ্বিক অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। যেমন কোন মতবাদকে কেন্দ্র করে কোন সমাজ কাঠামো গড়ে উঠলে সেই মতবাদের বিপরীত মতবাদও বিদ্যমান থাকে। কিন্তু তখন যাচাই বাছাই করে দেখতে হয় আমরা যা চর্চা করছি তা আসলেই একমাত্র যৌক্তিক পথ নাকি তার চেয়েও উন্নত কোন রাস্তা আছে আমাদের হাঁটার জন্য। উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষা থেকেই সমাজ বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, বিবর্তিত হয়েছে। পরিবর্তন কখনো থেমে থাকে না কারন পরম সত্য বলে কোন ব্যাপার নেই। বরং পরম সত্য ভেবে অতীতের বদ্ধমূল ধারনা নিইয়ে বসে থাকাটাই সামাজিক বিকাশ কিংবা মানুষের আত্মবিকাশের পথে বাঁধার সৃষ্টি করে।

ছবিঃbdnews24com

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখায় লজিক আছে।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সাওরন বলেছেন: বামেদের এই ব্যামো কবে সারবে ? মূর্তি,নাচা,গানা,হোলি,রং মেখে সং সাজা বাঙ্গালিপনা, আবার মুসলিম আচার, কৃষ্টি মধ্যযুগীয় বর্বরতা। সরকার এবার কষে এদের কানের ওপর চটকান দিয়েছে।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:১০

জেন রসি বলেছেন: পোস্টে কি বলা হয়েছে সেটা বোধহয় বুঝেন নাই। তাই আর আলোচনায় গেলাম না।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২২

সুমন কর বলেছেন: ........!!!!

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:১১

জেন রসি বলেছেন: .......???

৪| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

কানিজ রিনা বলেছেন: রাজনীতি বুঝিনা তবে কেন জানি মনে হচ্ছে
তেতুই সফি মোল্লা সুঁই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে
বের হবে। একথা সত্য ৯০ ভাগ মুসলিম ৬০
ভাগই সচেতন। আর সব গোড়া। এই ৬০ ভাগ
সরকারের ডাকে নিশ্চয় সারা দেবে।

আর যে মুর্তি নিয়ে গ্রীক মুর্তি বলে প্রশ্নবিদ্ধ।
সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নওয়াই শ্রেয়। ধন্যবাদ

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:১৬

জেন রসি বলেছেন: ধর্ম পালন নিয়ে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে রাষ্ট্রের উপর ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া। গ্রীক মূর্তি কিসের আলোকে প্রশ্নবিদ্ধ? ধর্মমতে? কোন ধর্ম? ইসলাম? এখানেই সমস্যা। একটা নির্দিষ্ট ধর্মের নিয়মনীতির আলোকে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিলে সেটা চরম সাম্প্রদায়িক আচরন হয়।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০৩

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: ধর্ম নিয়ে পলিটিক্যাল গেম খেলা হচ্ছে অনেক আগ থেকেই।তা আজ পর্যন্ত বন্ধ হয় নি।আপনার কথা অনুসারে তালেবান যেভাবে আস্কারা পেয়ে আজ এত শক্তিশালী হয়েছে,বাংলাদেশেও এমন হতে পারে এই বক্তব্যের সাথে একমত।তবে,কথা হচ্ছে এক দল ধর্ম নিয়ে পলিটিক্যাল গেম খেলছে,অন্য দিকে কেউ হয়ত গাঁয়ে মানে না,আপনি মোড়ল টাইপের রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ এমন একটি পোষ্টের জন্য।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২০

জেন রসি বলেছেন: ক্ষমতাসীনদের আস্কারা বা প্রশ্রয় ছাড়া মৌলবাদ কখনো উঠে দাড়াতে পারেনা। আস্কারা পাচ্ছে বলেই তারা সক্রিয়।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা শেখ হাসিনার আগের ভাবনা ও পদক্ষেপগুলোর সাথে মিল নেই; এখানে কিছুটা ঘোলাটে এলাকা।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০৪

জেন রসি বলেছেন: সামনে নির্বাচন আসছে। বুঝতে হবে। ;)

৭| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: এই মূর্তী সরানোটা আমার একদমই পছন্দ হয়নি! :(

শিল্পী মৃনাল হকের কান্নাটা ভুলতে পারছি না।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

জেন রসি বলেছেন: সরকার সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়েছে। সামনে নির্বাচন। ;)

৮| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এবার নির্বাচণে জিততে হবে তাই এই কৌশল। ভোট কেমন হবে কে জানে ? এবার আমাদের গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যা হয়েছে নাটকও ফেল । তবে প্রধান মন্ত্রী ৯৬ এর মত বোরখা পড়লেও লাভ হবে না বোধ হয় । মোদী দাদা ভরসা । আর একটা জঙ্গি ইস্যু দাড় করাতে পারলে তার জন্য মন্দ হবে না ।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

জেন রসি বলেছেন: নির্বাচনে জেতার কৌশল সেটা বেশ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। তবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠীর সাথে হাত মিলানোর পরিনতি ভয়াবহ হবে।

৯| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৬

সাওরন বলেছেন: মূর্তিফুর্তি কোন সমস্যা নয়, ছিচকাঁদুনেওয়ালারা তাদের মাবোনের শত শত মূর্তিকে প্রতিবছর বিসর্জন দেয়। চুলকানি ইসলাম নিয়ে, কিন্তু বদমাশদের দূরাশা পূরণ হওয়ার নয়, বর্তমান সরকার ইসলামের প্রতিপক্ষ নয়, মাননীয় প্রধানমণ্ত্রীও জনগণের আশাআকাঙ্ক্ষার সাথে আছেন।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

জেন রসি বলেছেন: আপনার নিজেরই যে কিছু ব্যাপার নিয়ে বেশ চুলকানি আছে সেটা আপনার মন্তব্য দেখেই বুঝা যাচ্ছে। ;) সরকার ধর্মের পক্ষ কিংবা প্রতিপক্ষ হবে নাকি ধর্মনিরপেক্ষ হবে সেটাই এ পোস্টের আলাপের বিষয়। কোন নির্দিষ্ট ধর্মের মতবাদের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা মানে সাম্প্রদিক শাসকগোষ্ঠীতে পরিনত হওয়া।

১০| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৯

সৈয়দ ওয়াহেদ৯০ বলেছেন: সামনে নির্বাচন,অপেক্ষা করুন ।অনেক কিছুই দেখবেন

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫১

জেন রসি বলেছেন: অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আমজনতাদের আর কি করার আছে? আমরা অপ্রক্ষা করি। দেখি। আবার অপেক্ষা করি। ;)

১১| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: সুপ্রিম কোট শুরুতেই কি এটি এখানে ছিল। যদি না থেকে তাহলে কি প্রয়োজনে এটা এখানে আনা হল।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

জেন রসি বলেছেন: সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বিতর্ক হতে পারে। ভাস্কর্যের শিল্পগুন নিয়েও আলোচনা সমালোচনা হতে পারে। মানে কালচারাল ডিবেট। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে সেটা করা যাবেনা। কারন ধর্ম পরম সত্যের যে কনসেপ্ট দেয় সেটা একেক জনের কাছে একেক রকম। সেখানে যুক্তির চেয়ে বেশী থাকে অন্ধ বিশ্বাস। তাই ধর্ম যারযার পারসোনাল চর্চার বিষয়।

১২| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

খরতাপ বলেছেন: শাহবাগের মাধ্যমে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল - একদম প্রথম শ্রেণীর নির্বোধরাই এরকম চিন্তা করতে পারে। শাহবাগ সে সরকারেরই খেলার একটা অংশ - এটা বুঝতে মানুষের বেশি সময় লাগেনি। পুলিশ, মেটাল ডিটেক্টর, সিসি ক্যামেরা আর বিটিআরসির অনলাইন তদারকি - এগুলোর সাহায্য নিয়ে কেঊ আন্দোলন করে সরকারকে কোন দাবি আদায়ে বাধ্য করেছে - এরকমটা মানব্জাতির ইতিহাসে কোনদিন ঘটেনি।

২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:২০

জেন রসি বলেছেন: শাহবাগে একশো দুইশো মানুষ থাকলে সরকার ফিরেও তাকাত না। বরং উঠিয়ে দিত। লক্ষ লক্ষ সাধারন মানুষদের ঢল দেখেই সরকার শাহবাগকে গুরত্ব দেয়। এবং সেখানে অধিকাংশ আওয়ামী সমর্থকরাই ছিল যারা জামাত এবং যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সরকারের আপোষে যাওয়ার লক্ষনটা মেনে নিতে পারেনি। আর এই আন্দোলন যখন সরকারের উপর একটা বিশাল প্রেসার ক্রিয়েট করতে সফল হয়েছিল তখন সরকারও তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু কেন জানিয়েছিল বা জানাতে বাধ্য হয়েছিল সেটা বুঝতে হবে। দলীয় ন্যারেটিভ থেকে বের হয়ে ভবতে থাকুন। নিজেই বুঝে যাবেন।

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন । একটা রেফারেন্ডাম এর ব্যবস্থা করতে পারতো , বেশিভাগ জনতার মতামত চেয়ে । যদিও বর্বর তেঁতুলরা এসবে বিশ্বাসী না । তাছাড়া ফেয়ার ভোট যে হবে , তারও কোন গ্যারান্টি নেই । আর পলিটিশিয়ানরা তাদের ভোটের ধান্দায় সব কিছুই করে থাকেন । তাদের কাছে ভোটই আসল ।

দেশটা আসলে কোন বিশ্বাসে চলে - এটা মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না। গণতান্ত্রিক হলে অবশ্যই প্রকৃত ভোটাভুটির কথা মাথায় থাকতো। গণতান্ত্রিক নয় বলেই এক চেটিয়া ইচ্ছা সমগ্র জাতির উপর চাপিয়ে দেয়া হয় ।

আমার অবশ্য তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই , ভাস্কর্য থাকলেই কি আর না থাকলেই কি । মানুষ ন্যায়বিচার পেলেই হলো। ভাবছি , কোনদিন ব্রিটিশদের যে ল গুলো চালু আছে সেগুলো বাতিল করে সারিয়া ল চালু হয়ে যায় বাংলাদেশে!! :)

২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:২০

জেন রসি বলেছেন: এখানে একটা ব্যাপার বুঝতে হবে। ইসলামী সংঘটনগুলোর ভাস্কর্য সরানোর মূল ভিত্তি কি? সেটা হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা? নিলে বিপদটা কি? যদি এটাকে সমর্থন করা হয় তবে বিপদ আছে। তবে ভারতে গোহত্যা নিষিদ্ধ করাকেও সমর্থন করতে হবে। খ্রীষ্টান উগ্রপন্থীদের দাবীও সমর্থন করতে হবে। কারন সবাই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই দাবী করে। এবং সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস মানেই পরম সত্যে বিশ্বাস। এখানে একের বিশ্বাসের সাথে অপরের বিশ্বাসের সংঘর্ষ অনিবার্য যদি একে উপরের উপর কিছু আরোপ করতে চায়। ফলাফল ক্রুসেড যার ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। এবং এ সমস্যার একটা সমাধান হচ্ছে সেক্যুলার রাষ্ট্র বা বিশ্বব্যবস্থার কনসেপ্ট। অর্থাৎ রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। যে যার মত ধর্ম পালন করবে তবে সেটা আরোপ করা যাবেনা।

ভাষ্কর্য সরানো যেতেই পারে। তবে সেটা হতে হবে কালচারাল ডিবেটের মাধ্যমে। বা অন্য পার্থিব কারনে। কিন্তু ধর্মীয় মতবাদের আলোকে না।

১৪| ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ধর্ম পালন নিয়ে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে রাষ্ট্রের উপর ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া।

লোজিক ভালো লেগেছে।
চাপিয়ে দেওয়া ইস্যু সরকার মেনে নেওয়াতে দেশ আরও পিছিয়ে পড়বে, কুসংস্কার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০০

জেন রসি বলেছেন: যার যার ধর্ম সে পালন করুক। সে অধিকার সবার আছে। কিন্তু সেটা আরোপ করা যাবেনা অন্যের উপর। করলে কি ফল হয় তা আমরা অতীতে দেখেছি।

১৫| ২৭ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে, হেফাজত শেখ হাসিনার কাছে বাচ্চাদের মতো একটা মোয়া চেয়েছে

২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৪

জেন রসি বলেছেন: কয়দিন পর পারমাণবিক বোমার আবদারও করতে পারে। ;)

১৬| ২৭ শে মে, ২০১৭ ভোর ৬:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে উপর লিখেছেন ।
বিষয়টি নিয়ে দুই দিকে বিতর্ক , একদিকে শিল্প চর্চা আর দিকে ধর্মচর্চা । দুটো দিকই গুরুত্বপুর্ণ ।
বিষয়টি ধর্মপেক্ষ না নিরপেক্ষ সে বিষয়টা লেখার শেষের দিকে বলব ।
এখন বিষয়টার শিল্পের দিকটা যথা ভাস্কর্যটির মুল স্বরূপটি ও সময়ের পরিক্রমায় একে নিয়ে মিথ , রূপকথা , উপকথা ও থেমেসিস দেবীর আদালতের সামনে বিচারের প্রতিক ভাস্কর্য হিসাবে স্থাপন হতে শুরু করে নীজেই মুর্তী হিসাবে এদেশের গনমানুষের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়নো পর্যন্ত বিষয়াবলী দেখা যাক চিত্রের সাহায্যে ।

১) থেমেসিসের আদিম ভাস্কর্যটির চিত্র দেখতে পাওয়া যায় এথেন্সের আর্কিউলজি মিউজিয়ামে যা দেখতে নিন্মরূপ
Themis. 300 BC. Found in Rhamnonte, at the temple of Nemesis. National Archaeological Museum of Athens

২) বিবর্তনের ধারায় Themis, Greek Goddess of Divine Order

৩) জাপানের চাউ ইউনিভসইটির সন্মুখে থেমেসিস (Chao university Japan)

৪) Themis, Chuo University Suginami high school, Suginami-ku, Japan

৫) Statue of Themis, outside the former Law Courts, George Street, Brisbane, Queensland, Australia

নির্ভরযোগ্য সুত্র হতে প্রাপ্ত উপরে দেখানো চিত্রে থেমেসিসের ভাস্কর্যে দেখা যায় যুগে যুগে দেশে দেশে থেমেসিসের ভাস্কর্য কিংবা মুর্তীটি মুলত দেখতে কেমন ছিল ।

গ্রীক দেবী থেমেসিসকে নিয়ে যুগে যুগে দেশে দেশে রূপকথা ও মিথের কোন শেষ নেই, ইন্টানেটে খুঁচা দিলেই দেখা যায় তা । আর থেমেসিসকে নিয়ে মিথ ও রূপ কথার উপরে ভিত্তি করে অনেকেই লিখেছেন গল্প গাথা ও এঁকেছেন তাকে নিয়ে অনেক ছবি, সেগুলির অনেকগুলিই গিয়ে ঠাই পেয়েছে গুগলের ইমেজের পাতায় ।

কিস্তু থেমেসিসকে যারা তাদের বিচারালয়ের আঙ্গিনায় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে ভাস্কর্য হিসাবে স্থাপন করেছেন (যথা জাপান ও অস্ট্রেলিয়া ) তারা একে ভালভাবেই স্টাডি করে নিয়েছেন প্রথমেই , তাইতো তাদের ভাস্কর্যে দেখা যায় আদি থেমিসিসের রূপটি প্রাধান্য পেয়েছে বেশী করে । থেমেসিসকে কোথাও চোখ বাধাই করে দেখানো হয়নি, চোখ দুটি তার খোলাই রাখা হয়েছে । বিচারক চোখ বন্ধ রেখে ন্যয় বিচার করবেন কি ভাবে তা মাথায় ঢুকেনা , তাকে নাক কান খোলা রেখেইতো জানি বিচারকার্য করতে হয়!!!! চোখ বন্ধ করে বিচার করলে তাঁর আদালতে বসার দরকার কি!!! , খানিকক্ষন চোখ বন্ধ করে বাদী বিবাদি পক্ষের যুক্তি তর্ককে নিত্তিতে ফেলে তার আর্দালীকে জিজ্ঞেস করতে পারেন নিত্তি কোন দিকে ঝুকসে বেশী , বেশ কাজ খালাস , আর কি !!! হয়ে গেল ন্যয় বিচার , আসলে ঘটনা তাই কি !!! অন্য রকম ভাবনাও থাকতে পারে এর পিছনে , সুযোগ পেয়ে একটু ফান করলাম এই আরকি ।

উপরের দেয়া চিত্র কটির সাথে এবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সন্মুখে স্থাপিত থেমেসিসের ভাস্কর্যটি দেখা যাক একটু নজর করে । মুল থেমেসিসের সাথে এর কি আদৌ কোন মিল রয়েছে , শিল্প বোদ্ধারাই তা বলতে পারবেন ভাল করে , তবে এর মিল কিছু দেখা যায় অথেনটিক সুত্র বিহীণ গুগল ইমেজের সাথে । এটা আসল না নকল যায়না বুঝা সঠিক করে , তবে এর নামটি কেন থেমেসিস রাখা হল তা দেখে কিছুটা অবাকই হতে হয় । শিল্পির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি তিনি যেমনটি তাকে গড়েছেন নীজের মনোজগতের চিন্তাভাবনা হতে বাংগালীপনা সাজে, তেমনি তার যুতসই একটি দেশী নাম দিতে পারতেন তার মনের মত করে। যাহোক শিল্পীর রয়েছে স্বাধিনতা তিনি তার শিল্প কর্মকে কি নামে ডাকবেন , তবে দর্শক বিচার করবে থেমেসিসের স্বরূপ ও সত্যিকার ইতিহাস দেখে ।

৬ ) বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সন্মুখে স্থাপিত থেমেসিসের ভাস্কর্য ।

শিল্পী তার মনের মত করে কষ্ট করে গড়েছেন একে , তাঁর কোন দুষ দেখিনা তবে দুচারটি কথা বলতে হয় এটা গড়ার আগে নিশ্চয়ই এর প্রাথমিক ডিজাইনের উপরে বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুমোদন নিতে হয়েছে । এখন প্রশ্ন উঠে খোদ কমিটিকে নিয়েই, এমন গুরুত্বপুর্ণ একটি ভাস্কর্য নিয়ে তারা কতটুকু গভীরে গিয়েছেন , একে গ্রহনযোগ্যভাবে কোথায় কিভাবে গড়া হয়েছে সে সাথে থেমেসিসের কালক্রমিক ইতিহাসটাও তাদের দেখা উচিত ছিল ভাল করে , তাহলে ভাস্কর্যটা হতে পারত আরো সুন্দর ও শিল্প সুসমা মন্ডিত ।
যাহোক বর্তমান পর্যায়ে এটা থেমেসিসের নামে গড়া ভাস্কর্য হিসাবে কতটুকু স্বিকৃতি পাবে তা শিল্পাচার্যগণই বিচার করুন ভাল করে ।

এবার আস যাক ধর্মপেক্ষ আর নিরপেক্ষ আলোচনা পর্যায়ে । এ বিতর্কটা চলে আসে আলোচনাতে যখন কোন বিষয় একটি দেশের গনমানুষের নীজ নীজ ধর্ম বিশ্বাসের মুলে নারা দেয়। একই বিষয়ে কেও বলেন এটা তার ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত হানেনা , তার বিশ্বাস এত ঠুনকো নয় যে কোন ছবি বা মুর্তী দেখে তা উড়ে যাবে নিমিশে বরং তিনি সেটাকে সুকুমার শিল্প হিসাবেই দেখেন । আবার অনেকেই সেটাকে দেখেন গভীর ধর্মীয় মুল্য ভেদের ভিত্তিতে , তাদের ধারনা এটা ধর্মের পরিপন্থি , এটা খোলা জায়গায় তাদের চোখের সমনে পড়লে তাদের মর্মমুলে কিছুটা আঘাত লাগে, তারাতো আর চোখে পট্টি বেধে থেমেসিসের মত চলতে পারবেন রাস্তাঘটে !!! দুদিকেই মুশকিল!!

কথায় বলে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিওনা । তাই এরকম একটা ভাস্কর্যকে এমন জাতীয় স্পর্শকাতর স্থানে বসানোর আগে এর নির্বাচক মন্ডলীদের বেশ কিছু বিষয় ভাবার অবকাশ তথা প্রয়োজন ছিল বলে মনে পড়ে । এদেশে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান , তবে এটাও ঠিক তাদের সবাই কট্টর মৌলবাদী নন । দেশের সকল রাজনৈতিক দলেই মুসলমান রয়েছে , তাদের মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন মাত্রার ধর্মীয় মুল্যবোধ , কেও প্রকাশ করেন কেও করেন না বিবিধ কারনে , আবার সময় সুযোগ এলে দলীয় নেতা নেত্রীর সাথে কথার সুরটাও পাল্টান নিমিষে । কিন্তু এসমস্ত কাজে প্রাথমিক সিদ্ধান্তটা নেয়া হয় আমলা কিংবা বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে । এর চুল চেরা হিতাহীত বিররণটা অনেক সময় তুলে ধরা হয়না উচ্চ পর্যায়ে । বিশেষজ্ঞরা এটাকে বিচার বিশ্লেশন করে সংস্লিষ্ট মন্ত্রনালয় হতে নীল কাগজে সামারী করে ( সকলেই জানেন কোন বিষয়ের সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান মন্ত্রীর কাছে কোন প্রস্তাব গেলে তা ফাইলে নীল কাগজের উপর লিখেই পাঠনো হয় ) তখন উচ্চ পর্যায়ের তেমন আর বাছ বিবেচনা করার তেমন কিছু থাকেনা । এই বিষয়টি সম্পর্কেও বলা যায় সঠিক ভাস্কর্য নির্বাচনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে ব্যপক গন যাচাই করা হয়নি , ভোতা বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে , যা আজ এ পর্যন্ত গড়িয়েছে । বিষয়টিকে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় কিংবা দুরভিসন্ধিমুলকভাবে ঠেলে দেয়া হয়েছে ধর্মীয় বিতর্কের বেড়া জালে ।

দেশে শিল্প কর্ম হোক ভাল কথা , শিল্প কর্মের তো কোন সীমা পরিসীমা নেই , বক্ষ কিংবা আবক্ষ নারী মুর্তী দেশে রয়েছে অনেক , এর বিকাশও হচ্ছে অনেক জায়গায় , কোথাওতো এর মত আলোচনা বা সমালোচনা নাই । কিন্ত এটা প্রথমিক বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে প্রথমেই ধারনা করে নিলে জাতিকে এমনতর বিতর্কে আজ জড়াতে হতোনা ।

প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় ময়মনসিংহের ত্রিশালে উচু জায়গায় প্রথম যখন শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয় তখন সেখানকর সকল জনগন আনন্দের সাথে তাকে স্বাগত জানায় , কিন্ত কিছুদিন বাদে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ১৫ হাত পানির নীচে আড়িয়াল বিলে , ফলাফল জানা আছে সকলের, এটাও মনে হয় তেমনিই কিছু একটা চিন্তা মাথাই নিয়েই হয়েছে করা, যার বিষাক্ত ফল এখন দেখা যাচ্ছে !!!

মোট কথা হল চক্ষু মুদ্রিত থেমেসিসের নামে অমন ভাস্কর্যকে সেখানে না বসিয়ে ন্যয় বিচারের চিহ্ন ধরে এমন কোন শিল্প কর্মতো সেখানে বসানো যেতে পারতো অনায়াসে । যেমনটি দেখা যায় নীচের চিত্রে সুইডিস কোর্ট অফ ল এর সামনের স্থাপনাটির দিকে তাকালে , এখানেও ফুটে উঠেছে সুন্দর চিত্রকর্ম । ঠিক এরকম ভাবে দেশের বিভিন্ন ধরনের মানুষের ধর্মীয় ধ্যান ধারণা ও চিন্তাভাবনাকে আমলে নিয়ে করা যেতে পারতো শিল্পের সাধনা বিশেষ করে দেশের স্পর্শকাতর স্থানে সেগুলিকে স্থাপনের বিষয়ে ।
৭) Scales and sword in the arms of a Swedish court of law

পরিশেষে বলা যায় দায়টা হেফাজত কিংবা ইসলামী দলের থেকে যারা তাদেরেকে এ সুযোগটা করে দিল তাদেরই বেশী, তাদের অপরিনামদর্শী ফল এটা , তাদের এটা মনে রাখা উচিত নীজেরা ভাল না খেললে দর্শক যতই তালিয়া বাজাক তাতে তাদের গোল খাওয়া বন্ধ হবেনা । হেফাজত কিংবা ইসলামী দলতো সুযোগ পেলে তো তা লুফে নিবেই , কারণ তারা ভাল করেই জানে শতকরা ৯০ভাগ মুসলমানের দেশে ভোটের হিসাবে ধর্মীয় বিষয়ের গুরুত্ব কতখানি , সরকারো জানে কখন কিভাবে সুযোগ নিতে হয় আর এটাও ভাল করে জানে হেফাজত কিংবা ইসলামী দলকে কখন কিভাবে টাইট দিতে হয় !!!

অনেক ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫২

জেন রসি বলেছেন: এখানে একটা ব্যাপার বুঝতে হবে। ইসলামী সংঘটনগুলোর ভাস্কর্য সরানোর মূল ভিত্তি কি? সেটা হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা? নিলে বিপদটা কি? যদি এটাকে সমর্থন করা হয় তবে বিপদ আছে। তবে ভারতে গোহত্যা নিষিদ্ধ করাকেও সমর্থন করতে হবে। খ্রীষ্টান উগ্রপন্থীদের দাবীও সমর্থন করতে হবে। কারন সবাই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই দাবী করে। এবং সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস মানেই পরম সত্যে বিশ্বাস। এখানে একের বিশ্বাসের সাথে অপরের বিশ্বাসের সংঘর্ষ অনিবার্য যদি একে অপরের উপর কিছু আরোপ করতে চায়। ফলাফল ক্রুসেড যার ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। এবং এ সমস্যার একটা সমাধান হচ্ছে সেক্যুলার রাষ্ট্র বা বিশ্বব্যবস্থার কনসেপ্ট। অর্থাৎ রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। যে যার মত ধর্ম পালন করবে তবে সেটা আরোপ করা যাবেনা।

ভাষ্কর্য সরানো যেতেই পারে। তবে সেটা হতে হবে কালচারাল ডিবেটের মাধ্যমে। বা অন্য পার্থিব কারনে। কিন্তু ধর্মীয় মতবাদের আলোকে না।

আপনি যেমনটা থেমিসের ভাষ্কর্য নিয়ে একটা তুলনামূলক আলোচনা করেছেন। এসব আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতেই পারে যে সে ভাষ্কর্যটি কেমন হলে আরো ভালো হত বা আসলেই তেমন কিছুর দরকার আছে কিনা। কিন্তু এখানে যদি ধর্মীয় বিশ্বাসের অজুহাত দেখিয়ে সেটা সরানোর দাবী করা হয় বা সরানো হয় তবে তা হবে সাম্প্রদায়িক আচরন। যার পরিনাম অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে ভয়াবহ ধর্মযুদ্ধ। এবং এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে সেক্যুলারিজম।

আপনি আপনার মন্তব্যে আমলাতন্রের কথা বলেছেন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এদেশের প্রধানদলগুলো ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন ভাবে রাজনীতি করে আসছে। এবং তারা বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনকে ম্যানুপুলেট করছে। যাইহোক, সামনে নির্বাচন আসছে। আরো নানা রকম খেলাই আমরা দেখতে পাব।

খুব চমৎকার মন্তব্য করেছেন। কিছু গুরত্বপূর্ন পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আলী ভাই।

১৭| ২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: লেজুড়বৃত্তির ভিড়ে দুঃসাহসী পোষ্ট!
ধর্ম পরম সত্যের যে কনসেপ্ট দেয় সেটা একেক জনের কাছে একেক রকম।
সুধু ইসলাম ধর্মেই একটি বিষয়ের ১৪-১৫ রকম পরস্পর বিরোধী ব্যাখ্যা এসে যায়।
সেখানে যুক্তির চেয়ে বেশী থাকে নিজস্ব অন্ধ বিশ্বাস।

তাই ধর্ম যারযার পারসোনাল চর্চার বিষয়।
সেটাই হওয়া উচিত।

২৮ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

জেন রসি বলেছেন: ঠিক এটাই বলতে চেয়েছি প্রথম অংশে। একেক জনের ধর্মীয় বিশ্বাস একেক রকম হতে পারে। পরম সত্য সম্পর্কে ভিন্ন বিশ্বাস থাকতে পারে। যার থেকে জন্ম নেয় ধর্মীয় সংঘাত। এবং যার সমাধান সেক্যুলারিজম।

ধন্যবাদ ভাই।




১৮| ২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: চরম মাত্রার ভুল হয়ে গেল, আবদার এর মাত্রা আর বাড়বে, এবং এই আব্দার পরিবর্তনশীল হতে পারে।

২৮ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

জেন রসি বলেছেন: এমন চলতে থাকলে ধর্ম এবং রাজনীতি একে অপরকে ইউটিলাইজ এবং ডমিনেট করা শুরু করবে। যার পরিনতি হবে ভয়াবহ।





১৯| ২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

আলগা কপাল বলেছেন: বুঝি না কিছু। দেশের ৯০ শতাংশ মুসলিম। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। তাহলে কার কথার প্রাধান্যতা থাকবে, ৯০ শতাংশের না ১০ শতাংশের? একটা দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কোনো কাজ করা কিভাবে যুক্তিযুক্ত হয়? আর মূর্তি সরানোয় তো বাদবাকি ১০ শতাংশকে কোনো আঘাত দেয়া হয়নি। এই ছাগলগুলো তাহলে এত লাফাচ্ছে কেন কেউ কি বলবেন? এরা ছাগল তাই শুধু ধানক্ষেতে মুখ দেয়। পাশে যে ঘাস আছে সেদিকে নজর নেই।

তোদের ইচ্ছা, তোরা মূর্তি চর্চা কর, বাড়ি ভরে ফেল মূর্তি দিয়ে। সেটা সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেন স্থাপন করতে হবে? নিজেরাই বলছে ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। তাহলে ৯০ শতাংশ জনগণ কি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না? তারা বা সরকার এটা সরিয়েছে। এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। তাহলে কেন এই ছাগলের লাফালাফি? কেউ কি বলবেন?

এখানে দেখতে পারেন।

২৮ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

জেন রসি বলেছেন: আপনার যুক্তি অনুযায়ী বাবরি মসজিদ ভাঙাও তবে ঠিক ছিল। গোহত্যা নিষিদ্ধ করাও ঠিক। কারন সেসবও মানুষ একটা ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসী হয়েই করেছিল। এমন অনেক উদাহরন দেওয়া যেতে পারে। হেফাজতের দাবীর সাথে এসবের বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অনেক পার্থক্য থাকলেও এসবের উৎস এক। সেটা হচ্ছে নিজের নির্দিষ্ট ধর্মীয় বিশ্বাস অন্য ব্যাক্তি এবং রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। ধরা যাক দশ জন মানুষের মধ্যে নয়জন হিন্দু এবং একজন মুসলিম। এখন নয়জন হিন্দুর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনে যদি একজন মুসলিমকে গরু কুরবানী দিতে বাধা দেওয়া হয় তবে সেটা কি গনতন্র হবে নাকি ধর্মীয় আগ্রাসন হবে? সেটা হবে ধর্মীয় আগ্রাসন। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে, ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী এবং ধর্ম চর্চা করে এমন অনেকেই আছেন এ দেশে যারা রাষ্ট্রকে সেক্যুলার ভূমিকায় দেখতে চায়। আসলে ধর্মীয় বিশ্বাসের কোন নির্দিষ্ট মানদন্ড নেই। প্রতিটা ধর্মগ্রন্থকেই অনেক ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। তাই ধর্ম যারযার ব্যাক্তিগত চর্চার ব্যাপার। একটা নির্দিষ্ট ধর্মের বিশ্বাস কোথাও চাপিয়ে দেওয়া যাবেনা।


এখানে একটা ব্যাপার বুঝতে হবে। ইসলামী সংঘটনগুলোর ভাস্কর্য সরানোর মূল ভিত্তি কি? সেটা হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা? নিলে বিপদটা কি? যদি এটাকে সমর্থন করা হয় তবে বিপদ আছে। তবে ভারতে গোহত্যা নিষিদ্ধ করাকেও সমর্থন করতে হবে। খ্রীষ্টান উগ্রপন্থীদের দাবীও সমর্থন করতে হবে। কারন সবাই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই দাবী করে। এবং সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস মানেই পরম সত্যে বিশ্বাস। এখানে একের বিশ্বাসের সাথে অপরের বিশ্বাসের সংঘর্ষ অনিবার্য যদি একে অপরের উপর কিছু আরোপ করতে চায়। ফলাফল ক্রুসেড যার ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। এবং এ সমস্যার একটা সমাধান হচ্ছে সেক্যুলার রাষ্ট্র বা বিশ্বব্যবস্থার কনসেপ্ট। অর্থাৎ রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। যে যার মত ধর্ম পালন করবে তবে সেটা আরোপ করা যাবেনা।

ভাষ্কর্য সরানো যেতেই পারে। তবে সেটা হতে হবে কালচারাল ডিবেটের মাধ্যমে। বা অন্য পার্থিব কারনে। কিন্তু ধর্মীয় মতবাদের আলোকে না।

থেমিসের ভাষ্কর্য নিয়ে একটা তুলনামূলক আলোচনা করা যেতে পারে। । এসব আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতেই পারে যে সে ভাষ্কর্যটি কেমন হলে আরো ভালো হত বা আসলেই তেমন কিছুর দরকার আছে কিনা। কিন্তু এখানে যদি ধর্মীয় বিশ্বাসের অজুহাত দেখিয়ে সেটা সরানোর দাবী করা হয় বা সরানো হয় তবে তা হবে সাম্প্রদায়িক আচরন। যার পরিনাম অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে ভয়াবহ ধর্মযুদ্ধ। এবং এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে সেক্যুলারিজম।











২০| ২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

রক বেনন বলেছেন: হা হা হা!! রসি ভাই, হেফাজত থেকে এখন দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশের সব মূর্তি অপসারণ করতে হবে! খুবই ভালো শুধু দেখার অপেক্ষায় আছি জাতির পিতার আবক্ষ বা পূর্ণ প্রতিমূর্তি গুলোর কি হবে!!

২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

জেন রসি বলেছেন: অথবা দাবী করতে পারে নারী নেতৃত্ব হারাম। হাহাহা..... তবে তারা ততদূর এখনো যাবেনা। এখানে ধর্মীয় নেতারা এবং রাজনীতিবিদরা একে অপরকে নিয়ে খেলার চেষ্টা করছে।











২১| ২৭ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: "পরম সত্য বলে কিছু নেই" - তার মানে আপনার যেভাবে সুবিধা সেইটাই সত্য, তাই না?

২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

জেন রসি বলেছেন: ধর্মীয় বিশ্বাস মানেই এমন এক পরম সত্যে বিশ্বাস যা অন্য সব বিশ্বাসকে ডিনাই করে। এখন যুক্তির আলোকে এই পার্থিব জগতে সেসবকে যাচাই বাছাই করে মেনে নেওয়া বা না নেওয়া এবং অপার্থিব জগতের বিশ্বাস দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য আছে। আপনি ধর্ম চাপিয়ে দিতে চাইলে সংঘাত অনিবার্য। কারন ধর্মীয় মতবাদে পার্থিব জগতের যুক্তি তর্কের কোন জায়গা নাই। এবং সবার ধর্মীয় বিশ্বাসও একনা। তাই এটাকে ব্যাক্তিগত চর্চার মধ্যে রাখটাই একমাত্র সমাধান।











২২| ২৭ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

অপ্‌সরা বলেছেন: ২০. ২৭ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩ ০
রক বেনন বলেছেন: হা হা হা!! রসি ভাই, হেফাজত থেকে এখন দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশের সব মূর্তি অপসারণ করতে হবে! খুবই ভালো শুধু দেখার অপেক্ষায় আছি জাতির পিতার আবক্ষ বা পূর্ণ প্রতিমূর্তি গুলোর কি হবে!!


আমিও তো এটা শুনে আজ সকালে অবাক !!!!!

এমনই তো হবার কথা!


খেতে দিলে শুতে চায় !!!!!!!!! :-/

২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

জেন রসি বলেছেন: এখানে রাজনীতিবিদ এবং ধর্মীয় নেতারা একে অপরকে নিয়ে খেলার চেষ্টা করছে। এটা সবসময়ই একটা বিপদজনক খেলা যার পরিনাম কখনো ভালো হয়না।











২৩| ২৭ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা বিষয়ে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা হয়েছে পোষ্টে।
আমার ভালো লাগলো।

২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।











২৪| ২৭ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ১৬ নং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম ভাই।

২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

জেন রসি বলেছেন: আলী ভাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।











২৫| ২৭ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

নীলপরি বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টাকে খুব সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেছেন । ++++

২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি আপু।











২৬| ২৭ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

জেকলেট বলেছেন: লেখক ইনটেনশনালি বা আনইনটেনশনালি ধর্মকে ভাস্কর্য অপসারনের মূল কারন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এবং এইটা মূল কারন আমার তাতে আপত্তি নাই।
কিন্তু আমার আপত্তির জায়গাটা অন্নখানে.. আপনি এখানে শুধু একটা ধর্মের নাম ই বলেছেন। কিন্তু সত্যি কি তাই??? আজকের বাংলাদেশে তথাকথিত প্রগতিশীল এবং হেফাজতের মধ্যে কি ব্যাবধান একটু কি বলবেন?? হেফাজতের ধর্ম থেকে বরং প্রগতিশীল ধর্ম বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। প্রগতিশীলদের আছে মিডিয়া যা হেফাজতের নাই।
পৃথিবীর সবখানে প্রগতিশীলরা অন্যের মতামতকে শ্রদ্বা করে, গুরুত্ব দেয়ে এবং কোথাও মেজরিটি মানুষের চিন্তা ভাবনা যদি প্রগতিশীলদের অনুকুল এ না ও যায় তাও তারা মেজরিটির মতামতকে শ্রদ্ধা করে ব করতে শেখায় (আমেরিকার প্রসিডেন্ট নির্বাচনের ঘটনা)। এবং মেজরিটি পিপলের দিকে পাগলা কুকুরের মত খেকিয়ে উঠেনা বরং নিজেদের মতামতকে যুক্তি দিয়ে বুঝানোর চেস্টা করে বারবার।
আর আমাদের দেশের প্রগতিশীলরা আমরা যা বলছি তাই ঠিক অন্য সবাই ভূল আর কারো কথা বা মতামত শ্রদ্ধা বা গুরুত্ব দেয়ার কোন দরকার ই মনে করেনা। আমি যা বলেছি তাই ঠিক বাকি সবাই ভূল এই হচ্ছে উনাদের মনভাব।একটু কি লেখক আমাদের কে কি বুঝাবেন আপনারা, প্রগতিশীলরা আর হেফাজতের মধ্যে ব্যাবধান টা কি???
যে ভাস্কর্যের প্রতিস্থাপনের দাবি আপনারা করছেন তা কি কোন ভালো মানের ভাস্কর্য?? এইটা স্থাপনের পর যতবার আমি সুপ্রিম কোর্টের সামনে দিয়ে চলাচল করেছি ততবার অবাক হয়েছি যে কে এইরকম ৪র্থ শ্রেনীর ভাস্কর্য স্থাপনে অনুমতি দিয়েছে?? এইটা কি আমাদের Supreme Court complex এর সাথে যায়?? হক সাহেব অনেক সুন্দর এবং নান্দনিক ভাস্কর্য তৈরী করেছেন, কিন্তু উনার এইবারকার ভাস্কর্য টা খুব ই নিম্নরুচীর হয়েছে।
এইবার আসেন দ্বিতীয় পয়েন্ট এ, হেফাজতের দাবীর মুখে ভাস্কর্য সরানো এবং প্রগতিশীলদের পুনরস্থাপনের দাবী: একজন প্রগতিশীল হিসেবে আপনার জানা উচিত আধুনিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় জনগন ই রাষ্ট্রের মালিক। তাহলে মেজরিটি মানুষ যদি আপনার কোন কাজের সমর্থন না করে তাহলে আপনি রাষ্ট্রের মালিক জনগনকে বুঝানোর চেষ্টা করবেন। একবার না পারলে বারবার বুজাবেন কেন গায়ের জোরে তা পুনরস্থাপনের চেষ্টা??? হয়ত বলবেন এইটা যে মেজরিটি মানুষ সমর্থন করেনা আমি জানলাম কিভাবে?? আমি নিজেও জানিনা কিন্তু আপানদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে মানুষের মতামত নেয়ার দাবী না তোলায় ধরেই নিচ্ছি আপনারা জানেন মেজরিটি আপনাদের সথে নাই। আপনার যদি ভাস্কর্য অপসারন ইস্যুতে ভোটের দাবি করতেন তাও না হয় মানা যেত যে আপনারা এটলিস্ট মানুষের মতামতকে সম্মান দেয়ার চিন্তা করছেন।
আরেকটা কথা জনগন ছাড়া রাষ্ট্র হয় না এবং মেজরিটি জনগন ধর্ম বিশ্বাসী। তাই সরকারকে জনগনের মতামতের গুরুত্ব দিতে হবে। এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হচ্ছে জনগনের ই সম্পত্তি। এই জনগনের ট্যক্সের টাকায় বিচারকের বেতন হয়, গাড়ির তেলের খরচ হয়, সুপ্রিম কোর্ট চলে, রাষ্ট্র চলে। এইটা ভুলে গেলে চলবে না।

আমাকে হয়ত বলবেন হটাৎ আমি বা আমরা আবার গনতান্ত্রিক হলাম কবে? আমি প্রচলিত গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থান খুব একটা বিশ্বাস করিনা। আমি একচুয়ালি পলিটিক্যাল ইসলামি বিশ্বাসী কিন্তু হেফজতের মত না, হেফাজতের চিন্তাভাবনা দিয়া কোন রাস্ত্র পরোচালনা সম্ভব না এইটা আমি খুব ভালো বুজাযায়।এইটা নিয়া আপনার সাথে আরেকদিন ডিস্কাস হবে। যুক্তি সহকারে।
ভালো থাকবেন

২৮ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জেন রসি বলেছেন: আপনার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে প্রগতিশীলদের মধ্যে এবং হেফাজতীদের মধ্যে পার্থক্য কি? পার্থক্য হচ্ছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায়। একদল অতীতের একটা একটা সুনির্দিষ্ট আইনকেই একমাত্র পরম সত্য বলে বিশ্বাস করে। যদি
ও এ বিশ্বাসের মধ্যেও অনেক মতভেদ আছে। অন্যদিকে প্রগতিশীল যাদের মধ্যে ধর্মে বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসী দু ধরনের মানুষই আছে তারা পার্থিব জগতের সিদ্ধান্ত এ জগতের বাস্তবতার আলোকেই নিয়ে থাকে। এ সেক্যুলার ওয়েতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া আসলে সময়ের প্রয়োজনেই এসেছে। কারন ধর্মে আসলে যুক্তি তর্কের জায়গা থাকেনা। যেটা থাকে সেটা হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস। এখন একজন মুসলিম এসে বলল এটাই পরম সত্য। আবার হিন্দু বা খ্রীষ্টান এসে বলল অন্য কিছু পরম সত্য। এবং সবার সিদ্ধান্তই এসেছে অন্ধবিশ্বাস থেকে। এবং সৃষ্টিকর্তার অজুহাত দিয়ে। এখানে কেউ কারো বিশ্বাস প্রমানও করতে পারবেনা। সমস্যাটা এখানেই। প্রগতিশীল বা যারা সেক্যুলার তাদের সিদ্ধান্তে সৃষ্টিকর্তার নামে কোন পরম সত্য চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপার থাকেনা। ফলে আলোচনার, বিতর্ক করার, মেনে নেওয়ার বা বাতিল করার রাস্তাটা ওপেন থাকে।

আপনার যুক্তি অনুযায়ী বাবরি মসজিদ ভাঙাও তবে ঠিক ছিল। গোহত্যা নিষিদ্ধ করাও ঠিক। কারন সেসবও মানুষ একটা ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসী হয়েই করেছিল। এমন অনেক উদাহরন দেওয়া যেতে পারে। হেফাজতের দাবীর সাথে এসবের বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অনেক পার্থক্য থাকলেও এসবের উৎস এক। সেটা হচ্ছে নিজের নির্দিষ্ট ধর্মীয় বিশ্বাস অন্য ব্যাক্তি এবং রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। ধরা যাক দশ জন মানুষের মধ্যে নয়জন হিন্দু এবং একজন মুসলিম। এখন নয়জন হিন্দুর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনে যদি একজন মুসলিমকে গরু কুরবানী দিতে বাধা দেওয়া হয় তবে সেটা কি গনতন্র হবে নাকি ধর্মীয় আগ্রাসন হবে? সেটা হবে ধর্মীয় আগ্রাসন। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে, ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী এবং ধর্ম চর্চা করে এমন অনেকেই আছেন এ দেশে যারা রাষ্ট্রকে সেক্যুলার ভূমিকায় দেখতে চায়। আসলে ধর্মীয় বিশ্বাসের কোন নির্দিষ্ট মানদন্ড নেই। প্রতিটা ধর্মগ্রন্থকেই অনেক ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। তাই ধর্ম যারযার ব্যাক্তিগত চর্চার ব্যাপার। একটা নির্দিষ্ট ধর্মের বিশ্বাস কোথাও চাপিয়ে দেওয়া যাবেনা।


এখানে একটা ব্যাপার বুঝতে হবে। ইসলামী সংঘটনগুলোর ভাস্কর্য সরানোর মূল ভিত্তি কি? সেটা হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা? নিলে বিপদটা কি? যদি এটাকে সমর্থন করা হয় তবে বিপদ আছে। তবে ভারতে গোহত্যা নিষিদ্ধ করাকেও সমর্থন করতে হবে। খ্রীষ্টান উগ্রপন্থীদের দাবীও সমর্থন করতে হবে। কারন সবাই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই দাবী করে। এবং সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস মানেই পরম সত্যে বিশ্বাস। এখানে একের বিশ্বাসের সাথে অপরের বিশ্বাসের সংঘর্ষ অনিবার্য যদি একে অপরের উপর কিছু আরোপ করতে চায়। ফলাফল ক্রুসেড যার ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। এবং এ সমস্যার একটা সমাধান হচ্ছে সেক্যুলার রাষ্ট্র বা বিশ্বব্যবস্থার কনসেপ্ট। অর্থাৎ রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। যে যার মত ধর্ম পালন করবে তবে সেটা আরোপ করা যাবেনা।

ভাষ্কর্য সরানো যেতেই পারে। তবে সেটা হতে হবে কালচারাল ডিবেটের মাধ্যমে। বা অন্য পার্থিব কারনে। কিন্তু ধর্মীয় মতবাদের আলোকে না।

থেমিসের ভাষ্কর্য নিয়ে একটা তুলনামূলক আলোচনা করা যেতে পারে। । এসব আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতেই পারে যে সে ভাষ্কর্যটি কেমন হলে আরো ভালো হত বা আসলেই তেমন কিছুর দরকার আছে কিনা। কিন্তু এখানে যদি ধর্মীয় বিশ্বাসের অজুহাত দেখিয়ে সেটা সরানোর দাবী করা হয় বা সরানো হয় তবে তা হবে সাম্প্রদায়িক আচরন। যার পরিনাম অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে ভয়াবহ ধর্মযুদ্ধ। এবং এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে সেক্যুলারিজম।


ধর্মীয় বিশ্বাস মানেই এমন এক পরম সত্যে বিশ্বাস যা অন্য সব বিশ্বাসকে ডিনাই করে। এখন যুক্তির আলোকে এই পার্থিব জগতে সেসবকে যাচাই বাছাই করে মেনে নেওয়া বা না নেওয়া এবং অপার্থিব জগতের বিশ্বাস দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য আছে। আপনি ধর্ম চাপিয়ে দিতে চাইলে সংঘাত অনিবার্য। কারন ধর্মীয় মতবাদে পার্থিব জগতের যুক্তি তর্কের কোন জায়গা নাই। এবং সবার ধর্মীয় বিশ্বাসও একনা। তাই এটাকে ব্যাক্তিগত চর্চার মধ্যে রাখটাই একমাত্র সমাধান।

































২৭| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে প্রতিটি দেশে ধর্মের কিছু না কিছু প্রভাব রয়েছে। তা সেটা আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশই হোক আর পশ্চিমাদের মতো উদারনৈতিক দেশই হোক। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্র একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে তা কতটুকু হলে আম ও ছালা দুটোই বজায় থাকে। আমাদের এই গরীব দেশগুলো এই জায়গায় নিরব। তারা এখনও কোনো উপায় বের করতে পারে নি যার দ্বারা এই দুই ভিন্ন অবস্থাকে সহবস্থানে রেখে দেশের কল্যাণে অন্য উপায়গুলোর প্রতি জোর দিতে পারে। যা পশ্চিমারা পেরেছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় পশ্চিমা সমাজে বুঝি ধর্মের প্রভাব নেই। বাইরে থেকে দেখলে তাই মনে হয়। ভিতরটা আমরা যা ভাবি তা নয়। তবে তারা এটাকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। আমরাও চেষ্টা করছি কিন্তু নানামুখি তৎপরতায় ব্যর্থ।

আর মানুষকে নিয়ে যে দেশ গঠিত সে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক যা চাইবে তার মূল্যায়ন হওয়ায় পশ্চিমা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের দাবীকে কোনো নির্বাচিত সরকারই এড়িয়ে যেতে পারে না।

তবে যে উপায়ে বা যে অভিযোগের ভিত্তিতে এই ভাস্কর্য (মূর্তি নয়; তবে এই ভাস্কর্যের বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে অনেক বিশেষজ্ঞের দ্বিমত দেখতেছি) অপসারণে বাধ্য (নাকি রাজনৈতিক চাল) করেছে কিছু ধর্মান্ধ লোক তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

২৮ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

জেন রসি বলেছেন:

ভাষ্কর্য সরানো যেতেই পারে। তবে সেটা হতে হবে কালচারাল ডিবেটের মাধ্যমে। বা অন্য পার্থিব কারনে। কিন্তু ধর্মীয় মতবাদের আলোকে না।

থেমিসের ভাষ্কর্য নিয়ে একটা তুলনামূলক আলোচনা করা যেতে পারে। । এসব আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতেই পারে যে সে ভাষ্কর্যটি কেমন হলে আরো ভালো হত বা আসলেই তেমন কিছুর দরকার আছে কিনা। কিন্তু এখানে যদি ধর্মীয় বিশ্বাসের অজুহাত দেখিয়ে সেটা সরানোর দাবী করা হয় বা সরানো হয় তবে তা হবে সাম্প্রদায়িক আচরন। যার পরিনাম অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে ভয়াবহ ধর্মযুদ্ধ। এবং এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে সেক্যুলারিজম।


ধর্মীয় বিশ্বাস মানেই এমন এক পরম সত্যে বিশ্বাস যা অন্য সব বিশ্বাসকে ডিনাই করে। এখন যুক্তির আলোকে এই পার্থিব জগতে সেসবকে যাচাই বাছাই করে মেনে নেওয়া বা না নেওয়া এবং অপার্থিব জগতের বিশ্বাস দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য আছে। আপনি ধর্ম চাপিয়ে দিতে চাইলে সংঘাত অনিবার্য। কারন ধর্মীয় মতবাদে পার্থিব জগতের যুক্তি তর্কের কোন জায়গা নাই। এবং সবার ধর্মীয় বিশ্বাসও একনা। তাই এটাকে ব্যাক্তিগত চর্চার মধ্যে রাখটাই একমাত্র সমাধান।

































২৮| ২৮ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার পোস্টের আলোকে আমি ফেসবুকে একটি ছোট্ট স্ট্যাটাস দিয়ে লাইক সংকটে ভুগছি! :(

২৮ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জেন রসি বলেছেন: ফেবুতে লাইক পেতে হলে বেশী যুক্তি দেখানো যাবেনা। যে কোন মতবাদের পক্ষে বা বিপক্ষে খুব সরলীকরন ব্যাখ্যা দিতে হবে। যেকোন একপক্ষ এসে ঢালাও ভাবে লাইক দিয়ে যাবে। ;)































২৯| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভারতের মত দেশ যদি ধর্মকে নিয়ে "রাজনীতি" করতে পারে, সেক্ষেত্রে আমি বলবো আমাদের দেশও ভুল করে নি।। যতই বিরোধীতা রি না কেন, রাজনীতি এমনই।। এখানে নজর থাকে ভোটের দাড়ি-পাল্লার প্রতি।। সে যেই হোক না কেন।।
ধর্মীয় বিশ্বাস আর গোড়ামীর মাঝে কিন্তু বিস্তর পার্থক্য।। এবং এটাই আমরা বুঝি না।।

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:৪১

জেন রসি বলেছেন: প্রশ্নটা ভুল কিংবা ঠিক নিয়ে না। প্রশ্নটা হচ্ছে আউটকাম নিয়ে। সব ধর্মের মৌলবাদীদের মধ্যেই আসলে বেসিক কোন পার্থক্য থাকেনা। আর ধর্মীয় বিশ্বাস যারযার ব্যাক্তিগত চর্চার ব্যাপার। অন্য কারো উপর সেটা চাপিয়ে না দোওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত সেটা ঠিক আছে।

৩০| ২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দেশটা হয়ে গেছে কমেডির কারখানা! ;) মাঝখানে ইস্যুর নেশায় মাতাল লোকেরা ভিন্ন স্বাদের জিনিস চেখে দেখলো। :)

২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২০

জেন রসি বলেছেন: দেশে কমেডি সবসময়ই ছিল। তবে ইদানীং খুব ভালো কিছু কমেডিয়ান দেখা যাচ্ছে যাদের কারনে রঙ্গমন্চ খুব জমে উঠেছে। ;)

৩১| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ কথা সইত্য! আপনি যদি ব্লগেও আসেন যেমন কিছু কমেডিয়ান পাবেন, তেমনি উচ্চ পর্যায়েও পাবেন! এমনকি ইউএস এর একবারে উচ্চ পর্যায়ে কমেডিয়ান(!) বসে আছেই! ;)

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১১

জেন রসি বলেছেন: আসলে আমরা সবাই কমেডিয়ান!দরকার মত একেকজন একেক রকম কমেডি করি আরকি! ;)

৩২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে আমরা সবাই কমেডিয়ান!দরকার মত একেকজন একেক রকম কমেডি করি আরকি! ;)

হাঃ হাঃ হাঃ দরকার ছাড়াও মিলে ঝিলে অনেক সময় কমেডি সার্কাস আমাদের সামনে চলে আসে! এই হইলো ব্যাপার! =p~

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৩

জেন রসি বলেছেন: জগতে সবই আছে। কমেডি আছে, কমেডিয়ান আছে, স্টেজ আছে আবার নাট্যকারও আছে। ;)

৩৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:২২

কল্লোল পথিক বলেছেন:


ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.