নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!
আজকে অনলাইনে মুরাদুল ইসলামের হিমুর মনস্তত্ত্ব নামক এক প্রবন্ধ পড়লাম। পড়ে ভালোই লেগেছে। তারপর মনে হলো হিমু নিয়ে হালকা পাতলা কিছু লিখে ফেলা যায়! বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র হিমু। মাঝেমাঝে মনে হয় স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে সৃষ্টি হিমু অনেক বেশী জনপ্রিয়। তবে এটা বলতেই হবে যে হুমায়ূন আহমেদ খুব দক্ষতার সাথেই হিমুর মত একটা ক্যারিশমাটিক চরিত্র সৃষ্টি করতে পেরেছেন। এ চরিত্রটার যে সাইকোলজিক্যাল স্পেস তার মাঝে প্রবল আকর্ষণেই পাঠকরা ঘুরপাক খায়। নিজের ভেতর হিমুকে ধারন করার বা নিজেই হিমু চরিত্রে রুপান্তরিত হয়ে যাওয়ার বাসনা বা চেষ্টাও কারো কারো মাঝে দেখা গেছে। এখন এই হিমু চরিত্রের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট কোন মতামত দেওয়া সম্ভব না। এই চরিত্রের সাথে মিশে আছে লেখক হুমায়ূন আহমেদের চেতন এবং অবচেতন মন। তার উদ্দেশ্য। যা আমাদের পক্ষে যথাযথ ভাবে বলে দেওয়া সম্ভব না। তবে হিমুর বইগুলোর আলোকে তাকে নিয়ে কিছু আলোচনা করা যেতে পারে।
হিমুর মাঝে আধ্যাত্মিক সাধনার কোন ব্যাপার আছে কিনা তা বুঝতে হলে তার বাবার তার প্রতি যে উপদেশগুলো আছে সেসব পড়ে দেখা যেতে পারে। বিভিন্ন বইয়ে হিমুর বাবার ছেলের প্রতি যে নির্দেশগুলো আমরা দেখি তার মাঝে একটা নির্দিষ্ট স্পিরিচ্যুয়াল দর্শনের প্রভাব আছে। কিছু রেফারেন্স দেওয়া যাক। ময়ূরাক্ষী উপন্যাসে হিমুর বাবার বানী থেকে পাওয়া যায়,
"পৃথিবীর সকল মহাপুরুষ এবং মহাজ্ঞানীরা এই জগতকে মায়া বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। আমি আমার ক্ষুদ্র চিন্তা ও ক্ষুদ্র বিবেচনায় দেখিয়াছি আসলেই মায়া। স্বামী ও স্ত্রীর প্রেম যেমন মায়া বই কিছুই নয়, ভ্রাতা ও ভগ্নির স্নেহ-সম্পর্কও তাই। যে কারনে স্বার্থে আঘাত লাগিবামাত্র স্বামী-স্ত্রীর প্রেম বা ভ্রাতা-ভগ্নির ভালোবাসা কর্পূরের মত উড়িয়া যায়। কাজেই তোমাকে পৃথিবীর সর্ব বিষয়ে পুরোপুরি নির্লিপ্ত হইতে হবে।কোন কিছুর প্রতিই তুমি যেমন আগ্রহ বোধ করিবে না আবার অনাগ্রহও বোধ করিবে না। মায়ার মানুষ দাস। সেই দাসত্ব-শৃঙ্খল তোমাকে ভাঙ্গিতে হইবে। মানুষের অসাধ্য কিছুই নাই। চেষ্টা করিলে তুমি তা পারিবে। তোমার ভিতরে সেই ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতা বিকাশের চেষ্টা আমি তোমায় শৈশবেই করিয়াছি। একই সঙ্গে তোমাকে আদর এবং অনাদর করা হইয়াছে। মাতার প্রবল ভালোবাসা হইতেও তুমি বঞ্চিত হইয়াছ। এই সমস্তই একটা বড় পরীক্ষার অংশ। এই পরীক্ষায় সফলকাম হইতে পারিলে প্রমান হইবে যে, ইচ্ছা করিলে মহাপুরুষদের এই পৃথিবীতে তৈরি করা যায়।"
সৃষ্টিকর্তার অনুসন্ধান বিষয়ে বলা হয়েছে,
"সৃষ্টিকর্তার অনুসন্ধান করিবে। ইহাতে আত্মার উন্নতি হইবে। সৃষ্টিকর্তাকে জানা এবং আত্মাকে জানা একই ব্যাপার। স্বামী বিবেকানন্দের একটি উক্তি এই প্রসঙ্গে স্মরণ রাখিও-
বহুরূপে সম্মুখে তোমার
ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?"
ভয় বিষয়ক উপদেশ থেকে পাই,
“ একজন মানুষ তার এক জীবনে অসংখ্যবার তীব্র ভয়ের মুখোমুখি হয়।তুমিও হইবে। ইহাই স্বাভাবিক। ভয়কে পাশ কাটাইয়া যাইবার প্রবণতাও স্বাভাবিক প্রবনতা।তুমি অবশ্যই তা করিবেনা। ভয় পাশ কাটাইবার বিষয় নহে। ভয় অনুসন্ধানের বিষয়। ঠিকমত এই অনুসন্ধান করিতে পারিলে জগতের অনেক অজানা রহস্য সম্পর্কে অবগত হইবে। তোমার জন্য ইহার প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে তোমাকে বলিয়া রাখি, এই জগতের রহস্য পেয়াজের খোসার মতো। একটি খোসা ছাড়াইয়া দেখিবে আরেকটি খোসা।এমনভাবে চলিতে থাকিবে-সবশেষে দেখিবে কিছুই নাই।আমরা শূন্য হইতে আসিয়াছি, আবার শূন্যে ফিরিয়া যাইব। দুই শুন্যের মধ্যবর্তী স্থানে আমরা বাস করি। ভয় বাস করে দুই শুন্যে। এর বেশি এই মুহূর্তে তোমাকে বলিতে ইচ্ছা করি না।"
হিমুর বাবার বানীগুলো একটু ভালো করে পড়লেই বুঝা যাবে এসব বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মের কিছু দার্শনিক ডিসকোর্সকে ফলো করে। জেন মতবাদ,(zen) এবং তাওইজমের (Taoism) প্রভাবও আছে এসব বানীতে। এখন উপন্যাসে হিমুর বাবাকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি তিনি একজন সাইকোপ্যাথ। এবং হিমুর মুখ থেকেই আমরা এমনটা শুনতে পাই।আবার আমরা দেখি হিমু তার বাবার নির্দেশ গুলো মেনে চলার চেষ্টা করছে। হিমু ভক্ত বাদলের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি হিমু হচ্ছে বুদ্ধ এবং রাসপুটিনেরআদলে গড়ে ওঠা এক মানুষ। বুদ্ধের মত নির্লিপ্ততার ব্যাপার আছে তার মাঝে, আবার রাসপুটিনের মত ভবিষ্যৎ বানীও সে করতে পারে। কিন্তু এসব আধ্যাত্মিক ডিসকোর্সের বাইরেও আমরা অন্যরকম হিমুকেও দেখতে পাই বিভিন্ন উপন্যাসে!
হিমুর প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায় সে অসহায় নির্যাতিত মানুষকে কোন না কোন ভাবে সহায়তা করছে। আবার শোষক বা নির্যাতনকারী বা অপরাধী কেউ তার প্রতিপক্ষ হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে। যার সাথে হিমুর একধরনের সাইকোলজিক্যাল গেম শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে। এখানে এসে আমরা হিমুর চরিত্রে একটা চিরায়ত মানবিক ব্যাপার দেখতে পাই। আবার ত্রাণকর্তা হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার একটা সুক্ষ পলিটিক্যাল মারপ্যাঁচও আছে। খুব গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে আমরা দেখব হিমু আসলে নির্লিপ্ত না। সে প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভালো খারাপ জাজ করে কাজ করছে। কিছু চরিত্রকে সে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের প্রতি ভালোবাসা এবং তাদের প্রটেক্ট করার প্রয়োজনীয়তা সে ফিল করছে। এবং সেভাবেই আমরা হিমুকে কাজ করতে দেখি। যে আধ্যাত্মিক ডগমা দিয়ে তার বাবা তাকে মহাপুরুষ বানাতে চেয়েছিল সে ডগমাকেই সে ভেঙ্গে ফেলছে। এবং ভেঙ্গে ফেলার পরও সে মহাপুরুষই থাকছে। তার বাবাকে একই সাথে সে গুরু মানছে আবার তার সৃষ্টি করা ডগমাকেও অগ্রাহ্য করছে। এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। হিমুর কাজ এন্টি লজিক নিয়ে।কিন্তু আমরা বারবার দেখেছি সে বিভিন্ন কিছুকে জাজ করছে। তার বাবাকে, তার চারপাশের চরিত্রকে, নিজেকে। এবং এসব জাজমেন্টে প্রবল ভাবেই লজিক চলে আসছে। লজিক থেকে কনসাসনেসের জন্ম হচ্ছে। সেসব কনসাসনেস থেকেই উপন্যাসের পর উপন্যাসে হিমু নামক এক চরিত্র বিবর্তিত হতে থাকে।
হিমু নিজেও তার বাবার মত মানসিক ভাবে অসুস্থ কিনা এটা একটা প্রশ্ন হতে পারে। কিন্তু এ প্রশ্নটাকে লেখক খুব সযতনে এভয়েড করে গেছেন। তবে একটি উপন্যাসে আমরা দেখি হিমুকে তার এন্টি চরিত্র মিসির আলীর সাথে দেখা করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সম্ভবত লেখক নিজেই সংশয়ে ছিলেন কি করবেন। তাই এ প্রশ্নের উত্তর তিনি অমীমাংসিতই রেখে গেছেন।
হিমুর কিছু কিছু উপন্যাস পড়লে হিমুকে নিছক প্রেমের উপন্যাসও মনে হতে পারে। রুপাসহ অনেক মেয়েই প্রবলভাবে হিমুর প্রেমে পরে। কিন্তু হিমু শেষ পর্যন্ত তাদের ভালোবাসাকে অগ্রাহ্য করে। এই অগ্রাহ্য করার মধ্যে একটা তথাকথিত বিশুদ্ধতার ব্যাপার আছে। যেখানে মনে করা হয় যৌনতা বা শারীরিক সম্পর্ক মানেই অপবিত্র কিছু। যা মানুষকে বাঁধনে জড়িয়ে ফেলে। স্পিরিচুয়াল মুক্তি বা মোক্ষলাভের ক্ষেত্রে যৌনতাকে এভয়েড করার প্রাচীন আধ্যাত্মিক মতবাদ এক্ষেত্রে হিমুর মাঝে খুব প্রবলভাবেই কাজ করে। তবে হিমু কি শেষ পর্যন্ত তার কামনা বাসনা থেকে মুক্ত হতে পারে? নাকি তার এই মুক্ত হওয়ার মনস্তাত্ত্বিক লড়াই নিয়েই লেখক একের পর এক উপন্যাস লিখে গেছেন তাকে নিয়ে। লেখক নিজেই হিমুকে মুক্তি দিতে চান নাই হয়তো। তিনি বেঁচে থাকলে এ প্রশ্নের একটা উত্তর হয়তো পাওয়া যেত।
হিমুকে নিয়ে আরো অনেকভাবেই, অনেক দৃষ্টিকোণ থেকেই আলোচনা করা যায়। তবে আপাতত আর লিখতে ইচ্ছে করছেনা। তাই এখানেই অফ গেলাম।
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৭
জেন রসি বলেছেন: মানে বলতে চাচ্ছেন যারা হিমু হিমু করে তাদের এই করাটা হচ্ছে পেছনেপড়া দরিদ্র সমাজে কষ্টকে ধারন করার নাটকীয় রুপ? বিশ্লেষণ করলে বুঝতে সুবিধা হত!
২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অনেকদিন পর হিমুকে নিয়ে একটি ভালো বিশ্লেষণ পড়লাম।
হিমুকে কখনোই মানসিক সমস্যাগ্রস্থ কেউ বলে মনে হয়নি কখনো।
তবে, আধ্যাতিকতার সাথে কোথায় যেন যোগাযোগ ছিলো তাঁর।
হুমায়ুন আহমেদ চলে গেছেন, কিন্তু, হিমু এখনো বেঁচে আছে, এই বিশ্বাস নিয়েই থাকতে চাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১০
জেন রসি বলেছেন: হিমুকে নিয়ে একটা লেখা পড়ে মনে হলো আমিও কিছু লেখি। তাই একটানে লিখে ফেললাম। তবে আরো আলাপ করা যেত। করিনাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৭
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: হিমু,কত মানুষ যে এই চরিত্রের প্রেমে পড়েছে,তা অগণিত।তার যথেষ্ঠ কারণও ছিলো হয়ত।পিছুটান হীন একজন মানুষ এমন ছন্নছাড়া ভাব নিয়ে চলা খুব একটা অস্বাভাবিক হয়ত নাহ।হিমুর বাবার আদেশটাই হয়ত হিমুকে আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।
হিমুকে নিয়ে আলোচনা ভালো লাগলো।সাথে লিংক গুলো থেকেও ভালো কিছু জানলাম।
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৩
জেন রসি বলেছেন: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র। তাই তাকে নিয়ে আলোচনাটাও উপভোগ্য। ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই।
৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
নাগরিক কবি বলেছেন: লেখক চলে যায়, তার সৃষ্টি রেখে যায়
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
জেন রসি বলেছেন: কথা সত্য!
৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪০
শায়মা বলেছেন: বিভিন্ন বইয়ে হিমুর বাবার ছেলের প্রতি যে নির্দেশগুলো আমরা দেখি তার মাঝে একটা নির্দিষ্ট স্পিরিচ্যুয়াল দর্শনের প্রভাব আছে। কিছু রেফারেন্স দেওয়া যাক। ময়ূরাক্ষী উপন্যাসে হিমুর বাবার বানী থেকে পাওয়া যায়,
"পৃথিবীর সকল মহাপুরুষ এবং মহাজ্ঞানীরা এই জগতকে মায়া বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। আমি আমার ক্ষুদ্র চিন্তা ও ক্ষুদ্র বিবেচনায় দেখিয়াছি আসলেই মায়া। স্বামী ও স্ত্রীর প্রেম যেমন মায়া বই কিছুই নয়, ভ্রাতা ও ভগ্নির স্নেহ-সম্পর্কও তাই। যে কারনে স্বার্থে আঘাত লাগিবামাত্র স্বামী-স্ত্রীর প্রেম বা ভ্রাতা-ভগ্নির ভালোবাসা কর্পূরের মত উড়িয়া যায়। কাজেই তোমাকে পৃথিবীর সর্ব বিষয়ে পুরোপুরি নির্লিপ্ত হইতে হবে।কোন কিছুর প্রতিই তুমি যেমন আগ্রহ বোধ করিবে না আবার অনাগ্রহও বোধ করিবে না। মায়ার মানুষ দাস। সেই দাসত্ব-শৃঙ্খল তোমাকে ভাঙ্গিতে হইবে। মানুষের অসাধ্য কিছুই নাই। চেষ্টা করিলে তুমি তা পারিবে। তোমার ভিতরে সেই ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতা বিকাশের চেষ্টা আমি তোমায় শৈশবেই করিয়াছি। একই সঙ্গে তোমাকে আদর এবং অনাদর করা হইয়াছে। মাতার প্রবল ভালোবাসা হইতেও তুমি বঞ্চিত হইয়াছ। এই সমস্তই একটা বড় পরীক্ষার অংশ। এই পরীক্ষায় সফলকাম হইতে পারিলে প্রমান হইবে যে, ইচ্ছা করিলে মহাপুরুষদের এই পৃথিবীতে তৈরি করা যায়।"
শুনেছি বা পড়েছি বা জেনেছি মানুষ প্রায়ই মায়াকে ‘ভ্রম’ মনে করেও ব্যাখ্যা করে। জগৎকে মায়া বা ‘ভ্রম’ বলে তখন ব্যাখ্যাও করতে হয়। কিন্তু এই মায়াকে ভ্রম বলা ঠিক না। মায়া আসলে কোনো ভ্রম না শুধুই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্বরূপবর্ণনা মাত্র। যদিও এই জাগতিক মায়াবাদ এক জটিল বিষয়।
আদিপুরুষ হতে আজ পর্যন্ত মানুষের মাঝে মানে মস্তিস্ক ও হৃদয়ে মায়াবাদ নিয়ে একটু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়। আদিম মানুষের মাঝে আবেগ, ভালোবাসা, বিবেক বুদ্ধি অনেকখানিই কম ছিলো। সোজাভাষায় পশু প্রবৃত্তির কাছাকাছি হতেই ধীরে ধীরে মানুষের মনে আবেগ ভালোবাসা, ধর্মবোধ, জাতি বোধ, সমাজ বোধ সৃষ্টির সাথে সাথে সম্পদ ও সম্পত্তি ও নানা বিষয়ে মানুষ এক মায়ায় আটকে পড়েছে। এই মায়ার জাল এমনি কঠিন যে আজ ছেড়া বড় দায়। তাই তো আগের দিনে মহাপুরুষ (মহামহিলাও আছে কিনা জানিনা ) গণ অতি সহজে মায়ার জাল কাটিয়ে শূণ্যেও উড়ে যেত শুনেছি তা আর এখন সম্ভব হয় না । আর এই হিমু! এত নারীগণ তাহার জন্য পাগল! সে কি পারবে ! নাকি পেরেছিলো? এ মনে হয় শুধু গল্পেই সম্ভব। লেখকের মনে, কল্পনার সৃষ্টিতে। বাস্তবে লেখক সেই মায়ার ফেরেই বন্দী। কঠিন জালে ঘুরপাক খায়। সে কি ভ্রম নাকি মায়া!
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৩
জেন রসি বলেছেন: মায়া নিয়ে আলোচনা শুরু করলে বিবর্তন, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, ধর্ম, দর্শন সবই চলে আসবে। তবে এত কিছু ব্লগের মন্তব্য ঘরে সেভাবে নিয়ে আসা মুশকিল। তাই সহজ করেই বলার চেষ্টা করা যেতে পারে। মায়া মানে জগতের বিভিন্ন কিছুর প্রতি আসক্তি। এই আসক্তি থেকেই মানুষের দুঃখ কষ্টের জন্ম।এখন বুদ্ধের মত কিছু মানুষ সমাধান হিসাবে এই আসক্তি ব্যাপারটাকেই বাদ দিয়ে দিতে চেয়েছেন চর্চার মাধ্যমে। সে টাইপ ভাবনা চিন্তা থেকে কিছু আধ্যাত্মিক ডিসকোর্সের সৃষ্টি হয়েছে। মায়া ব্যাপারটা লেখক হুমায়ূন আহমেদের ভেতর প্রবল ভাবেই ছিল। তার লেখাকেই মায়াবাস্তব বা জাদুবাস্তব টাইপ লেখা বলা যায়। হিমুকে নিয়েও তিনি হয়তো তেমন একটা জগত সৃষ্টি করতে চেয়েছেন।
৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হিমু আয়নার মতো
যে যেই রুপে দেখবে সেই রুপই খুঁজে পাবে
হা হা হা
অসাধঅরন বিশ্লেষনী হিমু পোষ্টে +++++++
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩১
জেন রসি বলেছেন: হিমু হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি। বইয়ে যা লেখা আছে তার আলোকে তাকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বইগুলোকে মেটাফোরিক আয়না ভাবা যেতে পারে।
আপনার আয়না তত্ত্ব অনুযায়ী কিভাবে দেখেন জানার ইচ্ছা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই।
৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: “ একজন মানুষ তার এক জীবনে অসংখ্যবার তীব্র ভয়ের মুখোমুখি হয়।তুমিও হইবে। ইহাই স্বাভাবিক। ভয়কে পাশ কাটাইয়া যাইবার প্রবণতাও স্বাভাবিক প্রবনতা।তুমি অবশ্যই তা করিবেনা। ভয় পাশ কাটাইবার বিষয় নহে। ভয় অনুসন্ধানের বিষয়। ঠিকমত এই অনুসন্ধান করিতে পারিলে জগতের অনেক অজানা রহস্য সম্পর্কে অবগত হইবে। তোমার জন্য ইহার প্রয়োজনীয়তা আছে।
কথা সত্য! তোমার বাণীর সাথেও ৯৯% অথবা ১০১% মিল আছে!
তবে তোমাকে বলিয়া রাখি, এই জগতের রহস্য পেয়াজের খোসার মতো। একটি খোসা ছাড়াইয়া দেখিবে আরেকটি খোসা।এমনভাবে চলিতে থাকিবে-সবশেষে দেখিবে কিছুই নাই।আমরা শূন্য হইতে আসিয়াছি, আবার শূন্যে ফিরিয়া যাইব। দুই শুন্যের মধ্যবর্তী স্থানে আমরা বাস করি। ভয় বাস করে দুই শুন্যে। এর বেশি এই মুহূর্তে তোমাকে বলিতে ইচ্ছা করি না।"
শুধু কি রহস্যও! এ জগতে তো দেখি ঝামেলাও আরও বড় বড় পেঁয়াজের খোসা একটা ছাড়াইতে ছাড়াইতে আরেকখান ছাড়াইতে বসিতে হয় !
হিমুর বাবার বানীগুলো একটু ভালো করে পড়লেই বুঝা যাবে এসব বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মের কিছু দার্শনিক ডিসকোর্সকে ফলো করে। জেন মতবাদ,(zen) এবং তাওইজমের (Taoism) প্রভাবও আছে এসব বানীতে। এখন উপন্যাসে হিমুর বাবাকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি তিনি একজন সাইকোপ্যাথ। এবং হিমুর মুখ থেকেই আমরা এমনটা শুনতে পাই।
কি বলো বাবাকেই তো আমার বেশি পছন্দ! হিমু এটা কি করলো!
অবশ্য বেশি জানে বা ভাবে যারা অনেকেই সাইকোপ্যাথ বলে তাদেরকে।আসলে সকল কিছুর বাড়াবাড়ি হলেই সেটা সাইকোপ্যাথেরি ইঙ্গিত করে ।
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫০
জেন রসি বলেছেন: আমার বানীর মত???
হাহাহাহাহাহাহাহাহা............
জগতকে আবিস্কার করতে সমস্যা কোথায়? উপভোগ বা অনুভব এবং এক্সপ্লোর করার অপশন আছে মানুষের!
হিমুর বাবার সমস্যা হইল নিজের বিশ্বাস হিমুর উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। এমন ব্যাপার অনেক ধর্ম প্রচারকের মধ্যেও দেখা যায়। এই চাপিয়ে দেওয়ার জন্যই তাকে সাইকোপ্যাথ বলা যায়! তার প্রভাব একই সাথে হিমুর মধ্যে ছিল আবার ছিলনা।
৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয়না তত্ত্ব সুফিজমের । শরয়ী ইসলাম এইসব বিষয় থেকে যোজন যোজন দূরত্ব রক্ষা করিলেও সূফিবাদ এর ভিত্তিতেই বিরাজ করে এবং এই মতের বিকাশ ঘটায়।
মানসুর হাল্লাজের মতে, কিংবা মানতেকুত তোয়ায়েরে পাখিদের রুপকে আত্ম দর্শনের আয়নায় সেই সত্য মেলে।
হিমু আমাদের অবচেতন সেই স্বত্ত্বার ছায়া যাকে আমরা নিভৃতে লালন করি। সামাজিকতার বিধি বিধানের ভয়ে কুকড়ে থাকা দেহ সত্ত্বার বাইরে যার অস্তিত্ব। যে এসবকে থোরাই পরোয়া করে। বরং আপনা আত্মার ডাকেই আপ্লুত হয়। তৃপ্ত হয়।
মৌলিক মানবিক যে গুনের বিকাশ সামাজিক স্বত্তা করতে পারেনা- তা রুপক আত্মা হিমু সহজেই ধারন করে।
আর অতৃপ্ত দেহাত্মা সেই কল্পিত আত্মায় তার অপূর্ণ স্বপ্ন, কর্ম, ইচ্ছার পূর্নতার সূখ খোঁজে
তাই মানুষের কল্পনার পূর্ণতার এক ছায়া মায়া অস্তিত্বই হিমু। যে জন্য সহজেই প্রত্যেকেই তার আপনা মত মতো হিমুকে অনুভব করতে পারে। চরিত্রটি হয়ে উঠে জনপ্রিয়তার একক।
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৬
জেন রসি বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দু ধর্মের কিছু দর্শন, জেন বুদ্ধিজম, তাওইজম এসবের সাথে ইসলামের সুফিজমের অনেক গভীর মিল আছে। সেসবের একটা প্রভাব হিমু চরিত্রের মধ্যে আছে। এবং হুমায়ূন আহমেদের মধ্যেও আছে। হুমায়ূন আহমেদের ধর্ম নিয়ে কিছু নিজস্ব বিশ্বাস ছিল। যা তিনি স্পষ্ট ভাবে বলে যান নাই। এক সাক্ষাতকারে বলেছেন তিনি এ ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলবেন না। এ দেশে না বলাটা আসলেই নিরাপদ ছিল। তিনি তাই উপন্যাসে সরাসরি বুদ্ধ বা রাসপুতিনের নাম বলেছেন। ইসলামকে সরাসরি আনেন নাই। সুফিজমকে মৌলবাদীরা ইসলামই মনে করেনা। আরো ব্যাপার আছে। ধরেন আমি বুদ্ধের প্রতি ভালোলাগা থেকেই( ফলোয়ার বা বিশ্বাসী না) কবিতায় খুব সহজে বলতে বুদ্ধের সাথে আড্ডা দেই! কেউ আমার গলা কাটতে আসবে না। ফতোয়া দেবেনা। কিন্তু একই লাইন আমি ভালোবাসা থেকেও যদি মুহাম্মদকে নিয়ে লেখি আমাকে ব্লগ থেকেও ব্যান করা হতে পারে। হাল্লাজের পরিনতিও আপনি জানেন। এসব ব্যাপারে হুমায়ূন খুব সতর্ক ছিলেন বলেই মনে হয়। তাই হয়তো তিনি বুদ্ধিজমের আড়ালে সুফিজমকে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
আপনি যেভাবে ভেবেছেন সেভাবেও ভাবা যায়! চমৎকার ভাবনা।
৯| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০০
অপ্সরা বলেছেন: জগতকে আবিস্কার করতে সমস্যা কোথায়? উপভোগ বা অনুভব এবং এক্সপ্লোর করার অপশন আছে মানুষের!
তা আছে তবে সমস্যাও কম নহে !
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩২
জেন রসি বলেছেন: একটা মুভির সংলাপ বলি।
"Danger is real, fear is choice"
১০| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৭
জে আর সিকদার বলেছেন: হিমুরা যুগ যুগ ধরেই পৃথিবীতে ছিল, আছে, থাকবে। শুধু দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য।
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: তার মানে এখন থেকে ফেয়ারলেস হয়ে ডেঞ্জারে ঝাঁপ দেবো!
যাকে বলে চোখ বুজে জলে ঝাঁপ !
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪২
জেন রসি বলেছেন: একদমই না! চোখ বুজে ডেঞ্জারে ঝাঁপ দেয় উন্মাদ বা ফ্যানাটিকরা। চোখ কান খোলা রাখুন। ডেঞ্জার আসলে তার মুখোমুখি দাঁড়ান। মাইন্ডফুল থাকেন।ফিয়ার এমনিতেই গায়েব হয়ে যাবে। অথবা হিমু হয়ে যেতে পারেন!
১২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: ঠিক ঠিক চোখ কান খোলা না রাখলে তো ....... কি হয় জানিই!
আর চোখ বুজে ঝাঁপ দিলেও ....
হিমু হওয়াই ভালো তার থেকে । মহিলা হিমু .....
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫১
জেন রসি বলেছেন: আজ থেকেই চর্চা শুরু করে দেন। এককাপ চা এবং একটা আকিজ বিড়ি দিয়ে।
১৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৩
অপ্সরা বলেছেন: আকিজ বিড়ি!! থুথু!!!!!!!!!!
আবার কুবুদ্ধি!!!!!!!!
১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৮
জেন রসি বলেছেন: আকিজ বিড়িতে সমস্যা থাকলে আবুল বিড়ি ট্রাই করতে পারেন! আর একেবারেই না পারলে বেনসন হলেও চলবে! আর চায়ের কাপে অবশ্যই কয়েকটা পিপড়া ভাসাভাসি করলে ভালো হয়!
১৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভালো লাগলো ।
১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১০
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: হিমু চরিত্রটার উপর আমার অনেক বিরক্তি ছিল । প্রধান বিরক্তি ছিল তার সংলাপের অনুমেয়তার জন্য ।
অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদ হিমুকে দিয়ে পরের সংলাপ কি দেয়াতে চাইছেন সেটা আমি পাঠক হিসেবে আগেভাগেই কেন বুঝতে সক্ষম হব ।
ধরা যাক, হিমু তার খালাকে বলল, খালা চা খাব। লাল চা, কম আদা দিয়ে চা খাব ।
খালা বলল, আচ্ছা তুই কিছুক্ষন বস, তোর খালু বাজারে গেছে সে এলেই একত্রে চা দিব ।
এর পরে আমি জানি যে কোন না কোন একটা বাহানা দিয়ে সেই চা পর্বটা আর আসবে না ।
যাইহোক, আপনার পোষ্ট ভাল লেগেছে । হিমুর প্রতি বিরক্তি কিছুটা কমেছে ।
হিমু অবশ্যই মধ্যবিত্ত যুবক দের একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নির্দেশ করে ,
১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০০
জেন রসি বলেছেন: হিমু প্রেডিক্টেবল চরিত্র ছিল। শুধু হিমুনা। হুমায়ূনের সব চরিত্রই প্রেডিক্টেবল। একই টাইপ লেখা তিনি বারবার লিখে গেছেন। এবং পাঠক এই টাইপটার প্রতিই অবশেসড ছিল। এবং হুমায়ূন আহমেদের লেখার একটা বিশাল জায়গা জুড়েই ছিল মধ্যবিত্তের মনস্তত্ত্ব। তবে হিমুর চরিত্রে আকর্ষন করার মত কিছু ব্যাপার ছিল। যা পাঠকদের একধরনের উন্মাদনার জায়গায় নিয়ে গেছে। হিমুকে অনেকভাবেই বিশ্লেষন করা যায়। আমর এই বিশ্লেষনও অসম্পূর্ণ। হঠাৎ আজ মনে হলো হিমুকে নিয়ে কিছু লেখি। তাই লিখলাম। এই আরকি।
১৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হিমুকে আধুনিক জমানার ভূত হিসেবে কল্পনা করতে পারেন! বিশেষত এই ভুত- বই পড়ুয়া তরুণ/তরুণীদের আছর করে!!
আমার মধ্যেও কিছুদিন ছিল। এরপর রিয়েল লাইফের মন্ত্র পড়ে ফুঁ দেয়াতে বেচারা উবে গেছে!
হিমুর চিন্তাভাবনা নিয়ে চিন্তা কমবেশি করেছি তবে, হিমুর অদ্ভুত কাজ কারবার নিয়েই মজেছি বেশি। বিশেষ করে অদ্ভুত সব কাজকারবার নিয়েই যত আকর্ষণ! এর ফাঁকে ফাঁকে আবার শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সাথে অদ্ভুততূড়ে লড়াই! আর শেষমেষ প্রতিপক্ষ নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাওয়া!!
হুমায়ুন আহমেদ আসলেই অনেক বড় মাপের স্রষ্টা। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ আসতে পারবে বলে সহসা মনে হয় না।
পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!
১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৪৪
জেন রসি বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ একই টাইপের গল্প একই স্টাইলে বারবার এমন ভাবে বলতে পারতেন যে পাঠক বারবার তা শুনতে চায়। হিমু চরিত্রটা খুব সহজেই মানুষকে আকর্ষন করে। এবং একটা বিশেষ বয়সের পাঠককে তা প্রায় সম্মোহিতই করে ফেলে। তবে একটু গভীর ভাবে হিমু চরিত্রটি পর্যবেক্ষন করলে কিছু ইন্টারস্টিং ব্যাপার লক্ষ করা যায়। তেমন কিছু কথাই এ পোস্টে বলেছি। হিমু আসলে একটা সাইকোলজিক্যাল এনটিটি যা বিভিন্ন ভাবে সবার অবচেতন মনে আছে। লেখক আউট অব নাথিং এ চরিত্র সৃষ্টি করেন নাই। বরং বেশ কিছু প্রাচীন আধ্যাত্মিক দর্শনের ডিসকোর্স এই চরিত্রের সাথে রিলেটেড।
ধন্যবাদ গেম ভাই।
১৭| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:১৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি হিমুর ব্যাপারে বাস্তবিক ভাবেই অজ্ঞ।। সেই '৭৭থেকে ঘরছাড়া!! আজ পর্যন্ত তাই।।। মাাঝে ৩টা বছর পরিবারের সাথে থাকা!! আরেক হিমুইততো আমি, বাস্তবে।। না কি??
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
জেন রসি বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়লেই বুঝা যায় এই পরিবারের সাথে না থাকতে পারা, ঘরছাড়া হওয়ার ব্যাপারটা আপনাকে প্রবল দুঃখবোধে আচ্ছন্ন করে রাখে। হিমুরা এমন মায়াকে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করে। ভালো থাকুক সচেতনহ্যাপী ভাই।
১৮| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:২৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট পড়তে পেরে ভালো লাগলো, কৃতজ্ঞতা রইল ভাই পোষ্টে।
খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।
১৯| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: তোমাদের এই নগরে বইটি প্রথম পড়েই আমি হিমু ভক্ত হয়ে যায়।
আমি এখনও পর্যন্ত হিমু ভক্ত।
ইচ্ছে আছে হিমুকে নিয়ে লেখা সব বই গুলি পড়ব।
আপনার লেখাটি ভাল হয়েছে । ধন্যবাদ।
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
জেন রসি বলেছেন: হিমুর অনেক ভক্ত আছে আমাদের দেশে। তবে হিমুকে নিয়ে লেখা প্রথম কিছু বই তুলনামূলক ভাবে ভালো লেগেছে আমার কাছে। শেষের দিকে মনে হয়েছে লেখক লেখার জন্য লিখেছেন কিছু বই। ধন্যবাদ সোহেল ভাই।
২০| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: আবুল বিড়িও আছে নাকি! তবে আকিজবিড়ি যাই হোক আঁখি আপু মানে আকিজ সাহেবের মেয়ে উনাকে ভুলবোনা!
আমার দেখা পৃথিবীর একজন সুন্দর হৃদয়ের মানুষ !
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩
জেন রসি বলেছেন: আঁখি আপুর সাথে একদিন আকিজ বিড়ি টানতে টানতে আড্ডা দিতে পারেন।
২১| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ।
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
জেন রসি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই। শুভকামনা রইলো।
২২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: তার চেয়ে তোমাকেই এক ট্রাক পাঠায় দিতে বলবোনে!
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০০
জেন রসি বলেছেন: এখন পাঠাইয়া লাভ নাই! বিড়ি সিগারেটের মায়া থেকে আমি এখন মুক্ত! তবে কয়েকটা হাভানা চুরুট পাঠাইতে পারেন!
২৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
আরিফ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট, দিয়েছেন। ভালো লাগলো হিমু সম্পর্কে জেনে।
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৪
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৯
ওমেরা বলেছেন: আমি তখন ছোট ,একদিন দেখি আমার বড়ভাইয়া একটা হলুদ পান্জাবী পড়ে বলছে আমি হিমু হবো । হিমু সম্পর্কে তেমন কিছু জানা নেই । আপনার লিখা থেকে কিছু জানা হল । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
জেন রসি বলেছেন: হিমু সম্পর্কে একেবারেই কিছু জানা না থাকলে এই পোস্ট কিছুটা দুর্বোধ্য মনে হতে পারে। হিমু সম্পর্কে জানতে চাইলে দুএকটা বই পড়ে ফেলতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সবসময়।
২৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হিমুরে ভালো লাগে। কিন্তু হিমুর ভাবধরাদের অসহ্য লাগে
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮
জেন রসি বলেছেন: হাহাহা.....এইটা একটা কামের কথা বলেছেন। তবে ভাবধরারা প্রবল অবসেশন থেকেই ভাব ধরার চেষ্টা করে। সেই মনস্তত্ত্বটা বুঝার চেষ্টা করা যেতে পারে।
২৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শায়মা আপু আবুল/আকিজ বিড়ির কথা শুনে হিমু হওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছে!!
১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮
জেন রসি বলেছেন: শায়মা আপুর হিমু না হলেও চলবে! তিনি নিজেও এক দিক দিয়ে ক্যারিশমাটিক চরিত্র। এটা তার হেটার্সদের উন্মাদনা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
২৭| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: তবে, হোনেস্টলি বলি-
একটু গভীর ভাবে হিমু চরিত্রটি পর্যবেক্ষন করলে কিছু ইন্টারস্টিং ব্যাপার লক্ষ করা যায়। তেমন কিছু কথাই এ পোস্টে বলেছি। হিমু আসলে একটা সাইকোলজিক্যাল এনটিটি যা বিভিন্ন ভাবে সবার অবচেতন মনে আছে। লেখক আউট অব নাথিং এ চরিত্র সৃষ্টি করেন নাই।
আমি আগের মন্তব্যে হিমুর ব্যাপারে আসলে নিজের মত দেইনি। হিমুর ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করে আমি যা যা দেখেছি, তার প্রায় সবটাই আপনার আলোচনায় এসেছে।
চলার পথে আমাদের জীবনটাকে আমরা জটিলভাবে নেবার একটা প্রবণতা থাকে। হিমুকে আপনি সে ব্যাপারে মেলালে মোটেও তা পাবেন না। বাদলের বাবা/ফুফুর সাথে যেভাবে পরিস্থিতি মেইনটেইন সে করে থাকে কিংবা মন্ত্রী/বড় কোনও সন্ত্রাসীকে মেইনটেইন করে সেইসব ব্যাপার আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে!
হিমুর মধ্যে বাস্তবতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উদ্ভট কার্যকরী কিছু কৌশল দেখেছি। সেগুলো বাস্তব জীবনে কেউ করতে চাইলে অবশ্য ভিন্ন/খারাপ কিছু হতে পারে। তাই হিমুগিরি করতে গিয়ে কেউ কেউ নিজের বারোটা বাজালেও বাজাতে পারেন!!
১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
জেন রসি বলেছেন: কাল্টের আধ্যাত্মিক গুরুদের কাজকারবার বা চর্চার মধ্যে এমন বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর মত কিছু ব্যাপার খুঁজে পাবেন। সেটা করেই তারা তাদের একটা অবস্থা তৈরি করে। আমাদের দেশের মন্ত্রীরা পীর ফকিরের মুরিদ এমন উদাহরনও আছে। তবে লেখক হিমু চরিত্রে সে ব্যাপারটা পুরোপুরি আরোপ করেন নাই।
এই লোক সম্পর্কে কিছু স্টাডি করে দেখতে পারেন
২৮| ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহ! কত দিন যে হিমুতে বুঁদ হয়ে ছিলাম।
হিমু গ্রন্থ সমুহ থেকে চরিত্র হিমুর চরিত্রের সুলুক সন্ধান বেশ ভাল লাগলো ।
১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। শুভকামনা।
২৯| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হিমুরা বাধনে জড়ায় না । তবে হিমু চরিত্র কিছুটা সেছরা টাইপ । তারপরও তার আধ্যাতিক ক্ষমতা সবাই পছন্দ করে । আফটার অল সে মানুষের সেবায় ব্রত ।
১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই।
৩০| ১৯ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৪৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: হিমুকে নিয়ে লেখা প্রথমদিকের উপন্যাসগুলো ভালো লেগেছিল। কিন্তু পরপর অনেকগুলো পড়ে মনে হল একই জিনিস বারবার পড়ছি। তাই বিরক্তি চলে এসেছিল। হিমু চরিত্রটাকে তেমন পছন্দ হচ্ছিলনা। তাছাড়া এতটা ছন্নছাড়া, উদ্দেশ্যহীন মানুষ হবে সেটাও ভালো লাগছিলনা। (একান্ত ব্যক্তিগত মতামত) তবুও পড়বনা পড়বনা করেও মনে হয় সবগুলো পড়ে ফেলেছি। সাধারণত নায়ক চরিত্রগুলো মেয়েদের বেশি পছন্দ হয়। কিন্তু একমাত্র হিমু চরিত্রটাই বোধহয় মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের বেশি আকৃষ্ট করেছে। যাই হোক আপনার লেখা পড়ে এখন মনে হচ্ছে হিমু চরিত্রটা একেবারে ফেলনা না। কিছু গূঢ় অর্থ আছে এর মধ্যে। আমার কাছেতো আগে কেবল একটা ভবঘুরে চরিত্রই মনে হত। আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ জেন রসি ভাই। ভালো থাকুন।
১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
জেন রসি বলেছেন: প্রথমদিকের উপন্যাসগুলো আমার নিজের কাছেও তুলনামুলক বেশী ভালো লেগেছিল। পরে মনে হয়েছে লেখক লেখার জন্য লিখছেন। একটা নির্দিষ্ট বয়সের ছেলেরা খুব প্রবল ভাবেই হিমু চরিত্র দ্বারা আকৃষ্ট হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
পারভেজ রশীদ বলেছেন: খুব চমতকার পোস্ট।
১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩২| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:২২
স্পর্শ বিন্দু বলেছেন: পড়ার জন্য আসলাম। এসেই চাঁদগাজী স্যারের কমেন্ট পড়লাম। খুব মজা পেলাম। খুব ভালো কিছু পড়লে যেমন আর কিছু পড়তে ইচ্ছে করে না তেমন আর কিছুই পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না।
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১২
জেন রসি বলেছেন: হা হা হা.......বেশ বলেছেন। চাঁদগাজী ভাইয়ের পোস্ট এবং মন্তব্য আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৩| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: একসময় এই হিমু চরিত্র যথেষ্ট টেনেছে, তবে এখন আগ্রহ পাই না.........
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৪
জেন রসি বলেছেন: খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ধন্যবাদ ভাই।
৩৪| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪২
হোসাইন রাব্বি বলেছেন: আমার মাঝে বাস করে আরেক হিমু।
ধন্যবাদ ভাই হিমুকে আবার স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১১
বিষাদ সময় বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ, পড়ে ভাল লাগলো। তবে হিমু বা হুমায়ুন আহমেদ এর বই কোনটাই খুব বেশি পড়ার চেষ্টা করিনি। কারণ উভয়টাই এক ধরনের এডিকশন। রিয়েলিটির কষাঘাতে যখন এডিকশনটা ছুটে যায় তখন সেই হ্যংওভারটা হজম করা খুব কঠিন হয়ে যায়।
২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৭
জেন রসি বলেছেন: এডিকশনও একরকমের বাস্তবতাই। অথবা বলা যেতে পারে যাপিত জীবনের প্রতিক্রিয়া। ধন্যবাদ বিষাদ সময়। শুভকামনা।
৩৬| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
অর্কিড। বলেছেন: ভালো লাগলো
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৭| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,
হিমু সম্পর্কে আমার ধারনা নেই তেমন । তাই ও ব্যাপারে মন্তব্য করছিনে ।
তবে নিজেকে জানার ভেতর দিয়ে সৃষ্টিকে জানা যায় এটা বিশ্বাস করি বলেই এ কথাটি আমিও বলি ----
"বহুরূপে সম্মুখে তোমার
ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?"
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ জী এস ভাই।
ঈদের শুভেচ্ছা।
৩৮| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হিমুকে নিয়ে অআপনার নীচের বলা কথাগুলি খুবই মনপুত হয়েছে । সুন্দর বিশ্লেষন ।
ঈদ শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই।
ঈদ মোবারক।
৩৯| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৯
জোকস বলেছেন: "ঈদ মোবারক"
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
জেন রসি বলেছেন: ঈদ মোবারক।
৪০| ২৬ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২০
নাগরিক কবি বলেছেন: ঈদ মুবারক ভাই
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
জেন রসি বলেছেন: ঈদ মোবারক কবি।
৪১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভালো লাগলো হিমু সম্পর্কে আপনার বিশ্লেষণ পড়ে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৪২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫২
একলা ফড়িং বলেছেন: স্কুল ছেড়ে কলেজে ভর্তি হলাম যখন, তখনই মাত্র তিন গোয়েন্দা বা এই জাতীয় থ্রিলার, হরর ছেড়ে টুকটাক হুমায়ূন পড়তে শুরু করেছিলাম। হিমু খুবই বিরক্তিকর লাগতো! কিন্তু একটা সময়ে এসে প্রবলভাবে হিমুর প্রেমে পড়ে গেলাম! অদ্ভুত এক মায়া কাজ করত। রাত জেগে জোৎস্না দেখা বা উদ্দেশ্যহীন রাস্তায় হাঁটাহাটির স্বভাব এমনিতেও ছিল আমার। ভাবতাম কোন পিছুটান না থাকলে ভাল হত! মহিলা হিমু হয়ে যেতাম!!
হিমুপোখ্যান ভালো লেগেছে। আফটার অল প্রাক্তন প্রেমিক বলে কথা!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৫
জেন রসি বলেছেন: হা হা .....আপনার প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে লেখা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। বলেছেন প্রথমে বিরক্ত লাগত। পরে অদ্ভুত এক মায়া কাজ করত। এটা কি একটা মুক্ত জীবন কাটানোর আকাঙ্ক্ষা থেকে?
৪৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: হিমু হইলো বাঙালির আদর্শ চরিত্র ! বাঙালি হিমুর মতোই ভ্যাগাবন্ড, বেকার, আকাইম্মা সন্যাসী দার্শনিক হওয়ার স্বপ্ন লালন করে ! পরের ঘাড়ে চড়িয়া জীবন পার করিতে চায়।সহজ প্রেম হাতে পাইয়াও ঠেলে, কারণ সুখে থাকতে ভুতে কিলায় , দুঃখবিলাস ভালো লাগে!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আসলে বাঙ্গালির উচিৎ সবসময় আপনার মত জিহাদি জোসে থাকা!
৪৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন:
আমিওতো বাঙ্গালীরে ভাই , তয় পাঁঠাদের বিচি ফেলাইয়া থাকি ! ইহাকে জিহাদি জোশ বলিলেন ?
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৩
জেন রসি বলেছেন: পাঁঠাদের বিচি ফেলা! বেশ চমৎকার অবসেশন!
৪৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
কালীদাস বলেছেন: হ্যাঁ, হিমুর বাবার উল্লেখ করা কোটেশনগুলোর সাথে বৌদ্ধধর্মের খানিকটা মিল মনে হয় আমারও চোখে পড়েছিল (কয়েক জায়গায় ভন্ডামিও মনে হয়েছে)। হিমুর নিজের চিন্তাভাবনা অনেক জায়গাতেই কিন্তু ধোয়াটে রাখা হয়েছে। যেমন, হিমু মা ছাড়া বড় হওয়ার যে কোটেশনটা উল্লেখ করেছেন, হিমুর কোন একটা বইয়ে হিমু এবং হিমুর খালু সম্ভবত ক্লেইম করেছিল যে হিমুর মাকে হিমুর বাবা নিজেই খুন করেছেন।
হিমুর রোমান্স পুরাই একটা ফাতরামি। তবে রুপার প্রতি হিমুর ফিলিংসটা টের পাওয়া যায়। মুটামুটি পরিষ্কারই।
হাসান ভাইয়ের বক্তব্যটা আমার মনমত হয়েছে। পোজারগুলোর কাজকর্ম আসলেই বিরক্তিকর।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৮
জেন রসি বলেছেন: হিমুর বাবা একজন সাইকোপ্যাথ ছিলেন। যা খুব স্পষ্ট ভাবেই লেখক আমাদেরকে বলেছেন। সে হিমুকে নিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্টর করতে চেয়েছে।
কামনা বাসনার সাথে তথাকথিত বিশুদ্ধতার একটা দ্বন্দ্ব হিমুর রোমান্সে দেখা যায়। এই দ্বন্দ্ব লেখকের নিজের মাঝেও থাকতে পারে।
৪৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০০
কালীদাস বলেছেন: লিংকের লেখাটাও পড়লাম খুব দ্রুত। বেশ ভাল লিখেছেন ভদ্রলোক, অনেক গোছানো।
হিমু মামা নামে একটা ছোটদের বই মনে হয় ছিল হুমায়ুনের। পড়েছিলেন নাকি? না পড়লে ট্রাই করে দেখতে পারেন। হিমুর সাইকোলজির পাবলিক ইমপ্লিমেন্টশনের সাইড এফেক্ট ভালই এসেছিল বইটাতে
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১৩
জেন রসি বলেছেন: মুরাদুল ইসলাম বেশ ভালো বিশ্লেষণ করেছেন।
হিমুর মামা পড়েছি। আসলে ঠিক যে কারনে কাল্ট, ধর্মগুরু, স্পিরিচ্যুয়াল লিডারদের দ্বারা মানুষ প্রভাবিত হয় তেমন কিছু কারনেই কেউ কেউ হিমু চরিত্র দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত হরেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
হিমু হিমু করেন অনেকেই; এগুলো আমাদের মত পেছনেপড়া দরিদ্র সমাজে কস্টকে ধারণ করার নাটকীয় রূপ মাত্র।