নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু পর্যবেক্ষণ এবং.......

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫



শুরু

জঙ্গলে তিনটি হরিণ আছে। শিকারি আছে একশো জন। এদের মধ্যে জন্মান্ধ আছে। বিকলাঙ্গ আছে। অপুষ্টিতে ভোগা দুর্বল মানুষ আছে। তবে জঙ্গল সবার জন্য মুক্ত। অর্থাৎ যে হরিণ শিকার করতে পারবে, মাংস তার। হরিণের চামড়াও তার। এটা একটা প্রতিযোগিতা। সবার অংশগ্রহনের সুযোগ আছে। এদের মধ্যে দুএকজন শিকারী শেষ পর্যন্ত হরিণের মালিক হবে। বাকিরা যেহেতু হেরে গেছে তাই তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্য নেই আর। তবে তাদের হাতে দুটো অপশন আছে। তারা সবাই এক হয়ে মাংসের দখল নিতে পারে। অথবা বিজয়ীদের শ্রম দাস হওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু করে দিতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা বেশ কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে যায়। তাদের কেউ কেউ বিজয়ীদের বিভিন্ন ভাবে সেবা করে সারভাইভ করার চেষ্টা করে। কয়েক জন জাগতিক বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করে আধ্যাত্মিক পথে মুক্তির উপায় খুঁজে। এবং কয়েকজন বিদ্রোহ করে। কেউ কেউ আবার কোনটাই পারেনা। তারা ঝিম মেরে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করে।

আপাতত গল্প থাক। এবার কিছু বাস্তব ঘটনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক।

সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে

এদেশের হিন্দুরা ধর্মীয় কারনে নির্যাতিত হলে, সে ঘটনা নিয়ে নানা রকম বিচার বিশ্লেষন করা হয়। যে যার যার বিশ্বাস, মতাদর্শ কিংবা যুক্তির আলোকে ব্যাখ্যা দেয় এবং সমাধানের কথাও বলে। এদের মধ্যে নাস্তিক, বাম, ডান, উগ্র মুসলিম কিংবা হিন্দু, মডারেট মুসলিম বা হিন্দু, বাম ঘেঁষা সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং হেফাজতে ইসলামের মত সংগঠন সবই আছে। এদের ন্যারেটিভ ভিন্ন। এবং পরষ্পর বিরোধী। তবে মিলটা পাওয়া যায় সবার উপসংহারে। উপসংহারটা হলো হিন্দুদের জানমালের উপর আঘাত করাটা ঠিক হয়নি। এটা অন্যায় কাজ। অর্থাৎ এই ব্যাপারে নাস্তিক থেকে শুরু করে উগ্র মুসলমান, বাম, ডান, মধ্যপন্থী সবার মতই এক। কিন্তু তারপরও দেখা যায় এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। অর্থাৎ কারো ব্যাখ্যা, বিশ্লেষন বা দেখানো সমাধানই প্র্যাকটিক্যালি কাজ করছেনা। কারন এদের মধ্যে এক বা একাধিক পক্ষ মুখে যা বলছে প্র্যাকটিক্যালি ঠিক তার উল্টা কাজটাই করছে। বা চাচ্ছে। ধর্মীয় আগ্রাসনের কারন শুধু ধর্ম নয়। এর সাথে ব্যাক্তি মানুষ, মনস্তত্ত্ব, সমাজ, রাজনীতি সবই রিলেটেড থাকে।

রাষ্ট্র, ধর্ম, রাষ্ট্রধর্ম এবং সেক্যুলারিজম

সেক্যুলারিজম মানে ধর্মনিরপেক্ষতা নয়। সেক্যুলারিজম মানে ধর্মহীনতা। একটা রাষ্ট্র সেক্যুলার হওয়া মানে সে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারবেনা। অর্থ্যাৎ সে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, প্রশাসন ইত্যাদি ইত্যাদির কাজকারবারে ধর্মীয় মতবাদ, আইনকানুন এসবের কোন প্রভাব থাকবেনা। ধর্ম পালনের ব্যাপারটা হবে নাগরিকদের যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এবং কেউ কারো উপর এ ব্যাপারে বলপ্রয়োগ করতে পারবেনা। বলপ্রয়োগ করলে রাষ্ট্র সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। মোটাদাগে এটা হচ্ছে তত্ত্ব। তবে এই তত্ত্ব প্রয়োগ বা চর্চা যারা করবে তারা মানুষ। এরা রাষ্ট্রের শাসক হতে পারে। আবার শোষিত কিংবা সুবিধাভোগী জনগণও হতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো এইসব মানুষ যদি কোন নির্দিষ্ট ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসী হয় এবং একই সাথে রাষ্ট্রের কাজে অংশগ্রহন করে তবে ব্যাপারটা কি ঘটবে? ধর্মীয় বিশ্বাসের ভেতর থেকে তারা কিভাবে ধর্মহীন হবে সেক্যুলার রাষ্ট্রের প্রয়োজনে? কোন ধর্মে বিশ্বাস করা মানে সে ধর্মের প্রতিই পক্ষপাতিত্ব করা। এক ধর্মের পক্ষে থেকে রাষ্ট্রের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একজন মানুষ কিভাবে তার ধর্মীয় বিশ্বাসকে দূরে সরিয়ে রাখবে? এবং একই সাথে সেক্যুলার হওয়া এবং মানুষকে যার যার ধর্ম তার মত পালন করতে দেওয়া বাস্তবিক অর্থে কতটুকু সম্ভব। এসব সমস্যা নিয়ে মানুষে মানুষে কনফ্লিক্ট চলছে। যার প্রতিক্রিয়ায় কেউ প্রবল ধর্মবিদ্বেষী হয়ে যাচ্ছে। কেউ হয়ে যাচ্ছে সেক্যুলার বিদ্বেষী। কেউ বা মধ্যপন্থী হয়ে নিজেকে নিজে সান্তনা দিচ্ছে। উদাহরন হিসাবে ভারতের কথা বলা যায়। দেশটি কাগজে কলমে সেক্যুলার। সেখানে প্রকৃত অর্থেই অনেক সেক্যুলার বুদ্ধিজীবী এবং মানুষ রয়েছে। আবার দেশটির ক্ষমতায় আছে একটা ধর্মান্ধ দল। সেখানে প্রচুর ধর্মান্ধ মানুষ রয়েছে। ফলে সব মিলে কালচারাল কনফ্লিক্ট অনিবার্য সেখানে। ভবিষ্যতে তারা বিষয়টা কিভাবে রিসলভ করে সেটা দেখার বিষয়। রাষ্ট্র, ধর্ম, সেক্যুলারিজম সবকিছুই আসলে সমস্যার সমাধান হিসাবে মানুষের সৃষ্টি করা তত্ত্ব। যা আবার একই সাথে সমস্যার কারনও। তবে এভাবেই মানব সমাজ বিবর্তিত হয়। হয়তো কোন এক সময় দেখা যাবে ধর্ম, রাষ্ট্র, সেক্যুলারিজম বলে কোন টার্মই মানব সমাজে আর এক্সিস্ট করছে না।

ফেমিনিজম

নারীবাদীদের বিরুদ্ধে লিবারেল নারী পুরুষদের একটা জনপ্রিয় যুক্তি হলো নারীবাদীরাও প্রতিক্রিয়াশীল। তারা পুরুষ বিদ্বেষী। এবং তারাও পুরুষবাদীদের মত কর্তৃত্ব দখল করতে চায়। অর্থাৎ লড়াইটা কর্তৃত্ব দখলের। তাদের মতে উভয় পক্ষেরই উচিৎ লিঙ্গ রাজনীতির বাইরে এসে মানবতাবাদী হওয়া। আমি নিজেও এই মানবতাবাদী হওয়ার অপশনটাকেই বেটার অপশন মনে করি। তাত্ত্বিক দিক থেকে আমি এই মতের সাথে একমত। তবে বিষয়টাকে ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ন্যাচারাল সাইন্স এবং চলমান বাস্তবতার আলোকে নির্মোহ ভাবে দেখলে কিছু ব্যাপার উপলব্ধি করা যায়। ফেমিনিজম একটা মুভমেন্ট। যা আকাশ থেকে এসে মাটিতে পরে নাই। এটাকে দীর্ঘ সময়ের সাপ্রেশনের একটা প্রতিক্রিয়া বলা যায়। পুরুষদের কর্তা হতে চাওয়ার হাজার বছরের বাসনা বা চর্চার বিরুদ্ধে এটা নারীদের একটা পাল্টা অবস্থান। ফলে সংঘাত অনিবার্য। এবং এই সংঘাত থেকেই একটা বেটার সিনথিসিস একসময় বের হয়ে আসবে। যেমন লিবারেলরা লিঙ্গ বৈষম্য এবং রাজনীতির বলয় থেকে বের হয়ে এসে যেভাবে মানবতাবাদী হওয়ার কথা ভাবছেন। বাট এইভাবে ভাবানোর জন্যই নারীবাদের সাথে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দ্বন্দ্বটা প্রয়োজনীয় ছিল এবং আছে। পুরুষদের একক কর্তৃত্ব একটা অপশন। কর্তৃত্ব নিয়ে নারী পুরুষের দ্বন্দ্ব তার চেয়ে বেটার অপশন। তার পরের অপশনটা হচ্ছে মানবতাবাদ। কিন্তু প্রথম স্টেপ থেকে লাফ দিয়ে থার্ড অপশনে আসা যেতনা। যার জন্যই নারীবাদীদের মুভমেন্টটা প্রয়োজনীয় মনে করি।

মার্কেটের ধর্ম

ফ্রি মার্কেটে কাস্টমারদের কথাই শেষ কথা। তাই তাদের চাওয়া এবং সিদ্ধান্ত নেওয়াটাকে প্রভাবিত করতে পারাই মার্কেটারদের আসল খেলা। কাস্টমারদের অনেক প্রবনতার মধ্যে একটি হচ্ছে কম খরচে বেশী সেবা গ্রহন করা। তাদের মধ্যে যদি এমন ধারনার জন্ম হয় যে তারা ”ক“ এর চেয়ে “খ” এর কাছ থেকে কম খরচে বেশী সেবা পাচ্ছে তবে তারা “খ” কেই প্রেফার করবে। একারনেই যারা উবার এবং সিএনজি দুটোর সেবাই গ্রহন করেছেন তারা উবারের প্রতি বেশী আগ্রহী হচ্ছেন। তাদের হাতে এখন তুলনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা অপশন আছে। আর এই অপশনটা ক্রিয়েট করে যাত্রীদের প্রভাবিত করতে পারাটাই উবার কিংবা পাঠাও সার্ভিসের সফলতা। অপর দিকে সিএনজি মালিক এবং চালকরা এতদিন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন মার্কেটে অধিক টাকা বাগিয়ে নেওয়ার সুযোগটা উপভোগ করছিল যা এখন চ্যালেন্জের সম্মুখীন। তবে তাদের সারভাইভ করার প্রয়োজনে তারা আরো একটা রাস্তা খোলা রেখেছে। তারা একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গঠন করতে পেরেছে। যার সাথে পলিটিক্যাল নেতা এবং গডফাদাররাও যুক্ত। ফলে প্রয়োজনের সময় এরা প্রশাসনকে প্রভাবিত করে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া কিছু সময়ের জন্য কাজ করলেও লং টার্মের জন্য বিপদজনক। পলিটিক্যাল লিডার এবং গডফাদাররা যখন দেখবে যাত্রীরা উবার বা পাঠাও কে প্রেফার করছে তারাও সেদিকে ঝুঁকে যাবে। এবং নিজেদের প্রয়োজনেই তার প্রসার ঘটাবে। তাই লং টার্মের হিসাব নিকাশে গেলে সিএনজি ড্রাইভারদের উচিৎ হবে কাস্টমার ফ্রেন্ডলি সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেবার মান বাড়ানো। সেবা দিয়ে তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা। নিজেদের সারভাইভের জন্যই তাদের এটা করা উচিৎ।

শাসক, রাজনীতি, জনগণ

সেনাবাহিনী, পুলিশ, প্রশাসন এবং মিডিয়া পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। এরা নিয়ন্ত্রণে থাকলে জনগনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনটা ভেবে ক্ষমতাবানরা অনেক সময় মাস পিপলের সেন্টিমেন্টকে অগ্রাহ্য করে। তাদের ক্ষোভ, চাওয়া পাওয়া এসবকে পাত্তা দেয়না। তবে মাস পিপল ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, প্রশাসন এবং মিডিয়া মুহূর্তের ভেতর ডিগবাজি দিতে পারে। এবং এ সময়টাতে অনেকেই জনগনের বিদ্রোহের ফসল নিজেদের ঘরে তুলতে চায়। যেমন অনেকসময় দেখা যায় এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় চলে আসে। জনপ্রিয়তা হারানোটা তাই যেকোন শাসকের জন্য খুব রিস্কি একটা ব্যাপার।

অনুমান

রেস্টুরেন্টে খাওয়া সার্ভ করছে রোবট। একসময় কল কারখানায় মানুষের বদলে রোবট কাজ করবে। গাড়ি ড্রাইভ করবে রোবট। মানুষের ঘরের কাজ করে দেবে রোবট। ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুব প্রবল। এমন কিছু ঘটলে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ জবলেস হয়ে যাবে। মেশিন এবং প্রযুক্তি হবে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। এবং তারা হারবে। যাদের হাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকবে তারা হবে সুপারম্যান বা সুপারপাওয়ার। যাদের হাতে থাকবেনা তারা হবে অবমানব।( বর্তমানেও এমনটাই হচ্ছে)। হারারি তার "Homo Deus: A brief History of Tomorrow” বইতে ব্যাপারটা খুব চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও লক্ষণ দেখেই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিখুঁত অনুমান করা কারো পক্ষেই সম্ভব না। কারন মানুষ একই সাথে প্রেডিক্টেবল এবং আনপ্রেডিক্টেবল।

উপসংহার

একটা ঈগল প্রতিদিন প্রমিথিউসের লিভার খেয়ে তাকে হত্যা করে। কিন্তু সে আবার বেঁচে উঠে। এটা তার শাস্তি। তার অপরাধ সে জিউসের আদেশ অমান্য করে অলিম্পাস পাহাড় থেকে আগুন চুরি করেছিল। সে আগুন চুরি করে সে মানুষকে দিয়েছিল। এই প্রমিথিউস এবং জিউসের বাস মানুষের মনোজগতে। অলিম্পাস পাহাড়টাও সেখানে অবস্থিত। মানুষ প্রমিথিউস হয়ে আগুন চুরি করে। আবার জিউস হয়ে প্রমিথিউসকে শাস্তি দেয়। ঈগল হয়ে লিভার খায়। আবার প্রমিথিউস হয়ে আর্তনাদ করে। প্রতিদিন মরে যায়। আবার বেঁচে উঠে।

বি.দ্রঃ সাম্প্রতিক সময়ের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে হালকা পাতলা পর্যবেক্ষণ। যা ফেবুতেও স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোষ্টের ২য় অংশে ("রাষ্ট্র, ধর্ম, রাষ্ট্রধর্ম, সেক্যুলারিজম ..." ) বলেছেন, "সেক্যুলারিজম মানে ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, সেক্যুলারিজম মানে ধর্মহীনতা"; এখানে আপনি মানব সভ্যতার গত ২ হাজার বছরের ডেফিনেশনকে বদলায়ে দিয়েছেন; সেক্যুলারিজম মানে ধর্মনিরপেক্ষতা।

ভারতে সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা আছে বলেই ২০ কোটী মুসলমান ওখানে থাকতে পারছে, পালিয়ে যাচ্ছে না; বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা না থাকাতে ২/৩ কোটী হিন্দু চলে গেছে

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

জেন রসি বলেছেন: ধর্মহীনতা বলতে বুঝিয়েছি রাষ্ট্র ধর্মহীন। এবং কিছু বেসিক সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করেছি। যার সমাধান হ্য়তো একসময় পাওয়া যাবে।

ভারত কাগজে কলমে সেক্যুলার। এটার প্রশংসা আমি করি। তবে বাস্তবিক অর্থে তারাও সাম্প্রদায়িক। আর আমরা সব দিক দিয়েই সাম্প্রদায়িক।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

শায়মা বলেছেন: আমার অবশ্য ইদানিং রবোট নিয়ে মারাত্বক চিন্তা হয়েছে। অপু তানভীর ভাইয়ার রোবোট বউ পড়ে চিন্তাটা বেশি বেড়েছিলো আজ আবার তোমার লেখায় রোবোট পড়ে আরও আরও বাড়লো। কি চিন্তা রোবোট নিয়ে? তা কিছুদিনের মাঝেই জানাবো। :)


রোবোট মানুষের শত্রু হবে নাকি মানুষ রোবোটের জানিনা তবে বেশ পুতুল খেলা খেলা ভাব হবে। আর রোবোটের চাবিটা নিশ্চয় থাকবে মানুষের হাতেই। কাজেই খুব বেশি চিন্তা নেই। তারা সব জব পেয়ে যাক কিন্তু তাদেরকেও চালাতে তো মানুষেরই প্রয়োজন হবে! কাজেই পালাবে কোথায়! :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

জেন রসি বলেছেন: রোবট পালাবে না। মানুষ পালাবে। পালানোর সময় রোবট চুরি করে ধরাও খেতে পারে।

পুতুল খেলা হতে পারে। তবে চাবির ব্যাপারটা খুব গোলমেলে। সেটা নিয়েইত মানুষে মানুষে যত যুদ্ধ।

রোবট নিয়ে আপনার ভাবনা চিন্তা জানার অপেক্ষায়। :)

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ক্ষুরধার পর্যবেক্ষণ , সব গুলিই চমৎকার!!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


Homo Deus, A Brief History of Tomorrow পড়া হয়নি, রোবট সম্পর্কে আপনি যা লিখেছেন, সেটা যদি এই বই পড়ে হয়ে থাকে, ধরে নিতে পারেন, ঐ লেখক আমাদের আবদুল গাফ্ফার চৌ, ড: এমাজুদ্দিন কিংবা মাহমুদুর রহমানের সমকক্ষ; এরা টেকনোলোজী বুঝে না; রোবট বানাতে মানুষের ২০০০ বছরের বেশী সময় লেগেছে, রোবটের দ্বারা যেসব কাজ করাচ্ছে, এসব কাজ করাতে কোটী কোটী মানুষ ট্রিলিয়ন ঘন্টা ব্যয় করছে; রোবটকে মানুষের ২৫% প্রয়োজনীয় কাজের উপযুক্ত করতে মিলিয়ন বছর লাগবে; ততদিন মানুষ থাকবে না।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জেন রসি বলেছেন: পড়া না থাকলে পড়ে ফেলুন। চমৎকার বই। আপনার এনালজিগুলো মাঝেমাঝে যৌক্তিক মনে হয়না।

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

শামচুল হক বলেছেন: খুব সুন্দর পর্যালোচনা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপাতত গল্প থাক!!
গল্প করে আর লাভ কি
বাস্তবতার কষাঘাতে
জনজীবন পর্যুদস্ত
চাল কিনতে কিনতে
নাভিশ্বস উঠে গেছে
পেয়াজের বাজার আক্রা !!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

জেন রসি বলেছেন: বাস্তবতার সাথে মানুষের সবসময়ই এক ধরনের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক থাকে। ধন্যবাদ ভাই।

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তুমি হাকিম হইয়া হুকুম কর
পুলীশ হইয়া ধর
সর্প হইয়া দংশন কর
ওঝা হইয়া ঝাড়....

উপসংহারের আকুতি যুগযুগান্তে কত ভাবেই না প্রকাশ হচ্ছে :)

++++++++++

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১

জেন রসি বলেছেন: মানুষকে যুগে যুগে ফিকশন বানিয়ে তার ভেতর বাস করতে হয়েছে।

ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই। :)

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

আল ইফরান বলেছেন: ১ম পয়েন্ট সংখ্যালঘু ইস্যুঃ আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠরা তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি যার দায় আমাদের সকলের।
২য় পয়েন্টঃ সেক্যুলারিজম নিয়ে আরো ইতিবাচক চিন্তা দরকার, কারন যেই ওয়েস্টফেলিয়ার চুক্তির মাধ্যমে এই রাস্ট্র নামক যন্ত্রের জন্ম তাদের উদ্দেশ্যই ছিলো ধর্মকে শাসনব্যবস্থা থেকে আলাদা করা। এই তত্ত্বের কারনে না, রাস্ট্র নামক এক অদ্ভুত আইডিয়ার কারনেই যত সমস্যা তৈরি হয়েছে। পুজিবাদের মুল আইডিয়া হচ্ছে যত বেশী বিভাজন তত বেশী লাভ, বাকীটা সহজ সমীকরন।
৩য় পয়েন্টঃ মার্কেট ইকনমির প্রধান প্যারাডিম হচ্ছে এক্সপ্লোয়টেশান, যে যত বেশী এক্সপ্লোয়েট করবে তার পকেট তত বেশী ভারী। আখিরাত-হাশর ময়দান তো আমাদের মত সাধারনের চিন্তার বিষয়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

জেন রসি বলেছেন: রাষ্ট্র সেক্যুলার না হলে সে বায়াসড আচরণ করবে। বিশেষ করে ক্ষমতাবানদের যদি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ধর্মান্ধদের সাথে হাত মিলাতে হয়, তবে তারা অনেক উয়ায়েই সেটা করতে পারে। তবে চেক এ্যান্ড ব্যাল্যান্স না থাকলে তারা খুব নগ্ন ভাবেই সেটা করবে।

সেক্যুলারিজম একটা সমস্যার সমাধান। যেমন রাষ্ট্র এবং ধর্মও সমাধান। তবে বাস্তবে তিনটাই একে অপরের জন্য সমস্যা যখন তারা একসাথে চলে। এই সমস্যাটা ইন ফিউচার কিভাবে সমাধান করা হবে সেটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার।

এক্সপ্লোয়েট করার জন্য মানুষদের বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করতে হয়। মনুষের কগনিটিভ ম্যাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এই আরকি!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

সোহানী বলেছেন: কিছু অংশে সহমত কিছুতে দ্বিমত। আসবো আবার বিশ্লেষন নিয়ে।

তবে গাজি ভাইয়ের মন্তব্য, "ভারতে সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা আছে বলেই ২০ কোটী মুসলমান ওখানে থাকতে পারছে, পালিয়ে যাচ্ছে না; বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা না থাকাতে ২/৩ কোটী হিন্দু চলে গেছে"। কথাটা একবারেই মানতে পারছি না।

গাজি ভাই, আপনি কি বলতে পারবেন একজন ও হিন্দু শুধু অত্যাচারের কারনে চলে গেছে? না তারা গেছে তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য। আর ভারতের মুসলিম নিধনের কাহিনী, দাঙ্গা বা গুজরাটের কাহিনী কতটুকু আপনি জানেন বলতে পারবো না তবে আমি অনেকটুকুই তখনকার পত্রিকার কল্যান্যে জেনেছিলাম। আর প্রত্যক্ষদর্শী কমলা ভাসিন, মনে হয় নাম শুনেছেন আইএলওর জেন্ডার বিশেষজ্ঞ, তার কাছে ডিটেউলস শুনেছিলাম।

যাহোক, অনেকদিন হয়তো বিদেশ আছেন তাই ওখানকার হিন্দুরা যাই বলে তাই আপনি সত্য ধরে নিচ্ছেন.... দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এমন কোন বড় পদ নেই যেখানে হিন্দু প্রমোশন পায়নি। রেশিও দেখলে বুঝতে পাবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হিন্দু মুসলিম কেন ভাগ করছেন? এরা সবাই বাংলাদেশী, কিছু হলে সবাই পাশে দাড়াঁবো।

ভালো থাকুন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

জেন রসি বলেছেন: আমি দ্বিমত পছন্দ করি। কারন তাতে করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা যায়। সুতরাং অবশ্যই দ্বিমত পোষন করতে আসবেন। :)

ভারতের উদাহরণটা আমি দিয়েছি কারন ভারত একই সাথে সেক্যুলার রাষ্ট্র এবং প্রচণ্ড রকম সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। সেখানে কনফ্লিক্টটা প্রবল। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে ভারতের ভেতর উগ্র হিন্দুদের বিভিন্ন দল, সংগঠন যেমন আছে তেমনি বেশ কিছু মুসলিম জঙ্গি গ্রুপও সক্রিয় আছে। বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিয়ে একটা রাষ্ট্র যখন সেক্যুলার হতে চায় তখন ঠিক কি ধরনের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা বুঝার জন্য ভারত একটা পারফেক্ট দেশ।

আমাদের দেশের রাষ্ট্রধর্ম ঠিক করা আছে। রাষ্ট্র সাংবিধানিক ভাবেই স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে সে বায়াসড।

চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্যের ব্যাপারে বলতে হয়, তিনি কিছু ব্যাপার জেনারালাইজ করে ফেলেছেন।

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

রাতুল_শাহ বলেছেন: ফেমিনিজম- ঘরে বাইরে আলোচ্য বিষয়। দ্বন্দ্ব সংঘর্ষের বিষয়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

জেন রসি বলেছেন: চলুক আলোচনা।

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

রাতুল_শাহ বলেছেন: হিন্দু বিদ্বেষের মূলে হচ্ছে মুসলিম সমাজের শিক্ষার অনগ্রসরতা।

হিন্দু সমাজ আধুনিক শিক্ষাকে গ্রহণ করে এগিয়ে যাচ্ছে, পক্ষান্তরে মুসলিমরা এখনও ধর্ম শিক্ষার বাইরে, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত না।
সো তারা পিছিয়ে পড়ৃছে, এবং হিন্দুদের এক প্রকার দোষারোপ করছে।

ভারতীয় মুসলিমদের অনেকের বক্তব্য - ভারত হিন্দু জনগনকে গ্রহণের জন্য সবসময় দরজা খোলা রেখেছে। কিন্তু মুসলিম দেশগুলো মুসলিমদের জন্য দরজা কখনও খোলা রাখেনি।

বেকারত্ব একটা বিশাল সমস্যা, সরকারী চাকুরীতে হিন্দু ছাত্ররা ভালো করছে, ফলে একদল মানুষ মনে করছে ভারতীয় প্রভাবে এসব হচ্ছে।
বিচারপতি সিনহার কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনে করুন।
তিনি যোগ্য ছিলেন, সবাই বললো তিনি হিন্দু ছিলেন। পরের আলোচনা না করলাম।

আমাদের ধর্ম দ্বন্দ্বের একটি কারণ তথাকথিত অলৌকিক ধর্ম গল্প। এর প্রভাব কি ভয়াবহ, ধর্মান্ধের সৃষ্টির পেছনে এসব অলৌকিক গল্প কাজ করে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

জেন রসি বলেছেন: হিন্দু বিদ্বেষের মূলে হচ্ছে মুসলিম সমাজের শিক্ষার অনগ্রসরতা।

হিন্দু সমাজ আধুনিক শিক্ষাকে গ্রহণ করে এগিয়ে যাচ্ছে, পক্ষান্তরে মুসলিমরা এখনও ধর্ম শিক্ষার বাইরে, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত না।
সো তারা পিছিয়ে পড়ৃছে, এবং হিন্দুদের এক প্রকার দোষারোপ করছে।


মুসলিমদের প্রতি হিন্দুদের যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ তার কারনও এটা। এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হিন্দুদের মধ্যেও এটা আছে। বঙ্কিমের ভূত অনেক শিক্ষিত হিন্দুদের ঘাড়ে চেপে আছে। মুসলিমরা একটা সময় আধুনিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহী ছিলনা। তবে যাদের এখন সুযোগ সুবিধা আছে তারা আগ্রহী হচ্ছে বেশ ভালো ভাবেই। এবং এ দেশে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত অনেক মুসলিমদের মাঝেও হিন্দু বিদ্বেষ দেখা যায়। শিক্ষার সাথে ধর্মীয় কালচারের সংঘাত। এটার কারন কি বলে মনে করেন?

বেকারত্ব একটা বিশাল সমস্যা, সরকারী চাকুরীতে হিন্দু ছাত্ররা ভালো করছে, ফলে একদল মানুষ মনে করছে ভারতীয় প্রভাবে এসব হচ্ছে।

একটা বিশেষ দল ক্ষমতায় থাকলে সরকারী চাকুরীতে হিন্দু ছাত্ররা ভালো করেও চাকুরী পায়না। এমন অভিযোগও আমি শুনেছি। কারন ধরে নেওয়া হয় তারা আরেক দলের সমর্থক।

আমাদের ধর্ম দ্বন্দ্বের একটি কারণ তথাকথিত অলৌকিক ধর্ম গল্প। এর প্রভাব কি ভয়াবহ, ধর্মান্ধের সৃষ্টির পেছনে এসব অলৌকিক গল্প কাজ করে।

মিথ এবং বাস্তবকে আলাদা না করতে পারার অক্ষমতা মাঝেমাঝে ভয়াবহ সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়ায়।

গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


@সোহানী,
আপনি বলেছেন, "আর সবচেয়ে বড় কথা হিন্দু মুসলিম কেন ভাগ করছেন? এরা সবাই বাংলাদেশী, কিছু হলে সবাই পাশে দাড়াঁবো।"

-আমি ভাগ করছি না, আমি বাংলার সকল মানুষকে বাংগালী হিসেবে জানি; কিন্তু আজকের পোষ্ট, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে একটা অংশ আছে; ধর্ম থাকলে, মুসলিম, হিন্দু কথাটা আসবে; সেখান থেকে এসেছে।

গুজরাটে কি ঘটেছিল আমি আপনার কাছাকাছিই জেনেছি; তারপর, আপনি লক্ষ্য করেছন যে, গুজরাটের মুসলমানেরা ভারত থেকে পালিয়ে যায়নি; সেই রকম দাংগা যখনই হয়েছে বার্মায়, রোহিংগারা পালিয়ে এসেছে; ভারত ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ায় মুসলমানেরা পালাচ্ছে না, বার্মায় ধর্মীয়দের ভয়ে রোহিংগারা অস্হির।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

জেন রসি বলেছেন: গুজরাটে কি ঘটেছিল আমি আপনার কাছাকাছিই জেনেছি; তারপর, আপনি লক্ষ্য করেছন যে, গুজরাটের মুসলমানেরা ভারত থেকে পালিয়ে যায়নি; সেই রকম দাংগা যখনই হয়েছে বার্মায়, রোহিংগারা পালিয়ে এসেছে; ভারত ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ায় মুসলমানেরা পালাচ্ছে না, বার্মায় ধর্মীয়দের ভয়ে রোহিংগারা অস্হির।

গুজরাটের সে দাঙ্গার জন্য মোদীকে কসাই উপাধি দেওয়া হয়েছিল। সে মোদীকেই একটা সেক্যুলার রাষ্ট্রের নাগরিকরা ক্ষমতায় বসায়। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন?

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০

রাতুল_শাহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি দ্বিমত পছন্দ করি। কারন তাতে করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা যায়। সুতরাং অবশ্যই দ্বিমত পোষন করতে আসবেন।

কথাটা ভালো লাগছে। কথাটারে গোলাপ ফুল দিলাম

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

জেন রসি বলেছেন: কালো না লাল গোলাপ? ;)

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: কারণ হিন্দু মুসলিমদের পারস্পরিক যোগাযোগটা খুব কম। এজন্য শিক্ষিত হয়েও, আমরা ধর্মীয় কালচারের সাথে সংঘর্ষ যাচ্ছি।

আপনি দেখবেন আমাদের যেসব হিন্দু বন্ধু আছে, তাদের সাথে আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব খুব গভীর।

চাকুরীর ব্যাপারে কথা বলতে গেলে, অনেক সেনসিটিভ ইস্যু আসতে পারে, তাই এড়িয়ে গেলাম।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

জেন রসি বলেছেন: এ সমস্যার একদিন সমাধান হবে। তবে তার আগে নানামুখী সংঘর্ষ চলতে থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

রাতুল_শাহ বলেছেন: কোন গোলাপে ভালবাসা বেশি প্রকাশ হবে? যেইটাতে হবে সেইটা দিলাম।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২০

জেন রসি বলেছেন: হাহা....ধন্যবাদ ভাই।

১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

কালীদাস বলেছেন: আস্তিক/নাস্তিক ক্যাঁচালে কোনদিন নাক গলাইনি, ঐ টপিকে কিছু বলতে চাচ্ছি না। ফেমিনিজম: ওয়েল, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই অনেক ফেমিনিস্টকে (অনলাইন অফলাইন দুই জায়গাতেই) পোজার মনে হয়েছে। কিছুদিন আগে একটা পোস্ট দেখে হেসেছি অনেকক্ষণ, নারী ব্লগারদের ফেভার পাওয়ার জন্য ফেমিনিস্ট পোস্ট দিয়ে উল্টা হাসির পাত্র হয়েছে জনৈক ব্লগার।

সিএনজির ব্যাপারে খানিকটা খুঁতখুঁত লাগছিল সরাসরি কোন সাইড নিতে। কারণ জিনিষটা একতরফা না। ড্রাইভাররা বলে মালিক জমা নেয় বেশি। সত্য। কিন্তু মালিকরা জমা বেশি নেয় সেটারও কারণ আছে। নতুন সিএনজির দাম সাড়েতিন বা চারলাখ টাকা, পুরান সিএনজির দাম আঠারো বিশলাখের মত। কারণ নতুন সিএনজির পারমিট দেয়া হয়না এখন। এই দামটা ওঠানোর জন্য ধাপে ধাপে ভোক্তা লেভেলে গলাকাটা ভাড়া আসে। তবে ফাইনালি সিএনজি ড্রাইভারদের পক্ষে থাকতে পারিনি কারণ ভাড়া বেশি চাওয়ার মধ্যে জিনিষটা সীমাবদ্ধ না। একধরণের সিন্ডিকেট চালায় এরা রাস্তায়। সবাই জিম্মি। এখন বিকল্প আছে সবার কাছে। কার ঠেকা পড়েছে এদের বেশি ভাড়া দেয়ার? তবে সিএনজি উঠে গেলে বেকারত্বও বাড়বে এক দফা :(

লাস্টের পার্টে চুপ থাকলাম :(

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

জেন রসি বলেছেন: আস্তিক নাস্তিক ক্যাচাল না ভেবে আলোচনাও বলা যেতে পারে। অথবা বিষয়টাকে উপর থেকেও দেখা যেতে পারে। যেহেতু ব্যাপারগুলোর মধ্যে সমাধান এবং সমস্যা দুটোর উপাদানই আছে।

ফেমিনিজম নিয়ে এখন পক্ষে বিপক্ষে এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নানা রকম আলোচনা হবে। একটা সময় পর্যন্ত এটা চলবে।

সিএনজির ব্যাপারটা সব দিক থেকে ভেবেই বলেছি। কারন মার্কেটে সবাই স্বার্থপর। যে যার যার স্বার্থ বুঝবে। ফলে মালিক পক্ষ যে কোন সময় যে কোন দিকে ডিগবাজি খেতে পারে। সিএনজি চালকদের বেস্ট অপশন হচ্ছে ভোক্তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা। তাদের বেটার সেবা দেওয়া। রাস্তায় সিন্ডিকেট চালিয়ে বেশীদিন টিকে থাকা টাফ।

ধন্যবাদ ভাই। :)

১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এর চেয়ে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ আর হতে পারে না। সহমত। এভাবেই দেখতে হবে। আমরা রোবট নই, মানুষ। সব কিছুর ব্যাখ্যা এক রকম হতে পারে না। সময়, পরিবেশ, পরিস্থিতি এক এক সময় এক এক সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। যারা এসব মানতে চায় না তারাই, নাস্তিকতা, মানব ধর্ম, নারীবাদি, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক বিভিন্ন টার্ম ব্যবহার করে আরেক ধরনের মৌলবাদীতার পরিচয় দেয়...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




লেখা পড়ে মনে হয়েছে পর্যবেক্ষণ নিয়ে বেশ ভেবেছেন । অনেকগুলো চিন্তার বিষয় আছে । ভাল লেগেছে ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "এমন কোন বড় পদ নেই যেখানে হিন্দু প্রমোশন পায়নি। রেশিও দেখলে বুঝতে পাবেন। "

এই এক বাক্য ই বুঝায় লেখিকার ক্ষোভের কারন...ভারতে প্রেসিডেন্ট ও হয় মসুলমান...আর আমাদের দেশে সবার আগে দেখা হয় কে হিন্দু আর কে মসুলমান..

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

জেন রসি বলেছেন: তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তা সত্য। তবে এ দেশে হিন্দুরা সব দিক দিয়েই নির্যাতিত হয় এটাও সত্য। একটা দিয়ে আরেকটাকে আড়াল করা যাবেনা।

২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: গল্পটাকে আমাদের দেশের বাস্তবতায় আর গল্প বলে মনে হচ্ছে না।। তবে যা বলার তা কিন্তু ঐ কয়টি লাইনের মাঝেই বলে দিয়েছেন।।
দ্বিতীয় প্যারায় শুধু বলবো, এসব শুধুমাত্র রাষ্ট্র চালানোর একটা বুলি মাত্র।। সর্ব বৃহৎ গনতান্ত্রিক এবং সেকুলার রাষ্ট্র, ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক ভাষাগুলি কিন্তু আপনাকেই সমর্থন করছে।।
শাসকদের ক্ষমতার ভিত্তিগুলি যেমন,পুলিশ,সেনাবাহিনী,মিডিয়া,ব্যাবসায়ী সম্প্রদায় ইত্যাদি যাই থাকুক না কেন, চলে কিন্তু সর্ব সাধরনের পালস্ বুঝেই।। যখনই কোন দেশের শসকগোষ্ঠির উপর জনগন চরমভাবে বিতৃষ্ণ হয়ে উঠে তখন কিন্তু এই ভিত্তিগুলিই শাসক পরির্তনের পথ করে দেয়।।
আমারও শেষ কথা দোষ করবো আমরাই আবার শাস্তিও মাথা পেতে নেব আমরাই।।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । ভাল করে পড়ে আবার আসব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় এম এ আলী ভাই।

২৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

জুন বলেছেন: আমরা সেই হেরে যাওয়াদের দলে যাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মুল্য নেই জেন রসি । আমরা তাদের হাতে বন্দী ।
+

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু।

২৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

সুমন কর বলেছেন: ফেবুতে আগেই পড়েছিলাম। ছোট ছোট কথায়, ভারী ভারী বিষয় তুলে ধরেছেন।

আপনার পর্যবেক্ষণ ভালো লাগল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা না থাকাতে ২/৩ কোটী হিন্দু চলে গেছে

গাজী ভাই এইটা কি বললেন আপনি?

- শরীর-টরীর খারাপ করেনি ত?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

জেন রসি বলেছেন: তিনি ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। ;)

২৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

গরল বলেছেন: একসময় ধর্ম দিয়ে যা করা হত এখন রাস্ট্র সেই দয়িত্ব নিয়েছে, অতএব দ্বৈত শাসন কখনওই ভাল ব্যাবস্থা না। মানুষ যখন এত সুসংগঠিত ছিল না বা এত শিক্ষাদীক্ষা ছিল না তখন ধর্মই মানুষের নিরাপত্তা দিত, শান্তি দিত, অর্থনৈতিক ভাগ বন্টন নিয়ন্ত্রণ করত। আর কেউ ভুল করলে যেহেতু শাস্তি দিতে পারত না তাই নরকের ভয় দেখাত। আর ভাল কাজের জন্য কোন গ্যালান্ট্রী এওয়ার্ড বা নোবেল প্রাইজ ছিল না তাই স্বর্গের লোভ দেখাত। এখন যেহেতু রাস্ট্রযন্ত্র অনেক শক্তিশালী তাই আর ওসবের দরকার নাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

জেন রসি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনি যেভাবে বললেন তাতে ধর্ম এবং রাষ্ট্র যদি একই সমস্যার কারন হয় তবে সমাধান হিসাবে কি ভাবছেন তাও শেয়ার করতে পারেন।

২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




আপনার সমস্ত পর্যবেক্ষণ শুরুর গল্পটিতেই দেয়া আছে রূপকের মতো করে । আমরাও একেকজন একেক ধরনের শিকারী । শিকার করতে না পারলে নিজেরাই শিকার হয়ে যাই । তাই শিকার হয়ে মরে যেতে চাইনা বলেই বাঁচার তাগিদে শিকারীর বন্দুকের বাট বা নল বা গুলি হয়ে যাই, যেতে হয় ।
আর উপসংহারটি প্রথম গল্পটিরই সহযোগী অংশ ।
নিজের মতো করে পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন , মার্কেটিংয়ের সূত্র ধরেই !
ভালো লাগলো ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ জী এস ভাই।

চমৎকার সাম আপ করেছেন। কড়া পাঠ বা গভীর ভাবে কোন লেখা কিভাবে পাঠ করতে হয় ব্যাপারটা আপনার কাছ থেকে শেখার আছে। আমি শিখছি।

ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। কিছুটা হালকা ভাবেই। তবে এটা মাথায় রেখেই করেছি যে এটাই একমাত্র ব্যাখ্যা না।

২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

প্রামানিক বলেছেন: পর্যবেক্ষণমূলক লেখাটি ভালো লাগল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

২৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

গরল বলেছেন: আমি কোনটাকেই কোন সমস্যা বলি নাই, আমি বুঝাতে চেয়েছি যে ধর্ম দিয়ে যেভাবে মানুষ নিয়ন্ত্রণ করা যায় এখন সে কাজটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় আইন কানুন দিয়ে আরো প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে। অতএব ধর্মের কোন প্রয়োজন এখন আর নাই কারন ডাবল নিয়ন্ত্রণ কোন সুফল বয়ে আনবে না। বড়ংচ দুয়ো নিয়ন্ত্রণ সাংঘর্ষিক পর্যায় চলে যাচ্ছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

জেন রসি বলেছেন: অর্থাৎ ধর্ম এবং রাষ্ট্র একে অপরের জন্য সমস্যা। এবং বাস্তবিক অর্থে তখনই সংঘর্ষ হচ্ছে যখন একে অপরকে ডমিনেট করার চেষ্টা করছে। এটা এমন একটা ফ্যাক্ট যা আমরা খুব খোলা চোখেই দেখতে পাচ্ছি। তবে যারা রাষ্ট্র চালায় প্রশাসনিক ভাবে তারা নিজেরাই যদি ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা জটিলতার সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.