নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অতৃপ্ত স্নাইপার

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭




বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টি। শহর ভিজে যাচ্ছে। ডুবে যাচ্ছে। রুহও ভিজছে।খুব আগ্রহ নিয়ে সে হাঁটছে রাস্তায়। পানি হাঁটুর উপর উঠে এসেছে। কোমড় অতিক্রম করবে কিনা এটাই তার আগ্রহ।মেগা সিটির রাস্তায় সাঁতার কাটতে পারলেও মন্দ হয়না। ঠাণ্ডা বাতাস।খুব তীব্র ভাবেই রুহের শরীর স্পর্শ করছে। মাঝেমাঝে সে কেঁপে উঠছে। রুহের হাতে বেশ কিছু অপশন ছিল। সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে। বৃষ্টিকে থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। সেটা প্রকৃতির ইচ্ছা। তার কাছে ছাতা নেই। থাকলেও খুব একটা লাভ হতনা। সে কোন একটা দোকানের ভেতর বসে থাকতে পারত এবং বৃষ্টি কমার জন্য অপেক্ষা করতে পারত।সেটা অবশ্য সে করেছে। ঘণ্টাখানিক একটা হোটেলে বসে ছিল। বসে থাকা সময়টাতে সে দুটো সিঙ্গারা খেয়েছে। তিন কাপ চা পান করেছে। এবং দুটো সিগারেট টেনেছে। খুব মনযোগ দিয়ে আশেপাশে বসে থাকা মানুষের কথা শুনেছে।মানুষ বৃষ্টিকে গালি দিচ্ছিল।রাস্তায় পানি জমে যাওয়ার জন্য ক্ষমতায় থাকা লোকদের গালি দিচ্ছিল। তারা একই সাথে প্রকৃতি এবং এলিট ক্ষমতাবানদের উপর ক্ষোভ ঝারছিল। যদিও তা করেও তারা খুব একটা আরাম পাচ্ছিল না।তাদের বিরক্তি, ক্ষোভ, অসহায়ত্ব সব পরিবেশের উপর চেপে বসছিল। রুহ ঠিক সে মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয় সে খুব আগ্রহ নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবে। বিরক্তি এবং ক্ষোভকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজের মনকে আরাম দেওয়ার একটা চেষ্টা।


লোকটার ভেতরে একটা ড্রাগন বাস করে। পৌরাণিক গল্প থেকে উড়ে এসে ড্রাগনটা সোজা তার মগজের ভেতর ঢুকে গেছে। ড্রাগনটা মাঝেমাঝে রূপান্তরিত হয়ে শকুন হয়ে যায়। লোকটা তখন লাশের জন্য মানুষ খুঁজে বেড়ায়।


নিকিতা বসে আছে। বাসার ভেতর।একা এবং নিঃসঙ্গ। বৃষ্টির উপর বিরক্ত। বাসা থেকে বের হতে পারছেনা। রুহের সাথে তার দেখা করা দরকার।কথা বলা দরকার। তাকে বুঝিয়ে বলা দরকার যে রুহের সাথে সম্পর্কটা সে আর টেনে নিয়ে যেতে পারছেনা। তার মুক্তি দরকার। যখন সে রুহের সাথে থাকে, কথা বলে তখন সে একটা ঘোরের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। সে রুহের কাছে আত্মসমর্পণ করে। যেন রুহ পরমাত্মা। আর সে আত্মা। কিন্তু যখন সে একা থাকে। রুহকে নিয়ে, তাদের সম্পর্কটাকে নিয়ে ভাবে তখন কেউ একজন তার মাথার ভেতর কথা বলতে থাকে। কখনো পুরুষ কণ্ঠে, কখনো নারী কণ্ঠে নিকিতার মগজে কেউ একজন বলে উঠে, নিকিতা তুমি একজন দাসী। রুহের দাসী। তখন নিকিতা বিদ্রোহী হয়ে উঠে। সে রুহের কাছে যায়। রুহকে বাতিল করে অগ্রাহ্য করে সে নিজেকে মুক্ত করতে চায়। কিন্তু পারেনা। রুহকে দেখলেই সে সব কিছু ভুলে যায়। কি এক প্রবল আকর্ষণে রুহ তাকে কাছে টেনে নেয়।নিকিতার শরীরে তখন ঝড় উঠে, মনের ভেতর অবিরাম ভাঙচুর চলতে থাকে।

বৃষ্টি কমার কোন লক্ষন নেই। কবিতা পড়ার দিন আজ। গান শুনে বিষণ্ণ হওয়ার দিন। তবে নিকিতা ঠিক করেছে সে বিষণ্ণ হবেনা। এই মুহূর্তে নীলকে নিয়ে সে ভাবতে চাচ্ছেনা। সে তার দেওয়ালে ঝুলানো ছবিটার দিকে তাকায়। নীলের আঁকা ছবি। একটা মেয়ের মুখ। দেখতে অনেকটাই নিকিতার মত। ঠোঁটদুটো আলতো করে ফাঁক করা। নীল চোখ। যদিও নিকিতার চোখ নীল না। নিকিতা ছবিটা না দেখার জন্য চোখ বন্ধ করে ফেলে। সে তার ঠোঁটে নীলের ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করে। সে অনুভব তাকে স্মৃতিকাতর করে ফেলে। অতীতের ভালো লাগা স্মৃতি যখন তীব্র ভাবে ফিরে আসে তখন তাকে না যায় অগ্রাহ্য করা, না যায় স্পর্শ করা। নিকিতা বর্তমান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অতীতে ফিরে যেতে চায়। নীলকে আদর করতে চায়। নীলের আদর পেতে চায়। কিন্তু না সে অতীতে যেতে পারে। না অতীত তার কাছে ফিরে আসে। নিকিতা নীলের স্মৃতি নিয়ে বর্তমানে বসে থাকে। একা। নিঃসঙ্গ। এমন সব মুহূর্ত থেকে তাকে একজনই মুক্তি দিতে পারে। রুহ। তাই নিকিতাকে বারবার আত্মসমর্পণ করতে হয়। রুহের কাছে ফিরে যেতে হয়। ফিরে এসে বিদ্রোহ করতে হয়। বাইরে বৃষ্টি ঝরছে। নিকিতার চোখে জল।


কলিমের চোখ লাল। কথা জড়ানো। সে নেশা করেছে। সংগমও করেছে। ভাড়া করা মেয়ে। নাম জানেনা। চেহারাও মনে নেই। তবে কয়েক মুহূর্তের জন্য মেয়েটাকে দরকার ছিল কলিমের। যদিও মেয়েটা কালো। কালো মেয়ে কলিমের পছন্দ না। কিন্তু মেয়ে পাওয়া যাচ্ছিলনা। মদ, গাঁজা এবং নারীর শরীর-সব মিলে অবশ্য কলিমের সময়টা ভালোই কেটেছে। তার মাঝে অবশ্য দুএকবার সালমার কথাও মনে পরেছে তার। সালমা তার বউ। গ্রামে থাকে। সে আবার গর্ভবতী হয়েছে। যদিও কলিমের ধারনা এইটা তার বাচ্চা না। সে জানে তার বউ পরকীয়া করে। এটা নিয়ে অবশ্য কলিমের খুব একটা মাথা ব্যথা নেই। সেও নষ্ট। তার বউও নষ্ট। নষ্টে নষ্টে কাটাকাটি।

মানুষ খুন করা কলিমের নেশা এবং পেশা। সে একজন পেশাদার কিলার এবং হিটার। রুহ তাকে হিটম্যান বলে ডাকে। রুহ ছেলেটাকে কলিম পছন্দ করে। ছেলেটার মাঝে রহস্য আছে।


পৌরাণিক ঘোড়া দৌড়ায়। পিঠে বসে চাবুক মারে মৃত্যু। এই দৃশ্য দেখতে দেখতে, বলতে বলতে, যাপন করতে করতে মানুষ একদিন অন্ধ হয়, নির্বাক হয়।তারপর সে আর কিছুই যাপন করেনা। রুহ ভাবছে। তার ভাবনা জগতে একটা ঘোড়া ছুটে বেড়াচ্ছে। ঘোড়ার পিঠে বসে আছে কলিম। তার উপন্যাসের চরিত্র। যে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ খুন করে। উপন্যাসটি লেখার জন্য রুহ একজন পেশাদার খুনিকে খুঁজে বের করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে তার সাথে কথা বলে তাকে বুঝার চেষ্টা করছে। যদিও সে কিছু ব্যাপার একেবারেই ধরতে পারছেনা। অনুভব করতে পারছেনা।


নিকিতাকে একটা বইয়ের রিভিউ লিখতে হবে। তার কবি বন্ধুর একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। সে বইটি হাতে নিয়ে সে বসে আছে। পড়তে ইচ্ছে করছেনা তার।কিন্তু কিছু একটা নিয়ে বিজি থাকার জন্যই সে বইয়ের পাতা উল্টায়।

"একটা আপেল। একটা হাত। একজন কবি। কবির একহাতে আপেল, আরেক হাতে সিগারেট। মগজে প্রতীকবাদের সচেতন আস্ফালন। কবি কবিতা লিখবে।কবিতায় আপেল হয়ে যাবে সূর্য।কবি সূর্যে কামড় বসাবে। সূর্য হয়ে যাবে প্রেমিকার স্তন।"

নিকিতা বই বন্ধ করে ফেলে। কফির মগে চুমক দেয়। রুহ মেসেজ পাঠিয়েছে।

আমার গল্পের একজন চরিত্র ছিল। বেশ কিছুদিন হল তাকে খুঁজে পাচ্ছিনা। সম্ভবত তাকে হত্যা করা হয়েছে।অথবা সে আত্মহত্যা করেছে। সে আমার কাছে একজন সঙ্গির আবদার করেছিল। যদিও আমি তাকে একাই রেখেছিলাম। তার নিঃসঙ্গতা আমার গল্পকে অর্থবহ করে তুলছিল। সে আক্ষরিক অর্থেই আমার গল্পের প্রয়োজনে একজন বলির পাঁঠা ছিল। তবে তাকে আমি বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম।

আজ রাতে আসব। বাসায় থেক।

রুহকে নিকিতা খুব একটা বুঝেনা। বুঝার চেষ্টাও করেনা। সে শুধু জানে রুহের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তার উপর এমন এক শান্তি ভর করে যার কোন সংজ্ঞাও তার জানা নেই। রুহ আসছে।সে অপেক্ষা করবে।


কলিমের গাঁজা টানার ক্ষমতা দেখলে রুহের মাঝেমাঝে খুব হিংসা হয়। রুহের মাথা চক্কর দিচ্ছে। কলিম হাসছে।
ভাইজান, আপনার উপন্যাস কবে শেষ হইবো?
জানিনা কলিম। মূল ব্যাপারটাই আমি ধরতে পারছিনা। তুমিও বলতে পারছনা।
খুন করতে কেমন লাগে এইটা মুখে কইয়া আপনারে বুঝানো যাইব না। এইটা বুঝতে হইলে আপনারে খুন কইরা দেখতে হইব। এমন কেউ কি আছে যারে আপনার খুন করতে মন চায়?
আছে কলিম। এমন একজন আছে। একটা মেয়ে। মেয়েটার নাম নিকিতা।
আপনারে ছেকা দিয়া চইলা গেছে?
না যায়নি। সে আছে। সে আমাকে অন্ধের মত ভালোবাসে। সে তার এই অন্ধ ভালোবাসা দিয়ে আমাকে একটা জালের ভেতর আটকে ফেলেছে। একটা অদ্ভুত মায়া। তীব্র আকর্ষণ। যাকে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই।
এইসব আমি বুঝিনা। ত্য় নিকিতা আপারে খুন কইরা দেখতে পারেন। তারপর বিষয়টা নিয়া আপনার লগে আলাপ করন যাইব।
ভাবছি কলিম। বিষয়টা নিয়ে আমি গভীর ভাবেই ভাবছি।


রাত অতটা গভীর নয়। ঘেউ ঘেউ শব্দ শোনা যাচ্ছে। শব্দ জানান দেয় কুকুর ডাকছে। কলিংবেল বাজছে। নিকিতা দরজার কাছাকাছি চলে আসে। দরজার ওপাশে রুহ তার জন্য অপেক্ষা করছে।

চিত্রকর্মঃ salvador dali

মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

বিজন রয় বলেছেন: উপস্থিত!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

জেন রসি বলেছেন: আমিও উপস্থিত। ;)

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: খুব ভাল হয়েছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

শায়মা বলেছেন: ইয়া খোদা! নিকিতাকে খুন করলে আমি কিন্তু রুহকে খুন করতে ভাড়াটে খুনী পাঠায় দেবো সাবধান! X(

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

জেন রসি বলেছেন: ভাড়াটে খুনি লাগলে কলিমের লগে যোগাযোগ করতে পারেন! ;)

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভালো লাগল কাহিনী। ধন্যবাদ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উপস্থিত -২

পড়বো বাসায় গিয়া হাহাহাহ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

জেন রসি বলেছেন: আমিও উপস্থিত-২

ধন্যবাদ আপু। :)

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

শায়মা বলেছেন: কলিম লাগবে!!! নিকিতার ভুত পাঠায় দেবো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

জেন রসি বলেছেন: ভুত নিয়ে একটা গল্প লেখার চেষ্টা করা যেতে পারে।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে চেষ্টা করো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

জেন রসি বলেছেন: ঠিক আছে। ভুত নিয়ে ভবিষ্যতে গল্প আসবে। ;)

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

করুণাধারা বলেছেন: একটা অদ্ভুত মায়া। তীব্র আকর্ষণ। এই নিয়ে তাড়াতাড়ি গল্পের শেষে আসলাম কি হয় দেখার জন্য। কিছুই তো নাই। ভালবাসার মানুষকে কোন পদ্ধতিতে খুন করা হয় জানার আগ্রহ খুব।

গল্পে+++

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

জেন রসি বলেছেন: তীব্র আকর্ষণ এবং অদ্ভুত মায়া নিয়ে মাঝেমাঝে গল্পের শেষে এসে কিছুই পাওয়া যায়না। অনেকটা একটা জীবন যাপন করতে করতে হঠাৎ শুন্যে ঝাপ দেওয়ার মত।

কোন পদ্ধতিতে খুন করা হয় ব্যাপারটা আমার জানা নাই। :P

ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাল লিখেছেন+ :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

পাজী-পোলা বলেছেন: লোকটার ভেতরে একটা ড্রাগন বাস করে। পৌরাণিক গল্প থেকে উড়ে এসে ড্রাগনটা সোজা তার মগজের ভেতর ঢুকে গেছে। ড্রাগনটা মাঝেমাঝে রূপান্তরিত হয়ে শকুন হয়ে যায়। লোকটা তখন লাশের জন্য মানুষ খুঁজে বেড়ায়।
এইটা ঠীক বুঝলাম না..

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

জেন রসি বলেছেন: এটা একটা অ্যালুশন। পার্ট অব গল্প। ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: নিকিতার মৃত্যু না গল্পের মৃত্যু বুঝতে পারছি না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

জেন রসি বলেছেন: কিছু রহস্য থেকে যাক। ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: বেশ ভালো লাগল

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আগের কোন একটা গল্পের প্যাটার্নের সাথে মিল পাচ্ছি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

জেন রসি বলেছেন: স্টাইলে মিল থাকতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

সকাল রয় বলেছেন: ঘোরলাগা গল্প!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এটাকে কি ম্যাজিক রিয়ালিজম বলা যায়?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫১

জেন রসি বলেছেন: গল্প লেখার সময় কোন টার্ম বা জনরার কথা মাথায় রেখে লেখিনা। যেভাবে গল্পটা বলতে চাই সেভাবেই বলি।

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:
গুপ্ত ঘাতকের ট্রিকার চাপে বের হয়ে আসা একটি বুলেট মগজ লক্ষভ্রষ্ট হয়ে দেয়াল ফুটা করে চলে যায় যোজন যোজন দূরে।

(একটি উচ্চমার্গীয় গল্পে নিম্নমার্গীয় মন্তব্য)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার আয়রনি।

মূল অর্থ, একটি নিম্নমার্গীয় গল্পে উচ্চমার্গীয় মন্তব্য। ;)

ধন্যবাদ ভাই।

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না ভাই, সময় কাটাতে এসে এতো গভীরে যেতে চাই না।। আসলে বুঝিই নি।। আমারই ব্যার্থতা।।
শুভেচ্ছা রইলো।।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

জেন রসি বলেছেন: এ গল্পকে খুব সহজ সরল ভাবে দেখার সুযোগও আছে। আবার জটিল ভাবে দেখার সুযোগও আছে। পাঠক যেভাবে দেখতে চায় সেভাবেই সে দেখবে। আপনাকে ধন্যবান।

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ৯. নিকিতার বাসা থেকে বের হয়ে রুহ রাতের নিয়ন আলোর মায়াবী আলো-আঁধারিতে ফাঁকা রাস্তায় হাঁটছে। উদ্দেশ্য কলিমের ডেরায় যাওয়া, কলিমের মত করে গাঁজায় টান দিবে। তারপর, কলিমের সাথে শেয়ার করবে, মানুষ খুন করতে কেমন লাগে, সেই অভিজ্ঞতা। যদিও তখন হয়ত কলিম থাকবে অন্য কোন জগতে, মৃত্যুর উঠোন পেড়িয়ে অন্য ভুবনে। রুহ ডুব দেবে নিকিতার মাঝে, হারাবে গহীন থেকে গহীনে। নিকিতার বাসার দরজা থেকে ফিরে এসে উপলব্ধি হচ্ছে নিকিতা'র মাঝে খুনের রহস্য নয়, ভালবাসার রহস্য লুকিয়ে আছে। জানতে হবে, ভালবাসার রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিশ্লেষণ, খুনের নয়। সেই ব্যাখ্যার জন্য কলিম দরকার, যার মাঝে লুকিয়ে আছে বহু খুনের রহস্য; তাকে খুন করে জানতে হবে খুন করতে কেমন লাগে।

জয় হোক ভালবাসার। বেঁচে থাক নিকিতা, রুহের হৃদমাঝারে।

- বোকা মানুষেরা সাহসী হতে পারে না; মন্তব্যে সেটারই প্রমাণ রেখে গেলাম ভ্রাতা। ;)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০

জেন রসি বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। আশা করি ভালো আছেন। আগ্রহ, কৌতহল এবং আনন্দ নিয়ে আগের মতই ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন।

গল্পটা যেখানে শেষ করেছি সেখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। আপনি আপনার মত করে সেটার উত্তর দিয়েছেন। খুব চমৎকার ভাবেই দিয়েছেন। একদম একজন বুদ্ধিমান প্রেমিকের মতই যে জানে যে কোন মুল্যে ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। এবং তার জন্য সাহসীও হতে হয়। বোকা সেজে। ;)

ধন্যবাদ ভাই।

১৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: অনেক দিন পরে ভালো কিছু পেটে গেল গুরু। এই গল্পটার পড়ে আপনাকে গুরু ডাকতে ইচ্ছে করছে! তাই ডাকলাম।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

জেন রসি বলেছেন: ভালো কোন অর্থে? সুস্বাদু না পুষ্টিকর? মন্তব্যে আনন্দিত হলাম।

গুরু বা গরু যা মন চায় ডাকতে পারেন। ;)

ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: নাম ভালো লাগেনি। অন্য কিছু হতে পারতো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০

জেন রসি বলেছেন: তা পারত। সবকিছুরই অনেকগুলো অপশন থাকে।

২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৩

কালীদাস বলেছেন: ২ নাম্বারের লোকটা কে বুঝলাম না। কলিম?

এমনিতে লেখাটা বেশ হয়েছে :)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। এটা কলিম।

ধন্যবাদ কালীদাস ভাই।

২২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ গল্প রসি ভাই ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু।

২৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: চিনি খাওয়া মজা নাকি চিনি হওয়া মজা গল্প ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

জেন রসি বলেছেন: পিপড়া আছে না নাই। ;)

ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।

২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: এখানে রুহ হয়ত বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে থাকতে চায় না। তাই সে এই ডানজিয়ন থেকে বের হয়ে আগের মতই মুক্ত হতে চায়।

নিকিতার রুহের জন্য তীব্র আবেগ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে। কিন্তু সেই আবেগের বেগকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য যে ধরণের প্রতিক্রিয়াশীল আবেগ দরকার ছিল রুহের জন্য তা কিন্তু গল্পে তেমন একটা পাই নি।

কলিমের উপস্থিতি গল্পে না এলেও চলত মনে হয়েছে। অারো কিছু বাড়তি মেদ ঝরে পড়তে পারত। সবটুকুই আমার ভাবনা।

মোটের উপর, গল্প বেশ উপভোগ্য।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আখেনাটেন ভাই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আবেগের বেগকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য প্রতিক্রিয়াশীল আবেগ। কথাটা ভালো লেগেছে।

আপনার ভাবনা ভালো লেগেছে।

২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্প পাঠ করেছি জানানোর জন্য লগইন করলাম। খুব সাবলীল বর্ণনা । তবে ব‍্যাপারগুলো এত সহজে হবার নয়। আমি ভাবি অনেক সহজ ব্যাপার অথচ হয় না। দুটো মনের প্রেম হবে অথচ কত হিসেব!!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

জেন রসি বলেছেন: গল্প পাঠ করার জন্য এবং লগইন করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সেলিম ভাই।

২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,



এ জাতীয় গল্প বিষয়ে একটা অনুসন্ধিৎসার কথা বলি ---
ব্লগে বেশ কিছু লেখা দেখা যায় যা প্যারানয়িক একটি চরিত্রকে ঘিরে প্যারানর্মাল সব ঘটনার সমাবেশ ঘটিয়ে প্যারাসাইকোলজিক্যাল কোনও কাহিনী । প্রতিশোধ , হত্যা , রক্ত নিয়ে সব কারবার । এতে কোনও বার্তা থাকে কিনা বোঝা দুরূহ ।
এটার মতো আপনার বেশ কিছু লেখাও তেমনটা-ই । এতে একটা ভয়ার্ত, শিরশিরে আটোসাটো আমেজ পাওয়া যায় বটে তবে নিটোল কিছুর দেখা মেলেনা । কারন এসব গল্পে পাঠক যা খুশি তাই ধরে নিতে পারেন । লেখকও যা খুশি তাই লিখে যেতে পারেন অবলীলায় রশি ছেড়ে ছেড়ে । কেবল শেষে সব রশির মাথা নিয়ে একত্রে একটা গিট্টু দিতে পারলেই হলো। যুক্তির কোন ঠাঁই নির্ণয় এখানে অযৌক্তিক । এগুলোকে কি সৃষ্টিময় সৃজনশীলতা বলা যাবে !

যাই হোক , এধরনের গল্প সম্পর্কে এটা আমার কৌতুহল । অবশ্য আজকাল প্রায় সবাই এধরনের এ্যাবনর্মাল , প্যারানর্মাল, ভৌতিক , জম্বি টাইপের গল্প-উপন্যাস-সিনেমার ভক্ত । যে জমানার যে দৌঁড় । আমি হয়তো ব্যাক ডেটেড, তাল মেলাতে পারিনে !

তবে খন্ড খন্ড সব রশির মাথা একত্র করে গেরো দেয়াতে আপনার মুন্সীয়ানার প্রশংসা করতেই হয় । আর লেখার ষ্টাইল তো আছেই ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

জেন রসি বলেছেন: এ জাতীয় গল্প বিষয়ে একটা অনুসন্ধিৎসার কথা বলতে গিয়ে মূলত একটা প্রশ্ন রেখে গেছেন।প্রশ্নটা হচ্ছে এগুলোকে কি সৃষ্টিময় সৃজনশীলতা বলা যাবে কিনা? প্রশ্নটা রাখার আগে তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন।

১।এতে কোনও বার্তা থাকে কিনা বোঝা দুরূহ।
২।নিটোল কিছুর দেখা মেলেনা
৩।যুক্তির কোন ঠাঁই নির্ণয় এখানে অযৌক্তিক।

এই প্রশ্নের মীমাংসা করে যথাযথ বা তার কাছাকাছি কোন উত্তর দিয়ে ফেলবার মত পর্যাপ্ত জ্ঞান এখন পর্যন্ত আমার নেই। অর্থাৎ আমার জানায় বা বুঝায় ঘাটতি আছে। তবে বিষয়টা নিয়ে দুএকটা কথা বলা যেতে পারে।

এটা বলা যেতে পারে যে আমরা একটা হাইপার রিয়েলিটির ভেতর বসবাস করি। যেখানে ফিকশন এবং রিয়েলিটিকে অনেক সময় আলাদা করা যায়না। মানুষ তার ভাবনা, চিন্তা, যুক্তি, বিশ্বাস, কল্পনাশক্তি, গল্প এসব ব্যাপার দিয়েই কিন্তু সিস্টেম নির্মাণ করে। যেমন যদি বলা হয় রাষ্ট্র কি? ধর্ম কি? সমাজ কি? কর্পোরেশন কি? এককথায় বলা যায় এসব মানুষের ভাবনা চিন্তার ফল। এসবের জন্ম মানুষের মনোযগতে। আবার এসবই এমন এক বাস্তবতা যার দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। প্রযুক্তি বিশেষ করে ইন্টারনেটের বিকাশের সাথে সাথে বিষয়টা আরো কমপ্লেক্স হচ্ছে। এখন মানুষের একটা দৃশ্যমান ভার্চুয়াল জগতও আছে। আবার বিগার কনটেক্স থেকে সরে এসে ব্যক্তি মানুষের কথা বললে বলতে হয় তার এক্সপেরিয়েন্সিং সেলফ, ন্যারেটিং সেলফ, সেলফ অব মেমরি এসবের একটা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারও আছে। তাই একই গল্পের ভেতর থেকে কয়েকটি সমান্তরাল মিনিং বের হয়ে আসতে পারে যা একে অপরের সাথে ওভারল্যাপ করার প্রয়োজন হয়না।

এবার আমার গল্পের প্রসঙ্গে আসি। আমার বেশ কিছু গল্পে উপরের বিষয়গুলো নিয়েই আসলে হালকা পাতলা এক্সপেরিমেন্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এগুলোকে আসলে ড্রাফট বলা ভালো। চর্চার খুবই প্রাথমিক পর্যায়। ভাষার ব্যাপারে আমার অনেক সীমাবদ্ধতা এবং দুর্বলতা রয়েছে। যা লিখতে গেলেই উপলব্ধি করি।

ধন্যবাদ জী এস ভাই। :)

২৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

সুমন কর বলেছেন: ছোট ছোট বাক্যে সুন্দর বর্ণনা। তবে কিছুটা অনুবাদের মতো লেগেছে।

লেখায় ভিন্নতা আছে, পড়তে খুব ভালো লাগল।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

২৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: ছোটখাটো একটা উপন্যাসের খসড়া হয়ে গেল জেন রসি ভাই। পাকা হাতের একটা লেখা পড়লাম অনেকদিন পর।
ধন্যবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। :)

২৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই টুকরো টুকরো গল্পের ভিতরে থাকা রহস্যের কুল কিনারা কিভাবে হবে , কৌতুহল বেড়ে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ এম এ আলী ভাই। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। শুভকামনা।

৩০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প পড়ে ভাল লেগেছে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ,
দারুন ড্রাগনটাকে ধরার জন্য
আকাশ হতে একে ধরে এনে
এখানে কাজে লাগিয়ে গেলাম :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

জেন রসি বলেছেন: হাহা.....ড্রাগনকে ব্লগবন্দী করে ফেলেছেন।

৩২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাপরে! ইত্তা ভাবনা আনেন কুত্থেকে!!!!!!! ;)

আহমেদ জিএস ভাইয়ের উত্তরে অবশ্য প্রশ্নের উত্তর দেয়াই আছে। তবু গল্পের আবেশে পাঠকানুভব বোঝাতেই
এ প্রকাশ :)

ভাল লাগল

+++

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

জেন রসি বলেছেন: মানুষের কাজই হচ্ছে ভাবা! ;)

ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই। :)

৩৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

গল্প পড়ে যা একটু বুঝার চেষ্টা করেছিলাম, আহমেদ জী এস ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে আমি প্যারানয়েড হবো কিনা ভাবছি এবার...

অবশেষে কঠিন লেখায় একটি সহজ মন্তব্য: ভালো লেগেছে। ঠিক আগের মতো।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জেন রসি বলেছেন: হাহাহাহা....

ধন্যবাদ মইনুল ভাই। :)

৩৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,




আপনার সাথে মন্তব্য চালাচালির মজাটাই এই । বক্তব্য - প্রতিবক্তব্য থাকে । যার জন্যে অনেক কিছু ঘেটে জানতে হয় । মজাটি ওখানেই , ঐ জানার বিষয়টাতে ।

ভালো বলেছেন - আমরা একটা হাইপার রিয়েলিটির ভেতর বসবাস করি।
আমার মনে হয়, হাইপার নয় আমরা একটা ইমপ্রাক্টিক্যাল ও আন-এ্যাচিভেবল রিয়েলিটিতে বাস করি । আমরা যদি পর্যবেক্ষক হই তবে এই ব্যাপারটিতে আমাদের দু'জনার পর্যবেক্ষনকৃত অনুভবে কিছু মিল থাকলেও আলাদা আলাদা হবে । এরকম পর্যবেক্ষনের এই পার্থক্যগুলোর কারন কিছুটা আমাদের বোধেন্দ্রিয়ের পার্থক্য , কিছটা মস্তিষ্কের , খানিকটা ভৌত পরিস্থিতির পার্থক্য ।
বলেছেন - যদি বলা হয় রাষ্ট্র কি? ধর্ম কি? সমাজ কি? কর্পোরেশন কি? এককথায় বলা যায় এসব মানুষের ভাবনা চিন্তার ফল। এসবের জন্ম মানুষের মনোযগতে। আবার এসবই এমন এক বাস্তবতা যার দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এখানেই আমার উপরের বক্তব্যটুকু যোগ করে নেবেন । হ্যা... সমাজের এক একটা অংশ এভাবেই আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রিত হয়,
একত্রে গোটা সমাজটা নয় । যেমন, হিমালয় পর্বতের দু'জন ভ্রমনকারীর একজন বরফ ঢাকা দৃশ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন, অন্যজন হয়তো বরফগলা জল থেকে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনের জন্যে নদীর উৎস খোঁজ করবেন । এই পার্থক্য মনস্তাত্বিক ।

আর, আপনি প্রায়ই "সিস্টেম" এর কথা বলেন । আপনি এই সব সিস্টেম এর গঠন, প্রকৃতি, আচরণ নিয়ে যদি গল্প লিখতেন আপনার ষ্টাইলে, তাহলে ভালো হতো । দার্শনিক কেতার প্রবন্ধের চেয়ে তা পড়তে, বুঝতে মজাদার লাগতো । আগের মন্তব্যে প্রকারন্তরে আমি এটাই বলতে চেয়েছি । এতে কিছু দর্শনের দেখা মিলতো, নতুন কোনও ভাবনার জন্ম হতে পারতো । একটা বার্তা থাকতো ।
ভাষার ব্যাপারে আপনার সীমাবদ্ধতা এবং দুর্বলতা নেই মোটেও । তা যথেষ্ট শক্তিশালী বলেই আমার ধারণা । আর যুক্তির খেলায় আপনি অনায়াস তো বটেই ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ জী এস ভাই। আপনার ব্লগে নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন “প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...” এই জঘন্য রকমের বাস্তববাদী হওয়ার সাথেই আসলে ইমপ্রাক্টিক্যাল এবং আন-এ্যাচিভেবল রিয়েলিটিকে বুঝতে পারার এবং সে বুঝার সাথে একটা বোঝাপড়া করে কর্ম করার ব্যাপারটা সম্পর্কিত। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির ইন্টারনাল জগতের সাথে এক্সটার্নাল জগতের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক থেকে একটা ব্যাল্যান্স করার প্রয়াস। ধরুন কেউ একজন ভাবছে যে সে সুপারম্যানের মত আকাশে উড়ছে। কিন্তু ইমপ্রাক্টিক্যাল এবং আন- এ্যাচিভেবল রিয়ালিটির ব্যাপারটা তখনই আসবে যখন সে কর্ম দিয়ে এ ভাবনাটাকে এক্সটার্নাল জগতে প্রয়োগ করতে যাবে।এবং এটা করতে গিয়েই মানুষ মূলত বিভিন্ন ভাবে কাজ করতে পারে। তার মনের ভেতর উড়ে চলা সুপারম্যানকে সে একটা ইজম বানিয়ে কালেক্তিভ বিশ্বাসে পরিণত করতে পারে। অথবা সে এটাকে সচেতন ভাবে রিয়ালিটি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফিকশন বা মিথ হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে। অথবা সে প্রকৃতির নিয়ম কানুন বুঝার চেষ্টা করে এমন কিছু বানানোর চেষ্টা করতে পারে যা দিয়ে সে উড়তে পারবে।এসব ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই মূলত সমাজ, ধর্ম, বিজ্ঞান সবকিছুই বিকশিত এবং বিবর্তিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ মানুষের ভাবনা জগত এবং তাকে কেন্দ্র করে মানুষের যে কর্ম দুটো মিলেই এমন একটা রিয়েলিটি যেখান থেকে ভাবনা এবং কর্মকে আলাদা করা যায়না। আবার সব মানুষেরই একটা অতীত থাকে। ইতিহাসও থাকে। যা দ্বারা সে প্রভাবিত হয়। আবার যার অনেক কিছুকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সে ভবিষ্যত বিনির্মাণ করে। জেনেটিক ডিটারমিনিজমের ব্যাপারটা মাথায় রেখেই বলছি। কারন একদিক দিয়ে মানুষ প্রকৃতির অংশ।প্রানী হিসাবে তার একটা বিবর্তন আছে।সে প্রতিনিয়তই প্রকৃতিকে বুঝার চেষ্টা করছে। আবার মানুষের কালেক্তিভ বিশ্বাস এবং তাকে কেন্দ্র করে যে চর্চা তার থেকেই জন্ম নেওয়া সমাজ, ধর্ম, কালচার, আইন কানুন, মুল্যবোধ, রাজনৈতিক কিংবা দার্শনিক মতবাদ, আর্থ সামাজিক বৈষম্য এসব নিয়ে তার আছে আরেকধরনের বাস্তবতা। এ বাস্তবতায় মানুষে মানুষে বিভিন্ন রকমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে ভালোবাসে, ঘৃণা করে, খুন করে, অন্যকে সহযোগিতা করে ইত্যাদি ইত্যাদি। একজন গল্পকার হিসাবে দর্শকের মত থেকে এসব নিয়ে অনেক রকম ভাবেই গল্প লেখা যায়। একটা চরিত্রকে অনেক ভাবে উপস্থাপনও করা যায়। যেমন এ গল্পটার কথাই বলি। এখানে নিকিতা রুহের কাছে আত্মসমর্পন করে। এটা তার অভিজ্ঞতা। যেটাকে সে তার ভাবনা চিন্তা দিয়ে প্রতিরোধ করতে চায়। আবার তার একটা অতীত আছে। যা তার বর্তমানের উপর প্রভাব ফেলে। এখানে এক রুহকে কেন্দ্র করেই তার তিনরকমের সেলফ। আবার রুহেরও ঠিক তেমন। রুহ একই সাথে তাকে ভালোবাসে। আবার তার ভেতরেই ঘাপটি মেরে আছে কলিম সত্ত্বা যা কলিমের সাথে কথা বলে আরো বিকশিত হয়। এমন আরকি....

চমৎকার একটি সাজেশনের জন্য আবারো ধন্যবাদ। :)

৩৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

পার্থ তালুকদার বলেছেন: এই ধরনের গল্প লিখলে মাথায় গিজগিজ করে। জানিনা আপনার করেছে কিনা। আমি নকারআপ নামে একটি গল্প লিখতে গিয়ে কয়েকদিন অশ্বস্তিতে ছিলাম।
যাক, ভাল হয়েছে গল্প।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জেন রসি বলেছেন: আমি গল্পের বাইরে থাকি নির্লিপ্ত লেখক হিসাবে। তাই খুব একটা সমস্যা হয়না। ধন্যবাদ পার্থ ভাই। :)

৩৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

জুন বলেছেন: গল্পটা পড়ে খুব আতংকিত হোলাম জেন রসি । আমাদের দেশটাও এখন রুহদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে অলরেডি ।
খুন খারাবি আর গাঁজা নিয়ে লেখা ভয় ভয় গল্পটি পড়ে গেলাম । :-&
+

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু। :)

৩৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

আলোরিকা বলেছেন: অনেকদিন ধরে একই স্টাইলেই লিখছেন :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। :)

৩৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: উফফ্ ! কেমন ঘোর লাগা গল্প !

এতো ভাল কেমনে লিখেন ?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: পড়েছিলাম গল্পটা আগেই |কমেন্টস করতে দেরি হয়ে গেলো | সালভাদর দালির আঁকা থেকেই বুঝতে পারলাম গল্পের সুররিয়ালিজমের ভাবটা | ভাবছি নিকিতাকে খুন করার পড়ে রূহ -এর ভাবনা দিয়ে গল্পটা টানা যেত কিনা বা তাতে সুররিয়ালিজমের ভাবটা ঠিক থাকতো কি না ? আরো একটু পড়তে মনে হয় ভালোই লাগ্তো ? কি জানি, আসলে শিওর হতে পারছি না | ভালোই লাগলো আপনার গল্প |

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

জেন রসি বলেছেন: গল্প নানা ভাবেই টানা যেত। সে অপশন সবসময়ই থাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৪০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

নীলপরি বলেছেন: গল্প অনবদ্য লাগলো ।

আর খুন ? খুবই স্বাভাবিক খ্যাতনামা লেখদের কাছে । কারণ তারা একসময়ের অনুপ্রেরণাকে দূরে ছুঁড়ে ফেলতে দুবার ভাবেন না । আমার মত । আপনি একমত নাও হতে পারেন ।:)

শুভকামনা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

জেন রসি বলেছেন: “একসময়ের অনুপ্রেরনাকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে।” ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ আছে।

ধন্যবাদ আপু।

৪১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:





হিটলার বলছেনঃ নামকরণের যথার্থতা বলবেন?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

জেন রসি বলেছেন: হিটলার প্রশ্ন করেছে।

তাই উত্তর দেবনা। :P

৪২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:





ট্রাম্প বলছেনঃ you are very rude to Hitler and you are a loser.

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

জেন রসি বলেছেন: পুতিন আর লাদেন কি বলেছে? তারাও কি ট্রাম্পের সাথে একমত? ;)

৪৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:






ট্রাম্প বলছেনঃ vladimin is a good friend of mine. He is a good leader. I love him so much. I respect him. But I never met him.

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

জেন রসি বলেছেন: বুঝলাম। কিন্তু এই যে হিটলারের প্রশ্নের জবাব না দেওয়ায় ট্রাম্প আমাকে লুজার বলল, সে ব্যাপারে পুতিন আর লাদেনের মতামত কি? ;)

৪৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০২

কালীদাস বলেছেন: হ্যাপি বার্থডে !:#P

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস ভাই। :)







৪৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: শুভ জন্মদিন, জেন রসি ভাই। ভালো থাকুন নিরন্তর।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা।

৪৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

আটলান্টিক বলেছেন: ভাইয়া কমেন্ট গাথিয়া রাইখা গেলাম যাতে পরে খুজে পায়।তোমার পোষ্ট তো অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছে এখন আর খুজে পায় না

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা।

৪৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

যূথচ্যুত বলেছেন: আজ ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র নই বলে... :(

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

জেন রসি বলেছেন: হলে কি হত? আর না হওয়াতেই বা কি হলো? :) ভালো আছেন আশা করি।

৪৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮,......... নতুনের শুভেচ্ছা রইল।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা।

৪৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ফিনিশিং যে যার মত করে ভেবে নিতে পারে। আমি ভেবে নিলাম খুব করবে নিকিতাকে। ভয়াবহ ভাবনা ;)
কলিমকে ভালো লাগছে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

জেন রসি বলেছেন: আমরা আমাদের মাঝেই ভয়াবহ ধারনা ধারন করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.