নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাদের হাতে দলীল প্রমান কম তারা গালি দেয় বেশী

.

রাতুলবিডি৪

বলার কিছু নাই

রাতুলবিডি৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ী বাংগালী ভাই ভাই, মিলে মিশে বন খাই...

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

ক'দিন আগেই কেওক্রাডং - তাজিংডং ঘুরে এলাম । কেওকারাডং এর মালিক লালা সাহেব । ওনার নাম শুনেছিলাম আগেই, এবার বগা লেক থেকে কেওক্রাডং যাবার পথে মহামান্য লালা সাহেবের সাক্ষাৎ পেয়ে গেলাম, সৌভাগ্য ক্রমে । ২০০০ একর জমির মালিক ! বাংলাদেশের সবচেয়ে নামকরা পাহাড় কেওক্রাডং -এর মালিক ! কি সৌভাগ্য আমার !



উনি একটা ল্যান্ডরোভার জীপে যাচ্ছিলেন, দেশের সবচেয়ে উচু রাস্তা দিয়ে, পপ্রায় ৩২০০ ফুট উচুতে পাহাড়ী রাস্তায় ছুটে চলছে সে জীপ। সামনের পাশে কয়েকজন ভাতিজা - ভাগ্নে অথবা মেয়ের জামাই বসা ছিল । তিনি একটা ম্যক্সিকান/কাউবয় হ্যাট পরনে, শক্ত গড়ন, একেবারে-ই নায়কচিত !



আমাদের হাটতে দেখে কৌতুহলী হয়ে তিনি গাড়ী থামালেন, কুশলাদী জানতে চাইলেন, আমি অভিভুত ..



যাই হোক ওনাকে পাশ কাটিয়ে কেও পার হয়ে পাসিং পাড়া, এর পর তাজিংডংএর পথ একেবারেই বিরান..



আর কিছুটা এগিয়ে থাইক্যাং পাড়ার পথ, 'গাড়ীর রাস্তা' আলাদা হয়ে গেছে বাকলাই- তাজিং ডং এর পথ থেকে, সেটা এগিয়েছে কপিতালের নীচ দিয়ে , চোখ জুড়ান মন মাতান জংগলের ভেতর দিয়ে ...



বগালেক - কেওকাড়াডং এর নেড়া চেহারা দেখে যারা হতাশ তারা একটু কষ্ট করে এগিয়ে কপিতাল পর্যন্ত গেলে একটু শান্তিতে কিছুটা প্রাকৃতিক বন - বনানীর দেখা পাবেন । গাড়ীর রাস্তা নেই, উন্নয়ণের জোয়াড় লাগেনি, তাই এখনও জংলী জংগল বেচে আছে !



তবে সেখানেও আশে পাশে ফালি ফালি করে কাঠ ফেলে রাখা হয়েছে , একজন বাংগালীর সাথে দেখ হল। জানতে চাইলাম কুশলাদী । তৃপ্তির সাথে জানালেন ওনারা ভাল গাছ কাটেন, তাই পাহাড়ীরা ভাড়া করে এনেছে .



ওনারা পাহাড়ীদের চেয়ে কয়েকগুন বেশী গাছ কাটতে পারেন তাই নিজেদের গাছ কাটতেও তারা বহুদূর থেকে বাংগালী ভাড়া এনেছেন ।

জানতে চাইলাম কত পান ? বলল : খাওয়া ফ্রী, প্রতি সিফটি ( সি এফ টি) ২৫০ টাকা । ৭ জনের দল দিনে ২০ সি এফ টির মত কাটতে পারে, ভাগে ৭০০-৭৫০ টাকা পরে ।



পাহাড়ী বাংগালীর কি সুন্দর ঐক্য !



ও ! পোষ্টের সাথে লালা সাহেবের কি সম্পর্ক ? শুনেছি তিনিও গাছ কেটেই বড়লোক, কেওকাড়াডংএর রাস্তাটাও নাকি ওনার, উনিই মালিক । আর এ রাস্তা দিয়েই নাকি এখানের সব গাছ গাড়ী করে চলে গেছে দেশের উন্নয়নে শরীক হতে ।



ভাল তো ! ভাল না ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: মুলত গাছ কাটে বাঙালী ফরেস্ট অফিসাররা, মন্ত্রীরা, নেতারা। পাহাড়িরা চুনোপুটি!

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ১৯৯৯ সাল থেকেই বান্দরবন যাই, বার্মা সীমানা পর্যন্তও যাওয়া হয়েছে, তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এক্ষেত্রে পাহাড়ী - বাংগালী ভাই -ভাই

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২১

আমিনুর রহমান বলেছেন:




গাছ কেটে কেওকাড়াডং এর মালিক ! তাইলে হুদাই চাকরী কইরা টানাপোড়নের মধ্যে চলছি কেনো গাছ কাটাটা শিখলেই পারতাম :P

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫২

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: আমিনুর ভাই সেটাই শিখতে হবে ;)
তাই তো বার বার পাহাড়ে যাই, ২০০০ একর জমি, চিন্তা করা যায় /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.