নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাদের হাতে দলীল প্রমান কম তারা গালি দেয় বেশী

.

রাতুলবিডি৪

বলার কিছু নাই

রাতুলবিডি৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তং/ত্ল্যাং-মুয়াল/ময়াল, ডং , ফং কিংবা ম্রোদের হুম

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

শব্দগুলো শুনেছেন ? শোনেননি ? বাংলাদেশে থাকেন ?

আপনি কি দেশ সম্পর্কে কিছু জানেন ?

এই দেশে বাস করে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত পাহাড়গুলোর নাম জানেন না ?

জানেন ?

বলেন তো বানলাদেশের সবচেয়ে উচু পাহাড় চুড়াটির নাম কি ?

বলেন তো কেওক্রাডং দেশের কততম চুড়া ?

দেশের শীর্ষ সাতটি পাহাড়ের নাম জানেন ?



দেশের সব কটা বড় বড় পাহাড়ের সাথেই তং/ত্ল্যাং-মুয়াল/ময়াল, ডং , ফং কিংবা হুম শব্দ গুলো জুড়ে আছে । ত + ল যুক্ত করে সামুতে আসছে না ! তাই ত্ল্যাং দেখাচ্ছে ! যুক্ত হিসেবে পড়ে নিন ।



পাহাড়ে বসবাসকারী জাতির সংখা অনেক । চাকমা - ত্রিপুরা, মগ / মারমা, মুরং/ম্রো , বোম/কুকী, খুমি - খিয়াং , আরো অনেক অনেক ।

একজন পাহাড়ী আমাকে বলেছিল বোম - খুমী - কুকী - খিয়াং ও আরো দুটি জাতি ( এখন নাম মনে নেই ) মোট ছয় জাতির আদি নাকি একই। তাই এদের ভাষাও প্রায় এক !



চাকমা - মগ - মুরংরা এর থেকে আলাদা । আবার মগরাই নাকি মারমা । মুরং - ম্রো একই উচ্চারণের তফাৎ খালি। চাকমা আর ত্রিপুরাদের মিল অনেক, এরা আদিতে এক ছিল সম্ভবত !



মাজার বিষয় পাশাপাশি দুটা গ্রামের লোকের ভাষা এখানে আলাদা !এবার দেখা যাক পাহাড়ের নামের বিষয়ে । পাশাপাশি দুই গ্রামের মাথার উপর একই পাহাড়কে দুই নামে ডাকে এরা । যেমন সিপ্পি আর রামজুম। বোমরা ডাকে সিপ্পি, ট্রেকেরদের কাছে পরিচিত সিপ্পি আর মারমারা বলে রামজুম আর্মি বলে রামজুম !



বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু পাহাড় ট্রেকাররা বলে সাকাহাফং, ত্রিপুরা ভাষাও তাই, কিন্তু বোমরা বলে ক্ল্যাং ময়, আর স্হানীয় গ্রামের মুরংরা বলে বর্ডারহুম । আর প্রাচীন ম্যাপগুলোতে আছে মদক তং !



পাহাড়ীদের মাঝে পাহাড়ের নাম নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই , যতটা আছে ট্রেকারদের। বই - পত্র, মিডিয়ায় নামগুলো নিয়ে আসে বাংগালী ট্রেকাররা । মজা হল যে পাহাড়ে কোন ট্রেকার প্রথম যায়, সে যে গাইড নিয়ে যায়, তার ভাষায় পাহাড়টার নামটাই পত্র-পত্রিকায় বেশী চালু হয় ! যেমন জিনজে ফুলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু চুড়াটা আগে খুজে বের করে অভিযান চালান, তার গাইড বোম : নাম রাখে বোম ভাষায় ক্লাংময়/ ত্ল্যাংময় যার মানে সুন্দর পাহাড় ।



আর ট্রেকাররা ত্রিপুরা গ্রাম সালুকিয়া পাড়া থেকে প্রথম দিকে এখানে অভিযান চালায়, ত্রিপুরা ভাষায় এটি সাকাহাফং বা পুবের পাহাড় !



পাহাড়ের সবচেয়ে কাছের গ্রাম নেফিউ পাড়ার মুরংরা মুরং ভাষায় একে বলে বর্ডার হুম বা বর্ডারের পাহাড় ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: তবে কেওক্রাডং - তাজিং ডং কোন ভাষা থেকে এসেছে সটা আমার জানা নেই, খোজ করিনি, এবার পাহাড়ে গেলে জানতে চেষ্টা করব।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

আলী আকবার লিটন বলেছেন: সত্যিই নিজের দেশকেই এখনো ভাল করে চেনা গেল না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.