নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাদের হাতে দলীল প্রমান কম তারা গালি দেয় বেশী

.

রাতুলবিডি৪

বলার কিছু নাই

রাতুলবিডি৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওকলাহোমা সিটি থেকে নিউইয়র্ক : গ্রে হাউন্ডে চড়ে ১৪০০ মাইল ! ( ২য় পর্ব )

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৪



ওকলাহোমার ডাউন টাউন, আমাদের সময় ছবির সবচেয়ে লম্বা বড় বিল্ডিংটা ছিল না, ছবিটা নেট থেকে নেওয়া



আমাদের দেশে গাবতলী - সায়েদাবাদ দূরপাল্লার বাস টার্মিনালগুলো শহরের বাইরের দিকে রাখার চেষ্টা করা হয়, আমেরিকায় এর একদম উল্টা! নগরকেন্দ্র বা ডাউনটাউনেই সব দূর পাল্লার বাসের আবাস ও যাত্রা স্হল!



আন্তরাজ্য মহাসড়ক ( ইন্টার স্টেইট হাইওয়ে ) গুলো শহরগুলোকে বাই পাস করে গেলেও একটা লুপ ( হাইওয়ের শাখা বলতে পারেন) একেবারে শহরের প্রাণ কেন্দ্র দিয়ে যায় ! ওকলাহোমা সিটির গ্রে হাউন্ড বাস টার্মিনাল টাও শহরের একেবারে কেন্দ্রে, ডাউন টাউন যাকে বলে ।





নগরের একেবারে কেন্দ্র দিয়ে যাওয়া হাইওয়ে গুলোর ইন্টারসেকশনের একটি ছবি। ( নেট থেকে পাওয়া :ওকলাহোমার না )





টিকেট আগে কাটা থাকলেও সিট বলে দেয় না । গাড়ী ছাড়ার আগে ভাগে রিপোর্ট করতে হয়, আপনার সিট পাবেন, সেটা জানিয়ে দিবে, কিন্তু সিট নাম্বার দেয় না ! আগে উঠলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ! তবে সামনের দিকের সীটের এত চাহিদা নেই আমাদের দেশের মত! রাস্তায় ঝাকুনি নেই, হাইওয়েতে স্পীড ব্রেকার নেই, সীট সামনেই কি আর পিছনেই কি ?



আমাদের দেশে বড় বড় ব্যাগ 'বক্সে' ঢুকিয়ে দেই, ওখানে টিকেট কাউন্টারের পাশেই লাগেজ চেক -ইন / চেক আউট । ২০০০ সালে 'চেক ইন / চেক আউট' মানে জানতাম না, শুনে মনে করলাম লাগেজ চেক ( পরীক্ষা ) করবে নাকি ? বুঝতে বুঝতে একটু সময় লাগল !



যথারীতি গাড়িতে বসার পর ড্রাইভার সাহেব গাড়ী ছেড়েই একটা নাতি দীর্ঘহ বক্তৃতা দিয়ে নেন!



লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যান ওয়েল কাম টু গ্রে হাউন্ড ...



.. বাস ওকলাহোমা সিটি ছেড়ে টালসা যাবে, প্রায় এটতার সময় টালসা পৌছবে, এই বাস সেন্ট লুইস পর্যন্ত যাবে । স্মোকিং এই বাসে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ । ফেডারেল আইন আপনাকে বাসে কোকেন - মারিজুয়ানা - আফিম... ( গাদি খানেক নাম বলে ) সহ সকল এ্যালকোহলিক বেভারেজ গ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে । আপনি যদি বাসে ওয়াক ম্যান / সিডি ম্যান বাজান খেয়াল করবেন যেনো শুধু আপনিই শুনছেন, পাশের কোন যাত্রী তা শুনতে হয় না! যদি কোন অসুবিধা বোধ করেন এগিয়ে এসে আমাকে বলুন, আর অন্যথায় পিছে সীটে বসে থাকুন এবং হ্যাভে এ নাইস ট্রীপ।



গ্রে হাউন্ড পছন্দ করার জন্য ধন্যবাদ ।



বাসে সুপার ভাইজার হেল্পার নেই, ড্রাইভার সাহেবই অল ইন অল, সর্বে সের্বা। একটা মাউথ পিস অন করে মাইকে যাবতীয় ঘোষণা দিয়ে দেন !



বাস অল্প এগুতেই শহরের ভিতর থেকেই হাইওয়ে এক্সিট নিয়ে নেয় । মানে গুলিস্তান থেকেই ফ্লাই ওভারে করে চিটাগাং এর রোডে উঠে যাবে বা খুলনা - যশোরের হাইওয়াতে উঠে যাবে ! কষ্ট করে শহরেরে ট্রাফিক ঠেলে শহর পার হতে হয় না ।



রাস্তা ঘাট ,গতিসীমা সব মাইলে হিসাব ! সব হাইওয়াতে গতিসীমা ৭০ মাইল ! মানে ১১০-১২ কিলো! এর উপর চালালে টিকেট দিয়ে দিবে !

টিকেট দেওয়া মানে ফাইন করা, আমাদের দেশে যাকে বলে কেস করা !

১৮ চাকার ট্রাক, গ্রে হাউন্ড বাস , আর প্লাষ্টিক সবই দেখি এক তালে ৭০ মাইল বেগেই চলে ! পারাপারি নেই ! বাস ট্রাক সবই লেন মেনে চলে, ১৮ চাকার বিশাল ট্রাক ১১২ কিলো বেগে মোড় নিচ্ছে একটা চাকাও লেনের বাইরে যাবে না ! লেনের বািরে যাওয়া বে আইনী ! অবশ্য মামু ( পুলিশ) না দেখলে ফাইন নাই ! নিজের নিরাপত্তার জন্যই সবাই লেনে গাড়ি চালায় । যত বড় ট্রাকই আপনাকে পাস করে যাক, আপনি যদি লেনে থাকেন নিশ্চিত থাকতে পারবেন আপনার গায়ে টোকাটাও লাগবে না!



শহর পেরুলেই গ্রামের মত মাঠ খেত, লোক জন নেই । ফসলের খেত - গাছ পালা আছে । ঘন্টা দুয়েক পর টালসা এলো :





টালসা : ডাউনটাউন



টাসলা ওকলাহোমাতে এক সময় বড় শহর ছিল, তেলের রাজধানী বলা হত একে। রাজ্যটার রাজধানী যদিও ওকলাহোমা সিটি ! এখন ওকলাহোমা সিটি বেশী বড় হয়ে গেছে আরো বড় হচ্ছে । ২০০০ - টালসা গিয়ে ৩ দিন ছিলাম তাবলীগে, দেখেছি টালসার জৌলুস ওকলাহোমা সিটি থেকে বেশী , ব্যবসা বানিজ্যও নাকি ওখানেই বেশী !



আগের পর্ব

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার সাবজেক্টিভ বর্ননা। +।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রান্জল বর্ণনা, ভাল লাগল্

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১২

আব্দুল্লাহ আল ফারুক ( অন্তু ) বলেছেন: পরিকল্পিত সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রধান সোপান ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: হুম

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। মুগ্ধ হয়েছি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: জেনে ভাল লাগল, ভাই ।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

আজীব ০০৭ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। ভালো লাগলো +++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ধন্যবাদ+++

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন লাগছে! চলুক!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, লিখায় একদম ধৈর্য রাখতে পারি না:
জানি না কি হবে !

৭| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৩:০৬

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: গ্রে হাউন্ডে ১৪০০ মাইল যাওয়া মানে আপনার ধৈর্য অসাধারন। আমি দুইবার চড়সি। লাইফ হেল হয়ে গেসে। হাজারটা স্টপেজ। বেশির ভাগ বাস স্টেশন নোংড়া। সবচেয়ে বড় কথা একটা বাসও সময় মত ছাড়তে দেখলাম না। একবার আটলান্টায় যাব বলে এক বন্ধু রাতের বেলা স্টেশনে ড্রপ করে চলে গেসে। বাস দেরি হওয়াতে সারা রাতই স্টেশনে বসা। ঐ জার্নিতেই আসার সময় বার্মিংহামে বাস চেঞ্জ করতে হবে। তো আটলান্টা থেকে বাস ছাড়লো দেরিতে। যে কারনে বার্মিংহামের চেঞ্জ বাস আগেই চলে গেসে। ঐ বার্মিংহামের পচা স্টেশনে ১৮ ঘন্টা কাটাইতে হইসে।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: গ্রে হাউন্ড গরীবদের পরিব হন, সামনের পর্বে সেটা লিখব ভেবে রেখছি, আমার ৪২ ঘন্টার জার্নিতেও কয়েক ঘন্টা লেট হয়ে গিয়েছিল, যে দিন রাতে যাবার কথা ছিল পরদিন সকালে গিয়ে পৌছি ।

আর একবার তো নিউইয়র্ক - সিয়াটল - নিউইয়র্ক করেছিলাম, মাইল হিসেব ঢাকা থেকে ইটালী হয়ে যাবে, সেটার গল্পও বলব আশা রাখি !

আর বাস মিস করার কাহিনীও একটা আছে আমার ডালাস - হিউষ্টন - নিউঅর্ললিন্স এর পথে :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.