নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রায়আন৫৬৩

আবু রায়আন

ছাত্র

আবু রায়আন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোবেট সর্ম্পকিত কিছুু কথা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

দৈনন্দিন জীবটা রোবট অনেক সহজ করে দিয়েছে। এর খারপ দিকের চেয়ে ভালো দিকটা অনেক বেশি। তবে সাম্প্রতিক খুনি রোবোটের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে রোবট জগতেরে নানা নামকরা ব্যাক্তিত্ব ও বিজ্ঞানীরা। রোবেট শব্দটি শোনলেই চোখের সামনে ভেসে আছে সায়েন্সফিকশনের সেই যন্ত্রমানবের কাল্পনির চেহারা কিংবা সাই ফা্ইভ মুভির কোনো এক যন্ত্রদানবের চেহারা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাপরাটা মোটেও এরক নয়। বির্বতনের ধারায় রোবটের গাঠনিক দিক থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে অনেক ভাবে। কেমন ছিলো এ রোবটে বির্বতন? চলো দেখা যাক রোবটের কিছু ইতিহাস।



১৯৩৯ : মানুষের মতোই কিছু একটা
বিশ্বের প্রথম রবোট তৈরী করা হয়েছিলো খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ থেকে ৩৫০ সালের মধ্যে। আর বাষ্পশক্তির সাহায্যে চলা এই রোবটটি তৈরী করেছিলেন গ্রিক গণিতবিদ আরকিটাস। এরপর ১৯৩২ সালে জাপানে লিলিপুট নামে ১৫ সেমি. উচ্চতার একটি খেলানা রোবট বাজারে আসে। তবে ১৯৩৯ সালের মাধেই রোবটকে খেলনার চেয়ে কাজের জিনিস হিসেবে ভাবা হয়। ১৯৩৯ সালে নিউইয়ার্কে অনুষ্ঠিত ওয়াল্স ফেয়ারে ৭ ফুট দীর্ঘ টিনের রোবটি নিজের আগমন বার্তা জানিয়ে দেয় এই বলে, রোবটটি ৪৮ টি ইলেকট্রিক্যাল দিয়ে তৈরী একটি বুদ্ধিমান সাহায্যকারী যন্ত্র।


১৯৮৮: মানুস চালিত নয় এমন ভার বহনকারী বাহন
হাসপাতালের নার্সের কথা ভাবলেই মনে পড়ে যায় রোগী বা মেডিকের সম্পর্কিত জিনিসপত্র কোনো কিছু নিয়ে যথাস্থানে পৌছে দেবার কোনো মানুষের কথা। আর এ কাজটি তার হাসপাতালের ব্যাস্ত করিডোর, মানুষ বা অন্য যেকোনো বাধা পেরিয়ে তবেই শেষ করতে হয়। কিন্তু এই কাজটির কথাই ভাবুন যেটি কোনো মানুষ করছি না। করছে কোনো একটি যন্ত্র! এই যন্ত্রটি হলো 'হেল্পমেট'। আজকের যুগে যখন ড্রাইভার ছাড়া কোনো গাড়ি চলে বা চালকিবিহীন বিমান আকাশে উড়ে তখন এই হেল্পলেট হয়তো আশ্চার্যের কিছুই না। কিন্তু ১৯৮৮ সালের সময় এটি ছিলো অনেক কিছু। অন্ত্যত জিনিসপত্র আনা নেয়ার কাজগুলো রোবটের হাতে দিয়ে দিলে মানুষ আরো গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারতো।

১৯৯৭: মানুষ বনাম মেশিন
১৯৯৭ সালের মে মাসের ১১ তারিখ। এ তারিখ দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানকে ৬ রাউন্ডের খেলায় হারায় আইবিএম এর তৈরী সুপার কম্পিউটার ডিপ ব্লু। তবে হারবেন এমনটা কোনো ভাবেই আশা করেননি দাবার এই গ্রান্ড মাষ্টার।


২০০৪: মহাকাশে রোবট
প্রায় এক দশক আগে রোবোনাট ২ নামের একটি রোবট মহাকাশের অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এটিকে মহাকাশে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিলো মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো করানো, যাতে করে বিজ্ঞানীরা অন্যান্য কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন।

২০১৪: বুদ্ধিমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
ইউগ্যান গোষ্টম্যান, দেখতে ইউক্রেনের কোনো দশ বছর বয়সী এক বালকের মতো। এটি মূলতো একটি রোবোট হলেও দুর্বল ইংরেজি জ্ঞানে এটি ৩৩% বিচারককে নিজেকে মানুষ হিসেবে বুঝাতে সক্ষম। তবে আসলে এটিচ একটি রাশিয়ান একটি রোবোট। শতকরা ৩৩ ভাগ লোক এটিকে মানুষ ভাবলেও নিন্দুকেরা বাকি ৬৭ ভাগ লোকের মতামত নিয়ে মেতে আছে।

জুন ২০১৫: রোবটের কি মন আছে?
পিপার নামের রোবটটি কিন্তুু কেবল মাত্র কোনো কাজের যন্ত্র শুধু না। পিপার এমন একটি যান্ত্রিক বন্ধু যা মাঝে আবেগ অনুভূতি আছে। এর ভিতরে থাকা রোবটির মাঝে সেন্সরগুলোর মাধ্যমে এটি অন্য জনের অনুভূতি বুঝে নিতে পারে, এমনকি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে সক্ষম। এ মুহূর্তে রোবটি ইংলিজ, জাপানিজ, ফ্রেঞ্চ আর স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে পারে।

জুলাই ২০১৫: মানুষের অবস্থান শনাক্তকারী:
টিউরিং টেস্ট ভুল বা সঠিক যে কোনো কিছু হতে পারে। এর ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করে বিচারকের ওপর। তবে এখন যেটি নিয়ে কথা বলাবো সেটি কিছুটা ব্যাতিক্রম। ৫৮ সেমি. লম্বা এ রোবটটি মানুষের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এমনকি এটি মানুষের সাথে কথাও বলে। এটি ২০০৬ সালে তৈরী করা হলেও এবারই এটিকে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত করা হয়।



(সংগ্রহকৃত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.