নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা বলি..... বর্তমানের- কথা বলি ভবিষ্যতের.......

মাই নেম ইজ রেজাউল ইসলাম। এন্ড আই অ্যাম নট এ রাজাকার !!!

মোঃ রেজাউল ইসলাম

আমি নতুন সর্বদা----

মোঃ রেজাউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

'ভাড়াটে খুনি' র‍্যাব ৮০০ হত্যাকান্ডে জড়িত !!!

২২ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

র‍্যাবকে BNP সরকার খুব একটা রাজনিতিকরন করে নি। বরং তাদের সরকারের আশকারায় তৈরি জঙ্গিবাদ দমনে র‍্যাব খুব প্রশংসনীয় কাজ করে। কিন্তু, culture of impunity তাদেরকে বেপরোয়া করে তোলে।



আর, আওয়ামী সরকার র‍্যাবকে ক্রমাগত রাজনিতিকরন করে, জবাবদাহিতা কমতে কমতে বিপদজনক পর্যায়ে চলে যায়, দলীয় লোকদের কমান্ডিং পর্যায়ে নিয়ে আসা হয় এবং বিশেষত বিরোধী নেতা কর্মী নির্যাতনে তাদেরকে blank check দিয়ে দেয়া হয়। যে কোন রাজনৈতিক challenge মোকাবেলায় র‍্যাব হয়ে ওঠে সরকারের মোক্ষম অস্ত্র। কোন সন্দেহ নেই, ইলিয়াস আলীকে র‍্যাব-ই গুম ও হত্যা করে। সাবেক বিরোধী এক MP কেও র‍্যাব গুম করে। এমন অগণিত বিরোধী দলের নেতা কর্মী হত্যা-গুম-গুলিবিদ্ধ করে র‍্যাব। র‍্যাব মানুষের কাছে বড় অঙ্কের ঘুষ খায়। crossfire-এর ভয় দেখিয়ে ভীতি তৈরি করে।



সাম্প্রতিক সময়ে র‍্যাব সরকারী দলের হয়ে ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করছে। এমন অবস্থায় এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।



****

ভাল লোক সব জায়গায় আছে। র‍্যাবের দেশপ্রেমিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের স্যালুট।

___________________________________________________



এমন এক প্রেক্ষাপটে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গতকাল এক প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের কাছে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত র‌্যাব ভেঙে দেয়া।





বলা হয়েছে গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ‘ডেথ স্কোয়াড’ র‌্যাব ভেঙে দিয়ে একে পূর্ণাঙ্গ বেসামরিক একটি বাহিনী হিসেবে তৈরি করার কথা। দাবি জানানো হয়েছে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার।



পাশাপাশি ভেঙে দেওয়ার আগে র‌্যাব থেকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতেও সুপারিশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

প্রধানমন্ত্রীকে সম্বোধন করে ব্র্যাড অ্যাডামস লেখেন, ‘আমরা আপনাকে লিখছি র‌্যাব ভেঙে দেওয়ার জন্য। এক দশক ধরে আমরা এবং অন্যরা দেখছি র‌্যাব বড়সংখ্যক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, অবৈধ আটকসহ ক্রমাগত প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছে। সেই ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে গঠনের পর থেকে শুরু করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমল পর্যন্ত র‌্যাব দায়মুক্তি পেয়ে আসছে। গত ১০ বছরে র‌্যাব প্রায় ৮০০ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। বাহিনীটির প্রধান হিসেবে পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কাজ করলেও বাস্তব অর্থে র‌্যাব মূলত সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। র‌্যাবে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তাদের সেখানে সেনাসদস্যদের আজ্ঞাবহ হিসেবেই দেখা হয়। কারণ সেনাবাহিনী বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই বেশ ক্ষমতাশালী। র‌্যাবের গঠনতন্ত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীকে বেসামরিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এ জন্য তাদের বেসামরিক জবাবদিহির জন্য সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় এ বিষয়ই তুলে ধরেছিল।’

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাব এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করায় এ বাহিনীর ইমেজ চরম খারাপ অবস্থায় চলে যায়। সরকার এ ক্ষেত্রে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। সাত খুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। র‌্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দায়মুক্তি পেয়ে আসছে। যেমন ২০০৯ সালে তৎকালীন আইনমন্ত্রী এইচআরডব্লিউকে বলেছেন, ক্রসফায়ার সমর্থনযোগ্য না হলেও মনে রাখতে হবে, র‌্যাব শুধু অপরাধীদেরই হত্যা করে। আবার চলতি বছরের ৯ মার্চ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, সবারই বেঁচে থাকার অধিকার আছে কিন্তু দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দূর করতে ক্রসফায়ারের প্রয়োজন আছে।



ব্র্যাড অ্যাডামস লিখেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যৌথ বাহিনীর অংশ হিসেবে এবং একক বাহিনী হিসেবে র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মী হত্যা ও নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের সম্প্রতি তদন্ত করেছে এইচআরডব্লিউ। ছয়টি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আটক করেছে এবং পরে তারা আটকাবস্থায়ই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। তিনটি ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ বলেছে নিহতরা বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে পড়ে ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন। দুটি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ও ঘটনাস্থলের আলামত প্রমাণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের হত্যা করেছে। এ ছাড়া এইচআরডব্লিউ সাদা পোশাকে র‌্যাব বা পুলিশের নামে গ্রেফতারের আরও ১০টি ঘটনা তদন্ত করেছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, তাদের র‌্যাব লেখা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি ঘটনায় ভিকটিমের লাশ পাওয়া গেছে রাস্তার পাশে। বাকিরা নিখোঁজ। এ কারণেই এইচআরডব্লিউ র‌্যাবকে বলে ‘ডেথ স্কোয়াড’।

এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশে শক্তিশালী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জরুরি। আর র‌্যাব এ ক্ষেত্রে নেতৃত্বের আসনে আছে। কিন্তু এত দিন ধরে এই বাহিনীর হাতে প্রশাসনিক হত্যাকাণ্ডগুলোর ন্যূনতম জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারায় এটি পরিষ্কার যে, র‌্যাবকে সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই একে ভেঙে দেওয়া প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলে থাকার সময় জনসমক্ষে এবং ব্যক্তিগতভাবে র‌্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নারায়াণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার পর ১৪ মে র‌্যাব ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। আটকাবস্থায় মানুষ হত্যার দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই র‌্যাব ভেঙে দেওয়া উচিত বলে সে সময় বলা হয়েছিল। তারপর আপনি র‌্যাবকে ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন এবং এই বাহিনীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’



চিঠির শেষে সুপারিশ অংশে বলা হয়েছে,

-র‌্যাব ভেঙে দিয়ে একে পূর্ণাঙ্গ বেসামরিক একটি বাহিনী হিসেবে তৈরি করা, যারা সংগঠিত অপরাধ ও জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রেও মানবাধিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করবে।

-নতুন এই বাহিনীর সদস্যদের কোনোভাবেই সশস্ত্র বাহিনী থেকে নেওয়া হবে না।

- বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো মারাÍক ধরনের অপরাধের সঙ্গে নতুন র‌্যাব বাহিনীর কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তাকে চিহ্নিত করা এবং বাহিনীর কর্মতৎপরতা মূল্যায়নের জন্য একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করতে হবে। আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে র‌্যাব পুনর্গঠনের জন্য এ কমিটিকে জনগণের অভিযোগ শোনার ক্ষমতা দিতে হবে।

-কমিটির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

-র‌্যাবের অভিযুক্ত সদস্যদের একটি স্বাধীন, স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং বিচারব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।

-তদন্ত ও বিচারের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অপরাধ সম্পর্কে ধারণা থাকার পাশাপাশি অপরাধ প্রতিরোধ ও অভিযুক্তের সাজা নিশ্চিত করার কর্তৃত্ব থাকতে হবে।



র‌্যাব ভেঙে না দেওয়া পর্যন্ত কয়েকটি সুপারিশও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রেখেছে এইচআরডব্লিউ। সেখানে বলা হয়েছে,

-র‌্যাবে কর্মরত সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং সেনাসদস্যদের ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করানোর পদ্ধতি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় আইনি পরিবর্তন আনা উচিত।

-------------------------------x----------------------------------------



'সরকার' কি বলে?

-গতকাল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং তাদের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করা হয়। 'শিল্পমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি' আমির হোসেন আমু বলেছেন, র‌্যাব ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ জানিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত আচরণ করছে।





**********************************************



হ্যা, সরকারের এমন প্রতিক্রিয়া এমন হবে এটা খুবই প্রত্যাশিত। তবে, আপনি যে দলেই ভোট দিন না কেন, এ রকম একটা প্রতিবেদনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব থেকে কিন্তু আপনিও মুক্ত নন। বিনিয়োগ, রপ্তানি, ভিসা প্রাপ্তি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পরবে। তবে আস্তে আস্তে, সময় নিয়ে। এছাড়া, এই র‍্যাব-ই ক্ষমতার পালা বদল হলে বন্দুকের নল আপনার দিকে ঘুরিয়ে নেবে। আপনার রক্ত ঝরাবে।



*** অনেকে আবার এই বলে তর্ক করতে পারেন, আমেরিকা-ইংলান্ড যেখানে গোটা বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের কি অধিকার আছে এ ধরনের রিপোর্ট দেয়ার! তার জবাবে বলব, সত্যি কথা হল, তাদের কোন অধিকার নেই। তবে, আমরা যতদিন মেরুদন্ড সোজা করে দাড়াতে না পারব, ততদিন তাদের খবরদারি মানতেই হবে। সেটা ইচ্ছেই হোক বা অনিচ্ছায়। ভারতের সমর্থন বা রাশিয়ার সমর্থন আমাদের উন্নয়নে যত ভূমিকা রাখে তার শত গুন বেশি ভূমিকা ইউরোপ, আমেরিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.