নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা বলি..... বর্তমানের- কথা বলি ভবিষ্যতের.......

মাই নেম ইজ রেজাউল ইসলাম। এন্ড আই অ্যাম নট এ রাজাকার !!!

মোঃ রেজাউল ইসলাম

আমি নতুন সর্বদা----

মোঃ রেজাউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়াবা সেবন ৬ বছরে ৭৭ গুণ বেড়েছে !!!! ....................../prothom-alo.com/

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

বাংলাদেশে গত ছয় বছরে মাদক হিসেবে ইয়াবার ব্যবহার বেড়েছে ৭৭ গুণ (সাত হাজার ৬২১ শতাংশ)। তবে অন্যান্য মাদক যেমন: ফেনসিডিল ও হেরোইনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। গাঁজার ব্যবহার সামান্য বেড়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘বার্ষিক মাদক প্রতিবেদন, ২০১৩’ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মাদকের হিসাব কষে এ তথ্য বের করেছে সরকারি সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মাদক ব্যবহারের মাত্রা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে মাদক উদ্ধারের হিসাব একমাত্র নির্দেশক নয়। তবু বাংলাদেশে মাদক ব্যবহারের ধারণা নেওয়া হয় উদ্ধারের হিসাব থেকেই। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যত পরিমাণ ইয়াবা ধরা পড়ে, তার চেয়ে কয়েক শ গুণ বেশি ইয়াবা এ দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে।

গতকাল সোমবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বজলুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বার্ষিক প্রতিবেদনটি সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। সভায় মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তারা ইয়াবা ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি এ-ও বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ইয়াবার মতো মাদকের ব্যবহার সেই পর্যায়ে যায়নি। এখানে এখনো ইয়াবা গোনা হয় ‘পিস’ হিসেবে। থাইল্যান্ডে উদ্ধার হওয়া ইয়াবার হিসাব রাখা হয় টন হিসাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে ৩৬ হাজার ৫৪৩টি, ২০০৯ সালে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৪৪, ২০১০ সালে আট লাখ ১২ হাজার ৭১৬, ২০১১ সালে ১৩ লাখ ৬০ হাজার ১৮৬, ২০১২ সালে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৯২ এবং ২০১৩ সালে ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫২৮টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হয়েছে। ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে ইয়াবা উদ্ধারের পরিমাণ বেড়েছে ৭৭ গুণ।
কিছু তথ্য উপস্থাপন করে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আমির হোসেন বলেন, আগে শুধু ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় ইয়াবার ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন গ্রামগঞ্জের পান দোকানেও এটি পাওয়া যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে এ সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
অধিদপ্তরের হিসাবে, বাংলাদেশে মাদক সেবনে বছরে ব্যয় হয় প্রায় চার হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা। দেশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মাদক সেবন করছে। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আবু তালেবের মতে, এখন বাংলাদেশের মোট মাদকসেবীর ৫০ ভাগের বেশি ইয়াবা ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে ইয়াবা আসছে শুধু মিয়ানমার থেকে।
কক্সবাজারের সরকারদলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন দিয়েছে। তাঁদের ঠেকাতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কী করছে, জানতে চাইলে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) নজরুল ইসলাম শিকদার বলেন, ইয়াবা পাচারের সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের তালিকা করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ঊর্ধ্বতনদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মাদক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের মংডুতে বাংলাদেশ সীমানার ১০ কিলোমিটারের ভেতরে ইয়াবার কারখানা রয়েছে। এখন চোরাপথে সবচেয়ে বেশি আসা পণ্য হচ্ছে ইয়াবা। কক্সবাজার হয়ে আসা ইয়াবা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনে কাজ করছে রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি কিছু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং নারীও ইয়াবা পাচারের সময় ধরা পড়েছে।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এখন কূটনীতিক মাধ্যমে মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে ভারতের সঙ্গে কূটনীতিক মাধ্যমে আলোচনার পরে ফেনসিডিলের চোরাচালান কমেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের সীমান্তে অবৈধ ফেনসিডিল কারখানাগুলো উচ্ছেদ করেছে।
ইয়াবা বাড়ছে, অন্যগুলো কমছে: প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াবা দ্রুতগতিতে ছড়ালেও অন্য মাদকগুলোর ব্যবহার কমছে। ২০০৯ সালে ১৫৯ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়। ২০১৩ সালে হেরোইন উদ্ধারের পরিমাণ ছিল ১২৩ কেজি। ২০০৯ সালে ১১ লাখ ১৭ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। ২০১৩ সালে এ পরিমাণ কমে আসে নয় লাখ ৮৭ হাজার বোতলে। তবে গাঁজা উদ্ধারের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে। ২০০৯ সালে প্রায় ৩৩ হাজার কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল। ২০১৩ সালে উদ্ধার হয় ৩৫ হাজার কেজি।
ইয়াবার ক্ষতি: জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াবা সেবনের পর প্রথমে মনে হয় শরীরে অনেক শক্তি এসেছে, যৌনশক্তি বেড়ে গেছে, সব ক্লান্তি কেটে গেছে। এটি একটি উত্তেজক মাদক। দীর্ঘ মেয়াদে এটি পুরো স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রচণ্ড খারাপ প্রভাব ফেলে। স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কাঠামো ও কার্যক্রম নষ্ট করে দেয়। এ ধরনের মাদকের প্রভাবে অনেক সময় মানুষ বদ্ধ পাগলের মতো আচরণ করে (সাইকোসিস সিনড্রম)। সেবনের পরপর অনেক ফুরফুরে লাগলেও এর প্রভাব কমে যাওয়ার পরই শরীরময় নেমে আসে রাজ্যের অবসাদ ও ক্লান্তি। এর ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের (স্ট্রোক) ঝুঁকিও তৈরি হয়।
মাদক চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, এখন চিকিৎসা নিতে আসা মাদকসেবীদের বেশির ভাগই ইয়াবা আসক্ত। আসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের (আপন) পরামর্শক খন্দকার রাশেদুজ্জামান বলেন, তাঁদের মানিকগঞ্জের আপনগাঁও কেন্দ্রে ২৭০ জন রোগী আছে। এঁদের মধ্যে ৮০ ভাগের বেশি ইয়াবা আসক্ত।
ঝুলন্ত মামলা: মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, এখন প্রতিবছর দেশে মাদক মামলা হয় ১০ হাজারের বেশি। ২০১৩ সালে হয়েছিল ১০ হাজার ১১১টি, তার আগের বছর ১০ হাজার ১৪। কিন্তু ২০১৩ সালে আদালতে দুই হাজার ২৭৫টি মাদক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর ফলে প্রচুর মাদক মামলা আদালতে বিচারের অপেক্ষায় ঝুলে আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন্স) প্রণব কুমার নিয়োগী বলেন, বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রচুর মামলা ঝুলে থাকছে। এর ফলে যখন মামলা বিচারের জন্য আদালতে উঠছে, তখন সাক্ষী হাজির করা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, যে কর্মকর্তা আসামি গ্রেপ্তার করেছিলেন, তিনি অবসরে গেছেন বা বার্ধক্যের কারণে আসতে পারছেন না বা মারা গেছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.