নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট কথা

রাজিব

আমি ভালবাসি বাংলাদেশ, আমার বউ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, ইতিহাস, গান, ফুটবল, লিখতে,

রাজিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলেক্স হেলি’র স্বপ্নের ছায়ারাজ্যঃ লেখক হতে চান এমন যে কারো পড়া উচিত

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৪০

১২ বছর ধরে আমি এ লেখাটি নিয়মিত পড়ছি। যখনই হতাশা আসে, সাফল্যকে অনেক দুরের কিছু মনে হয় তখনই পড়ি। একেবারে সত্য ঘটনা যা ‘রুটস’ খ্যাত লেখক আলেক্স হেলি নিজের জীবন সম্পর্কে লিখেছেন।অনুবাদ করে বেশ ভাল লেগেছে নিজের কাছে। আশা করি পড়তে আপনাদেরও ভাল লাগবে।



The Shadowland of Dreams

By Alex Haley

অনুবাদঃ রাজিব আহমেদ

মূল ইংরেজি লেখা এখানেঃ Click This Link



অনেক তরুন আমাকে বলে যে তারা লেখক হতে চায়। এ ধরনের লোকদের আমি সবসময় উৎসাহিত করি কিন্তু একই সঙ্গে তাদের এও ব্যাখা করি যে, একজন লেখক হতে চাওয়া ও লেখার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। এ ধরনের বেশিরভাগ তরুন সপ্ন দেখে সফল লেখক হয়ে অনেক টাকা ও খ্যাতি অর্জনের- প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে একা টাইপরাইটারের পাশে বসে থাকার স্বপ্ন তারা দেখেনা। আমি তাদের বলি, লেখক হবার ইচ্ছা নয় বরং লেখার জোরালো ইচ্ছা থাকতে হবে তোমাদের মধ্যে।

বাস্তবতা হচ্ছে লেখালেখি হচ্ছে নিঃসঙ্গ ও একাকি একটি জীবিকা যাতে টাকা আয়ের সম্ভাবনা খুবই সামান্য। হাজার হাজার লেখকের মধ্যে হয়তো মাত্র ১/২ জন সাফল্যের মুখ দেখে এবং তারা ভাগ্যবান। কিন্তু এর বিপরীতে কয়েক হাজার লেখক সারা জীবন চেষ্টাই করে যায় কিন্তু তাদের সপ্ন পূরণ হয়না। এমনকি যারা খুব সফল হয় তাদের অনেককেই লম্বা সময় ব্যর্থতা ও দারিদ্র্যের মধ্যে পার হতে হয়- আমার নিজের জীবনেই এমনটি হয়েছে।

কোস্ট গার্ডে ২০ বছর পার করার পর যখন এ চাকুরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্স লেখক হবার সিদ্ধান্ত নেই তখন আমার সামনে কোন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ছিল না। শুধু ছেলেবেলার এক বন্ধু ছিল যার সঙ্গে আমি টেনেসি অঙ্গরাজ্যের হেনিং নামক স্থানে একসঙ্গে বড় হয়েছি। সেই বন্ধু জর্জ আমাকে থাকার জন্য বিনাপয়সায় একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেয় একটি এপারমেন্ট বিল্ডিং (গ্রিনউইচ ভিলেজ এপার্টমেন্ট) এর গুদাম ঘরে। জর্জ সেখানে সুপারিন্টেনডেন্ট হিসেবে চাকরি করতো। ঘরটা ছিল বেশ ঠাণ্ডা এবং কোন বাথরুম পর্যন্ত ছিল না আমার জন্য। অবশ্য এতে আমি কিছু মনে করিনি বা করবার মত অবস্থা আমার ছিল না। আমি সাথে সাথে একটি ব্যবহৃত (হাতে চালিত) টাইপ রাইটার কিনে ফেলি এবং তখন মনে হচ্ছিল যে এতদিনে আমি একজন আসল লেখক হয়েছি।

একবছর বা তার একটু বেশি সময় পেরিয়ে গেল কিন্তু আমি বলার মত কোন সাফল্যের মুখ দেখলাম না। তখন নিজের উপর সন্দেহ জাগল। গল্প বিক্রি করা অনেক কঠিন ছিল সেসময় এবং যাও দুএকটি বিক্রি করতে পারতাম তা দিয়ে এত অল্প আয় হতো যে খাবারের টাকা নিয়মিত জোগাড় করাই কঠিন ছিল। কিন্তু আমি জানতাম যে লিখতে চাই- মন প্রাণ দিয়েই চাই। অনেক বছর ধরে লেখার স্বপ্ন দেখেছি। আমি তেমন ধরনের মানুষ হয়ে মরতে চাইনা যার মরনের সময় আফসোস জাগবে, যদি আমি এটা করতাম? আমি আমার স্বপ্নকে সব পরিক্ষার মধ্য দিয়ে পার করতে চাই যত অভাব অনটন আসুক বা যত অনিশ্চয়তার মধ্যে আমাকে কাটাতে হোক না কেন, ব্যর্থতার যত আশংকাই আসুক না কেন। এটি আশার ছায়াভুমি এবং যার মধ্যে সত্যিকারের স্বপ্ন আছে তাকে অবশ্যই এ ভুমিতে টিকে থাকতে শিখতে হবে।

হটাত একদিন একটা ফোন আসল যা আমার জীবনকে বদলে দেয়। না আমার এজেন্ট বা কোন বড় পত্রিকার সম্পাদক বড় অফার নিয়ে আমাকে সেদিন ফোন দেয়নি। বরং বিপরীত ধরনের একজন আমাকে ফোন দিয়েছিল। লেখা ছেড়ে দেবার লোভ জাগতে পারে এমন একটি প্রস্তাব পাই। কোস্ট গার্ড চাকরিতে পূর্ব পরিচিত একজন ফোন দেয়। সে এখন সান ফ্রান্সিসকোতে কাজ করছে। এক সময় আমাকে কয়েক ডলার ধার দিয়েছিল এবং সে টাকার জন্য মাঝে মধ্যে মজা করে আমাকে খোঁচাত। “আমার ১৫ ডলার কবে ফেরত পাব, আলেক্স?”

“যখন আমি একটা লেখা বিক্রি করতে পারবো তখন।“

“আমার মাথায় এর থেকেও ভাল একটা আইডিয়া রয়েছে। আমাদের একজন পাবলিক-ইনফরমেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট দরকার, বেতন বছরে ৬,০০০ ডলার। তুমি যদি চাও তবে এ চাকরি তোমার।“

বছরে ছয় হাজার ডলার! ১৯৬০ সালে এটি যথেষ্ট ভাল মানের আয় ছিল। এ বেতন দিয়ে আমি একটা সুন্দর এপার্টমেন্ট ভাড়া করতে পারতাম, একটু পুরনো গাড়ি, আমার ধার শোধ করেও একটু একটু করে প্রতি মাসে কিছু টাকা জমাতে পারতাম। আর অবসর সময়ে টুকটাক লিখতে পারতাম।

যখন ছয় হাজার ডলারের স্বপ্ন আমার মাথার মধ্যে নৃত্য করছিল, অন্য কিছু একটা আমার অনুভুতিকে একদম পরিষ্কার করে দেয়। আমার মনের মধ্যে একটি প্রতিজ্ঞার কথা দৃঢ়ভাবে জেগে উঠে। আমি একজন লেখক হবার স্বপ্ন দেখেছি- সত্যিকারের একজন ফুল টাইম লেখক এবং সেটাই আমি হবার চেষ্টা করে যাবো। ধন্যবাদ, কিন্তু না- এ কথা আমি নিজেকে বলি। আমি লেখক হবার চেষ্টা নিয়ে লেগে থাকবো এবং লিখে চলবো।

এ ফোন কলটির পর আমি আমার ঘরের চারদিকে পায়চারী করতে থাকলাম। নিজেকে বোকা ও ব্যর্থ মনে হল। কাবার্ড খুলতেই আমার সমস্ত সম্পদ দেখতে পেলাম ও যা ছিল তা বের করলাম। সেখানে যা ছিলঃ দুই ক্যান সারদিন (মাছ)। তারপর আমার পকেটে যা ছিল বের করলাম এবং সেখানে ছিল মাত্র ১৮ সেন্ট। আমি একটা কাগজের ব্যাগে সারদিনের ক্যান ও ১৮ সেন্ট এর পয়সাগুলো রাখলাম। আমি নিজেকে শুধালাম, “এলেক্স, লেখালেখি করে এ পর্যন্ত এটুকু সম্পদই তুমি অর্জন করতে পেরেছে।“ এর আগে কখনো এত হতাশ লেগেছে কিনা নিজের কাছে আমি জানি না।

বলতে পারলে খুশি হতাম যে এরপর আমার অবস্থা অনেক ভাল হতে শুরু করে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ঈশ্বরের দয়া যে জর্জ ছিল এবং খুব খারাপ সময়ে টুকটাক সাহায্য করে আমাকে চালিয়ে নিত।

জর্জ এর মাধ্যমে আমি ঐ এলাকার অন্যান্য সংগ্রামী শিল্পীদের দেখা পাই। জো দেলানে ছিলেন টেনেসির নক্সভিল থেকে আগত একজন চিত্রশিল্পী। প্রায়ই দেখা যেত জো এর কোন খাবার নেই। তখন সে চলে যেত এক কসাইয়ের দোকানে। কসাই তাকে বড় বড় হাড় দিত যেগুলোর গায়ে অল্প সল্প মাংস লেগে থাকতো। তারপর যেত এক মুদির দোকানদারের কাছে যে প্রায় পচে যাওয়া সব্জি দান করতো। জো এই দুই মিলে সুপ বানিয়ে খেত।

ঐ গ্রামে আমার আরেকজন প্রতিবেশী ছিল হ্যারী বেলফন্টে নামক সুদর্শন এক গায়ক যে একটি রেস্টুরেন্ট চালাত। তার ব্যাবসার অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে গুজব প্রচলিত ছিল যে যদি কোন একজন কাস্টমার মাংসের স্টেক অর্ডার দিত তাহলে হ্যারী দৌড়ে রাস্তার ঐ পারের সুপারমার্কেট থেকে একটি স্টেক কিনে নিয়ে আসত।

দেলানে এবং বেলফন্টের এর মত শিল্পীরা আমার কাছে রোল মডেল হয়ে উঠল। তাদের দেখে আমি শিখলাম নিজের স্বপ্ন পুরনের জন্য জীবনে অনেক আত্বত্যাগ করতে হয়। এবং এটাই ছায়ারাজ্যে বাস করার আসল দিক।

একদিকে যখন এ ধরনের আত্বত্যাগ করায় অভ্যস্ত হচ্ছিলাম তখন অন্য দিকে আস্তে আস্তে আমার লেখা বিক্রি হতে শুরু হল। আমি তখনকার সমাজের যেসব বিষয় নিয়ে অনেক মানুষ চিন্তা করছিল সেগুলো নিয়ে লিখতাম- নাগরিক অধিকার, আমেরিকার কালো মানুষ এবং আফ্রিকা। একসময় নিজের ছোট বেলার কথা মনে হতে থাকলো। আমার ঘরের নিস্তব্ধতায় আমি আমার মাতামহী, কাজিন জর্জিয়া, প্লাস খালা, লিজ খালা এবং টিল খালার আমার ছোটবেলায় আমাদের পরিবার ও দাস প্রথা নিয়ে বলা গল্প গুলো যেন আবার শুনতে পেতাম।

এ ধরনের গল্প সে সময়ের কালো মানুষেরা এড়িয়ে চলত এবং এজন্য এসব আমি নিজের মধ্যে রেখেছিলাম। কিন্তু এক দিন রিডার্স ডাইজেস্ট এর সম্পাদকদের সঙ্গে দুপুরের খাবারের সময় আমি এসব গল্পের কথা তাদের জানিয়ে বললাম যে আমার স্বপ্ন আফ্রিকা থেকে আমার পরিবার কিভাবে আমেরিকাতে এল সে গল্প ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার। সেদিন আমি এমন একটা চুক্তিতে সই করতে পারলাম যার ফলে পরের ৯ বছর ধরে গবেষণা ও লেখালেখি করতে টাকা নিয়ে আর দুশিন্তা করতে হল না।

অনেক লম্বা সময় ধরে আমার লেগে থাকতো হল। ধীরে ধীরে উন্নতি আসল। কোস্ট গার্ড এর চাকরি ছাড়ার ১৭ বছর পর ১৯৭৬ সালে আমার সফল উপন্যাস ‘রুটস” প্রকাশিত হয়। এরপর রাতারাতি আমি এত বেশি সাফল্য ও খ্যাতির মুখ দেখলাম যা খুব কম লেখকই তাদের জীবদ্দশায় উপভোগ করতে পারে। আমি আর অন্ধকার ছায়ার রাজ্যে বাস করিনা এবং আমার সামনে তখন চোখ ধাঁধানো খ্যাতির উজ্জল আলো।

জীবনে প্রথমবারের মত আমার অনেক টাকা এবং আমার জন্য সব দরজা খুলে গেল। ফোন প্রতিনিয়ত বাজত এবং তাতে নতুন বন্ধুত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের কাজের চুক্তি পেতাম। সব গুছিয়ে লস এঞ্জেলসে চলে গেলাম যাতে করে টেলিভিশনের জন্য ‘রুটস’ অবলম্বনে যে মিনি সিরিজ বানানো হবে তাতে সাহায্য করতে পারি। এটা আমার জন্য এক হতভম্ব হয়ে যাবার মত সময় এবং সত্যি বলতে কি খ্যাতি ও সাফল্য আমাকে অন্ধ করে দেয়।

তারপ হটাত একদিন আমি যখন জিনিসপত্র গুছাচ্ছিলাম তখন একটা বাক্স খুঁজে পাই যার ভেতর সেই গ্রামে থাকাকালীন সময়ের জিনিসপত্র ছিল। ঐ বাক্সের ভেতর ছিল একটি বাদামি রঙের কাগজের ব্যাগ।

আমি কাগজের ব্যাগটি খুললাম এবং তার ভেতর ছিল দুইটি সারদিন মাছের ক্যান, ১০ সেন্টের একটি, পাঁচ সেন্টের একটি এবং ১ সেন্টের তিনটি পয়সা। সাথে সাথেই অতীতের স্মৃতি ফিরে এল আমার মনে। নিজের চোখেই যেন আবার দেখতে পাচ্ছি সেই আমাকে- একটা ঠাণ্ডা ঘরে টাইপরাইটার নিয়ে কষ্ট করে যাচ্ছি দিন রাত ধরে। আমি নিজেকে বললাম, “এই মাছের ক্যান আর পয়সা এরাও আমার শেকড়ের (রুটস) এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোন দিনই আমি তা ভুলতে পারবো না।“

এরপর এগুলোকে ফ্রেমে বাধাই করাই এবং একটি সচ্ছ প্লাস্টিক কেইসে এমনভাবে রাখি যাতে করে আমি প্রতিদিন দেখতে পাই। এখন আমি এটি নক্সভিলে অবস্থিত আমার অফিসের ডেস্কের উপর পুলিটজার পুরস্কার, রুটস মিনি সিরিজের জন্য পাওয়া ৯ টি এমি এ্যাওয়ার্ড এর ছবি এবং NAACP এর সর্বোচ্চ পুরস্কার স্পিঙ্গার্ন মেডেলের সঙ্গে রেখেছি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মুল্যবান কোনটি তা বলতে হয়তো আমার অনেক চিন্তা করতে হবে। তবে এগুলোর মধ্যে শুধু একটি স্মারকই আমার অতিতের ছায়ার রাজ্যে বসবাসের সময়ের জীবনের সাহস এবং অধ্যাবসায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।

যে কারো মধ্যে আমার মত স্বপ্ন থাকলে এই সাদামাটা বিষয়টি শিখতে হবে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাজিব বলেছেন: কষ্ট করে এত বড় লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সোজা প্রিয়তে। +++।

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

রাজিব বলেছেন: উৎসাহ দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: লেখক হওয়ার স্বপ্নকে পাকাপোক্ত করার জন্য অনেক অনুপ্রেরনাদায়ক লেখা । শেয়ারের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । :)

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৭

রাজিব বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল লাগল পোস্টটা +++

১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪

রাজিব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৭

আধখানা চাঁদ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট । এমন পোস্ট মাত্র ১৩৮ বার পঠিত হয়। আর আবজাব পোস্ট ২৫০-৩০০ বার পঠিত হয়। ভাল পাঠকেরও বড্ড অভাব।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

রাজিব বলেছেন: অনুপ্রেরণা দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সত্যি বলতে কি কতবার পঠিত হল তা নিয়ে আমি খুব বেশি চিন্তিত নই। অনেক বছর পেটের দায়ে ইন্টারনেটে লিখেছি ও ব্লগিং করেছি। তাই চাইলেই এই পোস্ট ৫০০ জন পড়ার ব্যবস্থা করতে পারতাম বা এমন পোস্ট লিখতাম যা হাজারবার অনায়াসে পঠিত হবে। এটি আমার জন্য খুব কঠিন বিষয় নয়। আমার ব্লগের (ইংরেজি) গত ৮ বছরে প্রায় ১ কোটি বারের মত (পেইজভিউ) পড়া হয়েছে।
আমি চাই মনের আনন্দে লিখতে এবং লেখার পর যাতে মনে হয় যে নিজের সেরাটাই লিখতে পেরেছি। আর আলেক্স হেলি বলে গেছেন লেখালেখি এক নিঃসঙ্গ কাজ। আসলে ১০০ বার পঠিত হবার থেকে আপনার মত ১ জন মন দিয়ে পড়লেই আমি বেশি খুশি হবো।

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: লেখক হইতে গেলে জীবনে অপার কষ্ট পাইতে হবে এইটা সর্বাংশে ঠিক না। কারো কারো জীবনে ঠিক হইতে পারে।

তবে লেখক হইতে গেলে স্বপ্নটারে বাঁচাইয়া রাখা, প্রবল ইচ্ছাটারে ধইরা রাখা সেই সঙ্গে অব্যহত চর্চা আর ধৈর্য বজায় রাখতে হবে।

আমদের আজকাল ধৈর্যের চাইতে, চর্চার চাইতে, লেখার মানের চাইতে কেমনে লেখক নাম বা সাহিত্যিক নামটা ফাটানো যায় সেই চেষ্টাটা আছে। আর সে কারণে গ্রুপিং, লেখা চুরি, অমুক লেখক খারাপ তমুক চোর এই তথ্যগুলা নিয়া মাতামাতি করি।

সব শেষ কথা যে, লেখালেখিটারে ভালোবাসতে হবে নিজের মতই, কাজটা প্রিয় হইতে হবে জোবনের আরো প্রিয় বিষয়গুলার মতনই।

ভালো থাকেন সব সময়। আপনার চেষ্টা সচল থাকুক বাকি জীবন।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

রাজিব বলেছেন: লেখক হতে হলে সংগ্রাম করতে হয় বলেই আমার মনে হয়। শুরুটা বেশীরভাগ লেখকের জন্যই বেশ কঠিন। বাংলা সাহিত্যের দিকে তাকালেও দেখবো নজরুল, শরৎ চন্দ্র, জীবনানন্দ দাশ সবারই সংগ্রাম করতে হয়েছে অন্তত আর্থিকভাবে। অনেকে আবার জীবিতকালে খুব একটা খ্যাতি বা সাফল্য কোনটাই পান না।
"আমদের আজকাল ধৈর্যের চাইতে, চর্চার চাইতে, লেখার মানের চাইতে কেমনে লেখক নাম বা সাহিত্যিক নামটা ফাটানো যায় সেই চেষ্টাটা আছে। আর সে কারণে গ্রুপিং, লেখা চুরি, অমুক লেখক খারাপ তমুক চোর এই তথ্যগুলা নিয়া মাতামাতি করি। "
খাঁটি কথা বলেছেন। আমাদের মধ্যে আসলেই ধৈর্যের এবং চর্চার প্রচণ্ড অভাব। এত সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

রমিত বলেছেন: এক কথায় চমৎকার।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫

রাজিব বলেছেন: উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার একটা কাজ করেছেন রাজিব ভাই...
এধরণের লেখা খুঁজেছিলাম অনেক আগে একবার...
প্রিয়তে নিলাম, পড়ছি এখনো...
ভালোলাগা (৩য় +) রইলো পোস্টটায়...

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৬

রাজিব বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। যখনই হতাশ লাগে তখনই এই লেখাটি পড়ি।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চমৎকার ৷ উৎসাহব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণামূলক অনুবাদকর্ম ৷ ইচ্ছা ও সাধনা থাকা উচিৎ সবারই ৷

আপনার ব্লগে তো লেখাগুলো ইংরেজি মাধ্যমে ৷ তাই এখানে কিছু লেখার অনুবাদ আশা করব ৷

আপনার লেখা পড়া হয় বেশি বড় বলে অফলাইনে ৷ শুভ হোক ব্লগিং প্রত্যাবর্তন ৷

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

রাজিব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। হ্যা, ইংরেজিতে অনেক ব্লগ পোস্ট লিখেছি- তা ৫,০০০ তো হবেই। বাংলা অনুবাদ করার মত অনেক কিছুই আছে তবে বেশীর ভাগ পোস্ট লেখা হিয়েছিল হিটের আশায় বা পেটের দায়ে। এখানে লিখছি মনের আনন্দে নিজের জন্য।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

আলম দীপ্র বলেছেন: অনেক ভাল লাগ্ল পোস্ট তা । প্রিয়তে নিলাম ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

রাজিব বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রাজিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আপনার লেখা টা এখন ই পড়লাম। তবে আলেক্স হ্যালির রুটস মুভি দেখেছি ছোটবেলায় বিটিভিতে। আফ্রিকান দাসত্ব এবং তত্কালীন শেতাঙ্গদের অত্যাচার তাদের উপর । একসময় দাসদের মুক্তি ,অসাধারণ একটি মুভি। অনেকবার কেদেছিলাম মুভি টা দেখে , ওদের উপর বর্বর অমানবিক অত্যাচার দেখে। আমার শৈশব কেটেছিল আমেরিকান দের ঘৃনা করে। কেননা তাদের পূর্বপুরুষ রা কাল আফ্রিকান দের অনেক নির্যাতন করেছিল। এখন ঘৃনা করিনা যেহেতু ওদের দাস প্রথা বিলুপ্ত করার পিছনে কিছু সাদা আমেরিকান ও ছিল যদিও আব্রাহাম লিঙ্কন কাল ছিলেন। যাই হোক বলতে চাচ্ছিলাম এত ভাল লেগেছে আপনার লেখা টি। আপনি খুব জীবন ঘনিষ্ঠ লেখা লিখেন যা খুব শ্রদ্ধা জাগায় মনে। আমি এসব লেখা অনেক পছন্দ করি ,কিন্তু আমি নিজে গুছিয়ে লিখতে পারিনা। যারা পারে বা আপনি লিখেন তাদের আমি সালাম জানাই। আমার হৃদয় থেকে অনেক শ্রদ্ধা আপনার জন্য রাজীব ভাই।

আমি নিজে লিখি ভিতরের কথা বের করে দেওয়ার জন্য ,বিষন্নতা কাটিয়ে উঠার জন্য। কখন মাথায় চিন্তা কাজ করেনি আমার লেখা ছাপাব , উপার্জন করব। টাকা দিয়ে আমি কোন দিন বই ছাপাবনা কালকে আমি মনে মনে এই প্রমিজ করেছি। আমি মনে করি সাহিত্য সমাজের ,মানুষের কথা বলার জন্য। যদি কখন ও এমন হয় কেও বা কোন প্রকাশনী পছন্দ করে আমার লেখা প্রকাশ করতে চায় তবে অবশ্য ই আমার সব লেখা স্বত্ব ত্যাগ করে ছেড়ে দিব সমাজের জন্য। আমি এইভাবে দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমার এর চেয়ে বেশি সামর্থ্য নেই। আমার টাকা পয়সা নাই। দেশের দুস্থ মানুষদের জন্য কিছু করা সম্ভব না আমার দোয়া করা ছাড়া।

অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। শুভেচ্ছা রইল রাজীব ভাই।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫০

মোহামমদ ইকবাল হোসেন বলেছেন: চমৎকার লাগল। অনেক উৎসাহ যোগাবে আমাকেও তাই প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৪২

শান্তনু শুভ্র বলেছেন: অসাধারণ রকমের ভালো লাগলো । কিছু বাস্তব হতাশা থেকে উতরে ওঠার প্রেরণা পেলাম।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২০

রাজিব বলেছেন: আপনার কমেন্টটি পড়ে আমিও উৎসাহ পেলাম

১৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগল।
প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।


ভালো থাকবেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৩

রাজিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.