নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটিকে ডাকা হত স্পার্কি নামে। এটি তার আসল নাম নয়। অবশ্য তার আসল নাম হওয়া উচিত ছিল ব্যর্থ বা দা লুজার। তার আসল নাম আমি একটু পরে জানাব। তবে ছেলেটি অনন্ত জলীল নয়।
স্কুলে স্পার্কির সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ছিল লেখাপড়া না পারা। অষ্টম শ্রেণীতে সে কৃতিত্বের সঙ্গে সব বিষয়ে ফেল করতে সক্ষম হয়। হাইস্কুলে উঠে পদার্থ বিজ্ঞানে সাফল্যের সঙ্গে শুন্য গ্রেড অর্জন করে। তার এই অসাধারণ সাফল্য ল্যাটিন ভাষা, বিজগনিত এবং ইংরেজি ভাষাতেও সম্প্রসারিত হয়। এত ভাল গুন যার সে কি আর খেলাধুলাতে ভাল করবে? স্কুলে খেলাধুলাতে সে কিছু করতে পারেনি। স্কুলে গলফ দলে অন্তর্ভুক্ত হলেও যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল তাতেও সে হেরে যায়। এরপরে একটি সান্ত্বনাসূচক ম্যাচ হলে সেটিতেও সে গৌরবের সঙ্গে পরাজয় বরন করেন। সারা স্কুল জীবনেই স্পার্কির এ ধরণের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা সাফল্যের সঙ্গে বজায় ছিল। এমনকি সে কারও সঙ্গে খুব একটা মিশতে পারত না। অন্য ছাত্ররা তাকে নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাত না। তাই একবার স্কুলের বাইরে যখন তার এক সহপাঠী তাকে হ্যালো বলে সম্বোধন করে তখন সে অনেকটা অবাক হয়েছিল।
স্বভাবতই মেয়েদের সঙ্গেও স্পার্কি মিশতে পারত না। সে কোন মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া (ডেটিং) তো দুরের কথা, কোন মেয়েকে সাহস করে ঘুরতে যাবার প্রস্তাব দিয়েছিল বলে মনে হয় না। প্রস্তাব দিলেও যে ব্যর্থ হত এতে কোন সন্দেহ নেই।
স্কুল জীবনে বোধহয় নির্ধারিত হয়েছিল স্পার্কি ভবিষ্যতে একজন ব্যর্থ মানুষই হবে। তার সহপাঠীরা, তার পরিবারের লোকজন এমনকি সে নিজেও এই কথা বুঝে গিয়েছিল। তাই অল্প বয়সেই স্পার্কি নিজের ভবিষ্যৎ কে মেনে নিয়েছিল এবং এ নিয়ে তার মনে কোন কষ্ট ছিল না।
তবে একটা জিনিসকে স্পার্কি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল জীবনে। আর তা হল ছবি আকা বা ড্রয়িং। সে তার শিল্পকর্ম নিয়ে দারুন গর্ব অনুভব করত। অন্যরা তার শিল্পকর্মকে পাত্তা দিত না বা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করত না। হাইস্কুল জীবনের শেষ দিকে তার স্কুলের ইয়ার বুকের সম্পাদকের কাছে কিছু কার্টুন জমা দেয় স্পার্কি। বলাই বাহুল্য ব্যর্থ স্পার্কির কার্টুন ছাপতে রাজি হবে কোন সম্পাদক? তাই এই যাত্রাও সে ব্যর্থ হল। কিন্তু এই ব্যর্থতায় দমে না গিয়ে স্পার্কি একজন পেশাদার শিল্পি হবার সিদ্ধান্ত নেয়।
হাই স্কুল শেষ করার পর স্পার্কি ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির কাছে কাজের জন্য আবেদন করে। এই কোম্পানি তাকে স্যাম্পল হিসাবে কিছু ছবি পাঠাতে বলে। স্পার্কি যথারীতি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে কিছু ছবি পাঠায়। বলতে পারলে খুশী হতাম যে ডিজনি আনন্দের সঙ্গে তাকে তাদের কোম্পানিতে নিয়ে নেয়। কিন্তু তা হয়নি এবং স্পার্কির ব্যর্থতার মুকুটে আর একটি পালক গৌরবের সঙ্গে যুক্ত হয়।
কি আর করবে বেচারা স্পার্কি? সে সিদ্ধান্ত নিল কার্টুনের মাধ্যমে নিজের আত্মজীবনী রচনা করবে। তাই করল এবং কার্টুনের মাধ্যমে একটি ছেলের ছোটবেলা ফুটিয়ে তুলল যে কোন কিছুতে সফল হয় না।
কিন্তু এবার তার কপাল খারাপ- সে কিভাবে যেন বেশ সফল হয়ে গেল। তার কার্টুন চরিত্র গুলো সারা বিশ্বে বিখ্যাত হল। স্পার্কির সত্যিকারের নাম হচ্ছে Charles M. Schulz । তার সম্পর্কে জানতে চাইলে উইকিপিডিয়াতে এই লিঙ্কে যানঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Charles_M._Schulz
তার এই কমিক স্ট্রিপের নাম Peanuts (http://en.wikipedia.org/wiki/Peanuts ) । আর কার্টুন চরিত্রটির নাম হচ্ছে চার্লি ব্রাউন। চার্লি ব্রাউন এর ঘুরি কখনো উড়ত না বা সে ঠিক মত ফুটবলে লাথি মারতে পারত না।
এই কমিকসটি পঞ্চাশ বছর একটানা চলেছিল (১৯৫০-২০০০)। আর একসময় কমিকসটি বিশ্বের ৭৫টি দেশের ২১ ভাষায় ২৬০০টি সংবাদ পত্রে ৩৫ কোটি লোক নিয়মিত পড়তো। আর এই ব্যর্থ ছেলেটি শেষ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এক বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে।
(বলতে ভুলে গেছি, এটি আমার অনুবাদ করা। কোথা থেকে মূল ইংরেজি লেখাটি পেয়েছি তা এখন ভুলে গেছি)
২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
রাজিব বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে দেখে খুশী হলাম।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো ভ্রাতা ++++++
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০৫
রাজিব বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে দেখে আমারও ভাল লাগলো।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যদিও মূল লেখা পড়িনি কিন্তু মনে হয়নি কোন অনুবাদ পড়ছি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
রাজিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। এই ধরনের অনুবাদ করতে আমার বেশ ভাল লাগে।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সে সকল বিষয়ে ব্যর্থ হলেও লেগে থাকার বিষয়ে ব্যর্থ ছিল না । তার ড্রয়িং কে অবমূল্যায়ন করার পরও সে ড্রয়িং এর সাথে লেগে ছিল । তাই তার সাফল্য এসেছে । এই লেগে থাকার বিষয়টা বড়ই কঠিন ।
লেখাটি ভালো লেগেছে । ঈদ মোবারক ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮
রাজিব বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছেন। তবে আপনার কলমের কালি শেষ হয়ে গেছে কেন?
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্পার্কির পেছনের ইতিহাস জানা ছিল না, জেনে ভাল লাগল।
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
রাজিব বলেছেন: আমার নিজেরও পেছনের এই ইতিহাস জানা ছিল না। ধন্যবাদ
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০০
আরজু মুন জারিন বলেছেন: Charles M. Schulz সম্পর্কে চমৎকা র লেখাটি পড়লাম। প্রথমে ভেবেছিলাম চার্লি চাপলিন। আপনি অনুবাদ করেছেন ? সুন্দর গুছিয়ে করেছেন। অনেক ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল। ..আর অপেক্ষা রইল নুতুন নুতুন অনুবাদ লেখার। ভাল থাকবেন।
ঈদ মোবারক। .
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৮
রাজিব বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম এবং সামনে বইমেলাতে আপনার গল্পের বই আসবে বলে আশা করি।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২২
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনার লেখা খুব ভাল লাগল।
পোস্টে প্লাস।
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৫
রাজিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লেগেছে।
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:০২
রাজিব বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:১৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এতো সিনিয়র কারো পোষ্টে মন্তব্য করবো কখনো ভাবি নি।। কিন্তু আপনাকে আমার বাড়িতে দেখে এই সাহস পেলাম।
অজানাকে জানার যে আনন্দ তা আর কেউ বুঝতে পারে না। আমি জানি সে টা।। স্পার্কির ঘটনা আমাকে সেই আনন্দই দিল।।
ধন্যবাধ এবং সাথে ঈদ মুবারকও। ভাল থাকবেন।।
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:০৩
রাজিব বলেছেন: ভাই আমি সিনিয়র ব্লগার না। পোস্ট সংখ্যার দিক থেকে বোধহয় আপনারও জুনিয়র। এই জুলাইতে ১১ টা পোস্ট করেছি এবং সে দিক দিয়ে চিন্তা করলে আমার বয়স ১ মাসও হয়নি।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: এই ডিজিটাল যুগে কি আর কলম দিয়ে চলে । কলমের কালি শেষে তাই কীবোর্ড টিপে লিখছি ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৯
রাজিব বলেছেন: খেয়াল রাখবেন যেন পিসির প্রিন্টারের কালিও শেষ না হয়ে যায়। :ী
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪২
আলম দীপ্র বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম । ভাল লাগল ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১
রাজিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪০
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি আপনার লিখার নিয়মতি পাঠক হলাম। হয়তোবা কখনো ঠিকমতো মন্তব্য করতে পারবোনা। তবে ঠিকঠিক পড়ে নেবো।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৬
রাজিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কমেন্ট করা অত্যাবশ্যক কিছু নয়। আপনি পড়লেই যথেষ্ট।
১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩১
সাব্বির আকিব বলেছেন: খসরু চৌধুরী ও কিছুনা এই অনুবাদ এর কাছে। আন্দচ্ছলে শিক্ষা দেওয়া টাইপ একটা অনুবাদ। দারুন!!!! এগিয়ে যান রাজিব(!!!!!) ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখা ভালো লেগেছে! চমৎকার।