নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিরাজের খেরোখাতা

সফদার কবিরাজ

আমি চ’লে যাব - তবু জীবন অগাধ তোমারে রাখিবে ধরে সেই দিন পৃথিবীর ‘পরে;- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে!

সফদার কবিরাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনাজ অথবা দিনারাজের দরবারে ২০১১

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

২০১১ সালের ১৩ই মার্চ। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের আমরা সাত বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিতে বসি পরবর্তী ছুটিতে কোথায় যাওয়া যায়। ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস। ১৮ তারিখ শুক্রবার। ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন মেডিকেলের প্যাকড শিডিউলের মাঝে দুইদিনের ছুটি অনেক কিছু। উত্তরবঙ্গের কোন জেলাতেই তখনো ট্যুর করিনি। তাই অবশেষে স্থির হয়- দিনাজপুর ভ্রমণ সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক হবে।





দিনাজপুর সম্পর্কে কয়েকটি কথা না বললেই নয়। ইন্টারনেট ঘেঁটে যতটুকু জেনেছি- ভারতের ছোট নাগপুর, বিন্ধ্যা পর্বত প্রভৃতি লাখ লাখ বছরের প্রাচীন স্থানগুলোর মৃত্তিকার সমগোত্রীয় হল দিনাজপুরের মাটি। শোনামতে জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনের সূচনায় সৃষ্ট আদি জেলা শহরগুলির অন্যতম দিনাজপুর। ইংরেজ সেনারা পলাশী যুদ্ধের আট বছর পর ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে এ এলাকা জয় করে। ফলে নবাবী শাসনের অবসানের সঙ্গে পতন হয় সাবেক রাজধানী ঘোড়াঘাট নগরের। তারপর থেকে গড়ে উঠতে শুরু করে দিনাজপুর শহর। ইতিহাস খ্যাত পঞ্চনগরী দিনাজপুরেই অবস্থিত ছিল।





১৫ই মার্চ সকালে নতুন বাসস্ট্যান্ডে ‘তুহিন কাউন্টার’ হতে দিনাজপুরের টিকিট করে আনি। ভাড়া ৪৫০ টাকা। তুহিন বাসটি বরিশাল হতে ছেড়ে আসবে। ফরিদপুর হয়ে তারপর একে একে মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, নীলফামারী; মোট ৯ জেলা পাড়ি দিয়ে দিনাজপুর পৌঁছাবে। সর্বমোট ৫৪১ কি মি পথ- প্রায় বারো ঘন্টার জার্নি।





১৬ই মার্চ বুধবার রাত। সারাদিন ক্লাশ, হসপিটাল ওয়ার্ড শেষে বিকালে হালকা ঘুমিয়ে জার্নির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ৮-১৫ টায় বাস ছাড়ার সময়- কিন্তু বাস এসে পৌঁছাল রাত ৮-৪৫ টায়। বাসে উঠে জানালার পাশের সিট দখল করি। দেরী না করে বাস ছেড়ে দিলে খুব দ্রুতই মাগুরা, ঝিনাইদহ পার হয়ে কুষ্টিয়া চলে আসি। শুনশান রাতের বাংলাদেশ দেখতে দেখতে যাচ্ছি। কালো আকাশ, তার মাঝে আরো কালো দু’পাশের গাছপালা। রাস্তা এত নির্জন মাঝে মাঝেই ভৌতিক লাগছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের মত এই রাস্তা ততটা ব্যস্ত না। তাই একটু পর পর রেস্তোরাঁর দেখা মেলে না। গভীর রাত হওয়ায় বাজারহাটও বন্ধ। মাঝে মাঝে কিছু সাইনবোর্ডে হয়তো আলো জ্বলছে।





কুষ্টিয়ার একেবারে শেষপ্রান্তে পদ্মানদীর উপরে লালন শাহ সেতু। যমুনা সেতু, মেঘনা সেতু, মেঘনা-গোমতী সেতুর পর এটাই বাংলাদেশের চতুর্থ দীর্ঘতম সেতু। ১.৮ কি মি লম্বা সেতুটির নির্মাণকাজ ২০০৪ সালে শেষ হয়। আলোকসজ্জায় ঝলমলে সেতুটি পার হবার সময় দারুণ লেগেছে। এই সেতুর সমান্তরালে ঠিক বামেই আছে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলসেতু। ১৯১০ সালে তৈরী এই সেতুটিও লালন শাহ সেতুর মত ১.৮ কি মি দীর্ঘ। ১৯৭১ সালে বিমান হামলায় এই সেতুর কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে মেরামত করা হয়।





লালন শাহ সেতু পার হলেই পাবনার শুরু। পাবনায় নিরিবিলি হোটেলে ২০ মিনিটের ছোট ব্রেক দেয়া হল। হোটেলে কয়েকটা ট্রাক পার্ক করা- দূরদূরান্ত হতে মালামাল পরিবহন করছে। তারপর নাটোর, বগুড়া, গাইবান্ধা পেরিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজের সামনে আবারো ১০ মিনিটের যাত্রাবিরতি। এরপর নীলফামারীর সৈয়দপুর হয়ে সকাল ৬-৩০ টা নাগাদ দিনাজপুরের কালীতলা পৌঁছে যাই। কাউন্টার হতে শুক্রবারের ফিরতি টিকেট করে বেরোই।





নাস্তা করে ইজিবাইক নিয়ে দিনাজপুর জিরো পয়েন্ট চলে যাই। ফরিদপুরের মত এখানেও প্রচুর ইজিবাইক চলে। জিরো পয়েন্ট ডিসি অফিসের পাশেই অবস্থিত। এখানে ছবি তোলা শেষে কালীতলায় বন্ধু জনের এক পূর্বপরিচিত আংকেলের বাসাতে যাই। জন এখানে বেশ পরিচিত, কারণ ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে মাসখানেক পড়ালেখা করেছিল, তারপর মাইগ্রেশন করে ফরিদপুর চলে আসে।







দিনাজপুর জিরো পয়েন্টে





৯ টার দিকে বের হয়ে একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করি। স্বপ্নপুরী রওনা হই। দিনাজপুর সদর হতে ৩৮ কি মি দূরে ফুলবাড়ী। ফুলবাড়ী হতে দুইটি রোড চলে গেছে- একটা স্বপ্নপুরীর দিকে আরেকটা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি। স্বপ্নপুরী উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বিখ্যাত পার্ক। কুশদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন ১৯৮৯ সালে এ স্বপ্নপুরীর কাজ শুরু করেন। ভেতরে প্রাকৃতিক ভাবে বেশ সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অনেকগুলো রাইড-ও আছে, যেমন- রোপওয়ে, কেবলকার, ঘোড়ারগাড়ী, চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম মৎস্য জগৎ, রেষ্টুরেন্ট, মাছের একুরিয়াম, রংধনু, বিশাল লেক ইত্যাদি। তবে অতিরিক্ত ভীড় আর কোলাহল থাকায় বেশী ভালো লাগেনি। পিকনিক মৌসুম আর ছুটির দিন হওয়াতে প্রচুর জনসমাগম। ১ টার দিকে বেরিয়ে যাই, দিনাজপুর সদরে ফিরে আসি। সময়ের অভাবে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দেখতে যেতে পারিনি।





শহরে পৌঁছে হোটেল ডায়মন্ড-এ দুইটি রুম বুক করি। বিশ্রাম নিয়ে ৪ টার দিকে আবার বের হই। ইজিবাইকে করে এবার গন্তব্য রামসাগর। শহর হতে ৮কিমি দক্ষিণে আউলিয়াপুর ইউনিয়নে অবস্থিত দিনাজপুরের মহারাজদের অন্যতম কীর্তি রামসাগর দিঘি। যাত্রাপথে প্রচুর চাতাল (চাল প্রক্রিয়াজাতের স্থান) অথবা রাইসমিল চোখে পড়ে। রামসাগর এক বিশাল দিঘি, দীঘির চারপাশে ছোট টিলা দিয়ে ঘেরা আর পায়ে চলা পথ রয়েছে। বনবিভাগের অধীনে এই স্পটটিকে রামসাগর পার্ক বলে ডাকা হয়। পাড়ভূমি সহ দিঘির মোট আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার। জলভাগের দৈর্ঘ্য ১০৩১ মিটার, প্রস্থ ৩৬৪মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ৯ মিটার। সর্বোচ্চ পাড়ের উচ্চতা প্রায় ১৩.৫০মিটার। সেচ সুবিধা ও প্রজাদের পানির কষ্ট দূর করার জন্য রাজা রামনাথের আমলে এ দিঘি খনন করা হয়। তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। দিঘিটি খনন করতে তৎকালীন প্রায় ৩০,০০০টাকা এবং ১৫লক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়েছিল। এখানে মাছ ধরার ব্যবস্থা আছে, সাথে কয়েকটা রেস্ট হাউস-ও আছে। শুনশান নীরবতা আর চমৎকার শান্ত পরিবেশ সেই সাথে নিবিড় সবুজের সান্নিধ্য মনটাকে ফুরফুরে করে দেয়।







রামসাগর





রামসাগর ঘুরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চলে যাই। দিনাজপুরের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখি। হাসপাতালের মডেল হুবহু বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আদলে তৈরী, শুনলাম পরবর্তী সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও একই ডিজাইনে হবে। ঘন্টাদুয়েক থেকে হোটেলে ফিরে আসি।





পরদিন শনিবার সকালে ৮ টায় মাইক্রোবাস সহযোগে কান্তজীউর মন্দিরে যাই। দিনাজপুর শহর হতে ১২ মেইল উত্তরে কান্তনগরে এই মন্দির অবস্থিত। মহারাজা প্রাণনাথের তৈরী ৫০ ফুট প্রশস্ত পুরো মন্দির পোড়ামাটির টেরাকোটা দিয়ে সাজানো। মন্দিরের দেয়ালের একটি ইঞ্চিও নকশা করা হতে বাদ পড়েনি। নকশাতে পৌরাণিক কাহিনী, সেসময়ের সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, ইতিহাস ইত্যাদি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নির্মাণকাল ১৭০৪ থেকে ১৭৫২- সুদীর্ঘ ৪৮ বছর। সেযুগে উপরে নয়টি অতিরিক্ত শিখর ছিল। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে শিখরগুলো পড়ে যায়, কিন্তু মন্দিরটা অক্ষত রয়ে গেছে। মন্দিরের পাশেই এক অতিপ্রাচীন বটগাছ আর ধ্বংসস্তুপ (সম্ভবত এটাও প্রাচীন কোন মন্দির হবে, তবে কোন নির্দেশিকা বা সাইনবোর্ড দেখিনি)। অদূরে সম্প্রতি নির্মীত শ্মশানবেদী দেখে রওনা হই। রাস্তা খারাপ হওয়ায় নয়াবাড়ী পুরাকীর্তি মসজিদ দেখা হয়নি।







কান্তজীউর মন্দির





এখান হতে চলে যাই হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সহযাত্রী তপুর বন্ধু সুজনের সাথে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখি। মোট ৭ টি বিষয়ে প্রায় ২০০০ ছাত্র-ছাত্রী এখানে পড়ালেখা করে। ক্যাম্পাসের একপ্রান্তে একটি ছোটটিলা, ছাত্ররা এর নাম দিয়েছে ময়নাদ্বীপ, সেখানে ফটোসেশন হয়। হাজী দানেশ সাহেব এলাকায় পরিচিত সজ্জন ব্যক্তি- তেভাগা আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। উনার দানকরা জমি আর পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামের জমি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে শুনলাম।





১২ টা নাগাদ এখান হতে বের হয়ে চলে যাই রাজবাটীতে। রাজবাটীর দেয়ালগুলো কোন রকমে টিকে আছে, বাকীসব ধ্বংসস্তুপ। আগে এই বাড়িটি পরিখা ও উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। এখন ঢোকার মুহূর্তে একটি বিশাল সিংহদরজার দেখা পাওয়া যায়(যদিও সিংহ নেই)। ভেতরে একটি কৃষ্ণমন্দির আছে- আর সব পরিত্যক্ত ইটের সমাহার পাওয়া যায়। সংরক্ষনের কোন বালাই নেই, ভেতরে গরু-ছাগল চরছে, স্থানীয় শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারি যে- মূল প্রাসাদ ভবনটি তিনটি প্রধান মহলে বিন্যস্ত। এগুলি আয়না মহল, রানী মহল ও ঠাকুরবাড়ি মহল হিসেবে পরিচিত। প্রাসাদ এলাকায় বেশ কয়েকটি মন্দির, রেস্ট হাউস, দাতব্য চিকিৎসালয়, দিঘি এবং বিভিন্ন কর্মচারী ও পোষ্যদের আবাসস্থল নির্মাণ করা হয়েছিল। মূল মহল ও এর সংলগ্ন পরিখা সম্ভবত অষ্টাদশ শতাব্দীতে মহারাজা প্রাণনাথ ও তাঁর পুত্র রামনাথ নির্মাণ করেছিলেন। প্রাসাদটি নির্মিত হয়েছিল ইউরোপীয়, মুসলিম ও হিন্দু রীতির এক অদ্ভুত সংমিশ্রণে, যা নাকি খুব একটি দৃষ্টিনদন হয় নি। রামডাঙ্গা নামক দুটি সমান্তরাল পরিখা প্রাসাদটি ঘিরে ছিল। রাজবাটির পাশেই একটা মন্দির আছে, সেটা চোখের দেখা দেখে আসি।







রাজবাটীর বিশাল দরোজায়





১ টায় হোটেলে ফিরে আসি। গোসল সেরে নিকটস্থ চুড়িপট্টি জামে মসজিদে জু’মার নামাজ পড়ি। নামাজ সেরে পার্শ্ববর্তী জীবন হোটেলে লাঞ্চ করি। এখানে দিনাজপুরের বিখ্যাত ক্ষীরসা পাওয়া যায়। ছোট ছোট মাটির পাত্রে অনেকটা দইয়ের মত খাদ্যবিশেষ। খেয়ে বেশ ভালোই লাগলো। তারপর বাসায় নেবার জন্য সুনন্দা মিষ্টান্ন হতে গুটি আর শনপাঁপড়ি কিনে হোটেলে ফিরে আসি। উপলব্ধি হল সময়াভাবে ও বাজেটস্বল্পতায় দিনাজপুরের অনেক কিছুই মিস করেছি। দেখার মত অনেক স্পটই বাকি ছিলো- প্রাচীন নগরী কুন্দারনপুর, ফুলবাড়ি দুর্গ, সোনাভানের ধাপ, চেহেলজী মসজিদ ও মাজার, ঘোড়াঘাট দূর্গ, সীতাকাট বিহার। দিনাজপুরের স্পট গুলো অনেক দূরে দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় পর্যাপ্ত সময় ও অর্থ না নিয়ে গেলে সব দেখা সম্ভব নয়।





৪-৩০ টার তুহিন বাসে করে আবার ফরিদপুরে ফিরতি যাত্রা। এবার পথিমধ্যে রংপুর, বগুড়া আর পাবনায় বিরতি দেয়া হয়। বগুড়ায় বিরতি দিলে এই সু্যোগে এখানকার বিখ্যাত দই খেয়ে নিই। রাত প্রায় ২-৩০ টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে আসি। সমাপ্ত হল আমাদের দিনাজপুরে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ। পরদিন হতে আবার ব্যস্ত মেডিকেল লাইফে যোগ দেব।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমার শহর। আমার প্রথম শহর। ঐশ্বর্য্যমন্ডিত এবং আমার দেয়া নাম হল প্রেম ও আলস্যের নগরী।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

সফদার কবিরাজ বলেছেন: খুব সুন্দর নাম দিয়েছেন। ইতিহাস ও ঐশ্বর্যের খোঁজ পেতে উত্তরবঙ্গের শহরগুলোর বিকল্প নেই। অনেক দুঃখ হয়েছিলো কেন আরো সময় নিয়ে আসিনি।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

ভিটামিন সি বলেছেন: ভাই, আপনাদেরকে দেখে তো সাধারণ মানুষই মনে হয়। ডাক্তার ডাক্তার লাগে না। বড় হলে নিশ্চয়ই ডাক্তার হয়ে যাবেন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

সফদার কবিরাজ বলেছেন: বড় তো হয়েই গেছি ভাই। সাধারণ মানুষের কাতারেই আছি বলেও মনে করি।

হয়তোবা একদিন আর আমাদের ভুল বুঝবেন না সেজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। দোয়া রাখবেন :) !

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: আমাদের দেশের হবু দাক্তারদের প্রতি সুভেচ্ছা জানাচ্ছি সুদূর আমেরিকার Dallas সহর থকে। উচ্চ পড়াশুনা করার জন্যে এখানে আসার আমন্ত্রন রইল।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

সফদার কবিরাজ বলেছেন: হবু ডাক্তার আর নেই, পাশ করেছি দেড় বছর হয়ে গেল। আমন্ত্রনের জন্য ধন্যবাদ। আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষার্থে যাওয়া বেশ লম্বা প্রক্রিয়া, স্বপ্ন আছে যাবার, চেষ্টা করছি, বাকিটুকু আল্লাহর ইচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.