নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিষণ্ণতা । একা থাকা । কবিতা

অবলাল রশ্নি

অবলাল রশ্নি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নশ্বর দেহ, ক্লান্ত মন!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০



ইয়া বিশাল কাতল মাছের মত হাই তুললাম।এর মানে হচ্ছে মস্তিষ্কে বাড়তি অক্সিজেন সাপ্লাই করলাম।চেয়ারে অনেকক্ষণ বসে থাকতে থাকতে শিরদাঁড়া আর ঘাড় ব্যথা করছে।মস্তিষ্ক হাই তুলিয়ে ঘুমের সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছে।বা হাতটা কাঁধের সাথে ভাঁজ করে মাথাটা নেতিয়ে রেখে লিখছি।

খেরোখাতা নামে যে আমার কোন খাতা আছে তা ভুলেই গিয়েছিলাম।আজ হঠাৎই কেন যেন মনটা খুব অস্থির অস্থির লাগছে।কিছুতেই কোন কিছুতে মন বসছে না।ঝিলিক দিয়ে একশ পাওয়ারের বাল্বের মত খাতাটার কথা মাথার ভেতর জ্বলে উঠল।শূন্য পৃষ্ঠায় লিখতে যেয়ে এখন মনে হচ্ছে দম ফেলার একটা জায়গা পেয়েছি।প্রায় বছরখানেক পর লিখতে বসেছি।এখন দুহাজার আঠারো সাল।হ্যাঁ বছরখানেক তো হবেই।সবসময়ই ভাবি নিয়মিত লিখব।কিছু না কিছু লিখে যাবো নিয়মিত কিন্তু তা আর হয় না।(স্যাড ইমো হবে)

সময়গুলোকে ধরে রাখার জন্য কিছু না কিছু তো লিখতেই হবে বৈকি।আগে যখন স্মার্টফোন এ্যাভেইলেবল ছিল না তখন মানুষ লিখত।
সুখের কিংবা দুখের স্মৃতি লিখত , কোথাও ঘুরতে গেলে ভ্রমণকাহিনী লিখত।এখন এত লেখালেখির টাইম কই? কোন সুন্দর মুহূর্তের ছবি বা কোথাও ঘুরতে যাবার ছবি বা ভিডিও পোস্ট করে দিলেই তো ব্যাস হয়ে গেল।আর ক্যাপশন? আরে মশাই এ নিয়ে চিন্তা করার কি আছে গুগলে সার্চ দিলেই ভূরি ভূরি।কার্যসাধন।আমারতো আর দামী ফোন নাই।যা একখান আছে কমদামী স্যামসাং ফিচার ফোন তাও এক বন্ধুর থেকে ধার করা।সুতরাং দেখতেই পাচ্ছেন গুহাবাসীদের মতন খাতায় লেখা ছাড়া আমার আর কোন পথ নেই।(সিঘ)

আমার বর্তমান অবস্থার কথা একটু বলি পরে বাদবাকী কথা ---

আমার ভাল্লাগেনা রোগটা আবার এসে জেঁকে বসেছে।এতদিন অসুখটা ছিল না।ছিল না বললে হয়তো ভুল হবে বলা যায় লুকিয়ে ছিল বা
ঘুমিয়ে ছিল।এখন আবার আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠেছে।আমার মনে হয় ভাল্লাগেনা রোগীদের এই রোগটা কখনই ভালো হয় না জাস্ট
মাঝে মধ্যে ব্যাঙের মত শীতনিদ্রায় যায়।


------------বাদবাকী কথাগুলো না হয় আরেকদিন বলি-------------


সময় পাঁচটা ষোল(তিন আটাশ সতেরো)।খানিক আগে ফজরের আযান হয়ে গেছে।পাখার খড় খড় আওয়াজ ছাপিয়ে দু একটা অচেনা পাখির ডাক কানে আসছে।আকাশের বুক চিরে ভোরের আলো ফোটেনি এখনো।শরীরে এখনো মোটামুটি ভালো স্টামিনা আছে।অনেকদিন পর হয়তো পুরো রাত জাগা হবে।মাত্রই আরেকটা তিমি মাছের মত হাই তুললাম।মোবাইলের ব্যাটারি ফুরিয়ে এলে যেমন টু টু সিগন্যাল দেয় মানুষের শরীরে হাই তোলাও মনে হয় সেরকম সিগন্যাল।

হে নশ্বর দেহ! তুমি বড়ই ভঙ্গুর। এত ভঙ্গুর কেন তুমি?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৭

সাগর শরীফ বলেছেন: ভাল লিখেছেন ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩২

অবলাল রশ্নি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট কবি কিন্তু বড় ইগো! এদের মূল্য কী পৃথিবীতে?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

অবলাল রশ্নি বলেছেন: ঠিক বুঝি নি ভাই

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

সুমন কর বলেছেন: ভিন্ন রকম, ভালো লাগল।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

অবলাল রশ্নি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

কবির নাঈম দোদুল বলেছেন: লেখার শুরুটা একটু স্বকীয় হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে। ভালো লাগলো
আমার লেখাগুলোও পড়ে আসবেন যপদি ইচ্ছে হয়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২

অবলাল রশ্নি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.