নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ ট্রিবিউট টু লিজেন্ড নায়করাজ রাজ্জাক!!!

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৩০



১৯৮৮ সাল। বিএমএ লং কোর্সে পরীক্ষা দিতে খুলনা গেছি। খুলনার জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্টে আমার পরীক্ষা ছিল। আগেই পরিকল্পনা ছিল পরীক্ষা শেষেই বন্ধু আজিজের সাথে ঘুরবো। আজিজের গার্লফ্রেন্ড পড়ে তখন খুলনার সুলতানা হামিদ আলী গার্লস স্কুলে। আমরা স্কুলের সামনে গিয়ে কয়েক রাউন্ড ঘুরপাক খেলাম। কিছুতেই দেখা হয় না। কী করা? তারপর বুদ্ধি করে আমরা সিনেমা দেখতে গেলাম। চারটায় স্কুল ছুটি হবে। তার আগেই আমরা স্কুলের উল্টো পাশের রাস্তায় এসে দাঁড়াবো। আজিজের বান্ধবী স্কুল থেকে বের হয়ে রাস্তা ক্রোস করে এপারে আসলেই যাতে আমাদের সাথে দেখা হয়!

তুমি যে আমার কবিতা
আমি এক দুরন্ত যাযাবর
পাগল পাগল মানুষ গুলো

আমরা রিকশা নিয়ে প্রথমে গেলাম পিকচার প‌্যালেস। ওখানে যে ছবি হচ্ছে, ওটা আজিজের দেখা। রিকশা ঘুরিয়ে আবার গেলাম সঙ্গীতা হলের সামনে। ওখানে যে ছবি চলছে ওটাও আজিজের পছন্দ হলো না। আমরা রিকশা ঘুরিয়ে এরপর গেলাম শঙ্খ সিনেমা হলের সামনে। শঙ্খ-তে চলছে 'বড় ভালো লোক ছিল' ছবিটি। সৈয়দ শামসুল হকের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গীতরচনা। পরিচালক মহিউদ্দিন। আমরা ১২টার শো'র দুইটা টিকিট নিলাম। তখনো হাতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময়। কী করা যায়?

আজিজ বলল, চল আবার স্কুলের সামনে থেকে ঘুরে আসি। যদি দেখা হয়ে যায়! রাস্তা থেকে আজিজের গার্লফ্রেন্ডের ক্লাশরুমটা দেখা যায়। দোতলার জানালায় যদি সে উকি দেয়, তো আমাদের নিশ্চিত দেখবে। আমরা স্কুলের সামনের রাস্তায় গিয়ে আবারো উকিঝুকি দিচ্ছিলাম। কয়েকবার আমাদের ঘুরতে দেখে দারোয়ান আমাদের সন্দেহ করলো। আমরা রাস্তার উল্টোপাশে ফিরে আবার দোতলায় চোখ দিতেই আজিজ খুব খুশি হয়ে উঠলো। ওইতো দেখা যাচ্ছে। ওরা তিন বান্ধবী দোতলার জানালায় দাঁড়িয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছে।

আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম আজিজের কথা মত। আজিজ ওদের দৃষ্টি আকর্শন করার জন্য কয়েকবার রাস্তার এপারেই হাঁটাহাঁটি করলো। একসময় ওরা দেখল কী দেখল না বোঝা গেল না। কিন্তু আজিজ হাতের ইশারায় বোঝাতে চাইলো, আমরা ১২টার শো দেখব। সিনেমা শেষ হলেই ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে আমরা রাস্তার এখানে এসে দাঁড়াবো!

আমরা আবার রিকশা নিয়ে শঙ্খ হলের সামনে গেলাম। নির্ধারিত সময়েই 'বড় ভালো লোক ছিল' ছবিটি শুরু হলো। এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ, সুলতানা, ইলোরা, আনোয়ার হোসেন, গোলাম মোস্তফা, সাইফুদ্দিন, আহমেদ শরীফ, এমএ মতিন, কালিপদ সেন, নজরুল ইসলাম, মিনু রহমান, মাহমুদা বেগম, মাধুরী সিগমা, জেসমীন মুরং, কাজী আলমগীর, উৎপল বড়ুয়া, জহীর, মুরাদ, আবুবকর সিদ্দিক, শামসু, জাকির, মামুন ও ইদ্রিস আলী। অতিথি শিল্পী ছিলেন সৈয়দ হাসান ইমাম, নাহিদ পারভেজ, আসগর আহমেদ ও প্রবীর মিত্র।

হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস রঙ ফুরাইলে ঠুস
এলাহি আল আমিন আল্লাহ বাদশা
তোরা দেখ, দেখরে চাহিয়া, রাস্তা দিয়া হাইটা চলে, রাস্তা হারাইয়া

'বড় ভালো লোক ছিল' ছবি'র চিত্রগ্রহন করেছেন কাজী বশির। সম্পাদনা করেছেন ইসরাইল তালুকদার। কণ্ঠশিল্পী ছিলেন রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, বিপুল ভট্টাচার্য ও শাম্মী আকতার। কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গীতরচনা করেছেন সৈয়দ শামসুল হক। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলম খান। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। লালন ফকিরের দুটি গানও এই ছবিতে ছিল।


সিনেমা হলে গিয়ে নায়করাজ রাজ্জাকের প্রথম যে সিনেমাটি আমি দেখেছি, তার নাম 'বড় ভালো লোক ছিল'। ছবিটি ১৯৮২ সালে ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছিলেন মহিউদ্দীন। শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছিলেন আলম খান। শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেয়েছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। সেরা কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু কিশোর। সৈয়দ শামসুল হকের লেখা 'হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস রঙ ফুরাইলে ঠুস', 'আমি চক্ষু দিয়া দেখতে ছিলাম জগত রঙিলা', 'তোরা দেখ দেখ দেখরে চাহিয়া, রাস্তা দিয়া হাঁইটা চলে কেমন করিয়া', পাগোল পাগোল মানুষ গুলা, পাগোল সারা দুনিয়া, কেহ পাগোল রূপ দেখিয়া, কেহ পাগোল শুনিয়া', গানগুলো তখন মানুষের মুখেমুখে ছিল। কালজয়ী সেই গানগুলো এখনো মনে আছে।

ও বেহুলা সুন্দরী
মরি হায় রে হায়

ওই ছবি'র শেষ দৃশ্যে ইয়াছিন-এর চরিত্রে অভিনয় করা নায়করাজ রাজ্জাকের লাশ যখন মুক্তিরা নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সবাই বলছিল, বড় ভালো লোক ছিল। এরপর নায়করাজ রাজ্জাকের অনেক ছবি আমি দেখেছি। আমাদের ছোটবেলায় দেখা অধিকাংশ ছবি'র নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। বাংলা চলচ্চিত্র পত্রিকা চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দিয়েছিলেন। সেই থেকে তিনি আমাদের নায়করাজ রাজ্জাক।


১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে (নাকতলা, দক্ষিণ কলকাতা, ভারত) জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয় দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা। ১৯৬৪ সালে ভারতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ে তিনি শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আসেন।

নীল আকাশের নিচে আমি, রাস্তায় চলেছি একা।
প্রেমের নাম বেদনা।
রুপ দেখে চোখ ধাঁধে, মন ভোলে না।

প্রথমদিকে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে "ঘরোয়া" ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন। পরবর্তী সময়ে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের 'তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন' চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন। পরবর্তী সময়ে 'কার বউ', 'ডাক বাবু', 'আখেরী স্টেশন'-সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৬৬ সালে জহির রায়হানের ''বেহুলা'' চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে।


অভিনয়জীবনে তিনি 'বেহুলা', 'আগুন নিয়ে খেলা', 'এতটুকু আশা', 'নীল আকাশের নীচে', 'জীবন থেকে নেয়া', 'ওরা ১১ জন', 'অবুঝ মন', 'রংবাজ', 'আলোর মিছিল', 'অশিক্ষিত', 'ছুটির ঘণ্টা', 'বড় ভালো লোক ছিল', 'উজালা', 'কাগজের নৌকা', 'আনোয়ারা', 'জুলেখা', ' নিশি হলো ভোর', 'দুই ভাই', 'সংসার', ' আবির্ভাব', 'সখিনা', 'সুয়োরাণী দুয়োরাণী', 'বাঁশরী', 'কুচবরন কন্যা', 'গৌরি', 'মনের মতো বউ', 'ময়নামতি', 'আগন্তুক', 'শেষ পর্যন্ত', 'মেহেরবান', 'যে আগুনে পুড়ি', 'ক, খ, গ, ঘ, ঙ', 'আঁকা বাকা', 'পীচ ঢালা পথ', 'সমাপ্তি', 'যোগ বিয়োগ', 'দর্পচুর্ণ', 'মধুমিলন', 'ঢেউয়ের পর ঢেউ', 'টাকা আনা পাই', 'কাঁচ কাটা হীরা', 'দ্বীপ নেভে নাই', 'ছদ্মবেশী', 'অধিকার', 'কত যে মিনতি', 'পিতা পুত্র', 'বড় বউ', 'পায়েল', 'নাচের পুতুল', 'স্বরলিপি', 'স্মৃতিটুকু থাক', 'গাঁয়ের বধু', 'মনের মতো মন', 'সঙ্গীতা', 'অশ্রু দিয়ে লেখা', 'এরাও মানুষ', 'ছন্দ হারিয়ে গেল', 'মানুষের মন', 'কমলা রাণীর দীঘি', 'প্রতিশোধ', 'শপথ নিলাম', 'চৌধুরী বাড়ি', 'জীবন সঙ্গী', 'ঝড়ের পাখি', 'পলাতক', 'প্রিয়তমা', 'যাহা বলিব সত্যি বলিব', 'এখানে আকাশ নীল', 'স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা', 'কে তুমি', 'অনির্বাণ', 'আমার জন্মভূমি', 'স্লোগান', 'অতিথি', 'জীবন তৃষ্ণা', 'খেলাঘর', 'ভুল যখন ভাঙল', 'বেঈমান', 'দুই পর্ব', 'পরিচয়', 'অবাক পৃথিবী', 'মাসুদ রানা', 'ভাইবোন', 'চোখের জলে', 'বাঁদী থেকে বেগম', 'সাধু শয়তান', 'আলো তুমি আলেয়া', 'চাষীর মেয়ে', 'আপনজন', 'ডাক পিয়ন', 'উপহার', 'আঁধার পেরিয়ে', 'অনেক প্রেম অনেক জ্বালা', 'কি যে করি', 'গুন্ডা', 'মায়ার বাঁধন', 'প্রতিনিধি', 'সমাধি', 'আকাঙ্খা', 'স্মাগলার', 'শাপমুক্তি', 'সেতু', 'অনুরোধ', 'আগুন', 'অমর প্রেম', 'অনন্ত প্রেম', 'মতি মহল', 'যাদুর বাঁশি', 'সোহাগ', 'অঙ্গার', 'অগ্নিশিখা', 'আসামী', 'কাপুরুষ', 'বাজিমাত', 'অলংকার', 'দুই পয়সার আলতা', 'রজনীগন্ধা', 'লাইলি মজনু', 'আনারকলি', 'শুভদা', 'ঢাকা ৮৬', 'রাজলক্ষী শ্রীকান্ত'-সহ প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।

প্রেমের নাম বেদনা, সে কথা বুঝিনি আগে
এই পৃথিবীর পরে

রাজ্জাকের প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ছিল 'অনন্ত প্রেম' (১৯৭৭), নায়িকা চরিত্রে ছিলেন ববিতা। তাঁর সর্বশেষ পরিচালিত চরিত্র 'আয়না কাহিনি' (২০১৪) আর সর্বশেষ চলচ্চিত্র 'কার্তুজ' (২০১৪)। নায়ক হিসেবে শেষ ছবি ছিল 'মালামতি'। নায়িকা ছিলেন নূতন। উল্লেখ্য তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি নায়ক চরিত্রের বাইরে অভিনয় করেন।


২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাঁকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে কেন্দ্রীয় চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।

আমার এই গান তুমি শুনবে, শুনবে

তাঁর আট বছর বয়সে বাবা আকবর হোসেন ও মা নিসারুন্নেসা দুজনই মারা যান। ৩ ভাই, ৩ বোনের সংসারে বড়রা রাজ্জাককে বুঝতেই দেননি বাবা-মায়ের শূন্যতা। ছোটবেলায় পড়তেন খানপুর হাইস্কুলে। কৈশোরে রাজ্জাকের ইচ্ছা ছিল ফুটবলার হওয়ার। গোলরক্ষক হিসেবে ভালো খেলতেন। কলকাতায় রাজ্জাক যে পাড়ায় থাকতেন, সেই পাড়ায়ই থাকতেন ছবি বিশ্বাস ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনয়শিল্পীরা। ছবি বিশ্বাস পাড়ার শিশু-কিশোরদের বিপুল উৎসাহ নিয়ে আবৃত্তি শেখাতেন। রাজ্জাকও তাঁর কাছে আবৃত্তি শিখেছেন।

হায় হায় রঙিলা রঙিলা রে

রাজ্জাকের আইডল ছিলেন উত্তমকুমার। ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পর রাজ্জাক ঠিক করলেন তিনি বোম্বে চলে যাবেন। পীযূষ বোস পরামর্শ দিলেন, ‘ক্যারিয়ার গড়তে হলে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাও।’ মাইগ্রেশন করে খুলনা বর্ডার দিয়ে শিমুলিয়া হয়ে ঢাকায় চলে এলেন রাজ্জাক। তত দিনে তিনি বিয়ে করেছেন (১৯৬২), স্ত্রী রাজলক্ষ্মী ও আট মাসের সন্তান বাপ্পারাজকে সঙ্গে করে ঢাকায় এলেন। শুরু হলো নতুন সংগ্রামী জীবন।

প্রভু না না না

গতকাল ২১ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। রাজ্জাকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলা চলচ্চিত্রের একটি সোনালী অধ্যায়। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে যাঁদের হাত ধরে এদেশে চলচ্চিত্র দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল এক নাম রাজ্জাক। দীর্ঘ অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি জয় করেছিলেন এ দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের হৃদয়। যতদিন বাংলা চলচ্চিত্র বেঁচে থাকবে ততদিন নায়করাজ আমাদের অন্তরে চিরসবুজের মত বেঁচে থাকবেন। জয়তু নায়করাজ। জয়তু বাংলাদেশের উত্তমকুমার।



----------------------
২২ আগস্ট ২০১৭



মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

রানা সাহেব বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: অামাদের সিনেমার রাজ রাজ্জাক।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বড় ভালো একজন অভিনেতা ছিলেন নায়ক রাজ রাজ্জাক।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট। পড়ে ভালো লাগলো।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

শরতের ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ আমাদের প্রবাদ পুরুষ ,প্রাণের পুরুষ নায়ক রাজকে নিয়ে লেখার জন্য ।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ হলেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। তাঁকে ছাড়া এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে কল্পনাই করা যায় না। তাঁর এই অকাল প্রস্থান- বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী যুগের সমাপ্তি টেনে দিলো। তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী।

আমাদের পক্ষ থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী, স্বাধীনতা পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রিয় এই নায়ককে নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

সম্ভব হলে পোস্টের শেষে যে ছবিটি যুক্ত করেছেন, তা পোষ্টের শুরুতে যুক্ত করে দিন এবং তার অভিনীত কিছু বিখ্যাত সিনেমার পোস্টার বা কিছু জনপ্রিয় গানের লিংক যুক্ত দিন।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: রাজ্জাকের সবচেয়ে বেশিবার নায়িকা কে হয়েছিল? শাবানা/ববিতা নাকি কবরী?

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

মার্কোর্পলো বলেছেন: রাজ্জাক সাহেব আসলেই নায়করাজ বাংলা চলচিত্রের।

এই চাঁদগাজী লোকটার দ্রুত চিকিৎসা দরকার সুস্হ সামুর স্বার্থে। মডু নিজে চাঁদগাজীর গালি খাওয়ার আগে চাঁদগাজীর ব্যাপারে কিছু করবেনা।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

ফারা বলেছেন: নায়করাজ বাংলা চলচিত্রের রাজা । প্রিয় এই নায়ককে নিয়ে লেখা শেষ করা যাবে না । তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী । যতদিন বাংলা চলচ্চিত্র বেঁচে থাকবে ততদিন নায়করাজ কিংবদন্তী হয়ে বেঁচে থাকবেন।


যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক । আল্লাহ তায়ালা উনাকে বেহেস্ত নসিব করুন ।

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি ।

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে

বিদায়

আবার যেতে হয় ফিরে।
অতঃপর তিনিও নেই
ঝরে গেলেন তারা খসার মত;
রয়ে গেলেন ইতিহাসের পাতায়
চিরন্তন শাশ্বত—
রাজসিক বিচরণে সমৃদ্ধ করেছেন
চলচ্চিত্র অংগন—বর্ণিল সব চরিত্র
ফুটিয়ে তুলেছেন—যেন ফুল রংগন।
তার চেয়ে বড় কেহ ছিলনা
বাংলার রূপালীর পর্দায়—
রাজ্যের বিশেষণ তাই—নামে তার বর্তায়।
চিরন্তন নিয়মে —চলে যায় সকলে।
জীবন যার পূর্ণ কর্মময়—মরেনা সে বিফলে।
শ্রদ্ধাঞ্জলী, নায়করাজ করি এই কামনা
সুখে থেকো পরপারে
ভুলে সব জাগতিক যাতনা ।
রিক্ত হস্তে আরসবের মত
গেছো চলে ওপারে —
এটাই চিরন্তন—
স্রষ্টার কাছ থেকে এসে
আবার যেতে হয় ফিরে।

আবার যেতে হয় ফিরে।
অতঃপর তিনিও নেই
ঝরে গেলেন তারা খসার মত;
রয়ে গেলেন ইতিহাসের পাতায়
চিরন্তন শাশ্বত—
রাজসিক বিচরণে সমৃদ্ধ করেছেন
চলচ্চিত্র অংগন—বর্ণিল সব চরিত্র
ফুটিয়ে তুলেছেন—যেন ফুল রংগন।
তার চেয়ে বড় কেহ ছিলনা
বাংলার রূপালীর পর্দায়—
রাজ্যের বিশেষণ তাই—নামে তার বর্তায়।
চিরন্তন নিয়মে —চলে যায় সকলে।
জীবন যার পূর্ণ কর্মময়—মরেনা সে বিফলে।
শ্রদ্ধাঞ্জলী, নায়করাজ করি এই কামনা
সুখে থেকো পরপারে
ভুলে সব জাগতিক যাতনা ।
রিক্ত হস্তে আরসবের মত
গেছো চলে ওপারে —
এটাই চিরন্তন—
স্রষ্টার কাছ থেকে এসে
আবার যেতে হয় ফিরে।

১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণ কিংবদন্তী মহা নায়করাজ রাজ্জাক এর জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি থাকল।

১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
এই মন্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে, মন্তব্য করার সময় ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলীর দিকে খেয়াল রাখুন । শর্তাবলী


চাঁদগাজী কি লিখেছিলেন ?

১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
পরে চালো লাগল।

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নায়করাজের জন্য সশ্রদ্ধ সালাম... বড় ভালো অভিনেতা ছিলেন। সত্যিই।


ঘটক সাহেব.... যেভাবে শুরু করেছেন, তাতে মনে করেছিলাম, আপনার ছেলেবেলা সম্পর্কিত পোস্টগুলোর মতো প্রাসঙ্গিক কিছু স্মৃতি যুক্ত করবেন। নতুন ব্লগারদের মতো, এখান থেকে ওখান থেকে কিছু তথ্য আর ছবি পেস্ট করে দিলেন আর সেটি আবার স্টিকিও হয়ে গেলো! নিজের কিছু অভিমত/বিশ্লেষণ না-ইবা দিলেন, বিষয়গুলোকে পাঠকের জন্য অন্তত একটি সিকোয়েন্সে সাজাতে পারতেন। ওহ... আপনি তো আবার মন্তব্যের উত্তর দেন না! তাতেই বুঝা যায় যে আপনি পাঠকের উপস্থিতি কামনা করেন না।

যা হোক, তবু তাড়াহুড়ো করে একটি পোস্ট প্রকাশ জন্য ধন্যবাদ। না করলে হয়তো স্টিকি করার জন্য তেমন ভালো পোস্ট পাওয়া যেতো না।

১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে গর্জিয়াস এবং ভাইটাল চ্যাপটার

১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ওহ... আপনি তো আবার মন্তব্যের উত্তর দেন না! তাতেই বুঝা যায় যে আপনি পাঠকের উপস্থিতি কামনা করেন না। উনি পোস্ট দিয়ে যে আমাদের পড়ার সুযোগ দেন এতেই আমাদের ধন্য করা হয়।
অবশ্য আমিও এখন উনার পোস্টে মন্তব্য করিনা।

১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

এস ওয়াই গ্লোবাল এলটিডি বলেছেন: পোস্টটি পড়ে অনেক ভাল লাগল । শুভ কামনা রইল নতুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

২০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একজন গুনী মানুষের অবসান হল!

২১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

নিগার তানিয়া বলেছেন: বিদায় মহানায়ক

২২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

জুবায়ের আহমেদ বলেছেন: অসাধারণ মানুষ সম্পর্কে অসাধারণ লেখা।

২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

নস্টালজিক বলেছেন: বড় ভালো লোক ছিলো

২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:



সোনালী ছবি
সোনালী স্মৃতি
সবই শেষ- অবশেষ ....

শান্তি ও মুক্তির শুভ কামনা

২৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১১

সনেট কবি বলেছেন:




নায়ক রাজ রাজ্জাক স্মরণে-

তুমি চলে গেলে চির প্রস্থান স্থানের
গহিনে হারিয়ে; ছেড়ে ভক্ত কূল দলে
শোকের আড়ালে একা, হে নায়ক রাজ
রাজ্জাক, তোমার স্মুতি স্মরণে অম্লান।
তুমি চেয়েছ গুণের মর্মর প্রাসাদ
সাজিয়ে সেথায় গড়ে আনন্দ ধারার
রকমফের, সেথায় আনবে নতুন
চিত্ত বিনোদক সব শান্তির বারতা।

তুমি পেরেছ নায়ক স্বার্তকতার কি
অফুরান সুখ, সেটি অনুভব করে
নিজ রাজ্যে বিচরণ করতে নিয়ত।
সালাম নায়ক আজ বিদায়ী সালাম,
দিয়েছ অনেক তুমি পেয়েছ অনেক
ভক্তের হৃদয়ে চির পেয়েছ আসন।

২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

সনেট কবি বলেছেন:



বিদায় হে নায়ক রাজ

ছিল সে রাজার মতো অভিনয়ে সেরা
যে আসন ছেড়ে গেল ভক্ত হৃদয়েতে
নেই সে তবুও আছে গুণেতে অপার
রাখবে মানুষ তাঁরে স্মৃতির মিনারে।
হে নায়ক রাজ গুণী আব্দুর রাজ্জাক
শূণ্যতায় ভরে দিল তোমার প্রস্থান।
অভিষেক হয়ে কারো তোমার সে স্থানে
হয়নি এখনো সেই স্থানটি পূরণ।

বিদায় তো স্বাভাবিক সকলের হয়
কিন্তু সকল জনের কথা মনে থাকে
এমন ক’জন আছে পৃথিবীর মাঝে?
অথচ গুণের ভারে হয়েছ অমর
মরেও এখন তুমি; আছ স্মরণেতে
ভক্তর হৃদয়ে এক শক্ত অবস্থানে।

২৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কোনো এক ছবিতে তাঁর (হাতে ট্রিপল ফাইভ সিগারেটের একটি প্যাকেট) সংলাপ ছিল, আমার ব্র্যান্ড আলাদা।

অভিনয়ে কি ব্যক্তিত্বে আমার কাছে তিনি আলাদা। তাঁর দরাজ হাসির ভক্ত আমি। আমার মনে তিনি বেঁচে থাকবেন দিলখোলা মানুষ হিসেবেই।

২৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

তানহা তন্বী বলেছেন: তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।

২৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০০

রাকিব মুন্না বলেছেন: বিদায় মহানায়ক

৩০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

প্রািন্ত বলেছেন: এই পৃথিবীতে দুইধরণের লোক আছে। (১) যারা নায়ক রাজ রাজ্জাকের সিনেমা দেখেছেন (২) যারা নায়ক রাজ রাজ্জাকের সিনেমা দেখেন নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.