নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'হরিবোল\' বিহাইন্ড দ্য স্টোরি- ৩

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:০৬

'আহত ফুলের গল্প' চলচ্চিত্রের পরিচালক অন্ত আজাদ আর আমি সন্ধ্যার পর ছবি'র হাটে ছোলা আর চা খেয়ে হাঁটতে হাঁটতে স্বাধীনতা চত্বরের সিঁড়িতে গিয়ে বসলাম। অন্তকে বললাম, আমি তো শুটিংয়ে যাবো। তুমি কিছু পরামর্শ দাও। অন্ত জিজ্ঞেস করলো, কাস্ট দিছেন কারে কারে। বললাম- ফয়সল, ইকতার, তৃপ্তি, লিকু, জাহিদ, প্রণব এরা সবাই আছে। আর সেলিমকে এক সুযোগে কাজে লাগানোর প্লান। আরো কিছু ক্যারেক্টার এখনো ঠিক করতে পারি নাই। তুমি ছোট্ট একটা ক্যারেক্টার করো।

অন্ত বললো, দাদা এখন যে কী জ্বালার মধ্যে আছি, আপনি আরেকটু আগান, তাইলে বুঝবেন ঠ্যালা। প‌্যারা নিতে নিতে আমি অস্থির। এই অবস্থায় আমার পক্ষে ক্যারেক্টার করা ইমপসিবল! আপনি জুয়েল মামুকে বলতে পারেন। বললাম- আমি তো জুয়েল মামুকে খুঁজতেছি। কোথায় সে? অন্ত বললো, মামু তো ঠাকুরগাঁও। ফোন করেন, দ্যাখেন যেতে পারে কি না?

আমি জুয়েল মামুকে ফোন দিলাম। জুয়েল মামু কইলো, দাদা আমি আপনার সিনেমায় যেতে পারলে আমার নিজেরই খুব ভালো লাগতো। কিন্তু এই মুহূর্তে তো ঠাকুরগাঁও-এ অনেক কাজ। জবাবে বললাম, তুমি ছোট্ট একটা ক্যারেক্টার করো। আমরা এই লট শুটিং করে আসি। তুমি নেক্সট লটে আমাদের সাথে চলো। জুয়েল বললো, দেখি, ব্যাটে বলে হলে অবশ্যই যাবো। আপনার টিমের জন্য শুভ কামনা থাকলো।

সিনেমার অনেক টেকনিক্যাল বিষয় আলাপ করতে করতে কখন যে সাড়ে এগারোটা বেজে গেল, আমরা টের পেলাম না। স্বাধীনতা চত্বর থেকে হেঁটে হেঁটে আমরা রওনা হলাম। 'আহত ফুলের গল্প'র শুটিং শেষ। লাইনআপনও প্রায় শেষ। শুটিংয়ে কী কী ঝামেলা অন্ত ফেইস করেছে, মূলত সেসব ছিল আমাদের আলোচনার বিষয়। অন্ত শুটিং টিমের ম্যানেজমেন্ট কীভাবে সামাল দিল সেসব আমি খুঁটে খুঁটে শুনে নিলাম।

অন্ত বললো, দাদা আগে ফিল্ডে যান। এমনিতেই টের পাবেন। বাট, আপনি যত কুল থাকবেন, তত আপনার সামাল দিতে সুবিধা হবে। ট্রাই করবেন যতোটা কুল থাকা যায়। অন্ত আজাদ 'আহত ফুলের গল্প' শুটিং করেছে নিজের বাড়ির এলাকা পঞ্চগড়ে। ঢাকার বাইরে পুরো টিম নিয়ে কীভাবে সামাল দিছে, তা ছিল আমার জানার বিষয়। অন্ত আমাকে সাধ্যমত সাহস যোগালো। অন্তকে বললাম, ২ এপ্রিল আমরা যাচ্ছি। তুমি জুয়েল মামুকে পারলে একটু রেডি কইরো। জুয়েল মামু আমার সিনেমায় একটা ক্যারেক্টার করলে আমার-ই ভালো লাগবে।

বাসায় ফিরে সেলিমকে ফোন দিলাম। বললাম- কাল একবার দুপুরে আমার বাসায় আয়। কিছু কিছু বিষয় একটু প্লান করতে হবে। সেলিম বললো, ঠিক আছে আমি দুপুরে আসতেছি। আপনি কাল আর্টিস্টদের সবাইকে যার যার প্রপস তাকে তাকে কালেকশন করার কথা জানিয়ে দেন। যেগুলো বাকি থাকবে ওইগুলো পরে ববি আর আপনি বা আমি মিলে কিনে ফেলুমনে। আর ববিকে একটু আরলি ডাকেন। আমি দুপুরে আসার একঘন্টা পর ববিকে ডাকেন। তাইলে সুবিধা হবে।

সেলিমের সাথে কথা বলা শেষ করে আমি ইকতারকে ফোন দিলাম। ইকতার, তোর কী কী প্রপস লাগবে, কালকেই কিনে ফেলা। ইকতার বললো, দাদা আপনি আমার প্রপস নিয়ে চিন্তা কইরেন না। আমি ম্যানেজ করে নেব। শুধু কাউরে দিয়ে পারলে দুইটা তুলসির মালা একটু আইনা রাইখেন। ইকতারের সাথে কথা বলা শেষ করে আমি ফয়সলকে ফোন দিলাম। বললাম, ফয়সল তোমার কী কী প্রপস ভাবছো? ফয়সল বললো, আমি একটা অন্যরকম গেটআপ নিতে চাই। আপনি বলেন, কী কী নিতে হবে?

বললাম, মোটা ফ্রেমের একটা চশমা লাগবে তোমার। আর যদি কিছু লাগে একটু ভাবো। ফয়সল বললো, ঠিক আছে রেজা ভাই। কাল দুপুরের পর আপনি আর আমি নিউ মার্কেটে গিয়ে একটা সার্স দি চলেন। আপনি কেমন ফ্রেম চাচ্ছেন, আপনি সাথে থাকলেই ভালো হবে। বললাম, তাহলে লাঞ্চের পরপরই আমার বাসায় চলে আসো।

ফয়সলের সাথে কথা বলা শেষ হলে আমি ববিকে ফোন করলাম। ববি, ফয়সলের কী কী প্রপস লাগবে একটু ভাব। তুই সব আর্টিস্টদের নাম লিখে চরিত্র অনুযায়ী কার কী কী প্রপস লাগবে, তার একটা লিস্ট কর। আর কাল দুপুরে আমার বাসায় আয়। প্রপসের লিস্ট সবাইকে ভাগ করে দেব। আর যেগুলো এক জায়গায় পাওয়া যাবে ওগুলো তুই গিয়ে কিনে আনলি। ববি বললো ঠিক আছে দাদা। আপনি আর্টিস্টদের জিজ্ঞেস করেন, এই চরিত্রের জন্য তোমরা কী কী প্রপস ভাবছো? যদি মিলে যায় তো ভালো। না মিললে আপনি তারপর সবাইরে বলে দিয়েন।

এরপর আমি লিকুকে ফোন দিলাম। বললাম- লিকু তুই গল্পের ফিনিশিংটা নতুন করে কী ভাবলি? লিকু বললো, রেজা ভাই আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসছে। আপনার পছন্দ হইলে করতে পারেন। আর আপনিও ভাবেন। একটা সমাধান তো বাইর করতে হবে। বললাম, তোর আইডিয়া কাল শুনাইস। আর অফিস শেষে সরাসরি এদিকে চলে আয়। লিকু বললো, ওকে ওকে।

অতো রাতে জাকিরকে ফোন দিয়ে পাবো না। কিন্তু টাকা না পেলে প্রপস কিনব কী দিয়ে। ফোন দিলাম। নো রেসপন্স। জাকিরকে একটা টেক্স করে আমি একটা গোসল দিলাম। খাওয়ার পর গল্প নিয়ে আবার বসলাম। দেখলাম যে ফয়সলের সাথে একটা এসিসট্যান্ট জুড়ে দিলে ক্যারেক্টারটা আরো একটু স্ট্রং হয়। কী করি? চরিত্র না হয় জুড়ে দিলাম কিন্তু সেই চরিত্র করবে কে? অনেক ভেবে দেখলাম, ববিকে দিয়ে ওটা করানো পসিবল। কিন্তু ববি এসিসট্যান্সি করার ফাঁকে ক্যারেক্টার কতোটা তুলতে পারবে এটা নিয়ে একটু টেনশন রয়ে গেল।

---------------চলবে----------------------
৬ জুলাই ২০১৯

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ফিল্ম কি তৈরি হয়েছিলো?

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই মুভির ট্রেলর দেখার ব্যবস্থা করেন।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বেশ বেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.