নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের মন থেকেই লিখি। কাউকে হেয় করার জন্যও না কাউকে উদ্দেশ্য করেও না। মানুষ মাত্রই ভুল, ভুল হলে শোধরিয়ে দিবেন; আশা করি।

রেযা খান

রেযা খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী নির্যাতন এবং আমাদের করণীয়

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা!
সমাজে আমাদের অসংখ্য মা-বোন নির্যাতন এবং লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যা আমাদের নিত্যদিনই দৃষ্টিগোচর হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কল্যাণে তা আরও স্পষ্ট। মা-বাবা মেয়েকে অভাবের সংসারে অতি কষ্টে লালন-পালন করেন। মেয়ে পরিণত বয়সে উপনিত হলে, মা-বাবার সঙ্গী হয় দুশ্চিন্তা, দু’চোখের ঘুম হারিয়ে যায়, দু’চোখে প্রবাহিত হয় অশ্রুধারা। কিভাবে বিয়ে দিবে আদরের মেয়েকে! এক দিকে যৌতুকের দাবি অন্য দিকে অভাবের সংসার। বিয়ে না দিয়েতো ঘরে রাখা যায় না! যৌতুকের কারণে মেয়েকে বিয়ে দিতে না পেরে আত্মহত্যা করছে অনেক বাবা-মা যা সর্বদা দৃশ্যমান কিন্তু তাতে আমাদের চেতনা জাগেনি। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে অনেক বাবা নিজের সর্বশেষ নিঃস্ব করছে, তাতেও মেয়ের কপালে জোটেনা একবিন্দু সুখ। অত্যধিক চাওয়া পাওয়ার পাল্লায় পাষন্ড স্বামীর পরিবার চালাচ্ছে অমানসিক নির্যাতন। কেউবা যৌতুকের আগ্রাসী ক্ষমতায় হার মেনে শ্বশুর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে, নিমিষেই ভেঙ্গে যাচ্ছে তিলে তিলে গড়া সংসার। অভাবের কথা চিন্তা করে বাবার বাড়িতে না ফিরে আত্মহত্যার পথে পা বাড়াচ্ছে অসংখ্য নারী, যা এখনো আমাদের চিন্তার সাগলে ঢেউ তুলতে পারেনি। অনেকে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে, সন্তানের বোঝা কাঁদে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়; মুখোমুখি হচ্ছে লাঞ্চনার। এতেও কী শেষ নারী নির্যাতন! আমাদের মা-বোনেরা যখন ঘর হতে বের হচ্ছে, পথে-ঘাটে বখাটে ছেলেদের ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে; সেই সাথে রুদ্ধ হচ্ছে ছাত্রীবোনদের শিক্ষার পথ। শুধু কি তাই! বোনেরা যখন লম্পট ছেলেদের অসাধাচরণে সাড়া না দিয়ে এর প্রতিবাদ করছে,এসিড দিয়ে জ্বলসে দেয়া হচ্ছে তাদের স্নেহমাখা মুখ। যে আদুরে বোনের চেহেরা দেখার জন্য ভাই বসে থাকতো অধীর আগ্রহে, যে চেহেরা দেখে বাবা-মা ভুলত শত কষ্ঠ-বেদনা; সে চেহেরা দেখতেই মুখ ফিরিযে নিতে হচ্ছে আর্তনাদে। হাজারো মা-বোনের আহজারিতে কাঁদছে আকাশ-বাতাস। কম্পিত হচ্ছে আল্লাহর আরশ,কম্পিত হয়নি আমাদের হৃদয়, ভাঙ্গেনি আমাদের ঘুম। এত কিছুর পরও মনের দরজায় করেনি কড়াঘাত। ক্ষমতাসীন দলগুলো আশা জাগিয়েছে সত্য কিন্তু দিতে পারেনি এর সমাধান।


প্রিয় ধর্মপ্রাণ ভাই-বোনেরা!
আমরা কি চিন্তা করেছি? বের করতে চেয়েছি এর সমাধান? হয়তো এগুলো দেখে শিহরিত হয়েছি, দুচোখের পানি ফেলেছি আড়ালে, তারপরও এর প্রতিবাদ করিনি।

এগুলো হওয়ার তো একটাই কারণ। ইসলামী অনুশাসন তথা ধর্মীয় সুশিক্ষার অভাব এবং মূল্যবোধের অবক্ষয়। আমাদের ভাইয়েরা যদি জানত ইভটিজিং এবং নারী নির্যাতনের ধর্মীয় বিধি নিষেধ, অবশ্যই তারা হায়েনাদের মতো আচরণ করতো না। আমাদের মা-বোনেরা যদি পর্দা সম্পর্কে সতর্ক হতো, ইসলামী অনুশাসনে চলাফেরা করতো, ইভটিজিং এবং এসিড দগ্ধের মতো নির্যাতনের শিকার হতো না। সর্বোপরি স্বামী যদি জানতো স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে ইসলাম হুকুম! তাহলে আজ সুখের সংসারে অশান্তি নামক অচিন পাখি রাজত্ব করতো না।
প্রিয় ভাই-বোনেরা! একটু চিন্তা করুন! আমাদের আশে-পাশের পরিবারগুলোতে অশান্তি যদি হয় নিত্য সঙ্গী, আপনার-আমার কি কিছুই করার নেই? আপনি কি চান আপনার মত একজন মেয়ে যৌতুকের কারণে আত্মহত্যার পথে পা দিক? আপনি হতে দেবেন একজন মেয়েকে ইভটিজিং এর শিকার?
আপনি কি মালালা ইউসুপ জাইয়ের মতো স্বপ্ন দেখেন- একটি সুন্দর মাতৃভূমির? দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য আপনার কি কিছু করার নেই? তাহলে এখনো ঘুমিয়ে কেন?আসুন! সচেতন হই, প্রতিবাদ করি একসাথে; একত্রিত হই সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায়। যেখানে হবেনা নারী নির্যাতন, নারীরা ফিরে পাবে তাদের অধিকার; গড়ে উঠবে একটি স্বর্গীয় দেশ ও পৃথিবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.