নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের মন থেকেই লিখি। কাউকে হেয় করার জন্যও না কাউকে উদ্দেশ্য করেও না। মানুষ মাত্রই ভুল, ভুল হলে শোধরিয়ে দিবেন; আশা করি।

রেযা খান

রেযা খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগ্রত হও

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

আমরা কতই না স্বার্থপর! জন্মের পর থেকে আজ অবদি যৌবনকাল পর্যন্ত বেড়ে উঠার পেছনে, আমাদের প্রতিটি রক্তকণায় মিশে আছে আমাদের মা-বাবার হাজারও ত্যাগ। যা গণনা করার জন্য আবিষ্কার হয়নি কোন যন্ত্র। সন্তানরা যখন যা চাই, মা-বাবা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে তাদের খুশী করার জন্য। এমনও দেখেছি নিজের রক্ত বিক্রি করে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে। এই রকমও দেখেছি নিজের মুখে অন্য না দিয়ে ক্ষিধে নেই বলে, সন্তানদের মুখে তুলে দিয়েছে নিজের থালার ভাত।যেন তাঁরা খোদার পক্ষ হতে ত্যাগের শিক্ষা নিয়েই এসেছে, আর আমরা এসেছি ভোগের শিক্ষা নিয়ে। সেই আমরা যখন যৌবনে পদার্পন করি, একটা চাওয়ার কাছেই পদদলিত করি আমাদের মা-বাবার সব ত্যাগ।
বর্তমান সময়ে যে বিষয়টা বেশী চোখে পড়ছে, তা হলো love marriage. শুধু একটি চাওয়ার কাছে ত্যাগ দিচ্ছি আমাদের মা-বাবাকে। তখন ভুলে যায় আমাদের বেড়ে উঠার ইতিহাস। ভুলে যায় যে, আমরা ছিলাম একটা মাটির পুতুল। নড়তে পারতাম না, খেলতে পারতম না। পশু ছিলাম মাত্র, সেই পশুগুলোকে মানুষ করার পিছনে সবচেয়ে যাদের অবদান বেশী; মানুষ হওয়ার পর তাদের সাথেই পশু সুলভ আচরণ করি আমরা। তাঁদেরই অগণিত ত্যাগ ভুলে গিয়ে অজানার উদ্দেশ্য অচেনা এক ছেলে/মেয়ের হাত ধরে পারি দিচ্ছি ভুল পথে। হোকনা সে ছেলে কিংবা মেয়েটি আমার জীবনের একটা অংশ। সে তো আমার মা-বাবার চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি কোথাও পড়িনি প্রেমিক/প্রেমিকার পায়ের নিচে বেহেশত। পড়েছি মা-বাবার পায়ের নিছে সন্তানের তথা আমাদের বেহেশত। আজ আমরা সে বেহেশতটা হারাতে বসেছি। আমরা যখন বাংলা সিনেমা বা কোন নাটকে দেখি; মা-বাবাকে কষ্ট দিতে তখন দু’চোখের পনি ছেড়ে দিই্! আর সেই আমরাই আবার একই আচরণ করি, যেটা আমাদের বোধগম্য নয়।আমাদের মা-বাবা আমাদের সম্পর্ক মেনে না নিক; আমরা তো বুঝাতে পারি উনাদের।আমাদের হাজার চাওয়া তো পূরণ করেছেন, একটা চাওয়া কি আর বাদ দিবেন?? উনারা যদি নাই বুঝে তাহলে উনাদের জন্য তো একটা ত্যাগ আমরা করতেই পারি। তাই নয় কি??


আসলে আমরা এমনই হয়ে গেছি যে, আমাদের কোন চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে বা তা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের ভিতরের পশুত্বকে জাগিয়ে তুলি। অথচ আমাদের ভিতর থাকা মনুষত্ব কিংবা ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করতে কখনো চেষ্টা করি না।

আমরা আমাদের মা-বাবাকে অনেক ভালোবাসি। উনাদরে জন্য হাজারও ত্যাগ আমরাও দিতে পারি, যা শিখেছি উনাদের থেকে।বার বার বলতে ইচ্ছে হয় অনেক ভালোবাসি তোমাদের (আব্বু-আম্মু)
হে আল্লাহ! আমাদের পিতা-মাতার হায়াতে বরকত দান করুন। অারো বেশী সেবা করার সুযোগ দিন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

আবু আফিয়া বলেছেন: চমৎকার, খুব ভাল লাগল,

ধন্যবাদ আপনাকে

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৪

রেযা খান বলেছেন: ভালোবাসা রইলো। দোয়াই কাম্য।

২| ০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। অনেক সন্তানই মা-বাবার ত্যাগের কথা মনে রাখে না। যা চরম অকৃতজ্ঞতা।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৫

রেযা খান বলেছেন: সহমত দাদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.