নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিধ্বস্ত শহরের মানচিত্রে কিছুটা সবুজ আকড়ে ধড়েছিলাম আমি,
ঠিক যেন সমাজের চোখে বাড়ন্ত কিশোরীর নাজুক অঙ্গে অপ্রকাশিত চুম্বনের পুনরাবৃত্তি।
অরন্যের সবুজে এক হওয়া হাজারো কবিতার বয়ঃসন্ধি যে নারী,
সে চিরহরিৎের ডালে বালক পাখীর...
প্রিয়, আমি আর বলছিনা কাউকে
আকাশের নীলে সাদা মেঘের জলে
কার নাম বুকে চেপে চলে যাই আমি দেশান্তরে,
আবেগের ঠাই নেই নাবিকের মনে।
প্রিয়, তবে তাই হোক, জানলোনা ডাঙার মানুষেরা
তোমার আমার রোদ রোদ খেলার...
বালিকা,
কখনো ষোল বছর বয়সের কোন ছেলের প্রেমে পড়েছিলে?
পাড়ার ষোল বছরের ছেলেটি তোমার প্রেমে পড়েছিল তোমার জানালার আড়ালে।
কিছুই জানতেনা বুঝি?
কখনো শুকেছিলে ঐ বয়সী একটা ছেলের ঘামে ভেজা শার্টের ঘ্রান?
তোমার আঁশটে গায়ের...
কিছুটা অপার্থিব হলেও সত্যি,
এ শহরে জন্মেছিল এক কবি মানব ভ্রুন ছাড়াই।
পুনর্জন্ম? তা আমি বিশ্বাস করিনা,
তবে পিউবার্টি প্রাপ্ত বালকের অসংখ্য ভ্রুনকোষের জন্ম শৃংখলের মত,
রোজ রাতে তোমার বালিশে জড়ানো ছিপছিপে চুলের গন্ধ,
নিউরনের...
প্রিয় রোদ,
এই অবেলায় আমার চিলেকোঠায় তোমাকে চাই
চায়ের কাপের সমানে সমান উষ্ণতা নিয়ে।
এক কাপ চা দুজনের ভাগে যখন এসে ভিড় করে
উপর্যুপরী দ্বিধাগ্রস্থ বালক বালিকার চুম্বনের ন্যায়,
চুমুকে চুমুকে রোদ গুলো...
মাঝে মাঝে খোলা জানালার পাশে রাখা
পেপার গুলোকে উড়িয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টায় ব্যার্থ হওয়া বাতাস গুলো,
চুলে দোলা দিয়ে যাচ্ছে।
মাঝ রাতে সংগী হিসেবে পেলাম
এক কাপ চা আর এ বাতাস,
সাথে আছে কিছু অসমাপ্ত...
কাঠবিড়ালি রাগ করেছে সূর্যি মামার সাথে,
সকাল সকাল ঘুম ভাংগানোর মানে হয় কিসে।
সারা বনের সবাই জানে-হলতো জানাজানি,
সূর্যি মামার রাঙা আলো খাবে কাঠবিড়ালি।
গাছ-পাতা-ঝোপের ফাকে কাঠবিড়ালি লুকোয়,
সূর্যি মামার তেজী আলো বনের মাঝে ছড়ায়।
চারিদিকে...
কয়েক শত বিচ্ছিন্ন স্মৃতি
অলৌকিক এক দমকা বাতাসে
সৃষ্টি করেছিল এক দৈহিক অবয়ব-মস্তিষ্কের অঙ্কিয় দেশটায়।
পুরুষের যৌবনে তার আকর্ষনঘটিত লজ্জা
ফুটে উঠেছিল এক মায়াবী নিরবতায়।
নষ্ট সমাজ দেখে নষ্টামী তার চোখের গভীরে
আর আমরা দেখি এক...
আমার ভালবাসার রঙেরা খেলা করে-
পাখিদের ডানার ঝাপটায় ছিটকে যাওয়া দিঘীর জলে,
বহুদিনের জমানো সোনালি মেঘদলের রথে,
গত বসন্তে আসা কিছু মঙ্গোলীয় বাতাসে দুলে উঠা তোমার চুলের ভাজে,
সিঁদূর মাখা বিকেলে নরম গালের...
লক্ষিটি,
তোমাকে ভালবাসি ভোরবেলার কিছুটা আগে
শিশিরেরা যখন নেমে আসে রথের আদলে ঘাসেদের ঠোটে,
সেই হিমের আদলে কুয়াশার চুমু মাখিয়ে লেপ্টে দেই
তোমার গালে, ভালবাসা জমে থাকে নিঃশ্বাসের তাপে।
রোদেরা মেঘ হয়ে ঝড়ে স্নান...
বালিকা,
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে হাসতে কি দিবে আমায়?
যদি নাইবা দিলে,
দিও তোমার গালে লেগে থাকা এক ছটাক রোদের উষ্ণতা।
ঘাসফড়িংটার প্রেম হয়েছে কাঠ গোলাপের সাথে
ইচড়েপণা রঙ ছড়ায় বসন্ত আসার আগে।
কাঠ গোলাপের আদুরে গালে জমানো অভিমানে,
কুয়াশা গুলো লেগে থাকে ঘাসফড়িংএর ঠোটে।
কদম ফুলের পাতায় লিখা ঘাসফড়িংএর ডাকে,
কাঠ গোলাপ মুচকি হাসে শীতের...
প্রিয়তমা, তোমাকে কখনই বলবনা তোমাকে ভালবাসি
বলবনা তোমাকে নিয়ে যাব ভ্যানিসের প্রাসাদে
তবে কথা দিচ্ছি
তোমাকে সাথে নিব আমার শেষ রাতের উপাখ্যানে।
প্রিয়তমা, তোমাকে কখনই বলবনা তোমাকে ভালবাসি
বলবনা আকশের চাঁদ টা তোমার
তবে কথা দিচ্ছি
তারা...
তাপহীন সূর্যে ভোর হওয়া কোন এক সকালে
সবুজ গাঁয়ের নব ঘড়ন্তীর স্নান মাখা স্নিগ্ধতা
এখনো ভর করে আছে আমার সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার,
শেষবার মৃত্যুর আগে এক নিঃশ্বাসে জব্দ করেছিলাম-
তোমার বালিকাশোভিত গন্ধ।
কবিতার মাঝপথে নিজেকে আড়াল...
আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখান থেকে পৃথিবী দেখা যায়,
কোটি মানুষের ভিড়ে তোমার মাথা দুলিয়ে হাঁটা আমি দেখি স্পষ্ট।
তোমার ভাল লাগা খারাপ লাগা অনুভূতিগুলো আমি অনুভব করি সত্য,
তোমার নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া...
©somewhere in net ltd.