নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অরণ্যের দিনরাত্রি

রিয়াদ আরিফ

স্বপ্ন উড়াই,স্বপ্ন পুড়াই ,স্বপ্ন নিয়েই ঘর করি।।।।

রিয়াদ আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নরসুন্দরের কাছে.......

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩২



ছোটবেলায় আমি যে নরসুন্দরের কাছে যেতাম তার নাম ছিল বৈদ্যনাথ।আমাদের তল্লাতে তখন বৈদ্যনাথের ভীষণ সুনাম।ছোট,বড় বৃদ্ধ,চাকুরে সবার আশ্রয় ঐ বৈদ্যনাথ।ওর সুন্দরের কারখানাটা ছিল আমাদের গাঁয়ের শ্টেশনের পাশেই।সকাল ন'টার গাড়িতে করে সবাই জেলা শহর গাইবান্ধায় যেত,তার আগে বৈদ্যনাথের কাছে নিজেকে একটু ঝালিয়ে নেয়া চাই!ওকে তাই সেলুনে আসতে হতো বেশ আগেই।শুক্রবারটা ছিল বৈদ্যনাথের সবচেয়ে ব্যাস্ততম দিন।ওদিন ওর কাছে সিরিয়াল পাওয়া অতোটা সহজ ছিল না।আমার বাবার লাল হোন্ডাটার পিছনে চড়ে আমি চুল কেটে নিতে বৈদ্যনাথের কাছে আসতাম।ছোটবেলায় দুষ্ট আর চন্ঞ্চল হিশেবে একটা খ্যাতি ছিল আমার।বৈদ্যনাথকে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেতে হয়েছে ।ওর ছুড়ি,খুড়,আয়না,ব্লেড এসব আমার হাত থেকে রক্ষে পেত না।ও যখন আমার চুলে কাচি চালাতো আমি ঘন ঘন নড়তাম।তাই দু- একজনকে আমার মাথা ধরে থাকতে হতো,যেন নড়াচড়া করতে না পারি।আর ঐ চুল কেটে নেবার সময়ই আমার নতুন নতুন সব খেলার কথা মাথায় আসতো।আসলে টানা মিনিট বিশেকের মতো বসে থাকার মতো আমি ছিলাম না।চুল কেটে নেবার সময় নড়াচড়ার জন্য দু- একবার মাথার চুলের সাথে কানও কেটে ফেলেছিলাম।বৈদ্যনাথের সেলুনটা এখনো আছে।আগের মতো টিনের চালা দেওয়া ঘরের ভিতরেই ওর কারখানা।গ্রামে গেলে ওর কাছেই চুল ছোট করতে যাই।বৈদ্যনাথ খুব যত্নের সাথে কাঁচি চালায়।খচখচ আওয়াজ হয়।আমি ক'টা টাকা বেশি দিতে চাই,ও নেয় না।বরং আমাকে চা খাওয়ায় আর বলে 'কাকু বড় হও'।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

স্বপনচারিণী বলেছেন: মজার ছেলেবেলা! এগুলোই সম্বল।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিমন্থন ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.