নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অসুস্থ,ছন্নছাড়া ও বিকারগ্রস্ত প্রেমিক!

রিয়াজ হান্নান

So I believe, someday I will be happy.

রিয়াজ হান্নান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ- লাশকাটা ঘর (প্রথম পর্ব)

২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২৬

দূর থেকে অদ্ভুত রকমের একটা সুর আসতেছে, অদ্ভুত রকমের বাশির সুর। অনেক দূর থেকে বোধহয়। কানের কাছে হালকা অনুভূতি হচ্ছে। গেথে যাচ্ছে ধীরে ধীরে হৃদয়ের গহিনে। সিগারেট টা হাতে নিয়ে বসে পড়লাম। আগুন জ্বালানোর মত অবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে বাশির সুরে। ঠিক মনের ভেতরে ডুকে গেছে সুরটা।

বিকেলের নির্জনতা আমার খুব ভালো লাগে। আমি একা একা থাকতে পছন্দ করি এই সময়টা। বাসা থেকে দূরে গিয়ে বসে থাকি। কেউ থাকবেনা,কোন কোলাহল থাকবেনা। সময়টা অনেকটা নিজেকে উপহার দেয়ার মত।

নিজের জন্য কিছু ভাবতে ভালো লাগেনা তাই বিকেলের এই সময়টা শুধু নিজের জন্য রাখি,নিজেকে রোজ নিয়ম করে উপহার করা। আলাদা একটা অনুভূতি আছে এই উপহারে।

সিগারেট ধরানোর জন্য মন ছটফট শুরু করেছে কিন্তু পারছিনা। হালকা বাতাসে ম্যাচের কাঠি দিয়ে সিগারেট ধরানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তার মাঝে কাঠি আছে মাত্র দুটো।

আজকে দিয়াশলাই টা ফেলে এসেছি বালিশের নিচে। আম্মু রুমে গেলে হয়ত পেয়ে যাবে। আমি বাসা থেকে বের হলেই আম্মুর উপস্থিতি আমার রুমে,উদ্দেশ্য এলোমেলো রুমটা একটু সাজিয়ে গুছিয়ে নেয়া। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে দুটো ম্যাচের কাঠিও নষ্ট করে ফেলেছি। ধুর ছাই সিগারেট টা খাবোনা। ইচ্ছে করতেছেনা একটু হেটে টং থেকে ধরিয়ে নিয়ে আসতে।

বসে আছি কোলাহল শূন্য একটা জায়গায়,যেখানে একটা নতুন বিল্ডিং হচ্ছে। সম্ভবত সাত তলার মত উঠবে। মালিকের অনেক টাকা পয়সা বুঝা যায়। প্রতিদিন গাড়ি করে আসে,চোখে একটা সাদা-কালো ফ্রেমের চশমা পড়া। গায়ের রঙ শ্যামলা না,তবে কালো বলা চলে। লোকটার নাম হাবিব। সেখানকার সবাই তাকে হাবিব সাহেব হিসেবে চিনে। পড়ালেখা খুব করতে পারেনি। বড়জোর অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছে। বিদেশ থেকে ফিরেই বিশাল কাজ কারবার। হাবিব সাহেবের স্ত্রী উচ্চশিক্ষিতা মহিলা। পড়ালেখায় যেমন দেখতেও অমায়িক সুন্দরী। হাবিব সাহেবের কপাল ভালো। বেশি পড়ালেখা না করেও শিক্ষিত বউ পেলো আর টাকা পয়সাও অঢেল কামালো।

মানুষ অন্যার টাকা পয়সা দেখতে পারেনা। কোটি টাকার মালিকদের নিয়ে সমালোচনা বেশি করে। ব্যাটা এত টাকা কামালো কিভাবে? দুই নাম্বারি করেই কামাইছে নিশ্চয় ইত্যাদি ইত্যাদি। হাবিব সাহেব কে নিয়েও এমন সমালোচনা হয়। এ সমালোচনা থেকে মুক্তি পায়নি তার সুন্দরী উচ্চশিক্ষিতা স্ত্রী ও। হাবিব এত কাইল্ল্যা হয়ে এত সুন্দরী বউ কিভাবে পেল? তাও আবার শিক্ষিতা? ইত্যাদি ইত্যাদি

আমি তার বিল্ডিং এর পাশেই প্রায় সময় বসে থাকি। সেখানটায় এখনো কোন বসতি গড়ে উঠেনি। একটা মাত্র বিল্ডিং নির্মান হচ্ছে তা হাবিব সাহেবের। দূরে রয়েছে একটা স্কুল,সেখানে একজন লোক রোজ বিকেলে বাঁশির সুর তোলে। আমি এখান থেকে শুনতে পাই। লোকটাকে চিনিনা আমি।

সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে যাবো লোকটার কাছে। বাঁশির সুর কাছ থেকে শুনব। কথা বলব তার সাথে। টং থেকে পাঁচটা সিগারেট একটা ম্যাচ বাক্স কিনে হাটা ধরলাম। হাটতে হাটতে হাতে থাকা সিগারেট ধরিয়ে টানতে লাগলাম...

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১৮

সালমান মাহফুজ বলেছেন: এইটুকু পড়ে কিছু বলার উপায় নেই । তবে পরবর্তী পর্ব পড়ার আগ্রহ জেগেছে ।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৩২

রিয়াজ হান্নান বলেছেন: পরবর্তী পর্ব একি টাইমে পাবেন। আর ফেসবুকেও পোস্ট হবে একই টাইমে।
ফেসবুক আইডি লিংকঃ- https://www.facebook.com/Riaz.Hannan55

২| ২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

না মানুষী জমিন বলেছেন: অপেক্ষা করছি, বাঁশিতে সুর তোলা সেই অচেনা মানুষটার কাছে যেতে।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

ওমর আল হাসান বলেছেন: পুরোটা পড়ার আগ্রহ ছিলো ।

৪| ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পুরোটা পরে পড়বো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.