নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূর্বাচল বেস্টওয়ে সিটি কতটুকু নির্ভরযোগ্য ?

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৪

Purbachal Bestway City !

ব্যাপারটা এরকম যে আমি যতটুকু আয় করি তাতে ১ কোটি দূরে থাক ৫০ লক্ষ টাকা আয় করতে সারা জীবন পার হয়ে যাবে ।

কারণ ব্যয় বেশী । বিস্তারিত না গেলাম।

এখন ১০ লক্ষ টাকা যোগাড় করা যাবে কোন মতে । এখন এই বিক্রয়.কম এ ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে সার্চ দিলাম ভবিষ্যতের খোজে!



এখন এই রকম কাঠা প্রতি ৩-৬ ল. টাকার প্রচুর বিজ্ঞাপন পেলাম । এখন ধরে নিলাম দালালির সহজ ও প্রথম ধাপ । এখন কোন দালাল ঠক আর কে সঠিক বুঝার উপায় নেই এই যুগের কম্পুতে বসে । :) সরজমিনে গিয়েও মানুষ বোকা হয়ে যায় ;) আর আমি...



যাই হোক কতটুকু বিশ্বাস যোগ্য অফার এটি ?



আপনাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে কি ? এই সব প্রাইভেট সেক্টরে কোনটি ভাল হবে বা হতে পারে ।



সাহেব টার্গেট আমার মাত্র ৩ কাঠা :) যত সস্তায় পাওয়া যায় ।

নিজে বাড়ি করব ভবিষ্যতে যখন মধ্য বয়সে অতিক্রম করব , যদি আল্লাহ হায়াত দেয় । আর না হলে কবরে তো বুকিং অটো করাই আছে ;)

____

ব্যাপারটা এইরকম যে একটা সময় টার্গেট ছিল ব্যাংকের মুনাফা তথা সুদকে কেন্দ্র করে । কিন্তু হারাম এ মন টানছে না, বন্ধুর সাথে কথা বলে চিন্তা করছি এই পয়সা থেকে দূরে থেকে সঠিক ব্যবসার সন্ধান করতে হবে । কিন্তু সঠিক ব্যবসায় মোটা ক্যাপিটাল ছাড়া হয় না মানুষের সাথে মিলে করেও উপায় নেই । একটা মাত্র পথ । তা হল জমি ক্রয় ও বাড়ি তৈরী আর তাতে ভাড়া দেওয়া । চাকুরীজীবিদের একটা পথই খোলা থাকে । এমনিতেই চাকুরি চিন্তা তার উপর বেকারী বা ফুড চেইন এর ব্যবসা মিলে না । যদিও বাস্তব জীবনে একজন চাকুরীওয়ালাকে দেখেছি ব্যবসাও করতে । কষ্ট হত কিন্তু আয়ও হত তার ।

আর আমার জমা হয় ছোট ছোট হাড়ে তাতে ব্যাংকের সুদ পাওয়াটাই বিরাট প্রফিট ছিল । আমার মস্তিষ্ক তাই ই বলে । যেহেতু সেটা হারাম তাই তার থেতে দূরে সরে আসতে চাইছি ।



ইসলামিক ব্যাংক এ মুনাফা খেতেও কেমন যেন লাগছে । যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের উপর চলে , সেখানে এই ব্যাংক তো সুদের উপরই চলার কথা । দেখি সেখানে গিয়ে কথা বলতে হবে আগামী বছর ।



আমি চাকুরীজীবি, ২০ জমা করতে পারি মাসে । বছরে ৩ লক্ষটাকা জমা করে ২৫ লক্ষ টাকা জমা করতে ১০ বছর পার হয়ে যাবে । আর আগামী বছর বিয়ে করলে আর সন্তান নিলে ৫ বছরের মধ্যে , সে স্কুলে যেতে জমি কিনে ফেলতে পারব আর ১০ বছর পরে পেনশনে গেলে বাড়ির কাজ অর্ধেক করতে পারব । আর স্ত্রী যদি সহায়তা করে তাহলে জীবত থাকা কালে বাড়ি শেষ করতে পারব ।

সবই হায়াত নির্ভর ।

_____ এই সব মনের কথা । :)



যাই হোক । মূল কথা ৩ কাঠা সর্বনিম্ন থেকে ১০ বা সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকায় খুজতেছি ।

এখন এইগুলি ভুয়া নাকি লটারী হয় ।

কিস্তিতে দিতে পারলে আমার সুবিধা হত ।

আর প্রবাসীদের প্লট ক্রয় করার বিশেষ সুবিধা আছে কি ?



পূর্বাচলে প্রবাসীদের প্লট নিয়ে ঝামেলা হয়েছে শুনলাম । লটারী নিয়ে অনেক সমস্যা আর অনেকে নাকি ফ্ল্যাটও পায়নি ।

সত্য মিথ্যা জানি না ।





মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:০৪

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আমি নিজের এক্সপিরেন্স থেকে বলছি, পূর্বাচলে সবগুলি হাউজিং কোম্পানি গুলিই ভুয়া। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে আপনাকে শুধু বুকিং পর্যন্ত নেবে তারপর আপনার দায়িত্বে উনাদের পিছনে ঘোরে ঘোরে জুতার তলা ক্ষয় করবেন।

লটারি শুধু হয় সরকারি প্রকাল্পে, যা অনেকদিন পূর্বেই শেষ হয়ে গেছে। প্রাইবভেট ফার্মথেকে কিনলে আপনি নিজেই নিজের প্লট ঠিক করবেন উনাদের রঙ্গিন প্রকল্প ম্যাপ দেখে। প্লট নাম্বার রোড নাম্বার, সেক্টর নাম্বার সব কিছুই দেওয়া থাকবে এখানে আপনার দায়িত্ব শুধু পছন্দ করা।

পূর্বাচলে হাজারো কোম্পানির ভিড়ে কিছুটা বিশ্বাস যোগ্যতা আছে বেষ্টওয়ে সিটিতে এরা মন্দের ভাল, তবে যে সেক্টর গুলি শেষ হয়েছে এই গুলির আশে পাশে কিনলে কিছুটা নিরাপদ হবে আপনার ইনভেষ্ট। যে যত ভালই হোক কিছুতেই আপনাকে ঠিক সময়ে দিতে পারবেনা অন্ত্যত ৩/৫ বছর বেশি সময় লাগবে। সুতরাং ভেবে চিন্তে পূর্বাচলে যাওয়াই উত্তম।

যেখেতু ৫/১০ বছর পরে আপনার বাড়ি করার ইচ্ছা সুতরাং ঢাকার আশেপাশে কোথাও কমদামে এককালিন মূল্যে জমি কিনতে পারেন তাতে আপনার টাকাটা ভাল একটা নিরাপদ থাকবে।
আমি নিজে পূর্বাচলে অনেক ঘোরাফেরা করে সাভারে গিয়ে জমি রেখেছি, খুবই কম দামে শতক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে। ঐ জমিতে বাড়ি করতে প্রায় ৫ বছর সময় লাগবে, বর্তমানে সাভারে আমার বাসা থাকাতে ঐ জমিতে বাড়ি করার খুব একটা তাড়ানেই তাই এমন বিনিয়োগ।

আপনার যদি বাড়ি করার তেমন তাড়া না থাকে তাখলে ঐ এলাকায় একটু বেড়িয়ে আসতে পারেন। আশা করি কমদামে বেজাল ছাড়া ভাল কিছু জমি পাবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তবে মাথায় থাকল , দেখি বাংলাদেশে আব্বার সাথে কথা বলে কি ঠিক করতে পারি । :)
৪ কাঠা মানে ৬.৫ শতক ১০ লক্ষ লাগবে ...
২০১৫বা ১৬ তে ক্রয় করি দাম হয়ত ১৫ এর মধ্যে থাকলে ভাল হবে :)
আমার টার্গেট ৩ কাঠা ক্রয় করা । দাম হয়ত ৫-৭ লক্ষ এর মধ্যে থাকবে আশা করি । :) তাহলে ২০১৬ এর শুরুতে কিনতে পারব ।
আরেকটা কথা সেটা হল, জমির দাম কত দ্রুততায় বাড়ে সেখানে ?
মানে ১ শতক যদি ১.৫ লক্ষ টাকায় ক্রয় করেন ১ বছর পরে কত হবে ?

মানে সাধারন একটা ধারনা রাখতে পারতাম । তাহলে প্রিপারেশন অন্য রকম হবে ।

সিগারেট এর বদ অভ্যাস নাই বেচে গেলাম এই দিক দিয়ে :) খরচটা কম এমনিতেই ।


আরেকটা ফ্ল্রেন্ডলী ইনফো তি দিতে পারেন কি ? যদি একেবারে ৬-৭ কাঠা একেবারে কিনে ডেভলপারকে দিয়ে দেই । সেখানে আমাকে বিল্ডিং গড়ে তুলার খরচ দিতে হল না । আমি সাইনিং মানিও পেলাম আর ফ্ল্যাট ভাড়াও দিতে পারলাম এটা কি সঠিক পদক্ষেপ না ?

কারন বিল্ডিং করতে সেখানে আবার ৫০ লক্ষটাকা খরচ যাবে হয়ত ।

আপনি কি নিজে করবেন নাকি আপনার বিল্ডিং ডেভলপারকে দিয়ে করাবেন ?

কারন সাভার্এ যদিও ক্রয় করি সেখানে কখনই আমি থাকব না । আমি থাকব পারিবারিকসূত্রে পাওয়া জায়গায় ফ্ল্যাট করে ।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

খেলাঘর বলেছেন:


খাউকে প্লট দেয়া অপরাধা, সরকার মানুষের জমি দখল করছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

রিফাত হোসেন বলেছেন: !

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১০

মাহমুদ তূর্য বলেছেন: দুঃখ হীন পৃথিবী ভাই আপনার মেইল আইডি কি দেয়া যাবে? আপনার সাথে যোগযোগ করতে চাচ্ছি।


নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, পূর্বাঞ্চলে আপনার বর্তমান বাজেটে জমি কিনলে। জমি বুঝে পেতে আপনাকে ১০-১৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর ২-৫ বছরে জমি বুঝে পেতে হলে যে পরিমান টাকার প্রয়োজন। সেটা টাকা দিয়ে ঢাকার ভিতরেই জমি পাওয়া যায়।

এটা উপলদ্ধির করে, বুকিং দিয়ে দেয়ার পর প্রায় দুই বছর কিস্তি চালিয়ে। প্রায় ছয় মাস ঘুরে ৩০% টাকা গচ্ছা দিয়ে সরে এসেছি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ভরসা ছুটে যায় ছুটে আসছে :) কি যে করি ।

এখন কত কত বাজেটে কোথায় কি করতে চাচ্ছেন ?

দেখি আপনার থেকে কারেন্ট কোন ধারনা নিতে পারি কিনা ।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: মনে হয় প্রবাসে থাকেন। সুদ একসময় হারাম ঘোষিত হয়েছিল নানা কারনে। আপনার কি মনে হয় ব্যাঙ্ক আপনার টাকা জমে রেখে তা সুদের মেশিনে ঢুকিয়ে আপনাকে বাড়তি টাকা দিচ্ছে? আপনার টাকা ব্যাবহার করছে ব্যাবসায়িরা তাদের নিত্তদিনের ক্রয় বিক্রয়ে, ইমপোর্ট বিল পরিশোধে , কেউ আপনার মতই ফ্লাট কিনবে , তার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিচ্ছে এবং একটা চুক্তিতে পরিশোধ করছে। যে লাভ হল এইসব কার্যক্রমে তার অংশ আসছে আপনার কাছে,ব্যাঙ্ক করমচারিদের বেতনে, এবং ব্যাঙ্কের লাভ রাখতে। এতে অন্যায়ের কিছু দেখিনা আমি। ইসলামিক ব্যাঙ্কের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে খেয়াল করে ওই একই ব্যাপার পাবেন। যারা কোম্পানির প্রাইমারি শেয়ার কেনেন তারা তোঁ একই ব্যাপার করছেন , তাদের টাকা একটি কোম্পানিকে দিচ্ছেন উৎপাদনে অংশ নেবার জন্য, তার আগেই দেখে নিচ্ছেন এই কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা , আগের বছরগুলো কেমন ব্যাবসা আর লাভ করেছে। এখন আমি যদি বলি এই কোম্পানি ফরমালিন মিশ্রিত জিনিস বিক্রির লাভ আপনাকে দিচ্ছে , আপনি ঠিক কিভাবে এই বিষয়টির ব্যাখ্যা দেবেন । আর শেয়ারের সেকেন্ডারি মার্কেট তোঁ পুরাই হারাম , ওটার সাথে জুয়ার টেবিলের কোন পার্থক্য নেই।

বিদেশে থেকে দেশে জমি কিনবেন না । হাজার হাজার লোক প্রতারিত হচ্ছে। যদি ঘেরা প্লট পেতেন তাহলে ওকে ছিল। ঢাকা শহরে ফ্লাট কিনে বিপদে আছেন হাজারো লোক এবং খোদ রিহ্যাব । এই শহরে লোক মানে পরিবারের সদস্য কমছে। তারা জেলা শহরে চলে গেছে বিপুল খরচ বাচাতে। আয়ের উৎস ভদ্রলোকটি মেসে উঠছেন নিরুপায় হয়ে।

টাকা হাতে রাখুন কারন ওটা দিয়ে কদিন বাদেও কিছু কোরতে পারবেন । বিদেশ থেকে এসে কোর্ট কাচারি কোরতে পারবেন? না। জেলা শহরে ডেভলপার নামক চীজরা পাওয়ার অফ এটর্নি নিয়ে পাবলিক কে ঝুলিয়ে রাখছে ১০ বছর। আমাদের আবাসন আইন নেই তাই কোর্টে এই বিষয়ে মামলা করা যায়না।

টাকা আপনারই থাকুক। এই মুহূর্তে কোন উপদেশ নেই আপনার জন্য।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ । :)
এক সময় হারাম ঘোষিত হয়েছিল না বরং হারাম ঘোষিত হয়েছে সর্বকালের জন্য !

আসলেই মুসলিম হবার প্র্যাকটিস করছি । আমারও শেয়ার এর ব্যবসায় উত্স আছে! রাইট, আমি অর্থ আয়ের প্রত্যেকটা অংশকেই ব্যবহার করেছি । এখন তা থেকে সরে আসছি ।

চক্রবৃদ্ধি হারে আয় যেখানে লসের ভাগীদার হয় না তাকেই সুদ বলা যায় । এটা নিয়ে বিস্তারিত বলার ইচ্ছা নাই কারন পোষ্ট টি এই বিষয়ে নয় । আর আপনার মত আমিও আগে এইটাই মনে করতাম । আমিও খারাপ কিছু দেখি নাই তবে এখন দেখতে হচ্ছে ।
যাই হোক আমার ধারনা অনেকটা বদলিয়েছে । তবে মুনাফা আর সুদ এর মধ্যে ব্যাপারটা পরিষ্কার হতে হবে আমাকে ।
---
আসল কথা আমি এখন ব্যাংকের সেভিংস এ গচ্ছিত রাখতে চাচ্ছি না । তাই পরর্মশে আছি
---

তবে ধন্যবাদ, আপনার কথা যুক্তি আছে । বিদেশ থেকে কিছুই করতে পারব না । :) তবে আমাকে কিছু না কিছু করতেই হবে ।

সত্যি বলতে কি , মানুষের চাহিদার শেষ নাই, আমি যদি চাই আমি বাকিটা জীবন যেমন আছি তেমনই কাটিয়ে দিতে, সেটা সম্ভব । কিন্তু মন সায় দেয় না ।
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কিছু করে যেতে মনে চায় ।
আজকের ১ টাকা আর কালকের ১০০ টাকা তো এক হবে না । দাম বৃদ্ধি পাবে । তাই ব্যাংকেে শুধু সুদ ছাড়া জমিয়ে লাভ হবে না । দশ বছর ধরে জমাব ২৫ লক্ষ তা তখন ১০ লক্ষ সম পর্যায়ে নেমে আসতে পারে । :(

তবে ধন্যবাদ অনেক আশা করি সাথে থাকবেন ।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: দেখি কে কি পরামর্শ দেয়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমিও...

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @দুঃখ হীন পৃথিবী ও @ শাহ আজিজ ভাই অনেক সুন্দর কথা বলেছেন । প্রবাসে বসে দেশে জমি , ফ্ল্যাট অথবা প্লট কিনবেন না , ধরা না খেতে চাইলে আর কি ।

আমি ফ্ল্যাট কেনার পক্ষপাতী না । দেশে এপার্টমেন্ট ব্যাবসায়ীদের বেশীরভাগ প্রজেক্টেই যে মানের নির্মাণ সামগ্রি ব্যাবহার হয় তা দেখলে আপনার আর ফ্ল্যাট কেনার শখ থাকবে না । ৬ তলা একটা বিল্ডিঙে পিলারে তারা ১৬ মিলি রড ব্যাবহার করে , যেখানে দেওয়া উচিৎ ২৫ মিলি রড ! বীমে প্রায় ১ ফুট পর পর চুড়ি বাধে । যেখানে উচিৎ ৪ ইঞ্চি পরে পরে । ৬০ গ্রেড রড না দিয়ে দিবে ৪০ গ্রেড । না পারলে পিলারে ও ছাদে/ফ্লোরে স্টোন চিপস দেয় না । ইট দেয় তিন নাম্বার , দুই নাম্বারও না । সিমেন্ট যত সস্তাটা পাওয়া যায় । আর নির্মাণ বিলের ভয়ে না পারলে নিরমানে পানি ছোঁয়ায় না তারা । যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

হ্যাঁ , কয়েকটা কোম্পানি আছে ভালো কাজ করে । আর যারা ব্যাক্তিগত মালিকানায় করে তারা ভালো সামগ্রী দেয় । আপনাদের তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে । দামটা অবশ্যই অনেক চড়া হবে সেক্ষেত্রে । ফ্ল্যাট কিনতে চান , তো সাইট ঘুরে ঘুরে দেখে শুনে সময় নিয়ে কেনা ভালো ।

আমার মতে ঢাকার অদুরে কোথাও জমে কিনে রাখাই ভালো । তবে জমি কেনার ক্ষেত্রে যুতসই পরিচিত লোক ও এলাকা না থাকলে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯% ।

আমার পরিবারে দুইজন এপার্টমেন্ট ব্যাবসা করে । আমিও একভাবে তাতে সংযুক্ত । তাই সেদিকে না যাওয়াই ভালো মনে করি ।

আর আপনার জ্ঞাতার্থে , ৫/৬ কাঠার উপরে একটা ৬ তলা বাড়ি যদি তুলতে চান ( দেশের যেখানেই হক না কেন ) অর্থাৎ ১৮০০ স্কয়ার ফিটের তিনটি ইউনিট হবে সম্ভবত । খুব সহজে বলি , টাইলস , থাই গ্লাস , , ৬০ গ্রেড রড , ভালো সিমেন্ট , স্টোন চিপস , ১ নাম্বার ইট , ভালো ওয়্যারিং করে করতে চান কমপক্ষে ১ কোটি ২০ লাখের নিচে পারবেন না । লিফট নিলে আরও ৫ থেকে ৭ লাখ । আর লামছাম করে করলেও ৮০ লাখের নিচে হবে না , গ্যারান্টি ।

ভালো থাকবেন :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: যা কলিজায় পানি ছিল, আজিজ সাহেব শুকিয়ে দিল আর আপনি তো কলিজার মাটির নিচের পানি বাষ্প করে দিলেন ;)
হহহাহাহাহাহা

আর প্রশ্ন করার সাহস পাচ্ছি না সাহেব :)

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: অপূর্ণ রায়হান ভাই কাইন্ডলি একটু আপনার মোবাইল বা ইমেল নাম্বার দেন, একটু যোগাযোগ করব, নতুন একটা বাড়ি করার জন্য।
৬.৫ শতাংশ জমিতে ১০০০ স্কয়ারফিটের ৩ ইউনিট সাথে লিফট সহ পাচতলা করলে কেমন খরচ হতে পারে এই ব্যাপারে আপনার একটা পরামর্শ দরকার।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: মাহমুদ তূর্য ভাই আমার ইমেল আইডি - [email protected]

জমির দাম খুব দ্রুত বাড়ে না, আনুমানিক প্রতি বছরে ৫/৭ পার্সেন্ট বাড়ে তবে কিছু দিনের মধ্যে বিরোলিয়া এলাকায় হটাৎ করে একটা দাম বাড়বে অর্থাৎ বিরোলিয়ার পরে মিরপুরে রোডের সাথে সংযুক্ত সেতুটা হয়েগেলে একবারে ৫০ পার্সেন্ট দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

আমি যেই এলাকায় আপনাকে এই দামের জমির কথা বলছি সেখানে বাড়ি করতে আপনার আরো ৫/৭ বছর সময় লাগবে এখনি বাড়ি করে বাড়া দিতে পারবেন কিন্তু ফ্ল্যাট এর মত বাড়ি বাড়া দিতে অথবা আসেপাশে এমন বাড়ি তৈরী হতে ভাল সময় লাগবে।
এমন ইচ্ছা থাকলে আরএকটু দামে জমি কিনতে পারেন, তবে সেটা ৫ লক্ষ টাকা শতাংশ হবে।

বাড়ি করার জন্য ডেভেলপারকে দেওয়া আমি একেবারেই সমর্থন করিনা, এরা পাওয়ার অব এর্টনি নিয়ে আপনাকে ঝুলিয়ে রাখবে সুতরাং নিজে নিজে করার ইচ্ছা থাকলে ভাল হয়। প্রয়োজনে কয়েকজন বন্ধু মিলে শুরু করতে পারবেন।

অপূর্ণ রায়হান ভায়ের সাথে কথা বল্লে আপনি বাড়ি করার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন, যেহেতু উনি সরাসরি ডেপেলপার সেক্টরে জড়িত।
তবে সাভার এলাকায় আপনি জমি কিন্তে ইচ্ছুক হলে আমি আপনাকে নির্বেজলা জমি পেতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে পারব বলে আশা করি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক :) পোষ্টটি তুলে রাখলাম । বিডিতে আসলে বিস্তারিত কথা বলব ।

৩০ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকে রাখলেই প্রচুর লাভ হত । কিন্তু সুদ থেকে দূরে আসতে চাচ্ছি । :)

হুম সাভার এ জমি ক্রয় এর ব্যাপারে চিন্তা আছে । দেখি এইবার এসে কি করতে পারি । :) ২০১৫তে এসে বিয়ে করার প্রবল সম্ভাবনা আছে । বিয়ের খরচ যদি কমাতে পারি তাহলে তা থেকে বাচিয়ে আর হাতের কিছু পয়সা যোগ করে দেখি হয় নাকি ।

আমার টার্গেট ৩ কাঠার মধ্যেই । ২ ইউনিট বাড়ি এর চিন্তা তাই ৩ কাঠার কম হলেও সমস্যা নাই ।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: [email protected]

@দুঃখ হীন পৃথিবী , ভ্রাতা , ডিটেইলস মেইল করেন , দেখি কতোটুকু কি করতে পারি । তবে আপনার খরচ সম্পর্কে কাছাকাছি একটা ধারনা দিয়ে সাহায্য করতে পারবো আশারাখি । প্ল্যান বা ডিজাইন কি সিলেক্ট করে রেখেছেন ? ওটা থাকলে কম্পোজ করে দিলে আরও ভালো হবে । আর জমির কন্ডিশন কি ? সয়েল টেস্ট করিয়েছেন ? কেননা পাইলিং লাগলে খরচটা আরও অনেক বেড়ে যাবে । পাইলিঙের কথা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম । ৫ তলা হলেও মাটি বেশী খারাপ হলে পাইলিং লাগতেও পারে । রিস্ক নিয়ে অনেকেই করে , মানতে চায় না । যার যেটা খুশি আর কি । কিন্তু নিজের করা বাড়ির নিচে নিজের চাপা পরার কোন মানে হয় বলে মনে করি না । করলে পাকাপোক্তভাবে ভালো করেই করা উচিৎ । আর গ্যাস ও পানির লাইন কি নতুন নিতে হবে ? সেটারও একটা বড় খরচ আছে । আর পুরানো লাইন থাকলে তো সমস্যা একটু কম হবে ।

@রিফাত , ভ্রাতা , এতো হতাশার কি আছে ? ২/৩ তলা খুব কম খরচে করা যাবে । অনেক কম । ওগুলোতে ভেজাল অনেক কম । কিন্তু ৩ তলার বেশী যাওয়া যাবে না ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ , একটু হলেও সাহস পেলাম । আসলে পাশের কেউ থেকে জোড় পেলে মনোবল বৃদ্ধি পায় ।

পরীক্ষিত । হাহাহ :)

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: @ দুঃখ হীন পৃথিবী ভাই আপনাকে যে বুদ্ধি দিয়েছেন সেটাই সবচেয়ে ভাল। প্লট ব্যবসার প্রথমের কয়েকটি ছাড়া যেমন বসুন্ধরা( তবে J Block প্রজন্ত,তার পরের গুলো না), ইস্টার্ন হাউজিং,মোহাম্মদি হাউজিং ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কেউ বেসরকারী কোম্পানীর প্লৎ বুঝে পায় নাই। তবে আপনার যদি ২০-২৫বছর প্লট পাবার ইচ্ছা থাকে বা আপনার সন্তানের জন্য তাহলে আপনি কিনতে পারেন তবে আমার পরামর্শ হল না কেনা। এদিক দিয়ে সরকারী প্লট ভাল কেননা যতদিন পরেই হোক না কেন আপনি প্লট পাবেন। কিন্তু বেসরকারী প্লটের কোন গ্যারান্টি নাই আর হ্যারাসমেন্ট তো আছেই। এইতো কিছুদিন আগে পুরা আশিয়ান সিটির পুরা প্রজেক্টাই বাতিল হয়ে গেল।


ভাল হয় আপনার যে বাজেট তাতে আনি ঢাকার আশে পাশে যেমন কেরানীগঞ্জ,সাভার,গাজীপুর,কালিগঞ্জ এসব এলাকায় কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা দেখে ব্যাক্তি মালিকাধীন জমি কিনুন। অন্তত ৫/৬ বছর পরেতো বাড়ী করতে পারবেন।

আর ডেভলপআরকে দিয়ে দেবার যে কথা বলছেন সেটা ভাল বুদ্ধি কিন্তু আপনাকে এমন জায়গায় জমি কিনতে হবে যেখানে ৫/৬ বছর পর ডেভলপাররা ফ্লাট বানাতে আপনার এলাকায় ঢুকবে তবে সহজ কথা হল ডেভলপারকে জমি দেয়ার মত লোকেশনে জমি কিনতে গেলে আপনাকে কাঠা প্রতি মিনিমাম ৫০লাখে যেতে হবে।

নিজের ফ্লাট তৈরির ক্ষেত্রে একটা হিসাব হচ্ছে। মোটামুটি ঢাকার যেই জায়গায় হোক না কেন পার স্কয়ারফিটে খরচ হয় ১৫০০টাকা। এখন আপনি হিসাব করে নিন কত স্কয়ারফিট হবে আপনার ফ্লাট আর কয় তলা করবেন। আসলে বর্তমান সময়ে ফ্লাট বানিয়ে ভাড়া দেয়া বোকামী ছাড়া আর কিছুই না। তবে জমি কিনলেন আর কিছুদিন পর লাভে বিক্রি করে দিলেন তাহলে সেটা ভাল কারণ আপনি বলেছেন আপনার পারিবারিক সুত্রে পাওয়া ফ্লাটে আপনি থাকবেন।
আর হ্যা অবশ্যই খুব ভালভাবে কাগজ পত্র পরীক্ষা করে নিবেন আর সাথে রিলায়েবল কাউকে রাখবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ।

হুম ঠিক । তবে জমি কিনে রাখা আর প্রত্যেকবার খুজে খুজে বিক্রি করা কঠিন ব্যাপার লাগছে ।
এর থেকে জমি কিনে বাড়ি করে ভাড়া দিয়ে তোলার ব্যবস্থা রেখে দিলে কি সঠিক হত না ?
আর তা জমা থাকত একটি ব্যাংকে । যা আমি নিয়ন্ত্রণ করতাম ।

আমার বাচ্চারা হয়ত কোন কালেই বিডিতে স্থায়ী থাকতে চাইবে না । তাদের জন্য পয়সা জমা করে দিতে পারি এতটুকুই । যদি তারা নারীর টানে ঘুরে যেতে চায় । আমার আমার মৃত্যুর পর আত্মীয়রাই ভোগ দখল করবে বলা যায় এক অর্থে !

শুনেছি পরিত্যক্ত মনে করে মাঝে মাঝে স্থানীয়রাই দখল করে নেয় জায়গা জমি, ভুয়া কাগজকেও তৈরী করে সঠিক করে নেয় ইত্যাদি । তাই আর বাড়ি করার চিন্তা । ফেলে রাখতে ভয় পাই আর কি ।

তবে আপনি ভাল বলেছেন । আমি আবার পুরোপুরি পিউর কাগজ পত্র ছাড়া কিনব না । তবে ধন্যবাদ । :)

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হাহাহাহা পাশে কেউ না থাকলে করে নিন ;) তবে একটার বেশী না কিন্তু :)

লাস্ট ইয়ার আমাদের ভাড়া বাড়ির একটা আমি নিয়ে নিয়ে এইভাবে তিনতলা করে নিয়েছি । আগে টিনশেডেড ছিল । ২০০০ স্কয়ার ফিটের মধ্যে ছোট দুইটা ইউনিট । আমার ৩০ লাখের মতো খরচ হয়েছে । ভাড়া উঠছে প্রায় ৯০ হাজার প্রতি মাসে । প্ল্যান ছাড়াই করেছি । ডিজাইন আমি নিজেই দিয়েছি । হাহাহাহা :)

আপনি যখন দেশে আসবেন , তখন সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েন । সমস্যা হবে না আশাকরি । শুভকামনা রইল :)

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৮

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: উপরে শাহ আজিজ সাহেব যা বলেছেন সেটাই বাস্তব। আমরা সবাই ইসলামী আইন সম্পর্কে কম-বেশি অবগত আছি। কিন্তু এটা তো বাংলাদেশ। এখানে শয়তানের রাজত্ব চলছে এখন। আপনি যে সৎ ভাবে কিছু করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন আর সেই সাথে নিজের সম্পদের পরিমান ব্লগে প্রকাশ করে দিয়েছেন, এতে আরো কিছু ধান্দা বাজ লোকের পাল্লায় পড়ার আশংকা বাড়লো বরং। যাই হোক আপনার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার আন্তরিক ইচ্ছাকে মোবারকবাদ জানাই।

মূল কথায় আসি। স্কুলে থাকার সময় ভাব-সম্প্রসারনে পড়ে ছিলেন হয়তো গ্রন্থগত বিদ্যা......... হলে প্রয়োজন। নিজের আপনজনের জীবনের বিনিময়ে এই সত্য উপলব্ধি করেছি। এই সব ডেভেলপার কোম্পানি গুলো প্রাচীন সামন্ত রাজা, চেঙ্গিস খান দের ২০০০ মডেল। এরা শুধু আপনার রক্ত চুষবে না, আপনার হাড়, মাংস, ছিলে আপনাকে ফসিলে পরিনত করবে। আখের রস যেভাবে রাস্তায় ভ্যানগাড়িতে নিঙ্গড়ানো হয়, আপনাকেও ঠিক সেভাবেই নিংড়িয়ে নেবে এইসব হায়েনার দল। পোস্টের শিরোনামে বেস্ট ওয়ে গ্রুপের নাম দেখে ঢুকলাম। নিকুঞ্জে এদের কাস্টমার কেয়ার আছে। উত্তরার কিছু প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রি আপনাকে মিস্টি কন্ঠে ফোন দিয়ে মগজ ধোলাই করেছে। এদেরকে এভাবেই আদেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরে হাত খরচের কিছু টাকা যোগাড় করার জন্য নিজের টেবিলে রাখা স্ক্রিপ্ট পড়ে পড়ে অবলীলায় গ্রাহকদের কাছে বয়ান দিয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি বেস্ট ওয়ে গ্রুপের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে কিছু জানতে চান তাহলে বুঝবেন ফোনের অপর প্রান্তের উনি শুধু পিসিতে রাখা স্ক্রিপ্টের পাঠক/পাঠিকা। আপনার মগজ ধোলাইয়ের জন্যই তাদের বেতন দেয়া হয়। এইসব রক্তচোষা কোম্পানিগুলো গুলশানে ঝাঁ চকচকে অফিসে আপনাকে নিয়ে যাবে। কিন্তু প্রথমে আপনার মগজ ধোলাই করবে নিকুঞ্জ-উত্তরার এক বিল্ডিঙয়ে ১৪ পদের কোম্পানির ভাড়া করা অফিস থেকে ফোন দিয়ে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে নিজে ঘুরে আস্তে পারেন। আপনাকে ঠিকানা দেয়া হবে।

সবশেষে শুধু একটা কথাই বলবো, যদি পারেন বিদেশে সেটেল হয়ে যান, তা না হলে নিজের গ্রামের বাড়িটা আরামে থাকার মত করে থাকুন। এইসব বেস্ট, সুপার, গ্যালাক্সি, থান্ডার মার্কা কোম্পানির যে কোন প্রডাক্ট কেনা থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকুন জমি তো আরও পরের কথা। :-P :-P :-P

পোস্ট বড় হয়ে গেলো বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৫

ভোরের সূর্য বলেছেন: জমি কিনে বাড়ী করে সেটা ভাড়া দেয়াটা বোকামী আমার কাছে কারন গুলশানে যেই বাড়ীটি তৈরি করতে লাগবে ৫০ লাখ সেটা সাভারেও একই লাগবে কারণ গুলশানেও ১হাজার ইটের দাম ৬হাজার টাকা আবার সাভারেও ৬হাজার টাকা ঠিক একইভাবে সিমেন্টের বস্টার দামও এক। কিন্তু ৫০ লাখ টাকা খরচ করে গুলশানে যে ভাড়া পাওয়া যাবে সে একই ভাড়া সাভারে পাওয়া যাবেনা। আর ধরলাম ৫০/৬০ লাখ টাকা খরচ করে সাভারে বাড়ী বানালেন আর জমির দাম ১০ লাখ। ধরুন ৬০/৭০ লাখ টাকা খরচ হল কিন্তু আপনি সেই রিটার্ন পাবেন? মানে মিনিমাম ৬০/৭০হাজার টাকা ভাড়া পাবেন? ব্যাংকে রাখলেও কিন্তু মূল টাকাটাও থাকবে আবার মাসে মাসে সুদ বলেন আরা ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা বলেন সেটাও পাবেন। আর যেহেতু আপনি বাইরে থাকবেন এগুলো দেখাশুনা করবে কে? আর আপনিতো পারিবারিক জমি বা ফ্লাট পাবেন। সন্তান কে যদি শেকড়ের কাছে নিতে চান তাহলে বরং একদম গ্রামে কিছু জমি কিনুন।পুকুর রাখুন।ফলের গাছ করুন।আপনার সন্তান কিংবা আপনি নিজে মাঝে মাঝে বেড়াতে এলেন।কিন্তু যদি নিজে না থাকেন তাহলে জমি কিনে বাড়ী বানিয়ে ভাড়া দেয়া আমার কাছে ওয়াইজ ডিসিশন না। তবে এটা আমার মত।

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৬

খেলাঘর বলেছেন:


মানুষের জমি দখল করে, তা পুনরায় ধনীদের কাছে বিক্রয় অপরাধের সমান।

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: @অপূর্ণ রায়হান

http://www.somewhereinblog.net/blog/rifat/29989590
এই পোষ্টের সূত্র ধরে । আমার ব্লগে একটু কমেন্ট করে গেলে উপকৃত হব ।
আমি আমাদের বাড়ি তৈরী কাজে হাত দিয়েছি সবাই মিলে অর্থাত পরিবার মিলে । ৬০ লক্ষটাকা টার্গেট এ ৫+ বাড়ি হবে মানে গতানুগতিক । টার্গেট পুরো বাড়ি তৈরী না । শুধু ছাদ আর সিড়ি দিয়ে উপরের ছাদের পানির আধার পর্যন্ত যাওয়া । পরে যার যার ফ্ল্যাট বুঝে বুঝে অর্থ ঢালবে ।
বাড়ির জায়গা আনুমানিক ২.২৫ শতক আর ছেড়ে হয়ত ১১০০ স্কয়ারফিট এর উপর ফ্ল্যাট বানাব । তাই দেখেছিলাম পুরানো প্ল্যান এ । নতুন ডিজাইন বা কিভাবে করা হবে জানি না । তবে ১১০০ স্কায়ার ফিট এর মধ্যে ফ্ল্যাট হবে জানি ।
৫ ভাই ভাইবোন ৫ তালা পাবে । আর নীচ তালায় ৩ টি রুম হবে। ২টি টয়লেট । আর গাড়ি ১ টি রাখার জায়গা ।
এখন ৩ তালা বোন নিয়েছে ফিক্সড। এরপর বাকি যেকোন তালা আমাকে ছোট ছেলে হিসেবে পছন্দ করার সুযোগ দিয়েছে ।

এখন আমার কোন তালা পছন্দ করা উচিত ? ভাড়ার দেওয়ার খাতিরে । যেহেতু আমি সেখানে স্থায়ী থাকব না ।

নীচ তালা বা ১ তালা করা যাবে না । ২তালা,৪তালা,৫তালা,৬ তালা থেকে যে কোন একটি ।
শুনলাম ভাড়া বৃদ্ধি পায় যত উপরের তালায় উঠে! আমি জানতাম ২ তালা সুবিধাজনক কিন্তু পরিচিত একজন বলল চুরির সম্ভাবনা থাকে, আর গাড়ির ধূলা, কিন্তু আমাদের রাস্তা ডেড এন্ড থাকায় গাড়ি আসবে না অহরহ বা যাতায়াত হবেই না, তবে মশার উতপাত অনেক তাই যত উপরে উঠা যায় মশার উতপাত কমে ! এসব খাতিরে ২ তালা ন নেওয়াই শ্রেয় । ৪ তালা পরামর্শ পেলাম ।

উল্লেখ্য জায়গাটি স্বনামধান্য কোথাও নয় । ঢাকার কুড়িল এর ভিতর এর দিকে । প্রধান সড়ক থেকে ভিতরে গাড়ি ঢোকার পথ আছে তবে সরু । আর বাসাটির সাথের রাস্তা বড় তবে এটাই ডেড এন্ড । মানে আমাদের বাড়ির পর আর রাস্তা বের হয় নাই ।

আর এলাকার ভিতর কোন ব্যাংক বুথ নাই তবে অদূরে সড়কের পাশেই অনেক আছে, কোন সরকারী অফিস নাই, কাছেই মসজিদ আছে । বাজার একটু দূরে । আর বাসার আসে পাশে কোন দোকান নাই, পুরাই আবাসিক, তবে মসজিদের পাশ থেকে দোকান শুরু হয়েছে । বলাই হয়েছে এটি রাস্তার ডেড এন্ড এর পাশের জায়গা ।

বললাম বিস্তারিত একটু ধারনা পান ভাড়া সংক্রান্ত কারণ বাড়িটির প্ল্যাট মোতাবেক ১ ইউনিটি এ করতে চাচ্ছে তাতে ২টি বড় রুম ১টি ছোট রুম আর ১টি ড্রয়িং রুম ১টি ডাইনিং রুম রান্না ঘর, ২ টি টয়লেট থাকবে, ১ টি বড় বাড়ান্দা,১টি ছোট বারান্দা । এই হল ১ ইউনিট ফ্ল্যাট ।

আর প্রবেশ মুখ দক্ষিনমুখী । বাড়ান্দাও দক্ষিনমুখী আর বাকি দিকে কোন বাড়ান্দা থাকবে না । আর সিড়ি থাকবে কোনার উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিক একেবারে কর্ণারে । লিফট নাই কোন ।

এখন সেখান থেকে ১১০০ স্কায়ার ফিট থেকে ২ ইউনিট করা যাবে কি ?
করলে ডিজাইনটা কি রকম হতে পারে । কারন সিড়ি একেবারে কর্ণারে থাকবে

কারন নিজ তালার ডিজাইনটা আমি নিজে পছন্দ করতে চাচ্ছি । ভাড়ার ব্যাপারটাই মূখ্য

জায়গাটা আপাতত আবাসিক ই বলা চলে, অদূরে ২টা কি ৩ গার্মেন্টস আছে এলাকার সীমানায় আর প্রধান সড়করের কাছে অনেক গুলিই আছে । আর ব্যাংক সহ অনেক প্রতিষ্ঠান আছেই ।

এখন কি রকম মানুষ বা পরিবারকে ভাড়া দেওয়া যাবে এখন একটা প্রশ্ন বা কেই ই বা ভাড়ি নিবে ।
এলাকায় গ্যাসের সমস্যা আছে । পানির সমস্যা তেমন নাই, পাম্প বসানো হয়েছে এলাকাবাসীর অর্থায়নে । চুরি ডাকাতি তো বাংলাদেশের সর্বত্রই তবে অহরহ হয় না, বলা যায় মোটামোটি সিকিউরিটি আছে ।
আর বিদ্যুত এর লোড শেডিং তেমন হয় না আবার হয়ও । বেসরকারী আবাসিক এলাকা যেমন ।
তবে আমি আইপিএস ব্যবস্থা করে দিতে পারি ।

আমার কাছে লাগছে এই জায়গায় ১১০০ স্কয়ার ফিট ভাড়া নেবার মত মধ্যবিত্ত নাই তারা ভাল এলাকায় নিবে । আর তাদের জন্য গাড়ি গলি ঘুড়ে কষ্ট করে গ্যারেজে ঢুকানোর কারন দেখছি না ।
রিকশায় প্রধান সড়কে যেতে ৭-১০ মিনিট লাগে ।

এখন থেকে লিচু বাগান বা গুলশান ২, এয়াপোর্ট রোড, বাড্ডা, কুড়িল সব দিকেই যাওয়া যায় । সাদ মুসা সেন্টারে যেতে ১৫ মিনিট আর বসুন্ধরা যেতে ১০ মিনিট লাগে রিকশায় । মোট কথা আবাসিক এলাকার পেটের মধ্যে জায়গাটা ।

২ ইউনিট করার ইচ্ছা আছে । কারন ভাল বিনিয়োগ হবে ।

আরেকটা হল আমাদের ইঞ্জেনিয়ার সাহেব বলল গ্রাউন্ড ফ্লোর আর ৬ তালায় বীম দিবে । প্রত্যেক তলায় বীম দিবে না !
আমি বাড়ির ক্ষেত্রে প্রত্যেক তলায় বীম না দিলেও চলে তাই বললেন, ২-৫তলা পর্যন্ত বেশী রড দিতে পরামর্শ দিলেন
বীম কি প্রত্যেক তলায় দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় !
?

সয়েল টেস্ট হবে, এরপর দেখবে পাইলিং লাগে কিনা ।


আপনার পরামর্শের অপেক্ষায় আছি,যেহেতু আপনি বাড়ি তৈরী করেছেন , অভিজ্ঞতাও আছে ।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা , সংকলনের কাজ করছি । কিছুটা ব্যাস্ত । তবে আপনার উত্তর সম্ভব হলে আজকেই দিবো , কারণ বিস্তারিত লিখতে হবে । আর একটা উপকার করতে পারবেন ? বললেন বাড়ির সিঁড়ি একপাশে ! চিন্তার বিষয় । আপনি কি মূল ফ্লোর প্লানের একটা ছবি আপলোড করতে পারবেন ? তাহলে একটা ভালো ধারনা পাওয়া যাবে ।পুরো বিষয়টাই পরিমাপের । আর কোন দিকে কতো ফিট লম্বা ও চওড়া সেটাও জানা প্রয়োজন ।
অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা আমার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়ার জন্য । আপনি এই দুইটি ইনফো আমাকে দেন , আমি উত্তর দিচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব ভ্রাতা ।
ভালো থাকবেন :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: 1100sqf প্রিতি তালায় ১ ইউনিট হবে । 1050 - 1100 sqf আনুমানিক এর ভিতর

উত্তর north -32 feet
south দক্ষিণ -31 feet
west পশ্চিম -39 feet
east পূর্ব-44 feet

45 years before ... আগের মাপ জোক আর কি .. আব্বা তাই বলল (জানার জন্য বললাম, একটু কম বেশী হতে পারে ।

12 ফিট রাস্তা সামনে দক্ষিন দিক সীমানা ঘেষে... (জানার জন্য বললাম আর কি )
5 feet দক্ষিণ দিকে ছেড়ে গ্রাউন্ড ফ্লোর এ বাড়ি করতে হবে । পরে দক্ষিন দিকে বাম বড় বারান্দা তারপর ফাকা তারপর ছোট বারান্দা হবে যা প্রতি তালার এর জন্য বরাদ্দ , তাই ৫ ফিট ছেড়ে দেওয়া থেকে পুরো ৫ ফিট ৪ ফিট বাড়ান্দা হিসেবে ব্যবহার করা হবে । যেহেতু আমাদের সীমানার সাথে রাস্তা ডেড এন্ড । আর কোন গাড়ি তো দূরের থাক রিক্সা যাবে না তাই উপরের দিকে মানে ২ তালা ছেড়ে দেওয়া জায়গা ক্যাপচার করা সম্ভব ।

তবে 2-3 feet ছাড়া হবে উত্তর,পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দেয়ালে রং করতে হলে বা বৃষ্টির পানিতে যাতে প্রতিবেশীর সমস্যা না হয় ।

বাড়ির সীমানায় কোন বিল্ডিং নাই আপাতত , তবে ৫ বছর বা ১০ বছর পরে হতে পারে বা নাও হতে পারে এগুলির সম্পত্তির ক্যাচাল আছে । তবে অনতি দূরে বিল্ডিং গজাচ্ছে অনেক । (জানার জন্য বললাম)

আমাদের জায়গার সীমানায় (একেবারে ঘেষে) আামাদের দিকে ডাব গাছ, সুপাড়ি গাছ আছে এগুলি মনে হয় কেটে ফেলতে হবে :(
গাছ বেয়ে চুরি ডাকাতির ভয় আছে, নয়তো শিকড় সমস্যাও করতে পারে ।

আসলে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব পরিচিত কিন্তু বড় ভাই বলল যে উনিতো ডিপলোমা ইঞ্জিনিয়ার তাই কতটা ভরসা রাখা যায় ।
তবে বোন আর আমার মত হল বি এস সি হতে হবে কথা নাই, কিন্তু আত্মীয়, অভিজ্ঞ হিসেবে ক্ষেত্র বিশেষ এ গতানুগতিক সুবিধা পেতে পারি ।

বোনের প্লান টা আবার বলছি । ৩ তালায়
১ ইউনিটি এ করতে চাচ্ছে তাতে ২টি বড় রুম ১টি ছোট রুম আর ১টি ড্রয়িং রুম ১টি ডাইনিং রুম রান্না ঘর, ২ টি/৩ টয়লেট থাকবে, ১ টি বড় বাড়ান্দা,১টি ছোট বারান্দা । এই হল ১ ইউনিট ফ্ল্যাট ।

১ ইউনিট যেটা চাচ্ছে আর সেটাই তিনি করবেন .... দক্ষিন দিকে ২ টা মাস্টার বেড রুম । ১টা টয়লেট এটাচ(রুম এর সামনে, বারান্দার দিকে নয়) থাকবে দক্ষিন দিকের বামদিকের রুমে আর বারান্দা বড় থাকবে । তবে ডানদিকের মাস্টারবেডের বারান্দা ছোট থাকবে ।
(রাস্তার পাশের রুম দিয়ে ম্যাপ শুরু করলাম বুঝানোর জন্য)
...... পুরোটা আমারও মনে নাই । ১ ইউনিট এর প্ল্যান পেলে ভাল হত ।
আগে বলেছিলাম ২টা, এখন শুনলাম টয়লেট ৩টা! পরিষ্কার নয় ।
তবে আমার ইচ্ছা যখন ২ ইউনিট তখন ২ বা ৩ হলেও চলে ।

৩ ও ৪ তালা ১ ইউনিট এ হবে । ২ তালা আমি নিব সম্ভবত । জানি না । কারণ ইচ্ছাটা আমার উপর । একজন বলল উপরে উঠলে খরচ বাড়ে মানে নির্মাণ খরচ । আমাকে নিলে ৪ তালাই বা ২ তালা ।


%%%%%%%%%%%%%

আমার টার্গেট : ভাড়া দেবার জন্য ফ্ল্যাট তবে ব্লিডিং মজবুত গাথুনি দেওয়া হবে । আর ভাড়া বলে সস্তা টাইলস বা ফ্ল্যাটের গোছানো খরচ নিম্নমানের হবে তা নয়, গতানুগতিক হাড়ে মধ্যবিত্তের খরচ আর কি । রাজকীয় খরচ দরকার নাই ।

আমার বন্ধু বলল সম্ভব হলে ২ ইউনিট এ ছোট ছোট বেডরুম ও ড্রয়িং/ডাইনিং বা কম্বাইন্ড(তুলনায় বড়) রুমের টয়লেট ও কিচেন এর ১ ইউনিট আর ২ রুমের বা ৩ রুম নিয়ে ২টি(১টি এটাচ হবে যদি ২ টয়লেট হয়) বা ১টি টয়লেট দিয়ে + কিচেন অবশ্যই ।

%%%%%%%%%%%%

বড় ভাই বলল ইঞ্জিনিয়ার সাহেব বলেছেন ২ ইউনিট সম্ভব ই না । জায়গা অনেক ছোট, হলেও টাফ হবে কারণ ১ ইউনিট এর বিল্ডিং ডিজাইন টয়লেট এ ঠিক রেখে আগাতে হবে তাই ২ ইউনিট সমস্যা হবে টয়লেট নিয়েই আর সিড়ি তো আছেই।

সিড়ি থাকবে কোনার উত্তরে বা উত্তর পশ্চিম দিকে, একেবারে কর্ণারে । যাতে ১ ইউনিট আউটপুট পায় ! :( আমার দুইনিট কিভাবে হবে জানি না ।


গ্রাউন্ড ফ্লোর এর একটা ডিজাইন পেলে ভাল হয় । ২ রুম বা ৩ রুম +টয়লেট ও কিচেন । দক্ষিন দিকে দাড়োয়ানের রুম,কিচেন,টয়লেট।
১টা গাড়ি রাখার মত জায়গা যাতে কোরবানী দেওয়া যায় ।


০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৮

রিফাত হোসেন বলেছেন:

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০২

ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: কৃষিবিদ গ্রুপে খোজ নেন। আমি সমস্ত টাকা পরিষোধের পূরবেই জমির কাগজ বুজে পেয়েছি।জমির কাগজ এবং প্বট বুজিয়ে দিয়েছে দুই বছর আগে,এখনও আমার কাছে তারা কিছু টাকা পায়।

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৫+ বাড়ি । তারমানে ছয় তলা বাড়ি ? ধরে নেই ছয় তলা ।
যদি ৬০ লাখ টাকায় ছাদ , সিঁড়ি করার টার্গেট থাকে , হিসাবটা ভালো । এতেই হয়ে যাওয়ার কথা । ১১০০ স্কয়ার ফিটের এক এক তলা পিলার ও ছাদ , সেন্টারিং , কন্ট্রাক্টর/মিস্ত্রী খরচ , ঢালাই ইত্যাদি নিয়ে আনুমানিক ৬ থেকে ৭ লাখ ধরে রাখতে পারেন । মাটির নিচে বেস , গ্রেট বিম , রিজার্ভ ট্যাঙ্কি নিয়ে দুই ছাদের খরচ ধরে রাখেন ।
এর কমেও হয়ে যেতে পারে । তবে বেশী ধরে রাখাই উত্তম ।
দেখেন , কোন তলা নেওয়া উচিৎ , প্রশ্নটার উত্তর আমি দিতে কিছুটা বিব্রত । আপনার আরও বড় ভাইবোন আছেন । সম্মানের খাতিরে আপনি তাদের আগে নিতে দিবেন নাকি স্নেহের খাতিরে তারা আপনাকে আগে নিতে দিবে সেটা আপনাদের মধ্যকার বিষয় । জায়গা জমি সহায় সম্পত্তির ক্ষেত্রগুলো খুব খারাপ । অনেক সম্পর্কের করুন পরিনতি হয় । নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ।
তবে হ্যাঁ , ভাড়ার খাতিরে বা আর্থিক বিবেচনায় বললে ৩ তলা তো বাদ । ওটা বেস্ট ছিল । লিফট যেহেতু নেই সেহেতু উপরের দিকে গেলে ভাড়া বাড়বে না কমবে । উপরের দিকে ভাড়া বাড়ে , এই তথ্যটি যিনি আপনাকে দিয়েছেন , তিনি হয় আপনাকে বিভ্রান্ত করছেন না হয় জানেনই না এই সম্পর্কে কিছুই । লিফট থাকলে ভিন্ন কথা ।
ভাড়া বেশী পাবেন ২য় তলায় । জানালায় বাইরের দিকে এক্সট্রা একটা গ্রিল দিয়ে নিলে চুরির ভয় থাকছে না আর । মশার উৎপাত কোন বিবেচ্য বিষয় না বলেই মনে করি ।
ঢাকার বাড়িতে আসলে উত্তর দক্ষিণ বলে কিছু নেই । যেদিকে রাস্তা সেদিকেই মুখ দিতে হবে ।
সিঁড়ি কর্নারে থাকেলে একটু সমস্যা বটেই । আমার খালার একটা বাড়ি এমন ছিল । ১৮০০ স্কয়ার ফিট । ছোট তিনটা ইউনিট করেছি । ফ্ল্যাট A আর ফ্ল্যাট B এর মেইন ডোর সিঁড়ির সাথেই কিন্তু ফ্ল্যাট C তে যেতে চাইলে বি এর সামনের গলি দিয়ে যেতে হয় । ছোট ফ্ল্যাট করার একটাই কারণ , ভাড়া বেশী চাহিদা বেশী । আমার চাচাশ্বশুর আলিশান ২৫০০ স্কয়ার ফিটের ৮ তলা করে বসে আছেন প্রায় এক বছর । অর্ধেক এখনো ভাড়া হয় নি । লাস্ট উইকে বাধ্য হয়ে লিফট কিনে এনেছেন । ভাড়া ২৫০০০ টাকা মাসে ! আর খালা তিন ইউনিট থেকে এক এক ফ্লোরে ১০০০০ , ৯০০০ ও ৯০০০ মোট ২৮০০০ টাকা ভাড়া পাচ্ছেন !
১১০০ স্কয়ার ফিটে চাইলে অবশ্যই ২ ইউনিট হবে । আপনি ২য় তলা নিলে আপনার বাথরুমের পানি ও সুয়ারেজ পাইপ ও গ্যাসের লাইন খুব অল্প খরচেই প্রয়োজনে মূল লাইন থেকে আলাদাভাবেও করতে পারবেন ! কিন্তু চার তলা হলে খরচটা বাড়বে ! ম্যাক্সিমাম বাথরুম রান্নাঘরের সব ফিটিংস ও মিস্ত্রী খরচ নিয়ে হাজার পঞ্চাশ যাবে । আর বললেন আপনার বনের ইউনিতে নাকি ৩ টা বাথরুম ! তাহলে মূল ডিজাইনটা ফলো করে আপনার ছোট দুই ইউনিটের ২ টা বাথরুম ( এতো ছোট ইউনিটে ইউনিট প্রতি ১ টির বেশী বাথরুম অপ্রয়োজনীয় বলেই মনে করি ) লাইনাপ করা খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা না । কিন্তু মূল ফ্লোর প্ল্যান / ডিজাইনটা প্রয়োজন । আপনাদের ইঞ্জিনয়ারের ব্যাপারে জানি না , বেশীরভাগ ইঞ্জিনয়ার ক অক্ষর গো মাংস , ওদের চেয়ে মিস্ত্রীরা ভালো বুঝে ।
আমার মতে প্রতি তলায় বিম দেওয়া উচিৎ । বাধ্যতামূলক অবশ্য না । মিষ্টি ও ইঞ্জিনিয়ার দিতে চাইবে না , কারণ এতে ওদের ভ্যাজাল বাড়ে । ওরা যেটা চাচ্ছে , ফ্ল্যাট ছাদ , বিম ছাদের ভিতরেই থাকে , কনসোল বিম বলে । কিন্তু এটার জোড় , ঝুলানো বিমের চেয়ে অনেক কম হয় । বলবে , বিল্ডিং তো আর ভেঙে যায় না ! না যায় না । কিন্তু যুতসইও হয় না । মনে রাখবেন , ইঞ্জিনিয়ার , মিস্ত্রী ও কনট্রাক্টরের সাথে একটা গোপন সম্পর্ক থাকে । নিজে তদারকি না করতে পারলে অথবা বুঝতে না পারলে খুব অসুবিধা হবে ।
আর সিলিঙে তো আর জিপ্সাম লাগাবেন না ! যেহেতু ছোট দুই ইউনিট ! সুতরাং সিলিঙে যদি বিম দৃশ্যমান হয় , সমস্যা কি !

( দ্বিতীয় উত্তর টা দিচ্ছি একটু পরে )

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যের জন্য । অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার উত্তর গুলি ভেবে চিন্তে দিয়েছেন ।

ইঞ্জিনিয়ার হল দুলাভাই এরই . বড় বোনের জামাই । তাই বিশ্বাস করছি আর কি ।
বড় ভাই চাচ্ছিলো প্রাইভেট কাউকে দিতে ।

দূর থেকে এই বিষয়ে মতামত দেওয়া বা নেওয়া কঠিন । তারা কোন মতেই প্ল্যান মোতাবেক রাজী হচ্ছে না । তারা তাদের চিন্তা করছে । সুতরাং আমারও তাই করতে হবে ।

সত্যি কার অর্থে মূল ফ্লোর প্ল্যান বলে কিছুই ফিক্সড হয় নাই , কয়েকদিন হল সয়েল টেস্ট করাচ্ছে শুনলাম । রিপোর্ট আসার সাথে সাথেই করবে ।

কয়েকটি ডিজাইন করেছিলাম এ থেকে ১ ইউনিট পছন্দ করেছিল ।
তবে রাজউক এর একটা প্ল্যান আছে ওইটাতে ২ ইউনিট ই শো করা ।

১৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ** কেমন ভাড়াটিয়া দিবেন বলেছেন । এটা আসলে খুব ঝামেলার ব্যাপার । দিতে দিতেই শিখবেন । তবে চাকুরীজীবী , ছোট ব্যাবসায়ি এদের দেওয়াই উত্তম । ফ্যামিলি অবশ্যই । আপনার বাড়ির কন্ডিশন অনুযায়ী ব্যাচেলর দিতে পারবেন বলে মনে হয় না ।
** ভাড়া আপনার এলাকার স্থানীয় রেট কেমন তা বলতে পারছি না । তবে বিল বাদে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার হতে পারে এক এক ইউনিটে । দুই ইউনিট মিলে ১৬০০০ থেকে ১৮০০০ । নির্ভর করে আপনার এলাকার বর্তমান সমসাময়িক বাজার দরের উপরে ।
** বাড়ি যেহেতু ডেড এন্ডে , গাড়ির হর্ন ও ধুলোবালি কোন বিবেচ্য বিষয় নয় ।
** বিমের ব্যাপারটা আবার বলি । বিম ছাড়া তো আর ছাদ হবে না । ওরা দিতে চাচ্ছে কনসোল বিম । এতে ছাদের খরচ কিন্তু খুব একটা কমে না । যেমন ধরেন ঝুলানো বিলে ছাদের ঢালাই ৫ ইঞ্চি দিলেই চলে । আর কনসোল বীমে সাড়ে ৬ / ৭ ইঞ্চির নিচে দিলে হবে না । খরচ ঐ যেই লাউ সেই কদু ।
** সীমানা থেকে কিছুটা ছেড়ে করাই ভালো । সামনের দিকে সমস্যা নাই । বাকি তিন দিকে ২ ফিট ছাড়লেই যথেষ্ট মনে করি ।
** উপরের দিকে নির্মাণ খরচ বাড়ে । কিন্তু ছাদগুলো তো সব এক সাথেই দিবেন । আলাদা খরচ নেই !
ইট টেনে উঠানো আর বালু টেনে উঠানোতে আর কয় টাকা যাবে ! তবে আগের মন্তব্যে ২য় তলা সাজেস্ট করেছি ।
** নির্মাণের ব্যাপারে পিলারের দিকে অবশ্যই জোড় দিবেন । ইঞ্জিনিয়ার যদি বলে বাইরের দিকের পিলারে ৮ টা রড দিতে , আপনারা ১০ টা দিবেন । পিলার প্রতি ১/২ টা রড বাড়লে খরচ খুব একটা বাড়বে না । সম্ভবত ১১ টা পিলার পরবে আপনাদের । সেক্ষেত্রে ১০ টা করে রড বাইরের পিলারে দিলে আর সিঁড়ির পিলারে ও মাঝের পিলারে ১৪ টা করে দিলেই ভালো হবে । ১৬ মিলি সাজেস্ট করবে সম্ভবত ইঞ্জিনিয়ার । আমি ২০ মিলির সাজেস্ট করবো । বিমের ক্ষেত্রেও একই সাজেশন । বিমের রিং যেন ৬ ইঞ্চির বেশী গ্যাপ না থাকে । বাড়ি করলে একবারই , ভালো করে । ১০ বছর পরে পরে তো আর ভেঙে নতুন করে বাড়ি করবেন না ! করলে ভালো মতোই , টাকা লাখ দশেক বেশী লাগলেও , পিলার ও ছাদে কোন গেফেলতি নয় । এমনভাবে করবেন যেন ৬০/৭০ বছরে কিছু না হয় । আর অবশ্যই পিলার অবশ্যই স্টোন চিপস ও মোটা বালু / সেলেকশন বালু / লাল বালু ও সাধারণ সাদা বালুর মিশ্রনে করবেন ।
ছাদের ঢালাইর ক্ষেত্রে এগুলোর সাথে ১ নাম্বার ‘পিকেট’ ইটের খোয়া মিক্স করে দিতে পারেন । খরচ কমবে ।
** আপনার ছোট দুইটা ইউনিটের সব মিলে চারটা বাথরুম রান্নাঘরের মধ্যমানের ওয়াল টাইলস ৩২ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে স্কয়ার ফিট পাবেন , আর ফ্লোর একটু মজবুতটা ৫৬ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে পাবেন । অনেক ডিজাইন অনেক কোম্পানি আছে । মিস্ত্রী খরচ সহ এই চারটায় ( রান্নাঘর ও বাথরুম এক একটি ফ্ল্যাটের সাইজ অনুযায়ী ২৫ থেকে ৩০ স্কয়ার ফিটের এবশি হবে না ) হাজার ৫০ এ দিব্যি হয়ে যাওয়ার কথা ।
** ২ ইউনিট অবশ্যই করা সম্ভব । সিঁড়ি উত্তর পশ্চিম কোনে থাকলেও খুব সম্ভব । কিন্তু মূল ফ্লোর প্ল্যান না পেলে ডিজাইন দেওয়া মুশকিল । কারণ বারান্দা ও বাথরুম ঝামেলার কারণ হতে পারে । এটার আলাইনমেন্ট থাকতে হবে । আপনি ওটা দিতে পারলে আমি রাফ একটা স্কেচ করে দিতে পারবো আশা রাখি ।
** পিলার , সিঁড়ি ও রিজার্ভ ট্যাঙ্কির প্ল্যান না জেনে গ্রাউন্ড ফ্লোরের ডিজাইন সাজেস্ট করা কষ্টকর ভ্রাতা ।
অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । পুরোটা পড়ে বুঝতে হবে মন্তব্য টা । :) অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২৭

ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:বেশীরভাগ ইঞ্জিনয়ার ক অক্ষর গো মাংস,
নিজেকে ইনঞ্জিনিয়ার মনে করা শুরূ করেছেন নাকি। সব কিছু যদি এত সহজ হতো তাহলে আপনার মতো রামছাগলরাই ইনঞ্জিনিয়ার হতো। আগে ইনঞ্জিনিয়ার বানান শিখেন তারপরে ইনঞ্জিনিয়ারিং পরামরশ দিয়েন। একজন ভুল পরামরশ দিয়ে তার বাড়িটা বিপদজনক্করছেন কেন?আপনি কলাম ও ছাদে যেভাবে রড দেওয়ার কথা বলছেন সে ভাবে দেওয়া উচিৎ না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

রিফাত হোসেন বলেছেন: !
বুঝলাম না কিছুই।
আপনার কিছু বলার থাকলে খুলে বলুন।

২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৬

ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: অযথা বেশী রড দিবেন না তাতে বিল্ডিং এর ঝুকি তো কমেই না বরং বাড়ে।বিল্ডিং নিরমান কৌশল অল্প কথায় দেওয়া সম্ভব নয়।আপনি একজন অভিজ্ঞ বিএসসি প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করুন অথবা “নিজের বাড়ি নিজে করুন ” নামক প্রশিক্ষন টি করুন।এটি বাংলাদেশ বিল্ডিং রিসাচ ইন্সটিটিউট করিয়ে থাকে।এতে আপনার বিল্ডিং নিরমান সম্পরকিত অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

২২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫১

ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের দূরঘটনার কথা মনে আছে। এই কারনেই ঘটে ছিল।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি করতে পারব না। কারন আমি ঢাকাতে নাই।

কষ্ট করে একটু বিস্তারিত বলুন। রায়হান সাহেব যা বলেছেন মানে বাড়তি রডের কথা তাতো আমাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তাই ই বলল। বলা যায় কাছাকাছি তথ্য।
আপনি এখানে ভিন্ন মত দিচ্ছেন।

বাংলাদেশের আদলে নির্মান পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত বললে খুশী হব।

২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

সোহানী বলেছেন: @ অপূর্ণ রায়হান... একটা পরামর্শ সাইট খুলেন B:-/ B:-/ B:-/ :-B :-B :-B...... প্রতি পরামর্শ ১০০০ টাকা..... ফি গুনার দায়িত্ব আমার।

আজিজ ভাই আর মায়াবী ঘাতক এর সাথে সহমত। আমার কিছু আত্বীয় বেস্টওয়েতে প্লট কিনেছিল...... কি যেন একটা ঝামেলা হয়ে এখন জমি ডেভলাপিং বন্ধ আছে। এ ধরনের ডেভলাপিং অর্গানেজাশান থেকে জমি কেনা কি বুদ্ধিমানের কাজ, যেখানে তারা ৫% জমি কিনে লাল-নীল দাগের ম্যাপ দেখিয়ে ১০০% সেল করে দেয়। জমি পাবেন নাকি পাবেন না তার দায়িত্বে তারা নেই।

২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @ঘানার রাজপুত্র আপনার জ্ঞাতার্থে , আমার বাবা বাংলাদেশ মিলিটারি ইঞ্জিরিয়াং সার্ভিসেস এর একজন প্রকৌশল কর্মকর্তা । সঙ্গত কারনেই বাবার সংগ্রহে থাকা এই বিষয়ক অনেক বই আমার পড়া আছে । না আমি ইঞ্জিনিয়ার নই । আর বানান ! হাহাহাহা আচ্ছা engineer ! আপনি যা লিখেছেন সেটা কি হল - ইন ঞ্জিনিয়ার !! ও ! আর আগের কমেন্টেও বলেছি আমার বড় মামা এবং চাচাশশুর দুই জনেরই আবাসন ব্যাবসা আছে । আপনি সম্ভবত ইন ঞ্জিনিয়ার । দুঃখিত আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বলি নি । আর কষ্ট পেয়ে থাকলে সরি ভাই । তবে হ্যাঁ , আমি খোলাসা করেই বলি , আমার চাচা শুশুরের প্রোজেক্টগুলোতে আমি নিরিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে যতটুকু অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি , বেশিরভাগই নব্য ইঞ্জিনিয়ার ক অক্ষর গো মাংস । ওদের চেয়ে মিস্ত্রী ভালো বুঝেন । অভিজ্ঞতা অনেক বড় একটা ব্যাপার । আর যিনি অভিজ্ঞ তিনি অবশ্যই ভালো একজন প্রকৌশলী ।

রিফাত ভ্রাতার ছয় তলা বাড়ির জন্য বাইরের দিকের পিলারে ১০ টি রড ও সিঁড়ির + মাঝের পিলারের জন্য ১৪ টি রড সাজেস্ট করেছি , ১০ মিলি রড । আপনি আমার এই তথ্যকে যখন ভুল ও বিপদজনক বলছেন , আপনি এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না । ভাইডি , আমার বাপ চাচা মামা খালা আর আত্মীয় স্বজনদের ( আমরা স্থানীয় ) ঢাকায় কমপক্ষে অর্ধশত বিল্ডিং আছে । বেশির ভাগী ৬ তলার উপরে ! কাকে কি শিক্ষাচ্ছেন ?

@রিফাত ভ্রাতা ওনাদের প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেও একই বিষয় জেনেছেন বলে বলছেন ! সেখানে কি আপনি নিজেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন না ?


যাই হোক , @রিফাত ভ্রাতা , আপনি আপনার আত্মীয় যে ইঞ্জিনিয়ারের কথা বললেন তার সাথেই পরামর্শ করেন । আর আমি যেটা বললেন সেই ব্যাপারে উনি কি বলেন , তার মতামতই গ্রহণ করুন ।

শুভকামনা রইল :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: সরাসরি আমি কথা বলি নাই বাড়ির নকশাকারীর সাথে, আর রডের ক্ষেত্রে বেশী ব্যবহার করার বিষয়ে আমি আপনার ও তার উভয়েরই এক কথাই পেলাম । তাই বললাম আর কি কাছাকাছি বক্তব্য ।

বাড়তি তো কিছুই বলি নাই । আর ঐ ব্যক্তি নব্য নহে বয়সে বড় অনেক তবে ডিপ্লোমাটাই মাথায় চিন্তায় ফেলে আর সেকেলে ধ্যান ধারনা বলে ।

যেহেতু তাকে প্রশ্ন করার জন্য বা কোন বিষয়ে দ্বিমত পোষন করার ক্ষেত্রে এই বিষয়ে বিষদ জ্ঞান থাকা উচিত যা আমার নাই । আর আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন লাইনের চাকুরী করি , পেশা গত কারনে তো নয়ই বরং অন্য কোন ভাবেই নির্মান বিষয়ক কোন অভিজ্ঞতাই নাই ।

তাই এই ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞাসা । আমাদের প্রকৌশলীর যা বলে তাই যেন এক বাক্যে মেনে না নিতে হয় তাই আপনার দারস্থ হলাম ।

যেমন. বীমের ব্যাপারে । আমি চাচ্ছি প্রত্যেক তালায় বীমের জন্য কিন্তু সে অভিমত দিচ্ছে অন্যভাবে খরচ বাচানোর জন্য ।

যেহেতু আমি সেখানে নাই তাই সে যা বলবে আমার পরিবার বাইবেল এর বাণী মনে করেই এগিয়ে যেতে পারে । মানুষের নিজের কিছু বুঝ আছে, যতই বলা হোক এত বুঝা উচিত না । আমি বলব অনেক কষ্ট করে পয়সা জমিয়া , অনেক ফ্যাসাদ পাড়ি দিয়ে, বাড়ি ভেঙে করা হচ্ছে নতুন করে । তাই আমি বিন্দু মাত্র শূন্যস্থান চাচ্ছি না ।

আর বাড়ি তৈরী করা কালে প্রকৌশলী যাই বলবে তাই করা হবে , তাই নিয়ম কিন্তু মজবুত প্রতিষ্ঠায় যে কেউ মতামত দিতে পারে ।

আপনি আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ভুল করেন নাই । বরং উপর করেছেন ।

ধন্যবাদ

২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: রিফাত ভ্রাতার ছয় তলা বাড়ির জন্য বাইরের দিকের পিলারে ১০ টি রড ও সিঁড়ির + মাঝের পিলারের জন্য ১৪ টি রড সাজেস্ট করেছি , ১০ মিলি রড ।
দুঃখিত , ২০ মিলি রড হবে ।

@ সোহানী , =p~ =p~ :P

২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @ঘানার রাজপুত্র , তা বীমে কতোটুকু পরে পরে রিং দিতে হয় বলেন তো শুনি ! বুঝা যাচ্ছে আপনি সেইরকম ইঞ্জিনিয়ার !!!!

আর ৬ তলা একটা বাড়ির ১৫ ফুট পিলার ব্যাবধানে বীমে কয়টা কতো মিলি রড দেওয়া উত্তম বলে মনে করেন ?

ছাদে বেশী রড দিতে বললাম কখন ? গড়পড়তা ছাদের ( বিম ছাড়া ) জন্য হাজার স্কয়ার ফিটের জন্য ১২০০ থেকে ১৪০০ কেজির বেশী রড দেওয়ার প্রয়োজন দেখি না । কনসোল বিম দিলে পরিমাণ আরও বাড়বে ।


আর , মুখের ভাষা ঠিক করেন । আপনি কেমন ইন ইঞ্জিনিয়ার তা আপনার ভাষাই প্রমাণ করছে ।

২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @ঘানার রাজপুত্র ৬ তলা একটা বাড়ির জন্য বাইরের পিলারে ১০ টি , ভিতরের পিলারে ও সিঁড়ি পিলারে ১৪ টি ২০ মিলি রড । বীমে ৬ ইঞ্চি পরে পরে রিং দেওয়া যখন বিপদজনক বলেছেন ! তখন আর কিছু বলার নাই । এই একটা লাইন দিয়েই আপনার ইনঞ্জিয়ারিং সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা পেয়ে গেলাম । ৮ তলার উপরে গেলে প্রত্যেকটা পিলার আর বিমের প্রান্তগুলোতে ৪ ইঞ্চি পরে পরেও রিং দেওয়া হয় জানেন ? আর আরও বহুতল হলে ক্রস রিং অথবা টানা চুড়ি ব্যাবহার করা হয় জানেন ? আর পিলারে ১ ইঞ্চি রড পর্যন্ত ব্যাবহার করা হয় । আপনার ব্লগে গেলাম , ইন ঞ্জিনিয়ার জাতীয় কোন কিছুই তো পেলাম না , এই বিষয়ে জাতিকে সচেতন করুন ( এই পোষ্টে যেভাবে করছেন , আমরা কিছু জানি , শিখি ) পোষ্টে দেন , আলোচনা করতে আসছি ! :)
মজার বিষয় কি জানেন , আপনাদের মতো এমন ইন ঞ্জিনিয়ার আমাদের সাইটগুলা থেকে কমপক্ষে ডজনখানেককে আমি নিজেই উত্তম মাধ্যম দিয়ে বিদায় করেছি । কেননা , আপনাদের মতো ইন ঞ্জিনিয়ার এর কারনেই একটা ফ্ল্যাটের ডিজাইন ৩ বার ভাঙতে হয় কমপক্ষে বিভিন্ন জায়গায় । আপনারা কাগজে ঠিকই মিলান , কিন্তু কাজে আর মিলে না !
আপনাদের মতো ইন ঞ্জিনিয়ার এর কারনেই বাড়ি দুই তলা হয়ে যাওয়ার পরে গ্রেট বিম ভাঙা লাগে ! সাইটে গিয়ে দেখি ডাবল গ্রেট বিম দিয়ে রাখা হয়েছে ! রাস্তা থেকে ৫ ফিটের বেশী উচ্চতা ! গাড়ি কেন ট্যাঙ্ক উঠাতেও কষ্ট হবে ! ( ট্যাঙ্কের কথাটা কথার কথা , আবার ইন ঞ্জিনিয়ার ভাবে সিরিয়াসলি নিয়ে নিবেন না ! )
আপনাদের মতো ইন ঞ্জিনিয়ার এর কারনেই রাঙা প্লাজা ধ্বসে পরে ।
আপনাদের মতো ইন ঞ্জিনিয়াররাই রডের পাইকারি আড়তদারদের সাথে যোগসাজশ করে ভুলভাল বুঝিয়ে পাইলিং এ ৩০ লাখ টাকা বেশী লাগায় !

আমি মন্তব্যে ঢালাওভাবে বলি নি সব ইঞ্জিনিয়ার ক অক্ষর গো মাংস বলেছি বেশির ভাগ / অভিজ্ঞতাহীন নব্য ইন ঞ্জিনিয়ার যেখানে আমার বাবা সেনাবাহিনীর একজন প্রকৌশলী বলেছি সেখানে এই বিষয়ে বিতর্ক নিতান্তই অবান্তর ।


আপনার জন্য একটাই কথা , জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাপের চেয়েও বড় । শুধু বই পত্রের দুই চার লাইন আর বাস্তব জগতের ইট কাঠ পাথর কংক্রিট এক নয় , অনেক কঠিন ! ঘা গুঁতা খেয়ে আহত নিহত হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা থাকে ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০০

রিফাত হোসেন বলেছেন: :) আপনার আব্বা কোন কোর এ ?

আমার আব্বা ছিলেন চিফ ই এম ই কোর , রাজশাহী বিভাগ ।

২৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৪০

ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: নির্মাণের ব্যাপারে পিলারের দিকে অবশ্যই জোড় দিবেন । ইঞ্জিনিয়ার যদি বলে বাইরের দিকের পিলারে ৮ টা রড দিতে , আপনারা ১০ টা দিবেন । পিলার প্রতি ১/২ টা রড বাড়লে খরচ খুব একটা বাড়বে না । ১৬ মিলি সাজেস্ট করবে সম্ভবত ইঞ্জিনিয়ার । আমি ২০ মিলির সাজেস্ট করবো ।
বিমের ক্ষেত্রেও একই সাজেশন

এইগুলো কি?


ডিপ্লোমারা ইনঞ্জিনিয়ার নাকি।তারা কিন্তু ফুল ইনঞ্জিনিয়ার বলে না।তারা বলে ডিপ্লোমা ইনঞ্জিনিয়ার।ডিপ্লোমা ইনঞ্জিনিয়ার ও ইনঞ্জিনিয়ার পারথক্য আপনার বুঝার কথা।কারন আপনার বাবাবাংলাদেশ মিলিটারি ইঞ্জিরিয়াং সার্ভিসেস এর একজন প্রকৌশল কর্মকর্তা ।

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:আপনাদের মতো এমন ইন ঞ্জিনিয়ার আমাদের সাইটগুলা থেকে কমপক্ষে ডজনখানেককে আমি নিজেই উত্তম মাধ্যম দিয়ে বিদায় করেছি ।
আইন তো আপনাদের জন্যনই।

রাঙা প্লাজা ধ্বসে পরে ইন ঞ্জিনিয়ার কারনে ধ্বসে পড়ছে?!!!!!

ডাবল গ্রেট বিম দিয়ে যারা রাখে তাদের সারটিফিকেট নিয়ে আমার সন্দেহ আছে অথবা তারা নকল করে পাস করেছে।
ও ৩০ লাখ টাকা বেশীযারা বেশী লাগায় তারা ইন ঞ্জিনিয়ার না তারা চোর।

যাক এবার আমার কথায় আসি।আমার এতো সময় নেই।তাই উনাকে সাজেষ্ট করেছি । ট্রেনিং কোরস করতে। আপনার তো জানার কথা দুচার কথায় নিরমান বনণা করা যাবে না
আসলেই আমি নব্য ইন ঞ্জিনিয়ার অভিজ্ঞতা ১০ বছর।আসলে একজন ইন ঞ্জিনিয়ারের জন্য ১০ বছর খুবই সামান্য!তাই আমি আজও শেখার জন্য দেশে বাইরে।
হিসাব করলে আপনার ক্যালকুলেশন হয়তো ঠিক কিনতু আমার আপত্তি ইনঞ্জিনিয়ার যদি বলে পিলারে ৮ টা রড দিতে , আপনারা ১০ টা দিবেন বিমের ক্ষেত্রেও একই সাজেশন । ।আপনার তো জানার কথা রড বেশী দেওয়া ঠিক না কমও না।সম্যসা কি হবেআপনি িশ্চয়ই জানেন!


ইচ্ছা ছিল প্রইভেট কম্পানিতে চাকরি করবো। সরকারী চাকুরীর কোন মোহই আমার ছিল না।।ঢাকার অন্যতম নামকরা হাসপাতাল নিরমানে অংশ গ্রহন করেছি । দেশের নামকরা ২টা ও মধ্যম পরযায়ের একটিতে চাকরি করে বাস্তব অবস্থা দেখে শেষে সরকারী চাকরিতে স্থিতু হয়েছি।


আজকে আরও জানতে পারলাম বাবা ইন ঞ্জিনিয়ার হলে ছেলেও ইনঞ্জিনিয়ার

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ডিপ্লোমা বা পুথি গত বিদ্যাই বড় কথা নয় , উনার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে, তা যে পুরো সঠিক হবে কথা নাই, তবে চেষ্টা করেছেন ।

তর্কে না যাই, আমি শুধু ধারনা পেতে চাইছিলাম । অনেক বড়ই ধারনা পেলাম । :) হাহাহা :)

ঝগড়া না করি । :)

২৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @ঘানার রাজপুত্র
যাই হোক , আপনার এবারের মন্তব্যে খুশি হলাম । শুরুতে আপনি যেভাবে মন্তব্য করেছেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কয়টা কড়া কথা না বলে পারি নি । সেজন্য দুঃখিত ।

আপনি একজন ইঞ্জিনিয়ার জেনে ভালো লাগলো । আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও জানলাম ।

মন্তব্যের শুরুতে যে অংশটা কোট করলেন , সেটা হয়তো আমিই আপনাকে বুঝাতে পারি নি । আপনি দেশের বাইরে থাকেন বললেন , এবং বড় সাইট কয়েকটায় অংশগ্রহণ করেছেন জানলাম । আপনি যে প্রোজেক্টগুলোতে ছিলেন হয়তো তাতে চুরি হয়নি সেভাবে তাই বুঝতে পারেন নি । আবাসন ব্যাবসার ছোট ছোট ( ৬ থেকে ১০ তলা , ২.৫ থেকে ৭/৮ কাঠা ) কতগুলো প্রোজেক্ট করেছেন আমার জানা নেই ( এবং যেহেতু দেশের বাইরে আছেন বললেন ) কিন্তু সেগুলোতে নির্মানের যে দুর্দশা , তা অকল্পনীয় । যদি পিলারে ২ টা রড বাড়ে , পিলারের আকারও তখন নিশ্চয়ই কিছুটা বৃদ্ধি পায় , এটাই স্বাভাবিক হওয়া উচিৎ । কিন্তু এখন যেভাবে ১২'/১৮' (বাইরের পিলার) ( ৮ টি ১৬ মিলি রড সম্বলিত ) দিতে নিচতলা পুরো গ্যারেজ রেখে ৬ তলা হরহামেশা করা হচ্ছে , ভয়াবহ । কিন্তু আমি যদি পিলারের রড দুইটা বাড়িয়ে ১৫'/১৮' করি তাতে কি খুব একটা ক্ষতি হবে ? ( যেটা আপনি বিপদজনক বললেন ! ) আমি মনে করি না । আপনি হয়তো বুঝেছেন ১২'/১৫' মধ্যেই রড বৃদ্ধি করতে হবে । এটা অবশ্যই বিপদজনক । কিন্তু সেটা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষেও খটকা লাগার কথা । তাই নয় কি ?
না বিমের ক্ষেত্রে আমার মতে এরকম একটা প্রোজেক্টে ম্যাক্সিমাম টপ ৩ টা , বটম ৩টা আর চাইলে মাঝে দুইটা সাইডে দিতে পারেন । সাইডে না দিলেও চলে ।


আপনি ঠিকই বলেছেন । নির্মান সম্পর্কিত ব্যাপার খুব সংক্ষেপে লেখা বা এভাবে ব্লগে বুঝানো খুব কষ্টকর ব্যাপার । অনেক কিছু অসম্পূর্ণ থেকে যায় । যেকারনেই আমার কথার ভুল ধরেছেন / বুঝেছেন । আশাকরি এখন ক্লিয়ার ।

না , আইন আমার/আমাদের জন্য না । কিন্তু যখন আপনি আমার ৩০ লাখ টাকার বাঁশ দিবেন , আমার মাথা ঠিক রাখা সম্ভব না । সরি । আমি মহামানব না বা আমাদের টাকা মাগনা আসে নি / কালোবাজারি করে কামানো না । আজ পর্যন্ত আমাদের সাইটের কোন মিস্ত্রীও বলতে পারবে না , আমি অকারনে / সামান্য কারনে ওদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছি ।

ফুল ইঞ্জিনিয়াররা কিন্তু আপনার এই ছোট ছোট প্রোজেক্টে আসে না । ফুল বলতে নিদানপক্ষে বিসিএস বিসিএস বুঝিয়েছেন আশাকরি । ডিপ্লোমাই বেশী আসে । তবে বড় প্রোজেক্টগুলোতে বিসিএস না হলে এবং অভিজ্ঞতা বেশী নিচ্ছি না এখন আর । কিন্তু আশেপাশের যারা করছেন , তাদের কিন্তু ঐ একই করুণ দশা ।

রানা প্লাজার ব্যাপারে কি কিছুই জানেন না ? হা , অনেক বিষয় জড়িত ছিল ঠিক । কিন্তু ছয় তলার জন্যও যে রানা প্লাজার ডিজাইন ও নির্মান সঠিক ছিল না তা জানেন নি ? কোন না কোন ইঞ্জিনিয়ার তো করেছেন সে ডিজাইন তাই না ! প্ল্যান পাশ করা কিংবা আরও ৩ তলা কড়া তো আরও পরের বিষয় !

যাই হোক , আর বিতর্ক করতে চাই না । আমি স্পষ্ট করেই বলেছি , আমি ইঞ্জিনয়ার না । সেখানে এভাবে বিষয়টা বলে খোঁচা দেওয়া ভালো মানসিকতার লক্ষণ প্রকাশ পায় কি ! তাছাড়া , আমার হাতে কলমে অভিজ্ঞতার আলোকেই যা কিছু বলেছি , বাবার বই পড়ে নয় / তার গুনে নয় ।



@রিফাত ভ্রাতা , আপনাকে সেভাবে তো কিছু বলি নি ভ্রাতা :)

আর বাবা , Poject GE (Army) Maint North এ আছেন বর্তমানে ।

৩০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: দুঃখিত , একটা টাইপিং মিস্টেক হয়েছে । বি এস সি হবে ।

৩১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৩

ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: কি লিখবো বুঝে উঠতে পারছিনা। তবে এটা ঠিক বিল্ডিং নিরমাণ কৌশল নিয়ে লিখতে হবে। আমাদের সিলেবাসগুলোতেই সেইভাবে নেই।তাই অনেকেই অজ্ঞ। বিমের শুরুতে ওশেষে নেগেটিভ শেহার ফোরস এর কারনে রিং ঘন এবং মাঝখানে পজিটিভ এর কারনে পাতলা হবে একথাটা সবাই জানলেও রডের জোড়া সেটিং,রিংয়ের রড কতটুকু বাড়তি রাখতেহবে ইত্যাদি ব্যাপারে অনেকেই জানে না।

আবার সব বিষয়ে মান পারদরশী নয়। একটা বিষয়ে ৬/৭ টি সেক্টর আছে। তাই যার ডিইজাইনে মিনিমাম ৪/ ৫বছরের অভিজ্ঞতা আছে তাকে দিয়ে ডিজাইন করানো উচিৎ আর যার কন্সটাকশনে মিনিমাম ৪/ ৫বছরের অভিজ্ঞতা আছে তাকে দিয়ে কন্সটাকশন করানো উচিৎ।এই জায়গাটাতে আমরা ভুল করি যে কন্সটাকশনে অভিজ্ঞ সে কোন ভাবেই ডিজাইনে পারদরশী হতে পারেনা।

টাকার কথা ভাবছেন?সঠিক জায়গায় সঠিক লোক নিয়োগ করলে লাভ বিনা লোকসান হবে না। আর বাংলাতে একটাপ্রবাদ তো আছেই যত গুর তত মিষ্টি।ভলো জিনিষ পেতে হলে খরচ তো করতে হবেই।

৩২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

মনজুরুল হাসান আখন্দ বলেছেন: ঢাকায় বা ঢাকার পাশে ৩-৫ কাঠা নিষ্কণ্টক জমি কিনতে চাই।
কাঠা প্রতি বাজেট= ৫-১২ লক্ষ টাকা। জমির পাশে কমপক্ষে ১২ ফুট রাস্তা থাকতে হবে। জমি এখনই বাড়ি করার মত ভরাট হতে হবে। কাগজপত্র আপডেট/ হালনাগাদ না থাকলে যোগাযোগ করার দরকার নাই।
আগ্রহী ক্রেতা প্রবাসী। তাই প্রাথমিক যোগাযোগ/ কাগজপত্র প্রদান ফোন, ইমেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ এ হবে।
ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপঃ +971-558290430 ইমেইলঃ [email protected]

নিন্মলিখিত এলাকায় বা পাশের এলাকায় হলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিবেচনা করা হবেঃ
ডেমরা- স্টাফ কোয়ারটার , ডগাইর , কোনাপাড়া, যাত্রাবাড়ী।
খিলগাঁও/ বাড্ডা/ রামপুরা- বনশ্রী, আফতাব নগর, মেরাদিয়া, ত্রিমহনি।
উত্তরা-উত্তরখান, দক্ষিন খান, আজমপুর, খিলখেত।
পূর্বাচল নিউ টাউনের আশেপাশের এলাকা।
শংকর/মোহাম্মাদপুর।
ক্যান্টনম্যানট-মাটিকাটা, মানিকদি, বাইগারটেক ।
সাভার-নবীনগর, পলাশ, পল্লী বিদ্যুৎ।
আপনাদের পরিচিত বিক্রেতা থাকলে দয়া করে যোগাযোগ করতে বলবেন। দালাল ভাইদের যোগাযোগ করার দরকার নাই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৪৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: সোনার হরিণই বলতে পারেন, ঝামেলাবিহীন সবাই চায়।

৩৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৪৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: সোনার হরিণই বলতে পারেন, ঝামেলাবিহীন সবাই চায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.