নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিআরটিসি BrTC বর্তমান অচলাবস্থা

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫০



Bangladesh Road Transport Corporatioস সংক্ষেপে BRTC
প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারী দলেও তাবত মন্ত্রী ও আমলা কামলাদের + সব বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের সম্মান জানিয়ে পোষ্ট শুরু করলাম!!!
ধরে নিলাম আমরা শতকের পর শতক পরাধীন ছিলাম। হয় সামন্ত রাজাদের হাতে নতুবা ইংরেজদের কাছে। স্বাধীন নবাবের আমলকে আমরা স্বাধীন ধরছি না, যা আমার ব্যক্তিগত মতামত। স্বাধীন নবাব কতটুকু স্বাধীন ছিল তা প্রশ্ন রাখে।
তাই আমাদের চিন্তা বিকাশের সুযোগ তেমন হয় নি আর হলেও গুটি কয়েক পরিস্ফুটিত করতে পেরেছিলেন। সেই চিন্তা করলে আমরা বর্তমান যুগের ভাবনা ও উন্নতির পথে কিছুটা পথ পিছনে পড়ে গেলেও অর্থনৈতিক চাবিকাঠিতে আবার সেই দৌড়ে উঠে দাড়াতে পেরেছি। ধন্যবাদবর্তমান সরকারকে যে, বৈদাশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করেছে একদিকে আরেক দিকে ঋণ নেওয়া হয়েছে! ঋণ আর ঋণের সুদ কি জিনিস তা যে ঋণ নেয় সে বুঝে, যদি তার ফিরতে দেবার নিয়ত থাকে!
যখন সেটা ব্যক্তি না হয়ে রাষ্ট্র হয়, তখনতো আরও গভীরভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত + গনভোটের মাধ্যমে প্রত্যেক জনগনের অনুমতি নিতে হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেই না ঋণ এর প্রশ্ন। জাতি এই দায়ভার নিবে কিনা বা কোন খাতে নিতে হবে বা কেনই নিতে হবে তা অবশ্যই কারণ দর্শাতে হবে।
দেশ কারউ বাবার বা স্বামীর শুধু মুখের কথাতে নিশ্চয়ই স্বাধীন হয় নাই্।(তারাঁ উভয়েই সম্মানের যোগ্য) রক্ত দেওয়া হয়েছে বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং নিজ মন মত সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নিশ্চয়ই কারো নাই। সেটা হাইকোর্ট এর সামনের মূর্তি হোক না কেন। খুব বেশী আপনি আবেদন বা পেশ করতে পারেন। আলোচনা সাপেক্ষে জনগনের 1st priority হিসেবে সিদ্ধান্ত দিবেন।

তারা(যাদের নিয়ে উপরে এত গুনগান গাইলাম) ভাল-ই বিদেশে অবস্থান করেছেন। সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা কিভাবে পরিকল্পিতভাবে গঠিত হয়েছে সে ব্যাপারে জ্ঞান থাকার কথা। আর যেখানে জনবহুল নগরী হয় সেখানে ফরজ হয়ে যায় আরও পরিকল্পিতভাবে যোগাযোগ কাঠামো তৈরী করা। আচ্ছা ফ্লাই ওভার দিয়ে যদি যোগাযোগ উন্নতি হয় তাহলে পৃথিবীতে আর কোন ট্রান্সপোর্ট এর উন্নয়ন ঘটত না। ফ্লাইওভার ও পাতাল যাই বলেন না কেন, তার জন্য সঠিক পরিকল্পনা দরকার, ইচ্ছা থাকা দরকার। দূর্নীতি নিয়ে পোষ্ট আর বিষয় থেকে সরে আসতে চাচ্ছি না। আমার সমস্যা আমি ঘটনার গোড়াঁতে যেতে চাই।

বি আর টি সি-তে সরকার চাইলে আরও বিনিয়োগ করতে পারে। রাষ্ট্রের জনগনের জন্য তাই লোকসানের কথা চিন্তা করলে চলবে না। দূর্নীতি না হলে এই খাত লাভ বৈ ক্ষতির সম্মুখীন হবার কথা না। আগেই বলেছি দূর্নীতি বিষয়ক পোষ্ট টি নয়, তাই আর এগুলাম না। বি আর টি সি নিজ উদ্যোগে ঢাকাতে রুট অনুযায়ী প্রচুর বি আর টি সি বাস নামাতে পারে। সেই সাথে ব্যক্তিগতসব বাস বিলুপ্ত করে। একমাত্র প্রিমিয়াম ধাচেঁর বাসগুলি রাস্তাতে নামতে দেয়। কোন প্রকার লক্কর ঝক্কর বা কোনমতে চিপি সিট নিয়ে নামতে দেওয়া যাবে না। আমার জানা মতে বাসের আকৃতি অনুযায়ী সিটের সংখ্যার একটা প্রাধান্য আছে। দরকার হলে মাঝে ফাকাঁ রাখবেন অর্থাৎ সিট থাকবে না মাঝে এরকম বড় বাস রোড এ নামাবেন। পাশাপাশি একটা ট্রাম লাইন চালু করার চেষ্টা করুন। আমার মন বলছে সম্ভব কিন্তু বড় সমস্যা জনগন রাস্তা পারাপার করবে রোড এর মাঝে বেড়া না থাকার কারনে। যদি জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করেন তাহলে দূর্ঘটনার জন্য কেউ দায়ী নয়, এরকম সরকারী বিজ্ঞাপন জারি করা উচিত ঘন ঘন। এতে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
যদি মূল রাস্তায় ট্রাম না নামানো সম্ভব হয় তাহলে ট্রেন লাইনের পাশে খা জায়গা আছে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি না পারা যায় সামনের যেখানে শহর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে পরিকল্পনা গ্রহন করুন।
বি আর টি সি প্রত্যেকটা স্ট্যান্ড বা বাস্ট স্টপ এ ডিজিটাল বা নন ডিজিটাল তথ্য প্রদর্শনী সেট করুন। এই স্টপে এই এত নাম্বার বাস থামবে এর গন্তব্য দিক। আর তার গন্তব্যে সামনে কোথায় কোথায় থামবে। আনুমানিক দূরত্ব বা সময় বলে দেন (পৌছতে কতক্ষণ লাগতে পারে এবং কখন থেকে রাত পর্যন্ত চলবে..)+ এই নং বাস রুট অন্য কোন রুটকে ক্রস করবে সামনের বাস স্টপে তাও জানানো উচিত। সম্পূর্ণ ঢাকা শহরের বাসের রুটের মিনি মানচিত্রও সাথে প্রদর্শন করুন, দূরের যাত্রীদের জন্য। সেখানে দূরত্ব বা সময়ের বর্ণনা প্রয়োজন নেই।
হয়ত মনে হচ্ছে, কত বড় বিববরণ ! না সেটা নয় একটা রুটে বেশী হলে দুই কি ৩টা রুট ক্রস করতে পারে, বিশেষ বাস টার্মিনাল গুলো ছাড়া।
ডিজিটাল হলে সুবিধা বর্তমান বাস দেরী হলে তথ্য জানানো সম্ভব হবে বা আসতে কতক্ষণ লাগবে। তবে নন ডিজিটাল একটি রুট মানচিত্র বাস স্টপে অবশ্যই থাকতে হবে, কানেকশন বোঝার জন্য।

টিকেট কেটেই উঠতে হবে। দেশ যেহেতুত ডিজিটাল সুতরাং কার্ড ব্যবস্থা রাখবেন ও কার্ড পাঞ্চ করে টিকেট চেক করলেই চলবে নতুবা স্বল্প মেয়াদী কার্ড বিক্রি করা যেতে যা বি আর টিসি কাউন্টার বা অফিস থেকে ছবি সহ ইস্যু করা সম্ভব। বাংলাদেশ যেহেতু এখনো আমানতের খেয়ানত করা ট্রেডিশন! তাই একজন টিকেট চেকার রাখতেই হবে।
এই কথা গুলো ট্রেন, ট্রাম, বাস সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আর রুটের তথ্য নিয়ে একটা এ্যাপ করা উচিত, যেহেতু দেশ ডিজিটাল দাবীদার! প্রথামিক ভাবে শুধু রুট, রুট ক্রস, বাস স্টপ নাম থাকল। পরবর্তীতে তাৎক্ষনিক তথ্য দেওয়া উন্নতি করতে হবে, যাতে আমরা বুঝতে পারবে এই স্টপ থেকে একটি বাস একটু পরেই পৌছে এতটায় ছাড়তে পারবে। কিন্তু এর জন্য দেশের রাস্তার অসাধ্য সাধন করতে হতে হবে!

আর সাথে সাথে যদি বিভিন্ন স্টপে দর্শনীয় স্থান উল্লেখ্য করা হয় অনেক ভাল হবে।

কিন্তু সারা জীবন গাড়িতে গাড়িতে(ব্যক্তিগত) ঘুড়েন, ভিআইপি বা ডাবল ভিভি সার্ভিসে থাকেন তাহলে তো.... :)
আর বিদেশেও যদি রাজনৈতিক সাপোর্টারদের গাড়িতে ঘুরেন তাহলে না জানারই কথা!
কিন্তু আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত জীবনে, তার প্রয়াত স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন (তারঁ অভিজ্ঞতাকে আলোকপাত করছি)। ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার কথা নিশ্চয় ভুলে যান নাই।

এখন যদি বলেন জায়গা নাই,লোকবল নাই,খরচ দিয়ে পোষাবে না! এগুলা সব ফাও ও ভাওতাবাজী কথাবার্তা!!!
ঋণ নিতে পারবেন,ঋণের সুদও দিতে পারবেন কিন্তু এই টাকা রাষ্ট্রের জনগনের জন্য খরচ করতে পারবে না? এমন না যে একেবারে ফ্রি! আর যদি হরতালে একটা সরকারী বাস নষ্ট হয় রে, ভাই খোদার কসম আমি হইলে খবরই কইরা ফেলতাম। (খারাপ ভাষার জন্য দু:খিত, কন্ট্রোল এ ছিলাম না।) এটা আপনার আমার, আপনার, দেশের জনগনের সম্পদ। যে ক্ষতি করবে তার সারা জীবনের আয়ের টাকা থেকে তা পরিশোধ করে যাবে, কোন জেলের দরকার নাই, শুধু তাকে অর্থনৈতিকভাবে বিকলাঙ্গ করে দিলেই হবে। কিন্তু তা অবশ্যই আইন ও আদালতে মাধ্যমেই... এটাকেই আপনার জরিমানা বলতে পারেন। কিন্তু তা হবে সর্বোচ্চ।
প্রত্যেক নাগরিককে বাসার ঠিকিনা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। শুধু পাসপোর্ট এ ঠিকানা থাকলেই হবে না, তা ভেরীফাইড হতে হবে। এমনভাবে যে একটি বাসার মালিক তার অধীনে এত জন বাসার সদস্য আছে। তাকেও নিবন্ধন করতে হবে মূল মালিক হিসেবে। ভাড়া হলে সমস্যা নাই্, সে ভেরিফাইড হবে মালিক দ্বারা। ভাড়ায় যে থাকেন সেও একজন মালিক, তার আন্ডারে থাকবেন বাকি সদস্যারা। এভাবে ভেরিফিকেশন করা উচিত।
মোবাইল নাম্বার, বাসার ঠিকিনা নিবন্ধন, পাসপোর্ট, ভোটার আই ডি এগুলো মিশানো ঠিক হবে না। কারন মোবাইল নাম্বার একাধিক রাখা যায় ও পরিবর্তন যোগ্য। পাসপোর্ট ফিক্সড সময়ের জন্য আর তা ভোটার আইডিও এরকমই কিন্তু বিবরণ কম। কিন্তু বাসার ঠিকানা পরিবর্তনযোগ্য যা সহজেই পাসপোর্টে পরিবর্তন করা যায় না,তার জন্য আবেদন করতে হয়, নতুন পাসপোর্ট নিতে হয়/ নতুন পৃষ্ঠাতে প্রিন্ট করতে হবে।
বাংলাদেশে কেন পাসপোর্টে এড্রেস প্রিন্ট করল বুঝলাম না!
বা-মা, স্বামীর নামও খুব বেশী...
পাসপোর্ট নিজের স্বকীয়তা প্রদর্শনে, অপরের নয়। আপনি নিজেকে ভেরীফাইড করছেন।

এজন্য বললাম যে, ছবি, ঠিকানা নিব্ন্ধন ও আইডি কার্ড/পাসপোর্ট নিয়ে বি টি আর সি ট্রাভেল কার্ড ইস্যু করতে পারে, যা যুগ-উপযোগী। আর তা যাচাই করার জন্য মেশিন রিডেবল পোর্টবেল মেশিন থাকা উচিত। আর সাথে যদি ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট রাখতে পারে তো ভালই। তাতে কেউ টিকেট ভুলে বাসায় রেখে এসেছে চ্যালেঞ্জ করলে তার প্রমান করা সম্ভব। এগুলো বেশী বলে ফেললাম। আপাতত কার্ডটাই করার স্বপ্ন দেখা উচিত, এর জন্য বাকি সব চ্যালেঞ্জ গুলিও পার হতে হবে!


এগুলি একটি সম্পূর্ণ মহাপরিকল্পনা। এটা সম্ভব হবে তখনই যদি সদ্বিচ্ছা থাকে! একটার সাথে আরেকটা সংযুক্ত। তাই ভাবটা প্রকাশের বিস্তৃতিটা অনেক বেড়ে গেল।





দূর্নীতি নিয়ে পোষ্টটি নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়িত কেন হবে না বা সম্ভব হবে না এই নিয়ে আলোকপাত হয় নি, এই জাতীয় মন্তব্য হলে মন্তব্য মুছে ফেলা হবে বা উপেক্ষা করা হবে। শুধু কিভাবে এগিয়ে যেতে পারি, এ জাতীয় মন্তব্য আশা করছি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের এই বিশৃংখল অর্থনীতিতে, যাত্রীরা নিজেরাই যদি যানবাহনের মালিক হতে পারে, সেটা হবে একটা সমাধান।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: অর্থনীতিই যদি বিশৃংখলই হয় তাহলে যানবাহনের মালিক হবে কিভাবে?

আর কথা হচ্ছে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে নয়!


ধন্যবাদ আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: গত বছর কল্যানপুরে বিআরটিসি বাস ডিপোতে নিজের চোখে সব দেখে আসছি। গোপনে ছবি তুলে নিয়ে আসছিলাম। লিড স্টোরি হয়েছিল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: স্টোরি তো হয়েছিল বুঝলাম, এগিয়ে যাবেন কিভাবে! সামনে টার্গেট কি ?
চিন্তাটা যদি শেয়ার করতেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যেরও জন্য।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। ভাবছি কয়েকবার পড়তে হবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১০

রিফাত হোসেন বলেছেন: সুন্দর :) আপনি ভাবছেন, কেউ ভাবছে... এই ভেবে খুব খুশি হলাম, সব কথায় মিল না থাকুক তবে চিন্তার বিকাশ ঘটুক।

অনেকে পোষ্ট এ মন্তব্য করে কিন্তু ভাবার বা আলোচনার সুযোগ রাখে না। এই পোষ্টে উদাহরন উপরেই আছে।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এটা আমাকে ভাবাচ্ছে, আর আমিও ভাবছি।। তারপরও ....।।। আসলে উত্তর আমারও জানা নেই!!

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ খুবই জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
এ বিষয়ে অনেক কথা বলার আছে । পরে আবার আসার ইচ্ছা আছে ।
আপাতত এই বক্তব্যটির সাথে জোড়ালো সমর্থন জানিয়ে গেলাম
বি আর টি সি নিজ উদ্যোগে ঢাকাতে রুট অনুযায়ী প্রচুর বি আর টি সি বাস নামাতে পারে। সেই সাথে ব্যক্তিগতসব বাস বিলুপ্ত করে। একমাত্র প্রিমিয়াম ধাচেঁর বাসগুলি রাস্তাতে নামতে দেয়। কোন প্রকার লক্কর ঝক্কর বা কোনমতে চিপি সিট নিয়ে নামতে দেওয়া যাবে না
ব্যত্তিগত গাড়ী ব্যবহার কারীগন রাজধানীর সীমিত রাস্তার সিংহভাগ স্থান দখল করে জামের সৃস্টি করছে । মাত্র হাজার কয়েক প্রাইভেট কারের জন্য এই দুরাবস্থা ভোগ করতে হচ্চে, নগর বাসীকে । বিগত সময়ে হরতালের সময় দেখা গেছে গাড়ী ভাংচুরের ভয়ে প্রাইভেট কার রাস্তায় নামে নাই ,তবে রাস্তায় সব রিক্সাই চলাচল করেছে । এমনকি অনেক পাবলিক বাসও চলাচল করেছে কিন্তু কোন ট্রাফিক জাম হয় নাই । তাই দেখা যায় যে ঢাকা শহড়ে ট্রাফিক জামের জন্য রিক্মার চেয়ে প্রাইভেট কারের অবদান অনেক বেশী । ফলে ঢাকা শহড়ে প্রাইভেট কারকে নিরোতসাহিত করা প্রয়োজন। তবে যেহেতো সমাজের প্রভাবশালী সকল মহল এবং সাদা কালো সকল প্রকারের টাকার মালিকেরই প্রাইভেট কার আছে সেহেতু প্রাইভেট কারের উপরে কোন হাত দেয়া যাবেনা এটা অতি সত্য কথা । যত দৃষ সব রিক্সার ।
একটি প্রাভেট কার সারা দিনে গড়ে একটি ফ্যামিলির মাত্র ৫ জন যাত্রি বহন করে অথচ private cars occupy at least 70 percent of the Dhaka road space। অথচ একটি রিক্সা সাড়া দিনে কম করে হলেও ১০০ যাত্রি সেবা প্রদান করে ।
তাই প্রাইভেট কারকে যদিও আইন করে নিরোতসাহিত করা যাবেনা তবে প্রাইভেট কার মালিকদের জন্য ভিন্ন পথ ধরা যেতে পারে । আর সেটা হতে পারে Premium Bus Service । তাই Government should announce 'Premium Bus Service' aimed at encouraging cars users to use public transport।
যাহোক বিষযটি নিয়ে অারো বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ আছে ।

শুভেচ্ছা রইল ।



শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: তাই প্রাইভেট কারকে যদিও আইন করে নিরোতসাহিত করা যাবেনা তবে প্রাইভেট কার মালিকদের জন্য ভিন্ন পথ ধরা যেতে পারে । আর সেটা হতে পারে Premium Bus Service ।

সুন্দর বলেছেন।

আচ্ছা আপনার মতে ট্রামকে ঢাকা শহরের কি উপযুক্ত মনে হয়?(যদি সম্ভব হয়, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে অন্য শহরে)

আরেকটা বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে আলোকপাত করেছিলাম। সেটা হল যোগাযোগ কিভাবে সহজ হবে। ধরুন আমি ঢাকার এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যাব। এখন সবার পক্ষে না জিজ্ঞাসা করে সব রুট জানা সম্ভব নয়। এর জন্য রুট ক্রসিং চার্ট, বাস স্টপ প্রিন্টেড তথ্য বাতায়ন থাকা জরুরী নয় কি?
ঢাকার এক এলাকার মানুষ আরেক জায়গায় খুব সহজেই গণপরিবহন ব্যবস্থায় যাতায়াত এ যাতায়াত করতে পারবে। আমি নিজে এই সমস্যায় পরে থাকি, তাই বললাম।

আপনি এ নিয়ে লিখুন। আপনার উপস্থাপন সুন্দর হয়। অনেক ব্লগার এর মতে আমার লেখা ভংচং। আপনি আলাদা পোষ্ট করুন, গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশনেই অর্ধেক মন জয় করা সম্ভব। আমার কোন এক বিদেশী স্কুলের রন্ধন টিচার বলেছিলেন, নাম মনে নাই।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় রিফ্ত হোসেন ভাই । আপনি আমার ১০ বছরের বেশী সময়ের সিনিয়র এই সামুর ব্লগে । আপনার লেখার গুণের সাথে আমার মামুলী লেখার কোন তুলনাই নাহি চলে কোন মতে । গতকাল আপনার এই মুল্যবান দিক নির্দেশনা সম্বলিত পোষ্ট এর লেখা পাঠ করে আমি কত যে খুশি ও অাশান্বিত হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা । তাই বলেছিলাম অনেক কথা বলার আছে যা পরে এসে বলব । প্রথম যখন লিখাটি পাঠ করি তখন ছিল গভীর রাত, ছিলাম ঘুমের ঘুরে , তার পরেও মনে হল দু একটি কথা যাই বলে । মন্তব্যের ঘরে প্রথম লাইনটি লিখে ভাবলাম ঢাকা শহড়ের যানবাহনের অবস্থাটি একটু দেখে আসি অন্তরজালে । দেখলাম ঢাকা সহ বাংলাদেশের শহড় কেন্দ্রিক যানবাহন কোন কিছুর উপরেই কোন কোয়ানটিটিটিভ গবেষনা কর্ম কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক লিখালিখি নাই তেমন করে । আছে কিছু বিক্ষিপ্ত অসমন্বিত ও স্বীকৃত সুত্র উল্লেখবিহীন পরিসংখান, যা একেক লিখায় একেক রকম বলেই দেখা গেল । কিছু ছোট ছোট ছোট কোয়ালিটিটিভ গবেষনা কর্ম আছে যা তেমন কোন গুরুত্বপুর্ণ তথ্য বা দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি , গবেষনা কর্মগুলিকে কেমন যেন কায়েমী স্বার্থবাদীদের স্বার্থ সংরক্ষনের বিষয়টিকেই বেশি প্রধান্য দিতে দেখা গেছে , মনে হচ্ছিল গবেষনা কর্মগুলীর স্পনসরদের পরিচালিত ছিল বলে তাদের স্বার্থের কথাগুলিই উঠে এসেছে বেশী করে । গতকাল কম করে হলেও প্রায় ৪ ঘন্টা কাঠিয়েছি এ বিষয়ে প্রসঙ্গিক দেশি বিদেশী বিশেষ করে প্রতিবেশি দেশ ভারতের কলিকাতা , বোম্বে , মাদ্রাজ ও দিল্লী শহড়ের পাবলিক ট্রানসপোর্টের অবস্থা পর্যবেক্ষন করে কারণ তাদের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়তবা কিছুটা সহজ হবে , উল্লেখ্য দিল্লীতে ক্ষমতাশীন আমজনতা পার্টি এপস প্রিমিয়াম বাস সার্ভিস কিছুদিন আগে চালু করেছে , পাশাপাশি দেখতে চেয়েছি আমাদের বিআরটিসির বর্তমান কার্যক্রম ও তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি ( ৪ হাজার বাস নাকি বিদেশ হতে আমদানী করবে !!!) । একবার মনে হয়েছিল এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদেরকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করি ।
যাহোক , গতকাল সারা রাত জেগে বিষয়টি নিয়ে গবেষনা করে যা পেলাম তা মন্তব্যের ঘরে লিখে আসতে পারিনি কান্ত হয়ে পরেছিলাম বলে ।

আপনার লিখাটিতে মুল বিষয়গুলি উঠে এসেছে সুন্দর করে । তবে এই বিষয়গুলির সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি সংযোজন করে একে করা যায় আরো অনেক বেশী আকর্ষনীয় পাঠকের কাছে । আপনি যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন তার চেয়ে ভাল করে লিখতে পারব এতটুকু সাহস কি এ অধমের আছে ? তবে বলেছেন যখন তখন গুরুবাক্য শিরোধার্য, চেষ্টা করে দেখব কিছু পারি কিনা লিখতে, যদি না পারি গুরুর কাছে আসব ফিরে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: এক লাইনে বলি, আপনার চিন্তা ক্ষমতার কাছে আমি কিচ্ছু না। :)
সেদিক দিয়ে যোজন যোজন সিনিয়র আপনি, গুরু শব্দটা তাই আপনার জন্য বরাদ্দ থাকা উচিত।

দিল্লী,কলিকাতা বা গোয়া একটু ব্যতিক্রম যেহেতু সেখানে বিদেশী উপনিবেশ ভালভাবেই কাজ করেছে। তাদেরঁ বর্তমান আপগ্রেডেড যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চয়ই বাহিরের দেশের চিন্তাতে গঠন করেছে। দিল্লী, কলকাতা, হালকা ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। হয়ত আপনি সেখানের অবস্থা আরও ভাল জানেন। ভারতে ছোট্ট একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করি সেটা হল একটি পাতাল রেলের কয়েকটি স্টপে মেরামত হচ্ছিল। তখন পাতাল রেলের লাইনে শুধু ঢুকতেই ইয়া লম্বা লাইন ১৫-২০মি. অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা নিশ্চয়ই ভাল অবস্থা নয়। আর ধরে নিলাম ১টি পূর্ণ পাতাল রেল কয়েক কার্য দিবস বন্ধ থাকে তখন কি এর জন্য আলাদা বাস সার্ভিস দিবে! যেমন:অমুক তারিখ থেকে অমুক তারিখ ৫নং পাতাল রেল সার্ভিস বন্ধ থাকবে, এর পরিবর্তে ৫নং বিশেষ বাস ঐ সব বন্ধ পাতাল রেলের স্টপ থেকে সার্ভিস দিবে! না আমার বিশ্বাস হয় না, তারা এই ধরনের সার্ভিস দিতে পারে। কলকাতা ট্রাফিক অবস্থাও বাংলাদেশ মনে হয়েছিল। আর নয়া দিল্লীর মত পরিবেশ আমাদের ঢাকাতে নাই আর হবেও না। হলে নতুন আছে তিনশ ফিট নামক রাস্তার কাছে কিন্তু এগুলিও কেমন যেন ঘিঞ্জি করে ডেভলপাররা তুলছে। বসুন্ধরার ভিতরেও জ্যাম লেগে থাকে! :( আমার মতামত হল যুগ উপযোগী,গতি ও ছন্দ মিলিয়ে তবে পার্শ্ববর্তী বা জনবহুল দেশ বলে নয়।

তবে আপনি বস মানুষ, আপনার পোষ্ট করার আগেই এই নিয়ে বলে ফেললাম। :) পরের মন্তব্য সরাসরি আপনার পোষ্টেই, তবে আপনার পোষ্টই সবচেয়ে সুন্দর হবে ।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ প্রতি মন্তব্যের জন্য । ঢাকার সড়ক যোগাযোগের উপর এই মহুর্তে একটু পড়াশুনা করছি । এর ভিতরের কাহিনী বড়ই জটিল । য্ত্রীতো দুরের কথা সরকারও পরিবহন মালিকদের কাছে জিম্নী । সবসময় গবেশনা হয় যাত্রীদের উপর কিন্তু এর মালিকদের উপর কোন গবেশনা হয়না । কারা এই পরিবহন সেকটরের মালিক , তাদের ব্সেযকগ্টারাউন্ড কি, কোন পেশার লোকজন এই সেকটরে অর্থ বিনিয়োগ করে , তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎস কি , ইত্যাদি জনগনের কাছে একটু পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন । ঢাকা সহ বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন সাধনের জন্য বড় ধরনের স্ট্রাকচারাল পরিবর্তন প্রয়োজন । যাহোক দোয়া করবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.