নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-১

০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ১০:১৩



সূচনা:অনেক দিন পর ব্লগে লেখা ছাপাতে বসলাম।:) মাঝে চেষ্টা করেছিলাম ইউনিজয় থেকে ফোনেটিকে চলে যেতে। সামুর ফোনেটিক, অভ্রের ফোনেটিক এক তো নয়ই বরং আমার কি বোর্ড এর কিছু অক্ষর ভিন্ন অবস্থানে আছে ভাষাগত কারণে। সব মিলিয়ে উত্তরণ সম্ভব হয়নি। প্রথমেই সামু এবং ড: এম এ আলী সাহেবকে ধন্যবাদ অনুপ্রাণিত করার জন্য। সঠিক বাংলায় টাইপ করার জন্য। যদিও তারা জানেন না। আমি অনেক সর্তক আগে থেকে। হয়ত বাক্যের বাগাড়ম্বর হতে পরে কিন্তু শব্দের দিকে বাংলা শব্দের প্রয়োগে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টায় আছি। ব্যাপারটা আমি বিভিন্ন সামাজিক apps,website-এ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ফলাফল ভাল নয়। মানুষ ভাল দৃষ্টিতে নেয় না। কাউকে যদি বলা হয় ''সঠিক বাংলা চর্চা করার চেষ্টা করুন, অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ছাপিত বিষয়ে''। তখন যার উদ্দেশ্যে বলা আর যারা পড়ছে তারাও ভালভাবে নিচ্ছে না। তাদের কাছে মনে হয়, প্রকাশের ভঙ্গির উপর নয় বরং লেখার বিষয়বস্তুর উপর প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে! বাঙালীদের থেকে এরকম ব্যবহার মাঝে মাঝে খুব কষ্ট দেয়।

আমি কোন ক্রিকেট বিশারদ নই বরং দশর্ক মাত্র
মূল আলোচনায়: এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য অন্য কিছু বহন করছে ও করবে। মানুষের আশা ও প্রত্যাশার যেন শেষ নেই। ব্যাটিং শক্তিমত্তায় বাংলাদেশ দিনের ক্রিকেটে(৫০) খুব শক্তিশালী বলা না গেলেও সমীহ করার মত দল। t20 আর test যেমন এক জিনিস নয় তেমনি 1dayও নয়। একেকটার একেকরকম সৌন্দর্য। তবে আমার কাছে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য মনে হয় একদিনের খেলা 1day, যেখানে বাংলাদেশ অন্যান্য Format থেকে এগিয়ে। একদিনের খেলায় আপনাকে ধরে খেলতে হবে আবার মারমুখিও হতে পারে। t20 এর মত ধুমধাম এত ভাল লাগে না আবার খারাপও লাগে না। বাংলাদেশ ছাড়া top10 1day দল গুলির ২০ ওভারের খেলায় খারাপ নয়। Rank ধারণা মাত্র। এটি দিয়ে সব মাপা যাবে না। এইজন্যই আফগানিস্তানকে যদি শেষ ১০ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকতে দেওয়া হয় তাহলে তারা ভয়ংকর হবে। সেখানে আমাদের tailend-রা মারমুখি নয়। আমারদের ব্যাটসম্যানদেরই যা করার করে যেতে হবে। indian tailend -দের কথা নাই বা বললাম। ipl তাদের পরিবর্তন এর সহায়ক। যদিও খেলাটা প্রথম দিকে দেখলেও এখন দেখি না। আমাদের বোলারদেরও ব্যাটসম্যান হয়ে উঠতে হবে। তবে খেলায় যদি আমাদের বোলাররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারলে ভারত, অস্ট্রেলিয়াকেও শেষ ১০ ওভারে আটকানো অথবা অলআউট করা সম্ভব হবে। এটি সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বোলিং:
রুবেল হ্যাপী :), এই সাহেবের বিখ্যাত উক্তি ''স্ট্যাম্প ভাইঙ্গা দিমু''। তাকে দেখলে গতিমানব মনে না হলেও তাকে দেখলে ভয়ে সঞ্চার করতে পারে প্রতিপক্ষের। তার চাহনিতে আগুন থাকে। ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মনস্তাত্বিক। যেমন মালিঙ্গাকে দেখলে গতিমানব মনে হয় না কিন্তু সে একটা কিছু মনে হয়। ব্যাপারটা আফ্রিকার রাবাদার ক্ষেত্রে উল্টো। রুবেলের গতি আছে। তার বলের good line lenght ঠিক থাকে না মাঝে মাঝে। ঠিক থাকলে সে অনেক ভয়ংকর। গতিময় ইয়র্কার ও বাউন্সারে চমকে দিতে পারেন রুবেল হোসেন। যদিও Right-arm fast বোলার কিন্তু তাকে Pure Fast Bowler বলব না। মাঝে মাঝে ১৪০ কি.মি. এর উপর বোলিং করলেও প্রায়ই করা হয় না।
মোস্তাফিজ নিয়ে কিছু বলার আছে কি জানি না। Left-arm fast-medium কাটার মাস্টার বলা যায়। গতি ও good line lenght থাকলে দিনটা বাংলাদেশের। :) আর তা যদি না থাকে তাহলে সে নির্বিষ, সবারই জানা। গতি না থাকলে স্লোয়ার, কাটার কাজ হবে না। আর good line lenght না থাকলে ১৬ আনাই বৃথা।
রাহী ওরফে আবু যায়েদ যাকে নিয়ে কিছুটা নাটক হয়েছে আর সাথে নাটকের অপরসঙ্গী তাসকিন। রাহীর সুইং হয় সত্যি কিন্তু good line lenght নাই তার উপর গতি নাই। 5/58 Bangladesh v Ireland Dublin 15 May 2019 যা করেছে তা ঝড়ে বক মরে আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে। সন্দেহ থাকলে ঐদিনের চলমান চিত্র ইউটিউবে অভাব হবে না। রাহীর বলে বাউন্স নাই বা পেইস সেরকম নয়। পেইস বোলিং হল গতিতে চলে সাথে কাটার,সুইং, ইউয়র্কার,বাউন্স ইত্যাদি থাকলে ঠেকায় কে কিন্তু line length না থাকলে কাজ হবে না। আশা করি আমার বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত করে বিশ্বকাপে নতুনরূপে নিজেকে প্রমাণিত করতে পারবে।
তাসকিন দূর্ভাগ্যজনিত কারণে এই বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ থেকে বাদ পড়েছে। তাকে দেখলে গতিমানব মনে হয়। বিভীষিকাময় চেহারার অঙ্গভঙ্গি করতে না পারলেও ভয়ংকর গতির ঝড় তুলতে পারবে তা তাকে দেখলে ভালভাবেই বোঝা যায়। Bowling style Right-arm fast হলেও তাকে Pure Fast Bowler বলব না। যদিও সে আর রুবেলই উভয়ই মাঝে মাঝে ১৪০কি.মি বা ১৪৫ কি.মি. এর উপর বল করে থাকে। বর্তমান বিশ্বমঞ্চের Fast Bowler-রা ১৪৫-১৫০কি.মি. বা এর উপর বল করে থাকে। সে হয়ত শেষ আইরিশ সিরিজে ভাল করে নি। কিন্তু সে রাহী থেকে ভাল পছন্দ ছিল। গতি, variation(ইয়র্কার, বাউন্স ইত্যাদি) তার শক্তি। মাঝে মাঝে line length হারিয়ে ফেলে। অসুস্থ ছিল, আশা করি সুস্থ হয়ে উঠবে। আমরা আবার তাকে ছন্দে পাব।

পেস বোলিং হল গতির খেলা। গতি না থাকলে এর মূল্য নাই বললেই চলে। বাংলাদেশে প্রতিবছর পেসার হান্ট হয় না। রুবেল কিন্তু এরকমই কার্যক্রম থেকে উঠে এসেছিল। এরকম আরও করা উচিত। আরও অল্প বয়স থেকে নেওয়া উচিত যাতে সঠিক কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ বয়সে তাদের গতি ১৫০ কি.মি. এর উপর উঠে তাহলে অন্তত ১৪১-১৪৫কি.মি. গতিতে নিয়মিত বোলিং করতে পারবে। চারা রোপনের সময় যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করুন তাহলে উন্নতি আসবে, আশা করা যায়। মুস্তাফিজ বিখ্যাত কয়েকটি কারণে। এমনি এক ব্যাপার হল, গতি ধীর হোক বা জোরেই হোক, বল ছোড়ার প্রক্রিয়া প্রায় একই থাকে ইয়র্কার/স্লোয়ার/কাটার করার সময়। এতে ব্যাটসম্যান দ্বিধায় পরে যায় কারণ অন্য বোলাররা bowling action অনেকটা পরিবর্তন করে। আরেকটা হল বেশিরভাগ সময় সে কাজটা জোড়ে বল করার মধ্যেও করতে পারে, যেখানে অন্য বোলাররা গতি কিছুটা কমিয়ে করে থাকে।

শুধু গতি দিয়ে হবে না। সাথে line length ভাল থাকতেই হব। না হলে ১৬০ কি.মি. গতি দিয়েও কাজ হবে না।
line length এর পরের ব্যাপার হল variation যার মধ্যে পরে Bouncer, Inswinger, Leg cutter, Off cutter, Outswinger, Reverse
swing, Slower ball, Yorker, Knuckle ball ইত্যাদি। এগুলির মাধ্যমে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানানো সম্ভব। এইটাই একজন গতিময় বোলারকে আর অন্য সব বোলার থেকে আলাদা করে দেয়।

স্পিন হল ঘূর্ণির খেলা। বাংলাদেশে প্রকৃত ঘূর্ণন সৃষ্টিকারী কেউ নাই। স্পিন বোলিং এর বল ধরার ও করার মৌলিক কৌশলকে কেন্দ্র করে মোট ২ ভাগে ভাগ করা যায়, যার ১মটি Finger স্পিনার আর ২য়টি Wrist স্পিনার। আঙ্গুলের জোড়েই বলেন আর কব্জির জোড়েই বলেন, ভাল স্পিনার দুই জগতেই আছে। সাকলায়েন, হারভাজান, আমাদের রফিক হল আঙ্গুলের জগতের খেলোয়াড়। কব্জির কথা বললেই, বলব শেন ওয়ার্ন এর কথা।
-Finger স্পিনার হতে হলে ভাল accuracy থাকতে হবে সাথে variation অবশ্যই। আঙ্গুল নয় এতে কব্জিরও কিছু ব্যাপার আছে। ক্রিকেট পিচ আর বোলিং বৈচিত্রই ভরসা। অফ স্পিনারদের গতি লেগ স্পিনারদের থেকে বেশি হয়ে থাকে, যা আরও একটি সুবিধা।
Off break – Right-handed with finger spin technique. (e.g. Saqlain Mushtaq)
Left-arm orthodox spin(slow left arm orthodox) – Left-handed with finger spin technique. (e.g. Daniel Vettori, Shakib Al Hasan)
একজন Off spin বা left arm orthodox spin বোলার বেশ কিছু variation(বৈচিত্র) আনতে পারে। যেমন: Off break,Doosra,Arm ball,Topspinner,Carrom ball,Teesra(Backspinner),Undercutter. আমাদের সাকিব Arm ball ভাল করতে পারে। তার line length ভাল বিধায়ই উইকেট পায়। আর ব্যাটসম্যান আক্রমণাত্নক খেলার নিয়ত থাকলে ভাল বল করেও ছক্কা বন্ধ করা যায় না। Doosra-ই হল গুগলি সমমানের।

-Wrist স্পিনার এর সুবিধা যে তাদের ঘূর্ণনটা একটু বেশি হয়।
Leg break – Right-handed with wrist spin technique. (e.g. Shane Warne, Anil Kumble)
Left-arm unorthodox spin(chinaman/slow left arm wrist-spin) – Left-handed with wrist spin technique. (e.g. Paul Adams)
এই বিভাগের বৈচিত্র হল Leg break,Googly,Topspinner,FlipperSlider ও ইত্যাদি।

যে বোলারই হোক, বোলিং এর সময় বৈচিত্র থাকত হবে। সাকিবের একমাত্র Arm ball দিয়ে ভয়ংকর সুন্দর বোলার হওয়া যাবে না। বৈচিত্রময় ঘূর্ণি বোলিং দিয়েই প্রতিপক্ষকে মায়ার জালে আবদ্ধ করা যাবে। বাংলাদেশকে আরও তৈয়ার হতে হবে স্পিন বিভাগে। ভাল ঘূর্ণি না থাকলে বৈচিত্র শিখতে হবে।

বোলিং এর জন্য ক্রিকেটের পিচও ভাল ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশে স্পিন সহায়ক এর পাশাপাশি পেস সহায়ক পিচ তৈরী করা উচিত। এতে অভিজ্ঞতা চর্চা বারবে। আর চোট থেকে বাচাঁর জন্য শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। যাতে পেশি বৃদ্ধি করে গতি বাড়ানো যায়, চোট থেকে যতটুকু সম্ভব দূরে থাকা, শরীর লম্বা সিরিজের ধকল সইতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া কোন পথ নাই। মনোরোগ চিকিৎসক দিয়ে মনোবল শক্ত করা ও প্রতিপক্ষকে পড়ার শক্তি অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশ দলে মনোরোগ চিকিৎসক মনে হয় ছিল, যখন বাংলাদেশ উইকেট বিলিয়ে আসত। এগুলো পেলে বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করতে না পারলেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে লক্ষ্যে পৌছাতে।

আগামী পর্ব অলরাউন্ড নিয়ে হবে। কিছু বোলার আছে যাদেরকে আমার চোখে অলরাউন্ডার মনে হয়, হয়ত তারা স্বীকৃত অলরাউন্ডার নয়।
উপরের উধাহরণে মুরালি কিন্তু নেই। আপনাদের কাছে জানতে চাই, আপনারা তাকে কিভাবে কি হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
উপরের পোস্টে, যে কোন উপাত্তের ভুল সংশোধন করা হবে।

ছবি সূত্র: Click This Link

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখার শুরুতে বাংলা মাংলা নিয়ে যে ভুমিকার অবতারণা করেছেন, তাতে মনে হচ্ছিল, আপনি বাংলা ভাষায় গুরু টুরু কিছু একটা হবেন; এখন দেখছি, আপনার শতকরা ৫০ ভাগ বাক্যই সঠিকভাবে গঠিত নয়। বাংলায় বাক্য গঠন শিখেন; আপনার মাতৃভাষা ইংরেজী নাকি?

০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার শরীর কেমন? আপনার লেখা পড়া হয়। আপনার অধিকাংশ চিন্তাই ভাল।
প্রথমেই বলেছি, আমার ভুলভাল টাইপ করার বদঅভ্যাস আছে। তবে চেষ্টা করছি, সাথে অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছিলাম। ড: আলী সাহেব এর লেখা ভাল লাগে, সচরাচর ইংরেজী শব্দ পরিহার করে বাংলা ব্যবহার করার। মাতৃভাষা নয় বিধায়ই সমস্যা।:) শুধু ইংরেজী থাকলে তো সমস্যা হত না। অন্য ভাষাভাষীদের তো দেখি না মিশ্রভাবে ভাব প্রকাশ করতে(যেমন: জার্মান,রাশিয়ান,তুর্কি,জাপানিজ,চাইনিজ ইত্যাদি)। ব্যতিক্রম যেমন পিনয়রা(Philippines) অন্য যারা মিশ্র ভাষা বলে। শুনতে শুনতে, বলতে বলতে আমরা আজকার প্রয়োগও করা শুরু করছি। এটা ভাল ব্যাপার নয়।
অন্যের ভুল শুধরাতে সহায়তা করা যাবে না এটা কোথাও তো লেখা নাই, যেখানে আপনি আমার ভুল খুজেঁ পেয়েছেন। আপনি যখন বলেছেন আমি ৯৯ ভাগই ভুল মেনে নিচ্ছি। সহব্লগার হিসেবে ১ ভাগ তো ছাড় পেতে পারি।

মূল বিষয় নিয়ে কিছু বললেন না। :)

২| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তথ্য এবং আপনার ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
tellend কথাটা tail-end হবে মনে হয়।

০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ১১:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, গরুর লেজটা কেন যে ভুলে tell হয়ে গেল। ধন্যবাদ, সংশোধন করা হয়েছে।

আপনার সামু ছবিটাকে দূর থেকে কখনো এরশাদ লাগে, কখনো বা আমার বাবার মত। হয়ত কাছে থেকে দেখলে এরকম লাগবে না। এটা অফটপিক প্রতিমন্তব্য । :)

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩০

রাকু হাসান বলেছেন:

তথ্য সমৃদ্ধ ভালো বিশ্লেষণ । গতি না থাকলে মূল্য নেই ---যেখানে অনেক দলের বোলার হরহামেশায় ১৪০ গতিতে বল করছে । সেখানে আমাদের বলতে গেলে এমন বলার নেই । তবু গতকাল ম্যাচ জিতলাম । আমার কাছে গতিটাই মূখ্য নয় ,গতি মিডিয়াম হলেও সমস্যা নেই যদি বৈচিত্র থাকে । লাইন টিক থাকে । যেমন -ম্যাশ । কম গতিতে বল করে এমন অনেকেই ইতিহাসে স্বরণীয় ও বরণীয় হয়ে রয়েছেন।
অনেক ভালো লিখেছেন । পেচ বান্ধবউইকেট বানানো আমার অনেক দিনের চাওয়া । স্পিন জিনিসটা আমাদের রক্তে । উপমহাদেশের । উপমহাদেশের বাইরে পেচ উই্কেট। আমরা চাইলে ওদের মতো পেচ বান্ধব উইকেট বানাতে পারবো না । তবে যতটুকু পারবো ততটুকু চেষ্টাও আমরা করছি না ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার সাথে ৯৯ ভাগ একমত। যেভাবে আমাদের সুজন মিডিয়াম পেসার হয়েও ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সাথে জয় পেয়েছিল। প্রতিপক্ষ দলে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার, সাকলায়েন, আফ্রিদি, ইনজামাম সবাই ছিল। line length না থাকলে ১৬ আনাই বৃথা।
ভৌগলিক কারণে পেস বান্ধব উইকেট হলেও তাদের মত হবে না কিন্তু অসম্ভব নয়। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে বা সার্কবন্ধু দেশ শ্রীলংকাকে অনুসরণ করা যেতে পারে। তাদের কিছু ক্রিকেট পিচ পেস সহায়ক।
১ ভাগ একমত নই তখনই যখন pace অর্থই গতি সেখানে কেন আমাদের দেশ গতি বৃদ্ধিতে পিছিয়ে থাকবে। একে পরিচর্যা করতে হবে। গতি না থাকলে পেস বোলিং সৌন্দর্যমন্ডিত হয় না। যেমনটা স্পিন বোলিং এর সময় বল ঠিকমত ঘূর্ণিত না হলে।

তবে ফিজের গতি, রুবেলের গতি, তাসকিনের গতি ফাস্ট বোলার দের মতই। এমনকি তরুণ মাশরাফিরও গত ছিল অনেক, অসুস্থ হবার পর অনেক কমে আসে। রাহীর line length ঠিক নাই আপাতত। সে আসলেই ভাল সুইং করাতে পারে। আমাদের পেইস বিভাগ ভয়ংকর নয় তবে প্রতিপক্ষের দূর্গ ভেঙ্গে দেওয়া জন্য যথেষ্ট।

তবে আপনার নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ এর জন্য কৃতজ্ঞ রইল।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ১২:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লিখতে থাকেন।

ক্রিকেট তেমন পছন্দের নয়; তাই, বিষয়ের উপর কিছু বলিনি

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: হুম আমার বাবাও একে অলস খেলা বলেছিলেন। সময় নষ্টকারী খেলা!
হিটলারেরও তাই মনে হত। এই জন্যই জার্মানের আশে পাশের বা ভিতরের দেশে এই খেলার চল কম। না হলে ইংল্যান্ড এর পাশে, জার্মানি আরেকটা ক্রিকেটীয় পরাশক্তি হয়ত হত।

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমার বাবার খেলার মধ্যে ফুটবলই শুধু একটু সহ্য করতে পারতেন। আপনারও মনে হয়, সর্বোচ্চ ফুটবল পর্যন্ত সহ্য হয়। :)

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একটা পোস্ট তবে পেলাম B-))

ভালো লেগেছে আপনার ক্রিকেট নিয়ে ঝিঁঝি !

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: যে টানাটানি করছেন :) কিছু ঝেড়ে না কাশলে চলবে? :)

মন থেকে ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

হাসান রাজু বলেছেন: আমি খেলা দেখি কিন্তু গতকাল কে কার উইকেট নিয়েছিল, কে কত রান করেছে সব ভুলে যাই। :``>> কারন কি? :(

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: বিশ্বকাপটা মাশরাফি কাপ্তান ধরে দিবানে করতে পারলে, মনে থাকবে। এই ব্যাপারে নিশ্চিত। আমরা কল্পনার মত নায়ক/নায়িকা নির্ভর যে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.