নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-২ (ঈদ মোবারক)

০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৮



বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-১
ঈদ মোবারক :) ২০১৯ পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। লেখাটা কয়েকদিন ধরে সম্পাদন করে চলেছি। অসুস্থ ছিলাম, শরীর কিছুটা ভাল হচ্ছে। এখন আবার চাকুরীতে ফেরত আসলাম। তাই বলে তো রচনাটা ঝুলিয়ে রাখা যায় না।
গত পর্ব বলেছিলাম ক্রিকেট বোলিং বিভাগ ও বাংলাদেশের বোলারদেরকে নিয়ে। আজকের আলোচিত বিষয় হবে অলরাউন্ডার, যারা শুধুই বোলার বা ব্যাটসম্যান কিংবা উইকেট কিপার নয়।
অলরাউন্ডার:
সাইফুদ্দিনকে নিয়ে আমার অনেক আশা। মনে মনে জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিকের মত কাউকে আমি খুজছিলাম অনেক দিন ধরে। Right-arm medium-fast বোলিং নিয়ে Left-hand ব্যাটিংও করে। সে আমাদের সহকারী পেস বোলার হিসেবে দলকে সহযোগীতা যেমন করতে পারবে তেমনি ব্যাটিং বিভাগকেও। সে একজন অলরাউন্ডার। তার সুইং, কাটার, ইয়র্কার সব হয়। তবে গতি কম, আশা করি কিছুটা হলেও আগাবে। good line lenght সর্বদা থাকলে বোলার মাশরাফিকে প্রতিস্থাপন করতে পারবেই সাথে ব্যাটসম্যানের চাহিদা পূরণ করবে। সে যেদিন খেলবে বাংলাদেশের tailend-রা কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে।

সাকিব আল হাসানকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না, তা কিন্তু নয়। সাকিব বর্তমান সময়ের শীর্ষ ১০ এর সর্বোচ্চ অবস্থানের অলরাউন্ডার(১)। এই জায়গাতে প্রায়ই বাকি দেশের খেলোয়াড়েরা হানা দিচ্ছে। যেমন আফগানিস্তান এর রশিদ,নবী। তার বলে স্পিন এর ঘূর্ণি এতটা হয় না। কিন্তু বল ঠিক জায়গাতে পরে। যাকে আমরা "good length ball" বলে থাকি। তারপরেও আক্রমণাত্নক খেললে যে কোন ভাল বলকেই ছক্কা বানানো সম্ভব। আর যদি ব্যাটে বলে সময়গত সংষ্পর্শের ভুল করে তাহলে ক্যাচ, বোল্ড, স্ট্যাম্পিং,কট বিহাইন্ড অনেক কিছুই হতে পারে। যদিও সে arm ball করে কিন্তু good line lenght তার ভরসা। আরও অন্য বৈচিত্র ব্যবহার করলে ভাল হত। ব্যাটিংও ভাল। তবে সে মারকুটে ব্যাটসম্যান নয়। সে খেলাকে টেনে নিয়ে যেতে পারবে। top order(১-৩) যদিও সে নামে না। তার অব্স্থান Upper Middle(৪-৬)-এ। https://sportzwiki.com/cricket/shakib-al-hasan-reveals-the-batting-position-where-he-wants-to-bat-in-odi-cricket , এখানে পড়লাম সাকিবর ইচ্ছা নিয়ে। মাঝে মাঝে সে ৩ নম্বর এ নামলেও সে দাবী করেছে তার সুযোগ কম হয় নামার। হয়ত এক সময় দ্রুত উইকেটের পতন হত, সে আগে নামতে পারত। ১-২-৩ নম্বর নামলেই যে শুধু টেনে নিয়ে যেতে হবে না, স্ট্রাইক করে যেতে হবে। ৩ নম্বর অবস্থানটা খারাপ নয় আবার সে নামলে আহামরি হবে সেটাও নয়। সেও অনেক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। তবে তার উপর ভরসা করা যাবে। তার অভিজ্ঞতা অনেক। সে ভাল খেললে অখুশি হবার প্রশ্নই আসবে না তবে খারাপ খেললে অবশ্যই হব। কাপ্তান হবার যোগ্যতা নিয়ে একটু প্রশ্ন থেকে যায়, তাকে সহকারী কাপ্তান নিয়োগ করাই ভাল হবে। প্রশ্নটা হয় তার ব্যক্তি আচরণ নিয়ে, কিভাবে খেলে সেটা নিয়ে নয়।

মাশরাফিকে কিভাবে বাদ দেই। তাকে তকমা দিয়েছে প্রাণ ভোমড়া হিসেবে। তার বোলিং গতি, তার তরুণ সময়ের মত নয়। কিন্তু good line lenght থাকে। মাঝে মাঝে কাটার করে। সুইং, ইর্য়কার, বাউন্সারও চেষ্টা করে থাকে। গতি না থাকলে বোলিং লিজেন্ড হওয়া যায় না। এখনকার টি২০ যুগে সাধারণ মানের বোলিং আসলেই সাধারণ মানের মনে হয়, যদি না ব্যাটসম্যান ভুল করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসে। এ জন্য good line lenght জরুরী। যারা সে চেষ্টা করে। তার মনোবল খুব শক্ত। দেখলে বুঝা যায়। প্রথম দিকে তার ব্যাটিংশৈলীতে আশার প্রদীপ জ্বালানোর পরেও বর্তমানে খামখেয়ালীতে ভরা। তবে মাঠে নামলে অন্তত একটা ছক্কা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকি। Right Handed Bat + Bowling Style Right-arm fast-medium. যদিও তাকে fast-medium তকমা দেওয়া যায় না। কারণ এটা একসময় সে ছিল। এখন সে সাইফুদ্দিন এর মত medium-fast বোলিং গতির খেলোয়াড়। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিচয়ে তার পুরনো তকমা গণনা করা হয়েছে। কালে ভদ্রে তার গতি ১৩০কি.মি. এর উপরে উঠে যেমন সাইফুদ্দিনেরও উঠে। অনেকে আবার তাকে ইতিহাসের বিখ্যাত বিভিন্ন ফাস্ট মিডিয়াম বা মিডিয়াম ফাস্ট বোলার এর সাথে তুলনা করে কিন্তু তা করা উচিত নয়। তাদের ধারাবাহিকতা ছিল গতিও ছিল ১৩০কি.মি. এর উপর সর্বদা। ৮০ দশকের বা পরবর্তী ধারাবাহিক গতির সাথে বর্তমানের পাথর্ক্য অনেক।

মাহমুদুল্লাহ যাকে ''the silent killer!'' নামে বলা হয়। এবার তার ব্যাপরে বলছি, যখন সে প্রথম খেলা শুরু করে তাকে একদমই ভাল লাগত না। অনেকটা ধীর গতির টেস্ট খেলোয়াড় মনে হত। তবে সে ধরে খেলতে পারত। তবুও তার প্রতি বিরক্ত চরমে উঠতে থাকে। বিশ্বকাপে তার পরিবর্তন ভাল লেগেছে। যুগের সাথে খেলার পরিবর্তন হচ্ছে্। ধরে খেলার মানে একসময়ের উইকেট না বিলিয়ে নয় বরং সাথে ধীরে ধীরে রানের গতি বৃদ্ধি করতে হয়। আশা করি আরও পরিবর্তন হবে। Batting style Right-hand bat + Bowling style Right-arm offbreak. তার বোলিং ভালই, খারাপ নয়। খন্ডকালীন বোলার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সাকিব, মেহেদেী, মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক সবাই মোটামোটি একই ধাচেঁর বোলার। তাই প্রয়োজনবোধে তাকে ব্যবহার করে উইকেট নেওয়া যেতে পারে। ধাচঁ একই হলেও প্রত্যেকের বোলিং ভিন্ন রকম। তাকে ধান্ঠা মাথার খেলোয়াড় মনে হয়। তাকে মাশরাফির যোগ্য উত্তরসূরী(দলপতি) মনে হয়।

সৌম্যকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার চেষ্টায় আছি। শুরুতে তার ব্যাটিং তান্ডবে তাকে আরেক তামিম নয় বরং ২য় প্রজন্মের তামিম মনে হচ্ছিল। তার ব্যাটিং সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন নাই। খারাপ খেললে কি করা। তবে বাংলাদশের উচিত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদের খেলানো। সে খারাপ খেললে আরেকজনকে সুযোগ দেওয়া। কিন্তু অতিরিক্ত পরীক্ষা নীরিক্ষা ভাল কিছু বয়ে আনবে না। Batting style Left-hand bat+Bowling style Right-arm medium-fast+Height 5 ft 10 in. তার উচ্চতার সাথে অমিল হয়ে বোলিং গতি আরও কম। কিন্তু সেটা একটা বড় সুবিধা যে খন্ডকালীন বোলার হিসেবে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগকে সমৃদ্ধ করবে। তবে তার আক্রমণাত্নক ব্যাটিং আমাকে টানে। এখনকার যুগে এটাই উপযোগী। তার ফিল্ডিং ভাল লাগে।

সাব্বিরকেও আমি সৌম্যের পর্যায়ে ধরব। তার আগমণ আশারা বার্তা নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সে ধরে রাখতে পারে নাই ব্যাটিং জগতে। কেন পারে নাই, এর উত্তর আমার জানা নাই। মনস্তাত্বিক হলেও হতে পারে কিন্তু সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তার আক্রমণাত্নক ব্যাটিং ভাল হয়, যদি সে করতে পারে। বাংলাদেশে hard hitter এর খুব অভাব। কিন্তু সে অভাব পূরণ করেও করতে পারছে না। বিশেষ করে শেষের দিকের ব্যাটিং-এ। তার কিন্তু আরেকটা পরিচয় আছে যা আমরা ভুলে যাই, সেটা হল বোলার চরিত্র। Batting style Right-hand bat + Bowling style Legbreak. তার এই চরিত্রকে ফুটাতে ব্যর্থ হয়েছি। কারণ আন্তর্জাতিক মহলে তাকে খুব কম ব্যবহার করা হয়। সম্ভবত ঘরোয়াতেও বোলিং করা কমিয়ে দিয়েছে। ঘরোয়াতে ১-৩ নম্বর অবস্থানে ব্যাটিং করলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং অবস্থানে মধ্যভাগে বা শেষে ব্যবহার করা হয়। তার কারণ সম্ভবত রানের চাকার গতিকে বৃদ্ধি করা এবং বাকিদের ভাল ব্যাটিং এর কারণে সুযোগ না পাওয়া। ইদানিং নিজেও সে ভাল করছে না। ব্যক্তি হিসেবে কি রকম আলোচনা করছি না, শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই তাকে বিবেচনা করলাম।

মেহেদী হাসান মিরাজ একজন উদিয়মান খেলোয়াড় তাকে আগামীর সাকিব মনে হয়। তাকে অনেকটা সাকিব-সাকিবই মনে হয়। এটা একেক জনের ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোন। সে যুব দলের সাবেক অধিনায়ক। সে অনেক কিছু শিখছে, আশা করি একদিন তার পরিপূর্ণতা আসবে। Batting style Right-hand bat+Bowling style Right-arm offbreak. বোলিং বিভাগেও সাকিবের স্থলাভিষিক্ত হবে একদিন আশা করি। সেও একজন খন্ডকালীন বোলার হিসেবে দলকে সহযোগীতা করতে পারে। তবে ব্যাটিং বিভাগে আরও ভাল করতে হবে। টেস্ট খেলার মত ১দিনের খেলা খেললে হবে না।

মোসাদ্দেককেও আগামীর অলরাউন্ডার মনে হয়। তার একটা গনমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিল সে নাকি সীমানা পার করতে পারে না, কারণ গেইল এর মত শরীর নয়। হয়ত ইউটিউবে সাক্ষাৎকার পাওয়া যাবে। এই ধরনের মনোভাব ভুল। শচীনের শরীর কোন অতি মানবের নয়। দক্ষ হলে বাজে, ভাল কিংবা যে কোন বলে রান বাহির করা যায়। তাই তার মনোভাব নিয়ে চিন্তিত। তার খেলার ধরন ধীর গতির। কালে ভদ্রে সে আক্রমণাত্নক হয়, যেমন শেষ বাংলাদেশ ও.ইন্ডিজ এর সাথে করেছিল। Batting style Right-hand bat+Bowling style Right-arm offbreak. বোলিং ভয়ংকার না হলেও মাহমুদুল্লাহ, সাকিব, মেহেদীকে সঙ্গী করে খন্ডকালীন বোলিং করে দলকে সহযোগীতা করতে পারবে। আমি আগেই বলেছি, দলে এখনও কোন সত্যিকারের ঘূর্ণি বোলার আসে নাই। ধীর গতির ব্যাটসম্যান। আমি আশা করি আমার ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে একদিন।

মুশফিক যাকে আমার ভাল লাগে। তাকে তরুণ আশরাফুল, ভারতের ধোনির মত মনে হয়। Batting style Right-hand bat+Fielding position Wicketkeeper. ধরে খেলতে পারে, আক্রমণাত্নকও হতে পারে। তার শারীরিক উচ্চতা ভাল থাকলে হয়ত আরও ভাল ব্যাটসম্যান হতে পারে। কোমড় উচ্চতার বল খেলতে একটু কষ্ট হয় তার। কিপিং নিয়ে সন্তুষ্ট কিন্তু আরও ভাল করতে হবে। মাঝে মাঝে ভুল করে। ভুল ভ্রান্তি নিয়েই মানুষ।

লিটন দাসকে উইকেটের পিছনে খুব কম দেখা যায়। মাঝে মাঝে আক্রমণাত্নক খেলে। উদীয়মান খেলোয়াড় ১-৩ ব্যাটিং অবস্থান তার। উইকেটের পিছনে তেমন একটা দেখা হয় না। মাঝে-মাঝে পরিবর্তন করে খেললে মুশফিকের উপর চাপ কমবে। Batting style Right-hand bat+Fielding position Wicketkeeper. সে পর্যবেক্ষণে আছে। দেখা যাক সামনে কি করে।

মোহাম্মদ মিঠুন সাহেব তো সবার আগে পর্যবেক্ষণে রয়েছে। Playing role Top-order batsman+Batting style Right-hand bat+Fielding position Wicketkeeper. সে হয়তো ভঙ্গুর ঘরোয়া লীগে উপরের ১-৩ এ খেলার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু আন্তর্জাতিকে ঠিক কোন অবস্থায় আছে বোঝা দায়। টেস্ট খেলায় রেখে দেওয়া যেতে পারে। ১দিনের খেলায় কেমন যেন সে। আশা করি একদিন উঠে আসবে সামনে। ঘরোয়া লীগকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে না। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিম্ন মানের, মাঠেরও একই দশা। মাঝে মাঝে শুনি, পাতানো খেলার কথা। অবস্থা ভাল নয়। ভাল খেলোয়ার বের হচ্ছে না, যা আসছে তাও আন্তর্জাতিক খেলায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে না।


যে কোন ভুল তথ্য পরিবর্তন করা হবে। ইংল্যান্ডের সাথে খেলা মনে হয় শেষ, ফলাফল দেখি নাই। হয়ত জিতবে না।

আগামীতে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যানেদের নিয়ে আলোচনা করব। হারলেও জিতলেও, ওই বাংলাদেশই:)

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ক্রিকেট খেলেন?

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:২১

রিফাত হোসেন বলেছেন: ছোটবেলায় কানা-মাছি,ডাংগুটি ইত্যাদি খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল। পাশাপাশি পরন্ত সময়ে ফুটবল-ক্রিকেট বাদ যায় নি। আমি কখনোই ভাল খেলোয়াড় ছিলাম না।

* সামুর অবস্থা ভাল নয়। মুঠোফুনে উত্তর দেওয়ার পর, উত্তর গুলি প্রতিমন্তব্য হিসেবে গণনা না করে, এক একটি মন্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে। এমনিতেই ডিজিটাল খড়গ রয়েছে, তার উপর নিজস্ব কারিগরীত্রুটি(সফটওয়্যারজনিত)।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪১

রিফাত হোসেন বলেছেন: ছোটবেলায় কানা-মাছি,ডাংগুটি ইত্যাদি খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল। পাশাপাশি পরন্ত সময়ে ফুটবল-ক্রিকেট বাদ যায় নি। আমি কখনোই ভাল খেলোয়াড় ছিলাম না।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আজ আমাদের খেলোয়াড়রা মন দিয়ে খেলে নি। আন্তরিকতার অভাব ছিল।

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: কথা সত্য।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বিশ্লেষন ভালো হয়েছে।

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:৫১

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ছোটবেলায় কানা-মাছি,ডাংগুটি ইত্যাদি খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল। পাশাপাশি পরন্ত সময়ে ফুটবল-ক্রিকেট বাদ যায় নি। আমি কখনোই ভাল খেলোয়াড় ছিলাম না।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাংলাদেশের বোলাররা আজকে ম্যাচ নাগালে বাহিরে েলে দিলো।

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:২৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-১ এ বোলিং বিভাগ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। একেই প্রতিফলিত করে বলব যে, বাংলাদেশ একটি সাধারণ মানের বোলিং বিভাগ গড়ে তুলেছে। এটি খারাপ নয় কিন্তু নিমিষেই খেলার ফল মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারবে না। যদি হয়ে থাকে সেটা হবে কাকতালীয় অথবা মোস্তাফিজ এর একক তারকা সেজে কিছু করা, যা সে প্রায় ভুলে গিয়েছে।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আজকের খেলায় টসে জিতে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ইংল্যান্ডকে ব্যটিং এ পাঠানোর সিদ্ধান্তটি ছিল ভুল । তারা তারা এর ফলে কোন রকম চাপমুক্তভাবে খেলার সুযোগ পেয়েছে । মনে রাখা উচিত ছিল উইকেট নেয়াটা ঘটে বাইচান্সে, আর আর রান তুলা যায় একটু সচেতন হলে । ইল্যংন্ডেরে বর্তমান ব্যাটিং ক্ষমতাটি মাথায় রাখা উচিত ছিল । বিশ্ব কাপ ক্রিকেট চলাকালে বাংলাদেশ দলের খেলোয়ারদের সামর্থতা সম্পর্কিত সম্ভাবনা ও দুর্বল বিষয়াদি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:৩১

রিফাত হোসেন বলেছেন: একমত। বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগ শক্তিশালী হলেও একে আরও শক্তিশালী করা উচিত যাতে টি২০ এর মত করে ১দিনের খেলাতেও একটু রানের পসরা সাজাতে পারে। প্রতিযোগীতা না হলে খেলা দেখে বিনোদিত হতে পারি না। :)

আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করা হল। ঈদে নিশ্চয়ই সেমাই খেয়েছেন। আমারও সেমাই প্রিয়। তবে রক্তের দিকে তাকাতে হয়, হুহু করে অনেক উপাদানই বেড়ে চলে।

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:১৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা এবাং ক্রিকেট কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অনেক অভাব রয়েছে | বাংলাদেশ টিমে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন | মাশরাফির প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে, তারপরও বলতে হবে শুধু কেপ্টেন্সির জন্য তাকে দলে রাখার মতো গ্যাম্বলিং করা অন্তত: এই বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে নেয়া উচিত হবে না | তার পরিবর্তে রুবেলের মতো একজন কার্যকরী বলার প্রয়োজন | মিথুঁনকে সরিয়ে লিটন দাশকে দলে নেয়া প্রয়োজন |

মনে রাখতে হবে বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম ভালো দল | এই দলের যে সকল দূর্বলতা আছে সেগুলো দূর করতে পারলে এটি যে কোনো অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারবে |

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:৪৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা বাক্যকে সমর্থন করি।
একটু যোগ করতে চাই। ক্রিকেটে অঘটন ঘটে। তবে অঘটন নয়, শক্তিশালী দেশ হিসেবেই জয় দেখতে চায় অনেকেই। কিন্তু সত্যি কথা হল বাংলাদেশ শক্তিশালী নয় ততটুকু। বাংলাদেশ দল বিশ্বমানের কিন্তু সর্বোচ্চ মানের নয়।
ফিল্ডিং মোটামোটি মানের, চালানো যাবে। বোলিং দুর্বল যে এটি দিয়েই যে কোন সময় অঘটন ঘটানো যাবে না, কালে ভদ্রে জয় হবে। ব্যাটিং মোটামোটি মানের ৩০০+ রান তাড়া করতে পারবে তবে ৩৭০+ নয়। এইটাই একমাত্র বাংলাদেশের সুবিধা।
জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে প্রত্যেকটা বিভাগে ভাল করতে হবে, যা আপনি বলেছেন দূবর্লতাকে কাটানোর জন্য। এটা সঠিক। এটি যদি বাংলাদেশ বিশ্বকাপ অঘটনের জন্য জয় করলেও মনে পূর্ণ শান্তি থাকবে না। কারণ ১ম স্থান জয় করার পর তা ধরে রাখতে হবে। সেটা ধরে রাখার মত রসদ আপাতত বাংলাদেশের নাই। হয়ত অদূরে হবে। সে দিনেরই অপেক্ষায়।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সময়ের সাথে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেটে অন্যতম ফেবারিট দল।

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: অন্যতম সমাদৃত হিসেবে সবাই আশা করে। যাত্রা শুভ হোক জয়ের সোপানে।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ।

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সুন্দর পর্যবেক্ষণ।

মিঠুনের জায়গায় লিটন দাশকে ব্যবহার করতে হবে। ইংল্যান্ডের গত ম্যাচটাতে রুবেলকে দলে রাখলোনা কেন বুঝলাম না। ফাস্ট বোলিংএর বড় অভাব আমাদের। আর ফিল্ডিং তো যাচ্ছেতাই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.