নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-৩

১১ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫



বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-১
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-২
পর্ব-১ ছিল বোলারদের নিয়ে, ২য় পর্ব হয়েছে অলরাউন্ডারদের নিয়ে। আজ ৩য় পর্বে আলোচনা করা হবে ব্যাটসম্যানদের(যারা আমার চোখে শুধুই ব্যাটসম্যান) এবং ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। যারা আমার চোখে শুধুই ব্যাটসম্যান।
বর্তমানে সে ছাড়া আর কাউকেই pure batsman মনে হচ্ছে না। বাকিদেরকে পর্ব-১ ও ২-এ পাওয়া যাবে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------
তামিম ইকবাল খুবই আক্রমণাত্নক খেলোয়াড়। তার চাচা আকরাম খান ছিল জাতীয় দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় আর ভাইও। ভাইয়ের নাম নাফিস ইকবাল। ভাল না খেললে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাবে। এটার প্রমাণ নাফিস ইকবাল। বর্তমান সময়ে তামিম ভাল খেলছে। খারাপ খেললে তাকে বসিয়ে আরও খেলোয়াড় আছে। তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত হবে। Playing role Opening batsman+Batting style Left-hand bat. হয়ত একসময় স্পিন বোলিং করত। তাকে ধীরে খেলানোর মানে নাই। তাকে তার মত খেলতে দেওয়া উচিত। সে যদি জ্বলে উঠে ৭০-৮০ করেই উঠবে। তা খুব দ্রুতই করবে। মাহমুদুল্লাহ, সাকিব এর মত ধীর গতিতে নয়। কিছু খেলোয়াড় আছে চাইলেও ভয়ংকর হতে পারে না। আবার কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের কাছে ধরে খেলার মানেই কষ্ট! দলের প্রয়োজনে ধীর গতির খেলা, এদের খেলার ধরনকে নষ্ট করে দেয়। বিশ্বকাপে তার থেকে অনেক চাওয়া-পাওয়া রয়েছে।

বর্তমান সময়ের Fielding restrictions and powerplays একটু অন্য রকম। আগেও এই রকম কিছু ছিল। তবে সে সময় আইসিসি নিয়মের বাধ্য বাধকতা এখনকার থেকে শিথিল ছিল। ১দিনের fielding restrictions-১ এখন ৩ভাগে ভাগ করা যায়।
(১-১০ ওভার) -১ম Powerplay---৩০ গজ বৃত্তের বাহিরে সর্বোচ্চ ২জন খেলোয়াড় সীমানা পাহারা দিতে পারবে।
(১১-৪০ ওভার) -২য় Powerplay---৩০ গজ বৃত্তের বাহিরে সর্বোচ্চ ৪জন খেলোয়াড় সীমানা পাহারা দিতে পারবে।
(৪১-৫০ ওভার) -৩য় Powerplay---৩০ গজ বৃত্তের বাহিরে সর্বোচ্চ ৫জন খেলোয়াড় সীমানা পাহারা দিতে পারবে।
আর বৃষ্টি হলে পরিবর্তনযোগ্য। নীচে মাঠের অবস্থা বোঝার জন্য ২.ছবি দেওয়া হল।


batting order -কে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়।
(১-৩)Top order -------------(openers and batsman three)-
(৪-৬)Upper Middle order-(batsmen four to six)------------
(৭-৮)Lower Middle order-(batsmen seven and eight)----
(৯-১১)Tail Enders -----------(batsmen nine to eleven)------

টেস্ট,১দিনের ও ৫দিনের ক্রিকেটের ধরন বেধে ব্যাটিং অর্ডারে খেলার ধরন ভিন্ন রকম হয়। হয়ত কখনও আক্রমণাত্নক কিংবা ধরে খেলতে হবে। সবাইকেই সব জায়গাতে নামানো যায় না। আবার অনেকেই অনেক পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে।
আমাদের আলোচনা ১দিনের ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে।
ব্যাটিং অর্ডার fixed কোন অবস্থা নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন করা যায় ও করা হয়। যেমন: যদি উইকেট থেকে থাকে হাতে শেষ ৪০-৫০ ওভারে। তাহলে Pinch hitter/slogger/hard hitter খেলোয়াড়কে আগে নামানো যেতে পারে, যে হয়ত Lower Middle order-এ খেলে থাকে।

(১-৩)Top order- খেলার শুরুতে নতুন বলের গতি, বাউন্স, সুইং সবই ভাল হয়। এমনকি, এমনসব বোলার রয়েছে যারা নতুন বলেই ভাল করেই ঐসব বোলিং বৈচিত্র আনতে পারে। সুতরাং, এমন পরিস্থিতিতে ভাল ব্যাটসম্যান দরকার। যে নতুনকে সামলাতে তো পারেই, সাথে সাথে রানের চাকা সচল রাখতে পারে। কিন্তু limited overs cricket এর বর্তমান সময়ে আরও দ্রুত রান নিতে হয়, Fielding restrictions-কে কাজে লাগিয়ে। এখানে তামিম, সৌম্য, মুশফিক, সাব্বির, লিটন কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। যদিও মুশফিক এই অবস্থানে খেলে না বা খেলানো হয় না। তার উচ্চতা কম না হলে সে বিধ্বংসী হত। তার কিছু বল খেলতে কষ্ট হয়। তার উচ্চতা 5.24 ফুট। আর তামিমের 5.74 এবং সৌম্যের 6.00 ফুট। শুধু বোলিং, ফিল্ডিং দিয়েই নয় বরং ব্যাটিং করতে গেলেও উচ্চতা ভূমিকা রাখে। তবে ব্যাটিং কৌশল না জানলে বা না প্রয়োগ করলে ১৬ আনাই বৃথা। আক্রমণাত্নক ছাড়া ধরে খেলেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, যেমন সাকিব খেলে থাকে ৩ নম্বর অবস্থানে। এখানে সত্যিকারের ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিতরাই অগ্রাধিকার পায়।

(৪-৬)Upper Middle order- কৌশলগতা কারণে যদি বলি, তাহলে এই (১-৫) ব্যাটিং অর্ডারও Top order হিসেবে গন্য করা সম্ভব। কখনো কখনো দ্রুত উইকেটের পতন ৩,৪,৫ নং খেলোয়াড়কেও নতুন বলের সম্মুখীন হতে হয়। আবার সাধারনভাবে যদি মধ্য ভাগে খেলতে আসে ৪নং খেলোয়াড়, তখন পুরনো বল এবং অধিকাংশ সময়ে স্পিনারদের মুখোমুখি হতে হয়। সুতরাং এই অবস্থানে এমন খেলোয়াড় প্রয়োজন যে পুরনো বলতো অবশ্যই এবং নতুন বলকে মোকাবেলার যোগ্যতা রাখে। যারা ধরে খেলতে পারে, তারাই এই অবস্থানে খেলার যোগ্য। যেমন: সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, মিরাজ, মোসাদ্দেক। তবে আগের সময়ের ২২০-২৭০ যথেষ্ট নয়। ৩০০ রানের মত লক্ষ্য থাকে। সে জন্য strike rotation খুবই জরুরী। বাংলাদেশ এখানে পিছিয়ে। সীমানা পার করার অবস্থা না থাকলে, রান করে রানের চাকা সচল রাখতে হবে। দৌড়ে রান করার অনীহা বা রান করার সময় আউট হওয়া বাংলাদেশে নিয়মিত। যদিও বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রান আউটের তকমা মুশফিকের। তবুও বলব সে অনেক সক্রিয় এই দিক দিয়ে। আমরা শেষ ইংল্যান্ড এর খেলা দেখেছি, যেখানে ইংরেজরা ১ এর জায়গায় ২ রান, এমনকি দৌড়ে ৪ নিয়েছে। মুশফিকের মত কষ্ট সহিষ্ণু খেলোয়াড় খুব কম আছে। ভারতের যেমন ধোনীর। আর বাংলাদেশের মোসাদ্দেক, মিরাজরা রান বাহির করতে পারে না। ১ এর জায়গায় ২ রান দিবে দূরের কথা। মাহমুদুল্লাহও এই রকম মনে হয়। সাকিব রান বাহির করতে পারে কিন্তু দৌড়ানোর ব্যাপারে তার অনীহা আছে। Upper Middle order অবস্থানে অলরাউন্ডাররা থাকে অধিকাংশ সময়ে।

(৭-৮)Lower Middle order- এটি সত্যিকার অর্থেই Middle order বলা যায়। উইকেট পর পরতে এই পরিস্থিতিতে আসতে গেলে খেলা মধ্যভাগেও এসে পরে। এখানে All-rounder খেলোয়াড়গণই প্রাধান্য পায়। উইকেট কিপাররাও এই অবস্থানে খেলে। যদিও আমাদের মুশফিক আরও উপরে খেলে। সেটা তার যোগ্যতা অনুযায়ী। এই অবস্থানে বল অনেক পুরনো হয়ে যায়। আর স্পিন কার্যকরী ভূমিকাও নিয়ে থাকে। Upper Middle order-এর মতই তাদের যোগ্যতা থাকতে হয়। strike rotation এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে এমন সব খেলোয়াড় থাকে যারা ধরে খেলতে পারে আর প্রয়োজনে মোটামোটি আক্রমণাত্নক খেলার যোগ্যতা রাখে। এখানে All-rounder খেলায়োড়দের রাজত্ব হলেও ৮ম অবস্থান বোলারদেরও হতে পারে। তবে সচরাচর কম হয়।

(৯-১১)Tail Enders- যাদেরকে Lower order বা tailenders তকমা দেওয়া হয়। তাদের ব্যাটিং দক্ষতায় ঘাটতি থাকে। এই অবস্থানটা স্থায়ীভাবে বোলারদের জয়জয়কার হলেও নতুন ডেব্যু খেলোয়াড়, খেলায় আঘাত প্রাপ্ত খেলোয়াড় বা প্রয়োজনে উইকেট কিপারও খেলে থাকতে পারে। বর্তমান সময়ে শুধু বোলার বা উইকেট কিপার হয়ে খেলার দিন ফুরিয়ে আসছে। তাই অনেক দলে অলরাউন্ডার বোলার থাকে। শেষের দিকের খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ ভয়ে খেলে যেমন মোস্তাফিজ আর কেউবা hard hitter থাকে, যেমন মাশরাফি। বোলারদের ব্যাটিং দক্ষতাকেও এগিয়ে আনতে হবে, বর্তমানের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে। ১১তম খেলোয়াড়কে Last man Jack বলেও ডাকা যায়।

বাংলাদেশকে আরও পথ অতিক্রম করতে হবে। অনেকেই বিশ্বকাপের অন্যতাম দাবীদার হিসেবে বাংলাদেশ ধরে নিচ্ছেন। আমিও আশা রাখি। বাংলাদেশ শক্তিমত্তায় আগের থেকে শক্তিশালী। আগে সম্মানজনক হারের জন্য খেলতাম, অঘটনের অপেক্ষায় থাকতাম। এখন বাংলাদেশ ভাল দল, ৩টি বা ২টি বিভাগ ঠিকমত করলেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে দেশ। ভাল দল হলেই হবে না, জিততে হবে। এখন জয়ের ক্ষমতা রাখে। একদিন আমরা ৩টি বিভাগের যে কোন ১টি দিয়েই প্রতিপক্ষকে তছনছ করতে পারব তবে ৩টি বিভাগই জরুরী। সমস্যা হল আমরা যেমন উন্নতি করছি তেমনি উন্নত দলগুলিও তাদের উন্নতি না থামিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যেমন ভারত। ভারতের বোলিংকে আগে সাদামাট মনে হলেও, এখন তা নয়। তারাও এগিয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তান বোলিং আক্রমণ বিশেষ করে স্পিন অনেক ভাল হয়েছে। কিন্তু অনেকে পিছিয়ে গিয়েছে, যেমন শ্রীলংকা, ও.ইন্ডিজ। আমাদের মোস্তাফিজ তেমননি গতির কান্ডারী হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে আরেক রুবেল, যার নাম তাসকিন তাকে হারিয়ে যেতে দেওয়া ঠিক হবে না। ব্যাটিং-এ তামিমকে সৌম্য ও লিটন এগিয়ে নিচ্ছে। সাকিবের পিছনে মোসাদ্দেক,মিরাজদের উপর ভরসা করা হচ্ছে। এরা আগামীর বাংলাদেশ।
যদি সম্ভব হয় তাহলে আগামী পর্ব আসবে ফিল্ডিং নিয়ে। আর না হলে পর্ব এখানেই সমাপ্তি ঘটতে পারে। মাঠ নিয়ে হালকা ধারণা দেওয়া হয়েছে এখানে।

যে কোন ভুল তথ্য সংশোধন করা হবে। আমি দর্শক হিসেবে ভাবনা প্রকাশ করেছি মাত্র।
ছবি ২.উৎস: Click This Link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আজকের ম্যাচ টা খেললে আমরা কি জিততে পারতাম??

২| ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: প্রথম ও শেষ পাওয়ার প্লেটা আমরা ভালোমত কাজে লাগাতে পারি না। আমাদের ম

৩| ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। সময় করে পরের পর্বটাও লিখুন।

যে কোন ম্যাচে শুরুটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অপেনিং ভালো না হলে সেরকম বড় স্কোর হয় না। আমাদের মিডিল অর্ডার বরাবরই ম্যাচের হাল ধরে, কিন্তু লোয়ার অর্ডারের সেভাবে ফিনিশিং দিতে পারে না।

বিশ্বকাপে..
তামিম স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছে না।
সৌম্য ইনিংস বড় করতে পারছে না।
সাকিব, মুশফিক অসাধারণ খেলছে।
মিথুন যে কী করছে! লিটনকে খেলানো দরকার।
মাহামুদুল্লাহ খুব স্লো আগাচ্ছে। স্ট্রাইক রেট বাড়াতে হবে।
মোসাদ্দেক, সাইফদ্দিনকে আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। সময়মত ঝড় তুলতে হবে।
মিরাজ এখনো ছন্দে উঠতে পারে নি।
মাশরাফি নামের সুবিচার করতে পারছে না




ক্রিকেট জুটির খেলা। সাকিব-মুশির মত পার্টনারশিপ দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.