নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-৪

২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৭



বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-১-বোলিং
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-২-অলরাউন্ডার
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-৩-ব্যাটসম্যান-ব্যাটিং অর্ডার
পর্ব-৩ ছিল ব্যাটসম্যানদের ও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। আজ আলোচনা করব ফিল্ডিং ও বিষয়ের খাতিরে কিছুটা বোলিং বিভাগ নিয়ে।
লেখাটি সপ্তাহ ধরে রচনা করছি, দুই ভাগে পোস্ট করার ইচ্ছা ছিল তবে এক পোস্টেই শেষ করলাম।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯, বাংলাদেশ ভাবনা পর্ব-১ ক্রিকেট বোলিং নিয়ে বলেছিলাম। তবে গতি নিয়ে বলার সুযোগ হয়নি। আজকে যোগ করে দিলাম।
খেলায় বোলারদের গতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।

1.Ultra Fast (যাদের ১৫০,১৬০ কি.মি. এ ঘুরাঘুরি করে, তবে ইচ্ছে করে ধীর গতিতেও করে)
2.Fast-------------≥১৪১/ ≥৮৮ মাইল
3.Fast-Medium--১৩০-১৪১ কি.মি./ ৮১-৮০ মাইল
4.Medium-Fast--১২০-১২৯ কি.মি./ ৭৫-৮০ মাইল
5.Medium---------১১০-১১৯ কি.মি./ ৬২-৭৪ মাইল

1.Ultra Fast-নাই
2.Fast/Pure Fast (Pure Fast নামটা আমার দেওয়া)-আমার চোখে নাই।

3.Fast-Medium- মোস্তাফিজ, রুবেল ও তাসকিন। রুবেল ও তাসকিনের বল মাঝে-মাঝে ১৪১ কি.মি. এর উপরে উঠে। সে কারণে, আমি তাদের Fast তকমা থাকলেও Fast-Medium দিলাম।

4.Medium-Fast- আমাদের মাশরাফি। মাশরাফির তকমা Fast-Medium হলেও মাঝে মাঝে ১৩১ কি.মি. এর উপর উঠে। অধিকাংশ গতিবেগের বিচারে এই Medium-Fast পদে রাখলাম। আমাদের সাইফুদ্দিনেরও একই অবস্থা। রাহীও এই একই গোত্রের।

5.Medium/slow medium- এখানে রয়েছে আমাদের সৌম্য বলা যায়)। যদিও মাঝে মাঝে তার গতি ১২১ কি.মি. এর উপরে উঠে। এখানে আমাদের এককালের হিরো ও সামাজিকযোগাযোগ্য মাধ্যমে তকমাপ্রাপ্ত গতিমানব সুজনও আছেন। :) আমি মজা করছি মাত্র। এই গতি দিয়েই পাকিস্তান বধ হয়েছিল। পাকিস্তান দলে তখন ইউনুস,শোয়েব,ওয়াসিম সত্যিকারের গতিমানবরাও ছিল । সাথে ছিল আফ্রিদি,সাকলায়েন। তবুও তারা পরাস্ত হয়েছিল। সুতরাং সুজনের অবদান অস্বীকার করতে পারব না। এই বলে পরবর্তীতে ক্রিকেট নিয়ে নেতিবাচক কিছু করাকে কিন্তু ছাড় দিব না। যাই হোক, সুজনের ব্যাপারে পরবর্তী পোস্টে হয়ত বলব।

ক্রিকেট ফিল্ডিং

প্রথমেই বলি ক্রিকেট খেলার মাঠ মূলত ডিম্বাকৃতির হয়ে তাকে। এর ব্যাস: ৪৫০ ফুট থেকে ৫০০ ফুট (১৩৭ মিটার - ২০০ মিটার)। মাঠের মধ্যভাগে পিচের আকৃতি হবে চারকোনা, যার দৈর্ঘ্য ২২ গজ (২০ মি) ও প্রস্থ ১০ ফু (৩.০ মি)। সুনির্দিষ্ট মাঠের আকৃতি নাই। এইজন্য কিছু মাঠ বড় কিংবা কিছু ছোট হয়ে থাকে। তবে এর একটি আনুমানিক চিত্র আছে নীচে।



উইকেট রক্ষক ও বোলার বাদ দিয়ে মোট নয়জন ফিল্ডার রয়েছে। ৯ জন অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। তাই অবস্থান কৌশলগুলিও ৯ দিয়ে তৈরী হয়ে থাকে।

মাঠে ক্রিকেটের ফিল্ডিং অবস্থান অফসাইড ও লেগসাইডে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। ৩০ গজ (light green colour infield/30 yards) & Outfield dark green colour. নীচের ছবিতে রয়েছে।


আরও বিস্তিরিত বোঝানের জন্য ফিল্ডিং অবস্থানগুলো নির্দিষ্ট করার জন্য নীচের ছবি রয়েছে।


ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ফিল্ডিংয়ের অবস্থান। আউটফিল্ডকে হালকা সবুজ, ইনফিল্ডকে মাঝারি সবুজ ও কাছাকাছি ক্যাচিং অবস্থানকে গাঢ় সবুজে দেখানো হয়েছে।

ফিল্ডারদের সাজানোর বিষয়টি ফিল্ডিংকারী দলনেতার অন্যতম প্রধান কৌশলগত বিষয়। একে বিবেচনা করে আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

আক্রমণাত্মক-
...১ নতুন ব্যাটসম্যান
ইনিংসের শুরুতে ব্যাটসম্যানের মনোযোগিতার অভাবে ভুল হিসাব বা অগোছালো শটে পূর্ব থেকেই অবস্থানকারী ফিল্ডারের কাছে ক্যাচ দিতে পারেন।
...২ নতুন বলে
নতুন বলে ফাস্ট বোলাররা সর্বাধিক সুইং ও বাউন্স দিয়ে থাকেন। এরফলে কোন ভুল না করে ব্যাট করা কঠিনতর হয়ে পড়ে। তবে সব বোলার নতুন বলে ভাল করে না। কিছু বোলার পুরানো বলেও ভাল করে। রুবেল পুরোনো বলে যতটা ভাল করে, নতুন বলে তা করে না। সাইফুদ্দিন নতুন বলে ও পুরানো বলে একই করেন, পাথর্ক্য নাই। মাশরাফিও একই। তবে তাসকিন নতুন বলে ভাল করে। রাহীরটা খেয়াল করা হয় নাই।
...৩ খেলার বিরতি থেকে ফিরে
বিরতির পর (নতুন অধিবেশন, খারাপ আবহাওয়া, আঘাতপ্রাপ্তি ইত্যাদি) খেলা পুণরায় শুরু হলে ব্যাটসম্যানকে অবশ্যই অবস্থানের জন্য ব্যাটিংয়ে ছন্দ নিয়ে আসতে হয়। এ সময় তারা আরও কিছুটা ভুল করে থাকেন।
...৪ মানসম্পন্ন বোলারের ক্ষেত্রে
দলের সেরা বোলারদের বল মোকাবেলা করা বেশ কষ্টদায়ক। ফলে তারা আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে সর্বাধিক সুবিধা নিতে পারে।
...৫ বোলারকে পিচ সহায়তা করলে
আর্দ্রতাপূর্ণ পিচে বল হাতে ফাস্ট বোলারেরা বল হাতে অপ্রতিরোধ্য সীমে ছন্দোময় বোলিং করেন। শুষ্ক অবস্থায় ফেঁটে যাওয়া পিচে স্পিন বোলাররা অপ্রতিরোধ্য স্পিন এবং স্যাঁতসেঁতে, তমসাবৃত অবস্থায় সুইং বোলাররা সহায়তা পান। তিন অবস্থার সবকটিতেই শূন্যে ক্যাচ আসার সম্ভাবনা যথেষ্ট থাকে। এরফলে কাছাকাছি এলাকায় আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজাতে হয়। মন্থর পীচে মোস্তাফিজ ভাল করে।
...৬ ব্যাটিং দল চাপে পড়লে
ব্যাটিংকারী দল দূর্বলমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করলে বা মনোবল নিম্নমানের পরিলক্ষিত হলে মাঠে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে চাপ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
...৭ ড্রয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং দল খেললে
প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ব্যাটিং দলকে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে ও খেলার তেমন সময় বাকী নেই, এ অবস্থায় পাশের দিকে বল এবং রান নিয়ন্ত্রণের চেয়ে খেলা শেষ করা জরুরী।

আক্রমণকালে সেখানে ৩ বা ৪ স্লিপ এবং ১ বা ২জনকে গালিতে রাখা যেতে পারে। সম্ভাব্যক্ষেত্রে কেবলমাত্র ঐ এলাকায় ছয়জন ফিল্ডারকে ব্যবহার করা যায়। সাধারণতঃ মিড অফ, মিড অন ও ফাইন লেগকে সহায়তায় ৭-২ আকারে ফিল্ডিং হতে পারে। যদিও কেবলমাত্র দুইজন ফিল্ডার লেগ সাইডে থাকেন, তারা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্তভাবে দীর্ঘক্ষণ বোলারকে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের রেখাকে অনুসরণ করে খুব কমই সহায়তা করেন। এজাতীয় ফিল্ডিং উইকেটের সামনে বিশাল ফাঁকা স্থান পূরণে সক্ষম। আশা করা যায় যে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যাটসম্যান সেখান দিয়ে অগোছালোভাবে আক্রমণ শানবেন ও বল স্পর্শ করে অপেক্ষারত ফিল্ডারদের হাতে ক্যাচে পরিণত হবেন।
ফিল্ডিংয়ের আরও আক্রমণাত্মক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ফিল্ডারেরা স্লিপের বাইরে যেতে পারেন ও গালি এলাকাকে দখলে রাখতে ৬-৩ ও ৫-৪ পদ্ধতিতে অগ্রসর হতে পারেন।

কখনোবা একজন স্পিনার লেগ তত্ত্ব অনুসারে বোলিং করে থাকেন এবং লেগ সাইডে সাতজন ফিল্ডারকে দাঁড় করান।
ফাস্ট ও স্লো বোলারদের ক্ষেত্রে বিপরীত কৌশল অবলম্বন করা হয়। এক্ষেত্রে সাত বা আটজন ফিল্ডারকে অফসাইডে রাখা হয় ও অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরে বল ফেলা হয়। আরেকটি আক্রমণাত্মক অবস্থান হচ্ছে লেগ সাইডে ফাঁদ বসানো। এতে ডিপ স্কয়ার ও ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ এলাকার বাউন্ডারির কাছাকছি ফিল্ডারেরা এতে জড়িত থাকেন। এক্ষেত্রে বোলার বাউন্সার মেরে ব্যাটসম্যানকে শূন্যে হুক মেরে খেলার জন্য উৎসাহিত করেন। ধীরগতির বোলারের জন্য ব্যাটের পিছনের দিকে স্কয়ার এলাকার ১০-১৫ মিটার দূরে ফিল্ডারকে অবস্থান করান। লেগ গ্ল্যান্স ও সুইপের চেষ্টার ফলে তা ক্যাচে পরিণত হয়।

রক্ষণাত্মক-
...১ ব্যাটসম্যান স্থায়ীভাবে অবস্থান করলে
যখন ব্যাটসম্যানদ্বয় দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান করেন ও বোলিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তখন তাদেরকে আউট করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময়ে প্রায়শঃই প্রতিরক্ষাকল্পে সেরা কৌশল অবলম্বন করা হয় ও রান সংগ্রহের হারকে জোরপূর্বক নীচের দিকে নামিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হয় যাতে ব্যাটসম্যান খেলায় ফিরে আসার জন্য অগোছালো শট মারতে উদ্বুদ্ধ হয়।
...২ ব্যাটিংকারী দলের দ্রুত রান সংগ্রহের দরকার পড়লে
এ অবস্থায় ব্যাটিংকারী দলকে জয়ের জন্য বা সুবিধা লাভের (যেমন: সীমিত ওভারের ইনিংসের শেষদিককার ডেথ ওভারগুলোয়) লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে রান তোলার চেষ্টা চালালে ব্যাটসম্যানকে আউট করার চেয়ে রান সংগ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালানো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
...৩ যখন ব্যাটিংকারী দল দ্রুতগতিতে রান তোলে
যদি ব্যাটসম্যান দ্রুতগতিতে রান সংগ্রহে নিজেকে মনোনিবেশ ঘটায়, এ সময় তারা আউটের অনেকগুলো সুযোগ সৃষ্ট করে। ফলে রান সংগ্রহের হারকে কমানোর চেষ্টা চালাতে হবে।
...৪ যখন বোলারকে বল ও পিচ সহায়তা না করে
যখন বল তেমন কার্যকরী হয় না এবং ব্যাটসম্যান প্রতিবারই স্বাচ্ছন্দ্যে মোকাবেলা করে, তখন শেষ ভরসা হিসেবে যতটুকু সম্ভব কাছাকাছি এলাকায় ক্যাচ ধরার উদ্দেশ্যে ফিল্ডারদেরকে অবস্থান করাতে হবে।
...৫ যখন দূর্বলমানের বোলারদেরকে ব্যবহার করা হয়
কোন কারণে অপেক্ষাকৃত দূর্বলমানের বোলারদেরকে বল করানো হলে সেরা কৌশল হিসেবে প্রায়শঃই সম্ভাব্য ক্ষতি এড়ানোর লক্ষ্যে মুক্তভাবে রান তোলাকে সীমিত পর্যায়ে রাখতে হবে।

সচরাচর অধিকাংশ ফিল্ডারই অফ-সাইডে অবস্থান করে থাকেন। মূলতঃ অধিকাংশ বোলারই তাদের ডেলিভারিগুলোকে রেখার দিকে বা অফ স্ট্যাম্পের বাইরে রাখতে সচেষ্ট হবার দিকে মনোনিবেশ ঘটান। তাই অধিকাংশ শটই অফ-সাইডের দিকে হয়ে থাকে।

ক্রিকেটীয় শব্দ যা ফিল্ডিং ও ধারাভাষ্যে ব্যবহার হয়, বোঝার জন্য নীচে রয়েছে।
∎এক রান রক্ষা বা এক নেয়ার মুহুর্তে
সাধারণতঃ উইকেটের প্রায় ১৫-২০ গজ (১৪-১৮ মিটার) দূর থেকে যতটুকু কাছাকাছি সম্ভব অবস্থান করে ফিল্ডার ব্যাটসম্যানকে দ্রুততার সাথে দৌঁড়ে এক রান সংগ্রহ করা থেকে বিরত রাখেন।
∎দুই রান রক্ষা করতে চাইলে
সাধারণতঃ উইকেটের প্রায় ৫০-৬০ গজ (৪৬-৫৫ মিটার) দূর থেকে যতটুকু কাছাকাছি এলাকায় সম্ভব অবস্থান করে ফিল্ডার ব্যাটসম্যানকে দৌঁড়ে দুই রান সংগ্রহ করা থেকে বিরত রাখেন।
∎রাইট অন
আক্ষরিক অর্থে ঠিক বাউন্ডারি সীমানায়।
∎ডিপ, লং
ব্যাটসম্যান থেকে বেশ দূরে।
∎শর্ট
ব্যাটসম্যানের কাছাকাছি।
∎সিলি
ব্যাটসম্যানের খুব কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান। এরফলে তার সমূহ বিপদের আশঙ্কায় রয়েছে।[২]
∎স্কয়ার
পপিং ক্রিজের কল্পিত বর্ধিতাংশ বরাবর অবস্থান করা।
∎ফাইন
পিচের মাঝ বরাবর স্ট্যাম্পের বিভক্ত অংশের কাল্পনিক রেখার বর্ধিতাংশের কাছাকাছি এলাকা। স্কয়ারের পিছনে ফিল্ডারের অবস্থান।
∎স্ট্রেইট
পিচের মাঝ বরাবর স্ট্যাম্পের বিভক্ত অংশের কাল্পনিক রেখার বর্ধিতাংশের কাছাকাছি এলাকা। স্কয়ারের সামনে ফিল্ডারের অবস্থান।
∎ওয়াইড
পিচের মাঝ বরাবর স্ট্যাম্পের বিভক্ত অংশের কাল্পনিক রেখার বর্ধিতাংশের দূরের এলাকা।
∎ফরোয়ার্ড
স্কয়ারের সামনে; বোলার কর্তৃক শেষদিকে দখলকৃত মুখোমুখি এলাকা এবং স্ট্রাইকে অবস্থানকারী ব্যাটসম্যানের অধিকৃত এলাকা থেকে দূরে।
∎ব্যাকওয়ার্ড
স্কয়ারের পিছনে; স্ট্রাইকে অবস্থানকারী ব্যাটসম্যানের অধিকৃত এলাকার মুখোমুখি এলাকা ও বোলারের দখলকৃত এলাকা থেকে দূরে।
এছাড়াও, ধারাভাষ্যকার বা দর্শকেরা মাঠে অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে থাকেন। তারা গালি ‘ইজ এ বিট ওয়াইডার দেন নরমাল’ (যার অর্থ দাঁড়ায় - স্বাভাবিকের চেয়ে তিনি আরও পার্শ্বে চলে গেছেন) বা ‘মিড অফ ইজ স্ট্যান্ডিং টু ডিপ, হি শুড কাম ইন শর্টার’ (যার অর্থ দাঁড়ায় - তিনি অনেকটা দূরে চলে গেছেন এবং ব্যাটসম্যানের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করছেন) বর্ণনাত্মক বাক্যাংশ পরিভাষারূপে প্রায়শঃই ব্যবহার করে থাকেন।

বর্তমান সময়ের Fielding restrictions and powerplays একটু অন্য রকম। আগেও এই রকম কিছু ছিল। তবে সে সময় আইসিসি নিয়মের বাধ্য বাধকতা এখনকার থেকে শিথিল ছিল। ১দিনের fielding restrictions-১ এখন ৩ভাগে ভাগ করা যায়।
(১-১০ ওভার) -১ম Powerplay---৩০ গজ বৃত্তের বাহিরে সর্বোচ্চ ২জন খেলোয়াড় সীমানা পাহারা দিতে পারবে।
(১১-৪০ ওভার) -২য় Powerplay---৩০ গজ বৃত্তের বাহিরে সর্বোচ্চ ৪জন খেলোয়াড় সীমানা পাহারা দিতে পারবে।
(৪১-৫০ ওভার) -৩য় Powerplay---৩০ গজ বৃত্তের বাহিরে সর্বোচ্চ ৫জন খেলোয়াড় সীমানা পাহারা দিতে পারবে।
আর বৃষ্টি হলে পরিবর্তনযোগ্য। নীচে মাঠের অবস্থা বোঝার জন্য ২.ছবি দেওয়া হল।


ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা
ক্রিকেটে ফিল্ডিংয়ের জন্য বেশ কিছুসংখ্যক দক্ষতার প্রয়োজন।
কাছাকছি এলাকায় ক্যাচ ধরার জন্য খুব দ্রুততার সাথে উচ্চমানে ক্ষমতাশৈলীর প্রয়োজন পড়ে। ক্যাচগ্রহীতার জন্য গভীর মনোযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। পুরো খেলায় তিনি হয়তোবা একটিমাত্র ক্যাচ নেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাতে পারেন, কিন্তু তার এ ক্যাচ নেয়ায় সফলতা খেলায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ইনফিল্ডার ফিল্ডিং ব্যবস্থা ব্যাটসম্যান থেকে ২০ থেকে ৪০ গজ দূরে হয়ে থাকে। এ সময়ে বলকে বেশ জোড়ালোভাবে আঘাত করা হয় ও চমৎকার অ্যাথলেটময় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শসহ সাহস নিয়ে তাদের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া বলকে থামানোর প্রয়োজন পড়ে। ইনফিল্ডে ক্যাচের এলাকা বেশ সহজ, ধীরগতিতে নড়াচড়া করে সুযোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে তা ডলি নামে পরিচিত। জোড়ালোভাবে মারা বলগুলোর জন্য দর্শনীয় ডাইভিং ক্যাচ নেয়ার সক্ষমতা দেখাতে হয়। অবশেষে, ইনফিল্ডাররা ক্রিকেট খেলায় রান আউটের ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক শক্তি এবং তাদের বল দ্রুত ধরার সক্ষমতা, একে সোজা ও জোড়ালোভাবে স্ট্যাম্প বরাবর সরাসরি নিক্ষেপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকারূপে বিবেচিত।
আউটফিল্ডাররা ব্যাট থেকে অনেক দূরে অবস্থান করেন। সচরাচর তারা সীমানার ডান প্রান্তে থাকেন। তাদের প্রধান কাজই হচ্ছে বলকে বাউন্ডারি এলাকার উপর দিয়ে বলকে আটকানো এবং চার বা ছয় রান নেয়া থেকে দলকে রক্ষা করা। তাদের পায়ের চমৎকার গতিময়তার প্রয়োজন রয়েছে যাতে মাঠে দ্রুতগতিতে বিচরণ করতে পারেন এবং শক্তিশালী বাহুর সাহায্য নিয়ে ৫০-৮০ গজ দূর থেকে বল নিক্ষেপ করতে পারেন। এছাড়াও আউটফিল্ডাররা প্রায়শঃই ইনফিল্ড এলাকা অতিক্রম করে জোড়ালোভাবে মারা উঁচু বলকে ক্যাচে পরিণত করেন।

অনেক ক্রিকেটারই তাদের কোন এক ফিল্ডিং অবস্থানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন এবং সচরাচর তাদেরকে সেখানেই দেখা যায়। তবে স্লিপ ফিল্ডারেরা শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হয়ে থাকেন

আমার চোখে সেরা ফিল্ডার: জন্টি রোডস
বাংলাদেশ এর ভাল ফিল্ডার: সৌম্য, মিরাজ, বিলাই সাব্বির, তামিম, রুবেল, মাশরাফি ও অনেকে।

বাংলাদেশ দলে অ্যাথলেটময় ক্রীড়াশৈলীর জন্যে ছোট থেকেই প্রশিক্ষণ করা যেতে পারে। এতে অনেক flexibility বৃদ্ধি পাবে। তবে কিশোর বয়স থেকেই শুরু করা উচিত।
ভাল দলীয় ক্রীড়াশৈলীর জন্য পরস্পর বোঝাপড়া থাকা উচিত।
GPS Player Tracking System থাকলে ভাল হবে। এতে right from speed intensity, acceleration, to heart rate and step balance (the measure of impact on the left and right leg) বুঝা যাবে। অতটা জরুরী না, তবে থাকলে সুবিধা বৈ অসুবিধা হবে না। দ্রুত দৌড়ানো, দূরে নিক্ষেপ এগুলো চর্চাতে সুবিধা হবে।

ফিল্ডিং এ কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখা দরকার। উইকেট কিপার রান আউটের ক্ষেত্রে উইকেটের পিছনে অবস্থান করবে, সামনে নয়। কিন্তু মুশফিকের মাঝে মাঝে ভুল করে বা ভুলে যায়। এই ব্যাপারটা বোলারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তারাও বোলিং এর পর রান আউটের ক্ষেত্রে উইকেটের সামনে নয় বরং পিছনে থাকবে। এই কাজটা দ্রুত করতে হবে। আজকে মোসাদ্দেক একটা রান আউটের সময় উইকেটের সামনে দাড়িয়ে ফিল্ডারর লিটনকে দ্রুত বল কুড়ানোর কথা বলছিল। পরে গালির মত কিছু বলল! লিটন সরাসরি উইকেটে লাগাবেই বা কিভাবে? তার উপর মুশফিক বলছে ''কিপার কিপার''। ফিল্ডারকে বিভ্রান্ত করছিল। বলটা বোলারের দিকে উইকেটে আঘাত করার কথা। তাই আগে থেকে মুশফিকের একবার ''কিপার কিপার'' বা ''বোলার বোলার'' বলে ফিল্ডারকে বিভ্রান্ত করা নিষ্প্রয়োজন। নিশ্চিত হলে বলা যেতে পারে।

রোডস এর বিখ্যাত ফিল্ডিংগুলির একটি


বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান খেলা চলছে। ৩৩০+ আশা করেছিলাম, পরে ৩০০+ -এ নেমে এসেছে। কিন্তু ২৫০+ এ শেষ করল। মোস্তাফিজের ঝলক দেখার অপেক্ষায় আছি। উইকেট নিতে হবে। এই খেলা পারার কথা। না পারলে বিশ্বকাপ দূরে থাক, সেমি আশাই বাদ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে দূরপরিকল্পনা ও ইতি ও নেতিবাচক ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা আছে। সাথে রয়েছে তামিম; মাশরাফির ও অন্য খেলোয়াড়দের গণমাধ্যমে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্যের পর্যালোচনা। তা খেলাকে তথা বিনোদন ও দর্শককে কতটা প্রভাবিত করে তা স্পষ্ট হবে। তাছাড়া দশর্কদের তথা বাংলাদেশীদের চাওয়া পাওয়াও বাদ যাবে না। তা কতটা কল্পনাপ্রসূত আর কতটুকু নয়। যদি সময় হয় তাহলে চালিয়ে যাব।

যেকোন ভুল তথ্য সংশোধন করা হবে। আমি কোন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নই তবে দর্শক হিসেবে যতটুকু বোঝতে পেরেছি ততটুকু
সহযোগী উৎস: en.wikipedia.org , espncricinfo.com , quora.com

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ প্রয়াসলব্দ পোষ্ট । ক্রিকেট খেলা সম্পর্কে অনেক শিক্ষনীয় আছে ।
আজকের খেলায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বিজয়ে
টাইগার বাইহনীর প্রতি রইল অভিনন্দন ।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
বিজয় খুব আনন্দের হয়। :)

২| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। সাথে থাকার জন্য।
অনেকদিন dslr ধরা হয় না। আমার কি বোর্ড এ ''ৎ'' টাইপ করা যায় না। আমি ভার্চুয়াল কি বোর্ড দিয়ে কাজটা সেরে থাকি।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

অনুভব সাহা বলেছেন:


বিশ্লেষণ সুন্দর হয়েছে। খেলা সম্পর্কিত আপনার পোস্টগুলো বেশ ভালো।


■(বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান খেলা চলছে। ৩৩০ আশা করেছিলাম, পরে ৩০০ -এ নেমে এসেছে। কিন্তু ২৫০ এ শেষ করল।)
_ সাউদাম্পটনের এই মাঠে ৩০০র অধিক রান আশা করাটা বেশী হয়ে যায়। ২৬২রান সন্তোষজনক তবে আরেকটু রান করা দরকার ছিল।
তামিমের স্ট্রাইকরেট আর মাশরাফির বোলিংএ আমি আশাহত। আফগানিস্তানের প্রথম দশওভার হয়তো দেখেছেন? মোস্তাফিজও ঠিকমত উইকেট পাচ্ছে না। জাত বোলাররা উইকেট না পেলে সমস্যা

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: মে মাসের ইংল্যান্ড পাকিস্তান সিরিজে রোজ বোল মাঠে খেলা হয়েছিল। মাঠ যদিও বড়। পাকিস্তান ৩৬০+ রান করেছিল। আর ইংল্যান্ডও ৩৭০+ রান করেছিল। মন্থর পিচ হওয়াতে ২০০+ রান করতেই বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচ গুলিতে নাভিশ্বাস উঠছিল। ব্যাপারটা মনে হয় স্পিন দেখেশুনে খেলার কারনে। পিচটা পুরনো ছিল। ১ম ইনিংস ব্যাটসম্যানদের মানষিক চিন্তা ভর করত। (সম্ভবত)
আর আশা... :) আশা আমি করি একটু বেশী বলা যায়। বাংলাদেশ হারার সময়ও আশা করি যদি কোন অলৌকিকভাবে হ্যাট্রিক করে বাংলাদেশের বোলার।
আপনি সঠিক ৩০০+ সঠিক হত, যদি বাংলাদেশ একটু নির্ভয়ে খেলত। হাতে উইকেট ছিল।

মাশরাফি নিয়ে বলা যায় অনেক কিছু, এই নিয়ে আলাদা পোস্ট দিব। সে একসময় নড়াইল এক্সপ্রেস নামে পরিচিত ছিল, সেটার সুবাদেই ছিল। কিন্তু কেউ সে নামে ডাকে না আর। কারনটা গতি। আতহার আলী খান বলে কালে ভদ্রে।

ঠিক বলেছেন, বোলিং এ ভাল করতে হবে। শুধু ভাল নয়, উন্নতির ফলাফল দেখাতে হবে।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। সাথে থাকার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.