নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুস্বাস্থ্যই পৃথিবী

সুস্বাস্থ্য জনগণের মৌলিক অধিকার

ডাঃ নূর রিফফাত আরা

সুস্বাস্থ্য জনগণের মৌলিক অধিকার

ডাঃ নূর রিফফাত আরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাণঘাতি ইবোলা ভাইরাস

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯



ইবোলা একটি বিরল কিন্তু মারাত্মক ভাইরাস। বাদুড়ের বেশ কিছু প্রজাতি এই ভাইরাসের মুখ্য পোষক।

এই ভাইরাস শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ইমিউন সিস্টেমের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা পরিশেষে মানব কোষে প্রবেশ করে খুব দ্রুত সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় এদের চাপে কোষ ফেটে যায় এবং নতুন ভাইরাসগুলো নতুন নতুন কোষকে আক্রান্ত করে ,ফলে শরীরের বাইরে ও ভিতরে তীব্র রক্তক্ষরন হয়।এটাই Ebola hemorrhagic জ্বর বা ভাইরাস Ebola হিসাবে পরিচিত রোগ।

এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে মৃত্যু ঘটে। যা ৯০% পর্যন্ত নিহত হতে পারে।



সংক্রমণঃ

রোগ সংক্রমিত প্রাণী ও পশু উপকরণ থেকে, হাসপাতালে আক্রান্ত সূঁচ মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে।



উপসর্গ

১। উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর

২। রক্তক্ষরণ

৩। স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি

৪।ডায়রিয়া ও বমি

৫।মাথা ব্যাথা

৬। পেশী, গলা, পেট ব্যথা

৭।দুর্বলতা/ ক্লান্তি

৮।ক্ষুধা মন্দা

সংক্রমণের পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে। থুথু ও ঘামের মাধ্যমেও এ ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।



দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষনঃ

• চোখ, কান, নাক থেকে রক্তপাত

• মুখ এবং মলদ্বার (থেকে রক্তপাত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত )

• আই ফুলে ( নেত্রবর্ত্মকলাপ্রদাহ )

• জেনিটাল ফুলে (labia সঙ্গে এবং অণ্ডকোষ )

• চামড়া ব্যথা অনুভূতি বৃদ্ধি

• প্রায়ই রক্ত রয়েছে সমগ্র শরীরের উপর ফুসকুড়ি ( hemorrhagic )

• টাকরা লাল দেখায়



পরিণতিঃ

১।কোমা

২।শক



পরীক্ষাঃ

Ebola জ্বর নির্ণয় করতে ব্যবহৃত পরীক্ষা হল:

• সিবিসি

•Electrolytes

• লিভার ফাংশন টেস্ট

• ভাইরাস Ebola উন্মুক্ত করা হয়েছে কিনা তা প্রদর্শন (ভাইরাস নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি)



চিকিৎসাঃ

রোগীর সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি এবং নিবিড় যত্ন প্রয়োজন হবে। শক-এর জন্য সহায়ক ব্যবস্থা একটি শিরা মাধ্যমে দেওয়া ঔষধ এবং তরল অন্তর্ভুক্ত।

রক্তপাত সমস্যা প্লেটলেট বা তাজা রক্ত রক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।

নির্দিষ্ট সঠিক চিকিৎসা এখনও গবেষনাধীন।



প্রতিরোধঃ

১।মহামারি অঞ্চল এড়িয়ে চলা,

২।গাউন, গ্লাভস পরা,মাস্ক পরা,

৩।রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইবোলা ভাইরাস শনাক্ত করা।

৪।বিমানবন্দর এবং অন্যান্য বন্দরে যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা রাখা জরুরি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

লেখোয়াড় বলেছেন:
ভাল পোস্ট।
আমাদের বাংলাদেশ কি এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে?

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ডাঃ নূর রিফফাত আরা বলেছেন: এখন পর্যন্ত এই ভাইরাস পাওয়া যায় নি।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১১

সামস্ সোহান বলেছেন: ভয় লাগছে.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.