বিদায়ের গান

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

১
পৃথিবী উজ্জ্বল কোরে যেদিন চলে যাব কবিতার মোহ ছেড়ে

তুমি সমুদ্রকে প্রশ্ন কোরো না— কবির প্রিয়তম প্রেমিকার কী নাম

সমুদ্র জানে রোজ শীতের বিকেলে এক মানবীর নাম লিখে আসতাম তার জলে

জলের গায়ে নাম লেখা যায়?

সমুদ্রের দিকে যখন ছুঁড়ে দিতাম কবিতা এবং দীর্ঘশ্বাস
স্রোতে ভেসে যেত তোমার নাম
আমি ফের কুড়িয়ে আনতাম

২
আমার বিদায়বেলায় তোমার মলিন মুখ
ভেবে সুখ পাই
আমার অবর্তমানে তোমার ব্যথা
ভেবে সুখ পাই
আমার মৃত মুখে তোমার উজ্জ্বল স্মৃতি
ভেবে সুখ পাই

দুঃখ!
এ দৃশ্য দেখার অধিকার আমার থাকবে না

৩
একজন কবি এক জীবনে কতবার তোমার নাম উচ্চারণ করেছেন
সে কেবল কবি এবং তাঁর কবিতা জানেন

৪
বিদায়কালে কী মহৎ শব্দ দিয়ে তোমাকে সম্বোধন করি?
কোন আভিজাত্য হৃদয়ে সম্মান জানাই তোমাকে?
আমি না হয় একটা বাস্তব মূহুর্ত দেখাতে পারি—
মানুষ যাকে নরক বলে, আমি বলি শিল্প

৫
তোর বিদায়ের পর আমি দুঃখ খেয়ে কাটিয়ে দেই আমার জীবন

তোর ঠোঁটে অন্য কেউ মাতাল হোক
তোর স্তনে অন্য কারও চিহ্ন পড়ুক

আমি ভাবতে পারি না

৬
আমি বিশ্বাস কোরে তোমার মুখ আঁকলাম
তুমি ভুল কোরে আমার নাম লিখো

আমি ভালোবেসে মরে যাই আজ?
তুমি ঘর কোরে বেঁচে থেকো অনন্তকাল

৭
তুমি আমার আঙুল ধরে হাঁটো
আমি তোমার অন্তর ছুঁয়ে হাঁটি
তুমি আমার মুখে মুখ কোরে বোসো
তোমার মুখ থেকে কুড়িয়ে আনি শব্দ
তুমি আমার পাশে প্রেমিকার মতো শোও
আমি জন্ম দেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা

৮
একটা হৃদয়কে যিশুর নৈশভোজের পর যা থাকে তা মানুষের
আমি সে পবিত্র হৃদয় দিয়ে তোমাকে ভালোবেসেছি

ভুল! ভালোবাসা বোঝার সে মহৎ হৃদয় তোমার হয়নি
তুমি বরং চর্চা কোরো ঘৃণা

৯
তোমার কাছে একটা বেদনা রেখে গেলাম
যার নাম প্রেম
তোমার কাছে একটা হৃদয় রেখে গেলাম
যার নাম গোলাপ
তোমার ওষ্ঠ্যে রেখে গেলাম নরম একটি নদী
যাকে আমি চুম্বন নামে ডাকি
তোমার বুকে রেখে গেলাম কোমল দু'টি পাহাড়
যাদের আমি আত্মহত্যা নামে ডাকি

১০
তোমার শরীরে একগুচ্ছ কবিতা বিছিয়ে দিলাম
যার বিনিময়ে পৃথিবী তোমাকে আমার বোলে জানে

তুমি বসন খুলে পড়ো সমস্ত মূহুর্ত
জেনে যাবে তুমি শুধু আমার

৩ টি +০/-০