নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা--ছেলের কথোপকথন

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৫

ছেলে: বাবা আমার স্কুলের এক ফ্রেন্ডের আব্বুর অনেক টাকা।
বাবা: আমি কি নাচবো?
ছেলে: ওদের বাসায় নাকি সুইমিং পুল আছ.
বাবা: বাথরুমে বাথ-টাব আছে ওখানে পানি ভরে ভাসতে থাকো আর ভাবো ওটাই সুইমিং পুল।
ছেলে: ওদের বাসায় ছোট্ট একটা পার্কও আছে।
বাবা: ছাদে গিয়ে লাফাও আর ভাবো ওটাই পার্ক।
ছেলে: ওর বিশাল বড় টিভি আছে।
বাবা: পড়ার ঘরে অনেক বই আছে সেসব পড়ো।
ছেলে: ওদের নাকি প্রতিদিন বাসায় পার্টি হয়!
বাবা: বাহ! অনেক টাকাতো দেখি ওদের!
ছেলে: ওরা গরিবদের অনেক টাকা দেয়।
বাবা: আমাকে দিতে বলো কিছু টাকা।
ছেলে: ওটা কিভাবে চাই, বলো?
বাবা: গিয়ে বলো আমি চাইছি টাকা?
ছেলে: বাদ দাও, জানো, ওদের ৬ টা গাড়ি।
বাবা: বাসে চড়তেই মজা লাগে।
ছেলে: ও নাকি কখনই বাসে চড়েনি।
বাবা: মলম পার্টির দূর্ভাগ্য এমন বড়লোক পেলোনা!
ছেলে: ও নাকি প্রতি মাসে নতুন নতুন জামা কিনে।
বাবা: কপাল ভালো তাই কিনে।
ছেলে: ওর দুইটা আই-প্যাড।
বাবা: তোমার ড্রইং বইটাই ভালো।
ছেলে: ওকে নাকি ১লাখ টাকা দিয়ে খাট কিনে দিয়েছে।
বাবা: চাদর বিছিয়ে মাটিতেও শোয়া যায়।
ছেলে: আচ্ছা আমার সব কথায় তুমি এমন করে উত্তর দিচ্ছো কেন বাবা?
বাবা: তোমার ঐ ফ্রেন্ডকে বলো ও ঠিকভাবে পড়াশুনা করে কিনা, ওকে আদব-কায়দা ঠিকভাবে শিখানো হচ্ছে কিনা, ওর বাবা-মা ওকে সারাদিন কতো সময় দেয়, ধর্মীয় মূল্যবোধ কতোটুকু জানে আর সবশেষে জিজ্ঞেস করো ও এরকম লোক দেখানো স্বভাব কার কাছ থেকে শিখেছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ছেলে বন্ধুটি ধনী হলেও নৈতিক শিক্ষার দিক দিয়ে গরীব

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি হলো, এসবই অক্ষমের সান্ত্বনা।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

মানবী বলেছেন: সত্য ঘটনা কিনা বা সন্তানের বয়স কতো বুঝতে পারছিনা। তারপরও মনে হলো কথোপোকথনের বাবার সংলাপে হীনমণ্যতাবোধ আর পরশ্রীকাতরতা প্রকট ভাবে ফুটে উঠেছে।

প্রথমত সন্তান এসে মা বাবার কাছে বন্ধুদের গল্প করলে তা আগ্রহ নিয়ে শোনা জরুরী। এমনিভাবে সব কিছুতে নেতিবাচক জবাব পেলে সন্তান এক সময় বন্ধুদের গল্প করা বন্ধ করে দিবে। আজ ধনাঢ্য বন্ধুর গল্পে এমন চটে গেলে আগামীকাল মাদকাসক্ত বন্ধুর গল্প সে অবশ্যই গোপন করবে।

দ্বিতীয়ত: উপরের কথোপকথনে পুত্রে মাঝে নিজের বন্ধু সম্পর্ক এক ধরনের নেতিবাচক মানসিকতা সৃষ্টির চেষ্টা স্পষ্ট হয়েছে। সন্তানের মঙ্গলার্থে তাদের মাঝে সব সময় ইতিবাচক বা পজিটিভ ভাবনার মন তৈরীর চেষ্টা জরুরী, নেতিবাচক নয়।

বন্ধু ধনাঢ্য তাতে খারাপ কিছু নেই তবে তা নিয়ে বড়াই করাটা সম্পর্কে বলতে চাইলে ছেলেকে ভালোভাবে শিখানো যায়। নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তোষ্ট থাকা ভালো তবে তা অপরকে জানানোর প্রয়োজন নেই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। গল্পটি কাল্পনিক। আসলে সেদিন একটি আর্টিক্যাল পড়ছিলাম যে আজকাল কার বাবা মা রা শিশুদের তেমন সময় দেয়না। আইপ্যাড, স্মার্টফোনের যুগে বাবা-মা রা ছেলেমেয়েদের এসব দিয়ে ব্যস্ত রাখে। শিশুদের সাথে সংস্পর্শ কমে আসছে। তাই সেটা মাথায় রেখে একটা গল্প বানালাম যেখানে লেখার চেস্টা করেছি যে বাবা ছেলের কথা কোন মতে শুনে উত্তর দিচ্ছে।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

রফিকুলইসলাম বলেছেন: শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি হলো, এসবই অক্ষমের সান্ত্বনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.