নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরনিন্দা নিয়ে কিছু কথা।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৩

পরনিন্দা যে কত বিরাট বড় একটি অপরাধ সেটি ইমাম গাযযালী (রহ) যেভাবে সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন এরকম ব্যাখ্যা আমার মনে হয় না আর কেউ করতে পেরেছে। পরনিন্দাটা কি? কারও অনুপুস্থিতিতে তার কাজ বা কথার অপ্রিয় সমালোচনা করার নামই পরনিন্দা বা গীবত। এ মারাত্মক ব্যাধি মুসলিম সমাজে যতটা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে এরূপ আর কোন জাতির মধ্যে নেই। অথচ সকলেই জানে গীবত অতি ঘৃণিত কাজ। এতদসত্বেও লোকে তা করে তৃপ্তি লাভ করে।

এ মারাত্মক ব্যাধির চিকিৎসার জন্য সর্ব প্রথম প্রয়োজন তার কারণ বের করা। ইমাম গাযযালী (রহ) যথেষ্ট গবেষণা করে তার কারণ বের করেছেন। তার মধ্যে আটটি কারণ স্বভাবত সকলের মধ্যেই পাওয়া যায়।

আটটি কারণগুলো কি কি:

(ক) মানুষ যখন কারও কোন কথায় রাগান্বিত হয় এবং সে ক্রোধ যদি ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় তখনই প্রতিপক্ষের অনর্থক এবং অপ্রিয় সমালোচনা মুখে আসে। এতে সে মনে করে আমি প্রতিপক্ষের প্রতিশোধ গ্রহণ করেছি। এতে তার অন্তরের জ্বালা অনেকটা প্রশমিত হয়।

(খ) কোন মজলিশে কারও গীবত হতে থাকলে তখন যদি কোন লোক সেখানে এসে উপস্থিত হয় তখন আগন্তুকও সে গীবতে অংশ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। কারণ, তার চুপ থাকা বা প্রতিবাদ করা মজলিশের কেউ বরদাশত করবে না।

(গ) কারও মনে যদি এ ধারনা জন্মে যে, ভবিষ্যতে অমুক ব্যক্তি আমার বদনাম করতে পারে তবে সে পূর্ব থেকেই ই ব্যক্তির নামে কূৎসা রটনা আরম্ভ করে দেয়। উদ্দেশ্য যাতে তার সম্পর্কে কোন কুৎসা লোকের অন্তরে বিশ্বাস জন্মাতে না পারে। আর যদি পরে গীবত করেও তখন সে বলতে পারে আমি তার সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করে দেয়ায় সে আমার সাথে এমন শত্রুতা করছে।

(ঘ) প্রকৃতপক্ষে কারও প্রতি যখন কোন মিথ্যা বা অমুলক অপবাদ প্রয়োগ করা হয় এবং সে ব্যাক্তি নিজকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায় তখন প্রমাণ স্বরূপ এমন ব্যাক্তির নাম পেশ করে যে প্রকৃতপক্ষেই ঐ ধরনের অপবাদের যোগ্য। কিন্তু তার উচিত ছিল আত্ম-পক্ষ সমর্থন করা-অন্য লোকের দৃষ্টান্ত দেয়া নয়।

(ঙ) নিজের ব্যক্তিত্ব ও কৃতিত্ব প্রকাশ করার জন্য সাধারনত অন্যের সমালোচনা করা হয়। যেমন এক লেখক অন্য লেখক সম্পর্কে বলে তার ভাষায় কোন প্রাণ নেই, আবেগ নেই। তার এ উক্তির অন্তরালে লুকায়িত থাকে যে তার নিজের ভাষা অত্যন্ত সরল এবং উপভোগ্য।

(চ)কোন ব্যক্তি তা সমকক্ষ বা সমসাময়িক ব্যাক্তির সুনাম সুখ্যাতি সহ্য করতে পারেনা। অগত্যা সে তার গীবত করতে আরম্ভ করে যেন জন সাধারণের মন থেকে তার মান-মর্যাদা লোপ পায়।

(ছ) হাসি-তামাসার জন্য মানুষ অনেক সময় অন্যের কুৎসা করে এতে আসর গরম হয় এবং সকলেই গোপন তথ্য প্রকাশের স্বাদে আপ্লুত হয়।

(জ) কারও প্রতি ব্যঙ্গ বিদ্রুপ এবং উপহাস করার উদ্দেশ্যেও অনেক সময় গীবত করা হয়।

উপরোক্ত কারণগুলো সাধারণতঃ সকলের চরিত্রের সাথেই সংমিশ্রিত।












মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.