নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ংকর এক রাতের কাহীনি।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:৩৯



সেদিন কাজ করে বাসায় আসতে আসতে দেরী হয়ে গিয়েছিল। বাসা থেকে কাজের জায়গায় হেটেহেটে যেতে লাগে ১০ মিনিট আর বাসে করে গেলে লাগে ৩-৪মিনিট। সেদিন অনেক কাজ ছিল তাই রাত ১টা হয়ে গিয়েছিল যখন আমি আমার কাজের জায়গা থেকে বের হই। সামনেই ছিল বাস স্ট্যান্ড। ভাবলাম রাত হয়ে গিয়েছে হেটেহেটে বাসায় না গিয়ে বাসে করেই যাবো। মোবাইলে বাস-ট্রেনের একটা এ্যাপস ডাউনলোড করা আছে যেটা দেখে বুঝা যায় কোন বাস কোন সময় আসবে। ৪ মিনিট পরেই বাস আসার কথা। রাস্তায় তেমন কোনো লোকজন নাই। বলতে গেলে আমি একাই দাড়িয়ে ছিলাম বাস স্ট্যান্ডে। মাঝে মাঝে দু-একটা গাড়ি যেতে দেখছিলাম। আমি আমার মোবাইল ফোনে টুইটারে বিভিন্ন মানুষের টুইট পড়ছিলাম। যেগুলো আবার ভালো লাগে সেগুলো রি-টুইট করছিলাম। ঠিক ঐ মূহুর্তে একজনের একটা টুইট বার্তা দেখে রিতীমতো চমকে উঠলাম। এ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম: curse_me। সে লিখলো যে 'কিসের জন্য রাস্তায় একা একা দাঁড়িয়ে আছো, ভয় ভীতি কি কিছুই নেই?' আমি বার্তাটি পড়েই এদিক সেদিক তাকালাম। রিতীমতো ভড়কে উঠলাম। এদিক সেদিক তাকিয়ে কাউকে দেখলাম না। হঠাৎ দেখি রাস্তার ঠিক উল্টো দিকেই বড় একটি গাছ সেই গাছের নিচে একজনকে দাড়িয়ে আছে।আলো কম ছিল তাই পরিষ্কার করে দেখতে পারছিলাম না চেহারাটা। আর চেহারা দেখবই বা কি করে সে তো ছিল রাস্তার উল্টো পাশে।

কিন্তু সে কি আমাকে টুইট করেছে? আমার পরিচিত কেউ কি সেখানে দাঁড়িয়ে আছে? প্রশ্নগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো। আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম লোকটির দিকে। মনে হচ্ছিলো সে কালো শার্ট ও কালো প্যান্ট পড়ে আছে। আমি সঠিক বুঝতে পারছিলাম না। কারণ সে যে গাছের নিচে দাড়িয়ে আছে সেখানে কোনো আলো নাই।

হঠাৎ মোবাইলের ঘড়ির দিকে তাকালাম। ওমা! ৪--৫ মিনিট পর বাস আসার কথা অথচ ২০টা মিনিট পার হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। হেটেহেটে গেলেওতো এতক্ষণে বাসায় পৌছে যেতাম। বাসের এ্যাপসটি আবার রিফ্রেশ দিলাম, দেখি ১ মিনিট পরেই বাস। আমি আবার ঐ গাছের দিকে যেই তাকালাম দেখি লোকটি নেই। আমি বেশ ভয়ই পেয়ে গেলাম। আমাকে কে টুইটারে ম্যাসেজ পাঠালো? আমার ঐ সাহস নাই যে রাস্তা পার হয়ে ঐ পারে গিয়ে দেখি লোকটা কই গেলো! অবশেষে বাস আসলো কিন্তু সাধারণত আমার বাসার দিকে যাবার জন্য যে ধরনের বাস আসে সেরকম বাস আসলো না। আর এই বাস স্ট্যান্ডে অন্য কোনো বাসও থামেনা। এটা একটা ছোটখাট বাস দেখলাম পয়েন্টে এসে থামলো। বাসের দরজাটা খুলে গেলো। দরজাগুলো অটোমেটিক।

আমি বাসে উঠার পর বাস ড্রাইভারকে হেলো বললাম কিন্তু কোনো উত্তর মিললো না। তার মুখে কোনো রকম এক্সপ্রেশন নাই। যাক গে! আমি সামনের দুইটা সিট বাদ দিয়ে তৃতীয় সীটে গিয়ে বসলাম। বসার সাথে সাথে আমি জানালা দিয়ে ঐ গাছটার দিকে তাকালাম। কেউ নেই। কেমন জানি একটু অন্যরকম লাগছিলো। বাস চলা শুরু করলো। ১ মিনিট পরেই আমি খেয়াল করলাম যে পুরো বাসটিতে আমি একা। আমি খেয়ালই করি নাই যে বাসের ভিতরে যে কোনো যাত্রী নাই। মনের মধ্যে খটকা লাগলো। আমি আবারো পিছে তাকালাম। এবারে আমি যা দেখলাম তা দেখে আমি এমন ভয় পেয়ে গেলাম যে সেটা আমি মনে হয় ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা। নিচের যে ছবিটি আমি দিয়েছি ঠিক সেরকমই এক মহিলাকে দেখলাম বাসের একদম শেষের সীটে বসে আছে আর আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাসছে। এই ছবিটি দেওয়ার কারণ এই যে অনেকটা এরকমই লাগছিলো মহিলাটাকে। আর বাস ড্রাইভারও দেখি ফুল স্পীডে বাস চালানো শুরু করলো। আমি এতই ভয় পেয়ে গেলাম যে ঐখানেই অজ্ঞান হয়ে আমি পরে যাই।



জানি না কতক্ষণ পর আমার সেন্স আসলো তবে যখন সেন্স আসলো তখন দেখি বাসটি থামা অবস্থায় রয়েছে। চারপাশ বেশ অন্ধকার।
কোনো রকম আওয়াজ কানে আসছিলো না। আমি তখনো বাসের ফ্লোরে শুয়া অবস্থায়। মনে পরে গেলো সেই ভয়ঙ্কর চেহারার কথা। আৎকে উঠে আমি বাসের সেই শেষের সীটের দিকে তাকালাম। দেখি কেউ নেই। ধীরে ধীরে উঠে আমি বাসের সামনে গেলাম। ড্রাইভারও নেই। বাসের দরজা খোলা। বাস থেকে নেমে সামনে তাকাতেই দেখি যে আমি একটি খ্রিষ্টানদের কবরস্থান, যাকে আমরা ইংরেজিতে সেমেট্রি বলি, সেটার সামনে আছি। এই কবরস্থানের মেইন যে গেট সেই গেটের পাশে একটা গাছ আছে। গাছটির নিচে একজনকে বসে থাকতে দেখলাম। এক বৃদ্ধ মানুষ। আমি তার সামনে গিয়ে তার চেহারার দিকে তাকিয়ে আমি এতো চিৎকার দিয়ে উঠলাম সেটা মনে হয় বহুদূর পর্যন্ত শোনা গিয়েছিলো। এমন বিদঘুটে চেহারা আমি কখনো দেখিনি। সে আমমাকে বললো যদি বাচতে চাও তাহলে এই কবরস্থানের মাঝখান দিয়ে সোজা যে রাস্তা চলে গিয়েছে সেই রাস্তা দিয়ে চলে যাও। ঠিক ঐ সময়ই আমি বাসের সেই ভয়ংকর হাসির ঐ মহিলাটা কে দেখলাম। ধবদঃবে সাদা কাপড় পরে আছে। তখনও মুখে হাসি। আমি দৌড় দেওয়া শুরু করলাম। কবরস্থানের দু'পাশে বহু বড় বড় গাছ। দেখি সব গাছে মানুষের লাশ ঝুলে আছে। পিছনে আমাকে তাড়া করছে ঐ মহিলা।

হঠাৎ ঘড়ির এলার্মে আমার ঘুম ভাঙলো। কি ভয়ঙ্কর একটা স্বপ্নই না দেখলাম।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্য। ভালো ।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তবু ভাল এলার্মটা বেজছিল ;)

যেরম ভয় দেখাচ্ছিলেন ;) হা হা হা

গল্পে
+++++

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে ভয় পেতে ভালো লাগে।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৪

শায়মা বলেছেন: পুরাই ভূতাতংক আছে তোমার ভাইয়া! তাই এমন স্বপ্ন দেখো...... আমি জীবনেও ভূতের স্বপ্ন দেখিনি ...... ভূতেরা মনে হয় আমাকেই উল্টা ভুই পাই......

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, ব্যাপারটা ঘুমের মধ্যে ঘটেছে। না হলে ওই মহিলা আপনার হালুয়া টাইট করে ছাড়তো। :P

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪২

নায়লা যোহরা বলেছেন: মাঝে মাঝে আমাদের এই ভয়ানক স্বপ্নগুলো অনেক ভয় পাইয়ে দেয়।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৯

আর. হোসাইন বলেছেন: ভাগ্যিস এলার্ম বাজল। না হয়তো আর একটু পড়লে আমার বারোটা বেজে যেতো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.