নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুড়িয়ে পাওয়া সন্তান এবং একজন পিতা( কাকে ঠুকরে খাওয়া সেই নবজাতক এখন কাদের সিদ্দিকীর কন্যা)

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৭




কাকে ঠুকরে খাওয়া সেই নবজাতক এখন কাদের সিদ্দিকীর কন্যা!!!

সত্যিই হৃদয় বিদারক ঘটনা। কি অন্যায় ছিল নবজাতকটির যে, কাকে ঠুকরে খাবে আর পাহারা দেবে কুকুর। গর্ভধারিণী মা কি বা কারণে নবজাতকটিকে বালুচাপা দিয়ে রেখে যাবেন?
বালুচাপা দেয়া নবজাতকটির কিছু অংশ উপরের দিকে থাকায় সন্ধান পায় কাকগুলো। নবজাতকটিকে কিছু কাক ঠোকরাতে থাকে। কাকগুলো শিশুর কোমল দেহ থেকে মাংস তুলে নেয়ার চেষ্টা করছিল আর তাকে রক্ষায় মরিয়া ছিল একটি কুকুর। এ দৃশ্য পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নজরে আসে স্থানীয় এক রিকশাওয়ালার। তিনি তৎক্ষণাৎ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। খবর পড়ে সে ঘটনা নজরে আসে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর।

২০০৭ সালে কিশোরগঞ্জের এক জনসভায় উপস্থিত হন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন তিনি। সেসময় হাতে একটি খবরের কাগজ। পাতা উল্টাতেই চোখে পড়ে হৃদয়বিদারক এ ঘটনা।
পাতায় দেখতে পান, নবজাতক কন্যাশিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া গেছে রাজধানীর অদূরে বালুর মাঠে। সন্তান প্রসবের পর কে বা কারা নবজাতককে সেখানে রেখে যাওয়া হয়। পত্রিকায় ঘটনাটি পড়ে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করলেন না তিনি। ছুটে আসলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

কর্তৃপক্ষকে জানালেন, সন্তানটিকে তিনি দত্তক নিতে চান। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে নবজাতককে বাড়ি এনে তুলে দিলেন স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর হাতে। বললেন, এটা আল্লাহর নেয়ামত। এটা আমার মেয়ে। আমার অন্য সন্তানের মতো তুমি ওকে মানুষের মতো মানুষ করো।
নাসরিন সিদ্দিকীও তাকে সাদরে গ্রহণ করলেন। ‘কাক’, ‘কুকুর’ ও ‘কাদের সিদ্দিকী’র নামের প্রথম বর্ণ অনুসারে বঙ্গবীর তার নাম রাখলেন ‘কুশি’। মায়ের মমতায় কুশিকে বুকে আগলে রাখলেন নাসরিন সিদ্দিকী। এরই মধ্যে কেটে গেছে আট আটটি বছর। কুশি এখন রাজধানীর একটি বিখ্যাত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থী।

কাদের সিদ্দিকীর কাছে কুশির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আবেগাপ্লুত হয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আমার মা মারা যাওয়ার পর কুশিকে পেয়ে মায়ের অভাব পূরণ হয়েছে। মা বেঁচে থাকলে বাড়িতে যেমন আনন্দ হতো, কুশিকে পেয়ে সেই আনন্দ ফিরে এসেছে। সে আমাদের সংসারে আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ রহমত।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তানরা কুশিকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। অন্য দুই সন্তান কুড়ি ও দ্বীপ একে-অপরের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লেগে থাকলেও সংসারে কুশির আবির্ভাবের পর সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে। আমার তিন সন্তান পরস্পরকে না দেখে থাকতে পারে না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, কুশিসহ সংসারের সদস্যদের নিয়ে আমি স্বর্গের সুখ অনুভব করি। এভাবেই আমার বাকি জীবনটা কেটে যাক- আল্লাহর কাছে এটাই আমার প্রার্থনা।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.