নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি পরিকল্পিত ভাইরাল ছবি আর বাঙ্গালি জাতির লাফালাফি

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

গত সোমবার (২৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে এক যুগলের বেশ কয়েকটি রোমান্টিক ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন ফটোগ্রাফার জীবন আহমেদ। পরে তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ‘বর্ষামঙ্গল কাব্য… ভালোবাসা হোক উন্মুক্ত’ ক্যাপশনে চুমুর ছবিটি পোস্ট করেন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি, সঙ্গে যুক্ত হয় দেশের গণমাধ্যমগুলোও। প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয় এ সংক্রান্ত খবর। দেশজুড়ে চলতে থাকে আলোচনা-সমালোচনা। একদিনেই পরিচিতি পেয়ে যান ফটোগ্রাফার জীবন।।





গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া টিএসসিতে বৃষ্টিভেজা চুমুর ছবিটি সাজানো ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে(নিউজ) । এছাড়া ছবি প্রকাশের পর ফটোগ্রাফার জীবন আহমেদকে মারধরের ঘটনাও ছিল ব্যক্তিগত কারণে। এই ছবির জন্য তাকে কেউ প্রহার করেনি।
এ ঘটনায় নিজেকে অপরাধী স্বীকার করে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজে আর কাজ করতে আগ্রহী নন বলে জানান জীবন নিজেই।




ঘটনা এখানেই শেষ নয়। পরদিন দুপুরে টিএসসিতে গেলে জীবনকে মারধর করেন কয়েকজন ফটোসাংবাদিক। এঘটনার পরপরই জীবন পূর্বপশ্চিমের অফিসে এসে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করতে করতে জানান, ভাইরাল ছবির সিরিজের বাকি ছবিগুলো না দেয়ার কারণেই তাকে মারধর করা হয়েছে।
পাশাপশি তাকে 'সাংবাদিক নামের কলঙ্ক' আখ্যায়িত করে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং জোরপূর্বক ফেসবুকে ‘আমি সাংবাদিকতা ছেড়ে দিলাম’ স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ফটোগ্রাফার জীবনের অনুরোধে তার নিরাপত্তার বিষয়টি অফিসিয়ালি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয় এবং আইনী ব্যবস্থার জন্য অফিসের একাধিক কর্মীসহ তাকে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। পাশাপাশি তার ওপর হামলাকারী বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত ফটোসাংবাদিকদের অফিসে যোগাযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়।
তবে থানায় গিয়েই অজানা কারণে মত বদলান জীবন। এক পর্যায়ে এক সহকর্মীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে খাবার কেনার কথা বলে থানা থেকে বের হয়ে যান তিনি। এরপর তিনি আর থানায় ফিরে যাননি, এমনকি তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পথিমধ্যে জীবনের মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার কল এসেছিল বলে জানান সহকর্মীরা।
পরবর্তীতে জানা যায়, শাহবাগ থানা থেকে বের হয়ে জীবন আহমেদ মারধরকারী এক ফটোসাংবাদিকের অফিসে যান এবং তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আপোস-মীমাংসা করেন। তবে এ ঘটনা তিনি পূর্বপশ্চিম কর্তৃপক্ষকে একবারের জন্যেও জানাননি। এমনকি সেদিনের পর থেকে আর অফিসেও আসেননি।
ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য বুধবার (২৮ জুলাই) জরুরি মিটিং ডাকে পূর্বপশ্চিম।মিটিংয়ে জীবনকে উপস্থিত থেকে পুরো বিষয়টি ব্যাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানেও হাজির হননি আলোচিত ওই ফটোগ্রাফার।
পরে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের নিউজ এডিটরের সঙ্গে দেখা করে জীবন বলেন, তিনি অপরাধ করেছেন এবং পূর্বপশ্চিমে কাজ করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিষ্ঠানে আর কাজ করতে আগ্রহী নন। একই কথা তিনি একাধিক সহকর্মীকেও জানান এবং নিউজ এডিটরসহ সকলের কাছে ক্ষমা চান।








আলোচিত ছবি ও পরবর্তী ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন জীবনের উপর কথিত হামলায় অভিযুক্ত দৈনিক পক্ষকাল পত্রিকার সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র ফটোগ্রাফার শফিকুল ইসলাম কাজল। তিনি বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া ছবিটি আকস্মিকভাবে তোলা নয়, এটা পূর্বপরিকল্পিত। শুধুমাত্র আলোচনায় আসার জন্যই ছবি তুলতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে টিএসসির মতো জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো।’





জীবনকে মারধর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাকে কোনপ্রকার মারধর করা হয়নি। সাধারণ বাক-বিতণ্ডা হয়েছে মাত্র। সেটাও একজন সিনিয়র ফটোগ্রাফার ও বড় ভাই হিসেবে তাকে শাসন করেছিলাম। এই তুচ্ছ বিষয়টাকে জীবন ইস্যু তৈরি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।’








আর এই ছবি দেখে সবাই নানান কাহিনী, কল্পনা করা শুরু করেছে ।
পক্ষে বিপক্ষে কত যুক্তি। শেষ নাই। ফেসবুকের মতো ব্লগেও একই কাজ। পাগলের মতো লেগে গেছে একটা ছবিকে ভাইরাল করতে ।

মানুষের জ্ঞান থাকলে এই কাজ করতো না। যুক্তিহীন কাজে লেগে থাকা
যদি কোন জাতির কাজ হয়। তাহলে তারা উন্নতি করবে কি দিয়ে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একটা ছবি নিয়ে এত মাতামাতির আমি কিছু দেখি না।
সত্যি বাঙালী হুজুগে মাতাল!

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হুম।।। কি এক ছবি।।। সেটা নিয়ে এতো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.