নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুর কাধে বস্তা ভরা বিদ্যা - মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২








শিশুর কাধে বস্তা ভরা বিদ্যা
- মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন


শিশু হেটে যায়।
বয়স হয়নিকো ছয়।
তবু একটা বিদ্যার বস্তা তার কাধে দেয়া হয়।



গ্রন্থগত বিদ্যা করতে অর্জন ,
শিশুকালের শিশুপনা করেছে বর্জন।
খেলাধুলা করেছে বর্জন।



খেলাধুলা করবে কোথায়?
মাঠ ছিল যেথায়,
সেথায় এক দালান উঠেছে।
সেই দালানের কুটিরে কুটিরে।
বিদ্যার দোকানিরা পসরা সাজিয়েছে।


বিদ্যা করতে বিক্রয়।
যাতে শিশু গুলো মানুষ হয়।
সার্টিফিকেটে অনুমোদিত মানুষ।



ছোট শিশু বিদ্যার বস্তা কাধে ছুটে।
সে এখন মাঠে দৌরায় না ।
খেলে না কুত কুত ,হাডুডু, গোল্লাছুট।
খেলে ফুটবল ক্রিকেট।
হাতে থাকেনা না বল ,বেট।



সকালে এক গ্লাস খেয়ে দুধ।
সে চলে বিদ্যার বস্তা নিয়ে।
ওজন তার যেমন তেমন।
বিদ্যার বস্তাখান মনের মতন;।



মা রোজ ভরে দেয় সেই বস্তা।
হরলিক্স নয় এতো সস্তা।
সেটা খেলে টানতে পারবে বস্তা
লম্বা হবে,শক্তিশালী হবে,
বুদ্ধি হবে ছুরির মত দাড়ালো।



মা বলে ,শিক্ষিকা বলে ,
পড়তে হবে বেশী ,
নোট,গাইড বই আনো।
সোনামনীকে রোজ খেতে দাও ডানো।


স্যার বলে ,বেশী করে খাও কমপ্ল্যান ।
খাও আরো হরলিক্স।
ডাক্তার হতে হবে,
পড়তে হবে ফিজিক্স।



ছোট থেকেই অংকে হও দক্ষ
মাথাটা তবেই হবে পরিপক্ক।
ছোট সোনামনী ভাবে।
ছুটি মিলবে কি ভাবে?

এই জেলখানা হতে।
বাবা বলে অবসরে কার্টুন দেখো।
স্যার বলে সেখানেও ইংরেজি শিখো।



এই যে বিদ্যালয়,
বিদ্যার আলয় তো নয়
বিদ্যার দোকান সবগুলো।
বিদ্যা করে বিক্রয়।


এই আজকের শিক্ষকগুলো।
শিক্ষকনয় তারা ,
বিদ্যার ব্যাবসায়ী তারা।
ছাত্রগুলো খদ্দের এখন।

বিদ্যা করে ক্রয়
যার যেটা প্রয়োজন হয়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালোবাসা রইলো কবির জন্য

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

জসীম অসীম বলেছেন: শিল্পিত রসের মাধ্যমে আপনার সুদূরপ্রসারী দর্শনবাহী এই লেখা পাঠে শুদ্ধ আনন্দ পেলাম। হরলিক্স খেয়ে ফিজিক্স পড়ে আমরা আজকাল কী হচ্ছি..কী করছি! সত্যিই বলেছেন যে, আমরা শিশুদের বাসযোগ্য আর রাখছি না এই পৃথিবীকে, একে জেলখানায় রূপান্তরিত করছি ক্রমাগত। এমন পুষ্ট লেখার লেখককে অশেষ অশেষ অভিনন্দন। নোট: আমার শৈশবে আমি পৃথিবীকে উন্মুক্তভাবে উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাই এ ছবিটি সংযুক্ত করার ইচ্ছে সংবরণ করতে পারিনি।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন

আর

আপনি অনেক কিউট ছিলেন। সুন্দর ছবি।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আহারে! এখনকার বাচ্চাগুলো আসলেই খুব অসহায়। পড়াশোনা আর ভারী ভারী বই এর চাপে ওদের শৈশব আর শৈশব নেই।

কবিতা খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: খুব ভ্যাবাচেকা অবস্থা। ১০, ২০টা বই কাধে
।।।
এই বেসরকারি স্কুল গুলো তো আরো খারাপ অবস্থা।
গাইট, নোট সহ বহন করে।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ম্যাঁওপ্যাঁও ধরণের পোষ্ট

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: চেও চ্ব চেও না ভাই?

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩১

রাকু হাসান বলেছেন: বাহ,সহজ ভাষায় ,বাস্তব দৃশ্য এগুলো আমাদের ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন প্রিয় লেখক। শুভকামনা নিরন্তর।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.