নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনারা কি তুলসি পাতা? সব কিছুতেই বিরোধ কেন?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫০



কোন এক পেপারে দেখলাম, উপরের ছবিটা ট্যাগ দিয়ে একটা লেখা প্রকাশ করেছে।
শিরোনাম দেখে আরো লজ্জা লাগলো,,,


অশ্লীল স্লোগানে বিব্রত জনতা, ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়।।


কেউ একবারো বললনা এই ছাত্রগুলো সেই কাজ করেছে, যা আমরা, আপনারা সুশিক্ষিত সমাজ করতে পারেনি। হতে পারে তাদের
স্লোগান টা খারাপ। তারা আবেগজনিত কারনেই হয়তো এই ভাষা ব্যবহার করেছে। আপনারা


এইটা কেন দেখেন না তারা কেন এই ভাষা বলে নেতা পুলিশ দের গালি দিচ্ছে। আপনারা শুধু ছাত্রদের ভুল গুলো দেখছেন?
পুলিশ যে তাদের প্রথম আন্দোলনের দিন মারলো। তারা কলারে ধরে অশ্রাব্য গালি দিলো সেই গালি আপনাদের কানে কেনো গেলো না?

কেন শুধু এই কোমলমতি শিশুদের গালিটাই বড় করে দেখছেন?
আপনারাও কি ওই মন্ত্রীর ভাড়া করা লোক? নাকি ট্রাক ড্রাইভার সমিতির সদস্য।


আপনাদের তো গর্বিত হওয়া দরকার। সারা জীবন রাস্তায় যতো দুর্ঘটনা হয়েছে । ঢাকা শহরে যতো দুর্ঘটনা হয়েছে।
তার জন্য দায়ী ফিটনেস বিহীন বাস আপনারা সরাতে পারেননি। এই ছোট শিশুরা করেছে। আপনার সন্তান আপনাকে
একটা নিরাপদ সরক দিচ্ছে।

যা আপনার দেয়ার কথা ছিলো। আপনি তো সরকারি চাকরি করেন, বা এলাকার বড় ব্যবসায়ী, বা ভদ্র লোক।
আপনি এতোদিন এই ভদ্র সেজে কি করেছেন?
কি করতে পারছেন? একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন।





শিক্ষার্থীদের হাতে নিষিদ্ধ পল্লীর ভাষা তুলে দিল কারা?

উপরের এই ছবি ট্যাগ করে এখজন সাংবাদিকের কলাম এটি। আমার প্রশ্ন আপনার কাছে।
আপনারা যখন আপনাদের নিউজ পেপারে হট নাইকার ছবি দিয়ে লেখেন,

উষ্ণতা ছড়াচ্ছে উমা বউদি, উমা বউদির পর হলুদ বউদি,
তখন এটা কি হয়? অমুক নায়িকা বের করলো তমুক ছবি । ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে, টুইটার এ। তারপর সেই ছবি
বিনোদন পাতায় স্থান দেন। এটা অস্লীলতা নয়?



ভদ্র পিতা মাতা আপনাদের কাছে প্রশ্ন, সন্তানকে মোবাইল কিনে দেয় কে?
সেই মোবাইলে সমস্ত ব্রাউজার দখল করে আছে এই সংবাদের লিংক গুলো।
আর এইখানে কোন ভালো নিউজ আসে না। সব এই বিনোদন আর বিনোদিত করার পায়তারা।
কোন দেশে কোন ১৮+ ছবি নামছে, কোন ছবি পতিতা পল্লিতে করা। শাহরুখ খানের
মেয়ে কি ড্রেস গায়ে জড়ায়ে ছবি দিলো।
সানি লিওনি এখন ড্রেস পড়ে না খুলে ফেলে ছবি দিছে এই সব নিউজ।সারাদিন অপেরা ইউসি ফেসবুক এ লিংক মারে কারা?
বলতে পারেন?

জানি এই সবের কোন সঠিক জবাব আপনার কাছে নাই। কারন এই সব আপনারা ই করেন।








শিক্ষার্থীদের হাতে নিষিদ্ধ পল্লীর ভাষা তুলে দিল কারা?
এইটা যদি তার প্রশ্ন হয়,
আমার উত্তর হবে আপনারা। আপনাদের মতো ভদ্র মুখোশ পড়া লোকেরা।

আসুন কবিদের কিছু কথায় শুনে আসি।


১.কবি রফিক আজাদ যখন বলেছিলেন," ভাত দে হারামজাদা,না হয় মানচিত্র খাবো "!! তখন কেউই কবির গালির দিকে মনযোগ দেয়নি,বরং মনযোগ দিয়েছি কবির ক্ষোভের উপর!!
.
২.কবি হেলাল হাফিজ বলেছিলেন," আমি গ্রামের পোলা,চুতমারানি বলবার ই পারি "!! তখন কেউ কবির গালির দিকে মনযোগ না দিয়ে কবির অভিমান বুঝতে চেষ্টা করেছিলেন!!
.
৩.সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যখন ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন করে আর সেই আন্দোলন পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্ল্যাকার্ডে লিখে," পুলিশ কোন চ্যাটের বাল " ঠিক তখনই এদেশের একদল স্বঘোষিত সুশীল অশ্লীলতা খুঁজতে থাকে কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষোভটা বুঝতে একটুও কর্ণপাত করেনি!!
.
কথায় কথায় What the fuck বলা লোকগুলি এখন এসব প্ল্যাকার্ড দেখে নাকি অশনি সংকেত দেখছে!!সোজা কথা এসব সুশীল কোনোদিনই চুদিনা!!

কিছু ভদ্রলোক ভুরু কুঁচকে বলছেন যে শিশুদের ভাষা খুব অশোভনীয় হয়ে যাচ্ছে, কী শিখছে এরা? এদের জন্য শিশুদের ব্যবহৃত বিশেষ কিছু ভাষাকে আমরা রাবীন্দ্রিক ঢঙে উপস্থাপন করতে পারি। শিশুদের কাছে অনুরোধ তারা যেন কিছু বিকল্প ব্যানারে এগুলোও লিখে রাখে।

পুলিশ কোন চ্যাটের বাল? = পুলিশ কোন চটোকেশ?
লাঠি ভরে দেব = সেঁধিয়ে দেব দন্ড তোমার নিম্নদেশে
মন্ত্রী চো**র টাইম নাই = মন্ত্রী সঙ্গমে নাই গো লগন
পুলিশ আমার শাউয়ার বালও না = পুলিশ নয় যে মোর গুপ্ত কেশদাম ইত্যাদি ইত্যাদি

এই সুশীল লোকগুলাই তাদের পেপারের বিজ্ঞাপন, পণ্য বিজ্ঞাপন আর পত্রিকার পাঠক পাঠিকা বাড়াতে নগ্ন ছবি প্রকাশ করে।।
তাদের প্রথম টার্গেট থাকে এই তরুণ সমান, কোমলমতি ছেলে মেয়ে, যারা উঠতি বয়সী।
















তাহলে এই খারাপ ভাষা কি করে এলো তার উত্তর আপনারা জানেন?





আপনারা ছাত্রদের আন্দোলনে কি ভাষা ব্যবহার করলো ওটা দেখলেন। আর মানুষ মরে
সেটা দেখেন না।
কেন ভাই জানেরা?


আপনারা যখন টিবিতে কনডমের বিজ্ঞাপন দেন।
তাতে মহিলা অভিনয় শিল্পি কাপড় খুলে ফেলার মতো
অবস্থা হয়। সেটা কি /? আপনাদের সাবানের বিজ্ঞাপন,
পুরুষের বডি স্প্রে, ওয়াইল্ড ব্রিউ,।
মারতেই এক্স,
নারীর আকর্ষণ বাড়ে? নারী ছুটে চলে আসে?
সেসব কি? পরকিয়া, নটি পাড়া ছবি , ফিল্ম বানায়া তাতে
নোংড়া গালাগালি সিন রাখেন। আর সেন্সর বোর্ড তা বাতিল করেনা সেটা কি?.



আপনারা এইটা দেখতে পারেন না? যে ছাত্ররা কি করতে পেরেছে। তাদের কাজ গুলোকে পজিটিভ ভাবে নিয়ে নিলেই তো হয়।
ভাষা না হয় শিক্ষা দেয়া যাবে। তবে যারা মরে গেলো, তাদের ফিরিয়ে দিতে পারবেন সভ্য সমাজ? ।
এক জন তো একটা ভাব নিয়া কলাম দিছে নিউজে।





তার ভাষায় এই শব্দ গুলো উচ্চারণ করার মতোই না।
সে বলে কি



পুলিশদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে লাঠি প্রয়োগে প্ল্যাকার্ডে ‘প’ বর্ণের সহযোগে যে বাক্য গঠন করা হয়েছে এবং যে শিশু ওটা ধরে আছে তার হাতের লেখা ওটা না। একটি ৯/১০ বছরের মেয়ে শিশুটি যে ভাষার প্ল্যাকার্ড বহন করছে তা ‘চ’ বর্ণ দিয়ে রচিত।এটা তার করার কথানা, তার হাতের লেখা এমন হতে পারে না। প্রশাসনকে ‘চ’ বর্ণ আর ‘ব’ বরণ দিয়ে বাক্য গঠন করে গালি দেওয়া হয়েছে। এগুলো তাদের কাজ তা মেনে নেওয়া যায় না। একজন শিশু তার বুকের সাথে একটা কাগজে লখেছে, আম্মু বলেছে গুলি না খেয়ে ফিরবি না, এটা কোনমা কখনো বলতে পারে? এমন অনেক কিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ঐসব শিশুদের বাবা মা কি তা দেখছেন না! তাহলে কি এটা ধরে নিতে হবে যে, ঐসব শিশুদের বাবা মায়েরা তাদের শিশু বলি দিয়ে তাদের প্রত্যাশা হাসিলের চেষ্টা করছে, না আহাম্মকী, তা অচিরেইবুঝতে পারা যাবেই যাবে।






ওই সুশিক্ষিত ভাইয়ের জবাবে আমিও বলতে চাই। ওই শিশু কিশোরদের পিতা মাতা কি দেখছে তা না দেখে,
আপনি একটা কথার জবাব দেন। এতো গুলো লাশ রাস্তায় পড়ে ছিলো , এতো গুলো ছাত্র এর জন্য প্রতিবাদ করছে, ।
আপনি তাদের পক্ষ না নিয়ে বিপক্ষে কেন বলছেন? আপনার কি মানবিকতা নাই? আপনি কি? আপনি রোবট না দালাল?




আচ্ছা ভাই এইটা কি?
দেখেন একটু

বাহ শালীন ভাষায় বই পুস্তক লিখা আছে।ভালো না?


ছাত্রদের মারছে সেটা দেখেন না। তারা কি বললো সেটা নিয়া
আপনাদের মাথা ব্যথার শেষ নাই।

আপনারা অনেকে কি বলেন?


যে যে বাক্য, শব্দ ব্যবহার করে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে প্লাকার্ড তুলে দেয়া হলো- এসব কি উসকানিমূলক নয়?


আপনারা এখনো বুঝেন নাই? আপনারা ওই কথা বলে কিছু বুঝতে চান আপনারাই জানেন।
কথা পেচাইয়া বড় বড় কলাম লিখে আর কত দালালী করবেন?


আরে মিয়া ছত্ররা যে মরেছে সেটা কি তাহলে? পুলিশকে গালি দিয়েছে এটা নিয়া আপনাদের খুব চিন্তা, । খুব লজ্জা বোধ করছেন আপনারা।
আর রাস্তায় মানুষ মরে আপনারা লজ্জা পান না। থু থু দেই আপনাদের মতো বুদ্ধিনাশ কারী বুদ্ধিজীবী দের মুখে।






শেষ কথা হলো
আপনারা আগে তাদের বিচার করুন। তাদের আনফিট বাস গুলো রাস্তা থেকে বিতারিতো করুন।
রাস্তা কিভাবে নিরাপদ করা যায় তা নিয়ে ভাবুন। এই শিশু কিশোরদের পাশে গিয়ে দাড়ান। ভাষা তো ঠিক করা যাবে।
মানুষ মারা গেলে পাওয়া যায় না
।।


ছাত্ররা কি বললো না শুনে তারা কি ভাষা ব্যবহার করলো সেটার দিকে নজর না দিয়ে।
তাদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে যৌক্তিক আন্দোলন করুন। ছাত্রদের পাশে যান। তাদের কথা শুনার চেষ্টা করুন।
আপনাদের সহযোগিতা খুব দরকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৪

রাকু হাসান বলেছেন: দাবি টাই মূখ্য মামুন ভাই ,যদিও অশ্লীল ভাষা টা কাম্য নয় । এমন ভাষা তো আমরাই শেখালাম। তাদের শেখাতে পারি নি আমরা। অনেক সময় নিয়ে লিখেছেন ,আলোচনা দরকার ছিল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমি প্রশ্নটা এই বুদ্ধিজীবী নামধারী ভাইদের কে করেছি।


দাবি যে তারা করেছে। এটাই বড়।।আমরা কতটা তা পেরেছি?


আর এই বুদ্ধিজীবী নামধারী ভাইরা শুধু তাদের ভাষা টা দেখতেছে।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.