নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এতো কিছু বুজ বাঙ্গালি, রাজনীতি বুঝ না?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫১





ঢাকায় বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর উদ্ভট মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে রয়েছেন নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান। পরিবহন শ্রমিকদের এই নেতা এর আগেও নানা সময়ে এরকম মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন। এক নজরে তার সেসব বিতর্কিত বক্তব্য-
‘অশিক্ষিত চালকদেরও লাইসেন্স দেওয়া দরকার। কারণ, তারা সিগনাল চেনে, গরু-ছাগল চেনে, মানুষ চিনে। সুতরাং তাদের লাইসেন্স দেওয়া যায়।’ ২০১১ সালের ১৮ আগস্ট নৌ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর বক্তব্য।
‘একটা টুকিটাকি ঘটনা হতেই পারে। এতগুলো মানুষের মধ্যে এটা তেমন কোনো বিষয়ই না।’ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রসঙ্গে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে শাহজাহান খানের মন্তব্য। সমালোচনার মুখে এক দিন পরই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন তিনি।
‘সুন্দরবনে তেল ছড়িয়ে পড়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।’ সুন্দরবনের ভেতর শ্যালা নদীতে তেলের ট্যাঙ্কার ডুবে যাওয়ার ঘটনার পর ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর মন্ত্রীর বক্তব্য।
‘চালকদের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদেরও বিচার হওয়া উচিৎ।’ গত ১২ মে রাজধানীতে বাস চালকদের এক সম্মেলনে শাহজাহান খানের বক্তব্য।
‘ভারতের মহারাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গেছে। এগুলো নিয়ে আমরা যেভাবে কথা বলি, ওখানে কি এগুলো নিয়ে কেউ এভাবে কথা বলে?’ গত রোববার বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেসে হেসে শাহজাহান খানের প্রতিক্রিয়া।
‘আমার হাসিটাই আমার দোষ। মুচকি হাসি আল্লাহ ও মানুষ সবাই পছন্দ করেন। যদি আমার মুচকি হাসি দোষের হয় তাহলে আমি আর হাসবো না।’ সমালোচনার মুখে গতকাল মঙ্গলবার শাহজাহান খানের মন্তব্য।


















স্কুল-কলেজের খুদে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে ক্ষোভ-বিক্ষোভ করল, বাস ভাঙচুর করল। এই ক্ষোভের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য সংবেদনশীলতার সঙ্গে অনুধাবন করলেন না। করার চেষ্টা করলেন না। পুলিশ দিয়ে তাদের ধাওয়া দিলেন, পেটালেন। গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তুললেন। যে কিশোরীটিকে পুলিশ মোটা লাঠি দিয়ে পেটালো, তার বয়স বড়জোর ১৭ বছর। যে কিশোর বা কিশোরীর রক্তমাখা কাপড়ের জুতার ছবি ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যে পুলিশ পেটালো তারও নিশ্চয়ই এমন বয়সের একটি সন্তান আছে। যারা বা যাদের নির্দেশে পেটালো, সন্তান আছে তাদেরও।
মাথায় ব্যান্ডেজ, কলেজের সাদা পোশাকে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ, পুলিশি নিপীড়নে আহত হয়ে হাসপাতালে শুয়ে আছে যে কিশোর, বাস পিষে মেরে ফেলেছে তার বন্ধুকে।
তার প্রতিবাদেই সে রাস্তায় নেমে এসেছিল। বন্ধু- সহপাঠী হারিয়ে শিক্ষার্থীরা যখন বিলাপ করছিলেন, মন্ত্রী তখন হাসছিলেন। ২ জন আর ৩৩ জনের তুলনা করছিলেন।
শিশু-কিশোরদের ক্ষোভের প্রতি সম্মান দেখালেন না। দেখালেন না সহানুভূতি বা সংবেদনশীলতা। হাসির পরে মন্ত্রী বললেন ‘আমি কেন ক্ষমা চাইব’। তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন একদিন পরে, গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বলার পরে।
এক দিকে দুঃখ প্রকাশ, আরেকদিকে পুলিশ দিয়ে পেটালেন। কেন মারলেন! কেন মারবেন? আর কিছু করার ছিল না? সংবিধান তো এভাবে মারার অধিকার কাউকে দেয়নি।
ক্ষোভ প্রশমনের একমাত্র পথ যে পুলিশি লাঠিপেটা নয়, আমাদের কোনো ক্ষমতার দল কেন যেন বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। যারা বিক্ষুব্ধ ছিল, পিটিয়ে তাদের আরও বিক্ষুব্ধ করে দিলেন। করে দিচ্ছেন।
হ্যাঁ, এর ফলে তারা রাস্তায় টিকতে পারবে না, ঘরে-স্কুলে-কলেজে ফিরে যেতে বাধ্য হবে। না পেটালেও তারা ফিরে যেত। তারা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আসেনি। এমনকি তাদের কোনো নেতাও নেই। তাদেরকে শান্ত করার আরও অনেক পথ খোলা ছিল। মন্ত্রীরা বা দলীয় নেতারা তাদের কাছে গিয়ে কথা বলতে পারতেন। তা না করে শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিলেন।


টেলিভিশনের সামনে বলছেন, অপরাধীদের বিচার- শাস্তি দেওয়া হবে। অতীতেও একই কথা বলেছেন, শাস্তি- বিচার হয়নি। প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা বা বিশ্বাস না রাখার প্রেক্ষাপটও আপনারাই তৈরি করেছেন। সেই আস্থা- বিশ্বাস তৈরির চেষ্টা তো করতে পারতেন।
হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে পুলিশি নির্যাতনে আহত হয়ত হয়েছেন দশ পনেরো বা বিশ জন। বাংলাদেশের বিবেচনায় সংখ্যায় তা হয়ত খুব বেশি নয়। কিন্তু এর যে সুদূরপ্রসারী ফলাফল, তা চিন্তা করলেন না। বিবেচনা করলেন না, পরিণতি কী হতে পারে। স্কুল বা কলেজের এসব শিক্ষার্থীদের কারও বয়সই ১৮ বছরের বেশি নয়। বোঝার বয়সের পর এই প্রথম তারা এমন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি। এসব শিশু-কিশোরদের সঙ্গে যে আচরণ করা হলো, তাদের মনে যে ক্ষত জন্ম নিলো, কী দিয়ে তা দূর করবেন?
দমন-পীড়নে সাময়িক ফল হয়ত মেলে। মানুষের ক্ষুব্ধতা ভেতরে থেকে যায়। মনে করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলন পিটিয়ে ঠান্ডা করে দিতে পেরেছেন। আসলেই কী পেরেছেন? এভাবে কেউ পারে, অতীতে পেরেছে?
পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।
বাস ভাঙচুরে যেমন দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ মিলবে না, বিচ্ছিন্ন কোনো সিদ্ধান্তও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কোনো ভূমিকা রাখবে না। চলার অনুপযুক্ত বাসের জন্যে ফিটনেস পরীক্ষা করার কমিটি গঠন করে কী হবে? রোড পারমিটবিহীন লেগুনা চলতে দিয়ে, শিশু চালককে ধরে ফল মিলবে?
সামগ্রিক পরিকল্পনা ছাড়া, ঘটনার প্রেক্ষিতে টোটকা সমাধান- আর কত দিন?
সব কিছুর আগে রাস্তায় নেমে আসা শিক্ষার্থীদের বিষয়টি, ন্যায্যতা এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখুন। ফিরে আসুন শক্তি প্রয়োগের পথ থেকে। স্কুল- কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তো নয়ই, কাউকেই মারবেন না।
#নিউজ ডেইলী স্টার

https://www.thedailystar.net/bangla/মতামত/মারলেন-কেন-মারবেন-কেন-96241




রাজধানীর জিগাতলায় শনিবার আন্দোলনকারী এক ছাত্রকে ঘিরে ধরে পেটায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আমরান হোসেন




ডেইলি স্টারের ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা



রাজধানীর জিগাতলা ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গতকাল শনিবার দ্য ডেইলি স্টারের চার জন সাংবাদিক ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন জনকে পেটানো হয় ও এক জন নারী সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
ধানমন্ডির ৩/এ এলাকায় শনিবার বিকেল ৬টার দিকে ছবি তুলছিলেন শায়ের রিয়াজ। এসময় লাঠি নিয়ে একজন তাকে পেটাতে থাকে। সঙ্গে চলে লাথি ঘুষি। পেটানোর এক পর্যায়ে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তার ফোন কেড়ে নিয়েও ভেঙে ফেলা হয়।
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে শায়ের বলেন, হামলাকারীর সঙ্গে যোগ দিয়ে পুলিশও তাকে পেটানোর পর ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যায়। থানার সামনের চত্বরেও তাকে ফের মারধর করে হাজতে চার ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে ডেইলি স্টারের সাংবাদিকরা থানায় গিয়ে অনুরোধ করার পর তাকে ছাড়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শায়েরের ওপর হামলাকারী ব্যক্তি ছাত্রলীগের কর্মী।
ওই থানাতেই আটকে রাখা ডেইলি স্টারের আরেকজন কন্ট্রিবিউটর সাংবাদিকও মারধরের শিকার হয়েছেন। জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ছবি তোলার সময় তাকে আটক করা হয়।


ডেইলি স্টারের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন 'স্টার উইকেন্ড' এর সম্পাদক সুস্মিতা এস পৃথা বলেন, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর রোডে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন তার চড়াও হয়। হামলাকারীরা লাঠি হাতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে ফুট ওভার ব্রিজের ওপর থেকে মিছিলের ভিডিও করছিলেন তিনি। এসময় কয়েকজন ওভারব্রিজে উঠে এসে তাকে উদ্দেশ্য করে ‘ধর... ধর...’ বলতে থাকে। পৃথা ওভার ব্রিজ থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের দুজন তাকে ধরে ফেলে রাস্তার অপর পাশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করে দেওয়ার কথা বলে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এর মধ্যেই তিনি ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করে দিলেও ছাত্রলীগের যুবকরা তাকে ছাড়েনি। এর মধ্যেই তারা গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
ভিডিও ডিলিট হয়েছে নিশ্চিত হবার পর তিনি রক্ষা পান।
আরেকজন রিপোর্টার রাফি হোসেন দুপুর ২টার দিকে জিগাতলায় ছাত্রলীগের হামলার মুখে পড়েন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবর সংগ্রহ করতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। রাফি বলেন, ঘটনা ভিডিও করার সময় তার সঙ্গে আরও দুই থেকে তিন জন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। সাংবাদিক পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়







রাজধানীর জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৪ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় সকালের দিকে শিক্ষার্থীরা সীমান্ত স্কয়ারের একপাশে জড়ো হতে চাইলে সেখানে লাঠি হাতে ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগ নেতারা। ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠি হাতে ছাত্রদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এসময় তারা সেখানে রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিল। এ হামলায় বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছে বলে প্রতিবাদকারী ছাত্ররা জানান। ছাত্রলীগকর্মীরা ছাত্রদের ধরে মারধর করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে নিরাপদ স্থানে সরে যায়।
এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের এ হামলার ছবি ধারণ করায় বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে।
রাজধানী ঢাকার জিগাতলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি হাতে হামলা চালায় একদল যুবক। তাদের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। দুই পক্ষকে ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। শনিবার বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সকাল থেকে ওই এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নেয়। বেলা দুইটার দিকে বিজিবি গেটের সামনে শত শত শিক্ষার্থীর একটি অংশের ওপর হঠাৎ করে হেলমেট পরা লাঠি হাতে ২৫-৩০ জনের এক দল যুবক হামলা চালায়। ওই সময় বিজিবির সদস্যরা গেট থেকে সামনে এসে যুবকদের থামানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও হামলাকারীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে।
২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এদিকে মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

https://www.amadershomoy.com/bn/2018/08/04/631223.htm

https://www.thedailystar.net/bangla/শীর্ষ-খবর/ছাত্রলীগের-হামলায়-৫-ফটো-সাংবাদিক-আহত-96400







ছাত্রলীগের হামলায় ৫ ফটো সাংবাদিক আহত


ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত পাঁচ জন ফটো সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার ছবি তুলতে গেলে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনটির আক্রমণের শিকার হয় তারা।
আহত ফটো সাংবাদিকদের মধ্যে তিন জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন, এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর এএম আহাদ, দৈনিক বণিক বার্তার পলাশ ও ফ্রিলেন্স ফটোজার্নালিস্ট রাহাত করিম। আহত অন্যান্যদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দ্য ডেইলি স্টারের একাধিক রিপোর্টার জানান, শুধু ফটো সাংবাদিকই নয় যারাই ছাত্রলীগের হামলার ছবি তোলার চেষ্টা করেছেন তাদেরকেই মারধর করা হয়েছে। এমনকি হাতে মোবাইল ফোন থাকলেও অনেককেই হুমকি দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। জরুরি প্রয়োজনে এসময় অনেককেই এটিএম বুথের ভেতরে ঢুকে ফোন করতে দেখা গেছে।


https://www.thedailystar.net/bangla/শীর্ষ-খবর/জিগাতলায়-শিক্ষার্থীদের-ওপর-ছাত্রলীগের-হামলা-96364







ছাত্রলীগের বর্বর হামলার শিকার সাংবাদিকরা


: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের অষ্টম দিনেও আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদকর্মীরা। গতকাল রোববার আক্রান্ত হয়েছে নাগরিক টিভির একটি গাড়ি। নাগরিক টিভি সূত্রে জানা যায়, ধানমন্ডির সামনে থাকা নাগরিক টিভির একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন যুবক। পরে জানাযায়, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। হামলায় আহত হয়েছেন গাড়িতে থাকা চ্যানেলটির ক্যামেরাপারসন রিপন হাসান, গাড়ি চালক গোলাম মোর্শেদ এবং রিপোর্টার আবদুল্লা সাফী। নাগরিক টেলিভিশনের রিপোর্টার আবদুল্লা সাফী জানান, আমাদের গাড়ি সিটি কলেজের সামনে ইউটার্ন নিচ্ছিল, তখন একদল যুবক এসে আমাদের গাড়িতে হামলা করে। এক পর্যায় তারা বড় বড় ইটের টুকরো ছুড়ে ভাঙচুর চালায়।
সাফী আরও জানান, আক্রমণকারীদের গায়ে ইউনিফর্ম ছিল, পরে আরেকদল ইউনিফর্ম পরা ছাত্র এসে তাদের উদ্ধার করেন এবং নিরাপদে সরিয়ে নেন। এদিকে এসোসিয়েট প্রেস (এপি)-এর ফটো সাংবাদিক এ. এম. আহাদও একই এলাকায় আক্রান্ত হন। জনৈক সিনিয়র ফটো সাংবাদিক হাবিবুর রহমান জানান, বেলা সোয়া একটার দিকে সেখানে থাকা সাংবাদিকদের উপরে হেলমেট মাথায় লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে একদল যুবক আক্রমণ করে। এতে এপি’র এ.এম আহাদ, প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক সাজিদসহ সেখানে থাকা আরও অনেকে আহত হন। এসময় আক্রমণকারীরা ফটো সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় এবং তাদের এলোপাথাড়ি মারধর করে। হামলায় আহত এ এম আহাদকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত। আহত সাংবাদিক দীপ্ত ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি আছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ধানমন্ডি ১ (আড়ংয়ের সামনে) রড দিয়ে আঘাত হয়েছে তাকে। তার শরীরে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মিরপুরে দায়িত্ব পালনকালে একটি অনলাইন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম সামদানীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। মিরপুর ১০ গোলচত্বরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গোলাম সামদানী জানান, আন্দোলনরত ছাত্রদের লাঠিসোটা হাতে ছাত্রলীগ কর্মীরা ধাওয়া দেয়। সেই ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মারে এবং তার আইডি কার্ড ছিঁড়ে ফেলে। কয়েকজন আমাকে ঘিরে ধরে, মোবাইল কেড়ে নেয়, ছবি তোলার কারণে আমাকে গালাগালি করতে থাকে। মোবাইল কেড়ে নেয়, ছবি ডিলিট করে এবং মোবাইল ভাঙ্গতে উদ্যত হয়, যোগ করেন সামদানী। মিরপুর-১০ গোলচত্বরে বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও কেউ সহযোগিতা করেননি বলেও জানান তিনি।







শুধু একটা কথায় বলবো। যারা বলে ছাত্রলীগের হামলার খবর ভুয়া। তারা আসলে রাজনীতি কি সেটা বুঝেই না।
সরকার যা বুঝায় তাই বুঝে।
তারা শুধু বি টি বি দেখে। আর মাতালের মতো ঘুমায়।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.