নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্লাস্টিকের বোতলের জল পান নিরাপদ নয়, আপনি নিজেই ডেকে আনছেন বিপদ

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৬




নরম পানীয় বা প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের বোতলগুলির ফাঁকা হওয়ার পরে সেগুলি নষ্ট করে দেওয়ার কথা বোতলের গায়েই লেখা থাকে। কিন্তু অনেকেই তা না করে বোতলগুলি ভবিষ্যতের ব্যবহারের জন্য রেখে দেন।

প্লাস্টিকের বোতলে জল অথবা নরম পানীয় কিনে পান করেছেন। বোতল ফাঁকা হওয়ার পরে বোতল ফেললেন না। বরং জল পান করার জন্য সেই বোতলই ব্যবহার শুরু করলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, পানীয় জল বা নরম পানীয়ের এই ধরনের প্লাস্টিকের বোতলে জল ভরে বার বার খাওয়া মানুষের শরীরের জন্য যথেষ্টই ক্ষতিকারক হতে পারে।
নরম পানীয় বা প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের বোতলগুলির ফাঁকা হওয়ার পরে সেগুলি নষ্ট করে দেওয়ার কথা বোতলের গায়েই লেখা থাকে। কিন্তু অনেকেই তা না করে বোতলগুলি ভবিষ্যতের ব্যবহারের জন্য রেখে দেন।
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক গৌতম ঘোষের দাবি, যত সময় যায়, এই ধরনের বোতলগুলির প্লাস্টিকের সঙ্গে জলের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। যাকে বলা হয় ‘লিচিং’। জলের মধ্যে মেশে প্লাস্টিকের মধ্যে মিশে থাকা রাসায়নিক অংশ। সেই জলই পান করেন মানুষ। সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এই লিচিং-এর ফলে মানুষের দেহে ক্যানসারের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কাও পুরোপুরি অমূলক নয় বলেই দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক।



শুধু পুরনো প্লাস্টিকের বোতলে জল পান করার ক্ষেত্রেই নয়, বরং নতুন জলের বোতল কেনার সময়ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পরামর্শ, রোদে বা খোলা জায়গা রাখা জলের বোতল না কিনে দোকানের ভিতরে রাখা রয়েছে, এমন জলের বোতল কেনাই শ্রেয়। কারণ নতুন জলের বোতল হলেও একটানা রোদ লাগার ফলে সেই বোতলের ভিতরেও লিচিং বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। বোতলের গায়ে আইএসআই ছাপ রয়েছে কি না, তাও দেখে নেওয়া উচিত।







বাড়িতে জগ বা গ্লাসে করে জল খাওয়ার অভ্যেসকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে প্লাস্টিকের বোতল। ঠান্ডা পানীয়, তা সে সফট ড্রিঙ্ক হোক কিংবা মিনারেল ওয়াটার— তার বোতল এখন যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী। বাড়িতে হোক বা রাস্তায়, এই বোতলের জুড়ি নেই। অথচ এই বোতলে জল খাওয়া যে কতটা মারাত্মক, তার খবর বেশির ভাগ মানুষই রাখেন না।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এই ধরনের বোতল থেকে জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই বোতলগুলি তৈরি হয় পলিথিলিন টেরেফথ্যালেট (পেট) দিয়ে। উচ্চ তাপমাত্রায় বোতল থাকলে ওই উপাদান জলে মিশে যেতে পারে। এতে জল বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
সাধারণ ভাবে ওই বোতলগুলি এক বার ব্যবহার করেই ফেলে দেওয়ার কথা। বার বার ব্যবহার করে গেলে স্থূলত্ব, ডায়াবেটিস এমনকী ক্যানসারের মতো ভয়ঙ্কর রোগও হতে পারে।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গবেষক মেরিলিন গ্লেনভিলের মতে, প্লাস্টিক বোতল থেকে এমন সব উপাদান পাওয়া গিয়েছে, যার থেকে হরমোনের অসুখ এবং স্তনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ট্রেডমিলরিভিউস.কমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্লাস্টিকের বোতল টানা ব্যবহার করে গেলে ইকোলাই-এর মতো অসুখের জীবাণুর জন্ম দিতে পারে।
তা হলে উপায় কি? কোন ধরনের বোতল নিরাপদ? ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, স্টেইনলেস স্টিল কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের বোতল অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। তবে সেটাও খুব বেশিদিন ধরে ব্যবহার করে যাওয়া ঠিক নয়।





প্লাস্টিকের বোতলেই লুকিয়ে রয়েছে রোগের বীজাণু



জলের অন্য নাম যে জীবন, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু জল পান নিয়ে যদি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন না করা হয়, তাহলে দেখা দিতে পারে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা। সুস্থতার জন্য শুধু যে বিশুদ্ধ জল পান করা আবশ্যক তা-ই নয়, কোন পাত্র থেকে জল পান করা হচ্ছে সেটাও রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খাওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট।
জল খাওয়ার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাস্টিকের বোতল। কিন্তু ট্রেডমিল রিভিউ নামের একটি বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থা তাঁদের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জানিয়েছে, প্লাস্টিকের বোতল থেকে নিয়মিত জল খাওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কেন?
সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের বোতল বারবার ব্যবহার করতে করতে তার ভিতরে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। সাধারণভাবে অধিকাংশ মানুষই দীর্ঘদিন বোতল না ধুয়েই বোতল ব্যবহার করেন। এতে এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়ার জন্মলাভের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাছাড়া সাধারণ জল দিয়ে কিংবা সাবান জল দিয়ে বোতল ধুলেও এই ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি মেলে না। আর এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়ার ৬০ শতাংশই শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। পেটের বিভিন্ন রোগের জন্মদাতা এইসব ব্যাকটেরিয়া।
কিন্তু কী ধরনের বিপদ লুকিয়ে রয়েছে বোতলে? সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা তিন ধরনের বোতল নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন— প্যাঁচ লাগানো বোতল, স্লাইড করা ছিপি লাগানো বোতল, আর স্ট্র টপ বোতল, অর্থাৎ
যেগুলির মুখ হয় স্ট্র-এর মতো ছুঁচলো। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হল স্লাইড করা ছিপিওয়ালা বোতল। কারণ এই ধরনের বোতলেই সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। সমীক্ষকরা বলছেন, এই ধরনের বোতল থেকে জল খাওয়া আর কমোডের সিট চাটা একই রকমের ক্ষতিকর। কারণ কমোডের সিটে যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে, স্লাইড করা ছিপি ওয়ালা বোতলেও সেই পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে। স্ট্র টপ বোতল এইদিক থেকে সবচেয়ে নিরাপদ। আর প্যাঁচ দেওয়া ছিপি সমেত বোতলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ থাকে মধ্যম মানের।
তাহলে কোন ধরনের বোতল সবচেয়ে নিরাপদ। সমীক্ষকরা জানিয়েছেন, স্টেইনলেস স্টিলের বোতল থেকে জল খাওয়া তুলমামূলকভাবে নিরাপদ। আর প্লাস্টিকের বোতল যদি ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কোনও বোতলই দু’ সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.